সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০২০

নির্ভয়ে ২৩০০ ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে বিস্মিত করল কাজুজা (ভিডিও)

নির্ভয়ে ২৩০০ ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে বিস্মিত করল কাজুজা (ভিডিও)


নির্ভয়ে ২৩০০ ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে বিস্মিত করল কাজুজা (ভিডিও)

সুইজারল্যান্ডে প্রায় ২৩০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের বেস থেকে জাম্প দিয়ে বিস্মিত করেছে কাজুজা নামের একটি কুকুর। এত উঁচু থেকে নিচের দিকে পড়ছে তাও কোনো ভয়-ডর নেই। মালিক ব্রুনো ভ্যালেন্টের সঙ্গে বর্ডারকুলি প্রজাতির কুকুর কাজুজার প্যারাগ্লাইডিং দেখে বিস্মিত নেট দুনিয়া। বেস জাম্পের আগে কাজুজার মালিক ব্রুনোকে বলতে শোনা গিয়েছে, দেখুন আমি একটু চিন্তায় আছি। কিন্তু কাজুজাকে দেখুন কেমন নিশ্চিন্ত।
প্রায় এমন অ্যাডভেঞ্চার করতে দেখা যায় কাজুজাকে। ব্রুনো জানা, ওকে আমি রাস্তা থেকে বাড়িতে তুলি। সেই সময় ওর বয়স কয়েক দিন। আমি যখন বেস জাম্পে আসা শুরু করি, ওকেও সঙ্গী বানাই। কারণ ওর দেখাশুনা করবে এমন লোক ছিল না। সেই থেকে এভাবে আমার সঙ্গেই বেস জাম্প দেয় কাজুজা। প্রায় ৪০টি জাম্পে আমায় সঙ্গ দিয়েছে কাজুজা।
মালিকের সঙ্গে কাজুজার অ্যাডভেঞ্চারের ভিডিও ধারণ করা জকি সমার বলেছেন, কাজুজা অত্যন্ত ভাগ্যবান। সে সুপ্রশিক্ষিত এবং নিজের মালিককে প্রচণ্ড বিশ্বাস করে। 

গর্ভবতী সেজে ‘নিষিদ্ধ’ দ্রব্য পাচারের চেষ্টা, অতঃপর... (ভিডিও)

গর্ভবতী সেজে ‘নিষিদ্ধ’ দ্রব্য পাচারের চেষ্টা, অতঃপর... (ভিডিও)


গর্ভবতী সেজে ‘নিষিদ্ধ’ দ্রব্য পাচারের চেষ্টা, অতঃপর... (ভিডিও)

গর্ভবতী সেজে ‘নিষিদ্ধ’ দ্রব্য নিয়ে জেলে দেখা করতে গিয়েছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না, ওই মহিলাকে নিষিদ্ধ দ্রব্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্রাজিলে বেলো হরাইজন্তের কাছে এক জেলখানার ঘটনা এটি। এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। 
জানা গেছে, বেলো হরাইজন্ত সংলগ্ন নেলসন হাঙ্গেরিয়া জেলে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যান এক যুবতী। গেট দিয়ে ঢোকার সময় কারারক্ষীদের জানান, তিনি গর্ভবতী। নিয়ম অনুযায়ী গর্ভবতী মহিলাদের স্ক্যান করা হয় না। কারারক্ষীরাই তল্লাশি করে ভেতরে যেতে দেন। তাই ওই যুবতীকে স্ক্যান না করে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কারারক্ষীরা। মহিলার দেওয়া বিভিন্ন কাগজপত্র পরীক্ষা করে তাঁদের সন্দেহ হয়। মহিলার কথাতেও অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তারপর শুরু হয় দেহ তল্লাশি।
দেহ তল্লাশি শুরু হতেই একে একে বের হতে থাকে লুকানো ‘ধন সম্পদ’। মহিলার পোশাকে এমনকি, অন্তর্বাসের মধ্যে লুকিয়ে রাখা একের পর এক নিষিদ্ধ জিনিসপত্র বের হতে থাকে। কী ছিল না তার মধ্যে, ১২টি মোবাইল ফোন সঙ্গে চার্জার, সিম কার্ড, হেডফোন, চুইংগাম, একগুচ্ছ ওষুধ, টাকা এবং একটি হাতুড়ি। এই সব দ্রব্য ওই মহিলার জাম্পশুট ও অন্তর্বাসের মধ্যে লুকিয়ে এবং কোমরে টেপ দিয়ে আটকে রাখা ছিল।
এত পরিমাণ নিষিদ্ধ জিনিসপত্র বেরিয়ে পড়ার পর আর মহিলার পার পাওয়ার কোনও রাস্তা ছিল না। তিনি জেরায় জানিয়েছেন, স্বামী ও স্বামীর বন্ধুদের জন্য এই সব জিনিস জেলের ভিতরে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এমন ঘটনা প্রথম নয় এর আগেও অনেক মহিলা ‘গর্ভবতী’ সেজে এমন ভাবে জেলে পাচারের চেষ্টা করেছেন। ধরা পড়ার পর তাঁদের ভেসপাসিয়ানো জেলে রাখা হয়। এই যুবতীকেও সেই সব ‘গর্ভবতী’-দের সঙ্গে রাখা হয়েছে।


ষষ্ঠ শ্রেণিতে ফেল করা ছেলেটাই সামলাচ্ছে ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা

ষষ্ঠ শ্রেণিতে ফেল করা ছেলেটাই সামলাচ্ছে ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা


ষষ্ঠ শ্রেণিতে ফেল করা ছেলেটাই সামলাচ্ছে ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা!

বোর্ডের পরীক্ষা চলছে ভারতজুড়ে। কারও খুব ভাল পরীক্ষা হচ্ছে, তো কেউ আবার পরীক্ষা হল থেকে বেরিয়েই কাঁচুমাচু মুখ নিয়ে বাড়ি ফিরছে। আর সবচেয়ে ভয়ানক অবস্থা হবে ফলাফল প্রকাশের দিন। কারও বাড়ি মিষ্টির প্যাকেটে ভরে যাবে, আর কেউ খারাপ ফলাফলের জন্য হয়তো হতাশায় ডুবে যাবেন।
কিন্তু একটা পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়া মানেই জীবনে ব্যর্থ হওয়া নয়। আমাদের চারপাশেই এমন অনেকে রয়েছেন, যারা স্কুলের পরীক্ষায় একেবারেই ভাল ফল করে উঠতে পারেননি, কিন্তু আজ তারাই জীবনে প্রকৃত সাফল্য অর্জন করেছেন। ক্লাসে প্রথম হওয়া সেই সহপাঠীকেও অনেক পেছনে ফেলে এসেছেন।
এমন একজন হলেন ভারতীয় যুবক পিসি মোস্তফা। যিনি ভীষণ সাধারণ মানের পড়ুয়া ছিলেন স্কুলে। নিজের ইচ্ছাশক্তির জোরে এবং আত্মবিশ্বাসের উপর ভর করে আজ তাকে সারা দেশ চেনে।
কেরালার ওয়ানাডের এক প্রত্যন্ত এলাকায় তার জন্ম। পরিবারের কেউই পড়াশোনা করেননি। মোস্তাফাই পরিবারের প্রথম সন্তান যিনি স্কুলে ভর্তি হন। তবে দারিদ্র এবং সঠিক পরিবেশের অভাব তার পড়াশোনায় প্রথম থেকেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
ষষ্ঠ শ্রেণিতেই ফেল করে বসেন। তার পরিবারের যা অবস্থা ছিল, তাতে ফেল করা মানেই ভবিতব্য ছিল বাবা কোনো না কোনো কাজে তাকে লাগিয়ে দেবেন। তেমনটাই হয়েছিল। একটা ছোট কারখানায় দিনমজুরের কাজে লাগিয়ে দেন বাবা। সেই ছোট বয়সেই নিজের ভবিষ্যত্টা দেখে নিয়েছিলেন মোস্তাফা।
পড়াশোনা ছাড়া যে একটা ভাল জীবন পাওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব নয়, তা বেশ বুঝতে পেরেছিলেন। কিছু দিন কাজ করার পরই তিনি নিজেকে দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়ার মনোস্থির করেন। না, এবার আর থেমে থাকেননি। খুব মন দিয়ে পড়াশোনা করতে শুরু করেন।
স্কুল পাশ করে কালিকটের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ফেলেন। প্রথমে বেঙ্গালুরুর মোটোরোলা কোম্পানিতে কাজ পান তিনি। তারপর সেখান থেকে প্রমোশন পেয়ে ব্রিটেনে চলে যান কয়েক বছরের জন্য।
জীবনটা গুছিয়ে ফেলেছিলেন মোস্তাফা। বর্তমানও ঝকঝকে করে ফেলেছিলেন কঠোর পরিশ্রমে। কিন্তু তাতেও মন মানছিল না তার। কোনো ভাবে এটাকেই জীবনের সাফল্য ভেবে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারছিলেন না। তার উপর দেশের প্রতি টানটাও ভুলতে পারছিলেন না। আর বিদেশি খাবারও মুখে সই ছিল না।
কয়েক বছর পর বিদেশের পাঠ চুকিয়ে দেশে ফিরে আসেন মোস্তাফা। বেঙ্গালুরু থেকে এমবিএ করেন। তখনই নিজের ব্যবসা শুরু করার কথা মাথায় আসে তার। বেঙ্গালুরুর থিপাসানদ্রাতে তার আত্মীয়দের একটি দোকান ছিল। মাঝে মধ্যেই সেখানে বসে গল্পগুজবে কাটিয়ে দিতেন।
খুব অবাক হয়ে দেখতেন, প্রতিদিনই ইডলি এবং দোসার ব্যাটার মহিলারা দোকান থেকে কিনে নিয়ে যান। ইডলি-দোসার এই ব্যাটারের চাহিদাও প্রচুর। সে যত খারাপ মানেরই হোক না কেন, দোকানে রোজ শেষ হয়ে যেত সেগুলো। তা থেকেই প্যাকেজড ফুড ব্যবসার কথা মাথায় আসে তার।
প্রথমে মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। খুড়তুতো ভাইদের সঙ্গে মিলে ইডলি-দোসা বানানোর ব্যাটার তৈরির ব্যবসা শুরু করে দেন। একটা ছোট দোকান নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন প্রথমে। কিছু ব্যাটার বানিয়ে আশেপাশের মহিলাদের মধ্যে প্যাকেট করে বিতরণ করেন।
প্রথমে চালের গুঁড়া কিনে ব্যাটার বানাতে শুরু করেন। রাতারাতি হিট হয়ে যায় পরিকল্পনা। প্রথমে ব্যাটার খুব একটা ভাল না বানাতে পারলেও, যত দিন যায় আদর্শ ব্যাটার বানাতে শুরু করেন তারা।
২০০৮ সালে তারা ৫০ বর্গ ফুটের একটা ছোট রান্নাঘর ভাড়া নেন তিনি। সঙ্গে কেনেন একটা গ্রাইন্ডার। স্কুটারে করে ব্যাটারগুলো বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে শুরু করেন তারা। একটু জনপ্রিয় হলে কোম্পানির নাম দেন বেস্ট ফুড প্রাইভেট লিমিটেড। পরে নাম বদলে রাখেন আইডি স্পেশাল ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড।
২০১০ সাল নাগাদ তাদের ব্যবসা ৪ কোটি ছুঁয়ে ফেলে। ততদিনে ৪০ জন কর্মচারীও নিয়োগ করে ফেলেছেন মোস্তাফা। যদিও তখনও শুধুমাত্র বেঙ্গালুরুতেই এই ব্যাটার সরবরাহ করতেন তিনি।
এখন ৫০ কেজি ব্যাটার সরবরাহ করে তার কোম্পানি। সঙ্গে যোগ হয়েছে ৪০ হাজার চাপাটি, দু’লাখ পরোটা, দু’হাজার টমেটো এবং ধনেপাতার চাটনির প্যাকেট।
এই মুহূর্তে আটটি শহরে পৌঁছে গিয়েছে তার কোম্পানি। দেশে বেঙ্গালুরু, মাইসুরু, ম্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বাই, হায়দরাবাদ, পুণে এবং বিদেশে শারজাতেও রয়েছে তার সংস্থা। ডেলিভারির জন্য কোম্পানির নিজস্ব ২০০টা গাড়ি রয়েছে। কর্মচারীর সংখ্যা ৬৫০।
আর এখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে ফেল করা সেই ছেলেটার ব্যবসা কোথায় পৌঁছে গিয়েছে? ২০১৯-২০ সালে কোম্পানি ৩৫০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা টার্নওভার আশা করছে।

নিউইয়র্কে ৭ বাংলাদেশিসহ আক্রান্ত ৭২৯

নিউইয়র্কে ৭ বাংলাদেশিসহ আক্রান্ত ৭২৯

নিউইয়র্কে ৭ বাংলাদেশিসহ আক্রান্ত ৭২৯



করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় নিউইয়র্ক, কানেকটিকাট এবং নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের সকল পাবলিক স্কুলে ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি ৫০ জনের অধিক লোকসমাগমের বিরুদ্ধে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। 
নিউইয়র্ক সিটির স্কুলগুলো ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলেও অপর রাজ্যদ্বয়ে দুই সপ্তাহের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। একইসাথে এই ৩ রাজ্যে বেশ কয়েকটি সিটিতে কার্ফু জারি করা হয়েছে এবং রেস্টুরেন্ট, বার ও ক্লাবের ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক ক্রেতার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। 
নিউইয়র্ক সিটির থিয়েটার পাড়ায় গত শুক্রবার থেকেই তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এর ফলে টাইমস স্কোয়ারসহ চায়না টাউন ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে গত ৩ দিন থেকে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্ক সিটিতে ৫ জনের মৃত্যু এবং ৩২৯ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন ৭ জন। এতে দুই নারীও রয়েছেন। এসব পরিবারের দেড় ডজন সদস্যকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। 
নিউইয়র্ক সিটি সংলগ্ন লং আইল্যান্ডের এক ব্যক্তি (৫২) কয়েকদিন আগে হাসপাতালে ভর্তির পর ১৪ মার্চ তার ছোটভাইয়ের স্ত্রীকেও হাসপাতালে নেয়া হয়েছে একই কারণে। উভয়েরই পজিটিভ রেজাল্ট পাওয়ায় এই দুই পরিবারের শিশু সন্তানসহ সকলকেই কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
এর আগে, লং আইল্যান্ডের এক ব্যবসায়ী, নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনের এক নারী, ওজনপার্কের মধ্য বয়েসী আরেক ব্যক্তি এবং কুইন্সের এক ট্যাক্সি ড্রাইভারকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল হলেও বয়স এবং ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত থাকায় চিকিৎসকরা শংকামুক্ত হতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। 
এদিকে, সর্বশেষ সংবাদ অনুযায়ী নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ৭২৯ জন আক্রান্ত হবার তথ্য জানিয়েছেন রাজ্য গভর্ণর। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় যে কোন সময় পুরো এলাকায় কার্ফু জারির শংকায় সকলেই খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রি মজুদ করছেন। মুদির দোকানসহ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলো চাল, আটা, ডাল, তেল, মরিচ, লবন, টিস্যু পেপারসহ সকল পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে সকলেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে উচ্চমূল্যেই সবকিছু ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন। 
এদিকে, করোনার পরিপ্রেক্ষিতে অধিকাংশ অফিস-আদালতের কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরকে ঘরে বসে অনলাইনে কাজের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশেষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যেতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। লোকজনকে বাস, রেলসহ ভীড় হয় এমন পরিবহন পরিহারের আহবান জানিয়েছেন রাজ্য কর্তৃপক্ষ। 
উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্ত লোকজনকে কমপক্ষে দুই সপ্তাহের সবেতন ছুটি মঞ্জুর এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণের একটি বিল কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে গত শনিবার ভোর রাতে পাশ হয়েছে। অনুরূপ একটি বিল শীঘ্রই সিনেটে পাশ হবে বলে সকলে আশা করছেন। এরফলে স্বল্প আয়ের লোকজন এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা স্বস্তিবোধ করলেও আক্রান্তদের বেঁচে না থাকার শংকা পুরো কমিউনিটিকে আচ্ছন্ন করেছে। 
এদিকে, কমিউনিটির সকল সংগঠনের কার্যক্রম স্থবিরতায় আক্রান্ত হয়েছে। সবকিছু বাতিল করা হয়েছে। মসজিদ, মন্দির এবং গীর্জার পরিবর্তে ঘরেই নামাজ/উপাসনা/প্রার্থনার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। উল্লেখ্য, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর শতততম জন্মবার্ষিকীর দিন এবং পরবর্তী পুরো বছরে নিউইয়র্কসহ সারা আমেরিকায় শতাধিক কর্মসূচির প্রস্তুতি ছিল। সবকিছু স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। 

কুয়েতে বদলে গেছে আজান, বাড়িতেই নামাজ পড়ার আহ্বান

কুয়েতে বদলে গেছে আজান, বাড়িতেই নামাজ পড়ার আহ্বান

কুয়েতে বদলে গেছে আজান, বাড়িতেই নামাজ পড়ার আহ্বান
সংগৃহীত ছবি

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কুয়েতে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে এ ছুটি কার্যকর হয়েছে। দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, মসজিদে শুধু আজান হবে তবে মুসল্লিরা নামাজ পড়বেন যার যার বাসায়।
ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে শোনা যায়, আজানে ‘হাইয়া আ'লাস সালাহ’ (নামাজে জন্য আসো) এর পরিবর্তে মুয়াজ্জিন বলছেন ‘আস্সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’। অর্থাৎ ‘নামাজ বাড়িতে (পড়ুন)।’
মুয়াজ্জিন আজানে মধ্যে ‘আস্সলাতু ফি বুয়ুতিকুম’ বলার পর যথারীতি ‘আল্লাহ আকবর, আল্লাহ আকবর’ এবং ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলে আজান শেষ করেন।
তুরস্কের আনাদুলো এজেন্সির খবরে জানা যায়, নামাজ পড়তে মসজিদগুলোতে যাতে কেউ না যান সেজন্য আজানের মধ্যে অপরিচিত এ শব্দটি প্রচার করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো কোনো মসজিদে আজানের শুরু বা শেষে বিষয়টি বলে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেক মসজিদে ‘হাইয়া আলাস সালাহ’র পরিবর্তে ‘আস্সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’ কথাটি বলা হচ্ছে।
কুয়েতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।