শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১২

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যানোনিমাস

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যানোনিমাস

ইসরায়েলি ওয়েবসাইটের ওপর সিরিজ সাইবার আক্রমণ চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক হ্যাকার সংগঠন অ্যানোনিমাস। অ্যানোনিমাসের সাইবার আক্রমণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক ইসরায়েলি ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলোর হোম পেইজে শোভা পাচ্ছে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে লেখা মেসেজ। খবর বিবিসির।

গাজায় ইসরায়েলের হামলার উত্তরে দেশটির বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করেছে হ্যকারদের সংগঠনটি। অ্যানোনিমাস জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজাড টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেবার হুমকি দিলে ‘অপইসরায়েল ক্যাম্পেইন’ অভিযান শুরু করে তারা।

আরোনরিলেশনস ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতি অ্যানোনিমাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা অ্যানোনিমাস এবং আমাদের চোখের সামনে কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করে দিতে পারবে না।’

ওই বিবৃতিতে ইসরায়েল গাজার ওপর আক্রমণ বন্ধ না করলে এবং টেলিকমিউনিশেন ব্যবস্থা বন্ধ করে দিলে ফলাফল ভালো হবে না বলে হুশিয়ার করে দেয় অ্যানোনিমাস। অন্যথায় ইসরায়েল অ্যানোনিমাস সদস্যদের রোষের মুখে পড়বে বলে জানিয়েছে তারা।

ওই বিবৃতিটি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অ্যানোনিমাস ৮৭টি ইসরায়েলি ওয়েবসাইটের নাম প্রকাশ করে। এর মধ্যে অনেকগুলো ওয়েবসাইটের হোম পেইজ পাল্টে সেখানে ফিলিস্তিন এবং হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে লেখা মেসেজ পোস্ট করে অ্যানোনিমাস হ্যাকাররা।

একই সময়ে গাজার টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থা এবং ইন্টারনেট অচল হয়ে পড়লে যোগাযোগের জন্য একাধিক বিকল্প মাধ্যমও বাতলে দিয়েছে অ্যানোনিমাস।

হ্যাকারদের আক্রমণে ইসরায়েলি উপ প্রধানমন্ত্রী

হ্যাকারদের আক্রমণে ইসরায়েলি উপ প্রধানমন্ত্রী

হ্যাক হয়েছে ইসরায়েলি উপ প্রধানমন্ত্রী সিলভান শালোমের ফেইসবুক, টুইটার এবং ইমেইল অ্যাকাউন্ট। ইসরায়েলি উপ প্রধানমন্ত্রীর সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এবং ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার দায় স্বীকার করে নিয়েছে হ্যাকারদের সংগঠন ‘জিকোম্পানি হ্যাকিং ক্রু’ (জেডএইচসি)। গাজায় সামরিক হামলার প্রতিবাদ হিসেবে ইসরায়েলি উপ প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছে হ্যাকারদের সংগঠনটি। খবর বিবিসির।

জেডএইচসি জানিয়েছে, খুব শিগগিরই শালোমের ইমেইল অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক ইমেইলগুলো ইন্টারনেটে ফাঁস করে দেবে তারা।

হ্যাক হবার পর টানা কয়েক ঘণ্টা উপ প্রধানমন্ত্রী শালোমের টুইটার এবং ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে হ্যাকারদের ফিলিস্তিন ও গাজাকে সমর্থন জানিয়ে লেখা একাধিক পোস্ট শোভা পায়। শালোমের ফেইসবুক পেইজে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ শ্লোগান লেখা ছবিও পোস্ট করে তারা। পরে পেইজটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

গাজায় সামরিক হামলা শুরু করার পর একের পর এক সাইবার আক্রমণের শিকার হচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেবার হুমকির পর সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর কাছে অনলাইন বিভীষিকা হয়ে দাঁড়ানো হ্যাকারদের সংগঠন অ্যানোনিমাসের রোষের মুখে পড়ে ইসরায়েল। অ্যানোনিমাস আক্রমণে বন্ধ হয়ে যায় ইসরায়েল সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট। বন্ধ হয়ে যাওয়া ওয়েবসাইটের তালিকায় ছিলো ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটও।

সর্বশেষ দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী সিলভান শালোমের ওপর সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে ইসরায়েল বিরোধী সাইবার যুদ্ধে যোগ দিলো জেডএইচসি।

অ্যান্ড্রয়েডের ডিসেম্বর বিভ্রাট দূর হচ্ছে

অ্যান্ড্রয়েডের ডিসেম্বর বিভ্রাট দূর হচ্ছে

গুগলের স্মাটফোন ও ট্যাবলেট ডিভাইসের জন্য অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের কনটাক্ট বিষয়ে তথ্য রাখার জন্য তৈরি ‘পিপল অ্যাপ’ ত্রুটির জন্য তাতে ডিসেম্বর মাসের তথ্য রাখা যাচ্ছিলো না। শীঘ্রই এ সমস্যা থাকবে না বলে গুগল জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও সিনেট-এর।

অ্যান্ড্রয়েডের এ বাগের ফলে নভেম্বর থেকে সরাসরি ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে চলে যাচ্ছিলো এন্ট্রিগুলো। তবে অন্য ডিভাইসগুলো এ সমস্যার কারণে প্রভাবিত হবে না এবং এ সমস্যা দূর করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগল। অক্টোবরে অ্যান্ড্রয়েডের ৪.২ ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেমটি যাত্রা শুরু করে।

বিবিসি জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কনটাক্ট তথ্য রাখার পিপল অ্যাপস-এ ক্রুটি রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড সংবাদ মাধ্যম অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ ওয়েব সাইটে ডিভাইসটির কিছু ত্রুটির কথা প্রকাশ করা হয়। পকেট লিন্ট বার্তা মাধ্যমের টেকনোলজি এডিটর স্টুয়ার্ট মাইলস জানান, এ সমস্যা দূর করতে গুগল সিস্টেমটি দ্রুত আপডেট করবে।

বেলুনে বাড়ি বেঁধে আটলান্টিক পার

বেলুনে বাড়ি বেঁধে আটলান্টিক পার

ডিজনি মুভি ‘আপ’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে হিলিয়াম বেলুনের সঙ্গে নিজের বাড়িটি বেঁধে নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেবেন ৩৮ বছর বয়সি অ্যাডভেঞ্চার পাগল মার্কিন নাগরিক জোনাথান ট্র্যাপি। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর।

মেক্সিকোর লিওন ইন্টারন্যাশনাল বেলুন ফেস্টিভালে হিলিয়াম বেলুনের সঙ্গে বাঁধা বাড়িটি নিয়ে প্রথমবারের মতো আকাশে ওড়েন ট্র্যাপি। আগামী বছরের গ্রীষ্মে বেলুনে বাঁধা বাড়ি নিয়ে আটলান্টিক সাগরের ওপর দিয়ে আড়াই হাজার মাইল পাড়ি দেবার লক্ষ্য রয়েছে তার।

২০১০ সাল সালে হিলিয়াম বেলুনে চড়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান ট্র্যাপি।

নিজের বেলুন অভিযান নিয়ে ট্র্যাপি বলেন, ‘এর আগে আমি যতোবার আকাশে উড়েছি, তার প্রতিবারই ছিলো এই একটি অভিযানের প্রস্তুতি। পুরো ব্যাপারটার উদ্দেশ্য হচ্ছে এক্সাইটিং জীবন যাপন করা। যাতে একদিন আমরা পেছনে তাকিয়ে বলতে পারি, মানবজাতি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে।

আইনস্টাইনের বুদ্ধিমত্তার রহস্য সমাধানে নতুন সূত্র!

আইনস্টাইনের বুদ্ধিমত্তার রহস্য সমাধানে নতুন সূত্র!

আলবার্ট আইনস্টাইনের বুদ্ধিমত্তার রহস্য সমাধানে অনেকদিন ধরেই লেগে আছেন বিজ্ঞানীরা। নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীর মস্তিষ্কের কিছু সাম্প্রতিক ছবি সেই রহস্য সমাধানে বিজ্ঞানীদের দিচ্ছে নতুন সূত্র। ওই ছবিগুলোতে বেরিয়ে এসেছে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ভাঁজে অদ্ভুত কিছু ভিন্নতা, যা উত্তর দিতে পারে অনেক প্রশ্নের। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

ছবিগুলোতে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারে বাড়তি ভাঁজ আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেন, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের সামনের দিকটায় মস্তিষ্কের ভাঁজগুলো ছিলো অনেক বিস্তারিত এবং সূক্ষ্ম। একজন মানুষের চিন্তা-ভাবনা, পরিকল্পনা এর সবই হয়ে থাকে মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারে।

বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় দেখেন, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের সেরিব্রাল করটেক্সের পুরোটা জুড়েই ছিলো অস্বাভাবিক ভাঁজ। মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক থাকার কথা বিজ্ঞানীরা বলছেন অনেকদিন ধরেই। প্রচলিত তত্ত্বমতে, গ্রে ম্যাটারের ঘনত্ব যতো বেশি হবে, ততোই বেশি হবে একজন মানুষের বুদ্ধিমত্তা।

আইনস্টাইনকে বলা চলে ২০ শতকের সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের একজন। ১৯৫৫ সালে ৭৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি। ময়নাতদন্তের সময় আইনস্টাইনের মস্তিষ্কটি আলাদা করে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন প্যালোলজিস্ট থমাস হার্ভে।

আইনস্টাইনের মস্তিষ্কটি কেটে কয়েকশ’ মাইক্রোস্কোপিক স্লাইডে ভাগ করেন হার্ভে। এছাড়াও বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ১৪টি ছবি তুলে রেখেছিলেন তিনি।

মাইক্রোস্কোপিক স্লাইডগুলো গবেষকদের হাতে তুলে দিলেও, আইনস্টাইনকে নিয়ে বই লেখার জন্য ছবিগুলো নিজের কাছ লুকিয়ে রেখেছিলেন হার্ভে। কিন্তু বইটি লেখা শেষ করার আগেই মারা যান হার্ভে। ২০১০ সালে হার্ভের পরিবার ওই ছবিগুলো দান করেন ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিসিনে।

'আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক' তৈরিতে আরেকটি ধাপ

আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক' তৈরিতে আরেকটি ধাপ

ব্যয়বহুল অপটিকাল ফাইবার লিঙ্ক ব্যবহার না করেই কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে টেলিকম নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা বাড়ানোর নতুন এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন গবেষকরা। যুক্তরাজ্যে অবস্থিত তোশিবার ইউরোপিয়ান রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীর তৈরি এই প্রযুক্তি ‘আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক’ তৈরির গবেষণাকে এগিয়ে নিলো আরেকটি ধাপ। খবর রয়টার্স-এর।

কোয়ান্টাম থিওরি ব্যবহার ডেটা আনক্র্যাকেবল কোডে রুপান্তর করে কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি। বিশ্বের প্রযুক্তিগত দিক থেকে অগ্রসর দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থা এবং সেনাবাহিনী এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে বলে ধারণা করা হয়।

তবে এনক্রিপ্টেড কোড ভেঙ্গে ডেটা উদ্ধার করতে ফোটন বা আলোর ক্ষুদ্র কণার মাধ্যমে কোয়ান্টাম কি আদান-প্রদান করতে প্রয়োজন পড়তো সম্পূর্ণ আলাদা একটি অপটিকাল ফাইবার। এর ফলে ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায় এই প্রযুক্তি।

সম্প্রতি একই অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কোয়ান্টাম কি এবং ডেটা আদান প্রদানের প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন তোশিবার বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু শিল্ড।

বিজ্ঞানীদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে, ১ মাইক্রোসেকেন্ডের ১০ কোটি ভাগের একভাগ সময়ের মধ্যে এনক্রিপ্টেড কি বাহি ফোটনটি শনাক্ত করতে সক্ষম ডিটেক্টর তৈরি করা।

তোশিবা বিজ্ঞানীদের তৈরি নতুন প্রযুক্তিতে ৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে একটি অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করে ডেটা পাঠানো এবং গ্রহণ করা যাবে। বিজ্ঞানী দলের সদস্য ঝিলিয়ান ইউয়ার রয়টার্সকে জানান, নতুন প্রযুক্তিটি মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা করে দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা হবে এই প্রযুক্তি।

পৃথিবীর আরো কাছে আসছে গ্র্যাভিটি ম্যাপার

পৃথিবীর আরো কাছে আসছে গ্র্যাভিটি ম্যাপার

ক্রমান্বয়ে পৃথিবীর আরো কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে ইউরোপিয়ান সায়েন্স এজেন্সি (ইএসএ)-এর তৈরি আল্ট্রা-লো-ফ্লাইং গ্র্যাভিটি ম্যাপিং স্যাটেলাইট ‘গোসে’ (Goce)। তীরের মতো দেখতে স্পেসক্রাফটি মিশনের বড় একটা সময় কাটিয়েছে মাটি থেকে ২৫৫ কিলোমিটার উপরের বয়ুমণ্ডলে, যা অন্যান্য স্যাটেলাইটের তুলনায় ৫০০ কিলোমিটার নিচে। খবর বিবিসির।

গোসে গ্র্যাভিটি ম্যাপার স্যাটেলাইটের মূল কাজ হচ্ছে, পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরে পৃথিবীর সব জায়গার মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ম্যাপ তৈরি করা এবং সাগরের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে পরিবেশ পরিবর্তন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা।

স্থান বিভেদে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ক্ষুদ্রতম পার্থক্য ধরতে পারে গোসে স্যাটেলাইটের গ্র্যাডিওমিটার। তবে স্যাটেলাইট থেকে আরো বিস্তারিত তথ্য পাবার লক্ষ্যে গোসেকে ২৫৫ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে নামিয়ে ২৩৫ কিলোমিটারে আনছেন বিজ্ঞানীরা।

অগাস্ট মাস থেকে প্রতিদিন গোসের ওড়ার উচ্চতা ৩০০ মিটার কমিয়ে আনছেন বিজ্ঞানীরা। এ হারে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে স্যাটেলাইটটি ২৩৫ কিলোমিটার উচ্চতায় নেমে আসবে বলে আশা করছেন তারা।

তবে এতো কম উচ্চতায় ওড়ার কারণে নানা ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে স্যাটেলাইটটিকে। ঝড়োবাতাস বা খারাপ আবহাওয়ার কারনে নিজের কক্ষপথ থেকে সরে আসতে পারে স্যাটেলাইটটি। আর কোনো কারণে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্যাটেলাইটটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে, দু’দিনের মধ্যেই যদি নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পাওয়া গেলে তৃতীয় দিনেই পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে স্যাটেলাইটটি।

তবে এখন কক্ষপথে টানা ৫০ সপ্তাহ ওড়ার মতো যথেষ্ট জ্বালানী রয়েছে গোসে স্যাটেলাইটটির। জ্বালানী শেষ হয়ে গেলে বায়ুমণ্ডলে এনে স্যাটেলাইটটি ধ্বংস করে দেবন বিজ্ঞানীরা। তবে তার আগেই হাতে চলে আসবে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নিয়ে অতি প্রয়োজনীয় তথ্য।

ব্রাউজারে চোখ রেখে দেখুন মহাবিশ্ব

ব্রাউজারে চোখ রেখে দেখুন মহাবিশ্ব

গুগল ক্রোম ব্রাউজারে চোখ রেখেই এখন ঘুরে আসা যাবে মহাবিশ্বের অনেকটা। গুগল আর্থের মূল ভাবনা অবলম্বেনে তৈরি গুগল গ্যালাক্সিতে দেখা যাবে মিল্কি ওয়ে আর অগনিত গ্রহ নক্ষত্র। খবর সিনেট-এর।

গুগলের পরীক্ষামূলক ওয়েবপেইজ গুগল গ্যালাক্সি ব্যবহার করে যে কোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্রাউজার থেকেই ঘুরে দেখতে পারবেন অজানা মহাকাশ। আর নক্ষত্রপুঞ্জে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হবার আগেই আপনি উপলব্ধি করবেন আমাদের সৌরজগৎটি আদতে মহাবিশ্বর কাছে কতোটা ক্ষুদ্র।

গুগল জানিয়েছে, মহাকাশ নিয়ে উৎসাহি প্রোগ্রামার আর সফটওয়্যার ডিজাইনাররা মিলে ওয়েবজিএল, সিএএসথ্রিডি এবং ওয়েবঅডিও সফটওয়্যার ব্যবহার করে দাঁড় করিয়েছেন গুগল গ্যালাক্সি।

গুগল গ্যালাক্সিতে সফটওয়্যার ডিজাইনার ব্যবহার করেছেন নাসা, ইএসএ এবং উইকিপিডিয়ার আঁকিয়েদের তৈরি ছবিগুলো। আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজকের কাজটি করেছেন ভিডিও গেইমসের মিউজিক কম্পোজার স্যাম হিউলিক।


গুলি থামাবে সুপার ম্যাটিরিয়াল

গুলি থামাবে সুপার ম্যাটিরিয়াল

প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসা গুলিকে পুরোপুরি থামিয়ে দেবার মতো শক্তিশালী ‘সুপার ম্যাটিরিয়াল’ বানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এই সুপার ম্যাটিরিয়াল যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো দৃঢ় করবে বলে আশা করছেন তারা। খবর ইয়াহুর।

সুপার ম্যাটিরিয়াল নিয়ে গবেষণা করছেন রাইস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী টমাস, জে হং লি এবং একদল এমআইটি শিক্ষার্থী। আইনশৃক্সখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য এবং সৈনিকদের জন্য প্রথাগত বর্মের তুলনায় হালকা এবং আরো কার্যকর বর্ম তৈরির চেষ্টা করছেন তারা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সৈনিকদের পাশাপাশি স্যাটেলাইট এবং প্লেনে মতো দুর্বল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসম্পন্ন যানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে এই সুপার ম্যাটিরিয়াল দিয়ে।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন পলিইউরিথিন নামের জটিল এক পদার্থ নিয়ে। বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় আবিষ্কার করেন, প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসা ৯ মিলিমিটার বুলেটকেও থামিয়ে দিচ্ছে পলিইউরিথিন। শুধু তাই নয়, গুলিটি আঘাত হানার পর বর্মে যে ক্ষতের সৃষ্টি হচ্ছে নিজে থেকেই গলে গিয়ে সেই ক্ষত সাড়িয়ে নিচ্ছে এই আজব পদার্থ।

বিজ্ঞানী টমাস এই পরীক্ষা নিয়ে বলেন, ‘ম্যাটিরিয়ালটিতে কোনো মাইক্রোস্কোপিক ক্ষতি পর্যন্ত হয়নি। এটি ছিড়ে যায় নি, এটি পুরোপুরি সফল।

স্টিফেন হকিংয়ের জন্য ইনটেলের ৬০-কোর প্রসেসর

স্টিফেন হকিংয়ের জন্য ইনটেলের ৬০-কোর প্রসেসর

জিওন সিপিইউতে ব্যবহারের জন্য তৈরি ৬০-কোরের প্রসেসর বিক্রি শুরু করেছে চিপ জায়ান্ট ইনটেল। তবে ৬০ কোরের প্রসেসর ‘ফি’ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন ইনটেলের নির্বাচিত ক্রেতারা। আর ওই নির্বাচিত ক্রেতাদের তালিকার প্রথমেই আছেন প্রফেসর স্টিফেন হকিং। খবর সিনেট-এর।

২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যাবে ইনটেলের ৬০-কোরের ‘ফি’ প্রসেসর। তবে প্রথাগত সিপিইউ-এর সঙ্গে খুব একটা মিল নেই এর, বরং গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট বা জিপিইউ-এর সঙ্গেই মিল বেশি। জিওন সিপিইউ-এর সঙ্গে যুক্ত করেই ব্যবহার করতে হবে ‘ফি’।

প্রাথমিক অবস্থায় ‘ফি’ ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন প্রফেসর স্টিফেন হকিং এবং কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির মতো শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো। ইনটেল জানিয়েছে, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির কসমস ল্যাবের এসজিআই সুপার কম্পিউটারে গবেষণার কাজে ‘ফি’ প্রসেসর ব্যবহার করবেন হকিং।

প্রফেসর হকিং এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এসজিআই ইউভি ২০০০ সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে নতুন আবিষ্কারে মনোযোগ দিতে পারবো আমরা। যা মহাবিশ্বের রহস্য উদঘাটনে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের।’

স্পেশালাইজড কম্পিউটিং টাস্ক-এর ক্ষেত্রে ফি প্রসেসরের সঙ্গে তুলনা করলে কোনোভাবেই ধোপে টিকবে না সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য বানানো ইনটেল প্রসেসরগুলো। প্রফেসর হকিং আর কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি বাদে এখনই ফি প্রসেসর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে টেক্সাস অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং সেন্টারের মতো হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি বাজারে আসার কথা রয়েছে জিয়োন ফি কোপ্রসেসরের। ৬০ কোরের প্রসেসরটির দাম হতে পারে ২৬৪৯ ডলার।

হৃৎপিণ্ডের কোষে চলছে বায়োলজিকাল রোবট

হৃৎপিণ্ডের কোষে চলছে বায়োলজিকাল রোবট

ছোট ইঁদুরের হৃৎপিণ্ডের কোষ থেকে পাওয়া শক্তিতে চলছে বায়োলজিকাল রোবট বা বায়ো-বট। বায়ো-বটগুলো তৈরি করা হয়েছে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে এবং প্রতিস্থাপন করা হয়েছে হৃৎপিণ্ডের জীবন্ত কোষ। আর হৃৎপিণ্ডের কোষগুলোর ক্রমাগত সংকোচন আর প্রসারণেই সামনে এগিয়ে যায় বায়ো-বট। খবর বিবিসির।

ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়িসের বিজ্ঞানীদের বানানো ৭ মিলিমিটারের বায়ো-বটগুলোর গঠনের একটি অংশের সঙ্গে মিল রয়েছে সুইমিং পুলের ডাইভিং বোর্ডের সঙ্গে। ডাইভিং বোর্ডের মতো লম্বা অংশটি আদতে বায়ো-বটগুলোর একমাত্র পা।

থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে হাইড্রোজেল ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেন ডাইভিং বোর্ডের মতো পা-টি। হাইড্রোজেল হচ্ছে এক ধরণের বিশেষ জৈবিক পদার্থ, যা ব্যবহার করা হয় টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজে।

ডাইভিং বোর্ডের মতো পায়ের নিচের অংশে প্রলেপ দেয়া হয় ইদুঁরদের হৃৎপিণ্ড থেকে সংগ্রহ করা জীবন্ত কোষ দিয়ে। হৃৎপিণ্ডের কোষগুলো যখন বারবার সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়, তখন ডাইভিং বোর্ডের মতো অংশটি আবার প্রসারিত হয়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এভাবে ডাইভিং বোর্ডের মতো পা-টি লিভার হিসেবে কাজ করায় সামনে দিকে এগোতে থাকে বায়ো-বট। বায়ো-বটগুলোর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ৪ সেকেন্ডে ১ মিলিমিটার।

বায়ো-বট প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইলনয়িসের বিজ্ঞানী প্রফেসর রাশিদ বশির বলেন, ‘পরিবেশ পুনরুদ্ধারের কাজে সেন্সর হিসেবে কাজ করতে পারবে বায়ো-বটগুলো। আমাদের লক্ষ হচ্ছে রোবটগুলোকে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ চিহ্নিত করতে সক্ষম করে তোলা, যাতে রোবটগুলো নিজে নিজেই ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ চিহ্নিত করে তা নিষ্ক্রিয় করতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং পরিবেশ রক্ষায় কাজে আসতে পারে রোবটগুলো।’

হৃৎকোষ ছাড়াও শরীরের অন্যান্য অংশের জীবন্ত কোষ ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়া বায়ো-বটগুলোর আকার-আকৃতি নিয়ে গবেষণা করে সবচেয়ে কার্যকর আকারটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তারা।

ব্রেইন ওয়েভ থেকে মিউজিক

ব্রেইন ওয়েভ থেকে মিউজিক

চিন্তা করার সময় মস্তিষ্কে যদি আওয়াজ হতো তবে তা কেমন শোনাতো? এ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। মানব মস্তিষ্কের তরঙ্গগুলোকে ভাষান্তর করে তৈরি করেছেন ব্রেইন মিউজিক। খবর লাইভ সায়েন্স-এর।

বেইন ওয়েভ থেকে ব্রেইন মিউজক বানাতে গবেষণার কাজটি করেন, চীনের ইউনিভার্সিটি অফ ইলেকট্রনিক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বিজ্ঞানী জিং হু। জিং হু এবং তার সহকর্মীরা প্রথমে ইলেকট্রোয়েনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) ব্যবহার করে মস্তিষ্কের ইলেকট্রিকাল অ্যাকটিভিটি রেকর্ড করেন। তারপর বিশষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে ওই ইলেকট্রিকাল সিগনালগুলোকে রূপান্তর করেন মিউজিকাল নোটে।

তবে ইইজি থেকে পাওয়া ব্রেইন মিউজিক এতোটাই কর্কশ শোনাতো যে একরকম শোনার অযোগ্যই ছিলো সেটি। এই সমস্যা সমাধানে এমআরআই ব্যবহারের স্বিদ্ধান্ত নেন বিজ্ঞানীরা। এফএমআরআই এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ নির্ণয় করেন তারা। এরপর ইইজি আর এফএমআরআই থেকে পাওয়া ডেটা এক করে বিজ্ঞানীরা দাঁড় করিয়ে ফেলেন ‘শ্রবনযোগ্য’ ব্রেইন মিউজিক।

বিজ্ঞানীরা জানান, ইইজি আর এফএমআরআইয়ের ডেটা থেকে তৈরি ব্রেইন মিউজক শোনার পর ১০ জন পেশাদার সংগীত শিল্পর মন্তব্য, একজন মানুষের কম্পোজ করা সংগীতের সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে ব্রেইন মিউজিকের।

গবেষকরা আশা করছেন, বিজ্ঞান এবং শিল্পের সমন্বয় ঘটানোর মধ্য দিয়ে ব্রেইন মিউজিক ব্যবহার করেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে মস্তিষ্কের তরঙ্গগুলো। এর ফলে মোকাবেলা করা যাবে উদ্বেগ ও বিষন্নতা।

সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১২

গগলসে জিপিএস-ব্লুটুথ

গগলসে জিপিএস-ব্লুটুথ

ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক স্পোর্টস ইকুইপমেন্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওকলির তৈরি নতুন এয়ারওয়েভ স্নো গগলসে থাকবে নিজের অবস্থান নির্ণয় করার জন্য গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) সুবিধা। শুধু তাই নয়, ব্লুটুথ, মিউজিক কন্ট্রোলার আর টেক্সট মেসেজ সুবিধার সবই থাকবে গগলটির হেডস-আপ ডিসপ্লেতে। খবর গিজম্যাগ-এর।

গগলসটির মূল ফিচার হচ্ছে এর ‘হেডস-আপ ডিসপ্লে’। তুষার ঢাকা পর্বতে স্নো বোর্ডিংয়ের সময় চোখের আড়ালেই থাকবে ডিসপ্লেটি। মাঝে থেমে একটি মিনিয়েচার প্রিজম লেন্সে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলেই সামনে চলে আসবে ডিসপ্লেটি এবং জানিয়ে দেবে ব্যবহারকারীর স্ট্যাটাস আপডেট। আর ৩৫ দশমিক ৫ সেন্টিমিটারের ডিসপ্লেটি যখন সামনে চলে আসবে তখন মনে হবে স্ক্রিনটি যেন ১ দশমিক ৫ মিটার দূরে রয়েছে স্নোবোর্ডার বা স্কিয়ারের কাছ থেকে।

গগলসটির জিপিএস ব্যবহার করে ব্যবহারকারী জেনে নিতে পারবেন তার অবস্থানগত তথ্য। এছাড়াও কতো উপর থেকে তুষারে লাফিয়ে পড়েছেন বা কতোটা দূরত্ব পাড়ি দিয়েছেন, এর সব তথ্যের যোগান দেবে গগলসটি।

এছাড়াও তাপমাত্রা, গতি ও উচ্চতার মতো প্রয়োজনীয় তথ্যের যোগান দেবে গগলসটি। আর গগলসটির ব্লুটুথ ব্যবহার করে স্মার্টফোনটি পকেট থেকে বের না করেই দেখা যাবে ইনকামিং কল, পড়া যাবে এসএমএস। আর প্রয়োজনের সময় স্নো গগলসটির লেন্সও পরিবর্তন করা যাবে দ্রুত।

৪২ আলোকবর্ষ দূরে 'সুপার-আর্থ'!

৪২ আলোকবর্ষ দূরে 'সুপার-আর্থ'!

দ্বিতীয় পৃথিবীর খোঁজে চালানো গবেষণায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে ৪২ আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র ‘এইচডি ৪০৩০৭’ ঘিরে ঘুরতে থাকা গ্রহগুলো নক্ষত্রটির এতোই কাছে যে, জীবনধারণের উপযোগী হতে পারে গ্রহগুলো। খবর বিবিসির।

‘এইচডি ৪০৩০৭’ নক্ষত্রটি ঘিরে ঘুরতে থাকা তিনটি গ্রহ আগেই আবিষ্কার করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ওই নক্ষত্রটিকে আবর্তনকারী আরো তিনটি গ্রহ আবিষ্কার করেছেন তারা। আর ওই তিন গ্রহেই থাকতে পারে তরল জল। তবে আমাদের সূর্যের তুলনায় আকারে ছোট ‘এইচডি ৪০৩০৭’ নক্ষত্রটি।

চিলিতে অবস্থিত ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরির লা সিলা ফ্যাসিলিট হার্প ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যবহার করে ‘এইচডি ৪০৩০৭’ এবং এর চাপাশে ঘুরতে থাকা ছয়টি গ্রহ আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা।

‘এইচডি ৪০৩০৭’ নক্ষত্র ঘিরে ঘুরতে থাকা গ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দূরের গ্রহের নাম ‘এইচডি ৪০৩০৭জি’। পৃথিবীর হিসেবে মাত্র ২০০ দিনে নক্ষত্রটিতে অতিক্রম করে গ্রহটি। পৃথিবীর তুলনায় সাতগুণ বেশি ভর ‘এইচডি ৪০৩০৭জি’র।

‘এইচডি ৪০৩০৭’ নক্ষত্রটির গ্রহগুলো আবিষ্কারের ফলে আরো বড়ো হলো ‘সুপার-আর্থ’ খ্যাত এক্সোপ্লানেট গ্রহগুলোর তালিকা। এর আবিষ্কারক বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে মহাকাশে স্থাপিত টেলিস্কোপ ব্যবহার করে গ্রহগুলোর গঠন নিয়ে আরো বিস্তারিত গবেষণা করা

বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১২

প্রথম দেখাতেই ভালো লাগার ব্যাখা দিলেন বিজ্ঞানীরা

প্রথম দেখাতেই ভালো লাগার ব্যাখা দিলেন বিজ্ঞানীরা

প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যাবার পুরো ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করলেন বিজ্ঞানীরা। বিপরীত লিঙ্গের কাউকে প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যাওয়ার পেছনের মূল ‘কালপ্রিট’ মস্তিষ্কেরই একটা অংশ। আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, এজন্য দায়ী, মস্তিষ্কের সামনের দিকে অবস্থিত মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল করটেক্স। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

নতুন মুখ দেখার কয়েক মিলিসেকেন্ডের মধ্যে ওই ব্যক্তিটি ‘মিস্টার বা মি রাইট’ কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল করটেক্সের কয়েকটি অংশ। পছন্দের মানুষটির খোঁজে মস্তিষ্কের এই চমকপ্রদ ভূমিকার ব্যাপারটি আবিষ্কার করেছেন আইরিশ বিজ্ঞানীরা।

গবেষণার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের ৭৮ জন নারী এবং ৭৩ জন পুরুষ শিক্ষার্থীকে নিয়োগ করেন বিজ্ঞানীরা। তাদের নিয়ে বিজ্ঞানীরা আয়োজন করেন এক স্পিড-ডেটিং ইভেন্ট। ওই ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীরা পাঁচ মিনিট করে সময় কাটান বিপরীত লিঙ্গের প্রত্যেক ব্যক্তির সঙ্গে।

আর ইভেন্টটির আগে ৩৯ জন অংশগ্রহনকারীর ব্রেইন স্ক্যান করে ফাংশনাল এমআরআই (এফএমআইরআই) মেশিন দিয়ে মস্তিষ্কের ছবি তোলেন বিজ্ঞানীরা। এফএমআরআই মেশিন দিয়ে ছবি তোলার সময় স্বেচ্ছাসেবকদের বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের ছবি দেখিয়ে কাদের সঙ্গে ডেটে যেতে ইচ্ছুক, তা চিহ্নিত করতে বলেন বিজ্ঞানীরা।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, এফএমআরআইয়ে পরীক্ষায় নেয়া স্বেচ্ছাসেবকরা ছবি দেখে যাদের পছন্দ করেছিলেন, স্পিড ডেটিং ইভেন্টে তাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ ব্যক্তিকে পছন্দ করেন।

পছন্দের মানুষকে চিহ্নিত করার সঙ্গে মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল করটেক্সের একটি বিশেষ অঞ্চল প্যারাসিঙ্গুলেট করটেক্সের সম্পর্ক খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। ছবির মানুষটিকে দেখে পছন্দ হলেও গাণিতিক হারে বেড়ে যাচ্ছিলো প্যারাসিঙ্গুলেট করটেক্সের কার্যক্রম।

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১২

গাড়ি চালানোয় রোবটকে হারিয়ে জিতলো মানুষ

গাড়ি চালানোয় রোবটকে হারিয়ে জিতলো মানুষ

ক্যালিফোর্নিয়ার থান্ডারহিল রেসওয়েতে রোবট আর মানুষের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক রেসে সামান্য ব্যবধানে জিতে গেলো মানুষ । খবর বিবিসির।

প্রতিযোগী রোবট গাড়িটি স্ট্যানফোর্ড  ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর অটোমোটিভ রিসার্চ-এর গবেষকরা তৈরি করেন। শেলি নামের স্বয়ংক্রিয় গাড়িটি রাস্তায় নিজের অবস্থান, টায়ারের অবস্থান, এসব বুঝে ওই রাস্তায় সবচেয়ে ভাল রুটটা খুঁজে নেয়। প্রতিযোগিতায় গাড়িটির প্রতিদ্বন্দ্বী চালক ওই রুটটা খুব ভাল করেই চিনতেন। তবুও চালকবিহীন গাড়িটির সঙ্গে খুব বেশি ব্যবধান তৈরি করতে পারেননি তিনি।

গবেষকরা বলেন, তাদের প্রধান লক্ষ্য গাড়িগুলোকে এভাবেই একজন ভাল ড্রাইভারের মতো দক্ষ করে তোলা, যেন তারা নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে।


পাসওয়ার্ড ছাড়াই ফেইসবুকে লগ ইন!

পাসওয়ার্ড ছাড়াই ফেইসবুকে লগ ইন!

সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটির কারণে পাসওয়ার্ড ছাড়াই লগ ইন করা যাচ্ছিলো বেশকিছু ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে। তবে হ্যাকার নিউজ ওয়েবসাইটে ফেইসবুক সিকিউরিটির ওই ফাঁকের কথা ফাঁস হবার সঙ্গে সঙ্গেই বাগটি ঠিক করে ফেলেছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।

হ্যাকার নিউজ ওয়েবসাইটে একটি সার্চ স্ট্রিং পোস্ট করা হয়েছিলো। গুগলে সার্চ স্ট্রিংটি ব্যবহার করলেই সার্চ রেজাল্টে ১৩ দশমিক ২ লাখ ফেইসবুক অ্যাকাউন্টের লিংক চলে আসে। ওই লিংকগুলোর মধ্যে অনেকগুলোতে ক্লিক করেই সরাসরি অ্যাকাউন্টে ঢোকা যাচ্ছিলো।

ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে স্ট্যাটাস আপডেট এবং নোটিফিকেশন সম্পর্কিত যে মেইলগুলো যেতো, তার অনেগুলোইতেই একটি কুইক অ্যাক্সেস লিংক দেয়া থাকতো, যেখানে ক্লিক করে সরাসরি ফেইসবুকে ঢুকতে পারতেন ব্যবহারকারীরা। বাস্তবে ওই লিংকগুলোই ফাঁস হয়ে গেছে অনলাইনে।

ফেইসবুক সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার ম্যাট জোনস জানান, ‘একমাত্র ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের কাছেই ওই লিংকগুলো পাঠানো হয়। আর লিংকগুলো ব্যবহার করা যায় একবারই। সার্চ ইঞ্জিনে ওই লিংকগুলো পেতে হলে ইমেইলের কনটেন্ট অনলাইনে পোস্ট করতে হবে।’

জোনস সন্দেহ করছেন, মেইল সাইটগুলো নিজেদের আর্কাইভে থাকা মেইল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায়ই ফাঁস হয়ে গেছে লিংকগুলো।

ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, লিংকগুলো কেবল ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকাউন্টেই পাঠানো হয়েছিলো। অন্য কোথাও কখনোই ফাঁস করা হয়নি লিংকগুলো। ওই বিবৃতিতে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ আরো জানান, ‘আমরা সবসময়ই ওই লিংকগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। ফাঁস হওয়া লিংকগুলোও বন্ধ করে দিয়েছি আমরা।’

ক্যালোরি কমাতে পারে হরর মুভি!

ক্যালোরি কমাতে পারে হরর মুভি!

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, হরর ফিল্ম দেখার সময় দর্শকের শরীর থেকে একটা চকলেট বারের সমান ক্যালোরি পুড়ে যায়। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর।

দর্শক যখন ৯০ মিনিটের মতো এমন ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যান, তখন প্রায় ১১৩ ক্যালোরি পুড়ে যায়, যা আধ ঘণ্টা হাঁটলে যে পরিমাণ ক্যালোরি ক্ষয় হবে, তার প্রায় সমান।

ক্যালোরি পোড়ানো এমন ভয়ংকর মুভিগুলোর তালিকার শীর্ষে রয়েছে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ‘দি শাইনিং’ (১৯৮০), যেটা দেখে প্রায় ১৮৪ ক্যালোরি ক্ষয় করা সম্ভব। এর পরের স্থান দখল করেছে ‘জস’, যেটা দর্শকদের ১৬১ ক্যালোরি পোড়াতে সক্ষম এবং তৃতীয় স্থানে আছে ‘দি একসরসিস্ট’, ১৫৮ ক্যালোরি পোড়াতে সক্ষম।

গবেষকরা হরর মুভি দেখার সময় দর্শকদের হার্ট বিট, অক্সিজেন নেয়া এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করার হার, এবং ওই সময় ব্যবহৃত ক্যালোরির পরিমাণ বৃদ্ধি রেকর্ড করেন। তারা বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়, যখন দর্শকরা মুভি দেখতে দেখতে ভয়ে লাফ দিয়ে ওঠেন।

যারা শরীরের ক্যালোরি কমাতে ইচ্ছুক কিন্তু কোন ডায়েট বা এক্সারসাইজ করার সময় পান না, তাদের জন্য ব্যাপারটা বেশ কার্যকর। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, দর্শককে অবশ্যই ভয় পেতে হবে।

এক অ্যাপ্লিকেশন বানিয়েই শীর্ষে কিশোর প্রোগ্রামার

এক অ্যাপ্লিকেশন বানিয়েই শীর্ষে কিশোর প্রোগ্রামার

পাঠকের কাছে সংবাদ সংস্থার খবরগুলোর সারসংক্ষেপ তুলে ধরার স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন বানিয়ে অ্যাপল অ্যাপস্টোরের শীর্ষ ১০ অ্যাপের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন ব্রিটিশ কিশোর নিক ডিআলোইসিও। অ্যাপস্টোরে মুক্তি পাবার দু’ঘণ্টার মধ্যেই শীর্ষ ১০ বিক্রিত অ্যাপের তালিকার ৯ নাম্বারে জায়গা করে নেয় ডিআলোইনিওর তৈরি অ্যাপ ‘সামলি’। খবর বিবিসির।

‘সামলি’ অ্যাপটি বানাতে বেশ কিছুদিন স্কুলে যাওয়াই বন্ধ রেখেছিলেন ১৭ বছর বয়সি আলোইসিও। ইন্টারনেটে প্রকাশিত খবরগুলো সারসংক্ষেপ আকারে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করে সামলি। এতে হাজার শব্দের লেখা না পড়ে সারসংক্ষেপ থেকেই মূল খবরটি জেনে নিতে পারেন পাঠক। আর সারসংক্ষেপ পড়ার পর পুরো লেখাটিও চাইলেই পড়তে পারবেন পাঠক।

ডিআলোইসিও এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা আইফোনের অন্যসব ইন্টারফেস থেকে আলাদা একটি ইন্টারফেস তৈরি করতে অনেক শ্রম দিয়েছি। কঠিন সব অ্যালগরিদমকে আমরা এক করেছি চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের সঙ্গে।’

ইতোমধ্যেই বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০ লাখ ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ পেয়েছে ডিআলোইসিওর সামলি। অ্যাপস্টোর থেকে বিনামূল্যেই ডাউনলোড করা যাচ্ছে সামলি।