শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১২

বছরে ৩২০ টন স্বর্ণ যাচ্ছে ইলেক্ট্রনিক পণ্যে!

বছরে ৩২০ টন স্বর্ণ যাচ্ছে ইলেক্ট্রনিক পণ্যে!

প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে ৩২০ টন সোনা, যার বাজার মূল্য ১ হাজার কোটি বৃটিশ পাউন্ডেরও বেশি। আর এই সোনার সামান্যই আবার আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে। বিস্ময়কর এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ঘানার আক্রায় ই-ওয়েস্ট একাডেমির মিটিংয়ে। খবর অরেঞ্জ নিউজের।

ই-ওয়েস্ট একাডেমির মিটিংয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতি বছর ইলেকট্রনিক গ্যাজেট তৈরিতে যে পরিমাণ সোনা ব্যবহার করা হচ্ছে, তার শতকরা ৮৫ শতাংশই হারিয়ে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক বর্জ্য পদার্থের সঙ্গে। এর মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংশ পুনরায় আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে। টেকনোলজি কোম্পানিগুলো সোনার পাশাপাশি প্রতিবছর ব্যবহার করছে ৭ হাজার ৫০০ টন রুপা।

বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, বর্তমানে পৃথিবীর মাটির নিচের খনিগুলোতে যে পরিমাণ মূল্যবান আকরিক ধাতু রয়েছে, তার চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ গুণ বেশি ধাতু রয়েছে ইলেকট্রিক গ্যাজেট ওয়েস্টে। গত বছরে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৩২০ টন সোনা যা পুরো পৃথিবীর সোনার যোগানের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।

এ ব্যাপারে গ্লোবাল ই-সাসটেইনেবিলিটি ইনিসিয়েটিভ-এর চেয়ারম্যান লুইস নেভস বলেন, ‘ভোক্তারা স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট কম্পিউটারের মতো হাইটেক ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের সুবিধা বহাল রাখতে চাইলে ইলেকট্রনিক বর্জ্য পদার্থ রিসাইকেল করে মূল্যবান ধাতুগুলো সংগ্রহ করার একটি পদ্ধতি দাঁড় করানো জরুরি হয়ে পড়েছে।’

কোন মন্তব্য নেই: