আয়ন কলাইডারে তৈরি হচ্ছে বিগ ব্যাংয়ের মৌল 'সুপ'
বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের পর সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ের জন্য মহাবিশ্ব এতোটাই উত্তপ্ত হয়ে পড়েছিলো যে, বস্তুসমূহ কোয়ার্ক বা ক্ষুদ্রতম মৌল তরলে পরিণত হয়েছিলো। বিজ্ঞানীরা একে বলেন মৌল পদার্থের আদিম ‘সুপ’। সেই মৌল সুপটিই আবার তৈরি করার চেষ্ট চলছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আয়ন কোলাইডারে। খবর ফক্স নিউজ-এর।মৌল পদার্থের সেই আদিম সুপের রহস্য সমাধানের চেষ্টা চলছে নিউ ইয়র্কের ব্রুকহেভেন ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির ‘রিয়ালিস্টিক হেভি আয়ন কলাইডার (আরএইচআইসি)-এ।’ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পার্টিকল কোলাইডার এটি। বস্তুর কণাগুলোকে ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি ফারেনহাইটে উত্তপ্ত করে, মৌলকণাগুলোতে একরকম তরল প্লাজমাতে পরিণত করছে আরএইচআইসি।
বস্তুর ক্ষুদ্রতম মৌল কণাগুলো তৈরি হয় কোয়ার্ক দিয়ে। যা অনেকটা বিল্ডিং ব্লক হিসেবে কাজ করে। আর এই বিল্ডিং ব্লকগুলোকে একসঙ্গে ধরে রাখতে আঠার মতো কাজ করে গ্লুওন। মহাবিস্ফোরণের পর মহাবিশ্ব সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ের জন্য এতোটাই উত্তপ্ত হয়েছিলো যে, সৃষ্টি হয়েছিলো কোয়ার্ক এবং গ্লুওনের এক তরল মিশ্রন যা কোয়ার্ক-গ্লুওন প্লাজমা নামে পরিচিত।
আরএইচআইসিতে ওই কোয়ার্ক-গ্লুওন প্লাজমাই তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা। কোয়ার্ক-গ্লুওন প্লাজমার গঠন নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে পুরো মহাবিশ্বের গঠন বিষয়ে বিভিন্ন অজানা তথ্য খুঁজে পাওয়া যাবে, এমনটাই আশা তাদের। শুধু তাই নয়, পদার্থ বিজ্ঞানের থিওরি অফ এভরিথিং মতবাদ অনুযায়ী আমাদের জগতের পাশাপাশি আরো কোনো ত্রিমাত্রিক জগৎ আছে কিনা তাও নিশ্চিত করা যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন