শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১২

নারীরা সৌন্দর্য আর পুরুষেরা যৌনজীবন হারানোর শঙ্কায় ভোগে

বয়সের সাথে সাথে সৌন্দর্য হারানোর ব্যাপারে উদ্বিগ্ন থাকে নারীরা আর পুরুষের ভয় যৌন জীবন ও সম্পর্ক হারানোয়।

নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে দ্য হিন্দুস্তান টাইমস জানায়।

এ গবেষণার জন্য চল্লিশোর্ধ ১ হাজার ১০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, এক-তৃতীয়াংশ নারীর কাছে বৃদ্ধ বয়সে তাদের কেমন দেখাবে তা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে মাত্র ২১ শতাংশ পুরুষ এ নিয়ে ভাবে।

আর শতকরা ৩২ ভাগ পুরুষ ও ১২ ভাগ নারী বৃদ্ধ বয়সে তাদের যৌন জীবন কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তা করে।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন, সমাজবিজ্ঞানী ড. ক্যাটে ওডথ্রপ। তিনি যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সেন্টার ফর ডেথ অ্যান্ড সোসাইটি'র একজন গবেষক।

‘গাড়ি চালালে কুমারীত্ব শেষ’

সৌদি আরবের নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিলে ‘দেশের পবিত্রতা’ নষ্ট হবে বলে একটি প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি জানানো হয়েছে। বিষয়টিকে নারীর ‘কুমারীত্ব’ বিনাশের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

দেশটির আইন পরিষদ শুরা কাউন্সিলের জন্য একটি রক্ষণশীল সংস্থা এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত কমল সুবিহ এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এর উদ্দেশ্য হলো নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পুনর্বিবেচনার পরিকল্পনা যেন বাদ দেওয়া হয়।

নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিলে পতিতাবৃত্তি, পর্ণোগ্রাফি, সমকামিতা ও তালাক বেড়ে যাবে বলে প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে।

সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর আনুষ্ঠানিক কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে তাদেরকে গাড়ি চালাতে দেখলে আটক করা যেতে পারে- এ ধরনের নিয়ম রয়েছে।

এটি প্রত্যাহারের জন্য সেদেশের নারীরা চেষ্টা চালাচ্ছে।

তাদের অভিযোগ, এর কারণে বাস্তবজীবনে তাদের কিছু জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। যেমন, পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থেকে এবং পুরুষের কাছ থেকে তাদের দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে অথচ প্রতিদিন পুরুষ ড্রাইভারের ওপরই তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে। এটি পরস্পরবিরোধী ও অযৌক্তিক।

বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

এদিকে সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সৌদির বাদশা আব্দুল্লাহ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পর্যালোচনার অনুমতি দিয়েছেন।

নারীদের গাড়িচালনার পক্ষে আন্দোলনকারী এক নারী বিবিসিকে জানান, এ প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ উল্টো।

তিনি বলেন, শুরার প্রধান নারী আন্দোলনকারীদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ওপর এখনও শুনানি অব্যাহত রাখা হয়েছে।

মেয়েরা দিনে ৫ ঘণ্টা গালগল্প করে কাটায়

লন্ডন, ০৩ ডিসেম্বর (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- যে কোন পুরুষের পক্ষেই এ কথা বলা কঠিন যে তার স্ত্রী বা প্রেমিকা কতক্ষণ কথা বলেন। এ প্রশ্নেরই সুরাহা করেছেন ব্রিটেনের একদল গবেষক। তাদের মতে, মেয়েরা প্রতিদিন গড়ে ৫ ঘন্টা গল্পগুজব করে বা বকবক করে কাটায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েরা বাসায় বা অফিসে যেখানেই থাকুক দিনে তারা প্রায় ২৯৮ মিনিট খোশগল্প করে- যা তাদের কর্মঘন্টার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি।

গবেষণার ফল নিয়ে ‘দ্য ডেইলি মেইল’ এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খোশগল্পে মেয়েরা সাধারণত পরচর্চা, পরনিন্দাই বেশি করে।

একজনের সঙ্গে আরেকজনের ডেটিং এবং অন্যের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে তারা কথা বলে। এছাড়াও মেয়েরা গল্প করে যৌনতা, কেনাকাটা ও টিভি সিরিয়ালগুলো নিয়ে।

ওজন, খাদ্যাভ্যাস ও পোশাক সংক্রান্ত আলোচনায় মেয়েরা দিনে সময় ব্যয় করে ২৪ মিনিট।

জরিপে এক-তৃতীয়াংশ নারী বলেছেন, দিনের একটা সময় দুপুরে তারা কী খাবেন এ নিয়ে কথা বলে সময় কাটান।

অন্যান্য আরো বিষয়ের মধ্যে আছে কসমেটিক সার্জারি, শ্বশুরবাড়ি এবং তারকা জগৎ।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের সুরা কোম্পানি ফার্স্টকেপ ক্যাফে কালেকশন। ব্রিটেনের ‘কুইন অব চ্যাট’ বা ‘কথার রানি’কে খুঁজে বের করতেই তাদের এ প্রয়াস।

কোম্পানির মুখপাত্র স্টিভ বার্টন বলেছেন, “বকবক করায় মেয়েদের জুড়ি নেই। আর কয়েকজন মেয়ে এক জায়গায় হলে তারা কী নিয়ে কথা বলে তা জানতে ছেলেদেরও আগ্রহের অন্ত নেই।”

এ কৌতুহলের অনেকটাই নিবৃত্তি ঘটিয়েছে এ গবেষণা।

এতে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মেয়েই অন্য যে কারো চেয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে। জীবনসঙ্গী, মা ছাড়াও সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে পুরোপুরি ভিন্ন ব্যাপার নিয়ে তারা কথা বলে।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, মেয়েরা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বেশির ভাগ সময় কাজের কথাই বলে । অন্যদিকে, সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে গালগল্প করে সবচেয়ে বেশি।

এছাড়া ৩৬ শতাংশ নারী গোপন কথা চাপা রাখে না। বিশ্বাস করে যারা তাদেরকে গোপন কথা কলে তা তারা প্রায়ই তাদের জীবনসঙ্গীকে বলে দেয়।

ফার্স্ট ইমপ্রেশন: মাত্র ১১৯ সেকেন্ডেই

লন্ডন, ডিসেম্বর ২৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- কারো সম্পর্কে ‘ফার্স্ট ইমপ্রেশন’ তৈরি হয় মাত্র ১১৯ সেকেন্ডে। যুক্তরাজ্যের নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনে ৮ জনের বেশি (৮৪ শতাংশ) ব্রিটিশ ফার্স্ট ইমপ্রেশনের মাধ্যমেই কোন ব্যক্তিকে বিচার করে।

এছাড়া, প্রতি ১০ জনে ১ জন (৯ শতাংশ) ফার্স্ট ইমপ্রেশনে কোন ব্যক্তি সম্পর্কে যা ধারণা তৈরি হয়েছে তা বদলাতে চায় না।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছে, ‘এক্সপেরিয়ান ক্রেডিট এক্সপার্ট’ নামক যুক্তরাজ্যের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান । আর গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকা।

এতে আরো দেখা গেছে, সুন্দর হাসি ও পরিচ্ছন্ন চুল ভালো ফার্স্ট ইমপ্রেশন তৈরিতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক।
অন্যদিকে, কারো মুখের দুর্গন্ধ তার সম্পর্কে বাজে ধারণা তৈরি করে।

এক্সপেরিয়ানের ইন্টারএ্যকটিভ কর্মকর্তা পিটার টার্নার বলেছেন, “ডেটিং, চাকরির সাক্ষাৎকার, ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করা অথবা শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের সামনেই মূলত ফার্স্ট ইমপ্রেশনের ব্যাপরটি আসে।”

কেউই ‘মি.পারফেক্ট’ নয়

ঢাকা, ২০ ডিসেম্বর (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- কোনো পুরুষই নির্খুঁত নয়। বিশেষ করে নারীর দৃষ্টিতে ‘মি.পারফেক্ট’ না কেউই। বেশিরভাগ নারীই তার সঙ্গীকে মাত্র ৬৯ শতাংশ নিখুঁত মনে করে। এমন তথ্যই পাওয়া গেছে নতুন এক জরিপে।

প্রথমেই একজন নারীকে আকৃষ্ট করে পুরুষের আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব। এরপর তার রসবোধ এবং চেহারায় কোনো নারী আকৃষ্ট হয়।

অন্যদিকে, জীবনসঙ্গীনির বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সহজভাবে মিশতে না পারা, তাদের গাড়ি চালনা নিয়ে উপহাস করা এবং একসঙ্গে বহুমুখী কাজ করতে না পারাকেই নারীরা পুুরুষের সবচেয়ে বড় দোষ হিসেবে দেখে।

কোন বিষয়গুলো নারীর চোখে একজন পুরুষকে নিঁখুত করে তোলে- এ প্রশ্নের জবাবে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।

পুরুষের দোষ-ত্র“টিগুলো কী জানতে চাওয়া হলে জরিপে অংশ নেওয়া নারীরা এমনই জবাব দিয়েছেন।

পুরুষের অন্যান্য দোষ-ত্র“টির মধ্যে উঠে এসেছে টয়লেটের দরজা খোলা রাখা, অতিরিক্ত খেলা দেখা এবং নিজেকে পরিপাটি করে রাখার প্রবণতা কম থাকার মতো বিষয়গুলো।

তাছাড়া, নখ না কাটা, উশকো-খুশকো দাড়ি রাখা এবং অতিরিক্ত মা-পাগল পুরুষকে নারীরা মোটেই ভাল চোখে দেখে না।

২০০০ নারীর ওপর জরিপটি চালিয়েছে যুক্তরাজ্যের রূপচর্চাকারী প্রতিষ্ঠান ‘রেমিংটন’। এর ফল প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে ‘দ্য ডেইলি মেইল’।

রেমিংটনের বিপণন পরিচালক নিক্কি ম্যাকরেনল্ডস বলেছেন, “দেখা যাচ্ছে নারীরা তার জীবনসঙ্গীর মাঝে যে বিষয়গুলো খুঁজে পেতে চায় সেক্ষেত্রে তারা খুবই বাস্তববাদী