নারী দেহের সব চাইতে উর্বরতম সময়ে, যখন ডিম্বানু পরিপক্ব অবস্থায় শুক্রাণু সাথে মিলিত হওয়ার জন্য উদ্বগ্রিব থাকে, তখন যে কোন ভাবে পুরুষের শুক্রাণু নারী ডিম্বাণুর সাথে নিষিক্ত করতে পারলে-ই সে নারী গর্ভবতী হতে পারে। তবে এই সময় টা হলো পিরিয়ডের ১৪তম দিন। এই দিনে নারী শরীর থেকে একটি পরিপূর্ণ ডিম্বাণু পরিপক্বতা লাভ করার পরে সেটি ফেলোপিয়ান টিউব দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং এক জায়গায় গিয়ে শুক্রাণুর জন্য অপেক্ষা করে। আর এই ডিম্বাণু সেখানে ৩৬ ঘন্টার মতো বেঁচে থাকে। যদি এর মধ্যে কোন শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হওয়ার সুযোগ না পেয়ে থাকে, তাহলে সেটা গড়াতে গড়াতে সামনে গিয়ে জরায়ুর তৃতীয় স্তরের সাথে আশ্রয় নেয়। তারপর সেটা জরায়ুর তৃতীয় স্তর খসে পড়ার ভেতরে পিরিয়ড হিসেবে বাইরে বেরিয়ে আসে। যদি সেটা ফেলোপিয়ান টিউবের ভেতর শুক্রাণু সাথে নিষিক্ত হতে পারে তাহলে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াস এক হয়ে সেখানে জাইগোট তৈরী করে এবং সেটা সামনে গিয়ে জরায়ু তে আশ্রয় নেয়। এর পর হরমোনের প্রভাবে পিরিয়ড চক্র বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে সহজেই সেখানে সন্তান বড় হওয়ার সুযোগ পায়। অতএব, সন্তান নিতে চাইলে পিরিয়ডের ১৪ তম দিনের আগের কিছু দিন এবং পরের কিছু দিন নিয়মিত সহবাস করা উচিত।
তবে সহবাসে নারী- পুরুষ উভয়ে যৌন সুখ লাভ করারটা একজনের উপর অপর জনের দায়িত্ব এবং অধিকার বলা যায়। তাদের দুজনের উপর দুজনের আগ্রহ আর আস্থা, বৃদ্ধিতে যৌন তৃপ্তি বিপুল পরিমান ভূমিকা রাখে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষের আগে বীর্যপাত হওয়ার কারণে বেশির ভাগ নারী যৌন অনুভূতির তৃপ্তি না নিয়েই সন্তান ধারণ করে। সে ক্ষেত্রে পুরুষের উচিত আগে নারী কে বিভিন্ন কায়দায় (ফোর প্লে) পদ্ধতিতে উত্তেজিত করার পর সঙ্গমে মেতে ওঠা। এতে সাংসারিক জীবনে শারীরিক এবং মানসিক চাহিদার পূর্ণতা নিয়ে তারা হ্যাপিনেস অনুভব করবে। যৌন তৃপ্তি নিয়েই দুজন একে অপরের উপর খুসি থাকবে, এবং সন্তান ধারণের ক্ষেত্রেও এক প্রকার তৃপ্তি অনুভব হবে।
সর্বোপরী এটাই বলবো সন্তান ধারণের জন্য একজন নারী উপযুক্ত সময়ে যে কোন ভাবে পুরুষের শুক্রাণু স্ত্রী জরায়ু মুখে পৌছাতে পারলে সে নারী গর্ভবতী হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তবে এক্ষেত্রে নারী দেহ সন্তান ধারনের জন্য শারীরিক ভাবে সুস্থ এবং পুরুষ ব্যাক্তির শুক্রাণু সন্তান জন্মদানের জন্য উপযুক্ত হতে হবে। তবেই সম্ভব।