সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২

২০৩০ সালের মধ্যে সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ পেশা কোনগুলো হবে?

আগামি দশ বছর অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ পেশা সম্পর্কে উল্লেখ করতে হলে এই তিনটি সেক্টর বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে হবে।

  • স্বাস্থ্য
  • তথ্য-প্রযুক্তি
  • শিক্ষা

এই সেক্টর গুলোর সাথে সম্পৃক্ত এবং ভবিষ্যতে বেশি চাহিদা থাকবে এমন আরো কিছু পেশাসম্পর্কে উল্লেখ করা হলো

  1. প্রকৌশল-স্থাপনা।
  2. ওয়েব ডেবলপার।
  3. চিকিৎসা এবং নার্সিং।
  4. সেলস ও মার্কেটিং।
  5. সাইবার সিকিউরিটি নিনজা।
  6. মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট।
  7. অনলাইন টিউটর।
  8. ব্যংকিং এন্ড ফিন্যান্স।
  9. ডিজিটাল মার্কেটিং।
  10. রেজিস্ট্রার নার্সিং।
  11. সফটওয়্যার ডেবলফার।
  12. ট্রেইনার এবং শিক্ষকতা।
  13. উদ্ভাবন ও ডিজাইনিং।
  14. কনষ্ট্রাকশন শ্রমিক।
  15. টেলিকম।
  16. ডাটা ডিটেকটিভ

17. কম্পিউটার সম্পৃক্ত সকল পেশা সমুহ।

এমন কিছু মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা কী যা মানুষ জানে না?

এমন কিছু মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা কী যা মানুষ জানে না?

শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করা ও বাচ্চার জন্ম দেওয়ার জন্য মানুষ সংসার করে না।

সংসার একটা অভ্যেস, যা একসাথে থাকতে থাকতে গড়ে ওঠে, একে অপরের সাথে কথা বলতে বলতে, একে অপরকে সহ্য করতে করতে এই অভ্যেস গড়ে ওঠে।

সংসার মানে হলো একসাথে থাকতে থাকতে একে অপরের গায়ের গন্ধটা আত্মস্থ করে নেওয়া। সংসার মানে হলো মানুষটা মুখের সামনে এসে দাঁড়ালেই মানুষটার মনের ভেতর কি চলছে, সেটা বুঝে ফেলা।

সংসার মানে হলো বর অফিস থেকে ফিরলে এক গ্লাস জল রোজই মুখের সামনে তুলে ধরা।

সংসার মানে হলো ছেঁড়া বোতাম সেলাই করতে করতে নিজেদের ভেতর ভুল বোঝাবুঝি গুলো মাঝেমধ্যে সেলাই করে নেওয়া।

সংসার মানে হলো এডজাস্টমেন্ট, "তোমার আমার" থেকে আমাদের হয়ে ওঠা। সংসার মানে মাছের ঝোলে নুন বেশি হলেও চুপচাপ হাসিমুখে খেয়ে ফেলা, সংসার মানে হলো রোজই বিছানার উপর রাখা নিজের পার্টনারের ভেজা টাওয়ালটা মেলে দেওয়া।

সংসার মানে হলো বিয়ের ডেট, একে অপরের জন্মদিনের তারিখ ভুলে গেলেও মানিয়ে নেওয়া।

সংসার মানে গাঢ় নীল রং নিজের পছন্দ না হওয়া সত্ত্বেও পার্টনারের পছন্দ বলে একদিন নীল রঙের পাঞ্জাবিটা পরে ফেলা, আবার তেমনি শাড়ি পরতে একটুও ভালো না লাগলেও এক দুটো দিন নিজের পার্টনারের পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে একটা লাল টকটকে শাড়ি পরে পার্টনারের সামনে এসে দাঁড়ানো।

সংসার হলো একটা প্রতিজ্ঞা, যার ভেতর মান, অভিমান, রাগ, ক্ষোভ, দুঃখ, ব্যথা সবই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে একে অপরের মুখের সামনে ভাতের থালা তুলে দেওয়ার প্রতিজ্ঞাটা একে অপরকে করতে হবে।

সংসার মানে হলো মাসের শেষে টাকাপয়সার হিসেব করতে করতে একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে বলা "আজ তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমাবো, আজ আমায় একটু ঘুম পাড়িয়ে দাও"

সংসার মানে হলো মাঝরাতে বরকে ঘুম থেকে তুলে শিশির ভেজা রাস্তায় হাঁটতে যাওয়ার বায়না ধরা।

সংসার করা সহজ, কিন্তু একটা সংসারকে প্রতি মুহূর্তে যাপন করা সহজ নয়

সংসার মানে হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও একবার অন্তত ফোন করে জিজ্ঞেস করা "খেয়েছো"

সংসারে ওঠানামা, ভাঙাগড়া থাকবেই, কিন্তু হাঁপিয়ে গেলে চলবে না, একে অপরকে মানিয়ে নিতে হবে, একে অপরের সমস্যায় পাশে থাকতে হবে, একে অপরকে সাহস যোগাতে হবে

সংসারে কেউ কারোর থেকে ছোট বা বড় হয় না, দুজনেই দুজনের পরিপূরক হয়, তাই সংসার করতে গেলে একে অপরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা বড্ড জরুরি....🌸

সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

রাউটারের সমস্যা সমাধান

রাউটারের সমস্যা সমাধান

বর্তমানে ঘরে ঘরে ব্যবহৃত হয় ওয়াইফাই রাউটার। যা থেকে একাধিক ডিভাইস যুক্ত করা সম্ভব। তবে মাঝেমধ্যেই রাউটারে সমস্যা হয়। এ সমস্যার সমাধান সম্ভব খুব সহজেই। জেনে নিন রাউটারের সমস্যা সমাধানের উপায়-

রাউটারের সমস্যা সমাধান

* রাউটার সেট করার সময় মাঝেমধ্যেই আইপি সেটিংসে সমস্যা হয়। ফলে ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা হতে পারে। রাউটার থেকে ইন্টারনেট সংযোগ না হলে আইপি সেটিং ভালোভাবে দেখুন। প্রয়োজনে নতুন করে রাউটার কনফিগার করুন।

* ইন্টারনেট ওএফসি বা অপটিক্যাল ফাইবার কেবলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। কোনো ওএফসি কেবল সরাসরি রাউটারের ভিতর কানেক্ট থাকে না। ওএফসির সঙ্গে অন্য একটি মডেমের কানেক্ট থাকে। সেখান থেকে রাউটারের কানেক্ট করা হয়। সে ক্ষেত্রে ওএফসিতে কোনো সমস্যা তৈরি হলে ইন্টারনেট কানেক্ট হতে সমস্যা হয়। তাই এফসি কেবল চেক করতে পারেন।

* অনেক সময় ডাটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়। সে ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট স্পিড কমে যেতে পারে। এমনকি ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে মডেম পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে কিছুক্ষণ। তারপর আবারও চালু করতে হবে।

* অনেক সময় ওয়াইফাই-এর ক্ষেত্রে সমস্যা হলে রাউটার থেকে ইন্টারনেট সংযোগ করতে সমস্যা তৈরি হয়। এ জন্য ফোন বা অন্য কোনো ডিভাইস থেকে ওয়াইফাই ফরগট করে আবারও কানেক্ট করতে হবে।

* আইএসপি বা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারের কোনো প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাহত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরাসরি আইএসপির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

ম্যাকবুক সিরিজে আরও ডিভাইস যুক্ত করার পরিকল্পনায় অ্যাপল

ম্যাকবুক সিরিজে আরও ডিভাইস যুক্ত করার পরিকল্পনায় অ্যাপলম্যাকবুক সিরিজে আরও ডিভাইস যুক্ত করার পরিকল্পনায় অ্যাপল

বৈশ্বিক ডেভেলপার সম্মেলনে অ্যাপল এমটু চিপ যুক্ত ম্যাকবুক এয়ার উন্মোচন করেছে। তবে এ লাইনআপে এটিই প্রথম ও শেষ ডিভাইস নয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী কুপারটিনোর প্রযুক্তি জায়ান্টটি আরো দুটি ম্যাকবুক এয়ার বাজারজাতের বিষয়ে কাজ করছে। খবর এনগ্যাজেট।

১৫ ইঞ্চির ডিভাইসগুলো ২০২৩ সালের বসন্তে বাজারে আনা হবে। ধারণা করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ছোট আকারের ল্যাপটপ ক্যাটাগরিতে ফিরে যাবে। ম্যাকবুকের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি ১২ ইঞ্চির একটি ল্যাপটপ উৎপাদনে কাজ করছে বলে জানা গেছে। ২০২৩-এর শেষে বা ২০২৪-এর শুরুতে এটি বাজারে আসতে পারে।

সূত্রের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালের শেষ দিকে এমটু প্রো ও এমটু ম্যাক্স চিপসংবলিত ১৪ ও ১৬ ইঞ্চির দুটি ম্যাকবুক প্রো উৎপাদনে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা ২০২৩ সালের শুরুতে এগুলো বাজারজাত করা হতে পারে।

পুরুষদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল: এতে কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?

পুরুষদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল: এতে কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?







জন্ম নিয়ন্ত্রণ বা প্রজনন নিয়ন্ত্রণ হল গর্ভধারণ প্রতিরোধের পদ্ধতি। এক্ষেত্রে এক বা একাধিক কর্মপ্রক্রিয়া রয়েছে। এর মধ্যে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকাও একটি প্রক্রিয়া।

আমরা জানি, জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সাধারণত নারীরাই খেয়ে থাকেন। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই পুরুষদের জন্যও এই ওষুধ তৈরির চেষ্টা চলছিল। একই সঙ্গে চেষ্টা চলছিল পুরুষদের জন্য এই পিল বাজারে আনার।

অনেকদিন পরীক্ষানিরীক্ষার পর অবশেষে জানা গেছে, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ। এই পিলের প্রভাবে পুরুষদের মিলনের ইচ্ছাও কমে যায় না।

সম্প্রতি পুরুষদের জন্য দুটি গর্ভনিরোধক পিল তৈরি করেছেন গবেষকরা। পরীক্ষামূলকভাবে পিল দুটি ব্যবহারের পর তারা বলছেন, এই ওষুধের তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। 

নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের এই জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ দুটি তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। 

নতুন ওষুধ দুটির নাম ডিএমএইউ এবং ১১বিটা-এমএনটিডিসি। ওষুধগুলো প্রোজেস্টোজেনিক অ্যান্ড্রোজেন নামক ওষুধের সমগোত্রীয়। 

নতুন পিল দুটি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা হ্রাস করে শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দেয়। নারীদের তুলনায় পুরুষের বিকল্প গর্ভনিরোধকের সংখ্যা খুবই কম। এই দুটি ওষুধ আবিষ্কারের ফলে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ রুখতে ছেলেরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন বলে দাবি গবেষকদের।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারী পুরুষদের মধ্যে ৭৫ শতাংশের বেশি পুরুষ পুনরায় এই ওষুধ ব্যবহার করার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন।

গবেষকদের মতে, এই পিল দুটি ব্যবহার করা হলে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের সমস্যা আরও কমবে।