বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১২

লবণে ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ে

লবণে ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ে

প্রতিদিনের খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিলে পাকস্থলিতে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এ তথ্য জানিয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার রিসার্চ ফান্ড (ডব্লিউসিআরএফ)’। খবর বিবিসির।

সম্প্রতি প্রকাশিত ডব্লিউসিআরএফের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বৃটেনে প্রতি বছর প্রায় ৬ হাজার মানুষের পাকস্থলি ক্যান্সার হয়। এর মধ্যে শতকরা ১৪ ভাগ বা ৭শ’ পাকস্থলি ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তি এই রোগটির হাত থেকে বাঁচতে পারতেন, যদি তারা খাবারের সঙ্গে ৬ গ্রাম পরিমাণ লবণ খেতেন।

অতিরিক্ত মাত্রায় লবণ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে একাধিক। অতিরিক্ত লবণ বাড়িয়ে দেয় রক্তচাপ। স্ট্রোক এবং হৃৎপিন্ডের বিভিন্ন রোগের একটি অন্যতম কারণও খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া।

ডব্লিউসিআরএফ জানিয়েছে, একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে ৬ গ্রাম লবণ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই এই পরিমাণ মেনে লবণ খাননা। আর এই বেশি মাত্রায় লবণ খাওয়া বাড়িয়ে দেয় পাকস্থলির ক্যান্সারের ঝুঁকি। খাবারে লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এই ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।



সাঁতার কাটছে কৃত্রিমভাবে তৈরি 'জেলিফিস

সাঁতার কাটছে কৃত্রিমভাবে তৈরি 'জেলিফিস'

সম্প্রতি হাভার্ড ইউনিভার্সিটির বায়োইঞ্জিনিয়ার কেভেন কিট পার্কার ইঁদুরের হৃৎপিণ্ডের কোষ এবং সিলিকন পলিমারের সমন্বয়ে একটি জেলিফিস বানিয়েছেন, যা বাস্তবিক জেলিফিসের মতোই সাঁতার কাটতে পারে। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

কৃত্রিম এ জেলিফিসটির নামকরণ করা হয়েছে ‘মেডুসয়িড’। গবেষক পার্কার জানান, মানুষের হৃৎপিণ্ডের মতো এটিও একটি প্রাকৃতিক বায়োলজিকাল পাম্প। তার মতে, কার্ডিয়াক ফিজিওলজি নিয়ে পড়াশুনার ক্ষেত্রে এটি মডেল হিসাবে বেশ ভালোভাবেই কাজ করবে।

পার্কার জানান, যে কোনো অ্যাকুয়িরিয়ামে বা অন্য কোথাও জেলিফিস ভালোভাবে লক্ষ্য করলে যে কেউ বুঝতে পারবে, পাম্প করার মাধ্যমেই এরা সাঁতার কাটে। ২০০৭ সালে এক প্রদর্শনীতে জেলিফিস দেখে তার মাথায় কৃত্রিমভাবে এটি বানানোর চিন্তা আসে। এরপর ইঁদুরের হৃদযন্ত্রের কোষ এবং পাতলা সিলিকন ফিল্ম দিয়ে তিনি এ কৃত্রিম জেলিফিসটি তৈরি করেন।

পর্কারের মতে, এ কৃত্রিম জেলিফিসটি ভিন্ন ভিন্ন বিজ্ঞানীর ভিন্ন ভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারবে। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, একজন সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী এর দ্বারা জেলিফিসের দেহ গঠন এবং এর সাঁতার কাটা সম্পর্কে আরও সূত্র ধারণা পেতে পারবে। অন্যদিকে মেডুসয়িডের হার্ট পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে হৃদযন্ত্র নিয়েও গবেষণা সম্ভব।

কার্ডিওভাস্কুলারের ওষুধ নিয়ে গবেষণা এবং এর উন্নয়নে মেডুসয়িড ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন পার্কার। তাছাড়াও তিনি দাবি করছেন এ প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম হৃদযন্ত্রও তৈরি করা সম্ভব।

গুগলের ১৬ জিবি নেক্সাস ৭-এর স্টক শেষ

গুগলের ১৬ জিবি নেক্সাস ৭-এর স্টক শেষ

গুগলের ১৬ জিবি ট্যাবলেট কম্পিউটার নেক্সাস ৭-এর সব ইউনিট বিক্রি হলো গুগল প্লে স্টোর থেকে। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

ইতোমধ্যেই বাজারে পরিচিত গুগলের অ্যাড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। নেক্সাস ৭-এ ব্যবহৃত হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলি বিন। এ ট্যাবলেটের ফিচারে রয়েছে ৭ ইঞ্চি টাচ স্ক্রিন, শক্তিশালী কোয়াড-কোর প্রসেসর, ক্যামেরা এবং নেয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি।

নেক্সাস ৭ জনপ্রিয়তা পাবে বলে আগেই ধারণা করা হয়েছিলো। এর সবচেয়ে বড় কারণ ছিলো, এটি বাজারে ছাড়া হয়েছিলো আইপ্যাডের অর্ধেক দামে। ৮ জিবি নেক্সাস ৭-এর দাম নির্ধারণ করা হয় ১৯৯ ডলার এবং ১৬ জিবি ২৪৯ ডলার। বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ১৬ জিবি নেক্সাস তুমুল সাড়া ফেলে। তাই এখন গুগল স্টোরে ৮ জিবি নেক্সাস ৭ পাওয়া গেলেও ১৬ জিবির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে আগ্রহীদের।


সোশাল নেটওয়ার্কেই চিহ্নিত হবে সাইকোপ্যাথ

সোশাল নেটওয়ার্কেই চিহ্নিত হবে সাইকোপ্যাথ

টুইটারের মতো সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো ব্যবহার করে সাইকোপ্যাথ বা মানসিক ব্যাধিগ্রস্থ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা সম্ভব, জানালেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট টুইটার ব্যবহারকারীদের স্পিচ প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য সাইকোপ্যাথদের চিহ্নিত করতে সফল হন ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটির ওই বিজ্ঞানীদল। খবর ফক্স নিউজ-এর।

২০১০ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা সাইকোপ্যাথদের আচরণ এবং স্পিচ প্যাটার্নের ওপর গবেষণা চালিয়েছিলেন। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ৮০টি দেশের ২,৯২৭ জন টুইটার ব্যবহারকারীর ওপর সমীক্ষা চালান ফ্লোরিডা আটলান্টিকের বিজ্ঞানীরা। তাদের মধ্যে ৪১ জনকে বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেন সম্ভাব্য সাইকোপ্যাথ হিসেবে। কর্র্নেল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা সাইকোপ্যাথদের চরিত্রের যে দিকগুলো চিহ্নিত করেছিলেন, তার সঙ্গে মিল পাওয়া যায় ওই ৪১ ব্যক্তির।

এ বিষয়ে শীঘ্রই অনলাইন প্রাইভেসি ফাউন্ডেশন ‘কেগল’-এর সঙ্গে ডেফকন কনভেনশনে নিজের গবেষণাপত্র প্রকাশ করবেন ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হ্যাকার কনভেনশনগুলোর একটি হচ্ছে ডেফকন

ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের জন্য গুগলের বিজ্ঞান মেলা

ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের জন্য গুগলের বিজ্ঞান মেলা

এ বছরের দ্বিতীয় বার্ষিক গুগল সায়েন্স ফেয়ারের গ্র্যান্ড প্রাইজ জিতে নিয়েছে ১৭ বছর বয়সি তরুণী ব্রিটনি ওয়েঙ্গার। খবর সিএনএন-এর।

স্কুলে ৭ম গ্রেডে পড়ার সময় থেকেই ব্রিটনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পড়াশুনা করছিলেন। তার বানানো কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে স্তন ক্যন্সার নির্ণয়ের প্রজেক্ট জিতে নেয় মেলায় সবচেয়ে বড় পুরস্কারটি।

প্রতি বছরই এ সায়েন্স ফেয়ারের আয়োজন করে গুগল। ভারত, ইউক্রেন, মাল্টা, সুইজারল্যান্ডসহ প্রায় ১০০টি দেশের হাজারো আগ্রহী এ ফেয়ারে নাম লেখায়। সেখান থেকে চূড়ান্তভাবে ১৫ জনকে নির্বাচন করা হয়। এরপর তিনটি বয়সের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয় বিজয়ী যাদের সঙ্গে একজন গ্র্যান্ড প্রাইজ বিজয়ী।

ছোটদের গ্রুপ থেকে প্রথম পুরস্কার পায় ১৪ বছর বয়সি জোনা কন। কম্পনের সাহায্যে মিউজিক শোনার উপায় আবিষ্কার করে সে। এরপর ১৫ এবং ১৬ বছর বয়সি গ্রুপে স্পেনের কিশোর-কিশোরীদের একটি দলও পুরস্কার জিতে নেয়। তাদের প্রজেক্ট ছিলো পরিষ্কার পানিতে বসবাসকারী ক্ষুদ্র প্রাণীদের নিয়ে।

এ প্রতিযোগিতাটি ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে নাম নিবন্ধন করতে হয়। এরপর মে মাসে ফাইনালিস্টদের নাম প্রকাশ করা হয়। এ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড প্রাইজ বিজয়ীকে দেয়া হয় ৫০ হাজার ডলারের স্কলারশিপ এবং গ্যালাপাগোস আইল্যান্ড ভ্রমণের সুযোগ।