শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

সূর্য গবেষণায় নয়া দিগন্ত, প্রথম সৌর অরবিটর উৎক্ষেপণ

সূর্য গবেষণায় নয়া দিগন্ত, প্রথম সৌর অরবিটর উৎক্ষেপণ


সূর্য গবেষণায় নয়া দিগন্ত, প্রথম সৌর অরবিটর উৎক্ষেপণ

সূর্য তথা মহাকাশ গবেষণায় নাসা এবং ইএসএ (ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি)-র যৌথ উদ্যোগে উৎক্ষেপণ হল প্রথম সৌর অরবিটার। ইউরোপীয় সময় রাত ১১টা ৩ মিনিটে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে লঞ্চ কমপ্লেক্স ৪১ থেকে ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স অ্যাটলাস ভি রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই প্রথম মহাকাশ থেকে সূর্যের মেরুগুলোর ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাতে পারবে এই মহাকাশযান।
উৎক্ষেপণের পরের দিন সোমবার সকাল ১২টা ১২ মিনিটে জার্মানির ডারমস্টাডেটের ইউরোপীয় স্পেস অপারেশনস সেন্টারের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মহাকাশযান থেকে একটি সঙ্কেত পেয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, সোলার অরবিটারের সৌর প্যানেলগুলো সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
নাসা জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের পরে প্রথম দু’দিন সৌর অরবিটার কয়েকটি অ্যান্টেনা স্থাপন করবে যা পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তার পর শুরু হবে তথ্য সংগ্রহ এবং পৃথিবীতে পাঠানোর কাজ। সোলার অরবিটার একটি অনন্য কক্ষপথে রয়েছে, যেখান থেকে সূর্যের মেরুগুলোর ছবি তুলে পাঠাতে পারবে। এই কক্ষপথে সূর্যের কাছাকাছি মোট ২২টি অবস্থান পড়বে। বুধের কক্ষপথের মধ্যে থেকে সূর্য এবং পৃথিবীতে তার প্রভাব সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করবে এই মহাকাশযান।
ইএসএ-র ডিরেক্টর মহাকাশবিজ্ঞানী গুন্থার হেসিঙ্গার বলেছেন, ‘‘পৃথিবীতে প্রাণের জন্য সূর্যের গুরুত্ব কতটা, মানুষ হিসেবে তা আমরা জানি, এটাকে পর্যবেক্ষণ করি এবং কীভাবে কাজ করে চলেছে, তা নিয়ে নিরন্তর পরীক্ষানিরীক্ষা করে চলেছি। আবার আমরা এটাও জানি যে, একটা সৌরঝড় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম ব্যাহত করতে পারে।’’ 
আর নতুন এই অভিযান সম্পর্কে তাঁর মত, এই সোলার অরবিটার মিশনের শেষে আমরা সূর্যের আচরণের পরিবর্তনের জন্য দায়ী কী এবং আমাদের গ্রহের উপর তার প্রভাবই বা কতটা, সে সম্পর্কে আরও বেশি কিছু এবং আরও বিস্তারিত জানতে পারব।’

কোন মন্তব্য নেই: