সপ্তাহের রাশিফল

• 

কেমন যাবে আগামী সাতদিন? জেনে নিন।

15

 

0

 

18.3K

 

বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোলজার্স সোসাইটি(বিএএস)’র সহায়তায় চলতি সপ্তাহে বিভিন্ন রাশির জাতক জাতিকাদের নানান বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন অ্যাস্ট্রোলজার অ্যান্ড সাইকিক কনসালটেন্ট ফজলে আজিম।
দৈনন্দিন রাশিফলে চন্দ্রের অবস্থানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। চন্দ্র এক রাশিতে অবস্থান করে সোয়া দুই দিন। এ সময়ে চন্দ্র যখন যে রাশিতে থাকে সেখানকার ফল দেয়। সামগ্রিক গ্রহাবস্থান দেখে আমরা বিভিন্ন রাশির জাতক/জাতিকাদের বিভিন্ন বিষয়ের পূর্বাভাস ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলা হয়। এ বিষয়ে জানতে অভিজ্ঞ কোনো অ্যাস্ট্রোলজারের পরামর্শ নিন।
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক দ্বাদশ রাশির ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা।
মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল) 
এখন সময় নিজেকে প্রমাণ করার। মনোঃসংযোগ ঘটিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন। আপনার আন্তরিক প্রচেষ্টা আপাত অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। ভুল পথে পরিচালিত হলে ফেঁসে যেতে পারেন। এসময় সঙ্গীর প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করুন। পারিবারিক কাজে ব্যস্ততা বাড়তে পারে। উচ্চশিক্ষার জন্য যারা বিদেশে যেতে চান তাদের আশাফলপ্রসু হতে পারে। আপনার শরীর সুস্থ রাখার দায়িত্ব আপনারই, বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না।
বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল-২১মে)
পরিপাটি থাকতে আপনি বেশ পছন্দ করেন। আপনি সুন্দর মনের অধিকারী। তাই বলে প্রথম দর্শণে নতুন করে কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো ঠিক না-ও হতে পারে। কোনো কারণে আপনার প্রিয় মানুষের সঙ্গে ভুলবোঝাবুঝি হতে পারে। আপনি কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন। শারিরীক যত্ম নিতে আলসেমি করবেন না। অন্যধায় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। যানবাহনে চলাফেরায় সাবধানতা অবলম্বন করুন।  গৃহস্থালী কাজে ব্যস্ততা বাড়তে পারে।
মিথুন রাশি(২২ মে-২১ জুন)
আপনি যথেষ্ট বুদ্ধিমান। আপনার নিজের কল্যাণেই মেধা ও বুদ্ধির সঠিক ব্যবহার করতে পারেন। তবে কারও ক্ষতি করে নয়। এতে আপনি সাফল্যের পথে এগুতে থাকবেন। কোনো অকল্যাণকর চিন্তায় আপনার এ মসৃণপথ রুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। আর্থিক বিষয়ে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে পার্থক্য দেখা যেতে পারে। প্রেম রোমাঞ্চে সাবধানতা অবলম্বন করুন। কামনা বাসনাকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন। অন্যথায় নিজেই নিজের ক্ষতির কারণ হতে পারেন। আপনি কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন।
কর্কট রাশি (২২ জুন-২২ জুলাই)
আপনার মানসিক শক্তি আগের চেয়ে বৃদ্ধি পাবে। নতুন উদ্যমে কাজে লেগে থাকতে পারবেন। মনোদৈহিক এ শক্তিকে ধরে রাখার চেষ্টা করুন। নিজের দৈনন্দিন কাজে রুটিন অনুসরণ করে চলুন। আপনার হতে কিছু অর্থ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন। ব্যবসায়ী হলে নতুন কোনো সুযোগ আপনার দুয়ারে কড়া নাড়বে। চোখ কান খোলা রাখুন। কারণ সুযোগ সবসময় দরজায় আস্তে করে টোকা দেয়।
সিংহ রাশি (২৩ জুলাই-২৩ অগাস্ট)
নানারকম প্রতিবন্ধকতার মাঝে আপনাকে এগিয়ে চলতে হবে। ব্যবসায়িক আলোচনায় অগ্রগতির সম্ভাবনা রয়েছে। অবিবাহিতদের বিয়ের আলোচনা চুড়ান্ত হতে পারে। সপ্তাহের শুরুতে আপনার ব্যস্ততা আগের চেয়ে বাড়বে। একসঙ্গে একাধিক কাজে মনোযোগ বসানো কঠিন হতে পারে। মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম অনুশীলনের মাধ্যমে আপনার প্রাণশক্তি বৃদ্ধি করতে পারেন।
কন্যা রাশি (২৪ অগাস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)
কোনো বন্ধু কিংবা সহকর্মীর সহযোগিতা আপনাকে আশার আলো দেখাতে পারে। লাগাম ছাড়া ব্যয় রোধ করার চেষ্টা করুন। অযাচিত ব্যয় আর্থিক দুর্ভোগের কারণ হতে পারে। নানাবিধ কাজে ব্যস্ততা আপনার মানসিক চাপের কারণ হতে পারে। কাউকে কোনো বিষয়ে কথা দেওয়ার আগে অন্তত কয়েকবার চিন্তা করুন। কথা দিলে অবশ্যই তা পালনের চেষ্টা করুন। ব্যবসায়ীদের জন্য সপ্তাহটি ভালো কাটতে পারে। কোনো ভুল সিদ্ধান্তে প্রেমের সম্পর্কে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)
পেশাগতকাজে ব্যস্ততা বাড়বে। বেকারদের চাকরি প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে।  প্রশাসনিক কাজে অন্যের সহযোগিতা পেতে পারেন। আপনার কোনো আশাপূরণ হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ কাজে কোনো বন্ধু কিংবা সহকর্মীর সহযোগিতা পেতে পারেন। গবেষণামূলক কাজে নতুন কোনো তথ্য পেতে পারেন। নতুন করে কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন। গৃহস্থালী কাজে ব্যস্ততা বাড়তে পারে। অল্প হলেও নিয়মিত কিছু অর্থ সঞ্চয়ের চেষ্টা করুন।
বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)
আপনার মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে বিদেশযাত্রার কাজে আপনার ব্যস্ততা বাড়তে পারে। আপনি কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন। কোনো অধ্যাত্মিক ব্যক্তির সান্নিধ্য পেতে পারেন। যার দিকনির্দেশনা আপনাকে পথ চলতে সহায়তা করবে। উত্তরাধীকারিসূত্রে কোনো সম্পদের মালিকানা পেতে পারেন। পেশাগত কাজে আপনার ব্যস্ততা বাড়তে পারে। কোনো বন্ধুর সহযোগিতা আপনাকে নতুন কোনো পথের সন্ধান দেবে।
ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)
আপনাকে নানারকম মানসিক চাপ অতিক্রম করে সামনে এগুতে হবে। অলসতায় সময় নষ্ট না করে বর্তমান সময় যথোপযুক্তভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন। আপনি কোনো আধ্যাত্মিক ব্যক্তির সান্নিধ্য পেতে পারেন। কারও কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কোনো বিষয়ে সুপরামর্শ পেতে পারেন। কোথাও বেড়াতে যাওয়ার চেষ্টা সফল হতে পারে। পেশাক্ষেত্রে সহকর্মী বা কোনো বন্ধুর সহযোগিতা পেতে পারেন। এক বা একাধিক সুখবর পেতে পারেন।
মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)
পরিবারে কারও বিয়ের কথা চুড়ান্ত হতে পারে। কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেতে পারেন। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি আপনার জন্য অনুকূল না-ও থাকতে পারে। অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা এড়াতে চাইলে দিনের কাজ প্রথম প্রহরেই শুরু করুন। অলসতা বা খেয়ালীপনায় মূল্যবান সময় নষ্ট করলে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। পেশাগত কাজে আপনার ওপর বিশেষ কোনো কাজের দায়িত্ব পড়তে পারে। মানসিক চাপ বাড়বে।
কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)
এ সময়ে বিভিন্ন পেশাজীবী ব্যক্তিদের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ বাড়বে। তাদের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হতে পারেন। সরকারি কোনো কাজের মাধ্যমে আপনি লাভবান হতে পারেন। হঠাত করেই কোথাও বেড়াতে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। নিজের শরীরের দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হয়। তাই এ বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে। ঠাণ্ডাজনিত কোনো ব্যধিতে আক্রান্ত হতে পারেন। ভ্রমণের মাধ্যমে কারও প্রেমে পড়তে পারেন। অবাস্তব প্রত্যাশা মানসিক কষ্টের কারণ হতে পারে।
মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)
যেসব খাবারে হজমে সমস্যা হয় তা এড়িয়ে চলুন। অন্যথায় পেটের পীড়ায় ভুগতে হতে পারে। সম্ভাব্যক্ষেত্রে গৃহে নতুন মুখের দেখা পেতে পারেন। ভ্রমণ কিংবা বিদেশযাত্রা সম্পর্কিত কাজে অগ্রগতি হতে পারে। বিশেষ কাজে সরকারি কোনো পেশাজীবীর সহযোগিতা পেতে পারেন। ব্যবসায়িদের নতুন কোনো চুক্তি সম্পাদিত হতে পারে। নতুন বিনিয়োগে সাবধানতা অবলম্বন করুন। বিশেষ করে প্রতিটি লেনদেনে লিখিত প্রমাণ রাখুন।

বিয়ের প্রথম বছরটি যৌন জীবনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন

বিয়ের প্রথম বছরটি দাম্পত্য জীবনের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়টাতে নতুন করেই সবকিছু শুরু করতে হয় সকলকে। এই সময়েই বোঝা যায় দাম্পত্য জীবনে কতোটা সফলতা আসতে পারে। যদিও সময় গেলে অনেক গভীরতা আসে সম্পর্কে কিন্তু তারপরও প্রথম বছরেই স্বামী ও স্ত্রী নিজেদের একে অপরের মনে স্থান করে নিতে যথাসম্ভব চেষ্টা করে চলেন। বিয়ের প্রথম বছরেই পুরো জীবনের পরিকল্পনার ভিত্তি তৈরি হয়ে যায়। তাই এই সময়টা দাম্পত্য জীবনের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

১) নতুন মানুষটিকে চিনে নেওয়ার সময় এটিই: ‘আরেঞ্জ ম্যারেজ’ বলুন বা ‘লাভ ম্যারেজ’ বিয়ের পর নতুন একটি পরিবেশে নতুন করে সব কিছু বুঝে নিতে হয়। যাকে প্রেমিক হিসেবে চিনতেন অথবা যাকে একেবারেই চিনতেন না তাকে নতুন করে চিনে নেয়ার সময় এটিই। এই সময়টাতে একেঅপরকে ভালো করে চিনে নিতে পারলে দাম্পত্য জীবন সুখে হয়।

২) এই প্রথম বছরেই বেশি সময় একসাথে কাটানো যায়: একে অপরকে বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে একসঙ্গে সময় কাটানো। একজন আরেকজনের কথা মন দিয়ে শোনা এবং অপর মানুষটিকে বোঝার চেষ্টা করা। প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হলেও অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটানো যায় বলে একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ জানা যায় এবং পার্টনারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মনোভাব তৈরি হয়। এতে করে দাম্পত্য সম্পর্ক গভীর হতে থাকে।

৩) শেয়ার করার জিনিসগুলো: একটি ঘরের সবকিছু, বেডরুম, রান্নাঘর, জিনিসপত্র সব শেয়ার করার বিষয়টির উপরেও কিন্তু দাম্পত্য জীবনের অনেক কিছু নির্ভর করে থাকে। প্রথম বছরেই সঙ্গী সম্পর্কে অনেক কিছু শিখে নেয়া যায় সামান্য শেয়ারিংয়ের মনোভাব থেকে।

৪) দাম্পত্য কলহের সম্ভাবনা: কোনো দম্পতি একেবারেই কখনও ঝগড়া করেননি বিষয়টি অসম্ভব। ঝগড়া, দাম্পত্য কলহ সকল দম্পতিদের মধ্যেই দেখা যায়। কিন্তু বিয়ের প্রথম বছরেই সঙ্গীর পছন্দ অপছন্দ বুঝে নেওয়া, ছোটোখাটো বিষয়ে সঙ্গীর রিঅ্যাকশন সব দেখে বুঝে নেওয়া যায় আপনাদের দাম্পত্য কলহ হলে তা কতটা খারাপ রূপ নিতে পারে। তাই বিয়ের প্রথম বছর থেকেই কিছু জিনিস শিখে নিয়ে এড়িয়ে চলা যায় কঠিন কিছু কলহ।

৫) ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: বিয়ের প্রথম বছরটিতেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে নেওয়ার বিষয়টি দাম্পত্য সম্পর্ক অনেক সহজ করে তোলে। ভবিষ্যতে কি হবে, কতটা ম্যানেজ করে চলা যাবে, সন্তান কখন নেওয়ার কথা ভাবা হবে-এই সব কিছুর পরিকল্পনা করে নেওয়ার সঠিক সময় বিয়ের প্রথম বছর।

যে ভুলগুলোর কারনে মজবুত প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট হয়

অনেকেই বলেন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় । আবার অনেকে এও বলেন, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা মোটেও হাতিঘোড়া কোনও কাজ নয় । সাধারণ কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখলে প্রেমিকা-প্রেমিকারা বিশ্বাস করতে পারেন একে অপরকে । এই প্রতিবেদনে দেওয়া হল এমন কয়েকটি ভুল, যা নষ্ট করতে পারে একটি মজবুত সম্পর্ককেও । ভুলগুলি পড়ুন ও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন-

অভিভাবক হবেন না: দয়া করে নিজের প্রেমিকাকে নিজের সম্পত্তি ভাববেন না । তাঁকেও ঘুরতে যেতে দিন বন্ধুদের সঙ্গে । সন্দেহ করবেন না অকারণে ।

কাজ কাজ করবেন না: দিনভর অফিস-চাকরি-ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকার পর একটু সময় রাখুন নিজের আপনজনের জন্য । জানেন তো,অধিকাংশ সম্পর্কই ভেঙে যায় একে অপরকে সময় দিতে না পারার অজুহাতে ।

বিয়েতে তাড়াহুড়ো নয়: প্রেমিকা আপনারই। আপনাকে ভালবাসলে অন্য কারুর সঙ্গে পালিয়ে যাবে না । তাই বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো করবেন না । অনেক পুরুষই চান, কোনও মহিলাকে তাড়াতাড়ি বিয়ে করে বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে । এটা কোনও উপায় হতে পারে না মশাই ।

ছোটখাটো ঝগড়া এড়িয়ে চলুন: এটাকে বলে গোল্ডেন ওয়ার্ডস অফ রিলেশনশিপ । ঝগড়া এড়িয়ে চলুন । একে অপরকে ছুঁয়ে থাকুন । মনে থাক শুধুই ভাল লাগার আমেজ ।

বিশ্বাস করতে শিখুন: একটি সুস্থ-স্বাভাবিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে কিন্তু বিশ্বাস করতের শিখতেই হবে একে অপরকে ।

দোষ চাপাবেন না: আপনার কাজের চাপ, আপনার বন্ধুর বিশ্বাসঘাতকতা-সব কিছুর দোষ আপনার প্রেমিকার উপর চাপাবেন না ।

দাম্পত্য জীবনকে পরকীয়ার ঝুঁকি মুক্ত রাখার কিছু কৌশল

হ্যাঁ, একথা সত্যি যে মানুষের মনকে বেঁধে রাখা যায় না। প্রেম জীবনে যখন তখন হতে পারে আর এই প্রেমে পড়ার হাত থেকে কাউকে দূরে সরিয়ে রাখার কোন উপায় নেই। তবে এটাও কিন্তু সত্যি যে দাম্পত্যে পরকীয়ার অনেক কারণ থাকে, যার মাঝে সবচাইতে বড় কারণগুলো হচ্ছে সঙ্গীর সাথে দূরত্ব বা আগ্রহ হারিয়ে ফেলা। একটা জিনিস ভুলে গেলে চলবে না যে, একটি ভালোবাসার সম্পর্ক থেকে মানুষ যখন শারীরিক ও মানসিক উভয় প্রকার সুখ ও সন্তুষ্টি পায়, তখন আর অন্য কারো কাছে সুখের খোঁজে যেতে হয় না।

আর তাই নিজের স্বামী বা স্ত্রীকে পরকীয়ার কুৎসিত থাবা থেকে দূরে রাখার উপায় হচ্ছে ভালোবাসার বন্ধন মজবুত করা, এমন একটি সম্পর্ক গড়ে তোলা যেন আপনার আকর্ষণ তিনি কখনোই কাটিয়ে উঠতে না পারেন। কিন্তু কীভাবে করবেন এই কাজ? চলুন জেনে নিই।

ভালো সঙ্গী চাইলে নিজে আগে ভালো সঙ্গী হোন:
আপনি নিশ্চয়ই চান স্বামী বা স্ত্রী আপনাকে অনেক ভালবাসুক আর সম্মান করুক? এই ভালোবাসা আর সম্মান চাইলে আগে ভালোবাসা ও সম্মানের যোগ্য হয়ে উঠুন। হ্যাঁ, যদি চান যে সঙ্গী আপনাকে ভীষণ ভালোবাসায় ঘিরে রাখবেন, তাহলে আপনিও তাঁর দিকে ভালোবাসার হাত বাড়ান। আগে নিজে ভালো সঙ্গী হোন, দেখবেন তিনিও আপনা থেকেই বদলে গেছেন। ভালোবাসা পেতে চাইলে ভালোবাসা দেয়াও শিখতে হবে।

নিজেকে যত্ন করুন অবশ্যই:
বিয়ে তো হয়েই গেছে, আর আর সুন্দর দেখিয়ে কী হবে?- এমন একটা ভাবনা বেশিরভাগ মানুষের মাঝে কমবেশি আছে। কিন্তু সত্য এটাই যে বিয়ের পরেই বরং এটাই প্রয়োজনীয়তা বেশি। বিয়ের আগে তিনি যেমন আপনাকে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় দেখেছেন সবসময়, সেই লুকটিই ধরে রাখার চেষ্টা করুন। হ্যাঁ, ভালোবাসা চেহাররা উপরে নির্ভরশীল নয়। কিন্তু সর্বদা এলোমেলো আর নোংরা জীবন সঙ্গীকে দেখতে নারী-পুরুষ কেউই ভালোবাসেন না। প্রিয় মানুষটা তখনই অন্যদিকে তাকাবে, যখন তিনি আপনার মাঝে আকর্ষণ খুঁজে পাবেন না। তাই নিজেকে যত্ন করুন, নিজেকে সাজিয়ে রাখুন।

অকারণ সন্দেহের প্রকাশ করবেন না:
কারণে-অকারণে সঙ্গীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকুন। আর সন্দেহ যদি লাগেই, সেটা তাঁর সামনে প্রকাশ করবে না। সবসময় এটাই প্রকাশ করুন যে আপনি তাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন।

যত ঝগড়াই হোক, দূরে যাওয়া নয়:
একটু ঝগড়া হলেই রাগারাগি করে আলাদা থাকেন? কথা বলা বন্ধ বা আলাদা কামরায় ঘুমান? এই কাজটি কখনোই কোন অবস্থাতে করবেন না। কেননা এউ দূরত্ব থেকেই সৃষ্টি হয় পরকীয়ার মত সম্পর্কের। বরং ঝগড়া হলে আরও বেশি কাছাকাছি থাকুন, আরও বেশি ভালবাসুন। এতে ঝগড়া মিটে যাবে সহজে।

অন্যের সাথে তুলনা একটি ভয়ানক ব্যাপার:
অমুকের স্ত্রী দেখতে অনেক সুন্দর বা অমুকের স্বামী তাঁর অনেক খেয়াল করেন? এইসব বলে বা ভেবে কখনো মন ছোট করবেন না। এবং কখনোই নিজের স্বামী বা স্ত্রীকে এইসব বলে খোটা দেবেন না। প্রতিটি সম্পর্কই আলাদা, প্রতিটি সম্পর্কই নিজের মত। অন্যের সাথে তুলনা করে সঙ্গীর মনে কষ্ট দেয়ার অর্থ তাকে দূরে ঠেলে দেয়া।

জিইয়ে রাখুন শারীরিক ভালোবাসা:
দাম্পত্যে ভালোবাসা অটুট রাখার জন্য যৌন সম্পর্কে আকর্ষণ ধরে রাখা খুবই জরুরী একটি বিষয়। নিজের ও সঙ্গীর চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের এই সম্পর্কটার উন্নয়ন করুন। সুন্দর পোশাক, একটু ভিন্নতা ও অনেকটা ভালোবাসা দিয়ে সজীব রাখুন শারীরিক প্রেমকে।

যাদের নিয়ে ফ্যান্টাসিতে ডুবে থাকতে ভালোবাসেন পুরুষেরা

পুরুষ মাত্রই মনের মানুষটিকে নিয়ে নানারকম সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি। যে মহিলা তাদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম তাদের নিয়ে মেতে থাকেন পুরুষেরা। এমনটাই দাবি টাইমসের।সাইকোথেরাপিস্ট ডা: অরবিন্দ সিংকে উদ্ধৃত করে টাইমস জানাচ্ছে, লাভ মেকিংয়ের জন্য ফ্যান্টাসি জিনিসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি নারী-পুরুষ নিজেদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হন, তখনই গড়ে ওঠে এক সুস্থ-স্বাভাবিক সেক্সুয়াল লাইফ।

ডা: অরবিন্দের দাবি, ফ্যান্টাসি মানে এই নয় যে সবসময় সেই পরিস্থিতি বাস্তবে রোজ ঘটতে হবে। পুরুষেরা তাদের পছন্দের নারীর সঙ্গে ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’ করেও ফ্যান্টাসি পূরণ করতে সক্ষম।

এখানে এমন পাঁচ ধরনের মহিলার তালিকা দেওয়া হল যাদের নিয়ে ফ্যান্টাসিতে ডুবে থাকতে ভালোবাসেন পুরুষেরা।

ইংরেজির শিক্ষিকা

নার্স

প্লে-মেটস

বসের স্ত্রী

এয়ার হোস্ট্রেস বা বিমানসেবিকা