রবিবার, ২২ মে, ২০১৬

উইন্ডোজ ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর


উইন্ডোজ ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর

উইন্ডোজ ফোনউইন্ডোজ ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য কিছুটা সুখবর দিতে পারে মাইক্রোসফট। নতুন উইন্ডোজ ১০ মোবাইল ওএস হালনাগাদের সঙ্গে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার সুবিধা যুক্ত করছে প্রতিষ্ঠানটি। জুলাই মাসে ডেস্কটপ ও মোবাইল সংস্করণের জন্য উইন্ডোজের হালনাগাদ সংস্করণ উন্মুক্ত করবে প্রতিষ্ঠানটি।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার ফাংশনটি ইতিমধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে অধিক জনপ্রিয়। কিন্তু উইন্ডোজ ফোনে এ ফিচারটির জন্য ব্যবহারকারীরা অনেক দিন ধরেই অপেক্ষা করেছেন। এর আগে উইন্ডোজ ১০ মোবাইল ও উইন্ডোজ ১০ সংস্করণের জন্য উইন্ডোজ হ্যালো নামের একটি ফিচার উন্মুক্ত করেছে মাইক্রোসফট, যাতে ফেসিয়াল রিকগনিশন পদ্ধতিতে ডিভাইস আনলক করা যায়। সম্প্রতি উইনহেক সম্মেলনে উইন্ডোজের হালনাগাদ সংস্করণের সঙ্গে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যুক্ত করার কথা বলা হয়। উইন্ডোজের হ্যালো ফাংশনের সঙ্গে এটি যুক্ত হবে।
এইচপির এলিট এক্স ৩ স্মার্টফোনটিতে সবার আগে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ফিচারসহ নতুন হালনাগাদ পাওয়া যাবে।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, সফটওয়্যারের ত্রুটি ঠিক করা ছাড়াও আরও বেশ কিছু নতুন ফিচার যুক্ত হবে উইন্ডোজের হালনাগাদ সংস্করণে।

নকিয়া ফিরছে, মাইক্রোসফট বেচছে!

নকিয়া ফিরছে, মাইক্রোসফট বেচছে!

অ্যান্ড্রয়েডচালিত নকিয়া ট্যাবনকিয়া ব্র্যান্ডের ফিরে আসার খবরটি নিশ্চয়ই শুনেছেন। আগামী বছরেই বাজারে ফিরে আসছে নকিয়া। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে বাজারে অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার-চালিত স্মার্টফোন ও ট্যাব পাওয়া যাবে। এ ছাড়া নকিয়া ব্র্যান্ডের ফিচার ফোনও বাজারে আসবে। নকিয়ার ব্র্যান্ড নাম ব্যবহার করে ফোন-ট্যাব তৈরি করবে ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান এইচএমডি।
নকিয়া ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন তৈরির জন্য ফিনল্যান্ডের এইচএমডি গ্লোবাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি করেছে নকিয়া। ওই প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ব্র্যান্ড লাইসেন্স ও মেধাস্বত্ব ফি হিসেবে অর্থ নেবে নকিয়া। বুধবার নকিয়া ব্র্যান্ডের ফোন ও ট্যাবলেট তৈরির জন্য ১০ বছরের চুক্তি সই করেছে এইচএমডি।
একসময় বিশ্বের বৃহত্তম মোবাইল ফোন নির্মাতা নকিয়া স্মার্টফোনের উত্থানের যুগে ভুল পদক্ষেপের কারণে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের কাছে মার খেয়েছে। ২০১৪ সালে মাইক্রোসফটের কাছে মোবাইল ফোন বিভাগটি বিক্রি করে দেয় নকিয়া। তবে মোবাইল ফোনের পেটেন্ট নিজের কাছে রেখে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এখন সরাসরি ফোন তৈরিতে না নামলেও ব্র্যান্ড লাইসেন্সিংয়ের মাধ্যমে আবার নকিয়া নামটি ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে তারা। তবে মাইক্রোসফটের সঙ্গে চুক্তির কারণে আগামী বছরের আগে নকিয়া ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন বাজারে আসবে না।
এদিকে নকিয়াকে কিনে নেওয়া মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের ফিচার ফোনের ব্যবসাটি তারা ফক্সকনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এফআইএইচ ও এইচএমডির কাছে বেচে দেবে। চুক্তি অনুযায়ী, এইচএমডি ফিচার ফোনেও নকিয়ার ব্র্যান্ড নামটি ব্যবহার করতে পারবে।
কোথায় চলবে নকিয়ার ফোন?
দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু দেশে এখনো নকিয়া ব্র্যান্ডটির আকর্ষণ রয়েছে। ভারত ও চীনের বাজারকে লক্ষ্য করে নকিয়া ব্র্যান্ডের ফোন তৈরির পরিকল্পনা করছে এইচএমডি ও ফক্সকন।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিসিএস ইনসাইটের গবেষক বেন উড বলেন, হ্যান্ডসেট ব্যবসা থেকে কিছু আয় করার জন্য ভালো একটি চুক্তি করেছে বর্তমানে টেলিকম যন্ত্রাংশ নির্মাতা হিসেবে পরিচিত বর্তমান নকিয়া। হার্ডওয়্যারের দিক থেকে বিবেচনা করলে বর্তমানে নকিয়ার কোনো ঝুঁকি নেই। ফিচার ফোনের ক্ষেত্রে নকিয়া ব্র্যান্ডটি এখনো শক্তিশালী। তবে বর্তমান স্মার্টফোনের প্রতিযোগিতার বাজারে নকিয়া কী টিকবে? এ বিষয়টি পরিষ্কার নয়। নকিয়া তার জৌলুশ হারিয়ে ফেলেছে।
অবশ্য, নকিয়ার ফোন আনতে ও বাজারে চালাতে বিশাল খরচ করার পরিকল্পনা করেছে এইচএমডি। ফক্সকনের সঙ্গে চুক্তি করে ব্র্যান্ড ও নকশার ক্ষেত্রে আগামী তিন বছরে ৫০ কোটি ইউরো বিপণনে খরচ করার পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাজারে নকিয়া ব্র্যান্ডটির এখনো কিছু আকর্ষণ রয়েছে। তবে প্রতিযোগিতা তীব্র। নকিয়া নিজে এখন কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি। ঝুঁকি এখন চীনের ফক্সকনের। তারাই ফোন তৈরি, বিক্রি ও সরবরাহের কাজ করবে।
মাইক্রোসফট কী করবে? মাইক্রোসফটের সারফেস ফোন
মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ফোনের দুর্দশা যেন কাটছেই না। তবে ফিচার ফোন তৈরির বিভাগটি বিক্রি করে দিলেও এখনই স্মার্টফোনের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে না মাইক্রোসফট। ২০১৪ সাল থেকে স্মার্টফোনের দুনিয়ায় মাইক্রোসফট সংগ্রাম করলেও লুমিয়া ফোন তৈরি করে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মাইক্রোসফটের কর্মকর্তারা। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, স্মার্টফোনের বাজারে উইন্ডোজ ফোনের দখল ক্রমে কমছে। কয়েক বছর আগে ডেস্কটপের পাশাপাশি উইন্ডোজ ফোনের বাজারে দখল করে নেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল মাইক্রোসফট। ৭২০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে নকিয়াকে কিনেছিল মাইক্রোসফট। কিন্তু নকিয়াকে কেনার পরও মাইক্রোসফটের স্মার্টফোনের বাজার দখল করার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। বরং দিন দিন সেই স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
বাজার বিশ্লেষকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, মাইক্রোসফটের ফোন ব্যবসা থেকে সরে যাওয়ার সময় চলে এসেছে। মাইক্রোসফটের ফোন ব্যবসা থেকে সরে দাঁড়ানোর কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন বিশ্লেষকেরা। গত বছরের শেষ তিন মাসে বা বছরের শেষ প্রান্তিকে অ্যাপল যেখানে সাড়ে সাত কোটি ইউনিট আইফোন বিক্রি করেছে, সেখানে বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মাত্র ২৩ লাখ লুমিয়া ফোন বিক্রি করেছে মাইক্রোসফট, যা তার আগের প্রান্তিকের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। গত বছর উইন্ডোজ ফোনের বিক্রি তার আগের বছরে তুলনায় ৭৩ শতাংশ কমে গেছে। ফোন বিভাগ থেকে মাইক্রোসফটের মুনাফা কমেছে ৪৬ শতাংশ। ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বে যত স্মার্টফোন বিক্রি হচ্ছে, তার মধ্যে প্রতি ১০০টির মধ্যে মাত্র দুটি ফোনে উইন্ডোজ সফটওয়্যার রয়েছে।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে স্মার্টফোনের বাজারে উইন্ডোজ ফোনের মার্কেটশেয়ার ১ শতাংশের নিচে চলে গেছে। উইন্ডোজ ফোনের নিচে আছে কেবল ব্ল্যাকবেরি, টাইজেনের মতো অপারেটিং সিস্টেম। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস শীর্ষে রয়েছে।
আসছে সারফেস
নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে আগামী বছর ‘সারফেস’ ব্র্যান্ড নাম দিয়ে নতুন স্মার্টফোন বাজারে ছাড়তে পারে মাইক্রোসফট। সারফেস হচ্ছে মাইক্রোসফটের জনপ্রিয় ট্যাবলেট কম্পিউটারের ব্র্যান্ড। ২০১৭ সালে এই হালনাগাদ সফটওয়্যার দিয়ে নতুন এই ফোন আনবে মাইক্রোসফট।
উইন্ডোজ বিভাগের প্রধান টেরি মেয়ারসন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিল্ড সম্মেলনে বলেন, ‘এ বছর উইন্ডোজ ফোন আমাদের প্রধান লক্ষ্য নয়; বরং মাইক্রোসফট বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ও কাজের উপযোগী ফোন তৈরির পরিকল্পনা করছে।’ তথ্যসূত্র: রয়টার্স, ব্লুমবার্গ, উইন্ডোজ সেন্ট্রাল

গুগল আইওতে নতুন ১০ ঘোষণা

গুগল আইওতে নতুন ১০ ঘোষণা

১৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গুগলের বাৎসরিক ডেভেলপার সম্মেলন গুগল আইও ২০১৬-এ প্রতিষ্ঠানটির সিইও সুন্দর পিচাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি তুলে ধরেন l এএফপিজানা কথা, গুগল ডেভেলপারদের বার্ষিক সম্মেলন আইওতে চমক আসবেই। এবারও তা-ই হয়েছে। তবে আইওর মূল বক্তব্যের আগে ঠিক কী করতে যাচ্ছে গুগল, তা নিয়ে হাজারো জল্পনা চলছিল প্রযুক্তির বিশ্বজুড়ে। কারণটা শুধু গুগল নয়, এর ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে সারা পৃথিবীর প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, প্রস্তুতি কিংবা বাজার।
গত বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় যখন আইওর মঞ্চে আসেন গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই, তখন যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্টেন ভিউয়ের শোরলাইন অ্যাম্ফিথিয়েটারে ছিলেন সাত হাজার অংশগ্রহণকারী। এ ঘোষণা সরাসরি শুনতে তাঁরা এসেছেন শতাধিক দেশ থেকে। আর সারা পৃথিবী থেকে এ বক্তব্য সরাসরি শুনছিলেন আরও কয়েক কোটি মানুষ। প্রত্যাশার ভার ধরে রাখতে পেরেছেন সুন্দর। তিনি বলেই ফেললেন, দশম আইওতে সবচেয়ে বেশি চমক নিয়ে আসছে গুগল। অন্তত ১০টা বড় ঘোষণা ছিল তাঁর বক্তব্য।
শুরুতেই পিচাই বলেন, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল ফোনে যত তথ্য খোঁজা হয়েছে, তার মধ্যে ২০ শতাংশ ছিল ভয়েস বা কথানির্ভর। এর বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে গুগলের ভয়েস-সেবায় অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসছে ‘গুগল অ্যাসিসটেন্ট’ নামে।
চলতি বছরই গুগল আনছে বিনোদন ও তথ্যের নতুন যন্ত্র ‘গুগল হোম’। এই গ্রীষ্মে গুগল নিয়ে আসছে দুটি ম্যাসেঞ্জার সেবা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শক্তিতে নতুন ধরনের এক বার্তা আদান-প্রদানের অভিজ্ঞতা করিয়ে দিতে আসছে ‘অ্যালো’ নামের এই ম্যাসেঞ্জার। আর অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য অনেকটা অ্যাপলের ফেসটাইমের মতো ভিডিও চ্যাট-সুবিধা থাকবে ডুয়োতে। আসছে অ্যান্ড্রয়েডের পরবর্তী সংস্করণ ‘অ্যান্ড্রয়েড এন’।
অ্যান্ড্রয়েডে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটিকে নতুন করে তুলে ধরবে ‘ডেড্রিম’ সিরিজের নানান সেবা। বাজারে আসবে নিজস্ব যন্ত্রও। স্মার্টঘড়িকে মোবাইল ফোনের যুক্ততা ছাড়াই আরও বেশি কার্যক্ষম করতে এবং আইফোন উপযোগী করতে গুগল নিয়ে আসছে ‘অ্যান্ড্রয়েড ওয়্যার ২.০’। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এখন কোনো অ্যাপ মোবাইল ফোনে না নামিয়েও ব্যবহার করতে পারবেন। এই সুবিধাকে গুগল ডাকছে ‘অ্যান্ড্রয়েড ইনস্ট্যান্ট অ্যাপস’ নামে। এ ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপারদের ক্লাউড প্রযুক্তির নানান সুবিধা নিয়ে আসছে ডেভেলপার টুল ‘ফায়ারবেস’ ও ‘অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ২.২’।
গুগল আইও চলবে আজ ২১ মে পর্যন্ত। এই সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন গুগল ডেভেলপার গ্রুপ (জিডিজি) ঢাকার মাহবুব হাসান, জিডিজি সোনারগাঁয়ের ইশতিয়াক রেজা, উইমেন টেকমেকার্সের রাখসান্দা রুখাম এবং জিডিজি বাংলার পক্ষে এই প্রতিবদক। তিন দিনের এই সম্মেলনে শতাধিক বিষয় নিয়ে কর্মশালা, অভিজ্ঞতা বিনিময়, হাতে কলমে শিক্ষা ও আলোচনার আয়োজন থাকছে। এসব কর্মশালা পরিচালনা করছেন গুগলের শীর্ষ কর্মীরা।

প্রোগ্রামিংয়ে রাশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব

প্রোগ্রামিংয়ে রাশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব

           
আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বে প্রোগ্রামিং নিয়ে ব্যস্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দল। ছয়টি সমস্যার সমাধান করেছে এ দলটি l আইসিপিসির ওয়েবসাইটরাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শ্রেষ্ঠত্ব দেখাল বিশ্ব প্রোগ্রামিংয়ের সবচেয়ে বড় আসরে। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের ফুকেটে এসিএম আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বে ১১টি সমস্যার সমাধান করে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় এবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে চীনের সাংহাই জিয়াও তং বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এ দল দুটি যথাক্রমে ১১ ও ১০টি সমাধান দিতে পেরেছে। বাংলাদেশের দলগুলোর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬টি সমাধান দিয়ে ৫০তম স্থানে রয়েছে। দুটি করে সমস্যার সমাধান করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি রয়েছে ১১১ ও ১১৩তম স্থানে। পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় মোট ১৩টি প্রোগ্রামিং সমস্যা ছিল। এবারের প্রতিযোগিতায় ১২৮টি দল চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিল।
সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পর থাইল্যান্ডের চুলালংকর্ন ইউনিভার্সিটি ১১ মিনিটের মাথায় প্রথম সমস্যার সমাধান করে। প্রতিটি সমস্যার সমাধানের জন্য ছিল ভিন্ন ভিন্ন রঙের বেলুন। প্রতিযোগিতার স্কোর বোর্ড বেশ কয়েকটি বড় পর্দায় দেখানো হচ্ছিল। প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা ও অতিথিরা অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে স্কোর বোর্ডগুলোর সামনে ভিড় করেন। অনলাইনেও সরাসরি ফলাফল দেখার সুযোগ ছিল সবার জন্য।
সমাপনী অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল ৪টায়। এ সময়  আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরস্কৃত করা হয়। তারপরে দেওয়া হয় সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জ পদক। আগামী বছর চূড়ান্ত পর্ব হবে যুক্তরাষ্ট্রে।
বিস্তারিত ফলাফল: https://icpc.baylor.edu/scoreboard
পদক তালিকা 

স্যামসাং-আলীবাবার যৌথ উদ্যোগ