প্রথম দেখাতেই ভালো লাগার ব্যাখা দিলেন বিজ্ঞানীরা
প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যাবার পুরো ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করলেন বিজ্ঞানীরা। বিপরীত লিঙ্গের কাউকে প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যাওয়ার পেছনের মূল ‘কালপ্রিট’ মস্তিষ্কেরই একটা অংশ। আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, এজন্য দায়ী, মস্তিষ্কের সামনের দিকে অবস্থিত মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল করটেক্স। খবর লাইভসায়েন্স-এর।নতুন মুখ দেখার কয়েক মিলিসেকেন্ডের মধ্যে ওই ব্যক্তিটি ‘মিস্টার বা মি রাইট’ কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল করটেক্সের কয়েকটি অংশ। পছন্দের মানুষটির খোঁজে মস্তিষ্কের এই চমকপ্রদ ভূমিকার ব্যাপারটি আবিষ্কার করেছেন আইরিশ বিজ্ঞানীরা।
গবেষণার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের ৭৮ জন নারী এবং ৭৩ জন পুরুষ শিক্ষার্থীকে নিয়োগ করেন বিজ্ঞানীরা। তাদের নিয়ে বিজ্ঞানীরা আয়োজন করেন এক স্পিড-ডেটিং ইভেন্ট। ওই ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীরা পাঁচ মিনিট করে সময় কাটান বিপরীত লিঙ্গের প্রত্যেক ব্যক্তির সঙ্গে।
আর ইভেন্টটির আগে ৩৯ জন অংশগ্রহনকারীর ব্রেইন স্ক্যান করে ফাংশনাল এমআরআই (এফএমআইরআই) মেশিন দিয়ে মস্তিষ্কের ছবি তোলেন বিজ্ঞানীরা। এফএমআরআই মেশিন দিয়ে ছবি তোলার সময় স্বেচ্ছাসেবকদের বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের ছবি দেখিয়ে কাদের সঙ্গে ডেটে যেতে ইচ্ছুক, তা চিহ্নিত করতে বলেন বিজ্ঞানীরা।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এফএমআরআইয়ে পরীক্ষায় নেয়া স্বেচ্ছাসেবকরা ছবি দেখে যাদের পছন্দ করেছিলেন, স্পিড ডেটিং ইভেন্টে তাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ ব্যক্তিকে পছন্দ করেন।
পছন্দের মানুষকে চিহ্নিত করার সঙ্গে মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল করটেক্সের একটি বিশেষ অঞ্চল প্যারাসিঙ্গুলেট করটেক্সের সম্পর্ক খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। ছবির মানুষটিকে দেখে পছন্দ হলেও গাণিতিক হারে বেড়ে যাচ্ছিলো প্যারাসিঙ্গুলেট করটেক্সের কার্যক্রম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন