স্কাইপ থাকছে অফিস ২০১৩ স্যুটে
মাইক্রোসফট অফিসের নতুন ভার্সনে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট এবং আউটলুক ছাড়াও নতুন অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে যোগ হচ্ছে স্কাইপ, ইয়ামার এবং ক্লাউড কানেক্টিভিটি। মূলত ট্যাবলেট পিসির টাচ স্ক্রিনে ব্যবহারের উপযোগী করে তৈরি হলেও ল্যাপটপ ও ডেস্কটপসহ সবধরনের কম্পিউটারে ব্যবহার করা যাবে অফিস-এর এ ভার্সনটি। খবর এবিসি নিউজ-এর।১৬ জুলাই স্যান ফ্রান্সিসকোতে এক কনফারেন্সে অফিস ২০১৩-এর প্রিভিউ দেখায় মাইক্রোসফট। এ ব্যাপারে মাইক্রোসফট সিইও স্টিভ বলমার বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত মাইক্রোসফট অফিসের সবচেয়ে উচ্চাকাক্সক্ষী ভার্সন হতে যাচ্ছে এটি।’
সব ধরণের কম্পিউটারে ব্যবহার করার উপযোগী হলেও মূলত ট্যাবলেট কম্পিউটারে ব্যবহারের ব্যাপারটি মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে মাইক্রোসফট অফিস ২০১৩। নতুন ফিচারগুলোর কয়েকটি নিয়ে বিস্তারিত জানান বলমার। এর মধ্যে রয়েছে মাইক্রোসফট আউটলুক ব্যবহার করে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং-এর সুবিধা এবং পাওয়ার পয়েন্টের প্রেজেন্টার প্রিভিউ। যার মাধ্যমে প্রেজেন্টেশনের সময় প্রেজেন্টার তার নোটগুলো দেখে নিতে পারবেন বড় পর্দায় না দেখিয়েই।
নতুন অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে হিসেবে অফিসে যোগ হচ্ছে স্কাইপ এবং ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ সোশাল নেটওয়ার্ক ইয়ামার। তবে নতুন ফিচারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ক্লাউড কানেক্টিভিটি। ফলে মাইক্রোসফটের অনলাইন স্টোরেজ স্পেস স্কাইড্রাইভ ব্যবহার করে যে কোনো সময় যে কোনো জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো নামিয়ে নিতে পারবেন ব্যবহারকারী। এআরএম প্রসেসরের জন্য বিশেষভাবে তৈরি উইন্ডোজ আরটিতেও চলবে মাইক্রোসফট অফিস ২০১৩।
স্যান ফ্রান্সিকোতে অফিস ২০১৩-এর প্রিভিউ দেখালেও কবে বাজারে আসবে তা এখনও জানায়নি মাইক্রোসফট। এ বছরের অক্টোবর মাসেই উইন্ডোজ ৮-এর সঙ্গে একই সময়ে বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে মাইক্রোসফট অফিসের নতুন এ ভার্সনটি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন