শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১২

সাইবেরিয়ায় মাটির নিচে কোয়াড্রিলিয়ন ডলারের হীরা

সাইবেরিয়ায় মাটির নিচে কোয়াড্রিলিয়ন ডলারের হীরা

বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক হীরার ভাণ্ডারটির মালিক রাশিয়া। সাইবেরিয়ার পপিগাই অ্যাস্ট্রোব্লেমে ৬২ মাইল ব্যাসের উল্কাপিন্ডের গর্তে রয়েছে ১ কোয়াড্রিলিয়ন (অর্থাৎ ১ এর পরে ২৪টি শূন্য) ডলারের হীরার ভাণ্ডার। সম্প্রতি সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলের কিছু গোপন তথ্য প্রকাশ করে এই চমকপ্রদ খবর জানিয়েছে রাশিয়া। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

পপিগাই অ্যাস্ট্রোব্লেমের হীরাগুলোকে বলা হয় ‘ইমপ্যাক্ট ডায়মন্ড’। মহাকাশ থেকে প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসা উল্কাপিণ্ড পৃথিবীর বুকে কোনো গ্রাফাইট ভাণ্ডারের ওপর আছড়ে পড়লে সৃষ্টি হয় ‘ইমপ্যাক্ট ডায়মন্ড’।

ইমপ্যাক্ট ডায়মন্ড সাধারণ হীরা থেকে অনেক শক্ত। শিল্পকারখানা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হয় এমন হীরা।

সাড়ে তিন কোটি বছর আগে মহাকাশের একটি উল্কাপিণ্ড বর্তমান সাইবেরিয়ার খাতাঙ্গা আউটপোস্ট থেকে কয়েকশত কিলোমিটার দূরে আছড়ে পড়ায় সৃষ্টি হয় পপিগাই অ্যাস্ট্রোব্লেম।

উল্কাপিণ্ডের পতনের ফলে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই হীরা খনিটিতে রয়েছে কয়েক লাখ কোটি ক্যারটের হীরা, যার মূল্য কমপক্ষে ১ কোয়াড্রিলিয়ন ডলার।

মুছে ফেলা যাবে ভয়ের স্মৃতি

মুছে ফেলা যাবে ভয়ের স্মৃতি

মস্তিষ্ক থেকে মুছে দেয়া যাবে ছোটবেলার ভয়ের স্মৃতি। যুক্তি না মানা মনের অজানা ভয়ের স্মৃতিগুলোকে মুছে ফেলার এক অভিনব উপায় খুঁজে বের করেছেন সুইজারল্যান্ডের উপসালা ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় আবিষ্কার করেন, ভয়ের স্মৃতিগুলো মস্তিষ্কের প্রোটিনে চিরস্থায়ী ছাপ ফেলার আগেই তা ঠেকানো সম্ভব। শুধু তাই নয়, পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব ভয়ের স্মৃতিগুলো।

গবেষণায় অংশ নেয়া ব্যক্তিদের প্রথমে ভীতিকর একটি ছবি বারবার দেখান বিজ্ঞানীরা। একই সময় দেয়া হয় খুব অল্প পরিমাণে ইলেকট্রিক শক। এরপর গবেষণায় অংশ নেয়া অর্ধেক ব্যক্তিকে তারা আবার ওই ভীতিকর ছবিটি দেখান; তবে এবার ইলেকট্রিক শক ছাড়াই। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, ছবিটি দেখে আর ভয় পাচ্ছেন না তারা।

সুইডিশ বিজ্ঞানীদের এই নতুন প্রযুক্তি এখনও পুরোপুরি তৈরি নয় ব্যাপক ব্যবহারের জন্য। তবে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, অদূর ভবিষ্যতে যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতার মতো ভয়াবহ স্মৃতি ভুলতে সাহায্য করবে তাদের নতুন প্রযুক্তি।

মস্তিষ্কের বেশিরভাগ জিন একইভাবে সাজানো

মস্তিষ্কের বেশিরভাগ জিন একইভাবে সাজানো

ব্যক্তিত্বে পার্থক্য থাকলেও, মিল রয়েছে সব মানুষের মূল মলিকিউলার প্যাটার্নের। মানব মস্তিষ্কের গঠনের এই মিল বেরিয়ে এসেছে থ্রিডি জিন ম্যাপে। খবর বিবিসির।

মানব মস্তিষ্কের থ্রিডি জিন ম্যাপটি বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন তিনটি মানব মস্তিষ্ক ব্যবহার করে। মস্তিষ্কগুলো প্রথমে কেটে ৯০০টি ছোট ভাগে ভাগ করা হয়। এরপর ওই ছোট অংশগুলো থেকে তোলা মস্তিষ্কের জিন গঠনের ১০ কোটি থ্রিডি ছবি দিয়ে তৈরি হয় মস্তিষ্কের জিন ম্যাপ।

মস্তিষ্কের জিন ম্যাপ নিয়ে গবেষণাটি করছেন সিয়াটলের অ্যালেন ইনস্টিটিউট ফর ব্রেইন সায়েন্স এবং এডিনবরা ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, জেনেটিক ডিসঅর্ডার কিভাবে মস্তিষ্কে রোগ সৃষ্টি করে, তা বুঝতে সাহায্য করবে তাদের গবেষণা।

গবেষণা প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা জানান, মানব মস্তিষ্কে বেশিরভাগ জিন একইভাবে সাজানো। ব্যক্তিত্বের পার্থক্য থাকলেও সব মানুষের মস্তিষ্কের গঠনে রয়েছে ব্যাপক মিল।

অ্যালেন ইনস্টিটিউট অফ ব্রেইন সায়েন্সের প্রফেসর এড লিয়েন এ ব্যাপারে বলেন, ‘মানব মস্তিষ্কের জিন ম্যাপ থেকে পাওয়া তথ্য মস্তিষ্কের গঠন, উন্নতি, বিবর্তন এবং মস্তিষ্কের রোগের কারণ নিয়ে গবেষণায় সাহায্য করবে।’

ইরানি হ্যাকারদের আক্রমণে মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান

ইরানি হ্যাকারদের আক্রমণে মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান

ইরানি হ্যাকারদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক- ব্যাংক অফ আমেরিকা, সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেড এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান জেপি মর্গান চেস অ্যান্ড কো। বলা হচ্ছে, ইরানবিরোধী অর্থনৈতিক অনুমোদন দেয়ার কারণেই হ্যাকারদের রোষে পড়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। খবর রয়টার্স-এর।

২০১১ সালের শেষভাগ থেকে মার্কিন ব্যাংকগুলোর ওপর ইরানি হ্যাকারদের এই আক্রমণ শুরু হয়েছে বলে গোপন সূত্রের বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স। সূত্র জানিয়েছে, ২০১২ সালে ব্যাংকগুলোর ওপর হ্যাকারদের আক্রমণ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। সূত্র আরো জানিয়েছে, হ্যাকারদের ডিনায়াল অফ সার্ভিস আক্রমণে ইনকামিং ওয়েবট্রাফিকের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছিলো প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট এবং কর্পোরেট নেটওয়ার্ক।

২০১০ সালে ইরানের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রামে কম্পিউটার ভাইরাস স্টাক্সনেট আক্রমণের পর সাইবার আর্মি গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলো দেশটি। স্টাক্সনেট ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল হিসেবে সন্দেহের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র আরো জানিয়েছে, মার্কিন ব্যাংকগুলোর ওপর ইরানি হ্যাকারদের এই আক্রমণের পেছনে ইরান সরকারের অনুমোদন রয়েছে নাকি ‘দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে’ ইরানি হ্যাকাররা স্বেচ্ছায় এই আক্রমণ করছে তা পরিষ্কার নয়।

হ্যাকারদের আক্রমণ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে নিরবতা পালন করছে মার্কিন ব্যাংকগুলো। এমনকি এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি পেন্টাগন, এফবিআই, এনএসআই এবং ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মতো কোনো মার্কিন গোয়েন্দাসংস্থাই।

মঙ্গলের বুকে সূর্যগ্রহণ দেখলো কিওরিওসিটি

মঙ্গলের বুকে সূর্যগ্রহণ দেখলো কিওরিওসিটি

মঙ্গলের বুকে সূর্যগ্রহণ দেখলো নাসার মার্স রোভার কিওরিওসিটি। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে মঙ্গলের দু’টি উপগ্রহের একটি ‘ফোবোস’ সৃষ্ট আংশিক সূর্যগ্রহণের ছবি তুলে পাঠিয়েছে কিওরিওসিটি। খবর রয়টার্স-এর।

মঙ্গলের রয়েছে ছোট ছোট দু’টি উপগ্রহ, ফোবোস এবং ডিমোস। মঙ্গলকে ঘিরে ঘুরতে ঘুরতে ফোবোস মঙ্গল এবং সূর্যের মাঝখানে চলে আসায় সূর্যকে আংশিকভাবে আড়াল করে। ফলে মঙ্গল থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। কিওরিওসিটি ওই আংশিক গ্রহণের ছবি তুলেছে হাই রেজুলিউশন ক্যামেরা দিয়ে।

এ পর্যন্ত দু’টি ক্যামেরা ব্যবহার করে ছয়শ’রও বেশি ছবি তুলেছে কিওরিওসিটি। এর মধ্যে প্রায় একশ’টি সূর্যগ্রহণের ছবি। তবে তার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি ছবিই পৃথিবীতে পাঠিয়েছে কিওরিওসিটি।

মঙ্গলে আবার সূর্যগ্রহণ হবে ১১ মাস পরে। নাসা জানিয়েছে, এবার সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত না থাকলেও, পরেরবার তৈরি থাকবে কিওরিওসিটি।