বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মৃত্যু ছাড়া পৃথিবীতে আর কী কী 100% সত্য

পৃথিবীতে মৃত্যু ছাড়াও অনেক সত্য আছে ।

  • সদ্যজাত , শৈশব , কৈশোর , যৌবন , পরিণত , বার্ধক্য - মানুষের জীবনে বয়সের এই স্তরগুলো এভাবেই পর পর আসে । কোনোটিই আগে বা পরে হয় না ।
  • সংসারী মানুষ কখনোই হাজার জিনিস পেলেও সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট হয় না । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাওয়ার খিদে বাড়তেই থাকে ।
  • কোনো মানুষই পারফেক্ট হয় না । হাজার ভালো গুন থাকলেও কোনো না কোনো খারাপ গুন থাকে । আবার দৈহিক কোনো না কোনো খুঁত থাকে ।
  • মানুষ যতক্ষণ জেগে থাকে তার মনে সর্বক্ষণ কোনো না কোনো চিন্তাভাবনা আসতেই থাকে , সে দুশ্চিন্তাই হোক বা এমনি চিন্তা ।
  • সুখের পর দুঃখ আসে । কোনো মানুষ নেই যে সর্বক্ষণ সুখ ভোগ করেছে । কখনোই তার দুঃখ হয়নি ।
  • বাবা মায়ের সামনে সন্তানের প্রশংসা করলে তাদের ভালো লাগে ।
  • গাছের প্রাণ আছে ।
  • জাতি, ধর্ম , বর্ণ , লিঙ্গ , পেশা , ধনী , গরিব , গুন নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষের রক্তের রঙ লাল ।
  • পৃথিবী সমস্তকিছুকে নিজের কেন্দ্রের দিকে টানে ।
  • অক্সিজেন ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না ।
  • মা ( সুস্থ মানুষ ) তার নিজের সন্তানকে ভালো না বেসে থাকতে পারে না । অপরাধী মায়েরাও এর ব্যতিক্রম না ।
  • বিজ্ঞানী ও গণিতবিদদের দ্বারা প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক সূত্র গুলো ১০০ % সত্য ।
  • জল জমে বরফ হলে আয়তনে বাড়ে ।
  • সময় কখনোই থেমে থাকে না ।
  • সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি সুন্দর থেকেই সৌন্দর্য ঝরে পড়ে ।
  • সদ্যজাত শিশুরা( কালো হোক বা ফর্সা) সুন্দর । তাদের মন পবিত্র।
  • খারাপ বলতে আলাদা কিছুই নেই। খারাপ হল আসলে ভালোর অনুপস্থিতি ।অনুরূপ ভাবে ঠাণ্ডা হল গরমের অনুপস্থিতি ।
  • মানুষ অভ্যাসের দাস ।
  • সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানের অগ্রগতি হচ্ছে । সভ্যতা উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ।
  • মিথ্যার দ্বারা সত্যকে ঢাকা যায় না। সত্যের প্রকাশ একদিন না একদিন হবেই।
  • এখন যে আপনি এই লাইনটা পড়ছেন এটা ১০০% সত্য ।

বিবাহ বহিৰ্ভূত যৌনসম্পর্ককে কি সমর্থন করা উচিত?

বিয়ে করার পরে অন্য নারীর সাথে সেক্স করা সমর্থন করি না তবে বিয়ের আগে কেউ সম্পর্ক বা সেক্স করতে চাইলে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার মনে করি।

বিয়ের পরে অন্য নারীর সাথে সেক্স করা মানে নিজের স্ত্রীকে অপমান করা ও তার সাথে প্রতারনা করা। স্ত্রীকে ভালো না লাগলে তাকে তালাক দিয়ে যত পারুন ***** করুন অন্য নারীর সাথে কিন্তু স্ত্রী থাকা অবস্থায় এসব করা খুবই বাজে কাজ যাকে বলে পরকীয়া প্রেম।

আমার কাছের এক আত্মীয়ের ঘটনা বলছি।

এক আত্মীয়ের জামাই আমাকে একদিন গল্পের ছলে বলে যে উনার অফিসের যারা মহিলা কর্মীরা আছে তাদের স্বামীরা নাকি তাদের সময় দেয় না। স্বামীদের নাকি বয়স বেশি। তাই সেই সব মহিলা কর্মীরা নাকি উনাদের মতো ছেলেদের সাথে মিশতে চায়।

আমি তখন এই কথা শুনে বুঝে গেছি যে এই লোক বাইরে হয়তো এসব করে বেড়ায়। তা না হলে মহিলা কর্মীর স্বামী করতে পারে না এটা তাকে কে বললো? নিশ্চয় এদের মধ্যে কোন সম্পর্ক আছে। সে নিজেই হয়তো সময় দেয় নিজের মহিলা কলিগকে।

ব্যাপারটি আরো নিশ্চিত হই যখন আমি একদিন উনার অফিসে যাই। অফিসে গিয়েছিলাম উনার সাথে দেখা করতে। গিয়ে দেখি দুই তিনজন অফিসার একটি রুমে একজন মহিলা কলিগের সাথে গল্প করছে। সেখানে আমার সেই আত্মীয়ও আছে। তারা গল্প করতেই পারে। এটাই স্বাভাবিক। একসাথে কাজ করে কিন্তু মেয়েটা অতিরিক্ত মাখামাখি করছিলো তাদের সাথে। তার সাথে মজাও করছিলো ছেলে কলিগেরা।

সেই মেয়ে কলিগটি যখন আমার সাথে কথা বলে জানলো আমি উনার এক কলিগের সাথে দেখা করতে এসেছি তখন মেয়েটি বললো ও আপনি উনার আত্মীয়। এই বলে মেয়েটি এমন এক মুচকি হাসি দিলো মনে হলো মেয়েটি খুব লজ্জা পেয়ে হাসছে। কি হলো এমন যে এরকম করতে হবে। কিছুক্ষন আগে তো দেখলাম রুমের ভিতরে কয়েকজন মিলে হাসাহাসি করতে। এখন কি হলো যে এমন লজ্জা পাচ্ছে।

আমার মেয়েটির এটিচিউড দেখে ভালো লাগলো না। কেমন জানি লাগলো।

আমার তখন সন্দেহ হলো আচ্ছা লোকটা তো বললো অফিসের মেয়ে কলিগেরা তার সাথে মিশতে চায়। তাহলে কি এই সেই মেয়ে? সন্দেহ করা ভালো না কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি কি সে দিকেই ইংগিত দিচ্ছে।

আমি শুধু আমার সেই আত্মীয়ের সংসারের কথা চিন্তা করে এসব নিয়ে কথা বলি নি কারো সাথে।

আমি মনে করি বিয়ে করার পরে আরেকজনের সাথে পরকীয়া করা ভয়াবহ এক অপরাধ। পছন্দ হতেই পারে কিন্তু তাই বলে স্ত্রী বা স্বামী রেখে পরনারী বা পরপুরুষে আসক্ত হওয়া মারাত্মক অপরাধ। যদি ভালো লেগে যায় তাহলে বর্তমান স্ত্রীকে তালাক দিয়ে যত পারুন খাট কাপান কিন্তু স্ত্রী বা স্বামীকে ধোকায় রেখে অন্য সম্পর্ক করা মানে সমাজ ও সংসারে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনা।

রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন রাণী এলিজাবেথ?

১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রবেশ করেছিল।লর্ড হেইলশাম, পরামর্শ দেন যে রাজকুমারী এলিজাবেথ এবং মার্গারেটকে বোমাবর্ষণ এড়াতে কানাডায় স্থানান্তর করা উচিত। তাদের মা তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন,"বাচ্চারা আমাকে ছাড়া যাবে না। আমি রাজাকে ছাড়া নড়ব না। এবং রাজা কখনও যাবেন না।" রাজকন্যারা ১৯৩৯ সালের ক্রিসমাস অবধি স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসলে থাকতেন, তারপর তারা নরফোকের সান্দ্রিংহাম হাউসে চলে আসেন।১৯৪০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত তারা উইন্ডসর রয়্যাল লজে থাকতেন, উইন্ডসর ক্যাসলে চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত, যেখানে তারা পরবর্তী পাঁচ বছর বেশিরভাগ সময় বাস করতেন।

উইন্ডসর-এ, রাজকন্যারা কুইনস উলের তহবিলের সহায়তায় ক্রিসমাসে প্যান্টোমাইমস তৈরি করেছিল, যা সামরিক পোশাকগুলিতে বুননের জন্য সুতা কিনেছিল।১৯৪০ সালে, 'বিবিসি'র চিলড্রেন আওয়ার' চলাকালীন ১৪ বছর বয়সী এলিজাবেথ তার প্রথম রেডিও সম্প্রচার করেছিলেন, শহরগুলি থেকে সরিয়ে নেওয়া অন্য শিশুদের উদ্দেশে। তিনি বলেছিলেন:"আমরা আমাদের সাহসী নাবিক, সৈনিক এবং বিমানবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি এবং আমরাও যুদ্ধের বিপদ ও দুঃখের নিজস্ব অংশটি বহন করার চেষ্টা করছি। আমরা জানি, আমাদের প্রত্যেকেই জানি যে, শেষ পর্যন্ত সব ঠিক হবে।

১৯৪৩ সালে, এলিজাবেথ গ্রেনাডিয়ার গার্ডস সফরে প্রথম একা প্রকাশ্যে উপস্থিত হন, যার আগের বছর তিনি কর্নেল নিযুক্ত হন।তিনি তার ১৮তম জন্মদিনের কাছে আসার সাথে সাথে সংসদ আইনটি পরিবর্তন করে যাতে তিনি তার পিতার অক্ষমতা বা বিদেশে অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে কাজ করতে পারেন, যেমন ১৯৪৪ সালের জুলাইয়ে ইতালি সফর।

১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে, তিনি সহায়ক টেরিটোরিয়াল সার্ভিসে সম্মানিত সেকেন্ড সাবআল্টার্ন হিসাবে ২৩০৮৭৩ নম্বর সংখ্যার সাথে নিযুক্ত হন।তিনি চালক এবং মেকানিক হিসাবে প্রশিক্ষিত হন এবং পাঁচ মাস পরে তাকে সম্মানসূচক জুনিয়র কমান্ডার (সেই সময়ে অধিনায়কের মহিলা সমতুল্য) পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছিল।

সংগ্রামের বর্ণনা দিতে ‘মা’ শব্দটিই যথেষ্ট

এই ছবিটি একটি দুর্ঘটনাস্থলের যেখানে একজন যুবক এবং একটি মেয়ে আহত হয়ে চিকিৎসা সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছে।

আজকের এই ছবিটি দেখে মায়ের সত্যিকারের ভালোবাসার আরেকটি উদাহরণ দিলাম। যে মায়ের পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে, তিনি

এখনো তার সন্তানকে দুধ খাওয়াচ্ছেন, এই কলিজা জন্মেছে মাত্র একজন নারীর। মা যতই কষ্ট পান না কেন, সন্তানের ছোটখাটো

কষ্টও তিনি সহ্য করেন না।

এই ছবিটি সম্ভবত দিনের সবচেয়ে সুন্দর ছবি। মায়ের ভালোবাসার কথা ভাষায় প্রকাশ করতে পারে এমন কোনো কলম এখনো

নেই। সংগ্রামের বর্ণনা দিতে ‘মা’ শব্দটিই যথেষ্ট।

স্বামীকে খুশি রাখার ও শুধু নিজের করে রাখার কার্যকারী টিপ

স্বামীকে খুশি রাখার ও শুধু নিজের করে রাখার কার্যকারী টিপস

১) স্বামীর ঘুম থেকে উঠার আগে নিজে উঠে পরিপাটি হয়ে নেওয়া যাতে স্বামী আপনাকে সকাল বেলাই অপরিপাটি না

দেখে। তার সাথে সুগন্ধি ব্যবহার করুন। যাতে সকালে আপনাকে দেখেই আপনার স্বামীর মন ভরে যায়।

২) তার ঘুম যেভাবে ভাঙ্গালে সে পছন্দ করবে, সেভাবে তাকে ঘুম থেকে জেগে তুলুন।

৩) তার প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে তবেই অন্য কাজে যাবেন। এবং সে তার কাজে যাওয়ার সময় কপালে আর বুকে দুইটা......... দিয়ে দিন।

৪) সে কখন বাসায় আসতে পারে তা অনুমান করে পরিপাটি হয়ে থেকে তার অপেক্ষা করুন এবং সে ডাকার সাথে সাথে দরজা খুলে দিন এক মুচকি হাসি দিয়ে। এবং তার সাথে কথা বলার সময় সর্বদা হাসি মুখে কথা বলুন।

৫)তার সামনে কখনো গন্ধ নিয়ে যাবেন না। সবসময় একটা সুঘ্রাণ রাখুন নিজের শরীরে।

৬) পরিপূর্ণ পর্দা করুন।

৭)স্বামীকে তাহাজ্জুদ এবং ফজরের নামাজের জন্য ডেকে দিন। আল্লাহর তরফ হতে স্বামীর হৃদয়ে আপনার প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা জন্ম নিবে।

৮) স্বামীর মনে কখনো আঘাত দিয়ে কথা বলবেন না।

৯) কখনো স্বামীকে নিজের উপর রাগ হতে দিবেন না বরং স্বামী যে ইশারায় চালাতে চায় সে ইশারায় চলুন( নাফরমানীর কাজ ব্যতিত)।

১০)স্বামী কোন কাজ করতে আদেশ করলে সাথে সাথে হাসি ও খুশির সহিত কাজ করে দিন।

১১)স্বামীর কাছে থাকাকালীন তার অনুমতি ব্যতিত কোন নফল ইবাদাত করবেন না। স্বামীর খেদমত অন্যান্য নফল ইবাদাত থেকেও উওম।

১২)পৃথিবীর কোন মানুষের গিবত না করা।

১৩)স্বামীর হুকুম ছাড়া স্বামীর মাল থেকে কাউকে দান বা হাওলাত না করা। এটা জায়েজ নেই।

১৪)স্বামীর কোন দোষের কথা পৃথিবীর কোন মানুষকে না বলা। বরং স্বামীর মাথা যখন একদম ঠান্ডা থাকবে তখন স্বামীকে হাসিমুখে বিনয়ের সহিত তার ভুল ধরিয়ে ও সুধরে দেওয়ার চেষ্টা করা।

১৫)স্বামীর কোন কাজ নিজের মতের বিরুদ্ধে হলেও তর্ক না করা।

১৬)স্বামী যা আনুক তা ১ টাকার হলেও এমন একটা ভাব করুন যেন এটা আপনার কাছে ভিষণ পছন্দ হয়েছে। এতে পুরুষেরা স্বস্তি পায়।

১৭)স্বামীর বাড়িতে যতই কষ্ট থাকুক, স্বামীর সাথে সমাধামের চেষ্টা করুন। তবে হাই হতাশা করে স্বামীকে কষ্ট দিবেন না।

১৮)স্বানীর মেজাজ বুঝে ব্যবহার। তার মুখে হাসি থাকলে আপনিও হাসুন। আর তার মন কোন কারণে খারাপ থাকলে আপনিও তার মন খারাপের ভাগিদার হোন, মন খারাপের সময় হেসে এটা প্রকাশ করবেন না যে তার মন খারাপে আপনার কিছু যায় আসে না। আর মেজাজ খারাপ থাকলে একদম চুপ থাকবেন।

১৯)স্বামী আপনাকে যে টাকা দিবে তা ১০০% তাকে হিসাব দিয়ে দিন।আপনার ওপর একটা অন্যরকম বিশ্বাস সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ।

২০)শশুড়-শাশুড়ির সেবা করুন। এবং শশুড় বাড়ীর সকলকে ভালোবাসুন।

২১)স্বামীকে মনের ভুলেও কাজ করতে দিবেন না। বরং তাকে ঠিক কাচের পুতুলের মতো রাখার চেষ্টা করুন।

২২)ঘরের কাজ কারো জন্য ফেলে রাখবেন না।

২৩)স্বামী বাবা-মা এর কাছে টাকা দিলে তা নিয়ে মন খারাপ করবেন না। তাদের ছেলের টাকা তারা নিবে না তো কে নিবে?

২৪) স্বামী কোন সফর থেকে ফিরলে তাকে খেদমত করুন, প্রশ্ন করুন পরে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের বোনদেরকে আমল করার তৌফিক দান করুন.....আমীন!

দু একবার ভাবলাম প্রশ্নটি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো, তারপরে মনে হল হয়ত আমার উত্তর একটি মেয়েকে সত্যি সাহায্য করতে পারে। এই উত্তর দিচ্ছি সেই সব মহিলাদের জন্যেই, যারা শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চান, আর্থিক কারণে অথবা সামাজিক কারণে। যারা মনে করেন, কোন ব্যাপারেই মানিয়ে নেওয়ার দরকার নেই, তাঁদের জন্যে এই পরামর্শ গুলি নয়। আমি নিজে বিয়ের সময় আর্থিকভাবে স্বনির্ভর ছিলাম, কিছু জিনিস মানিয়ে নিয়েছি সংসারে, তাতে আমার খুব বেশি ক্ষতিবৃদ্ধি হয় নি আবার আমার শাশুড়িও কিছু জিনিস মানিয়ে নিয়েছেন; এই সব করতে করতে ৯ বছর বাদে এসে আমাদের সম্পর্ক কিন্তু যথেষ্ট ভালো এবং যে কোন প্রয়োজনে আমার শ্বাশুড়ী আমার বরের থেকে আমার উপরে অনেক বেশি নির্ভর করেন। নিচের পরামর্শ গুলি আমার নিজের জীবন দিয়ে শেখা কিছু উপলব্ধি।

১। সময় নিনঃ প্রথম শ্বশুরবাড়িতে এসেই ভালো বউ হওয়ার জন্যে সমস্ত দায়িত্ব ঘাড়ে নেওয়ার দরকার নেই; আবার উল্টোদিকে সমস্ত অপছন্দের ব্যপারে প্রতিবাদ করারও দরকার নেই। কারণ এক মাঘে শীত যায় না। আপনার হাতে অনেক দিন সময় আছে, অল্প স্বল্প মানিয়ে চলুন। আপনার মানানোর ক্ষমতা কতটা সেটা আগে বুঝে নেবেন… মানে আপনাকে যদি চাকরি ছাড়তে বলা হয় অথবা আপনার বাবামায়ের নামে ক্রমাগত অপমানজনক মন্তব্য করা হয় অথবা শারীরিক নিগ্রহ করা হয়, মানিয়ে নেবেন না। কিন্তু যদি সকালে একটু আগে ঘুম থেকে উঠতে বলা হয় এবং তার জন্যে আপনার বিশাল কিছু কষ্ট না হয়, তাহলে এটা একটু মানিয়ে নেওয়াই যায়। একবার যদি আপনার শাশুড়ি নিশ্চিত হন, যে আপনি তার সংসারে মানিয়ে গুছিয়ে থাকতে এসেছেন এবং তাঁকে যথোপযুক্ত সন্মান দিচ্ছেন, তাহলে নিজে থেকেই তিনি অনেক নরম হয়ে যাবেন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অল্পদিনের মধ্যেই আপনি সংসারের একজন হয়ে যাবেন।

২। বক্তব্য প্রকাশ করুন শান্তভাবেঃ সব কথাতেই চিল্লামিল্লি করলে, তাতে কোন পক্ষেরই কোন সুবিধা হয় না। তাঁর চাইতে কোন ব্যাপারে মনোমালিন্য হলে, কিছু সময় বাদে শান্ত হওয়ার পরে আপনার যুক্তি বোঝান। একদিনে হয়ত তিনি বুঝবেন না। তবে এক বছর বাদে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখবেন আপনার প্রতি তার অত বৈরীভাব নেই।

৩। অন্য সম্পর্ক গুলিকে গুরুত্ব দিনঃ শাশুড়ির সাথে বৌমার সম্পর্ক খারাপ হওয়াটা আমাদের দেশের নিরিখ স্বাভাবিক। এবং আপনার ননদ-দেবরেরাও হয়ত প্রথম মায়ের পক্ষ নিয়ে আপনার বিরুদ্ধে থাকতে পারে। তবে আপনার সাথে তাঁদের ব্যবহারে যেন কোন বৈরিতা প্রকাশ না পায়। ননদ বা দেবর আপনার প্রতিপক্ষ নন। তারা মাকে বেশি ভালোবাসলেও, চোখে অন্ধ নয়। নিজেদের বিচারবুদ্ধি লাগিয়ে তারা আপনার ভালো দিকগুলিও ঠিক খুজে পাবে, আজ না হয় কাল। ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি… আমার ননদ আমার থেকে প্রায় ৯ বছরের ছোট। আমার ছাত্রছাত্রীদের থেকেও ছোট বলা যায় ওকে। আমি প্রথম থেকেই তাকে আমার নিজেরর বোনের মত দেখেছি। শাড়ী, গয়না সাজগোজ সব কিছু ব্যবহার করতে দিয়েছি। পরবর্তীকালে ও কিন্তু অনেক সময়েই মাকে আমার পক্ষ নিয়ে বুঝিয়েছে। এবং এখন বিয়ের পরে, ও নিজেও অনেক জিনিষ বুঝতে শিখেছে এবং আমার প্রথম দিকের অসুবিধা গুলি অনেক ভালো অনুভব করে।

৪। বরকে সব ব্যাপারে জড়াবেন নাঃপ্রতিটা মানুষেরই কিছু ভুল ত্রুটি থাকে, প্রজন্মের পার্থক্যে এসব আরো বেশি হয়ে যায়। আপনার সাথে অনেক কিছুতেই আপনার শ্বাশুড়ীর মতবিরোধ হবে। হয়ত অনেক ব্যাপারেই উনি ভুল। কিন্তু আপনি যদি আশা করেন যে আপনার স্বামী তাঁকে চোখে আঙুল দিয়ে সেই ভুলগুলি দেখিয়ে দেবে, সেটা ঠিক নয়। ভেতরে ভেতরে বুঝতে পারলেও, একটি ছেলের পক্ষে সর্বদা সম্ভব হয় না মায়ের দোষ ত্রুটি গুলি মুখের উপর বলা। হয়ত আপনার সামনে আপনার মাকে কেউ বললেও আপনার একই রকম অনুভব হত।

৫। শাশুড়ি নিজের ছেলেকে আপনার থেকে বেশি ভালোবাসেন, খুব স্বাভাবিক। আপনার মাও আপনাকে জামাইয়ের থেকে বেশি ভালোবাসেন। কিন্তু মেয়ের মায়েদের মধ্যে জামাইকে খুশি করার একটা প্রবণতা থাকে, যেটা ছেলের মায়েদের থাকে না, তাই ভালোবাসাটা প্রকাশ হয়ে পড়ে। হয়ত আপনার খারাপ লাগবে। মানিয়ে নিতে পারলে, ভালো। তবে এই ব্যাপারটাও খুব অল্পও সময়ের জন্যে। ধীরে ধীরে তিনি আপনাকেও ভালোবাসবেন।

৬। চুপ করে থাকুনঃ অনেক সময়েই তাঁদের ভুল ত্রুটি গুলো ধরিয়ে দিলে, তারা আরো রেগে যান এবং অনেক বেশি চিল্লামিল্লি করেন। এক্ষেত্রে চুপ করে থাকলে অনেক সময়েই লাভ হয়।

তবে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কোনদিনই চুপ থাকতে পারিনি। কারোর ভুল দেখলে মুখের উপর না বলা পর্যন্ত আমার শান্তি হয়না। যাই হোক, এখন আমার শাশুড়িও ব্যাপারটা জেনে গেছেন, অত কিছু মনে করেন না। এ ব্যাপারে আমার বাবা একটা কথা বলতেন যে “তোমার লড়াইটা অনেক বড়। সংসারে শ্বাশুড়ীর বিরুদ্ধে ঝগড়ায় জিতে তোমার জীবনে কোন মোক্ষ লাভ হবে না; ওনার ভুলগুলি থেকে শিক্ষা নাও, যাতে ভবিষ্যতে ঐ ভুলগুলি তোমার যেন না হয়”…

এতক্ষণ বললাম পছন্দের বৌমা হয়ে ওঠার কথাগুলি। এবারে বলব শাশুড়িকে বশে আনা বা প্রভাবিত করার জন্যে কিছু টিপ্সঃ

১। প্রত্যক মানুষের জীবনেই কিছু বঞ্চনার অতীত থাকে। সে জায়গা গুলি খুঁজে বার করুন। হয়ত তিনি কোনদিন স্বাধীনতা পাননি জীবনে। হয়ত কোনদিন কেউ তার রান্নার প্রশংসা করে না, অথচ একদিন তরকারিতে ঝাল কম হলে সবাই মিলে কথা শোনায়। হয়ত কোনদিন কেউ তার পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়ায় নি। চেষ্টা করুন তার পছন্দের খাবার একদিন রান্না করে খাওয়াতে। কোন অপূর্ণ শখ থাকলে পূরণ করার চেষ্টা করুনঃ হতে পারে সেই শখটি একটি ভালো শাড়ী, নাগরদোলায় চড়া অথবা মেলায় ঘোরা অথবা বিউটি পার্লারে যাওয়া অথবা শখের চুল কাটা অথবা সমুদ্র সৈকতে জিনস টপ পরে ঘোরা। সাধ্যের মধ্যে হলে অবশ্যই করুন আর তার পরিবর্তে ওনার থেকে কৃতজ্ঞতা আশা করবেন না। মুখে কিছু না বললেও, কথাটা তিনি মনে রাখবেন।

২। বাইরের লোকের কাছে শাশুড়ির প্রশংসা করুন। আপনার বন্ধু যদি একদিন বাড়িতে এসে বলে “খালা, আপনি তো দারুণ কলিজা ভুনা বানান, মিলি বলছিল”, তিনি অবশ্যই খুশি হবেন।

৩। আধুনিক বিষয় তাকে বুঝিয়ে বলুন। আমি প্রথম যখন ‘তথ্যপ্রযুক্তি’ পড়তে গেলাম, আমাকে আমার ঠাকুমা জিজ্ঞাসা করলেন বিষয়টি কি। আমি একটা দায়সারা উত্তর দিলাম, ভাবলাম ঠাকুমা এসবের কি বুঝবেন! আমার মা শুনে বললেন “তুমি যদি একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে একজন প্রাথমিকের শিশুকে বোঝাতে না পার তোমার পড়ার বিষয়টি, তাহলে তোমাকে আমরা বৃথাই পড়াশোনা শিখিয়েছি” … এর পরে আমি ঠাকুমাকে বিষয়টি বুঝিয়েছিলাম। সেরকম ভাবে শাশুড়িকেও অনেক জিনিষ সহজ ভাষায় বুঝিয়েছি, যেগুলো অন্যদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে ‘ও তুমি বুঝবা না’ বলে হেয় করে।

আমি সব মেয়েদেরকে তাই বলবঃ

ক) রান্নাঘর আর শাশুড়ির বাইরেও একটা বিশাল জগত আছে, সেখানে যুদ্ধ করে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখ। একজন মহিলা যিনি জীবনে তোমার থেকে অনেক কম দেখেছেন (বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়ত তিনি পড়াশুনা অতটা করেননি বা চাকরি করেন নি), তাঁকে আচ্ছা করে বুঝিয়ে দিয়ে বৃহত্তর নারীবাদের কোন উপকার করছ না তুমি। বরং তা মহিলাদের পিছিয়ে যাওয়ায় উৎসাহিত করছে। একজন এইচ এস সি পাশ মহিলা যদি দেখেন তার এম এ পাস বৌমা এসে তার মতই করে গলা বাড়িয়ে ঝগড়া করছেন, তাহলে পড়াশুনার উপর তার বিশ্বাস উঠে যাবে।

খ) শাশুড়ি তোমার মা নন এবং তুমিও তার মেয়ে নন। হয়ে ওঠার চেষ্টা করার মানে হয় না। কারণ মা ছাড়াও তুমি এতদিনের জীবনে অনেক মহিলাকে ভালোবেসেছ, জ্যেঠিমা, কাকিমা, পিসিমা, মাসিমা, দিদি, শিক্ষিকা, কলেজের সিনিয়র… সবাইকে তুমি কি মায়ের আসনে বসাতে গিয়েছ? অথচ তাঁদের তো তুমি শ্রদ্ধা সন্মান কম কর না। তাহলে এখনো তাই কর

গ) শাশুড়ির ভরসার জায়গা, আব্দারের জায়গা হয়ে ওঠার চেষ্টা কর।

ঘ)শারীরিক নিগ্রহ মেনে নিও না

ঙ) নিজের সাধ্যের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা কর না। কোন রকম অসুবিধা হলে, কাছের বন্ধুদের সাথে কথা বল। পরামর্শ নাও, কিন্তু গুমরে মরো না। দরকার হলে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এস।

মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

এক মেয়ের সাথে আরেক মেয়ের কথা হচ্ছে.


এক মেয়ের সাথে আরেক মেয়ের কথা হচ্ছে.


এক মেয়ের সাথে আরেক মেয়ের কথা হচ্ছে..

১ম মেয়েঃ আজকালকের ছেলেদের কোন বিশ্বাস নাই! আমি তো আজকে থেকে ওর মুখও দেখতে চাইনা…

২য় মেয়েঃ কি হইছে?? তুমি কি ওকে অন্য কোন মেয়ের সাথে দেখে ফেলছ??

১ম মেয়েঃ আরে না ! ও আমারে আরেক ছেলের সাথে দেখে ফেলছে.. কালকে ও আমারে বলছিল ও নাকি শহরের বাইরে যাবে.....

মিথ্যুক, বদ, ধোঁকাবাজ....

মেয়েদের ঘর সংসার ছাড়া আর কিছু করার নেই? ছেলেদের বিয়ে করা আর মেয়েদের বিয়ে করা কিন্তু এক ব্যাপার নয়। ছেলেদের বিয়ে করা অনেকটা আনন্দের ব্যাপার, একটু ভারমুক্ত হওয়ার ব্যাপার। কারণ তাকে দেখাশোনা করার একজন আসছে। কিন্তু মেয়েদের বিয়ে করার মানেই হচ্ছে ভয়, উদ্বেগ, অনিশ্চয়তা। নিজের পরিবার ছাড়তে হবে, সন্তান ধারণ থেকে আরও অনেক কিছুর দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। এবং তার পরে সংসার ছাড়া তার আর কিছু করার থাকবে না।

কোনো পুরুষই কখনও মেয়েদের সত্যিকারের কষ্ট বুঝতে পারে না। সিপপ্যাথাইজার হতে পারে, বন্ধু হতে পারে, কিন্তু মেয়েদের আসল মস্যাটা শুধু মেয়েরাই টের পায়। ছেলেদের প্রবলেম গুলো কি মেয়েরা বুঝতে পারে? ধারালো মেয়েরা আজকাল ইচ্ছা করেই ব্যক্তিত্বহীন আবুল টাইপ, জো-হুজুর মার্কা পুরুষদের পছন্দ করে। তাতে তাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বজায় থাকে, যা খুশি করতে পারে, স্বামীকে ইচ্ছে মতো চালাতে পারে। আসলে মানূষের মন স্বভাবতই এলোমেলো। চিন্তা গুলোকে পর্যায়ক্রমে সাজাতে পারে না বলে তার সিদ্দান্তে আসতে দেরী হয় বা কখনই আসতে পারে না।

প্রত্যেকটা মানূষের মধ্যেই লুকানো, অব্যবহৃত কিছু গুন আছে। কেউ কেউ হয়তো সারা জীবন নিজের সেই গুনটার কথা জানতেই পারে না। লোকে কত ভালোবাসার কথা বলে, কিন্তু ভালোবাসা কাকে বলে তা তাদের জানা নেই। প্রেমিক প্রেমিকারা কত ভালোবাসার কথাটথা বলে বিয়ে করে- তারপর তাদের ঝগড়ার জ্বালায় বাড়ীতে কাকও বসতে পারে না।

আপনি কি আরণ্যক উপন্যাসটা পড়েছেন ? যে লোকটা জঙ্গলে নতুন নতুন গাছ লাগিয়ে বেড়াত। জঙ্গলটা তার নিজের নয়, গাছ লাগালে তা থেকে কোও লাভও হতো না । শুধু জঙ্গলটাকে সুন্দর দেখাবে বলে। এটাই হলো- ভালোবাসা। কেউ কি পারবে এই ভাবে ভালোবাসতে? আজকাল ইউনিভার্সিটি'র ভালো ভালো ছেলে-মেয়েরা চাকরির পরিধির বাইরে আর কিছু বুঝতে চায় না। চাকরি ছাড়াও যে সাকসেস বলে আর একটা ব্যাপার আছে, তা তারা বুঝতেই পারে না।

এই আধুনিক যুগে এসেও দেশে নারীদের অবস্থান খুব উন্নয় হয়নি। আজও একটা মাস্টার্স পাশ করা মেয়ে একা চাকরীর ইন্টারভিউ দিতে যেতে সাহস পায় না। সাথে করে মা, বাবা অথবা চাচা-মামাকে সাথে করে নিয়ে যায়। বেশির ভাগ মেয়ে লেখাপড়া শিখলেও সে তার লেখাপড়া কাজে লাগাতে পারে না। সংসারের ঘানি টানতে টানতেই তার জীবন যায়। তাহলে এত লেখাপড়া করে তার লাভ কি হলো? বেশির ভাগ শিক্ষিত মেয়ের'ই এই দশা। নিজের ঘরের কথাই বলি, সুরভি মাস্টার্স পাশ করে বসে আছে। এখন ঘর সংসার নিয়ে ব্যস্ত। তাহলে সুরভির বাবা মা তাকে এত লেখাপড়া করালো কেন? সুরভি চাকরী করলে আমার কোনো আপত্তি নেই। অবশ্য চাকরী পাওয়া সহজ কোনো ব্যাপার নয়। শিক্ষিত নারীরা কি সারা জীবন ঘর সংসার সামলেই যাবে? সমাজের জন্য কোনো অবদান রাখবে না?

কোন বস্তুগুলো মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে দেখলে পুরোপুরি ভিন্ন দেখায়?

খুঁজে বের করলাম নিচের ছবি গুলো, দেখুন আশা করি মজা পাবেন।

বল পেনের মুখঃ-

vodka(এক জাতীয় মদ):-

মানুষের চুলঃ-

ছাড়পোকাঃ-

ছারপোকার কামড় খেয়েছেন? এই ব্যাটা নিচের এই জিনিসটা দিয়ে কামড়ায়,

সেলুন দোকানে পড়ে থাকা কাটা চুলঃ-

মুখ ভোঁতা হয়ে যাওয়া পেন্সিলঃ-

পেপারে staple করার পর কি রকম লাগে দেখুনঃ-

পেপারের উপরে রং দিয়ে প্রিন্ট করার পরঃ-

পেপারঃ-

ইনজেকশনের ছুচঃ-

শুঁয়োপোকা (আমার যম!):-

নাকের উপরে মাইক্রোস্কপ ধরেঃ-

সিমেনের সমুদ্রে সাঁতার কাটছেন শুক্রাণুঃ-

রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

নারী পুরুষ একে অপরের ঠোঁটে চুমু খাওয়ার সময় চোখ বন্ধ হয়ে যায় কেন?


একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের নিকটদৃষ্টি সাধারণত ২৫ সে.মি। অর্থাৎ এর চেয়ে কাছের কোনো বস্তু সে স্পষ্ট দেখতে অসুবিধা হবে।

কোনো একটা বস্তুকে চোখের একেবারে কাছাকাছি এনে দেখার চেষ্টা করুন তো! দেখতে কষ্ট হচ্ছে না? কষ্ট হবেই এবং চোখে অতিরিক্ত চাপ পড়বে যা প্রচন্ড বিরক্তিকর ব্যাপার।

দুজন মানুষ যখন একে অপরের ঠোঁটে চুমু খায় তখন অবশ্যই তাদের মধ্যকার দূরত্ব খুবই কম হয়। চোখ মেলে তাকাতে গেলে তাঁরা আসলে ঝাপসা দেখবে এবং চোখে অতিরিক্ত চাপ পড়বে।

একারণেই ঠোঁটে ঠোঁটে চুমুর সময় চোখ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

নিউরোলজিস্ট Ikenna Onwuekwe এর ভাষ্যমতে, কিস চলাকালীন সময়ে চোখ বন্ধ হওয়া এক ধরনের প্রতিবর্তী ক্রিয়া। ফলে কিস করার সময় জোর করে চোখ খুলে রাখলে তা অকওয়ার্ড অনুভূতির সৃষ্টি করবে।

আবার সাধারণত কিসিং এর সময় আমরা ভালনারেবল ফিল করি এবং লাজুক হয়ে যাই।

এটা শরীর আপদ মনে করে।

আমরা সাধারণত রিল্যাক্স ফিল করার জন্য চোখ বন্ধ করে ফেলি, রাইট?

এইক্ষেত্রেও শরীর রিল্যাক্স ফিল করার জন্য চোখ বন্ধ করে দেয়।

বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জাতি-বর্ণের নারীরা বিভিন্নভাবে সুন্দর

বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জাতি-বর্ণের নারীরা বিভিন্নভাবে সুন্দর

আপনার কাছে কোন জিনিস বা বিষয়টা খুব আশ্চর্য লাগে?

বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জাতি-বর্ণের নারীরা বিভিন্নভাবে সুন্দর—এই বিষয়টি আমার কাছে আশ্চর্য লাগে। এই সৌন্দর্যের বৈচিত্র্য সত্যি অবাক করার মতো।

ককেশীয়, মঙ্গলয়েড, নিগ্রয়েড ও অস্ট্রালয়েড—এই ৪ প্রধান জাতির ভিত্তিতে পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে ভাগ করা হয়েছে। যেমন ইউরোপ, রাশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ সাধারণত ককেশীয় জাতিভুক্ত। চীনা, জাপানি, কোরিয়ান, মঙ্গলীয়রা মঙ্গলয়েড জাতিভুক্ত। আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গরা নিগ্রয়েড জাতির অন্তর্ভুক্ত। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকার অনেক মানুষ প্রোটো-অস্ট্রালয়েড জাতির অন্তর্ভুক্ত।

একই দেশে একাধিক জাতির মানুষ থাকতে পারে যেমন ভারত ও নেপালে অস্ট্রালয়েড, মঙ্গলয়েড, নিগ্রয়েডের মিশ্রণ আছে। তবে এ নিয়ে প্রচুর বিতর্কও আছে। যেমন অনেকে দাবি করেন মধ্যপ্রাচ্যের মানুষরা ককেশীয় নয় অথবা ভারতীয়রা অস্ট্রালয়েড নয় ইত্যাদি। আমরা সে বিতর্কে না গিয়ে বরং বিভিন্ন দেশের নারীদের রূপবৈচিত্র্যের পার্থক্য দেখা যাক।

নরওয়ের নন্দিনী

রুশ রূপসী

ইনি ভারতীয়

আর ইনি বঙ্গললনা

এই নারী ইরানি

আর এই নারী ব্রিটিশ

ইনি পাকিস্তানি

ইনি এস্তোনীয় বিস্ময়

আর এই নারী আরবীয়

রোমানীয় মেয়ে

নাইজেরীয় কৃষ্ণ সুন্দরী

ইনি আফগান

জার্মানির মনোহরা

নেপালি কন্যা

সার্বিয়ার সুন্দরী

ইরাকি নিরুপমা

ব্রাজিলীয় তন্বী

তুর্কি রমণী

ইথিওপিয়ার কৃষ্ণ গোলাপ

ইন্দোনেশীয় রূপবতী

সিরীয় সাহসিনী

ভিয়েতনামের সুহাসিনী

আর চীনা অনিন্দিতা

ইউক্রেনের স্বর্ণকেশী

ইতালির বিড়ালাক্ষী

জাপানের মিষ্টি মেয়ে

এই নারী স্লোভেনিয়ার

আর এই নারী সুইডেনের

উজবেকিস্তানের উজবেক

ইনি কিরগিজস্তানের কিরগিজ

শ্রীলঙ্কার লাস্যময়ী

স্পেনের সুনয়না

মিশরীয় তুলনাহীনা

নারীর নমুনা থেকে রূপবৈচিত্র্যের রকমফের কিছুটা হলেও অনুধাবন করা গেল। লক্ষ্য করলে দেখবেন বিভিন্ন জাতির নারীদের ত্বক, চুল, চোখ, দাঁত, চিবুক, চোয়াল প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। এ বৈচিত্র্য এক আশ্চর্যের বিষয়ই বটে।