মহাকাশে উপনিবেশ স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে চীন
এরপরে ঘাঁটিটি বিকাশের জন্য একটি মানববাহী মঙ্গল মিশন হবে, যখন তৃতীয় পর্যায়ে গ্রহে একটি সম্প্রদায় নির্মাণের জন্য পৃথিবী থেকে মঙ্গলগ্রহে পণ্যবাহী বহর পরিবহন করা হবে। সম্ভাব্য চতুর্থ পর্যায়ে একটি ‘আকাশের মই’ তৈরি করা হবে, যা মঙ্গলগ্রহে ভ্রমণে ব্যয় এবং সময় কমাবে।
এদিকে, গ্লোবাল স্পেস এক্সপ্লোরেশন কনফারেন্সে রাষ্ট্রায়ত্ত চায়না একাডেমি অব লঞ্চ ভেহিকল টেকনোলজির (সিএএলটি) প্রধান ওয়াং জিয়াওজুন বলেন, তিন ধাপের পরিকল্পনার প্রথমটিতে মঙ্গলগ্রহের নমুনা নিতে এবং মঙ্গলগ্রহের বেস সাইটের অবস্থান খুঁজতে উৎক্ষেপণ করা অ্যান্ড্রয়েডগুলি জড়িত।১৮৯৫ সাল থেকে রাশিয়ার মহাকাশ অগ্রগামী কনস্টান্টিন সিওলকোভস্কির চিন্তা থেকেই মানুষ ‘স্কাই ল্যাডার’ বা সংশ্লিষ্ট স্পেস এলিভেটরের ধারণা নিয়ে ভাবছে। যদি সত্যিই স্কাই ল্যাডার বা আকাশের মই আবিষ্কার করা সম্ভব হয়, তবে মহাকাশে ভ্রমণের ব্যয় ৯৯ শতাংশেরও বেশি কমে যাবে।শুধু মঙ্গলগ্রহ নয়, অন্যান্য গ্রহাণুর দিকেও দৃষ্টি রেখেছে চীন। পাশাপাশি আরও গবেষণার জন্য বৃহস্পতি গ্রহের দিকেও আছে তাদের নজর।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, নাসা এবং স্পেসএক্স মঙ্গল অভিযানের জন্য মহাকাশযান তৈরি করছে। নাসা অবশেষে তার প্রথম মহাকাশ উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা (এসএলএস) একত্রিত করেছে, এটি একটি বিশাল রকেট যা মানুষকে আরও একবার চাঁদ, মঙ্গল এবং বৃহস্পতি নিয়ে যাবে।