Translate

রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

আপওয়ার্কে কাজের সাফল্য হিসাব করা হয় যেভাবে

আপওয়ার্কে কাজের সাফল্য হিসাব করা হয় যেভাবে

           
ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং কাজ পাওয়ার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট আপওয়ার্কে কীভাবে কাজের সাফল্যের (জব সাকসেস স্কোর) হিসাব করা হয়, এটা নিয়ে অনেকের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দেয়। আগে যখন ওডেস্ক এবং ইল্যান্স (ওডেস্ক ও ইল্যান্স মিলে বর্তমানে আপওয়ার্ক) ছিল, তখন শুধু গ্রাহকের মন্তব্যের (ফিডব্যাক) রেটিং গণনা করা হতো। আপওয়ার্ক হওয়ার পর থেকে আর শুধু ফিডব্যাক গণনা করা হয় না। এখন জব সাকসেস স্কোর হিসাব করা হয়। জব সাকসেস স্কোর অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। জব সাকসেস স্কোর = সব ফিডব্যাক (পাবলিক ও প্রাইভেট) + দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক, চুক্তির পুনরাবৃত্তি ‍+ কোনো কাজ ছাড়া চুক্তি, পর্যাপ্ত ফিডব্যাকের ঘাটতি। জব সাকসেস স্কোর = (চুক্তির সফল বাস্তবায়ন - নেতিবাচক ফলাফল)/মোট কাজের ফলাফল আপওয়ার্ক প্রতি ১৪ দিন পরপর রোববারে ৬ মাস, ১২ মাস এবং ২৪ মাসের জব সাকসেস স্কোর আলাদাভাবে হিসাব করে। যে স্কোরটি বেশি হয় সেটি ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইলে যোগ করে। জব সাকসেস স্কোর ৯০ বা তার চেয়ে বেশি হলে অনেক ভালো হিসেবে গণ্য হয়। ৭৫ বা এর কম হলে খারাপ হিসেবে গণ্য হয়। জব সাকসেস স্কোর ৭৫-এর চেয়ে কমে গেলে নতুন কাজ পেতে অনেক সমস্যা হয়।
দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি এবং চুক্তির পুনরাবৃত্তি স্কোর বাড়ায়: কোনো চুক্তি যদি অনেক দিন ধরে চলে এবং নিয়মিত কাজের পারিশ্রমিকের লেনদেন হয়, তবে স্কোর বাড়ায়। আবার একই গ্রাহক বারবার কাজ দিলেও স্কোর বাড়ে।
বাজে গ্রাহকের ফিডব্যাক গণনা করা হয় না: যেসব গ্রাহক সব ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গেই বাজে ব্যবহার করে এমন ক্লায়েন্টদের ফিডব্যাক গণনা করা হয় না এবং তাদের অ্যাকাউন্ট আপওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়।
লেনদেন হয় না এমন চুক্তি স্কোর কমিয়ে দেয়: কোনো একটা চুক্তির কাজ শুরু হওয়ার পর যদি পেমেন্ট লেনদেন না হয় তাহলে নির্দিষ্ট একটা সময় পর এটা স্কোর কমিয়ে দেয়। তাড়াতাড়ি এই কন্ট্রাক্টটি শেষ করে এই সমস্যা থেকে বাঁচা যায়।
ফিডব্যাক ছাড়া চুক্তি শেষ হলে কমে যায়: মাঝেমধ্যে ফিডব্যাক ছাড়া চুক্তি শেষ হলে কোনো সমস্যা হয় না, কিন্তু নিয়মিত ফিডব্যাক ছাড়া চুক্তি শেষ হলে স্কোর কমে যায়। গ্রাহককে অনুরোধ করে ফিডব্যাকসহ কন্ট্রাক্ট এন্ড করলে এই সমস্যা থেকে বাঁচা যায়।

পেপ্যাল নিয়ে ফ্রিল্যান্সাররা কী ভাবছেন

পেপ্যাল নিয়ে ফ্রিল্যান্সাররা কী ভাবছেন

           
অবশেষ বাংলাদেশে চালু হচ্ছে অনলাইন-ভিত্তিক অর্থ লেনদেনসেবা পেপ্যাল। পেপ্যালের সঙ্গে কিছুদিন আগে চুক্তি করেছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক। জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের পক্ষে উপমহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা এ চুক্তিতে সই করেন। প্রথমে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে খসড়া চুক্তিতে সই করে তা পাঠানো হয় পেপ্যালের সদর দপ্তরে। সেখান থেকে পেপ্যালের পক্ষে চুক্তিতে সই করা হয়েছে বলেও সোনালী ব্যাংক জানিয়েছে। এর ফলে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং কাজে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা। বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু হওয়ার ব্যাপারে কথা বলেছেন কয়েকজন সফল ফ্রিল্যান্সার।
পেপ্যাল এলে ফ্রিল্যান্সারদের অর্জিত টাকা দেশে আনতে সুবিধা হবে l কৃতজ্ঞতা: লুমেক্স আইটি, ছবি: খালেদ সরকারপেপ্যাল এলে ফ্রিল্যান্সারদের অর্জিত টাকা দেশে আনতে সুবিধা হবে l কৃতজ্ঞতা: লুমেক্স আইটি, ছবি: খালেদ সরকারদেশে অর্থ আনার একটি অতিরিক্ত মাধ্যম যোগ হবেএমরাজিনা ইসলামফ্রিল্যান্সার। বেসিসের আউটসোর্সিং পুরস্কারপ্রাপ্তপেপ্যাল আসছে, এমন খবর আমরা আগেও অনেকবার শুনেছি। কিন্তু এবার মোটামুটি নিশ্চিত হতে পেরেছি পেপ্যাল আসছে। এটি আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ। কারণ, টাকা আনার একটি অতিরিক্ত মাধ্যম আমরা পেতে যাচ্ছি। কিন্তু আমি জানি না বাংলাদেশে পেপ্যাল কেমন ফি কাটবে। আমি বর্তমানে পেওনিয়ার মাস্টার কার্ডে এবং ওয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে সরাসরি ব্যাংক হিসাবে টাকা আনছি। পেওনিয়ারের চার্জের চেয়ে যদি পেপ্যালের চার্জ বেশি হয়, তবে পেপ্যালে টাকা আনব না। চার্জ কম রাখলে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেক ভালো হবে। যেসব মাধ্যম আছে টাকা আনার, তার মধ্য থেকে পেপ্যালের পরিচিতি অনেক বেশি, এটি সব দেশে অ্যাকসেস আছে। তা ছাড়া অনলাইন কেনাকাটার জন্য পেপ্যাল খুবই ভালো একটি মাধ্যম হবে। খুব সহজেই কেনাকাটা করা যাবে। মাঝে আমি কিছুদিন একটা মার্কিন ওয়েবসাইটে ছবি বিক্রির জন্য দিয়েছিলাম। সেখানে শিল্পীরা তাঁদের আঁকা ছবি বিক্রি করতে পারেন। কিন্তু বিক্রির টাকা আনার একমাত্র মাধ্যম ছিল পেপ্যাল।
ই–কমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য আশীর্বাদ
মাহফুজা সেলিম
ফ্রিল্যান্সার। বেসিসের আউটসোর্সিং পুরস্কারপ্রাপ্ত
পেপ্যাল একটি সহজ, নিরাপদ ও সর্বাধিক ব্যবহৃত অর্থ লেনদেনের মাধ্যম। অধিকাংশ বিদেশি ক্রেতা এতে লেনদেন করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। যখনই আমরা জানাই যে আমাদের দেশে পেপ্যাল কাজ করে না, তখন তাঁরা পাশের দেশ বা অন্য কোথাও থেকে কাজটি করিয়ে নেন। এটি হয়তো তাঁর মনে একধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেখানে পেপ্যালের মতো একটি সাধারণ লেনদেনব্যবস্থা নেই, সেখানে কাজ করতে গিয়ে হয়তো নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। ক্লায়েন্টের সঙ্গে আমার চুক্তি হয়ে গেলেও তাঁকে আবার তৃতীয় একটি পেমেন্ট সিস্টেম খুঁজতে হয়, যেটিতে হয়তো ক্লায়েন্ট লেনদেন করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না।
আমার মনে হয়, পেপ্যাল এলে এই সমস্যাগুলো আর থাকবে না। দেশে প্রচুর ক্লায়েন্ট আসবেন, রেমিট্যান্স বাড়বে কয়েক গুণ। বর্তমানে আমরা যেসব লেনদেনমাধ্যম ব্যবহার করি, এগুলো তুলনামূলক ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। পেপ্যাল এলে এই সমস্যা দূর হবে। পেপ্যাল শুধু মুক্ত পেশাজীবীদের (ফ্রিল্যান্সার) জন্যই নয়, দেশের ই-কমার্স ও অনলাইন উদ্যোক্তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসবে।

এর-ওর কাছে যেতে হবে না
শাহরিনা ইয়াসমিন
ফ্রিল্যান্সার, বেসিসের আউটসোর্সিং পুরস্কারপ্রাপ্ত
পেপ্যাল সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয়। আন্তর্জাতিক বাজারে পেপ্যালের গুরুত্ব অনেক বেশি। বাংলাদেশে পেপ্যাল এলে শুধু ফ্রিল্যান্সাররা নন, আন্তর্জাতিক অনলাইন বাজার থেকে কেনাকাটা শুরু করে সবকিছুই সহজ হয়ে যাবে। অনলাইনে কোনো প্রশিক্ষণ নিতে গেলে পেপ্যালের দরকার হয়। প্রকল্প ব্যবস্থাপনার মতো প্রশিক্ষণ আন্তর্জাতিক কোনো ওয়েবসাইট থেকে নিতে হলে পেপ্যালের কোনো বিকল্প নেই। আমি যুক্তরাষ্ট্রে যখন থাকতাম, তখন পেপ্যাল ব্যবহার করেছি। আমার কাছে অনেকে যোগাযোগ করতেন প্রশিক্ষণের এই ফি দেওয়ার জন্য। অনেকে দেখা যায় শুধু পেপ্যাল বা এমন লেনদেনের মাধ্যমের জন্যই কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারছেন না। বাংলাদেশে পেপ্যাল এলে খুবই ভালো হবে বলে মনে করি। আমি এখন সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে অর্থ আনছি। তিন-চার বছর ধরে বেশ কটি ব্যাংক এই সুবিধা দিচ্ছে।

আর লজ্জা পেতে হবে না
ওবায়েদুল ইসলাম
আউটসোর্সিং প্রশিক্ষক
পেপ্যাল এলে সবচেয়ে বড় ব্যাপারটা হলো নিজের একটা ঠিকানা থাকবে। এর-ওর কাছে গিয়ে বায়না ধরতে হবে না। বাইরের অনেক ই-কমার্স সাইট আছে, যেগুলোতে পেপ্যাল ছাড়া কোনো লেনদেন হয় না। ইবেসহ বিভিন্ন সাইটে শুধু পেপ্যাল দিয়েই লেনদেন করা সম্ভব। পেপ্যাল এলে এই কেনাকাটাগুলো অনেক সহজ হবে। বড় কথা হলো, বাইরের ক্লায়েন্টের কাছে লজ্জা পেতে হবে না। কারণ, তাঁরা চান পেপ্যালে লেনদেন করতে। এখন ভয় হচ্ছে, কেমন চার্জ দিতে হবে? কী শর্ত আর কোন পরিমাণ অর্থ লেনদেন করতে পারব, এটা আসল বিষয়। লেনদেনে কোনো লিমিট দিয়ে দিলে সেটার খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। আমার চাওয়া হলো, সরকার এই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে যেন কাজ করে এবং ভ্যাটের পরিমাণ যেন খুব বেশি না হয়।

কেনাকাটা সহজ হবে
রাসেল আহমেদ
ফ্রিল্যান্সার, প্রধান কর্মকর্তা, আর আর ফাউন্ডেশন
পেপ্যাল বাংলাদেশে এলে লেনদেন অনেক সহজ হবে। আমি এখন সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ আনছি। এতে অবশ্য ফি একটু বেশি কাটছে। কিন্তু পেপ্যাল এলে অর্থ সরাসরি পাব। আর চার্জও তুলনামূলকভাবে কম হবে। বাইরের গ্রাহকেরা পেপ্যালে পেমেন্ট করতে চান। এই সমস্যাটি আর থাকবে না। তা ছাড়া এতে স্থানীয় ই-কমার্স সাইটগুলো লাভবান হবে। পেপ্যালের মাধ্যমে কেনাকাটাও সহজ হয়ে যাবে। পেপ্যাল ব্যাংকের মাধ্যমে আসছে, এখন দেখার ব্যাপার কী কী শর্ত দেয়।

পেপ্যাল নেই এমন উত্তরে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়
শাহ ইমরাউল কায়ীশ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, টেকনো বিডি ওয়েব সলিউশন্স
পেপ্যাল বাংলাদেশে এলে সুবিধা অনেক। আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ হবে। অনেক সাইট আছে, যেখানে পেপ্যাল ছাড়া কোনো কিছু কাজ করে না। একটা বিষয় দেখা যায় যে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা কিছু কিনতে চাইলে পেপ্যালের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করতে চান। পেপ্যাল নেই এমন উত্তরে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। পেপ্যালের নেটওয়ার্ক অনেক বড়। বাইরে থেকে খুব সহজেই পছন্দের পণ্য কেনা যাবে পেপ্যাল এলে। এখন দেখার বিষয় পেপ্যাল বাংলাদেশে কীভাবে আসে। তাদের মডেলটি কেমন হবে বাংলাদেশের জন্য।

এখন যে মাধ্যমে অর্থ আসে 
*  সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে (ওয়্যার ট্রান্সফার)
* পেওনিয়ার (মাস্টার কার্ড)

বাংলাদেশের ফারুক

           
গোলাম ফারুকবিশ্বের যেকোনো স্বীকৃতির তালিকায় বাংলাদেশি কারও নাম দেখলেই মন ভরে যায় গোলাম ফারুকের। সম্প্রতি তাঁর নিজের নামের পাশেই যোগ হয়েছে এমন এক অর্জন। গ্লোবাল ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম আপওয়ার্ক কিছুদিন আগে বিশ্বের সেরা ১১ জন ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক ডিজাইনারের তালিকা প্রকাশ করেছে। আগস্ট মাসের এই তালিকার ‘ইলাস্ট্রেশন ক্যাটাগরির’ দ্বিতীয় নামটিই তাঁর। এ ছাড়াও লোগো ডিজাইনার ও গ্রাফিক ডিজাইনারদের তালিকায় তাঁর অবস্থান চতুর্থ।
প্রায় ৬৫৩ ঘণ্টা কাজ করে ১২৩টি প্রজেক্ট সফলভাবে শেষ করার পর এই স্বীকৃতি পেয়েছেন ফারুক। ৩১ আগস্ট মুঠোফোনে কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে। বলছিলেন, ‘সারা বিশ্বের কয়েক লাখ ফ্রিল্যান্সারের মধ্য থেকে কাজের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে প্রতি মাসে এই তালিকা প্রকাশ করে আপওয়ার্ক।’ ফারুক আপওয়ার্কে প্রতিটি কাজের জন্য বর্তমানে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ডলার করে ফি নিচ্ছেন। তালিকার প্রথম পাঁচজনের মধ্যে সবচেয়ে কম ঘণ্টা কাজ করে শীর্ষে আছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিমিডিয়া ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগের এই প্রভাষক।এমন ইলাস্ট্রেশন দিয়েই তিনি উঠে ​এসেছেন সেরাদের তালিকায়এমন ইলাস্ট্রেশন দিয়েই তিনি উঠে ​এসেছেন সেরাদের তালিকায়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে ১৯৯৬ সালে ড্রয়িং ও পেইন্টিংয়ের ওপর স্নাতকোত্তর করেছেন। শিক্ষাজীবন শেষ করেই গ্রে গ্লোবাল গ্রুপে যোগ দেন তিনি। বছর দশেক কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে শুরু করেন পেপার রাইম নামের একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা। ব্যস্ত পেশাজীবনকে পাশে রেখেই ২০১১ সাল থেকে চলছিল অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ। ফ্রিল্যান্সিং পোর্টাল ওডেস্কে প্রথম যখন একটা কুকুরের ডিজিটাল ছবি এঁকে কাজ শুরু করলেন, তখনো জানতেন না, একদিন এই ফ্রিল্যান্সিং করেই প্রতি মাসে তাঁর অ্যাকাউন্টে যোগ হবে দেড় থেকে দুই হাজার ডলার!
গোলাম ফারুকের করা ইলাস্ট্রেশনপ্রথমবার কুকুরের ছবি আঁকার কাজ পেয়েছিলেন আট ডলারে। তবে যিনি কাজ দিয়েছিলেন, তিনি ফারুকের ওপর খুশি হয়েই আরও ১০ ডলার উপহার দেন। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ ডলারের কাজও করেছেন গোলাম ফারুক। নানা ধরনের ইলাস্ট্রেশনে দক্ষতা আছে তাঁর। বলছিলেন, ‘ডিজিটাল পেনসিল স্কেচ, পেইন্টিং, জিআইএফ অ্যানিমেশন, টি-শার্টের নকশা, লেবেল ডিজাইনিং, লোগো ডিজাইনিং, ফটো এডিটিংসহ অনলাইনে যেসব কাজের চাহিদা বেশি, সবদিকেই কাজ করার আগ্রহ আমার।’ নিয়মিত এক ভারতীয়-মার্কিনের কাজ করে যাচ্ছেন তিনি, এই এক ক্লায়েন্টের জন্যই এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার ডলারের কাজ করেছেন।
শুধু দেশেই নয় বিদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান আর অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করেছেন তিনি। ২০১০ সালে প্যারিস ফ্যাশন ফেয়ারে তাঁর নকশার স্টল ব্যবহার করা হয়েছিল। আর নিয়মিতই বিভিন্ন একক ও যৌথ শিল্প প্রদর্শনীতেও অংশ নেন তিনি।

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য গোলাম ফারুকের পাঁচ পরামর্শ১. সততা থাকতে হবে।
২. সময়ের মধ্যে কাজ দিয়ে দেওয়ার সুনাম অর্জন করে নিতে হবে।
৩. শক্তিশালী ও দৃষ্টিনন্দন পোর্টফোলিও বানানোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৪. কাজ বুঝে, কাজ শিখে, তারপর অনলাইনে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে।
৫. ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার পাশাপাশি ভালো যোগাযোগের ক্ষমতা থাকতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে

ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে

           
ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন কয়েকজন শিক্ষার্থীবর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিং–বিষয়ক প্রশিক্ষণদাতা প্রতিষ্ঠান কোডারসট্রাস্টের সহপ্রতিষ্ঠাতা জন-কায়ো ফেবিগ সম্প্রতি এ কথা বলেন।
ফেবিগ বলেন, বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন। ২০২০ সাল নাগাদ ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২০ কোটিতে। কাজের সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রচলিত কাজ ছেড়ে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঢুকছেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে। পাঁচ লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন। এই মার্কেটপ্লেসে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা বেশি। দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরিতে কাজ করছে কোডারসট্রাস্ট।
কোডারসট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর শুরুতেই প্রায় ২৫০ ডলার করে কাজ পাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সাররা।
কোডারট্রাস্ট থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাতুল রায়হান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির লারন অ্যান্ড আর্ন পাথ নামের একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে তিনি কোডিং শেখেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযোগ ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি আয়ত্ত করেন। কোর্স চলাকালে সময়েই তিনি ২৫০ মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্পে কাজ পান। বর্তমানে তাঁর মাসিক আয় এক হাজার ডলারের বেশি।
রাতুল বলেন, দক্ষ হয়ে তারপরই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসা উচিত। এ ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর প্ল্যাটফর্ম হতে পারে কোডারসট্রাস্ট।
কোডারসট্রাস্ট সম্পর্কে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, সব সময় সহযোগিতার পাশাপাশি পুরো পেশাদার মানসিকতা তৈরি করে দিতে ও উৎসাহ দিতে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, ডেনমার্কভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কোডারসট্রাস্ট দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই সময়ের মধ্যে ৫০০ জনেরও বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কোডারসট্রাস্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা তাঁদের অনলাইন কাজ বিক্রি করতে পারেন এবং এখান থেকে শিখতেও পারেন। কোডারসট্রাস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার লিংক (https://www.coderstrust.com/)। কোডারসট্রাস্টে বর্তমানে ওয়েব ডেভলপমেন্ট, অ্যান্ড্রয়েড, এসইও অ্যান্ড এসএমএমসহ মোট ছয়টি কোর্স চালু আছে। (বিজ্ঞপ্তি)

ফ্রিল্যান্সিং–বিষয়ক কর্মশালা

ফ্রিল্যান্সিং–বিষয়ক কর্মশালা

 

ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিতে দুই ঘণ্টার একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে সফটটেক আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বাংলামোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। সবার জন্য উন্মুক্ত এই কর্মশালায় ফ্রিল্যান্সিং–বিষয়ক বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এর আয়োজকেরা।
সফটটেক আইটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে তাদের এই কর্মশালা। এখানে ফ্রিল্যান্সিং বিষয় ছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস বিষয়ে ধারণা দেওয়া হবে।

অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ

অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ

           

..ঘরে বসে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে ইশিখন ডটকম নামের একটি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান। ঢাকার ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকেরা এই প্রশিক্ষণ দেবেন।
ইশিখনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক যেসব কোর্স করতে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত কোর্স ফি প্রয়োজন হয় তা বিনা মূল্যে করানো হবে। এই কোর্সের মেয়াদ হবে তিন থেকে ৫ মাস। অনলাইন প্রশিক্ষণে লেকচারের পাশাপাশি নানা পদ্ধতিতে কাজ শেখানো হবে যা ফ্রিল্যান্সিং করতে কাজে লাগবে। ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিকস, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, এসইও, ডেটা এন্ট্রির মতো যেকোনো একটি কোর্স ফি ছাড়াই করা যাবে। তবে এর জন্য অনলাইনে ৬০ নম্বরের একটি কম্পিউটার বেসিক ও ইংরেজি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। পাশ নম্বর ৩০। তবে ৪০ এর ওপরে নম্বর পেলেই কেবল বিনা মূল্যের কোর্সের জন্য আবেদন করা যাবে। যাঁরা পাশ করবে তাঁদের আবেদনফর্ম পূরণের জন্য ৩৫০ টাকা লাগবে। এ ছাড়া আর কোনো খরচ নেই। আবেদনের পর আবেদনকারীদের ইমেইলে ক্লাসে অংশ নেওয়ার পদ্ধতিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন।
ইশিখনের উদ্যোক্তারা জানান, এর আগে ইশিখন থেকে প্রায় ৫০০ নারী ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা বাড়াতে কাজ করছে ইশিখন। আবেদনের শেষ তারিখ ২৪ অক্টোবর। ইশিখনের ওয়েব ঠিকানা (http://eshikhon.com/free-course/ )থেকে আবেদন করা যাবে। (বিজ্ঞপ্তি)

ইন্টারনেটের খরচ কমাতে ভিডিওর ‘অটো প্লে’ বন্ধ রাখুন

ইন্টারনেটের খরচ কমাতে ভিডিওর ‘অটো প্লে’ বন্ধ রাখুন

            
ইন্টারনেটের ডেটা খরচ সাশ্রয়ের জন্য অনেকেই ওয়েবসাইটে ঢোকেন খুব হিসাব করে। তবে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে নিজে নিজেই (অটো প্লে) ভিডিও চালু হয়ে যায়। এখন আবার ফেসবুকের নিউজফিডে মাউস স্ক্রল করলেই বন্ধুদের দেওয়া ভিডিওগুলো চালু হয়ে যায়। কখনো কখনো এটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর ভিডিও চালু হলেই ডেটা খরচও বেড়ে যায়। ওয়েব দেখার সফটওয়্যারের (ব্রাউজার) সেটিংসে কিছু পরিবর্তন আনলে ভিডিওর স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হওয়া বন্ধ করা যায়।
ফেসবুক ভিডিও
ফেসবুকে শেয়ার করা ভিডিওতে মাউস স্ক্রল করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি চালু হয়ে যায়। এটি বন্ধ করতে চাইলে প্রথমে ফেসবুকে ঢুকুন (লগইন)। পরের ডান পাশের কোনায় তির চিহ্নে ক্লিক করে Settings নির্বাচন করুন। সেটিংস অংশে বাঁ পাশের তালিকা থেকে Videos-এ ক্লিক করুন। ভিডিও সেটিংসের Auto-Play Videos-এর ডানের কম্বো বক্স Default থেকে Off নির্বাচন করলে ফেসবুকের ভিডিও আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হবে না। এ ছাড়া অন্যান্য ওয়েবসাইটে চলা স্বয়ংক্রিয় ভিডিও বন্ধ করতে ব্রাউজারের সেটিংসে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
গুগল ক্রোম
ক্রোম ব্রাউজার চালু করে অ্যাড্রেস বারে chrome://settings/content লিখে এন্টার করুন। Plugins অংশে Let me choose when to run plugin content নির্বাচন করে দিন। এবার আবারও অ্যাড্রেস বারে গিয়ে chrome://plugins লিখে এন্টার করুন। Adobe Flash Player-এর নিচের Always allowed to run-এর পাশে টিক চিহ্ন তুলে দিন।
মজিলা ফায়ারফক্স
মজিলা ফায়ারফক্স ব্রাউজার খুলে Ctrl+L চেপে অ্যাড্রেস বারে যান। এখানে about:addons লিখে এন্টার চাপুন। বাঁ দিকের তালিকার Plugins-এ ক্লিক করুন। প্লাগইনের তালিকা থেকে Shockwave Flash খুঁজে নিয়ে তার ডানের কম্বো বক্স থেকে Ask to Activate নির্বাচন করুন।
অপেরা
স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলা ভিডিও বন্ধ করতে অপেরা ব্রাউজার খুলুন। অ্যাড্রেস বারে about:config লিখে এন্টার চাপুন। এবার Preference editor থেকে Multimedia-তে ক্লিক করুন। Allow Autoplay-এর পাশের টিক চিহ্নটি দিয়ে সেভ বোতাম চাপুন।

নতুন মোবাইল ফোন

নতুন মোবাইল ফোন

জেলটা এফএইচ৬০ মডেলের দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির ফিচার ফোন বাজারে এনেছে ফোনস্কাই টেলিকমিউনিকেশন। এই ফোনে রয়েছে ২.৮ ইঞ্চি পর্দা, ৩২ মেগাবাইট অভ্যন্তরীণ মেমোরি, ৩২ মেগাবাইট র্যা ম, ১৬ গিগাবাইট পর্যন্ত অতিরিক্ত মেমোরি যোগ করার সুবিধা এবং ২৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। এ ছাড়া রয়েছে এফএম রেডিও, ভিডিও, কল রেকর্ডার, ব্লুটুথ, টর্চ সুবিধা। সোনালি, কালো ও লাল রঙে পাওয়া যাচ্ছে এই মুঠোফোন।

ব্রডব্যান্ড কানাডায় ‘মৌলিক সেবা’

ব্রডব্যান্ড কানাডায় ‘মৌলিক সেবা’

 
কানাডায় এখন থেকে ‘মৌলিক সেবা’ হিসেবে বিবেচিত হবে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। কানাডীয় রেডিও-টেলিভিশন ও টেলিযোগাযোগ কমিশন গত বুধবার এ ঘোষণা দেয়। উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ কানাডাবাসীদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইন্টারনেট সংযোগের আরও উচ্চগতির লক্ষ্য নির্ধারণই এমন ঘোষণার মূল কারণ। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে গ্রাম ও দূরবর্তী অঞ্চলগুলোয় উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে ৭৫ কোটি কানাডীয় ডলারের তহবিল গড়ে তুলবে এই কমিশন।
কমিশনের চেয়ারম্যান জিন-পিয়েরে ব্লেইজ গত বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটা উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সহজ হবে না। অনেক অর্থ ব্যয় হবে। কিন্তু আমাদের আর কোনো পথ নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ, আমাদের সমৃদ্ধি, আমাদের সমাজ, সর্বোপরি প্রত্যেক নাগরিকের ভবিষ্যতের জন্য আমাদের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। এবং একবিংশ শতাব্দীর জন্য প্রত্যেক কানাডীয় নাগরিককে সংযুক্ত করতে হবে।’
এই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ডাউনলোডের গতি সেকেন্ডে কমপক্ষে ৪০০ মেগাবাইট এবং আপলোডের গতি প্রতি সেকেন্ডে অন্তত ৮০ মেগাবাইট হতে হবে, যা বর্তমানের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ।
সূত্র: সিনেট

আইসিটি মেলায় নানা কিছু দর্শকদের জন্

আইসিটি মেলায় নানা কিছু দর্শকদের জন্  

ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়ছে রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের কম্পিউটার সিটি সেন্টারে (মাল্টিপ্ল্যান) আয়োজিত শীতকালীন ডিজিটাল আইসিটি মেলায়। এর কারণ মেলার সময়টাতে প্রত্যেক ক্রেতা পাচ্ছেন ছাড় ও উপহার। অষ্টমবারের মতো কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতি আয়োজিত এ মেলা শুরু হয়েছে ২২ ডিসেম্বর। চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গতকাল শনিবার তৃতীয় দিনে মেলা ঘুরে দেখা যায় ছাড়-উপহারের সমাহার। ছয় দিনের এই মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তিপণ্য ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরেছে। ডেলের প্রতিটি ল্যাপটপের সঙ্গে পুরস্কার হিসেবে মাউস, পেনড্রাইভ, হেডফোন, হার্ডডিস্ক, ডেল ব্যাকপ্যাক ও ডেল মনিটর পাওয়া যাবে। আসুস ল্যাপটপের সঙ্গেও পাওয়া যাচ্ছে স্ক্র্যাচ কার্ড। আর পুরস্কার আছে রেফ্রিজেরেটর, জেন ফোন, জেকেট, টি-শার্ট ও অ্যান্টিভাইরাস।
ই-স্ক্যান অ্যান্টিভাইরাস কিনলে পাওয়া যাচ্ছে মোবাইল ফোন। কিউবি দিচ্ছে ৮৯৯ টাকায় মডেম। টিপি লিংকের পণ্য কিনলে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার রয়েছে। ১৬ হাজার ৪৯৯ টাকায় আইলাইফের জেইডিএয়ার ১৪ ইঞ্চি ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে।
আইসিটি মেলার আহ্বায়ক তৌফিক এহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিকে নিয়ে যেতে এবং এর সুফল ছড়িয়ে দিতে এই মেলার আয়োজন করা হয়। কাল সোমবার প্রতি বছরের মতো থাকছে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এতে এবার ৪০০-এর বেশি প্রতিযোগী অংশ নেবে।
এ ছাড়া প্রতিদিন রয়েছে র‍্যাফল ড্রর মাধ্যমে আকর্ষণীয় পুরস্কার। রয়েছে বিনা মূল্যে ওয়াই-ফাই ব্যবহারের সুবিধা। আরও আছে সেলফি প্রতিযোগিতা।
মেলার প্রবেশমূল্য ১০ টাকা। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রদত্ত পরিচয়পত্র দিয়েই ছাত্রছাত্রীরা মেলা পরিদর্শন করতে পারবে।

বিল গেটসের চোখে সেরা তিন দক্ষতা

বিল গেটসের চোখে সেরা তিন দক্ষতা

            
বিল গেটস l এএফপিমাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস মনে করেন, ভবিষ্যতে চাকরির বাজারে সফল হওয়ার জন্য তিনটি বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। তা হলো বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও অর্থনীতি। সামনের দিনগুলোতে এসব বিষয়ে দক্ষ মানুষের চাহিদা বেশি থাকবে। বিজ্ঞান ও সংখ্যাভিত্তিক জ্ঞানে দক্ষতা না থাকলে ভবিষ্যতে উন্নতি করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে লিংকড-ইনের নির্বাহী সম্পাদক ডেনিয়েল রথকে বিল গেটস বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বিজ্ঞান, গণিত ও অর্থনীতি বিষয়ে মৌলিক জ্ঞান ভবিষ্যতে চাকরির বাজারে চাহিদা বাড়িয়ে দেবে। এর জন্য যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং জানতে হবে এমনটা নয়। শুধু জানতে হবে প্রকৌশলীরা কী করতে পারেন আর কী করতে পারেন না।’ তিনি আরও মনে করেন, এই বিষয়গুলোতে দক্ষ কর্মকর্তারাই যেকোনো প্রতিষ্ঠানের অবস্থা পরিবর্তন করতে পারেন।
গেটস সম্প্রতি ১০০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠন করার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের জন্য এই তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ করা হবে। এ ছাড়া তিনি এমন একটি বিনিয়োগকারীদের দলের নেতৃত্ব দেবেন, যাঁদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার কোটি ডলার। এই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন, আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজস এবং আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা।
মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিল গেটস তাঁর আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আশা করেন, স্বাস্থ্য সচেতনতা, শিক্ষা ও শক্তিতে নতুন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে আমেরিকা নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে।

আশকোনায় ১৬ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান, নিহত ২

আশকোনায় ১৬ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান, নিহত ২

এবার আত্মঘাতী নারী ‘জঙ্গি’         

জঙ্গি আস্তানা থেকে শিশু সাবিনাকে নিয়ে বেরিয়ে আসছেন এক জঙ্গি নারী। পরে ওই নারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হন। আহত হয় সাবিনা l ছবি: জাহিদুল করিমনির্মাণাধীন তিনতলা ভবনটির নিচতলার একমাত্র ফ্ল্যাটে ছিল তিন নারী, তিন শিশু ও এক কিশোর। গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই পুলিশ সেটি ঘিরে ফেলে। সকালে পুলিশের আহ্বানে আত্মসমর্পণ করেন দুই নারী। সঙ্গে দুই শিশু। ঘণ্টা তিনেক পর বের হন আরেক নারী, এক শিশুকে নিয়ে। কয়েক কদম এগিয়েই তিনি শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হন। ভেতরে থাকা কিশোরকে বের করে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ঘণ্টা দুয়েক পর দুই পক্ষের গোলাগুলি। নিহত হয় কিশোরটি। এর মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় শ্বাসরুদ্ধকর প্রায় ১৬ ঘণ্টার ‘অপারেশন রিপল ২৪’।
তবে কিশোরের মৃতদেহ ভেতরে রেখেই গতকাল শনিবার বিকেলে ফ্ল্যাটটি তালা মেরে বের হয়ে আসে পুলিশ। অভিযান শেষে ঘটনাস্থলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বাসাটি এখন অন্ধকার। ভেতরে গ্যাস ও বিস্ফোরক রয়েছে। তাই এখনই ভেতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল আজ রোববার ওই বাড়িতে কাজ করবে। তখন লাশটিও বের করা হবে। তিনি বলেন, ওই বাড়ির অন্য ফ্ল্যাটের লোকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী জেবুন্নাহার (শীলা) ও তাঁদের সাত বছরের মেয়েও আছে। আত্মসমর্পণকারী অন্য নারী হলেন পলাতক ‘জঙ্গি’ মঈনুল ওরফে মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা। তাঁর সঙ্গে চার মাসের মেয়েও আছে। আর বাসার ভেতরে যে কিশোরের দেহটি পড়ে রয়েছে, তার নাম আফিফ কাদরী বলে পুলিশ জানিয়েছে। আফিফ আজিমপুরে নিহত ‘জঙ্গি’ তানভীর কাদরীর যমজ দুই ছেলের একজন। আফিফের ভাই তাহরীম কাদরী ও মা আবেদাতুন ফাতেমা আজিমপুরে গ্রেপ্তার হন। এখন কারাগারে।
আর নিজের শরীরের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিহত নারী ‘জঙ্গি’ জনৈক সুমন ওরফে সাগরের স্ত্রী বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আহত অবস্থায় উদ্ধার চার বছরের মেয়েশিশুটি হাসপাতালে বলেছে, তার বাবার নাম ইকবাল এবং মায়ের নাম শাকিরা। ইকবালের ব্যাপারে পুলিশ কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
গুলশানের হলি আর্টিজানে ১ জুলাইয়ের হামলার পর গত ছয় মাসে এ নিয়ে আটটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব অভিযানে মোট নিহত হয়েছে ২৮ জন। এরা সবাই ‘নব্য জেএমবি’র সদস্য বলে জানায় পুলিশ। যদিও হলি আর্টিজানে হামলার দায় স্বীকার করে এ দেশে আলোচনায় এসেছিল মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস (ইসলামিক স্টেট)।
গতকাল অভিযানে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, তাঁরা কোনো প্রাণহানি ছাড়াই অভিযান শেষ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কিশোর আফিফ ও আত্মঘাতী নারীর ‘একগুঁয়েমি’ তা হতে দেয়নি। গতকাল বেলা সোয়া তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। বিকেল পৌনে চারটার দিকে তাঁরা ঘটনাস্থলে সংবাদ ব্রিফিং করে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। তার আগে ঘটনাস্থলে যান ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
যেভাবে খুঁজে পাওয়া গেল বাড়িটি
বিমানবন্দরে ঢোকার উল্টো দিকের রাস্তা দিয়ে হজ ক্যাম্প পেরিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার গেলেই আশকোনার পূর্ব পাড়া। রাস্তার দুই পাশে দুটি মসজিদের সুদৃশ্য তোরণ। আল বাছির জামে মসজিদের তোরণ দিয়ে গলিতে ঢুকে তিনটি বাড়ির পর সূর্য ভিলা।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, গুলশান হামলার সঙ্গে যুক্ত এক জঙ্গি মঈনুল ওরফে মুসার খোঁজে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ছানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছিল। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে কাউন্টার টেররিজমের ৩০-৩৫ জন সদস্য তিনটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থলে যান।
এডিসি ছানোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে তাঁরা নিশ্চিত হন যে সূর্য ভিলা নামের বাড়িটিতে জঙ্গিরা রয়েছে। পরে এর নিচতলাকে কেন্দ্র করে পুরো বাড়ি ঘেরাও করে রাখা হয়। ভেতরে শিশু ও নারীদের অবস্থান জানতে পেরে অভিযানের কৌশলে পরিবর্তন আনা হয়। গোলাগুলি বাদ দিয়ে কৌশলগত কথাবার্তা বলে তাদের আত্মসমর্পণ করানোর চেষ্টা চলে। শুরু হয় অপেক্ষার প্রহর।
চিরকুট-কথোপকথন
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, মধ্যরাতে আটটি বাড়িতে তল্লাশি শেষ। একটি বাড়িতে তল্লাশি চলছিল। পাশের একটি বাড়ির জানালা দিয়ে শিশু কোলে এক নারীকে (মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা) দেখা যায়। তৃষ্ণা মুখে আঙুল দিয়ে কর্মকর্তাদের কথা না বলতে ইশারা করেন। এর পরে নিচু গলায় বলেন, ‘এটাই জঙ্গিদের আস্তানা। আমাকে এখান থেকে বের করেন। আমি আপনাদের সাহায্য করব।’ অবাক হন কর্মকর্তারা। পুলিশের দুজনকে সেখানে রেখে তাঁরা ওই জায়গা থেকে সরে এসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। ওই বাড়ির তিনতলায় গিয়ে মালিকের কাছে তথ্য নিয়ে কর্মকর্তারা জঙ্গিদের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হন। বাইরে থেকে জঙ্গিদের ফ্ল্যাটের দরজা লাগিয়ে দেওয়া হয়। বারবার জানালার কাছে গিয়ে ওই নারীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন কর্মকর্তারা। পরে ওই নারী বলেন, তিনি কথা বলতে পারবেন না। এরপরে চিরকুট ফেলা শুরু করেন। ওই বাড়িতে কয়জন আছে, কী অস্ত্র আছে ইত্যাদি তথ্য দেন। কিন্তু কর্মকর্তারা ঠিক বিশ্বাস করছিলেন না। বাড়ির ভেতরে আলো জ্বলতে দেখা যাচ্ছিল, অস্ত্র হাতে কাউকে হাঁটতেও দেখা যায়। বিষয়টিকে ফাঁদ হিসেবে ভাবতে শুরু করেন সবাই।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার মহিবুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, চিরকুটে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ ও আইনের আওতায় না এনে বাবা-মায়ের কাছে পাঠানোর দাবি করেন তৃষ্ণা।
আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, চিরকুট পাওয়ার পর জঙ্গিদের কাছে একটি মোবাইল ফোন পাঠানো হয়েছিল, যাতে সেটির মাধ্যমে তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়।
যে বাড়িতে অভিযান চলছিল, তার দোতলার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফজরের আজানের পর পুলিশ মাইকে নিচতলায় জঙ্গিদের উদ্দেশে বলে, “আপনারা বের হয়ে আসেন। আপনাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি করব না। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। আপনাদের কাছে যে মোবাইল পাঠানো হয়েছে, সেটা অন করেন।” এরপর পুলিশের মাইকেই কেউ একজন কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, “আম্মা, তুমি বের হয়ে আসো। ওরা তোমার কোনো ক্ষতি করবে না। আমরা তোমাকে জীবিত দেখতে চাই।”’
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, জঙ্গিনেতা মেজর (অব.) জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহারকে আত্মসমর্পণ করাতে তাঁর মা ও ভাইকে নিয়ে আসা হয়। জেবুন্নাহারের মা তাঁকে কাঁদতে কাঁদতে আত্মসমর্পণের জন্য বলেন।
আত্মঘাতী হলেন নারী
ঘটনার বিবরণ দিয়ে কাউন্টার টেররিজমের কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন বলেন, নানাভাবে বারবার অনুরোধের পর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জেবুন্নাহার ও তৃষ্ণা নামের দুই নারী দুই শিশুকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে এসে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু তখনো ভেতরে শিশুসহ একজন নারী ও এক কিশোর ছিল, তারা বেরিয়ে আসতে অস্বীকৃতি জানায়। এক থেকে দেড় ঘণ্টার বিরতি দেওয়া হয়, যাতে তারা মত পরিবর্তনের জন্য একটু সময় পায়। তারপর আবার মাইকের মাধ্যমে তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান করে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। শিশুটিকে আগে দিয়ে নারী ও কিশোরকে সারিবদ্ধভাবে বেরিয়ে আসার জন্য বলা হয়। তারা যেন বেরিয়ে আসতে পারে, সে জন্য প্রধান দরজাটিও খুলে দেওয়া হয়।
ছানোয়ার বলেন, বারবার তাদের আশ্বস্ত করা হয় যে তাদের গুলি করা হবে না, তাদের জীবনহানির শঙ্কা নেই, এ অভিযানে কোনো প্রাণহানি হবে না। একপর্যায়ে তাদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মাত্র দুই মিনিট বাকি থাকতেই (সাড়ে ১২টার দিকে) একটি শিশুকে নিয়ে এক নারী দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন। কর্মকর্তারা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন, দুই হাত ওপরে তুলে আসতে বলেন। কোনো কথা না শুনে ওই নারী হাঁটছিলেন। একপর্যায়ে কোমরে হাত দিয়ে বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে যায় ঘটনাটি। বিস্ফোরণের আঘাতে নারী ও শিশুটি ঘটনাস্থলেই পড়ে যান। তিনি বলেন, দরজার পেছনে যেহেতু আরও একজন সদস্য জীবিত রয়েছে, যার কোমরে একটি সুইসাইডাল ভেস্ট ও আগ্নেয়াস্ত্র আছে, তাই সেখানে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ওই নারীকে উদ্ধার করা যায়নি। পরে ওই কিশোরকে বের করে আনার জন্য বাসার ভেতরে বিশেষ গ্যাস ছাড়া হয়।
পরে ছানোয়ার বলেন, নিহত নারী জঙ্গি সুমনের স্ত্রী ও আহত শিশুটি আরেকজনের মেয়ে।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৩ মার্চ কুমিল্লায় এমনই এক জঙ্গি আস্তানায় র্যা বের অভিযানের সময় জেএমবির মোল্লা ওমরের স্ত্রী সাইদা নাঈম সুমাইয়া তাঁর দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন।
যেভাবে নিহত হয় আফিফ
বেলা পৌনে একটার দিকে ওই ভবনের ভেতরে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। তখন এলাকার অনেকটা জুড়ে গ্যাসের ঝাঁজালো গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। দেড়টার দিকে একটি গুলির মতো শব্দ শোনা যায়। পরে আড়াইটার দিকে চার-পাঁচটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর ভেতর থেকে কিশোর আফিফ কাদরীর আর কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তখনই সে নিহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।
গতকাল বিকেলে ওই এলাকা ছাড়েন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াতের সদস্যরা। তবে সেখানে পুলিশ পাহারা রাখা হয়েছে।
বাড়িটির মালিকের বড় মেয়ে জোনাকি রাসেল সাংবাদিকদের বলেন, ১ সেপ্টেম্বর মো. ইমতিয়াজ আহমেদ পরিচয় দিয়ে একজন নিচতলার বাসাটি দেখতে আসেন। তখন ওই ব্যক্তি নিজেকে অনলাইন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেন এবং বলেন যে বাসায় তিনি, তাঁর স্ত্রী ও এক বাচ্চা থাকবেন। মাঝেমধ্যে স্ত্রীর বোন এসে থাকবেন। ৩ সেপ্টেম্বর পরিবার নিয়ে তিনি সেখানে ওঠেন। জোনাকি বলেন, ‘ওনারা কখনো বের হতেন না। বাসায় ওঠার সময় বাচ্চার বয়স ছিল ৪০ দিন।’ কেন বের হন না? জানতে চাইলে বলতেন, হিজড়ারা বাচ্চা দেখলে টাকা চায়। সে কারণে বের হন না। তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে দুজন নারী ওই বাসায় আসতেন। জিজ্ঞেস করলে বলতেন, মা ও এক আত্মীয়। গ্রামের বাড়ি থেকে এসেছেন।’
আত্মসমর্পণের আগে পরে
শীর্ষ ৩ জঙ্গি
তামিম
নব্য জেএমবির ‘অপারেশনাল কমান্ডার’। গুলশানে হামলার মূল সমন্বয়ক
তানভীর
তামিমের স্থলাভিষিক্ত তানভীর গুলশানের হামলাকারী জঙ্গিদের বাসা ভাড়া করে দেন
জাহিদুল
গুলশানে হামলাকারীদের প্রশিক্ষক। নারায়ণগঞ্জে তামিমের জন্য বাসা ভাড়া করেছিলেন
নারায়ণগঞ্জ
২৭ আগস্ট
এই দিন গুলশান হামলার ‘মূল সমন্বয়ক’ তামিম চৌধুরীসহ তিনজন পুলিশের অভিযানে নিহত হন
রূপনগর
২ সেপ্টেম্বর
ভাড়া বাসায় পুলিশের অভিযানে নিহত হন মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ
আজিমপুর
১০ সেপ্টেম্বর
অাজিমপুরে জঙ্গিদের ভাড়া করা বাসায় পুলিশের অভিযান চলে। নিহত হন তানভীর কাদরী। জাহিদুলের স্ত্রী ও তাঁর মেয়েসহ আগেই সরে পড়েন। তানভীরের স্ত্রী আবেদাতুল ফাতেমা, তাঁর ১৪ বছরের যমজ দুই ছেলের একজন, গুলশান হামলার আরেক সমন্বয়ক মারজানের স্ত্রী আফরিন আক্তার ও জঙ্গি বাশারুজ্জামানের স্ত্রী শায়লা আফরিন গ্রেপ্তার হন। সেখানে তানভীরের আরেক ছেলে ছিল না
আশকোনা
২৪ ডিসেম্বর
রাজধানীর আশকোনায় জঙ্গিদের ভাড়া করা বাসায় অভিযান। জাহিদুলের স্ত্রী ও মেয়েসহ এবং পলাতক ‘জঙ্গি’ মুসার স্ত্রী ও মেয়ের আত্মসমর্পণ। নিজের বোমায় নিহত হন এক নারী ‘জঙ্গি’ ও তানভীরের ছেলে (১৪)

মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৬

হৃদরোগ প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা

হৃদরোগ প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা

সুস্থ হার্ট, সুন্দর জীবন| আর সুন্দর জীবনের প্রত্যাশা সবার| বাংলাদেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষের বিভিন্ন ধরনের হূদরোগ রয়েছে| আর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রয়েছে অকালে হৃদরোগ হওয়ার প্রবণতা| তাই হার্টের সমস্যাকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই| যদিও বাংলাদেশে হূদরোগের চিকিৎসার খরচ পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে আছে, তবু এ চিকিৎসাসেবা এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে|
আর যেহেতু সরকারি চিকিৎসাসেবার অবকাঠামোর মাধ্যমে সব লোকের চিকিৎসা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়, তাই অন্যান্য রোগের মতো হূদরোগ প্রতিরোধের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে| আর এ জন্য প্রয়োজন ব্যাপক গণসচেতনতা|
বেতার ও টেলিভিশনে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় নিয়মিত| কিন্তু এ অনুষ্ঠানগুলো হয় এমন সময়, যখন সবাই কর্মব্যস্ত থাকে| ফলে এ অনুষ্ঠানগুলোর দর্শক-শ্রোতাও বেশি থাকে না|

রোগ নির্ণয় বা রোগের ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠান নয়, কারণ রোগী না দেখে শুধু সামান্য বর্ণনা শুনে চিকিৎসার পরামর্শ দিলে ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে| আর দর্শক-শ্রোতারাও অন্যের উপসর্গের সঙ্গে নিজের উপসর্গ মিলিয়ে নিজেই নিজের চিকিৎসক (!) বনে যেতে পারেন| আর এ দেশে ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই খুব সহজে ওষুধ কেনা ও সেবন করা সম্ভব|

১৫ কোটি জনসংখ্যার এ দেশে সমস্যার কোনো শেষ নেই| ‘নুন আনতে পান্তা ফুরোয়’-এমন লোকের কাছে চিকিৎসাসেবা অনেক দূরের বিষয়| নি্নমধ্যবিত্ত বা নি্ন আয়ের মানুষেরা সব সময় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারে না বা হলেও অনেক সময় ওষুধ কিংবা অন্য ধরনের চিকিৎসা নেওয়ার সামর্থন তাদের থাকে না| পানি ফুটিয়ে পান করা বা ভালো করে হাত ধোয়ার গুরুত্ব যেমন প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছানো গেছে, তেমনি হূদরোগ প্রতিরোধের জন্য কী করা দরকার তাও তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে| সামান্য অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে যে বাতজ্বর ও বাতজ্বর-সংক্রান্ত অন্য অসুখ থেকে বাঁচা সম্ভব, তা জনসাধারণকে জানাতে হবে|

সুস্থ হার্ট নিয়ে বাঁচতে চাইলে তেল, চর্বি, লবণ-এগুলো কম খেতে হবে| উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে| ধূমপান, গুল, জর্দা, সাদাপাতা সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে|
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে হলে এগুলো জানা জরুরি|
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় হূদরোগের প্রকোপ অন্যান্য দেশের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি| হার্ট অ্যাটাকে যাঁরা আক্রান্ত হন, তাঁদের মধ্যে ২৫ শতাংশেরই বয়স চল্লিশের নিচে| আর ৫০ শতাংশের বয়স পঞ্চাশের নিচে|

এটা আমাদের জন্য একটা বিপদসংকেত| ঢাকাসহ বড় বড় শহরে শুধু হাতে গোনা কয়েকটি হাসপাতালে হৃদরোগের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা আছে|
অনেক জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় সুচিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না| আবার কোথাও রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব|
তাই অকালমৃত্যু রোধে আমাদের একজোট হয়ে হূদরোগ প্রতিরোধ করতে হবে| এ জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে হবে, আর এ দায়িত্ব সমাজের সব সচেতন মানুষের|

*************************************

সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৬

পোশাকেই বিদ্যুৎ!

পোশাকেই বিদ্যুৎ!


  
সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারবে এই পোশাকসৌন্দর্যবর্ধন কিংবা শরীর উষ্ণ রাখতেই নয়, প্রযুক্তির এ যুগে পোশাক এখন অদ্ভুত অনেক কাজ করছে। এখন অনেক স্মার্ট পোশাক পাওয়া যায় যেগুলো হৃৎস্পন্দন, শারীরিক গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি কাজ করতে পারে। তবে এবার পরিধেয় পোশাকের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সংরক্ষণ করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন একদল চীনা গবেষক। সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারবে নতুন এই প্রযুক্তির পোশাক। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র কেমিক্যাল সোসাইটিতে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় দলটি।
নতুন এই ডিজিটাল পোশাক সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারবে, উৎপাদিত বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করেও রাখতে পারবে। যেকোনো স্মার্ট যন্ত্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে সে পোশাক। এটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে নতুন সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদক তন্তু, যা দেখতে সাধারণ কাপড়ের সুতার মতোই। এ সুতোকে ইচ্ছানুযায়ী কাটা যাবে এবং সেলাইও করা যাবে, যা বাজারের অন্যান্য ডিজিটাল পোশাকে করা যায় না। পরা অবস্থাতেই সূর্যের আলোয় শক্তি সঞ্চয় করবে এই পোশাক, তবে কোনো শারীরিক তথ্য সংরক্ষণ করবে না পোশাকটি।
এখন পর্যন্ত গবেষণায় তৈরি পোশাকগুলো ১.২ ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে, তবে তা বৃদ্ধি করার কাজ চলছে বলে জানায় গবেষক দলটি। গবেষণাগারের বাইরে এখনো ব্যবহার না করা হলেও আগামী বছরের শেষ নাগাদ বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্নকারী এই ডিজিটাল পোশাকটির ব্যবহার শুরু করা হবে বলে আশাবাদী চীনের গবেষক দলটি।

উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্যোগ

দেশে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার পরিমাণ আরও বাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে সম্প্রতি মোবাইল ল্যাবরেটরি বা ‘এম-ল্যাব’ চালু করেছে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেড (এমসিসি)। এমসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ আবির বলছিলেন, ‘আমরা চাই দেশে আরও বেশি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, মোবাইলভিত্তিক স্টার্টআপ তৈরি হোক। আর যারা দেশে অ্যাপ তৈরি করছে, তাদের সহযোগিতা করতে চাই। এ উদ্দেশ্য থেকে এই প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।’

মোবাইলভিত্তিক উদ্যোগের জন্য পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন   প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ‘এম-ল্যাব’। অ্যান্ড্রয়েড, উইন্ডোজ ও আইওএস—তিন অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনের জন্য উদ্যোক্তারা যাতে নিজেদের পণ্য   তৈরি করতে পারেন, সে ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। শুধু প্রশিক্ষণ নয়, প্রতিষ্ঠানটির ইনকিউবেটর, টেস্টিং সেন্টার ব্যবহারের সুযোগ পাবেন নতুন উদ্যোক্তারা। রয়েছে মোবাইল অ্যাপ টেস্টের জন্য বিভিন্ন যন্ত্র ও ক্লাউড সেবা ব্যবহারের সুবিধা। এই ল্যাবে প্রশিক্ষণ নিলে বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ আছে। নলেজ পার্টনার হিসেবে তাদের সহায়তা দিচ্ছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ইনফোডেভ।
আশরাফ আবির জানান, এম-ল্যাব চেষ্টা করছে দেশীয় মোবাইল অ্যাপের নির্মাতাদের বৈশ্বিকভাবে স্থান করে দেওয়ারও। এ জন্য দেশেও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে এবং সুযোগ করে দিচ্ছে বৈশ্বিক কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজের পণ্যকে তুলে ধরার। এম-ল্যাব: www.mlab.mcc.com.bd

ইভেন্টস অ্যাপ আনছে ফেসবুক



ইভেন্টস অ্যাপইভেন্টস নামে আলাদা একটি অ্যাপ উন্মুক্ত করেছে ফেসবুক। যুক্তরাষ্ট্রে আইওএস প্ল্যাটফর্মের ডিভাইস ব্যবহারকারীরা এটি এখন ব্যবহার করতে পারছেন। শিগগিরই অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে এটি চলে আসবে। পরে অন্যান্য দেশেও এটি চালু করা হবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার ফেসবুকের পণ্য ব্যবস্থাপক আদিত্য কুলওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রতিদিন ১০ কোটির মানুষ ফেসবুকে ইভেন্টস ব্যবহার করেন। আশপাশে কী ঘটতে যাচ্ছে কিংবা দৈনন্দিন ঘটনা স্মরণে রাখতে ফেসবুক ‘ইভেন্টস’ অ্যাপ আনছে। ইভেন্টস অ্যাপটি খুললে ফেসবুক বন্ধুসহ পছন্দ করা পেজে কোনো ইভেন্ট থাকলে সে তথ্য দেখা যাবে। এ ছাড়া সহজেই ঘটনাগুলো সহজে ব্রাউজ ও সার্চ করা যাবে। ইভেন্টসের জন্য আলাদাভাবে অ্যাপ আনলেও ফেসবুক অবশ্য মূল সাইট থেকে এই সেবা সরাচ্ছে না।

Life is go to sex




 

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল