মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২

১৭০ বছর পর দার্জিলিংয়ে দেখা মিলল সেই বিরল পাখির

সংগৃহীত ছবএক বা দুই বছর কিংবা কয়েক দশক নয়। ১৭০ বছর পর ভারতের দার্জিলিং জেলার সিঞ্চল অভয়ারণ্যে দেখা মিলল বিরল প্রজাতির পাখি স্যাটায়র ট্র্যাগোপানের। জুওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (জেডএসআই) বিজ্ঞানীরা এই বিলুপ্ত প্রজাতির পাখির খোঁজ পেয়েছেন। 

১৭০ বছর পর দার্জিলিংয়ে দেখা মিলল সেই বিরল পাখির

১৭০ বছর পর দার্জিলিংয়ে দেখা মিলল সেই বিরল পাখির

এক বা দুই বছর কিংবা কয়েক দশক নয়। ১৭০ বছর পর ভারতের দার্জিলিং জেলার সিঞ্চল অভয়ারণ্যে দেখা মিলল বিরল প্রজাতির পাখি স্যাটায়র ট্র্যাগোপানের। জুওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (জেডএসআই) বিজ্ঞানীরা এই বিলুপ্ত প্রজাতির পাখির খোঁজ পেয়েছেন।

এ ব্যাপারে জেডএসআইয়ের কর্মকর্তা ধৃতি ব্যানার্জি বলেন, ১৭০ বছর পর স্যাটায়র ট্র্যাগোপানের খোঁজ পাওয়া সত্যিই উৎসাহজনক। এতে বোঝা যায় বন্যপ্রাণীদের সংরক্ষণের কাজ এই এলাকায় ভালো হচ্ছে। 

জেডএসআই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুরুষ স্যাটায়র ট্র্যাগোপান ভারতের সুন্দর পাখিদের মধ্যে অন্যতম। দার্জিলিং জেলার নেওড়া ভ্যালিতে এদের দেখা যায়। সেই সঙ্গে সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানেও কিছু পাখি আছে। তবে সিঞ্চালে গত ১৭০ বছরে এদের দেখা মেলেনি। এই পুরুষ পাখি লম্বায় ৬৮ সেন্টি মিটার হয়। গায়ের রং হয় লাল। তার মধ্যে সুন্দর সাদা সাদা ছাপ থাকে। স্ত্রী পাখিরা লম্বায় ছোটো। তত উজ্জ্বলও নয়। স্ত্রী পাখিদের রং হয় খয়েরি। 

এই স্যাটায়র ট্র্যাগোপান ক্রিমসন হর্নড ফেজান্টের অন্তর্গত। এই পাখিদের শিকারের ভয় রয়েছে। বাসস্থানেরও সমস্যা রয়েছে। এই পাখিরা আর্দ্র ওক এবং রডোডেনড্রনের জঙ্গলে থাকে। যার নীচে ঘন আগাছা ও বাঁশবন থাকে। গ্রীষ্মকালে ২৪০০-৪২০০ মিটার এবং শীতকালে ১৮০০ মিটার উচ্চতায় বসবাস করে। স্থানীয়রা এই পাখিকে ‘মুনার’ বলেন। ১৮৪২ সালে দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং ও সোনাদা অঞ্চলেএই পাখিকে প্রথমবার দেখা গিয়েছিল।

কোন মন্তব্য নেই: