লাল ড্রাগন ফলের খোসার রঙ লাল কিন্তু শাঁস সাদা। এ প্রজাতির ফলই বাংলাদেশে বেশি দেখা যায়। কোস্টারিকা ড্রাগন ফলের খোসা ও শাঁসের রঙ লাল। হলুদ ড্রাগন ফলের খোসা হলুদ রঙের কিন্তু শাঁসের রঙ সাদা।
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। প্রতিটি ফলে ক্যালরি এবং প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৯ থাকে। এই ফলে বিটা ক্যারোটিন ও লাইকোপিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের উপস্থিতি রয়েছে।এটিতে থাকা ফাইবার ও আয়রন আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তশূন্যতা দূর করতেও অনেক কার্যকরী। রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
এছাড়াও ড্রাগন ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা হলো:
তাইওয়ানে ডায়াবেটিসের রোগীরা ভাতের পরিবর্তে এ ফল প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে। ফলটিতে ফাইটো অ্যালবুমিন, এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা ক্যান্সারের কারণ ফ্রি রেডিক্যাল তৈরিতে বাধা দেয়। এ ফল খেলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
গবেষণায় জানা গেছে, এই ফল নিয়মিত খেলে ওজন কমে এবং শরীরের সৌন্দর্য বাড়ে। ক্রনিক আন্ত্রিক সমস্যার সমাধান করে। লিভারের জন্য খুবই উপযোগী। ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রিবায়োটিক থাকার কারণে এটি অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যকে উন্নত করতে পারে।
আর নিয়মিত প্রিবায়োটিক গ্রহণ করলে সেটি আপনার পচনতন্ত্র ভালো রাখতে এবং ডায়রিয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকি কমতে পারে। ভ্রমণকারীদের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা ভ্রমণের আগে এবং সময়কালে প্রিবায়োটিক সেবন করেছিলেন, তাদের কমসংখ্যক ডায়রিয়ার অভিজ্ঞতা পেয়েছিলেন।
ড্রাগন ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ও ক্যারোটিনয়েডগুলো ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং শ্বেত রক্তকণিকাগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন