Translate

শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০

মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী ঘি

মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী ঘি

মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী ঘি
মাইগ্রেন কেবল একটি সাধারণ ধরণের মাথাব্যথা নয়। এটি আরও তীব্র এবং বারবার ফিরে আসে, বিশেষত কেবল মাথার একপাশে অনুভূত হয়। আপনি বা আপনার কাছের কেউ যদি মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে এটি নিশ্চয়ই জানেন, মাইগ্রেন সহ্য করা কতটা কষ্টকর!
হরমোন পরিবর্তন, স্ট্রেস এবং অ্যালকোহল গ্রহণ- এমন একাধিক কারণে মাইগ্রেন বাড়তে পারে এবং তিন ঘণ্টা থেকে কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষ কিছুটা স্বস্তির জন্য ওষুধের দিকে ঝোঁকেন, তবে কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে, যা আপনাকে মাইগ্রেন থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে।
দীর্ঘদিন থেকেই ঘি আমাদের খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে আছে। ঘি ডার্ক সার্কেল, ঠোঁট ফাটা, শুষ্ক ত্বক এবং শুষ্ক চুলের চিকিৎসাও ব্যবহৃত হয়। মজার বিষয় হল, এটি মাইগ্রেনের চিকিৎসার একটি কার্যকরী প্রতিকার।
মাইগ্রেনের চিকিৎসার জন্য কীভাবে ঘি ব্যবহার করবেন:
ঘি গলিয়ে নিন এবং নাকের ছিদ্রে ২-৩ ফোঁটা গরম ঘি দিন। মাইগ্রেন বা মাথাব্যথার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি দিনে দুইবার এটি করতে পারেন।
মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আরও কয়েকটি জিনিস আপনি করতে পারেন:
* প্রচুর পানি পান করুন। ডিহাইড্রেশন মাথা ব্যথার বড় কারণ।
* প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান। নিদ্রাহীনতা মাইগ্রেনের সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
* প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
* প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। খাবারের সময় ওঠানামা মাইগ্রেন বাড়িয়ে তুলতে পারে।

জেনে নিন ত্বক ও চুলের নানা সমস্যায় আমলকীর জাদুকরী গুণাগুণ

জেনে নিন ত্বক ও চুলের নানা সমস্যায় আমলকীর জাদুকরী গুণাগুণ

জেনে নিন ত্বক ও চুলের নানা সমস্যায় আমলকীর জাদুকরী গুণাগুণ!
আমলকী একটি অতিপরিচিত এক বস্তু। এটি জাদুকরী গুণাগুণ ত্বক ও চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে সহজেই। 
আসুন জেনে নেওয়া যাক রূপচর্চায় ভেষজ গুণসম্পন্ন আমলকী ব্যবহারের কিছু টিপস-
ব্রণের দাগ দূর করতে: প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণের দাগ দূর করতে সহায়তা করে আমলকী। আমলকীর রস মুখে মেখে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে নিতে হবে ঊষ্ণ পানিতে। অনুভূতিপ্রবণ ত্বক হলে আমলকীর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন সামান্য পানি। ভালো ফলের জন্য ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত।
মুক্তি মিলবে মরা ত্বক থেকে: স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পাওে আমলকীর রস। এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক সজীব ও টানটান করতে সহায়তা করে। এক চামচ আমলা পাউডার গরম পানিতে মিশিয়ে তৈরি করা পেস্টে মুখ স্ক্রাব করতে হবে। স্ক্রাব করার পাঁচ মিনিট পর মুখ ধুয়ে নিলেই হলো। এই পেস্টের সঙ্গে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
চুল পড়া রোধে: চুল পড়া বন্ধ করতে আমলকী বেশ কার্যকর। প্রয়োজনীয় পরিমাণ শুকনো আমলকী পানিতে নিয়ে গরম করম করতে হবে। আমলকী ভালোভাবে সেদ্ধ হলে তা চটকে পেস্ট করে নিতে হবে। এই পেস্ট চুলের গোড়া ও পুরো চুলে লাগিয়ে কিছু সময় রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করতে হবে এই প্যাক। ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর জন্য শুধু আমলকীর রসও ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে আমলকীর রস চুলে লাগিয়ে আধাঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিতে হবে।
আমলকীর তেল তৈরির ঘরোয়া পদ্ধতি: তেল তৈরির জন্য প্রয়োজন টাটকা আমলকী ও নারকেল তেল। প্রথমে এক কাপ আমলকী ভালোভাবে ধুয়ে বিচি ছাড়িয়ে নিয়ে মিক্সারে গুড়ো করে নিতে হবে। এতে পানি ব্যবহার করা যাবে না।
এরপর একটি পাত্রে এক কাপ নারকেল তেল চুলায় গরম করতে দিতে হবে। তেল গরম হলে এতে দিয়ে দিতে হবে আমলকীর গুড়ো।
আমলকীর গুড়ো মিশ্রিত নারকেল তেল ফুটে ওঠার ১০-১৫ মিনিট পর তেল চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে কাঁচের জারে রাখতে হবে।
এই তেল চুলের গোড়া ও চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর চুল ধুয়ে নিতে হবে ভালো ব্র্যান্ডের মাইল্ড শ্যাম্পুর সাহায্যে।

জেনে নিন কাঁঠালের বিচির গুণাগুণ

জেনে নিন কাঁঠালের বিচির গুণাগুণ


জেনে নিন কাঁঠালের বিচির গুণাগুণ
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। এটি শুধু বাংলাদেশে নয়,  এশিয়াজুড়েই খুব জনপ্রিয় একটি ফল। দেশে কাঁঠালের এখন ভর মৌসুম চলছে। প্রোটিন, ভিটামিন ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ এই ফল গরমে শরীর সুস্থ রাখার পক্ষে একেবারে আদর্শ। 

তবে শুধু ফলেই নয়, গুণ রয়েছে বিচিতেও। গবেষণা বলছে, কাঁঠালের বিচি খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টো অনেক উপকার হয়। কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে থায়ামিন, রাইবোফ্লেবিন নামে দুটি উপাদান, যা দেহে এনার্জির ঘাটতি দূর করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের তথ্যানুযায়ী, প্রতি ১০০ গ্রাম আহার উপযোগী কাঁঠালের বিচিতে শক্তি পাওয়া যায় ৯৮ ক্যালরি। এতে কার্বোহাইড্রেট ৩৮.৪ গ্রাম, প্রোটিন ৬.৬ গ্রাম, ফাইবার ১.৫ গ্রাম, চর্বি ০.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ০.০৫ থেকে ০.৫৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ০.১৩ থেকে ০.২৩ মিলিগ্রাম, আয়রন ১.২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম ও পটাসিয়াম ৪.০৭ মিলিগ্রাম রয়েছে।
কাঁঠালের বিচি ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন বি-১২ এর ভালো উৎস। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, থায়ামিন, নায়াসিন, লিগন্যান, আইসোফ্ল্যাভোন ও স্যাপোনিনের মতো ফাইটো ক্যামিক্যালস।
কাঁঠালের বিচি বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। তারকারি হিসেবে কিংবা ভর্তা করেও খাওয়া যায়। অনেকেরই পছন্দ কাঁঠাল বিচির হালুয়া। যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন পুষ্টিগুণ একই।

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঢেঁড়শ

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঢেঁড়শ


রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঢেঁড়শ
ঢেঁড়শ
ঢেঁড়শে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সি রয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত আয়োডিন, ভিটামিন এ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে। ফলে ঢেঁড়শ চাষ করলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক উপকারিতাও রয়েছে। কমবেশি সারা বছরই খাওয়া হলেও ঢেঁড়শের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেরই হয়তো জানা নেই। পুষ্টিগুণে ভরপুর এ সবজির রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা-
ঢেঁড়শের স্বাস্থ্য উপকারিতা:
শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে: ঢেঁড়শে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। অ্যাজমার লক্ষণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে এবং অ্যাজমার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ঢেঁড়শ বেশ উপকারী।
কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: ঢেঁড়শের উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেলসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে।
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ ছাড়া আরও প্রয়োজনীয় মিনারেল যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ; যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়: ঢেঁড়শের মধ্যে রয়েছে সলিউবল ফাইবার (আঁশ) পেকটিন; যা রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলকে কমাতে সহায়তা করে এবং অ্যাথেরোসক্লোরোসিস প্রতিরোধ করে।
ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে: ঢেঁড়শ ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে শরীরের টিস্যু পুনর্গঠনে ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
বিষণ্ণতা দূর করে: ঢেঁড়শ বিষণ্ণতা, দুর্বলতা এবং অবসাদ দূর করতে সহায়তা করে।
দৃষ্টি ভালো রাখে: ঢেঁড়শে আছে বেটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লিউটিন; যা চোখের গ্লুকোমা, চোখের ছানি প্রতিরোধে সহায়তা করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকরী উপায়

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকরী উপায়


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকরী উপায়
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে অল্প অসুস্থতাতেও মানুষ খুব সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগের আক্রমণও জোরালো হয়। মানুষ কীভাবে সুস্থ থাকতে পারে এবং কোন উপায়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে, সেটি নিয়ে নানামুখী গবেষণা হয়েছে বিশ্বজুড়ে। এক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন-যাপনের পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে, মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। প্রতিদিনই এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আমাদের দেশের পরিস্থিতিও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায় আমাদের উচিত প্রতিরোধের দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া এবং এ জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো।  
মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ভর করে ভিটামিন এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট-এর উপর।
দুগ্ধজাত খাবার
দুগ্ধজাত খাবারগুলো বিজ্ঞানের ভাষায় প্রোবায়েটিকস হিসেবে পরিচিত। যেমন- দই, ঘোল, ছানা ইত্যাদি।
মানুষের পাকস্থলিতে যে আবরণ আছে, সেটার ভেতরে বেশ কিছু উপকারী জীবাণু কার্যকরী হয়।দুগ্ধজাত খাবারগুলোর পাকস্থলীতে উপকারী জীবাণুকে বাঁচিয়ে রাখে। ভিটামিন ডি এর জন্য দিনের কিছুটা সময় শরীরে রোদ লাগাতে হবে। এটা খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনাচরণের সাথে সম্পৃক্ত।
 
ভিটামিন 'বি' এবং 'সি' জাতীয় খাবার
এই ভিটামিনগুলো পানির সাথে মিশে যায়। এগুলো শরীরে জমা হয়না। এই ভিটামিনগুলো পানিতে মিশে যাওয়ার কারণে প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে যায়।
শরীরের নার্ভ-এর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই দুই ধরণের ভিটামিন কাজ করে।
শরীরের ভেতরে বিক্রিয়ার কারণে যেসব সেল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেগুলো সারিয়ে তুলতে কাজ করে ভিটামিন সি।
দুধ এবং কলিজার মধ্যে ভিটামিন বি আছে। টক জাতীয় যে কোন ধরণের ফল- লেবু, আমলকী, কমলা, বাতাবিলেবু এবং পেয়ারাতে ভিটামিন সি আছে। 
নিয়মিত ব্যায়াম অথবা শারীরিক পরিশ্রম
নিয়মিত ব্যায়াম অথবা অন্য যে কোন ধরণের শারীরিক পরিশ্রম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে শারীরিক পরিশ্রমের সম্পর্ক আছে। একজন মানুষ যখন শারীরিক পরিশ্রম করে তখন শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করে।
শরীরের মাংসপেশি এবং হৃদযন্ত্র অনেক কার্যকরী হয়। একই সাথে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
ফলে শরীরের দূরতম প্রান্ত পর্যন্ত অক্সিজেন পৌঁছবে। তখন শরীরের কোষগুলোতে শক্তি উৎপাদন শুরু হবে। 

করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ১০টি কার্যকর উপায় নিচে আলোচনা করা হলো। 
খাদ্যভ্যাস: সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল খান। ফলের রসের পরিবর্তে গোটা ফল চিবিয়ে খেলে ভালো। এতে পুষ্টি সাথে ফাইবারও পাওয়া যাবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, ৮ থেকে ১০ গ্লাস। ফাস্টফুড, তেল-চর্বি ও মসলা জাতীয় খাবার যতটুকু সম্ভব পরিহার করুন।
ভিটামিনস ও মিনারেল: রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন সি: প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে টক জাতীয় ফল, যেমন- লেবু, কমলা, মাল্টা, আমড়া, জাম্বুরা ইত্যাদি। এ ছাড়াও বাজারে ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়, যা ফ্লু উপসর্গে আপনি দিনে ১-২ বার চুষে খেতে পারেন। তবে প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া ভিটামিন সি-এর কার্যকারিতা বেশি।
ভিটামিন ডি: এর প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে সূর্যরশ্মি। যা সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শরীরের কিছু অংশ উন্মুক্ত করে (যেমন মুখমণ্ডল, হাত বা ঘাড় ইত্যাদি) আপনি কাজে লাগাতে পারেন। এ ছাড়াও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন- ডিমের কুসুম, মাছের তেল, ওমেগা, গরুর কলিজা, চিজ এগুলো খেতে পারেন।
জিংক: ফ্লু বা সর্দি-কাশি উপসর্গে জিংকের বেশ উপকারিতা রয়েছে। জিংক-সমৃদ্ধ খাবারগুলো হচ্ছে আদা, রসুন, ডাল, বিন্স, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ ইদ্যাদি। বাজারে লজেন্স আকারে জিংক সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন ২-৩ ঘণ্টা পর পর।
৩. মধু: মধুতে এমন কিছু জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান রয়েছে, যেমন হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, নাইট্রিক অক্সাইড)। তাই ফ্লু উপসর্গে মধু বেশ উপকারী। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সাবধানে খেতে হবে।
৪. প্রোবায়োটিকস: যেমন দই, চিজ ইত্যাদি খাবারে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৫. মানসিক চাপমুক্ত থাকুন: অতিরিক্ত মানসিক চাপে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে ফেলে। তাই মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। টিভি, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে খবরগুলো আপনাকে মানসিক চাপে ফেলছে, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন। পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে ভালো সময় কাটান, গান শুনুন, বই পড়ুন, মুভি দেখুন বা নতুন কিছু শিখতে মনোনিবেশ করুন। মেডিটেশন একটি খুব ভালো উপায় মনকে শান্ত রাখার।
৬. শরীরচর্চা: শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শরীরচর্চা অপরিহার্য। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন আমরা সবাই ঘরে অবস্থান করছি। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট এবং বাচ্চাদের অন্তর ১ ঘণ্টা শরীরচর্চা করা উচিত। ঘরে থেকে আপনি যা করতে পারেন হাঁটাহাটি, সাইক্লিং, ইয়োগা, ওয়েট শিফ্টিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা, এমনকি নফল নামাজ পরাও আপনার শরীর চর্চার উপায় হতে পারে।
৭. ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা: বিশেষ করে ধূমপান, সরাসরি আপনার শ্বাসতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যেহেতু করোনা ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের রোগ, এতে সংক্রমের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই ধূমপান বাদ দিন।
৮. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা: শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অটুট রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিকল্প নেই। খাবার পরিমিত খান ও শরীরিকভাবে সচল থাকুন।
৯. ঘুম: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘণ্টা করে ঘুমনোর চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই জরুরি। 
১০. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: আমরা যদি করোনা ভাইরাস রোগের সংক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচাতে চাই নিজের ও আশপাশের পরিবেশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। নির্দিষ্ট সময় পর পর হাত সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্যবহার্য জিনিপত্র জীবাণুনাশক পদার্থ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। দরজার হাতল, সুইচ, লিফ্টের বাটন জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার রাখুন ও মাস্ক ব্যবহার করুন।

কোষ্ঠকাঠিন্যে থেকে নিস্তার পেতে ৩ অব্যর্থ ঘরোয়া উপায়

কোষ্ঠকাঠিন্যে থেকে নিস্তার পেতে ৩ অব্যর্থ ঘরোয়া উপায়


কোষ্ঠকাঠিন্যে থেকে নিস্তার পেতে ৩ অব্যর্থ ঘরোয়া উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরিকল্পিত ডায়েট, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা বংশানুক্রমিক। সময়মতো যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এই সমস্যা কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই সময় থাকতেই এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি।
ওষুধপত্রের চেয়ে প্রকৃতিতে থাকা উপাদান এক্ষেত্রে অনেক বেশি কাজে দেয়। ভয় থাকেনা কোনও রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ারও। এবার জেনে নিন ৩টি আয়ুর্বেদিক উপায় যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্য দূর করতে একেবারে অব্যর্থ-
  
প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে একটি খোসাসহ গোটা আপেল খেয়ে নিন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় উপকার পাবেন।
  
রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এক কাপ সামান্য উষ্ণ পানি খান। এই ভাবে উষ্ণ গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস হজমের সহায়তা করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করবে।
  
একটি বড় এলাচ এক কাপ গরম দুধে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালবেলা এই এলাচটি থেঁতো করে দুধের সঙ্গেই খেয়ে ফেলুন। মারাত্মক রকমের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সকালে আর রাতে একই ভাবে এলাচ-দুধ খান। উপকার পাবেন।

হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে টমেটো

হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে টমেটো


হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে টমেটো
করোনা আবহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বলছেন প্রত্যেকে। আমেরিকার আর্কাইভ অব বায়োফিজিক্স অ্যান্ড বায়োকেমিস্ট্রির গবেষণা বলছে, টমেটোতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। ফলে এগুলি মুক্ত মূলকের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে। এ ছাড়াও টমেটোতে ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম। একটি মাঝারি আকারের টমেটোতে থাকে মাত্র ২৫ ক্যালরি। টমেটো ফাইবার সমৃদ্ধ একটি সবজি। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১২, ফোলেট, ক্রোমিয়াম এ সবই থাকে এতে। তাই পুষ্টিবিদরাও এই সবজি পাতে রাখতে বলছেন।

এই সবজিতে থাকে নানা রকমের ক্যারটিনয়েড। লাইকোপেন এবং বিটা-ক্যারোটিন। এই ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসগুলি ক্রনিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়়াও এতে রয়েছে পটাসিয়াম। এটা মাঝারি আকৃতির টমেটোতে থাকে ৩০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম। এক কাপ টমেটোর রসে যার পরিমাণ ৫৩৪ মিলিগ্রাম। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং পেশীর কার্যকলাপের সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে এই সবজির।
রক্ত চলাচলের ক্ষেত্রে জরুরি ভূমিকা রয়েছে লাইকোপেনের। এটি লিপিড পারঅক্সিডেশন কমায়। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) ও ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণও কমায় এটি। টমেটোর বিটা-ক্যারোটিন মেটাবলিক সিনড্রোমের সম্ভাবনা কমায়। এই দু’টি অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ছাড়াও নারিনজেনিন এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড থাকে টোম্যাটোতে। যেগুলি ফ্রি র‌্যাডিকালের গতিবিধি কমায়।
 
জার্নাল অব দ্য ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট বলছে, প্রস্টেট, ফুসফুস, পাকস্থলী, কোলন, রেক্টাম, খাদ্যনালী, মুখগহ্বর, স্তন, সার্ভিক্সের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় টমেটোয় উপস্থিত লাইকোপেন। ‘’টোম্যাটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, কোলনের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ক্যানসার প্রতিরোধী টমেটো রোজ খাওয়া যেতে পারে। তবে প্রচুর পরিমাণে নয়। কিডনির অসুখ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে টমেটো। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যার ক্ষেত্রেও এই সবজি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৪ দিনে বিমানবাহী রণতরীর আগুন নেভালো মার্কিন বাহিনী

৪ দিনে বিমানবাহী রণতরীর আগুন নেভালো মার্কিন বাহিনী


৪ দিনে বিমানবাহী রণতরীর আগুন নেভালো মার্কিন বাহিনীচার দিনের চেষ্টায় মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস বনোহোম রিচার্ডের আগুন নেভাভে সক্ষম হয়েছে দেশটির নৌবাহিনী। অগ্নি নির্বাপন বাহিনীর চার শতাধিক সদস্য রাত-দিন চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছে বলে এর আগে খবর এসেছিল।
আগুন নেভাতে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার ও জাহাজ ব্যবহার করা হয়েছে।
এই অগ্নিকাণ্ডে রণতরীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোনো কোনো সূত্র বলছে, চার দিন ধরে আগুনে জ্বলার কারণে এটিকে হয়তো আর মেরামতের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করে তোলা যাবে না।
মেরামতের জন্য শিপইয়ার্ডে অবস্থান করার সময় এতে আগুন লাগে। মেরামত শেষে রণতরীটির এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান নিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে যাওয়ার কথা ছিল বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
গত রবিবার সান ডিয়াগো শিপইয়ার্ডে ইউএসএস বনোহোম রিচার্ডে প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটে, এরপর তাতে আগুন ধরে যায়। আগুন ধরার পর অন্তত ৬৩ জন আহত হয়েছে।
আগুন দ্রুতগতিতে জাহাজের টাওয়ারসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এসব তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন নৌ কর্মকর্তা রিয়ার এডমিরাল ফিলিপ সোবেক।
ইউএসএস বোনোহোম রিচার্ডে নৌবাহিনীর এক হাজার সদস্য থাকার কথা কিন্তু মেরামতের জন্য শিপইয়ার্ডে অবস্থান করায় জাহাজটিতে মাত্র ১৬০ জন ক্রু ছিলেন।
মার্কিন নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহাজে আগুন লাগার পর গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ভিক্ষে করে জমানো লাখ রুপি রোদে শুকাতে দিলেন বৃদ্ধা

ভিক্ষে করে জমানো লাখ রুপি রোদে শুকাতে দিলেন বৃদ্ধা


ভিক্ষে করে জমানো লাখ রুপি রোদে শুকাতে দিলেন বৃদ্ধা
মন্দিরে মন্দিরে ভিক্ষা করে দিন কাটে তার। কয়েকদিন আগে ভাঙা বাড়িতে বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়ে। পরে ঘর পরিষ্কার করে জমানো টাকা রোদে শুকাতে দেন তিনি। এরপরই গ্রামের সবার চোখে পড়েন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালার কোট্টায়ামে। খবর নিউজ ১৮’র।
জানা যায়, ২৫ বছর ধরে ভিক্ষে করে ওই বৃদ্ধা যা টাকা পেয়েছেন তা সবই এক পোটলায় রেখেছেন। রোদে শুকাতে দিলে পুলিশ সে টাকা গুনে ব্যাংকে তার নামে অ্যাকাউন্ট খুলে জমা দিয়ে দেয়। দেখা যায় ওই পোটলায় নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া নোটও ছিল। প্রায় ৩২ হাজার রুপির মতো অচল নোট পাওয়া যায়। বাকি ১ লাখ ১০ হাজার সচল রুপি পাওয়া যায়। না খেয়ে ২৫ বছর ধরে এই টাকা সঞ্চয় করেছেন ওই বৃদ্ধা। নিজেও জানতেন না কত রুপি জমেছে!

সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০

বিরাটকে মাত্র ২১ দিন কাছে পেয়েছি, জানালেন আনুশকা শর্মা

বিরাটকে মাত্র ২১ দিন কাছে পেয়েছি, জানালেন আনুশকা শর্মা

বিরাটকে মাত্র ২১ দিন কাছে পেয়েছি, জানালেন আনুশকা শর্মা!
বিয়ের পর প্রথম ৬ মাস বিরাটের সঙ্গে মাত্র ২১ দিন কাটিয়েছি। আমি দিন গুনে রাখতাম। আর তাই যেটুকু সময় যে ক'টা দিন আমাদের দেখা হয়েছে সেই প্রতিটা মুহূর্ত ছিল আমার কাছে খুব দামি। সহজ স্বীকারোক্তি আনুশকা শর্মার।

বিয়ের পর তিনি এবং বিরাট কোহলি দু'জনেই পেশার জন্য খুব ব্যস্ত থাকতেন। দেখা বলতে ভরসা ছিল ভিডিও কল। কিংবা কখনও খুব শর্ট ট্রিপ। বিরাটের যেখানে খেলা থাকত সেখানে হয়তো আনুশকা কোনও রকমে একটা দিন ব্যবস্থা  করে দেখা করতেন বা কখনও বিরাট পৌঁছে যেতেন আনুশকা শ্যুটিং স্পটে। কিন্তু এভাবে দু'জনেই হাঁপিয়ে উঠছিলেন।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন আনুশকা শর্মা। তিনি আরও জানান, 'সকলেই ধরে নিতেন আমি যখন বিরাটের সঙ্গে দেখা করতে আসি বা ও যখন আমার সঙ্গে দেখা করতে যায় তা হল ছুটি। কিন্তু কাজের মাঝে ওভাবে ছুটি হয় না। কারণ আমরা টানা কাজ করে যেতাম। আমরা বিয়ের পর প্রথম ছ'মাস একসঙ্গে মোটে ২১ দিন থেকেছি। আমি গুনে দেখেছি। আর তাই যখন আমাদের দেখা হত তখন অন্তত একসঙ্গে লাঞ্চ বা ডিনারটা করবো সেটা তো খুবই স্বাভাবিক। এই প্রতিটা মুহূর্ত আমার কাছে ছিল খুব গুরুত্বপূরর্ণ।
আর তাই লকডাউনে এই প্রথম দু'জনে একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতে পারলেন। আড্ডা, গল্প খাওয়া ইত্যাদি তো ছিলই। সেই সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা, একসঙ্গে ওয়েব সিরিজ দেখা সবই করেছেন। তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টই এর প্রমাণ। এমনকি, এই লকডাউনে বিরাটের সঙ্গে ক্রিকেটও খেলেছেন আনুশকা
সেই সাক্ষাৎকারে বিরাট বলেন, আমরা প্রতিদিন একে অপরকে ভালোবাসি। আমাদের সম্পর্কে সবসময় প্রেমই প্রাধান্য পায়, পাচ্ছে এবং প্রেমই আমাদের সম্পর্ককে এমন ভালোবাসায় বেঁধে রেখেছে। আর তাই আমরা অনুভব করি মোটে এই কয়েকবছর নয়। জন্ম জন্মান্তর ধরে আমরা একে অপরকে চিনি আর ভালোবাসি।

শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০২০

ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়

ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়

ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়
ডাস্ট অ্যালার্জির কারণে হাঁচি, কাশি ছাড়াও চোখ-নাক থেকে অনবরত পানি ঝড়ার সমস্যা, শ্বাসকষ্ট বা ত্বকে র‌্যাশও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মুঠো মুঠো অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে! তাই ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধের বিকল্প হিসেবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগানো যেতে পারে। 
১. বেশি করে সবুজ শাক-সবজি খাওয়া। সবুজ শাক-সবজি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে অ্যালার্জির প্রবণতা কমাতেও সাহায্য করে। সবুজ শাক-সবজি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজের (মিনারেল) যোগান দেয়।
  
২. ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যায় গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে। গ্রিন টি-এর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট উপাদান অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। চোখে লাল ভাব, র‌্যাশ বেরনো ইত্যাদি রুখতে এটি অত্যন্ত কার্যকর।
  
৩. ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যায় ঘি খেয়ে দেখা যেতে পারে। ফল পাওয়া যাবে ম্যাজিকের মতো। ঘি প্রাকৃতিকভাবে যে কোনো ধরনের অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। এক চামচ ঘি তুলোয় লাগিয়ে সরাসরি র‌্যাশে আক্রান্ত ত্বকে লাগান। ত্বকের জ্বালা ভাব, অস্বস্তি অনেকটাই কমে যাবে। প্রতিদিন ১ চামচ করে ঘি খেতে পারলে ঠান্ডা লাগা বা অ্যালার্জির সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমবে।
  
৪. মাথা যন্ত্রণা, বন্ধ নাক, চোখ-নাক দিয়ে জল পড়া ইত্যাদির সমস্যায় একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল ফেলে তার ভাপ (ভেপার) নিন। এতে বন্ধ নাক খুলে যাবে, নাকের ভিতরে অ্যালার্জির কারণে হওয়া অস্বস্তিও কমে যাবে।

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে লাল আলো: গবেষণা

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে লাল আলো: গবেষণা


দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে লাল আলো: গবেষণা

ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, গাঢ় লাল আলোর টানা তিন মিনিট তাকিয়ে থাকলে দৃষ্টিশক্তি বাড়বে। অন্ধত্বের ঝুঁকি কমে যাবে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অব জেরোন্টোলজি সাময়িকীতে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লাল আলোর দিকে টানা তিন মিনিট যদি তাকিয়ে থাকা যায় তাহলে চোখের রেটিনার যেকোনো সমস্যা কমতে থাকে। বিশেষ করে বয়সজনিত কারণে যখন রেটিনা দুর্বল হতে শুরু করে, তখনই দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমতে থাকে। লো ভিশনের সমস্যা শুরু হয়। এই লাল আলোর থেরাপিতে লো ভিশনের সমস্যা দূর করা সম্ভব।
চিকিৎসকরা বলছেন, লো ভিশনের জন্য অস্ত্রোপচার বা ওষুধ নয়, প্রয়োজন লো ভিশন এইড। এটি এমন যন্ত্র, যা কোনো জিনিসকে চোখের সামনে বড় করে ধরে। কিন্তু এর চেয়েও বড় সমাধান মিলতে পারে যদি ক্ষীণদৃষ্টির সমস্যাকেই দূর করা যায়। লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে ব্যবহার করে চোখের রেটিনার শক্তি বাড়ানো যেতে পারে। গবেষকরা বলছেন, এই থেরাপি সহজ ও নিরাপদ। তবে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে এটা করা ঠিক হবে না।

পবিত্র নগরী মক্কা-মদিনার অজানা কথা

পবিত্র নগরী মক্কা-মদিনার অজানা কথা


পবিত্র নগরী মক্কা-মদিনার অজানা কথা

প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি পবিত্র হজ ও ওমরা পালনে সৌদি আরবে যান। আগত মুসল্লিরা মক্কা-মদিনার বিভিন্ন স্থান জিয়ারত করেন এবং দোয়া কবুলের স্থানসমূহ পরিদর্শন করেন। অনেকে এসব স্থানে নফল ইবাদত-বন্দেগি করে সময় অতিবাহিত করেন। চলতি বছর করোনাভাইরাসের কারণে সীমিত পরিসরে পালিত হবে পবিত্র হজ। এ বিষয়ে আজকের আয়োজন-


কাবা শরিফের তালা-চাবি
সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থিত মহান আল্লাহর ঘর পবিত্র কাবা শরিফ। পবিত্র এ ঘরের তালা-চাবির ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে কবে কখন এ তালা-চাবির ব্যবহার শুরু হয়েছে তার সুস্পষ্ট কোনো সাল তারিখ জানা নেই। এখন পর্যন্ত কাবা শরিফে ৫৮টি তালা-চাবির নিবন্ধনের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে তুরস্কের সাবেক রাজধানী ও প্রাচীন শহর ইস্তাম্বুলে তোপকাপি জাদুঘরেই রয়েছে ৫৪টি চাবি। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি জাদুঘরে রয়েছে ২টি চাবি এবং মিসরের রাজধানী কায়রোর ইসলামী আর্ট জাদুঘরে রয়েছে ১টি চাবি। আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, প্রাক ইসলামী যুগ থেকে এখন পর্যন্ত পবিত্র কাবা শরিফের চাবির দায়িত্ব একটি পরিবারের কাছেই রয়েছে। যা এখনো বর্তমান।  পরিবারটি হলো মক্কার বুন তালহা গোত্র। এ গোত্রের লোকেরা গত ১৫০০ বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বুন তালহা গোত্রের সবচেয়ে মুরব্বি এবং বয়স্ক সদস্যরাই উত্তরাধিকার সূত্রে এ দায়িত্ব প্রাপ্ত হন এবং সম্মানের সঙ্গে আমৃত্যু এ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তবে ‘বনি শায়বাহ’ নামক এক আরবি গোত্রের কাছে কাবা ঘরের চাবি রক্ষণাবেক্ষণের তথ্যও পাওয়া যায়। যা এ গোত্রের সম্মানিত ব্যক্তিদের জিম্মায় থাকে। দেড় হাজার বছর পূর্বে প্রিয় নবী এ পরিবারের কাছে কাবা শরিফের তালা-চাবি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আরোপ করেছিলেন। কাবা শরিফের চাবি রাখার জন্য কিসওয়ার কাপড় দ্বারা তৈরি বিশেষ বক্স তৈরি করা হয়।
এর মধ্যে রাখা হয় পবিত্র কাবা শরিফের চাবি। কাবা শরিফের তালা-চাবির ইতিহাস পর্যালোচনায় আরও জানা যায়, আব্বাসীয়, মামলুক ও অটোমান উসমানি খেলাফতের আমলের পর আধুনিক সৌদি আরবের জনক বাদশাহ খালেদ ইবনে আবদুল আজিজ আল সৌদ এ তালা ও চাবি পরিবর্তন করেন। তারপর ২০১২ সালেও পরিবর্তন করা হয় পবিত্র কাবা শরিফের তালা এবং চাবি। যা এখনো বর্তমান।
সারা বিশ্ব থেকে মুসলিম উম্মাহ হজ উপলক্ষে বছরে একবার এবং ওমরা উপলক্ষে বছরে প্রায় ১০ মাস পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ ও জিয়ারত করেন।

কী আছে কাবা ঘরের ভিতরে
কৌতূহল রয়েছে কী আছে পবিত্র কাবা ঘরের ভিতরে। কত বড় কাবা ঘর। এটি একটি ঘন আকৃতির ইমারত ভবন। সৌদি আরবের মক্কা শহরের মসজিদুল হারাম মসজিদের মাঝখানে অবস্থিত। আসলে মসজিদটি কাবাকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে। পবিত্র কাবা আল্লাহর ঘর। কাবার বাইরের অংশের কিছু তথ্য জানলেও কাবার ভিতরের অংশে কী কী রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানি না। ইয়াসির আহমেদ নামের এক মুসলিমের কাবা শরিফে প্রবেশ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। তিনি কাবার লাইব্রেরির জন্য একটি বই লিখেছেন। কাবার ভিতরের একটি সিন্দুকে উন্নত মানের সুরভি, কাবা ঘর মোছার জন্য কয়েকটি মখমল তোয়ালে রাখা আছে। বিভিন্ন যুগের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী কয়েকটি মশাল ও পিদিম আছে। যেগুলো বিভিন্ন রাজা-বাদশাহ পবিত্র কাবার জন্য উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। কাবার ভিতরে ডান পাশে একটি সোনার দরজা আছে। এই দরজার নাম ‘বাবুত তাওবা’। কাবার ছাদে ওঠার জন্য এটি দিয়ে কাবার সিঁড়ির দিকে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কাবা ঘর নির্মাণের একটি ফলক এখানে আছে। শিলালিপিটিতে লেখা আছে- আল্লাহর নামে শুরু, সব প্রশংসা করুণাময় আল্লাহর জন্য। যিনি উভয় জাহানের প্রতিপালক, শান্তি বর্ষিত হোক পয়গম্বরদের ওপর। আমাদের নেতা মুহাম্মদ (সা.) ও তার পরিবারের ওপর এবং তার সব সঙ্গীর ওপর। দেয়ালের ওপরের অংশে সাঁটানো সবুজ রেশমি কাপড় রয়েছে। তাতে কোরআনের বিভিন্ন আয়াত স্বর্ণখচিত করে অঙ্কিত। মেঝেতে চিহ্নিত করা সঠিক অবস্থানটি দেখা যায়। সেখানে নবী মুহাম্মদ (সা.) নামাজ পড়তেন। প্রাচীরে মার্বেল পাথরের জায়গাটিতে নবীজি ইবাদত করতেন। কাবার মাঝখানের জায়গাটিতে ওপরে দুই স্তম্ভের মাঝে লণ্ঠন ঝুলানো আছে। এ ছাড়াও, কাবার ছাদবাহী তিনটি করে কাঠের স্তম্ভ ও বিম রয়েছে। কাবার মেঝে ও দেয়াল মার্বেল পাথরে মোজাইককৃত। এ ছাড়া মর্মর পাথরের তিনটি ফলক রয়েছে। একটি দরজার ডান পাশে পূর্ব দেয়ালে, দ্বিতীয়টি উত্তর পাশের দেয়ালে, তৃতীয়টি পশ্চিম পাশের দেয়ালে।

মক্কায় দোয়া কবুলের স্থান
হজ এবং ওমরায় দোয়া কবুলের বিশেষ স্থানসমূহ পবিত্র হজ ও ওমরা পালনে মক্কা, মিনা, আরাফা, মুজদালিফা, জামারায় সফর করার সময় দোয়া কবুলের অনেক অপূর্ব সুযোগ অর্জন করেন আগত হাজীরা। হজ বা ওমরাহর জন্য ইহরামের কাপড় পরে নিয়ত করা থেকে দোয়া কবুল হওয়া শুরু হয়। হজের সফরে এমন কিছু সময় ও স্থান রয়েছে, যে সময় ও স্থানে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে। যে স্থানগুলোতে নবী-রাসুলদের দোয়া কবুল হয়েছিল বলে বর্ণিত আছে। সেসব জায়গায় দোয়া করা বাঞ্ছনীয়। মক্কা শরিফের সব স্থানে দোয়া কবুল হয়। দোয়া কবুলের উল্লেখযোগ্য কিছু স্থান উল্লেখ করা হয়েছে।
হারাম শরিফ : হারাম শরিফের সীমানা বায়তুল্লাহর পশ্চিমে জেদ্দার পথে শুয়াইদিয়া পর্যন্ত ১০ মাইল। পূর্বে জেরুজালেমের পথে ৯ মাইল, দক্ষিণে তায়েফের পথে ৭ মাইল এবং উত্তরে মদিনা শরিফের পথে ৫ মাইল।
মসজিদুল হারাম : মসজিদুল হারাম হলো কাবা শরিফের চারদিকের বৃত্তাকার মসজিদ এলাকা।
কাবা শরিফ : মসজিদুল হারামের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কালো রঙের চতুষ্কোণ আয়তাকার গৃহটিই হলো কাবা শরিফ। কাবা হলো আল্লাহর ঘর। 
হাতিম : কাবা ঘরসংলগ্ন উত্তর দিকে অর্ধবৃত্তাকার দেয়ালঘেরা স্থান ‘হাতিম’ ও ‘হুজ্জাতু ইসমাইল’। এই স্থানটুকু আগে কাবা ঘরের অন্তর্ভুক্ত ছিল। নবী করিম (সা.)-এর নবুয়ত প্রাপ্তির কিছুদিন আগে কাবা ঘরের সংস্কার করা হয়। এ সময় হালাল অর্থের অভাবে পূর্ণ কাবা নির্মাণ সম্ভব হয়নি বিধায় হাতিম অংশ বাদ রেখে নির্মাণ করা হয়েছে।  
মিজাবে রহমত : কাবাঘরের ছাদের পানি পড়ার জন্য উত্তর পাশে হাতিমের ভিতরে মাঝখান বরাবর সোনার পরনালা হচ্ছে মিজাবে রহমত।
কাবা শরিফের রোকনসমূহ : কাবাঘরের প্রত্যেক কোণকে রোকন বলা হয়। কাবাঘরের উত্তর-পূর্ব কোণকে বলা হয় রোকনে ইরাকি, উত্তর-পশ্চিম কোণকে বলা হয় রোকনে শামি এবং দক্ষিণ-পশ্চিম কোণকে বলা হয় রোকনে ইয়ামানি।
হাজরে আসওয়াদ : কাবাঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে দেয়ালে লাগানো জান্নাতি পাথর।
মুলতাজিম : হাজরে আসওয়াদ ও কাবাঘরের দরজার মধ্যবর্তী স্থান।
বাবুল কাবা : কাবা ঘরের দরজা।
মুস্তাজার : কাবার বহির্গমন দরজা। বর্তমানে দেয়াল দিয়ে বন্ধ করা আছে।
রোকনে ইয়ামানি ও হাজরে আসওয়াদের মধ্যস্থল : তাওয়াফের প্রতি চক্করে এই স্থানে পড়তে হয়, ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া হাসানাতাও, ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও; ওয়া কি না আজাবান নার।’  (সুরা-২ বাকারা, আয়াত : ২০১)।
মাতাফ : কাবা শরিফের চতুর্দিকে তাওয়াফের জন্য খোলা স্থান।
মাকামে ইবরাহিম : কাবা শরিফের পূর্ব দিকে মাতাফের মধ্যে যে পাথরখ- সংরক্ষিত আছে, যার ওপর দাঁড়িয়ে হজরত ইবরাহিম (আ.) কাবা ঘরের প্রাচীর গাঁথতেন।
সাফা : কাবা শরিফের পূর্ব পাশের নিকটতম পাহাড়। যেখান থেকে সাঈ শুরু করতে হয়।
মারওয়া : সাফা থেকে ৪৫০ মিটার দূরত্বে মারওয়া পাহাড় অবস্থিত। এখানে সাঈ শেষ হয়।
মাসয়া : সাফা ও মারওয়া এই দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী সাঈর স্থান।
মিলাইনে আখদারাইন : সাফা পাহাড় থেকে মারওয়া পাহাড়ের দিকে ৫০ গজ গেলে দেয়ালে সবুজ বর্ণের লাইট দ্বারা চিহ্নিত প্রায় ৪০ হাত স্থান।
আরাফাত : আরাফাত ময়দানে হজরত আদম (আ.)-এর সঙ্গে হজরত হাওয়া (আ.)-এর পুনর্মিলন হয়। এখানেই তাঁদের তওবা কবুল হয়। তাঁরা এই দোয়াটি পড়েছিলেন, ‘রাব্বানা জালামনা আনফুসানা, ওয়া ইল্লান তাগফির লানা ওয়াতার হামনা; লানাকুনান্না মিনাল খছিরিন।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত : ২৩)। জাবালে রহমত : দয়ার পাহাড়। এই পাহাড় আরাফাত ময়দানে অবস্থিত।

আরাফার ময়দানে উপস্থিতিই হজ
আরবি জিলহজ মাসের ৯ তারিখ জাবালে রহমতের পাদদেশে  আরাফাতের ময়দানে একত্রিত হওয়া হজের অন্যতম প্রধান বিধান। হাদিসের ভাষায়- ‘আল হাজ্জু আরাফাহ’ অর্থাৎ পবিত্র হজ হলো আরাফার ময়দানে উপস্থিত থাকা। সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ স্থানে একত্রিত হওয়া হজের অন্যতম রোকন। তাই ৯ জিলহজ জাবালে রহমত থেকে শুরু করে মসজিদে নামিরাসহ আরাফার ময়দানের চিহ্নিত সীমানার মধ্যে যে কোনো সুবিধামতো স্থানে অবস্থান গ্রহণ করার নাম হজ। আরাফাতের ময়দানে বিশ্ব মুসলিমের মহামিলন ঘটে। এ ময়দানে একত্রিত হওয়ার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট হচ্ছে- এই দিনে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত সবাই আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরআন-সুন্নার নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তওবা-ইসতেগফারের মাধ্যমে অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। সবাইকে নিষ্পাপ করে দিন। হজ পালনকারীদের হজে মাবরুর দান করুন এমন দোয়া করে থাকেন আগত হাজীরা।
ওকুফে আরাফা বা আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের প্রধান কারণ হলো, আল্লাহর মেহমানদের এ কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া যে, সৃষ্টির সূচনাতে এ পবিত্র উপত্যকায় সবার আগে রব হওয়ার স্বীকৃতিমূলক শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আল্লাহ তাআলা সেদিন আদমের পিঠ থেকে কেয়ামত পর্যন্ত যত বনি আদম আসবে, তাদের পিপীলিকার অবয়বে সৃষ্টি করে তাদের জিজ্ঞাসা করেন- আমি কি তোমাদের প্রভু নই?’ জওয়াবে সেদিন দুনিয়ার সব মানুষ আল্লাহকে প্রভু বলে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, বলেছিলেন ‘হ্যাঁ’। আল্লাহতাআলা কোরআনুল কারিমে সে ঘটনা এভাবে উল্লেখ করেছেন-‘স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ থেকে তাদের সন্তান-সন্ততি বাহির করেন এবং তাদের নিজেদের সম্বন্ধে স্বীকারোক্তি গ্রহণ করেন। বলেন, ‘আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই? তারা বলে, ‘নিশ্চয়ই; আমরা সাক্ষী রইলাম। এ জন্য যে, তোমরা যেন কেয়ামতের দিন না বল, আমরা তো এ বিষয়ে জানতাম না। কিংবা তোমরা যেন না বল। আমাদের পূর্ব পুরুষগণই তো আমাদের পূর্বে অংশী স্থাপন করেছে। আর আমরা তো তাদের পরবর্তী বংশধর। তবে কি মিথ্যাবাদীদের কৃতকর্মের জন্য তুমি তাদের ধ্বংস করবে? আর এভাবে আমি নিদর্শনসমূহ বিবৃত করে রাখি। যাতে তারা প্রত্যাবর্তন করে। প্রতি বছর ৯ জিলহজ হজের দিন বিশ্ব মুসলিম সম্মিলন ‘ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে’-উপস্থিতি সব মানুষকে সেই তাওহিদের স্বীকৃতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এ কারণেই মানুষের ইয়াওমে আরাফা তথা ৯ জিলহজকে হজের অন্যতম রোকন সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ দিন মানুষের সৃষ্টির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও স্বীকৃতির স্মরণ হলেই মানুষ আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি, তওবা-ইসতেগফারে, তাসবিহ-তাহলিল ও তাকবিরে নিয়োজিত হয়। বিশেষ করে ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হয়ে সে ইতিহাস স্মরণ করা বা স্মৃতিচারণ করা জরুরি যে, এ ময়দানেই একদিন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের থেকে তাকে প্রভু হিসেবে মেনে নেওয়ার স্বীকৃতি গ্রহণ করেছিলেন। আর আমরা তাকে প্রভু হিসেবে স্বীকার করেছিলাম। সুতরাং এই দিনে হজে গমনকারীরা ছাড়াও সারা বিশ্বের সব মুসলমানের এ প্রতিজ্ঞা করা উচিত, ‘শয়তানের দাসত্ব থেকে বের হয়ে আমৃত্যু আল্লাহকে প্রভু বলে স্বীকার করা এবং তার যাবতীয় বিধি-বিধান মেনে নিষ্পাপ জীবন-যাপন করা। মানুষের জীবন-মরণ-ইবাদত ও ত্যাগ একমাত্র আল্লাহর কাছে ন্যস্ত করা।
এ দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করতে পারলে মহান আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা না করে পারেন না। তাই ক্ষমা প্রার্থনার সঙ্গে তার তাসবিহ-তাহলিল, তাকবির ও দোয়া-দরুদের মাধ্যমে নিয়োজিত থাকা জরুরি। বিশ্বনবীর হাদিস মানুষকে ইয়াওমে আরাফার ইবাদত-ক্ষমা প্রার্থনা ও আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

মসজিদুল নববীর সবুজ মিনার
প্রিয় নবীর রওজা পাকের ওপর নির্মিত মসজিদুল নববীর সবচেয়ে বড় সবুজ মিনার। এটি মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে ঝড়তোলা স্থাপনা। এ মিনারটি কিংবা মিনারের ছবিটি দেখলেই মুমিন-মুসলমান, আশেকে রাসুলরা প্রিয় নবীর রওজা পাকের কল্পনা করেন। মসজিদুল নববীর সবুজ মিনারটির এমন অনেক তথ্য রয়েছে, যা অনেকেরই অজানা।
মিনারবিহীন প্রিয় নবীর সমাধিস্থল
৬৭৮ হিজরির আগে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ  মুস্তফা (সা.)-এর সমাধির ওপর কোনো মিনার ছিল না। ৬৭৮ হিজরি সনে আল-নাসির হাসান ইবনে মুহাম্মদ কালায়ুন সর্ব প্রথম প্রিয় নবীর সমাধিস্থলের ওপর মিনার নির্মাণ করেন। যা কাঠ দ্বারা নির্মিত ছিল।
সবুজ মিনার
প্রিয় নবীর সমাধিস্থলের ওপর নির্মিত মিনারটি গামবাদ ই খাজরা নামেও পরিচিত। আগের যুগের মানুষ নিজেদের কিংবা নিজেদের প্রিয়জনদের সমাধিস্থল সোনা-রুপা, হীরা-জহরতের সমন্বয়ে কারুকার্য করে সাজিয়ে রাখত। প্রিয় নবীর সমাধি স্থলের ওপর নির্মিত মিনার সে অর্থে সাধারণ মিনার হিসেবে নির্মিত। তাতে সেভাবে কোনো কারুকার্য করা হয়নি। সবুজ মিনারের নিচে অবস্থিত প্রিয় নবীর সমাধিটি ২ হাত প্রশস্ত ও উচ্চতা ৪১ ইঞ্চি।
মিনার অগ্নিকাণ্ড
১৪৮১ সালে ৯০০ হিজরির শুরুর দিকে মসজিদুল নববীর এ মিনারটিতে অগ্নিকা- ঘটে। সে সময় পুরো গম্বুজটিই পুড়ে যায়। যার ফলে মসজিদের ভিতরের প্রাচীরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা পরে নির্মাণ করা হয়।
মিনারের জানালা
প্রিয় নবীর সমাধিস্থল বরাবর মসজিদুল নববীর এ মিনারে একটি জানালা রয়েছে। অনেকে মিনারের এ স্থানটির বা চিহ্নটি সম্পর্কে ভিত্তিহীন গল্প বলে থাকে যে, কেউ মিনারটি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। মূলত এ জানালাটি মিনারের প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই রাখা হয়েছে।
মিনারের পরিচ্ছন্নতা
অনেকেই হয়তো মনে করে থাকেন যে, সাধারণ লোকদের দিয়েই মসজিদুল নববীর বড় মিনারটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। আসলে তা সত্য নয়। বরং এ মিনারটি পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতার কাজে সুনির্দিষ্ট বিশেষ কিছু লোক রয়েছেন। যারা প্রিয় নবীর রওজার ওপর অবস্থিত বড় মিনারটি পরিষ্কার করে থাকেন। এ লোকদের ‘ইউনুস’ বলা হয়। এ  মিনার পরিচ্ছন্নতায় এখনো পাঁচজন ইউনুস নির্ধারিত রয়েছেন।
মিনারের রং
মসজিদুল নববীর মিনারটি শুরুতে সবুজ ছিল না। কাঠ দ্বারা নির্মিত মিনারটি প্রথমে বাদামি রঙের ছিল। কিছুকাল পরে এটি সাদা রঙে পরিবর্তন করা হয়। তারপর মিনারটিতে নীল ও বেগুনি রং ব্যবহার করা হয়। ১২৫৩ হিজরিতে অটোমান সুলতানের নির্দেশে প্রিয় নবীর রওজার ওপর নির্মিত বড় মিনারটিতে সবুজ রং ব্যবহার করা হয়। যা আজও বিদ্যমান।

খেজুরের মাহাত্ম্য
সৌদি আরবে রয়েছে বাহারি স্বাদের খেজুর। খেজুরকে আরবিতে ‘তুমুর’ বলে। সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরের কাকিয়ায় খেজুরের বড় মার্কেট। মদিনা শহরেও অনেক দোকান আছে। দুই শহরের এসব দোকানে হরেক পদের খেজুর বিক্রি হয়। খেজুরের নামগুলো শ্রুতিমধুর। খেতেও দারুণ। মক্কা শহরের কাকিয়ায় বেশ কিছু দোকানে বাংলাদেশি কাজ করেন। কথায় বলে ‘মামা-ভাগনে যেখানে, আপদ নেই সেখানে’। কাকিয়ায় এমনই মামা-ভাগনের সন্ধান পাওয়া যায়। কথা বলে জানা গেছে, এক মালিকের দোকানে কাজ শুরু করেন মামা। একপর্যায়ে ওই মালিকের দোকান বড় হয়। পাশাপাশি ক্রেতার সংখ্যাও বাড়তে থাকে। এই সুবাদে মামা দেশ থেকে তার ভাগনেকে নিয়ে আসেন। মামার সঙ্গে ভাগনেও খেজুরের দোকানে কাজে লেগে পড়েন। ভাগনের নাম আল আমিন। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার পৌর এলাকায়। সৌদি খেজুরের মাহাত্ম্য সম্পর্কে বলেন, বিশ্বের অর্ধেকের বেশি খেজুর হয় সৌদি আরবে। জনপ্রিয় খেজুরগুলো হলো আজুয়া, আনবারা, সাগি, সাফাওয়ি, মুসকানি, খালাস, ওয়াসালি, বেরহি, শালাবি, ডেইরি, মাবরুম, ওয়ান্নাহ, সেফরি, সুক্কারি, খুদরি ইত্যাদি। নানাভাবে খেজুর সংরক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে একটি পদ্ধতি হলো খেজুর রোদে না শুকিয়ে গাছ থেকে কাটার পরই ফ্রিজে রাখা। আরবিতে এর নাম রাতাব। এই খেজুর খেতে বেশ সুস্বাদু। এসব খেজুর বাংলাদেশের টাকায় ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০

সেই হাদিস অনুযায়ী ওষুধ বানিয়ে করোনা চিকিৎসায় অবিশ্বাস্য সাফল্যের দাবি সৌদিতে

সেই হাদিস অনুযায়ী ওষুধ বানিয়ে করোনা চিকিৎসায় অবিশ্বাস্য সাফল্যের দাবি সৌদিতে




প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব।  এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে যখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিশ্বের আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান, তখন হাদিসে বর্ণিত উপায়ে ওষুধ বানিয়ে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার দাবি করেছে সৌদি আরবের গবেষক দল।



সহীহ বুখারী শরিফের ৫৩৬৩ নম্বর হাদিসে হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুল (সা.) বলেছেন, “কালিজিরা সকল রোগের ওষুধ কেবল বিষ ছাড়া। ” তিনি (আয়েশা) বললেন ‘বিষ’ কী? জবাবে নবী (সা.) বললেন, “মৃত্যু”।
হাদিসের এই বাণীর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘তাইবুভিড’ নামে একটি ওষুধ তৈরি করেছে মদীনার ‘তাইবাহ ইউনিভার্সিটির অ্যান্টি-কোভিড ট্রিটমেন্ট’ গবেষক দল।  আমেরিকান জার্নাল ‘পাবলিক হেল্থ রিসার্চ’ এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছে।
এই ওষুধের মূল উপাদান হল:- কালিজিরা, ক্যামোমিল ও প্রাকৃতিক মধু।
গবেষণাপত্র অনুযায়ী, এক ডোজ তাইবুভিডে রয়েছে, “এক চা চামচ (২ গ্রাম) কালিজিরা, এক চা চামচ (১ গ্রাম) ক্যামোমিল (এক ধরনের ফুল) চূর্ণ এবং এক চা চামচ প্রাকৃতিক মধু।”

খাবারের নিয়ম

এই উপাদানগুলো ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।  এরপর ভালভাবে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে হবে। 
উল্লেখ্য, এটা খাওয়ার পর জুস, কমলা ও লেবু খেলে আরও ভাল।

চিকিৎসা

• প্রথম এক সপ্তাহ প্রতিদিন পাঁচবার করে এই ওষুধ খেতে হবে।  এরপর মহামারী শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন একবার করে খেতে হবে।

• যদি তীব্র কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকে, কালিজিরা অথবা লবঙ্গ দিয়ে গরম পানির ভাপ নিতে পারেন।  অথবা কালিজিরা ও ক্যামোমিল দিয়েও গরম পানির ভাপ নেওয়া যেতে পারে।

• উপরের দুইটি উপাদানের যেকোনও একটি নেবুলাইজারে দিয়ে তা নাসারন্দ্র দিয়ে গ্রহণ করুন।

• যদি নেবুলাইজার না থাকে, সেক্ষেত্রে এক টেবিল চামচ কালিজিরা, এক টেবিল চামচ ক্যামোমিল চূর্ণ এবং এক কাপ পানি একটি পাত্রে নিয়ে গরম করে ভাপ নিতে হবে। এভাবে দিনে ৫ থেকে  ৬ বার নিতে হবে।

তাইবাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষক দলের প্রধান ডা. সালাহ মোহাম্মদ আল সাঈদ বলেন, “আমরা করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য কালিজিরা, ক্যামোমিল, লবঙ্গসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ে গবেষণার পর আশানুরূপ ফল পেয়েছি।  গবেষণার পর আমরা যা পেয়েছে, সেটি হচ্ছে- কালিজিরা এবং ক্যামোমিল করোনাভাইরাসকে পুরোপুরি দমন করতে  পারে।
তিনি আরও বলেন, “আল্লাহ তা’আলার কৃপায় যেসব করোনা আক্রান্ত রোগী এই ওষুধ গ্রহণ করেছেন, তারা খুব ভাল উপকার পেয়েছেন।  তারা এটি নিজেরা বাড়িতেই তৈরি করেছেন।”
“এই ওষুধে উপকার পেতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগেনি,” যোগ করেন তিনি। 

নতুন ডেটা সক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্যতা দিচ্ছে মাল্টি-ক্লাউড প্লাটফরম

নতুন ডেটা সক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্যতা দিচ্ছে মাল্টি-ক্লাউড প্লাটফরম

নতুন ডেটা সক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্যতা দিচ্ছে মাল্টি-ক্লাউড প্লাটফরমমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কম্পিউটার টেকনোলজি কর্পোরেশন ওরাকলের তত্ত্বাবধানে ফরেস্টার কনসাল্টিং পরিচালিত নতুন এক গবেষণায় মাল্টি-হাইব্রিড ক্লাউড প্লাটফরমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেয়া হয়েছে।




সংকটকালীন সময়ে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানাতে এবং তা পর্যবেক্ষণে সক্ষম করতে প্রয়োজনীয় অসংখ্য তথ্যকে ক্রমানুসারে সাজিয়ে রাখতে এ প্লাটফরমের গুরুত্বের কথা বলা হয়েছে।

“মুভিং দ্য নিডল: ডেটা ম্যানেজমেন্ট ফর দ্য মাল্টি-হাইব্রিড এইজ অব টেকনোলজি” শীর্ষক এ গবেষণায় বলা হয়েছে, ৬৭০ জন সিনিয়র টেকনোলজি ডিসিশন মেকারদের মধ্যে ৮২ শতাংশ মনে করেন, সঠিক ডেটা ব্যবস্থাপনা কৌশলে বিনিয়োগ করলে ব্যবসায় ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। কিন্তু ৭৩ শতাংশ স্বীকার করেন, তাদের পৃথক এবং স্বতন্ত্র ডেটা কৌশল তাদের ব্যবসায়িক অংশীদারদের প্রয়োজনীয় ডেটা সরবরাহে বাধা দিচ্ছে।  
ওরাকল সিস্টেমস, জেএপিএসি (জাপাক) এবং ইএমইএ’এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট চং হেং বলেন, “এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলো ডেটার উৎসকে সমন্বিত করতে এবং ডেটা সুরক্ষা ও পরিচালনায় শীর্ষে থাকার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ অগ্রগতি এনেছে। কিন্তু গবেষনায় আরো দেখা যাচ্ছে, এ বিষয়ে তাদের অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়াটা তাদের হয়তো মাল্টি-হাইব্রিড ক্লাউডের কিছু সুবিধা উপলব্ধি করা থেকে পিছিয়ে রাখছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর ডেটা ব্যবস্থাপনায় অনন্য সক্ষমতা এবং বৈচিত্রতা পাওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমানে মাল্টি-হাইব্রিড ক্লাউড প্রয়োজন। এমনকি, জাপান এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠানকে ডেটা ব্যবস্থাপনার এই দিকটিতে গুরুত্ব দিতে দেখা গেছে, যা ইউরোপের দুই-তৃতীয়াংশের চেয়েও বেশি। তাদের যত দ্রুত সম্ভব মাল্টি-হাইব্রিড ক্লাউড এনভায়রনমেন্টের সুবিধা বুঝতে হবে, তা না হলে ঝুঁকিতে পড়তে হবে।”
গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের আইটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গিয়ে ক্রমবর্ধমান জটিলতায় ৬৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মাল্টি-হাইব্রিড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জের সাথে লড়াই করছে। তাই, ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের তাদের আইটি খাতকে সহজ করার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়াটা খুব বেশি আশ্চর্যজনক নয়।
ওরাকল বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিশেষ করে এশিয়া প্যাসিফিক, ইউরোপ এবং মধ্য প্রাচের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানের ডেটা ব্যবস্থাপনা মূল্যায়ণ করার জন্য ফরেস্টার কনসাল্টিং’কে দায়িত্ব দেয়। ফরেস্টার ডেটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং ডেটা স্ট্র্যাটেজির দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ৬৭০ জন প্রযুক্তি এবং ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর উপর অনলাইন জড়িপ পরিচালনা করে। এছাড়াও তারা এসব অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ১০ জন সি-লেভেল এক্সিকিউটিভদের ডেটা ব্যবস্থাপনায় তাদের এপ্রোচ, ড্রাইভার এবং বেস্ট প্র্যাকটিসের সূক্ষাতিসূক্ষ বিষয় বের করে আনতে সাক্ষাৎকার নেয়।

রবিবার, ৩১ মে, ২০২০

এবার বাজারে এলো অ্যাপলের ‘ম্যাকবুক প্রো’

এবার বাজারে এলো অ্যাপলের ‘ম্যাকবুক প্রো’

এবার বাজারে এলো অ্যাপলের ‘ম্যাকবুক প্রো’
করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। করোনা মোকাবেলায় বিশ্বজুড়ে চলা লকডাউনের মধ্যেও নতুন সংস্করণের ‘ম্যাকবুক প্রো’ ল্যাপটপ বাজারে এনেছে অ্যাপল। 
দশম প্রজন্মের ইন্টেল প্রসেসরে চলা ১৩ ইঞ্চি স্ক্রিনের ল্যাপটপটিতে রয়েছে আট গিগাবাইট র‌্যাম এবং ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতা। তবে ব্যবহারকারীরা চাইলেই ল্যাপটপটিতে ১৬ বা ৩২ গিগাবাইট র‌্যাম এবং চার টেরাবাইট পর্যন্ত এসএসডি স্টোরেজ যুক্ত করতে পারবেন।
ম্যাজিক কিবোর্ড সুবিধার ল্যাপটপটির দাম এক হাজার ২৯৯ ডলার। সোমবার থেকে অনলাইনে কেনার সুযোগ মিললেও অ্যাপল স্টোরে ল্যাপটপটির দেখা মিলবে আগামী সপ্তাহে। গত মাসে নতুন সংস্করণের আইফোনও বাজারে এনেছে অ্যাপল।

শনিবার, ৩০ মে, ২০২০

একসঙ্গে ২৫০ জনের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সুবিধা পাওয়া যাবে!

একসঙ্গে ২৫০ জনের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সুবিধা পাওয়া যাবে!


একসঙ্গে ২৫০ জনের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সুবিধা পাওয়া যাবে!
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ঠেকাতে দেশে দেশে চলমান লকডাউনে ঘরবন্দী মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা বেড়েছে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপের। অনেকই অ্যাপই অনলাইনে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করেছে। এর মধ্যে শুরুতে জুম অ্যাপের জয়জয়কার থাকলেও নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে যায় সেটি। এতে মাইক্রোসফট, গুগলের মতো টেক জায়ান্ট এমন অ্যাপ সুবিধা নিয়ে আসে। এবার মাইক্রোসফটের ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ মাইক্রোসফট টিমে ২৫০ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আগে এই সুবিধা ১০০ জনের মধ্যে সীমাবন্ধ ছিল। 
গতকাল বুধবার এই ঘোষণার মাধ্যমে মাইক্রোসফট আশা করছে যে, এটি গুগল মিট এবং জুম অ্যাপের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে।  লকডাউনের কারণে বাড়ি থেকে কর্মরত বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ ব্যবহার করছেন। এছাড়া এর সাহায্যেই অনলাইনে চলছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনাও। বর্তমানে এমএস টিমে ৭৫ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। তবে ২০ জন অংশগ্রহণকারী বিনামূল্যে এই ভিডিও কনফারেন্সিং-এর সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ফিচারটি চলে আসবে।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য এলো ফেসবুক শপস

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য এলো ফেসবুক শপস


ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য এলো ফেসবুক শপস
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসা প্রসারের জন্য ‘ফেসবুক শপস’ নামে নতুন একটি ফিচার চালু করেছে। ফেসবুকের মালিকানাধীন ইন্সটাগ্রামেও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অনলাইন শপ চালু করে ব্যবসা করতে পারবেন উদ্যোক্তারা।

ফেসবুকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জুকারবার্গ বুধবার নিজ আইডি থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে ফেসবুক শপের ঘোষণা দেন। ফেসবুক শপ ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে বলে জানালেও কোন কোন দেশ বা অঞ্চলে এখন পর্যন্ত এটি কার্যকর করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি মার্ক।
মার্ক জুকারবার্গ বলছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা সম্ভব হচ্ছে না। একইসঙ্গে যে অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এতে অনেকেই চাকরি হারাচ্ছেন। এমন প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীরা অনলাইন শপ এর প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। 
ফেসবুক শপ এর ধারণা দিয়ে মার্ক জুকারবার্গ জানান, ফেসবুক শপ চালু করা খুবই সহজ এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা যাবে এটি। ফেসবুক শপ চালুর সঙ্গে সঙ্গে এটি ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রামে চালু হবে। আর দ্রুতই এই সুবিধা আসতে যাচ্ছে মেসেঞ্জার এবং হোয়াটস অ্যাপেও।
ক্ষুদ্র এবং স্থানীয় উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীদের ফেসবুক শপের সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে শপিফাই, বিগ কমার্স, উ-কমার্স, ক্যাফে ২৪, ফেডনমিক্স এর মতো প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেও অংশীদারিত্বে ফেসবুক কাজ করছে বলে জানান মার্ক।
অদূর ভবিষ্যতে ফেসবুক শপসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং অগমেন্টেট রিয়েলিটি (এআর) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এতে ফেসবুক ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন শপসের পণ্য সম্ভাব্য গ্রাহকদের দেখানো হবে। অগমেন্টেট রিয়েলেটি এর মাধ্যমে ক্রেতারা অনলাইনেই বাস্তব কেনাকাটার মতো অভিজ্ঞতা পাবেন। 
জুকারবার্গ বলছেন, ফেসবুকের এসব টুলস ব্যবহার করে ঘরে লিভিং রুমে বসেই পুরোদস্তুর একটি সুপার শপ চালাতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। 
একই সাথে গ্রাহকদের রিয়েল টাইম শপিং করার অভিজ্ঞতা দিতে চালু করা হবে লাইভ ফিচারস।

শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়া জরুরি

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়া জরুরি

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়া জরুরি
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকলে বিভিন্ন রোগ ও সংক্রমণ থেকে বাঁচা যায়। ভিটামিন সি শরীরের এই ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

যেসব খাবারে পাওয়া যায়
বিভিন্ন ফল ও সবজিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যেমন ফলের মধ্য়ে আছে কিউই, লেবু, কমলা, পেঁপে, পেয়ারা, আঙুর, জাম্বুরা, আমলকী, আমড়া, স্ট্রবেরি। আর সবজির মধ্যে ব্রাসেলস স্প্রাউট, ব্রকোলি, মরিচ এসব। তবে মনে রাখতে হবে ভিটামিন সি তাপ-সংবেদনশীল। তাই রান্নার সময় একটু সতর্ক থাকতে হবে।
উপকারিতা
শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে ভিটামিন সি। সাধারণ সর্দি-কাশিতেও এটি অনেক উপকারী। এছাড়া ত্বক, দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে ভিটামিন সি।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, টিউমার, ক্যানসারসহ নানান কঠিন অসুখের জন্য দায়ী ফ্রি-র‌্যাডিক্য়াল, যা ফরমালিন ও কীটনাশকযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে। এছাড়া দূষিত পরিবেশে বসবাস, অনেক বেশি ফাস্টফুড খাওয়া, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণেও শরীরে ফ্রি-র‌্যাডিক্য়াল তৈরি হয়। ভিটামিন সি-র মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এসব ফ্রি-র‌্যাডিক্য়ালের ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমিত করতে পারে।
কোলাজেন তৈরি
আমাদের শরীরের মাংসপেশী, হাড়, রক্তনালী, পরিপাকতন্ত্র ও ত্বকে কোলাজেন প্রোটিন রয়েছে। এটি কোষের স্বাস্থ্য ও স্থিতিস্থাপকতা ঠিক রাখে। বয়স হলে কোলাজেনের পরিমাণ কমতে থাকে। তাই তখন ত্বক ঝুলে যেতে শুরু করে। ভিটামিন সি এই কোলাজেন তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
লড়াই
সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে শরীরে ভিটামিন সি দরকার। কারণ শরীরের কোনও অংশে সংক্রমণ দেখা দিলে সেখানে রোগ-প্রতিরোধী কোষ পাঠাতে সহায়তা করে ভিটামিন সি।
স্কার্ভি থেকে মুক্তি
ভিটামিন সি-এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হতে পারে। সম্ভাব্য প্রাণঘাতী এই রোগের লক্ষণগুলো হচ্ছে ক্ষত তাড়াতাড়ি না শুকানো, চুল ও দাঁত পড়া, কালশিটে দাগ পড়া ও জয়েন্টে ব্যাথা। স্কার্ভি থেকে বাঁচতে প্রতিদিন ১০ মিলিগ্রাম সমপরিমাণ ভিটামিন সি খাওয়া যথেষ্ট।
প্রতিদিন কতটুকু খাওয়া উচিত?
জার্মানির পরামর্শক সংস্থার হিসেবে একজন পুরুষের দৈনিক ১১০ মিলিগ্রাম ও একজন নারীর ৯৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দেন। 

গ্রেফতার করলেও কারখানা খোলা রাখব: টেসলা প্রধান

গ্রেফতার করলেও কারখানা খোলা রাখব: টেসলা প্রধান


গ্রেফতার করলেও কারখানা খোলা রাখব: টেসলা প্রধান
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের। 
এমন পরিস্থিতির মাঝেই স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করে ক্যালিফোর্নিয়ার আলামেডা কাউন্টিতে অবস্থিত ফ্রিমন্ট কারখানা খুলে দিয়েছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির মালিক বলছেন, কারখানায় পুলিশ গেলে তিনি নিজে গ্রেফতার হবেন। 
মাস্ক গত মাস থেকে লকডাউনের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এর মধ্যে গত শনিবার আলামেডা কাউন্টির বিরুদ্ধে মামলা করে দেন। অভিযোগে কাউন্টির কর্মকাণ্ডকে তিনি ‘ক্ষমতা-দখলের’ সঙ্গে তুলনা করেন। পাশাপাশি হুমকি দেন, খুলতে না দিলে কারখানা নেভাডা অথবা টেক্সাসে সরিয়ে নেবেন।
টেসলা প্রধান বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়া গভর্নরের কাছে কারখানা খোলার অনুমতি চান। রবিবার তিনি জানিয়ে দেন, কারখানায় শ্রমিক যাচ্ছে।
মাস্ক সোমবার টুইটে লিখেছেন, ‘শ্রমিকদের সঙ্গে আমি কাজে নামব। কেউ গ্রেফতার হলে সেটা হব শুধুমাত্র আমি।’

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল