শনিবার, ২১ জুলাই, ২০১২

ধেয়ে আসছে সৌরঝড়

ধেয়ে আসছে সৌরঝড়

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে আরেকটি সৌরঝড়। ১২ জুলাই সূর্যের বুকে সৃষ্ট সৌরঝড়টির প্রভাব রবিবার পৃথিবীতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তবে এক্স ১.৪ মাত্রার ঝড়টি স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষতি করার মতো শক্তিশালী নয় বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। খবর এবিসি নিউজ-এর।

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা সর্বশেষ এ সৌরঝড়টির তুলনায় আরো ২০ গুণ শক্তিশালী সৌরঝড় পৃথিবীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে। সৌরঝড় খুব শক্তিশালী হলে তা স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি করতে পারে। সৌরঝড় প্রথম বিজ্ঞানীদের নজরে আসে ১৮ শতকে। সে সময় একটি শক্তিশালী সৌরঝড় চলাকালে টেলিগ্রাফ অপারেটররা আবিষ্কার করেন, ব্যাটারি ছাড়াই টেলিগ্রাফ পাঠাতে পারছেন তারা। তবে এখনকার ঝড় ততোটা বিপজ্জনক নয় বলেই নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।

পৃথিবীর ৪০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশের বাসিন্দারা সৌরঝড়টির কারণে রাতের আকাশে অরোরা বা মেরুপ্রভা দেখতে পারেন বলে জানিয়েছে নাসা।

অন্যদিকে সৌরঝড়টির গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সৌরঝড়টি নিয়ে বেশ কিছু চোখ ধাঁধাঁনো ছবি এবং ভিডিও ধারণ করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।


স্যামসাং ডিসপ্লে প্রযুক্তি চুরিতে অভিযুক্ত এলজি

স্যামসাং ডিসপ্লে প্রযুক্তি চুরিতে অভিযুক্ত এলজি

প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাংয়ের অ্যাডভান্সড টিভি ডিসপ্লে প্রযুক্তি চুরির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন এলজি ও স্যামসাংয়ের কর্মীসহ ১১ ব্যক্তি। দক্ষিণ কোরিয়ার আদালতে স্যামসাংয়ের ওএলইডি ডিসপ্লে প্রযুক্তি চুরির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও এ ঘটনায় নিজেদের কর্মী জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে এলজি। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

২০১০ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে স্যামসাংয়ের তৈরি ওএলইডি ডিসপ্লে প্রযুক্তি চুরির দায়ে এলজি ডিসপ্লে কোম্পানির ৬ কর্মীসহ ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। ওই ১১ জনের মধ্যে ৬ জন এলজির কর্মী আর ৩ জন স্যামসাংয়ের কর্মী।

এ ব্যাপারে স্যামসাংয়ের দাবি, গোপনে তাদের কর্মীদের হাত করে তাদের ডিসপ্লে প্রযুক্তি চুরি করেছে এলজি। তবে এই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের বা কোম্পানিটির কোনো কর্মীর জড়িত থাকার কথা বরারবরের মতোই অস্বীকার করেছে এলজি।

পৃথিবীর বৃহত্তম ডিসপ্লে সাপ্লাইয়ার দু’টি কোম্পানি হচ্ছে স্যামসাং এবং এলজি। বর্তমানে ওএলইডি প্রযুক্তির ডিসপ্লে নিয়ে কোম্পানি দু’টির মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। অন্যান্য যে কোনো ডিসপ্লের তুলনায় পাতলা, হালকা এবং নমনীয় ওএলইডি প্রযুক্তির ডিসপ্লে।

লুমিয়া ৯০০ স্মার্টফোনের দাম কমলো

লুমিয়া ৯০০ স্মার্টফোনের দাম কমলো

অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের কাছে মার্কেট শেয়ার হারানোর ভয়ে নকিয়া তাদের স্মার্টফোন লুমিয়া ৯০০ বাজারে ছাড়ার ৩ মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দাম অর্ধেকে নামিয়ে আনলো। খবর ইয়াহু নিউজ–এর।

নকিয়ার মুখপাত্র কিথ নোয়াক রবিবার জানান, যুক্তরাষ্ট্রে লুমিয়া ৯০০ উইন্ডোজ ফোনের দাম দুই বছরের চুক্তি সহ ৯৯ ডলার থেকে কমিয়ে ৪৯ ডলার করা হয়েছে।

লুমিয়া ৯০০ উইন্ডোজ ফোনে রয়েছে ৪.৩ ইঞ্চি ডিসপ্লে স্ক্রিন, ১.৪ গিগাহার্জ প্রসেসর এবং ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এতে উইন্ডোজ মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।

শুরু থেকেই ফোনটির বিক্রির হার ছিলো কম। এই ফোনটি বাজারে আসার পরপরই মাইক্রোসফট ঘোষণা দেয়, তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮ এই ফোনে চলবে না। ফলে, বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্লগ মন্তব্য করেছে, বিক্রির হার বাড়ানোর জন্য দাম কমানো ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না নকিয়ার।

এক সময়ের প্রবল প্রতাপশালী মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক নকিয়া স্মার্টফোন তৈরি শুরু করে অনেক দেরিতে। যার কারণে স্মার্টফোনের বাজারে তারা এখনও অনেক পিছিয়ে। অন্যদিকে কম দামী মোবাইল ফোনের মার্কেটও তারা হারাচ্ছে দিন দিন অন্য মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর কাছে।

আইফোন ফাইভে ইন-সেল প্রযুক্তি!

আইফোন ফাইভে ইন-সেল প্রযুক্তি!

আইফোনের পরবর্তী মডেলের স্ক্রিনটি আরো পাতলা করতে অ্যাপল ব্যবহার করবে ইন-সেল প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইফোন ফাইভের স্ক্রিন তৈরিতে একাধিক কোম্পানি কাজ করছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

একাধিক গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জানিয়েছে, বর্তমানে আইফোন ফাইভের স্ক্রিন তৈরিতে কাজ করছে তিনটি কোম্পানি- শার্প, এলজি এবং জাপান ডিসপ্লে। আর আইফোন ফাইভ নিয়ে গুজবগুলোর একটি হচ্ছে আইফোন ফোর-এর ৪ ইঞ্চি স্ক্রিনের তুলনায় বড় হবে আইফোন ফাইভের স্ক্রিন।

ইন-সেল টেকনোলজিতে এলসিডি স্ক্রিনের মধ্যেই টাচ স্ক্রিনের সেন্সর বসানো থাকবে, ফলে নতুন আইফোনের স্ক্রিনটি হবে আরো পাতলা।

তবে আইফোন ফাইভ নিয়ে এরকম গুজব নতুন নয়। নতুন আইফোনের স্ক্রিন আরো বড় হবে কিনা বা আরো পাতলা হবে কিনা, এ ব্যাপারগুলো বরাবরের মতো এখনও গোপন রেখেছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।

স্কাইপ থাকছে অফিস ২০১৩ স্যুটে

স্কাইপ থাকছে অফিস ২০১৩ স্যুটে

মাইক্রোসফট অফিসের নতুন ভার্সনে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট এবং আউটলুক ছাড়াও নতুন অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে যোগ হচ্ছে স্কাইপ, ইয়ামার এবং ক্লাউড কানেক্টিভিটি। মূলত ট্যাবলেট পিসির টাচ স্ক্রিনে ব্যবহারের উপযোগী করে তৈরি হলেও ল্যাপটপ ও ডেস্কটপসহ সবধরনের কম্পিউটারে ব্যবহার করা যাবে অফিস-এর এ ভার্সনটি। খবর এবিসি নিউজ-এর।

১৬ জুলাই স্যান ফ্রান্সিসকোতে এক কনফারেন্সে অফিস ২০১৩-এর প্রিভিউ দেখায় মাইক্রোসফট। এ ব্যাপারে মাইক্রোসফট সিইও স্টিভ বলমার বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত মাইক্রোসফট অফিসের সবচেয়ে উচ্চাকাক্সক্ষী ভার্সন হতে যাচ্ছে এটি।’

সব ধরণের কম্পিউটারে ব্যবহার করার উপযোগী হলেও মূলত ট্যাবলেট কম্পিউটারে ব্যবহারের ব্যাপারটি মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে মাইক্রোসফট অফিস ২০১৩। নতুন ফিচারগুলোর কয়েকটি নিয়ে বিস্তারিত জানান বলমার। এর মধ্যে রয়েছে মাইক্রোসফট আউটলুক ব্যবহার করে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং-এর সুবিধা এবং পাওয়ার পয়েন্টের প্রেজেন্টার প্রিভিউ। যার মাধ্যমে প্রেজেন্টেশনের সময় প্রেজেন্টার তার নোটগুলো দেখে নিতে পারবেন বড় পর্দায় না দেখিয়েই।

নতুন অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে হিসেবে অফিসে যোগ হচ্ছে স্কাইপ এবং ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ সোশাল নেটওয়ার্ক ইয়ামার। তবে নতুন ফিচারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ক্লাউড কানেক্টিভিটি। ফলে মাইক্রোসফটের অনলাইন স্টোরেজ স্পেস স্কাইড্রাইভ ব্যবহার করে যে কোনো সময় যে কোনো জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো নামিয়ে নিতে পারবেন ব্যবহারকারী। এআরএম প্রসেসরের জন্য বিশেষভাবে তৈরি উইন্ডোজ আরটিতেও চলবে মাইক্রোসফট অফিস ২০১৩।

স্যান ফ্রান্সিকোতে অফিস ২০১৩-এর প্রিভিউ দেখালেও কবে বাজারে আসবে তা এখনও জানায়নি মাইক্রোসফট। এ বছরের অক্টোবর মাসেই উইন্ডোজ ৮-এর সঙ্গে একই সময়ে বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে মাইক্রোসফট অফিসের নতুন এ ভার্সনটি।