ফেসবুকনির্ভর সাইটগুলো
সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের লিংক
সার্চ জায়ান্ট গুগল সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট হিসেবে সম্প্রতি চালু করেছে ‘গুগল প্লাস’। এ সাইটটি ব্যবহার করে ফেসুবকের মতোই সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যায়। মাত্র ৩ সপ্তাহ না পেরোতেই ২ কোটি ব্যবহারকারির মাইলফলক ছুঁয়েছে গুগল প্লাস।৭ জুলাই থেকে গুগল প্লাস অনলাইনে এলেও এখনো এটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। গুগলের তৈরি ওয়েভ, অরকুট এবং গুগল বাজ ব্যর্থ হলেও গুগল প্লাস দাঁড়িয়ে যাবে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
গুগল প্লাসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটা জিমেইল থেকে সরাসরি ব্যবহার করা যায়, ফলে নতুন করে নাম, পাসওয়ার্ড দিয়ে এটায় ঢুকতে (লগ-ইন) হয় না। সাইটির মজার বিষয় হচ্ছে ছবি শেয়ারিং। এছাড়াও সার্কেল, হ্যাংআউট, স্পার্কস-এর মতো নতুন ধারণা রয়েছে।
গুগল প্লাসের ঠিকনা হচ্ছে https://plus.google.com
গুগল প্লাস ছাড়াও আরো দুটি জনপ্রিয় সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট হচ্ছে-
http://www.facebook.com/ (ফেসবুক)
http://twitter.com/ (টুইটার)
বাংলা ব্লগের লিংক
ইন্টারনেট ডায়েরি লেখার ধারণা ‘ওয়েব লগ‘ থেকে ব্লগের ধারণার জন্ম। বিশ্বে প্রতিদিন বাড়ছে ব্লগের সংখ্যা। ব্লগে লেখার মাধ্যমে নিজের চিন্তা এবং লেখনীকে তুলে ধরা যায়। অনলাইনে লেখালেখির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ধরা হয় ব্লগকে। ‘ব্লগ’ শব্দটি এসেছে ইংরেজি ‘ওয়েবলগ’ শব্দটি থেকে।‘ওয়েবলগ’ শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয় ১৯৯৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর। শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জন বার্জার। এর ঠিক দু’বছর পর ১৯৯৯ সালের এপ্রিল এবং মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে পিটার মহোলজ নামে এক ব্যাক্তি ওয়েবলগ শব্দটিকে ভেঙ্গে দু’ভাগ করেন- ‘উই’ এবং ‘ব্লগ’ হিসেবে। এর পরই সারাবিশ্বব্যাপী ব্লগ জনপ্রিয় হতে শুরু করে। তবে মাঝামাঝি সময়ে আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে। অনলাইনে দিনলিপি লেখার সুবিধা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘ওপেন ডায়েরি’ যা ছিলো অনেকটা এখনকার ব্লগের মতোই।
সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম নিজস্বভাবেই ব্লগ নিয়ে এসেছে। ব্লগে এখন অনেক রথী-মহারথীরাও লিখছেন। ব্লগের মাধ্যমে সার্চ জায়ান্ট গুগল থেকে শুরু করে প্রযুক্তিবিশ্বের অনেক তথ্যই জানিয়ে দেয়া হয়।
ব্যক্তিগত চিন্তা-চেতনার পাশে ব্লগ হয়ে ওঠছে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাতেও। ইন্টারনেট সংযোগ এবং মনের ভাষা প্রকাশের ইচ্ছা থাকলেই ব্লগ লেখা যায়। ইংরেজি ব্লগের পাশাপাশি বাংলায়ও ব্লগ লেখা শুরু হয়েছে।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম সম্প্রতি একটি সিটিজেন জার্নালিজমভিত্তিক ব্লগ চালু করেছে। এই ব্লগের মাধ্যমেই সিটিজেন জার্নালিজমভিত্তিক বিভিন্ন ব্লগ লেখা যাবে। ব্লগটির ঠিকানা:blog.bdnews24.com
বাংলা ভাষায় বর্তমানে প্রচলিত ব্লগগুলো মুলত কমিউনিটি ব্লগ। প্রতিটি ব্লগেই রেজিস্ট্রেশন করে কয়েকটি ধাপ পেরোতে হয়। তারপর নিয়ম-নীতি মেনে লেখা যায়। এমন কয়েকটি কমিউনিটি ব্লগের ঠিকানা-
সামহয়্যারইন ব্লগ http://www.somewhereinblog.net)
সচলায়তন http://www.sachalayatan.com/)
ক্যাডেটকলেজ ব্লগ http://www.cadetcollegeblog.com/)
আমার ব্লগ http://www.amarblog.com/)
চতুর্মাত্রিক’ http://www.choturmatrik.com/)
নাগরিক ব্লগ http://www.nagorikblog.com/)
বিবর্তন বাংলা http://bn.biborton.com/)
মুক্তমনা বাংলা ব্লগ http://mukto-mona.com/banga_blog/)
টুইটারের জন্য ৪ টি লিংক
মাইক্রোব্লগিং কমিউনিটি টুইটার বর্তমান বিশ্বের অন্যতম দ্রুত যোগাযোগ মাধ্যম। কিছু কিছু পরিসংখ্যানের হিসেবে, জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে ফেসবুকের পরেই এর স্থান। শুধু প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাই নন, বরং সর্বস্তরের মানুষের মধ্যেই টুইটারের প্রতি অন্যরকম একটি ঝোঁক রয়েছে। শুরুর দিকে টুইটার ব্যবহার করা হতো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত আপডেট বন্ধু-বান্ধব ও অন্যান্য অনুসারীদের (টুইটারের ভাষায় ফলোয়ার) জানানোর জন্য। তবে ধীরে ধীরে এই ট্রেন্ডের পরিবর্তন ঘটতে থাকে। টুইটার নিজেও ‘আপনি কী করছেন’ প্রশ্নটি বদলে ফেলে সেখানে লেখে ‘এখন কী ঘটছে’। অর্থাৎ, সংবাদ সবার আগে ছড়ানোর জন্যও অন্যতম একটি প্লাটফর্ম হচ্ছে টুইটার।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত আপডেট জানানোর জন্য টুইটার ব্যবহার করা হলেও দেখা গেছে যে, ২০০৮ সাল থেকে অধিকাংশ ব্রেকিং নিউজগুলো প্রথম প্রকাশিত হয়েছে কোনো না কোনো টুইটার একাউন্ট থেকেই। মানুষ ঘটনাস্থলে থাকা অবস্থাতেই টুইটারের মাধ্যমে সবাইকে তা জানিয়ে দিতে শুরু করে। ঠিক এভাবেই টুইটারের জনপ্রিয়তার পাল্লা ভারী হতে থাকে। দিনে দিনে টুইটার এখন এমন একটি পর্যায়ে চলে এসেছে যে, বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি ওয়েবসাইট, সংগঠন, এমনকি হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব যেমন সেলিব্রেটি, প্রযুক্তিবিদ প্রায় সবাইই টুইটার ব্যবহার করা শুরু করেছেন। সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফটের প্রধান বিল গেটসও সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন টুইটারে। এছাড়া গুগলের প্রতিটি সেবার জন্য আলাদা আলাদা টুইটার একাউন্ট রয়েছে।
তুমুল জনপ্রিয় এই টুইটারকে সমৃদ্ধ করতে তৈরি হয়েছে প্রচুর থার্ড-পার্টি অ্যাপ্লিকেশন যেগুলো আপনার টুইটার ব্যবহারকে করে তুলবে আরো দ্রুত, সহজ ও সমৃদ্ধ। তেমনই কিছু অ্যাপ্লিকেশনের কথা জানানো হচ্ছে।
টুইটলেটার
আপনি যদি ব্যস্ততার জন্য টুইটারে নিয়মিত ঢুকতে না পারেন, তাহলে টুইটলেটার আপনার জন্যই। টুইটলেটার টুইটারে আপনার অধিকাংশ কার্যক্রমকেই স্বয়ংক্রিয় করে দেবে। অর্থাৎ, আপনি আগে থেকেই টুইটলেটারকে জানিয়ে রাখতে পারবেন কী করতে হবে। টুইটলেটার আপনার হয়ে সেসব কাজ করে দেবে।টুইটলেটার যেসব সুবিধাগুলো দিয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো শিডিউল টুইট। এর মাধ্যমে আপনি একটি টুইট লিখে তা ভবিষ্যতে অর্থাৎ কবে এবং কখন প্রকাশিত হবে তা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। এর ফলে, আপনি যদি যথাসময়ে টুইটারে ঢুকতে না পারেন অথবা ভুলেই যান, টুইটলেটার আপনার হয়ে কাজটি করে দেবে।
এছাড়াও টুইটলেটারের মাধ্যমে যখনই কেউ আপনাকে ফলো করতে শুরু করবেন, আপনি তাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফলো করতে পারবেন। নিজে বারবার ফলো করা শুরু করতে হবে না। পাশাপাশি নতুন ফলোয়ারদের স্বাগতম জানিয়ে ডাইরেক্ট মেসেজ (ডিএম) স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাঠানোর ব্যবস্থাও রয়েছে টুইটলেটারের। শুধু তাই নয়, কেউ যদি আপনাকে ফলো করা বন্ধ করে দেয়, টুইটলেটারের মাধ্যমে আপনিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাকে ফলো করা বন্ধ করতে পারবেন।
তবে সেবাটি ব্যবহার করতে আপনার টুইটার একাউন্টের প্রবেশাধিকার দিতে হবে টুইটলেটারকে। বিস্তারিত জানতে এবং সেবাটি উপভোগ করতে ভিজিট করুন টুইটলেটার : http://www.tweetlater.com ।
স্পন্সর্ড টুইটস
প্রচুর সংখ্যক হিউম্যান ফলোয়ার পেলে টুইটার থেকে দু’চার পয়সা আয় করাও সম্ভব। অনেকেই টুইটার থেকে প্রতিমাসে কিছু পরিমাণ টাকা আয় করে নিচ্ছেন। এর জন্য আপনাকে ব্যবহার করতে হবে তৃতীয়পক্ষের অ্যাপ্লিকেশন।স্পন্সর্ড টুইটস তেমনই একটি অ্যাপ্লিকেশন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার টুইটার একাউন্টের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অনুমতি দিতে পারেন। এরপর স্পন্সর্ড টুইটস আপনার একাউন্ট তাদের ডাটাবেজে সংরক্ষণ করে রাখবে। বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার একাউন্ট ও এ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন। যদি তাদের পছন্দ হয়, তাহলে আপনি তাদের কাছ থেকে অফার পাবেন। অফার গ্রহণ করলে আপনার একাউন্ট থেকে তাদের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে এবং বিনিময়ে আপনি টাকা পাবেন।
উল্লেখ্য, টাকা দেয়ার স্কিম বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কেউ কেউ আপনাকে প্রকাশ করার জন্যই টাকা দেবে। কেউ আবার প্রতি কিকের বিনিময়ে টাকা দিয়ে থাকে। তবে স্পন্সর্ড টুইটসের সুবিধা হলো এই যে, এটি আপনাকে একটি ফ্যাট রেট নির্ধারণের সুযোগ দেবে যার ফলে আপনি বিজ্ঞাপন প্রকাশ হলেই টাকা পাবেন। তবে কয়েক হাজার ফলোয়ার না থাকলে এই রেট এক ডলারের বেশি রাখা ঠিক নয়।
সেবাটি ব্যবহার করতে আপনার টুইটার একাউন্টের প্রবেশাধিকার দিতে হবে স্পন্সর্ড টুইটসকে। এছাড়াও প্রতিবার লগইন করার সময় টুইটারের ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ডই ব্যবহার করতে হবে। ঠিকানা: http://www.sponsoredtweets.com ।
ফার্স্ট ফলোয়ার
কয়েকশ’ বা কয়েক হাজারেরও বেশি ফলোয়ার পেলে আপনার হয়তো জানতে ইচ্ছে হতে পারে টুইটারে আপনাকে সর্বপ্রথম কে ফলো করতে শুরু করেছিলেন। ফার্স্ট ফলোয়ার আপনার হয়ে সেই কাজটি করে দেবে। ফার্স্ট ফলোয়ারের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার টুইটার ইউজারনেম লিখে এন্টার প্রেস করলেই আপনি দেখতে পাবেন আপনার প্রথম ফলোয়ারের নাম।উল্লেখ্য, এই পদ্ধতিতে আপনি যে কোনো টুইটার একাউন্টের প্রথম ফলোয়ার কে তা জানতে পারবেন। ফার্স্ট ফলোয়ার ওয়েবসাইটের ঠিকানাঃ http://www.firstfollower.com
আনফলো অল
টুইটার ব্যবহারের সময় আপনি হয়তো লক্ষ্য করবেন যে, অনেক ফলোয়ারই বট। অর্থাৎ, কোনো মানুষ নয়, বরং কম্পিউটারাইজড একাউন্ট যেখান থেকে সবসময় বিভিন্ন সাইটের লিংক আপডেট করা হয়। এভাবে হয়তো একসময় আপনার ফলোয়ারদের সিংহভাগই এসব বট হতে পারে। তখন আপনি হয়তো আলাদাভাবে প্রতিটি একাউন্টকে আনফলো (অনুসরণ বন্ধ করা) করতে পারবেন না।সেই মুহুর্তেই কাজে আসবে আনফলো অল। সবগুলো বট আপনার একাউন্ট থেকে মুছে ফেলতে অথবা অন্য কোনো কারণে ‘শুরু থেকে শুরু করতে’ আপনি সবাইকে ফলো করা বন্ধ করতে পারেন। এর জন্য আনফলো অল সাইটে গিয়ে আপনার টুইটার ব্যবহারকারী নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে আনফলো অল বাটনে কিক করুন।
তবে কাজটি করার আগে সতর্ক থাকুন। কেননা, একবার সবাইকে আনফলো করলে তা পুনরায় ফলো করা যাবে না। আনফলো অল সাইটের ঠিকানাঃ http://www.unfollowall.com ।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক টুইটার তৃতীয়পক্ষ অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার টুইটার ব্যবহারে নতুন অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। তবে, বিশ্বস্ত নয় এমন কোনো অ্যাপ্লিকেশনকে আপনার একাউন্টে প্রবেশাধিকার দেয়া থেকে বিরত থাকুন। অন্যথায় আপনার একাউন্ট থেকে আজেবাজে স্ট্যাটাস আপডেট করে বসতে পারে সেসব অ্যাপ্লিকেশন।
ফেসবুক : নতুন সেটিংসের পয়লা পাঁচ
সম্প্রতি ফেসবুকের সকল প্রাইভেসি সেটিংস আবারো আপডেট করা হয়েছে। জনপ্রিয় এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের আপডেটেড প্রাইভেসিতে যোগ করা হয়েছে বেশকিছু নতুন অপশন। ফেসবুক জানিয়েছে, ব্যক্তিগত তথ্যাদির উপর ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতেই মূলত নতুন অপশনগুলো যোগ করা হয়। তবে প্রাইভেসি সেটিংস আপগ্রেড করার পর থেকেই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সমালোচনার পাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে ফেসবুক। খবর অনলাইন সংবাদ সংস্থা এমএসএনবিসি’র।সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন প্রাইভেসি সেটিংসের ভালো-খারাপ উভয় দিকই রয়েছে। তারা জানিয়েছেন- অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ব্যক্তিগত তথ্য এবং পোস্ট সবার সামনে উন্মুক্ত রাখার জন্য ফেসবুক পরোক্ষভাবে ব্যবহারকারীদের উদ্বুদ্ধই করছে।
আসুন, নতুন পরিস্থিতিতে ফেসবুকের নতুন নিরাপত্তা পদ্ধতির গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি দিক জেনে নেয়া যাক।
সার্চ সেটিংস
নতুন সেটিংসে আপনার প্রোফাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ও পাবলিক লিস্টিংয়ের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যেতে পারে। অনেকেই বলছেন, বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ও পাবলিক লিস্টিংয়ে অন্তর্ভূক্ত না হওয়ার অপশন চালু রাখার পরও নতুন প্রাইভেসি সেটিংসের সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রোফাইলও জনসম্মুখে প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে; যা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি বিরুদ্ধ।তবে আপনি চাইলে সার্চ সেটিংস এর পরিবর্তন করতে পারেন। প্রাইভেসি সেটিংস অপশন থেকে ‘অ্যালাউ ইনডেক্সিং’ চেকবক্স থেকে টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিলেই আপনার প্রোফাইল বাইরের কেউ খুঁজে পাবে না।
প্রাইভেসি সেটিংসে পাসওয়ার্ড বলয়
ফেসবুক জানিয়েছে, নতুন প্রাইভেসি সেটিংসের আওতায় আপনি প্রাইভেসি সংক্রান্ত যে কোনো কিছু আপডেট করার সময় প্রথমে আপনাকে পাসওয়ার্ড দিতে হবে। অর্থাৎ, আপনি লগইন থাকাকালীন অন্য কেউ যাতে আপনার প্রাইভেসি সেটিংস বদলে দিতে না পারেন, সে জন্যই নিরাপত্তার এই বাড়তি স্তর। এতে করে পুনরায় পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করে প্রাইভেসি সেটিংসে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না।তবে অনলাইন সংবাদ সংস্থা এমএসএনবিসি’র প্রতিবেদক জানিয়েছেন, তিনি বারবার পাসওয়ার্ড দেয়া ছাড়াই প্রাইভেসি সেটিংসে পরিবর্তন করতে পেরেছেন। তিনি আরো জানান, প্রাইভেসি সেটিংসে বিভিন্ন বিষয় কোনোরকম নিরাপত্তা বলয় ছাড়াই তিনি পরিবর্তন করতে পেরেছিলেন। অর্থাৎ, তার বেলায় এভাবে বারবার পাসওয়ার্ড চাওয়া হয়নি।
পরে অবশ্য তিনি জানিয়েছেন যে, প্রাইভেসি আপডেটের প্রায় আধা ঘণ্টা পর পাসওয়ার্ডের এই বাড়তি বলয়টি কার্যকরী হয়। আগে ঘোষণা দিয়ে পরে সুবিধা সক্রিয় করার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
পাবলিকলি অ্যাভেইলেবল ইনফরমেশন
ফেসবুকের পরিবর্তিত প্রাইভেসি সেটিংসে রয়েছে পাবলিকলি অ্যাভেইলেবল ইনফরমেশন, সংক্ষেপে পিএআই। এর অধীনে আপনার প্রোফাইলের ছবি, আপনি যেসব পেজের ফ্যান সেসব পেজের তালিকা, জেন্ডার, ধর্ম, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি তথ্যাদি সবার প্রতি উন্মুক্ত হয়ে যাবে। অর্থাৎ, চাইলেই যে কেউ আপনার সম্পর্কে এসব তথ্য সার্চ ফলাফল পাতা থেকে জানতে পারবেন যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সার্চ পাতায় নিজের প্রোফাইল উন্মুক্ত রাখছেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে জানা গেছে, এইসব তথ্য মুছে ফেলার কোনো উপায় নেই বললেই চলে। সার্চ পাতায় নিজেকে দৃশ্যমান রাখতে হলে উপরোক্ত তথ্যগুলোও প্রকাশ করতে হবে; যা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রশ্নে খানিকটা অস্বস্তিকরই বটে।উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি যদি এমন কোনো সামাজিক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজের ফ্যান হয়ে থাকেন যার সম্পর্কে আপনার ফেসবুক বন্ধু বা অন্য কাউকে জানাতে চান না, তাহলে নতুন এই পদ্ধতির আওতায় তা সম্ভব নয়। কেননা, সার্চ ফলাফলে আপনি নিজেকে দৃশ্যমান রাখতে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এসব তথ্য সবার সামনে চলে আসবে, যা ফেসবুকের নতুন এই প্রাইভেসি আপডেট সমালোচিত হওয়ার অন্যতম মূল কারণ।
বিশেষ নিয়ন্ত্রণ সুবিধা
পিএআই ফেসবুক প্রাইভেসির একটি বিতর্কিত দিক হলেও ফেসবুকে আপনার অন্যান্য কর্মকান্ডের উপর আপনি পাচ্ছেন পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। এমনকি আপনি যখন প্রতিবার স্ট্যাটাস আপডেট করেন, তখনই ঠিক করে দিতে পারবেন কে কে এই পোস্ট বা স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন এবং কে কে এই পোস্ট দেখতে পারবেন না। একইভাবে আপলোড করা ছবির বেলাতেও আপনি প্রাইভেসি লেভেল নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন।ফেসবুকের নতুন এই প্রাইভেসি সেটিংস একইসঙ্গে প্রশংসা এবং সমালোচনা দুইই কুড়াচ্ছে। কিছু কিছু আপডেট সত্যিকার অর্থেই ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় কার্যকর। অন্যদিকে কিছু ব্যাপার আবার মোটেই সন্তোষজনক নয়।
ফেসবুক প্রাইভেসি আপডেটে ব্যবহারকারীদের তথ্য সবার প্রতি উন্মুক্ত করে দিতে পরোক্ষভাবে আহ্বান করা হয় বলে দাবি করেছেন একাধিক প্রযুক্তিবিদ। তাদের মতে, গুগলের রিয়েল-টাইম সার্চ রেজাল্টের মাধ্যমে বাড়তি হিট পাওয়ার আশায়ই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি আপডেট করতে বলছে, যদিও সোজা-সাপ্টা ভাষায় ফেসবুক তেমন কিছু বলেনি। অন্যদিকে অনেক প্রযুক্তিবিদদের ধারণা, ফেসবুক নকল করতে চাচ্ছে টুইটারের আইডিয়া, যা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন তারা।সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট ফেসবুকনির্ভর অনেক সাইট তৈরি করছেন ওয়েব ডেভেলপাররা। ওয়েব প্রোগ্রাম,অ্যাপ্লিকেশন,গেমস ছাড়াও ফেসবুকের আইডিয়ানির্ভর অনেক সাইটের দেখা মেলে ইন্টারনেটে। ফেসবুক ব্যবহারকে আরো সহজ এবং মজাদার করতেই এসব ওয়েবসাইটগুলো তৈরি হয়। যদিও এসব ওয়েবসাইটের কোনোটাই ফেসবুকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় তবুও ফেসবুক পুঁজি করেই এগুলো তরতর করে এগিয়ে চলেছে। এমনকি কিছু সাইট আবার ফেসবুকের নামও নিজের সঙ্গে জুড়ে নিয়েছে।
Howdoifacebook.com
নতুন ফেসবুক ব্যবহারকারীর জন্যই এ সাইটটি। ফেসবুক বিষয়ে মনে যতো প্রশ্ন ওঠে তার তাবৎ উত্তর রয়েছে সাইটটিতে। ফেসবুক বিষয়ক সমস্যার সমাধান নিয়েই তৈরি করা হয়েছে
www.howdoifacebook.com সাইটটি। ফেসবুকের নিজস্ব সমস্যার সমাধান নিয়ে HELP সেকশন থাকলেও এ সাইটে সবকিছু খুব সহজভাবে ব্যাখা করা হয়েছে। ফেসবুকে ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দের অর্থ ও এর ব্যবহার, ফেসবুক বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর সাইটটিতে পাওয়া যাবে।
Reface.me
কেবল ফেসবুকনির্ভর একটি ব্লগ হলো www.reface.me। ফেসবুক স্ট্যাটাস আপডেট, প্রোফাইল, ফেসবুক গ্রুপ ও পেজ,ফটো-ভিডিও, গেমস, অ্যাপ্লিকেশন, ফেসবুকোলজি ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে সাজানো হয়েছে ব্লগটিকে। এতে রয়েছে ফেসবুক ব্যবহারের গাইডলাইন এবং ফেসবুক সম্পর্কিত বিভিন্ন টিপস সুবিধাও।
Facebookcraze.com
ফেসবুক নিয়ে আরেকটি সুন্দর ব্লগ হলো www.facebookcraze.com। ফেসবুকের মজার স্ট্যাটাস আপডেট, ফেসবুক বন্ধুদের ট্যাগ করার জন্য মজার মজার ফটো ইফেক্ট এবং বিভিন্ন ফেসবুক গেমসের রিভিউ নিয়ে সাজানো হয়েছে সাইটটিকে। প্রায় একই ধরনের আরেকটি ব্লগ www.facebookflow.com। এখানেও ফেসবুকের বিভিন্ন খবরা-খবর, বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন, গেমস ও পেজের রিভিউ ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য মিলবে।
Allfacebook.com
ফেসবুককে নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী একটি ওয়েবসাইট www.allfacebook.com। ফেসবুকের সর্বশেষ খবরাখবর, ফেসবুক পেজগুলোর মধ্যে কোনগুলোর অবস্থান সবার ওপরে, সপ্তাহের সেরা ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন ও গেমসের তালিকা ইত্যাদি নিয়ে সাজানো হয়েছে ওয়েবসাইটটি।
Facemoods.com
স্মাইলি, ইমোটিকনস, অ্যানিমেশন যারা ফেসবুক স্ট্যাটাস, চ্যাট বা ওয়ালে এসব যুক্ত করতে চান তাদের জন্য www.facemoods.com । সাইটটি থেকে স্মাইলি কিংবা ইমোটিকনস ব্যবহারের ছোট্ট সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে পিসি বা ল্যাপটপে ইনস্টল করলেই কাজ হবে।
Facebookvideodown.com
ফেসবুক ভিডিও ডাউনলোড করার কাজ করে www.facebookvideodown.com সাইটটি। পিসিতে কোনো সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার ছাড়াই সহজেই ডাউনলোডের কাজটি করা যায় সাইটটি থেকে।
Privacydefender.net
ফেসবুকে প্রাইভেসি সেটিং সমাধান দিতেই আছে www.privacydefender.net সাইটটি। এ সাইটের একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে সহজেই ফেসবুকের প্রাইভেসি সেট করা যায়।
Insidefacebook.com
ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার, প্রোগ্রামার এবং মার্কেটারসদের জন্য ওয়েবসাইটটির নাম Insidefacebook.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন