শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০২০

শিশুশিল্পী অপর্ণার কণ্ঠে জোয়ান বায়েজের ‘বাংলাদেশ’ গান

শিশুশিল্পী অপর্ণার কণ্ঠে জোয়ান বায়েজের ‘বাংলাদেশ’ গান


শিশুশিল্পী অপর্ণার কণ্ঠে জোয়ান বায়েজের ‘বাংলাদেশ’ গান
জোয়ান বায়েজ ও অপর্ণা

যুক্তরাষ্ট্রের মানবতাবাদী সংগীতশিল্পী জোয়ান বায়েজ। ১৯৪১ সালের ৯ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া এ শিল্পী বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে আছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হায়েনারা যখন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপর, তখন বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্যে যেসব বিদেশি বন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাদের অন্যতম জোয়ান বায়েজ।
বাংলাদেশে চালানো গণহত্যার ওপর জোয়ান বায়েজ লিখেছিলেন একটি অনবদ্য গান। ‘দ্য স্টোরি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক গানটি তারই কণ্ঠে আলোড়ন তুলেছিল তখন। কালজয়ী গানটি পরে ১৯৭২ সালে চান্দস মিউজিক থেকে ‘সং অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। সেই অমর গানে মোট ২২ বার ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন জোয়ান বায়েজ।
কিংবদন্তি সেই শিল্পীর ‘বাংলাদেশ’ গানটিতে এবার কণ্ঠ দিয়েছে নিউইয়র্ক প্রবাসী ১১ বছরের শিশু অপর্ণা আমিন। লং আইল্যান্ডের গোথাম এভিনিউ স্কুলের সিক্সথ গ্রেডের এই শিক্ষার্থীর কণ্ঠে গানটি এরই মধ্যে বেশ প্রশংসা পেয়েছে। গানটি প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘ফ্রেন্ডস অব ফ্রিডম’। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস সামনে রেখে এ নিয়ে একটি মিউজিক ভিডিও তৈরি করা হয়েছে, যা পরিচালনা করেছেন অপর্ণার বাবা লেখক ও সাংবাদিক শামীম আল আমিন। ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ছিলেন অপর্ণার মা ইয়োগা আর্টিস্ট ও ফিটনেস এক্সপার্ট আশরাফুন নাহার লিউজা।
জোয়ান বায়েজের ‘বাংলাদেশ’ গানটি যন্ত্রসংগীতের মাধ্যমে কাভার করেছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী বাপ্পা মজুমদার। শিল্পীর সম্মতি নিয়ে সেই মিউজিকটি ব্যবহার করা হয়েছে অপর্ণার গানে। সব ধরনের সহায়তা দিয়েছেন কানাডাপ্রবাসী শিল্পী পাপ্পু আহমেদ, বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী বাবু সরকার ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার ডালিম। মিউজিক ভিডিওটি সম্পাদনা করেছেন তানজির ইসলাম রানা। গানটির মিউজিক ভিডিওটি চিত্রায়ণ করা হয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। সেইসঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের আর্কাইভ ফুটেজ।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক শামীম আল আমিন বলেন, বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা, সূর্যসেন হল, জগন্নাথ হল এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গানটির জন্য কাজ করেছি। আর নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের টাইমস স্কয়ার, অ্যাস্টোরিয়া পার্কসহ কয়েকটি স্পটে দৃশ্যধারণ করা হয়েছে। আশা করছি কাজটি দর্শকদের মনে দাগ কাটবে।
ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর আশরাফুন নাহার লিউজা বলেন, এই গানটির মধ্য দিয়ে জোয়ান বায়েজের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চেয়েছি আমরা। সেই সাথে প্রবাসে বেড়ে ওঠা আগামী প্রজন্মের হৃদয় স্পর্শ করতে চেয়েছি। তাদের জানাতে চাই, বাংলাদেশের প্রতি তাদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। দেশকে জানতে হবে, ভালোবাসতে হবে।
অপর্ণা আমিন জানায়, বাবা মায়ের কাছ থেকে জোয়ান বায়েজের গানটির কথা আমি শুনি। এরপর আগ্রহ নিয়ে গানটা করার চেষ্টা করি। জোয়ান বায়েজ আমেরিকার গ্রেট সিঙ্গার। উনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে হেল্প করার জন্যে গান গেয়েছেন, এজন্যে আমি গর্বিত। আমেরিকায় থাকলেও, আমি বাংলাদেশকে সবসময় খুব মিস করি। 

করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুসের করুণ দশা, দেখুন থ্রিডি ভিডিওতে

করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুসের করুণ দশা, দেখুন থ্রিডি ভিডিওতে

করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুসের করুণ দশা, দেখুন থ্রিডি ভিডিওতে

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বিশ্বব্যাপী ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে সোয়া ৫  লাখেরও বেশি মানুষকে আক্রান্ত করেছে এই ভাইরাস। এতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষের।
করোনাভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ হল জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি বা গলাব্যথা। শেষ পর্যন্ত এই ভাইরাস ফুসফুসে আঘাত হানে। এতে রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এমনকি এতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৮০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের হালকা লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। আবার অনেকের এসব উপসর্গ নাও দেখা যেতে পারে।
মাত্র ২০ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হয়। এদের মধ্যে ১৪ শতাংশের অবস্থা হতে পারে গুরুতর। ছয় শতাংশ রোগীর অবস্থা হয় সংকটপূর্ণ এবং তারা হারিয়ে ফেলতে পারেন ফুসফুসের কার্যক্ষমতা।
কোনও ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার ফুসফুসের অবস্থা কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়, তার একটি থ্রিডি ভিডিও প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের বক্ষ সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. কেইথ মর্টম্যান। পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ছবিগুলো তোলা হয়। খবর সিএনএন’র।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ছবিগুলো তোলার কয়েকদিন আগেও আগে ওই ব্যক্তির ফুসফুস একদম ঠিক ছিল।
ডা. মর্টম্যান বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস তার ফুসফুসের বিরাট অংশজুড়ে বিস্তার করেছে। ছবিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, ঘাসের মেঘে (টিস্যুগুলো দেখতে ঘাসের মতো দেখাচ্ছে) ছেয়ে গেছে তার ফুসফুস। (হালকা হলদেটে) সবুজ ঘাসের মতো দেখতে এগুলো আসলে নষ্ট টিস্যু।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ওই ব্যক্তি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পর অন্য একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়। সেখানে তার সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি ও একটু শ্বাসকষ্ট ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
তাকে ওই হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে কৃত্তিম শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এতেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভর্তি করা হয় জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি (জিডব্লিউইউ) হাসপাতালে।
পরে ডা. মর্টম্যান ও তার টিমের সদস্যরা ওই ব্যক্তির ফুসফুস স্ক্যান করে তা ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে থ্রিডি-তে রূপ দেন। এতেই ধরা পড়ে তার ফুসফুসের করুণ হাল।

বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০

ইরানের ১৯ প্রদেশে প্রবল বন্যা: চলছে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা

ইরানের ১৯ প্রদেশে প্রবল বন্যা: চলছে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা

ইরানের ১৯ প্রদেশে প্রবল বন্যা: চলছে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা

ইরানজুড়ে প্রবল বর্ষণের কারণে বিভিন্ন এলাকায় আকষ্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। দেশের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসহাক জাহাঙ্গিরি বন্যা দুর্গত প্রদেশগুলোর উদ্ধার ও ত্রাণ সংস্থাগুলোকে পূর্ণ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরানের যেসব প্রদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে পূর্ব আজারবাইজান, বুশেহর, চাহারমাহাল-বাখতিয়ারি, দক্ষিণ খোরাসান, খোরাসান রাজাভি, উত্তর খোরাসান, খুজিস্তান, সেমনান, সিস্তান-বালুচিস্তান, ফার্স, কাজভিন, কোম, কেরমান, কুহকিলুয়েহ-বুয়েরআহমান, গুলিস্তান, গিলান, মাজান্দারান, মধ্যপ্রদেশ ও হরমুজগান।
ইসহাক জাহাঙ্গিরি দুর্গত কয়েকটি প্রদেশের গভর্নরকে ফোন করে প্রয়োজনীয় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি দুর্গতদের সেবায় সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া, পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকাগুলোর ফসল ও অবকাঠামোর ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ারও নির্দেশ দেন ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, ইরানের রেডক্রিসেট সোসাইসির ত্রাণ ও উদ্ধার কমিটির প্রধান কর্মকর্তা মুর্তজা সালিমি জানিয়েছেন, তার কর্মীরা বন্যা দুর্গত ১৯টি প্রদেশে ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে। সারাদেশের ৬১টি শহর ও গ্রাম এবং ৯টি পাহাড়ি এলাকায় ১০০টি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও ত্রাণ বিতরণ চলছে বলেও জানিয়েছেন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির এই কর্মকর্তা।
এদিকে, ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মোহাম্মাদ ইসলামি বলেছেন, বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোর রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামতের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে  বলেও জানান তিনি।
ইরানে যখন ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও নতুন করে ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে তখন দেশটিতে বন্যা দেখা দিয়েছে।

'বুলেট ট্রেনের চেয়েও দ্রুতগতিতে নিউ ইয়র্কে বিস্তার ঘটছে করোনার'

'বুলেট ট্রেনের চেয়েও দ্রুতগতিতে নিউ ইয়র্কে বিস্তার ঘটছে করোনার'

বুলেট ট্রেনের চেয়েও দ্রুতগতিতে বিস্তার ঘটছে নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯। 
নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যানড্রু কুমো বলেছেন, যেমনটা ধারণা করা হয়েছিল, করোনা সংক্রমণ তার চেয়ে অনেক ভয়াবহ হতে পারে। তাছাড়া এই ভয়াবহতা খুব তাড়াতাড়িই দেখা দিতে পারে। 
এ সময় তিনি করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত সরঞ্জাম সরবরাহ করেনি বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমার প্রয়োজন ৩০০০০ ভেন্টিলেটর। এর বিপরীতে আপনারা পাঠিয়েছেন ৪০০ ভেন্টিলেটর? আপনারা সমস্যার ভয়াবহতা বুঝতে ভুল করেছেন।
উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্কে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫০০০ মানুষ। মারা গেছেন কমপক্ষে ২১০ জন। 
এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে অ্যানড্রু কুমো বলেন, আমাদের ফেডারেল সহায়তা প্রয়োজন। ঠিক এখনই এই সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, নিউ ইয়র্কে যে সংক্রমণ ঘটছে তা ঘটছে খুব দ্রুত। নিউ ইয়র্কে এখন যা ঘটছে সেই একই ঘটনা ঘটবে ক্যালিফোর্নিয়া ও ইলিনয় রাজ্যে। ব্যাপারটা এখন শুধু সময়ের বিষয়। 
তিনি বলতে থাকেন, আমাকে সংক্রমণের যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে তাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি ‘বুলেট ট্রেন’ ধেয়ে আসছে। তাই তার রাজ্য আরো বেশি স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্র সৃষ্টি করছে। এর মধ্যে কলেজ ডরমেটরি এবং হোটেলকে হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, মানুষের জীবন রক্ষা করতে হলে তিনি এক ডলারও হাতে রাখবেন না। 
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তার এমন উদ্বেগের সমালোচনামুলক জবাবে গভর্নর কুমো ওই মন্তব্য করেছেন।

১০০ বছর বয়সে বিয়ে, করোনাকে হার মানাল ভালোবাসা

১০০ বছর বয়সে বিয়ে, করোনাকে হার মানাল ভালোবাসা


১০০ বছর বয়সে বিয়ে, করোনাকে হার মানাল ভালোবাসা

কভিড-১৯ করোনাভাইরাসের আতঙ্ককে হার মানিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ইয়াবর আব্বাস ও নূর জহির। ভালোবাসাই এ জুটিকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে ভূমিকা রেখেছেন। ১০০ বছর বয়সী ইয়াবর আব্বাস ব্রিটেনভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বিবিসি’র সাবেক সাংবাদিক। অন্যদিকে নূর জহির ভারতীয় অধিকারকর্মী ও লেখিকা।
ইয়াবর আব্বাস বলেন, এই বিয়ের উদ্দেশ্য হলো ভালোবাসা। আমরা দু’জনে ভালোবাসায় ডুবে গিয়েছি। আমার বয়স কত সেটা কোনো বিষয়ই নয়! নূর সবে ৬০ বছর পেরিয়েছে! তবুও বয়সের এই ব্যবধান কিছুই না। আমরা বিয়ে করে একত্রিত হতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে।
আগামী ২৭ মার্চ ইয়াবর আব্বাস ও নূর জহিরের বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের আগ্রাসী প্রভাব বাড়তে থাকায় নির্ধারিত তারিখে বিয়ে হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তাই তারা শুভকাজটি আগেই সেরে ফেলেছেন!

করোনাভাইরাসকে পাত্তা দিচ্ছেন না যে তিন প্রেসিডেন্ট

করোনাভাইরাসকে পাত্তা দিচ্ছেন না যে তিন প্রেসিডেন্ট


মহামারী করোনাভাইরাস কভিড-১৯ কাঁপিয়ে দিয়েছে সারা বিশ্বকে। বিশ্বের ২৫০ কোটি মানুষকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে, তাদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ২২ হাজারের বেশি মানুষ এবং মারা গেছে ১৮ হাজার ৯০৭ জন। কিন্তু এ ভাইরাস এখনো আতঙ্কে ফেলতে পারেনি তিনটি দেশের প্রেসিডেন্ট। দেশগুলো হল ব্রাজিল, মেক্সিকো ও নিকারাগুয়া।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জৈইর বলসোনারো এটিকে সামান্য ফ্লু বলে অভিহিত করেছেন। করোনা নিয়ে হিস্টিরিয়া ছড়ানোর অভিযোগে সাংবাদিকদের সমালোচনাও করেছেন। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর বলছেন, করোনা আতঙ্ক ছড়ালেও নাগরিকরা চাইলে বাইরে খেতে যেতে পারে। নিকারাগুয়ায় এখনো চলছে রাজনৈতিক শোভাযাত্রা।

ইতালির ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠল এই ছবিতে

করোনাভাইরাস

ইতালির ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠল এই ছবিতে

ইতালির ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠল এই ছবিতে
সংগৃহীত ছবি

ইতালির ব্যস্ত সড়কে পড়ে আছে এক ব্যক্তি। মুখে মাস্ক পরা। রোমের একটি বাস স্টপের যাত্রী ছাউনির সামনে রাখা একটি ব্যাগ। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, কোথাও যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গন্তব্যে আর পৌঁছাতে পারেননি। বাসের অপেক্ষায় থাকতে থাকতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এই ছবি থেকেই বোঝা যায়  ইতালিতে করোনাভাইরাস কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
কতক্ষণ ওই ব্যক্তি এইভাবে রাস্তায় পড়ে ছিলেন কেউ জানে না। এক সময় একটি অ্যাম্বুলেন্স এসে তাকে নিয়ে যায়। তবে তিনি এখন কোথায় আছেন? কেমন আছেন? কোনো হাসপাতালে আছেন কিনা, তা জানাতে পারেনি।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৮২০ জনের। দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৬৯ হাজার ১৭৬ জন। 
চীনের পর সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে ইতালিতে। করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশটি ইতিমধ্যে সকল ধরণের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে বিশ্বের ১৯৪ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯। এতে বিশ্বজুড়ে প্রাণ গেছে ১৮ হাজার ২৯৫ জনের। মোট আক্রান্ত ৪১ লাখ ৪৬৫ জন ৪১।

বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০

৩৫০ টাকায় ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত

ড. বিজনের উদ্ভাবিত পদ্ধতি

৩৫০ টাকায় ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত


৩৫০ টাকায় ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ নিরাময়ে বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের চেষ্টার অন্ত নেই। এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণার অগ্রগতি হলেও এখনো তার কার্যকর প্রতিষেধক আবিষ্কার সম্ভব হয়নি। সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের সহজ ও স্বল্পমূল্যের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন ড. বিজন কুমার শীল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা সত্যি ঘটনা। এটা ভিন্ন পদ্ধতি। এর নাম হলো: র‌্যাপিড ডট ব্লট।’
ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাশেদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ‘ব্লাড গ্রুপ যে পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা হয় এটা মোটামুটি সে রকমের একটি পদ্ধতি। ২০০৩ সালে যখন সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল তখন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুর গবেষণাগারে কয়েকজন সহকারীকে নিয়ে সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’ পদ্ধতিটি ড. বিজন কুমার শীলের নামে পেটেন্ট করা। পরে এটি চীন সরকার কিনে নেয় এবং সফলভাবে সার্স মোকাবেলা করে।’
‘তারপর তিনি সিঙ্গাপুরেই গবেষণা করছিলেন ডেঙ্গুর ওপরে। গবেষণা চলাকালে তিনি দুই বছর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন। আমাদের এখানে যখন যোগ দিলেন তখন তিনি ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করছিলেন।’
‘যখন গত বছরের ডিসেম্বরে নতুন করোনাভাইরাস দেখা দিলো তখন তিনি আমাদের বললেন, ‘এটা (নতুন করোনাভাইরাস) হলো সার্সের রূপান্তরিত রূপ। এটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে। উনি এটা বুঝতে পেরেছিলেন। তখন আমরা কেউ চিন্তা করি নাই করোনাভাইরাস এমন হতে পারে। তিনি তখন বলেছিলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমাদের গবেষণা করা দরকার।’
‘উনি আমাদের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী। উনি সাভারে আমাদের ক্যাম্পাসে থাকেন। উনি গত দুই মাসে করোনার গবেষণা পারফেক্ট করেন।’
‘এই পদ্ধতিতে ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে,’ বলেও জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
‘এটা করতে রিএজেন্ট লাগে। কেমিক্যাল রিএজেন্টগুলো সহজলভ্য না। এগুলো পাওয়া যায় সুইজারল্যান্ড, আমেরিকা ও ব্রিটেনে।’
‘এখন এটি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরাই মার্কেটিং করতে যাচ্ছি। আমরা এর অনুমোদনের জন্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে আবেদন করেছি। তারা এর গুরুত্বটাই বুঝতে পারছে না। সাতদিন আগেই আমাদের অনুমোদন দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। আজকে আমাদের প্রতিনিধি দল সেখানে গেছে। তাদের সঙ্গে মিটিং করছে। আজকে যদি আমরা অনুমোদন পেয়ে যাই তাহলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনের জন্যে আগামী সপ্তাহে ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়ে দিবো।’
‘প্রচলিত কিট যেটা ব্যবহৃত হচ্ছে সেটা খুবই ব্যয়বহুল। এর জন্যে একটা দামি যন্ত্র প্রয়োজন হয়। সেই যন্ত্র সব মেডিকেল কলেজে নেই। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তিনটা আছে। সারাদেশে এই যন্ত্র খুব বেশি নেই। আইইডিসিআরের কাছে একটা যন্ত্র আছে। এ কারণে তারা এখন পর্যন্ত মাত্র ২৬৮ জনের করোনা পরীক্ষা করতে পেরেছে। অথচ আমাদের পরীক্ষা করা উচিত ছিল হাজার-হাজার।’
‘ড. বিজন ও তার দলের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে ৩৫০ টাকায় ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত সম্ভব’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে মাত্র ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বলে শনাক্ত করা যাবে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কি না। এতে খরচ পড়বে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মতো। সরকার যদি এর ওপর ট্যাক্স-ভ্যাট আরোপ না করে তাহলে আমরা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বাজারজাত করতে পারব।’
‘তবে সবকিছু নির্ভর করছে সরকারের মর্জির ওপরে। ডেঙ্গু টেস্টের যেমন মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল করোনা টেস্টেরও যদি মূল্য নির্ধারণ করে দেয় তাহলে জনগণ স্বল্প মূল্যে সেবা পাবে। মূল্য নির্ধারণ না করে দিলে যে যার যার মতো টাকা নিবে।’
‘আমরা মাসে এক লাখ কিট সরবরাহ করতে পারব। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে প্রাথমিকভাবে এই মাসে ১০ হাজার কিট সরবরাহ করতে পারব।’
‘আরও একটি খুশির সংবাদ হলো: আমেরিকার একটি সংস্থা আমাদের জানিয়েছে তারাও আমাদের উদ্ভাবিত এই ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’ উৎপাদন করবে। এ কথা তারা ড. বিজনকে তারা জানিয়েছে,’ যোগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ।

করোনাভাইরাস: বেকার হতে পারে আড়াই কোটি মানুষ

করোনাভাইরাস: বেকার হতে পারে আড়াই কোটি মানুষ


করোনাভাইরাস: বেকার হতে পারে আড়াই কোটি মানুষ

বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এনেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে বিশ্বের ১৭২টি দেশে হানা দিয়েছে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৭৯১ জনের।
বিভিন্ন দেশের সরকার সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা না নিতে পারলে করোনাভাইরাসের প্রভাবে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ চাকরি হারাতে পারে।
বুধবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এক বিবৃতির মাধ্যমে এ শঙ্কার কথা জানিয়েছে। সে সঙ্গে সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট প্রবল হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছে সংস্থাটি।
তবে আইএলও বলেছে, ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনেতিক মন্দার সময় যেভাবে বিশ্বব্যাপী সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, এবারও তেমনটি করা গেলে বেকারত্বের হার কমে আসতে পারে।
সংস্থাটির পরিসংখ্যান মতে, করোনা মহামারির প্রভাব খুব স্বল্পমাত্রায় হলে চাকরি হারাতে পারেন কমপক্ষে ৮০ লাখ মানুষ। আর এর প্রভাব উচ্চমাত্রায় হলে এ সংখ্যা দাঁড়াবে দুই কোটি ৪৭ লাখে। ২০০৮-০৯ সালে বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের সময় বেকার হয়েছিলেন দুই কোটি ২০ লাখ মানুষ।
আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, করোনা ভাইরাস শুধু বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট না, এটা বৈশ্বিক শ্রমবাজার এবং অর্থনীতির সংকট। মানুষের ওপর এর ভয়ানক প্রভাব পড়ছে। ২০০৮ সালে সারাবিশ্ব সংকট থেকে উত্তরণে সমন্বিতভাবে লড়াই করেছিল। যার কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণেও তেমনই নেতৃত্ব দরকার।

যুক্তরাষ্ট্রে একদিনেই আক্রান্ত ২৩০০ ব্যক্তি, মৃত্যু হয়েছে ১৪০ জনের

যুক্তরাষ্ট্রে একদিনেই আক্রান্ত ২৩০০ ব্যক্তি, মৃত্যু হয়েছে ১৪০ জনের


যুক্তরাষ্ট্রে একদিনেই আক্রান্ত ২৩০০ ব্যক্তি, মৃত্যু হয়েছে ১৪০ জনের

যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৫০০ বেশি ব্যক্তি কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল বুধবার আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩০০ এর বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে দেশটিতে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সবকটি অঙ্গরাজ্যেই ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। গত বুধবার সবচেয়ে খারাপ দিন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। এদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২ হাজার ৩০০ আক্রান্ত হয়েছেন।   
গত ডিসেম্বরে চীনে হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস।

যেসব উপসর্গে করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজন নেই: ডা. দেবী শেঠী

যেসব উপসর্গে করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজন নেই: ডা. দেবী শেঠী


যেসব উপসর্গে করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজন নেই: ডা. দেবী শেঠী

বিশ্বব্যাপী মহাবিপর্যয় নামিয়ে এনেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে বিশ্বের ১৭২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৭ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৭৯১ জনের। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে ভুগছে বিশ্ববাসী।
করোনাভাইরাসের অন্যতম একটি উপসর্গ হচ্ছে জ্বর। কিন্তু জ্বর হলেই করোনাভাইরাসের পরীক্ষা না-করার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠী। তার মতে, অতিরিক্ত পরীক্ষা ভবিষ্যতে বিপদ বাড়াবে। কেননা চাহিদার তুলনায় করোনা পরীক্ষার কিট অপ্রতুল।
ডা. দেবী শেঠীর মতে, “যদি কারও ফ্লু বা সর্দি থাকে, প্রথমে নিজেকে আইসোলেশন করে লক্ষণ ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রথম দিন শুধু ক্লান্তি আসবে। তৃতীয় দিন হালকা জ্বর অনুভব হবে। সঙ্গে কাশি ও গলায় সমস্যা হবে। পঞ্চম দিন পর্যন্ত মাথায় যন্ত্রণা হবে। পেটের সমস্যাও হতে পারে। ষষ্ঠ বা সপ্তম দিনে শরীরে ব্যথা বাড়বে এবং মাথার যন্ত্রণা কমতে থাকবে। তবে পেটের সমস্যা থেকেই যাবে। অষ্টম ও নবম দিনে সব লক্ষণই চলে যাবে। তবে সর্দির প্রভাব বাড়তে থাকে। এর অর্থ আপনার প্রতিরোধক্ষমতা বেড়েছে এবং আপনার করোনা-আশঙ্কা নেই।”
এই চিকিৎসক বলেছেন, ‘এসব ক্ষেত্রে আপনার করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কারণ শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। তবে যদি অষ্টম বা নবম দিনে আপনার শরীর আরও খারাপ হয়, করোনা-হেল্পলাইনে ফোন করে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।

ধর্মান্ধতা দিয়ে করোনাভাইরাস ঠেকানো যাবে না

ধর্মান্ধতা দিয়ে করোনাভাইরাস ঠেকানো যাবে না

তসলিমা নাসরিন

ধর্মান্ধতা দিয়ে করোনাভাইরাস ঠেকানো যাবে না

ভারতে যা হচ্ছে তা হচ্ছে বলে বিশ্বাস হয় না। করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য গোমূত্র পানের ‘পার্টি’ হচ্ছে। দিল্লিতে গোমূত্র পার্টির আয়োজন করেছিল হিন্দু মহাসভা। করোনার কোনও প্রতিষেধক যেহেতু এখনও আবিষ্কার হয়নি, সেহেতু গোমূত্র পানই নাকি তাদের বাঁচাবে। দিল্লি থেকে কলকাতায় সংক্রামিত হয়েছে এই গোমূত্র পান। কলকাতাতেও গোমাতার পুজো এবং গোমূত্র পানের আসর বসেছে। গোমূত্রের মাধ্যমে ভাইরাস দূর হওয়ার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কোথাও পাওয়া যায়নি। যারা প্রচার করছে যে গোমূত্র রোগ সারায়, তারা কোনও ল্যাবে পরীক্ষা করেনি। ল্যাবে পরীক্ষা না করে গোমূত্র রোগবালাই দূর করবে, এমন দাবি করাটা লোক ঠকানো ছাড়া কিছুই নয়। এই অপপ্রচার বন্ধ হওয়া জরুরি। যারা ধর্মান্ধ, তারা তো কোনও কিছুর প্রমাণ দেখতে চায় না, এটাই মুশকিল। বিশ্বাসকে যারা যুক্তির ওপরে স্থান দেয়, তাদের তো গোমূত্র, উটমূত্র, নিজমূত্র কত বর্জ্য পান করতে হয়। আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্র গোমূত্রের রোগ প্রতিরোধক গুণের দাবিকে বিন্দুমাত্র স্বীকৃতি না দিলেও গোমূত্রের বিক্রি কিন্তু আকাশ ছুঁয়েছে। ধর্মান্ধতা এত প্রচ- যে কোথাও কোথাও গরুর দুধের চেয়ে আজ গোমূত্রের দাম বেশি! বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে ‘গোমূত্র চিকিৎসা ক্লিনিক’। বিক্রি হচ্ছে ‘গোমূত্র ক্যাপসুল’ এবং ‘ডিস্টিল্ড’ ও ‘মেডিকেটেড’ গোমূত্র! সৌদি আরবেও ছিল উটমূত্র বিক্রির দোকান। উটমূত্রও নাকি রোগ সারায়। আমার তো মনে হয় মধ্যপ্রাচ্যে যে মার্স ভাইরাস এসে ভয়ংকর কান্ড ঘটিয়েছিল, তার পেছনে উটমূত্র দায়ী। সৌদি সরকার উটমূত্র বিক্রি করা সে কারণেই হয়তো তখন বন্ধ করে দিয়েছিল। বাদুড় থেকে ভাইরাস উটে গেছে, উট থেকে মানুষে। মূত্রে লাভ তো হয় না, বরং ক্ষতি হয়। কিন্তু কে শুনবে কার কথা! ভারতের মতো দেশে যুক্তিবাদী চার্বাকের উত্তরসূরিরা আজ গোমূত্র পান করে ভাইরাস হটাতে চাইছে। ধর্মান্ধতা সম্বল করে মানব প্রজাতিকে সমূহ বিপদ থেকে বাঁচানো যায় না, শুধু লোক হাসানোর সার্কাস করা যায়। কেউ কেউ তো মন্দিরে মন্দিরে পুরোহিতদের মুখে মাস্ক, এমনকি দেব-দেবীর মূর্তির মুখেও মাস্ক পরিয়ে দিয়েছে। কেউ কেউ তো গায়ে গোবর লেপে বসে আছে। এই গোবর ভেদ করে নাকি ভাইরাস তাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না। ধর্ম আর কুসংস্কার হাত ধরাধরি করে চলে। তিরুপতির মন্দির বন্ধ, সিরডি সাঁইবাবার মন্দির বন্ধ। বেলুড় মঠ বন্ধ। এই ভগবানই নাকি মানুষকে বাঁচায়। বিপদে মানুষকে রক্ষা করবে বলে মানুষ সারা বছর যাদের প্রার্থনা করে, তারাই মানুষের বিপদ দেখলে পালায়।
এ এক অবিশ্বাস্য পরিবর্তন। কিন্তু বাঁচার জন্য এটি করতেই হচ্ছে। কারণ উপাসনাগারে গিয়ে তুমি কারো কাছ থেকে ভাইরাস নিয়ে এলে তুমি তো পুরো পরিবারকে সংক্রামিত করবে। ১ থেকে ১০০, ১০০ থেকে ১০,০০০ এভাবে সংক্রামিত হতে থাকবে, আর মরতে থাকবে মানুষ। এক ভাইরাসই মানুষ-প্রজাতিকে বিলুপ্ত করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ধর্মানুসারীরা ভালো জানে যদি এই মুহূর্তে কেউ বাঁচায়, বাঁচাবে বিজ্ঞানীরা, যারা ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করায় ব্যস্ত। যাদের এই ব্যাপারে থ হয়ে যাওয়ার কথা, যাদের প্রচুর প্রশ্ন জাগার কথা, তারা, অগুনতি নিরীহ ধার্মিক দল, আজ কোথায়? অধিকাংশ লোক যেদিকে যায়, তারা সেদিকে যায়। কোথায় যাচ্ছে, কেন যাচ্ছে এই প্রশ্ন করে না। যারা যুক্তিবাদ বা মুক্তচিন্তা বিষয়ে কিছু জানে না। তারা কি আজও জানতে চাইবে না, যে উপাসনালয়ে গিয়ে উপাসনা করলে ঈশ্বর রোগ সারাবেন, সেই উপাসনালয় কেন মানুষের কল্যাণের জন্য বন্ধ করা হলো, তাহলে কি কোনও উপাসনালয়ই সত্যিকার উপকার করে না মানুষের?
ক্যাথলিকদের পবিত্র স্থান ভ্যাটিকেনের ভিতরেই পাওয়া গেছে করোনাভাইরাস। পোপ নাকি ঈশ্বরের সংগে যোগাযোগ করতে পারেন। কোথায়? তিনি তো ঈশ্বর প্রদত্ত কোনও ওষুধের নাম এখনও কিছু বলতে পারছেন না। ভ্যাটিকেনের ভিতর ভাইরাসের ভয়। পোপ জনসম্মুখে যাচ্ছেন না। জনগণের উপস্থিতিতে নানা রকম খ্রিস্ট ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন হয় ভ্যাটিকেনে। ‘গুড ফ্রাইডে, ঈস্টার সব উৎসব অনুষ্ঠান এখন বাতিল করা হয়েছে, মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তাহলে ঈশ্বর কোথায়? ধার্মিকদের মনে কি এই প্রশ্নের উদয় হচ্ছে না?
প্রতিটি রাষ্ট্রের উচিত সব রকম ধর্ম প্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় অনুদান বন্ধ করে দেওয়া। মানুষের করের টাকায় আরাম করছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পোপ, পুরোহিত, যাজক ধর্ম ব্যবসায়ীরা। এরা তো মানুষের কোনও উপকার করছে না। মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না। এরাই যত অনাচার, অত্যাচার, আর অন্যায় করে বেড়াচ্ছ। শিশুদের ধর্ষণ করছে। নারীবিরোধী বিধান দিচ্ছে। কী দরকার এইসব প্রতিষ্ঠানের? অকল্যাণ ছাড়া এগুলো আর কী করেছে শতাব্দীজুড়ে? মানুষ হত্যা, নারী নির্যাতন, দেশভাগ, রক্তপাত, মানুষের প্রতি মানুষের হিংসে আর ঘৃণা ছড়ানো ছাড়া? প্রচুর মানুষ যদিও তাদের গ্রাস থেকে ইতিমধ্যে মুক্ত করেছে নিজেদের, বিশেষ করে উন্নত সভ্য পৃথিবীতে, কিন্তু দারিদ্র্য, বৈষম্য, নারীবিদ্বেষ, বর্বরতা যেখানে ভীষণভাবে বিদ্যমান, সেখানে ঈশ্বরের পুজো আর্চাও ভীষণভাবে বিদ্যমান।
বিবর্তনের তত্ত্ব প্রচার করেছিলেন চার্লস ডারউইন ১৬০ বছর আগে। আজ অবধি তাঁর তত্ত্বকে খ-ন করতে পারেনি। মানুষ শিম্পাজি জাতীয় প্রাণী থেকে বিবর্তিত হয়ে মানুষ হয়েছে- ডারউইনেরও বহু আগে ষোলোশ’ শতাব্দীতে গ্যলেলিও গ্যলিলেই, তারও আগে কোপারনিকাস দেখিয়ে দিয়েছিলেন বাইবেলে মহাকাশ সম্পর্কে যে বার্তা আছে, তা ভুল। এরপরও কিন্তু পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাস করেই গেছে। অদৃশ্য ঈশ্বর দৃশ্যমান হয়নি, আজ অবধি ঈশ্বরের অস্তিত্বের কোনও প্রমাণ মেলেনি, তারপরও কিন্তু মানুষ অন্ধের মতো বিশ্বাস করেই যাচ্ছে যে ঈশ্বর আছে। করোনাভাইরাস বিশ্বময় ছড়িয়ে যাওয়ার পর, যেহেতু মানুষ থেকে মানুষে সংক্রামিত হচ্ছে এই ভাইরাস, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সভা সম্মেলন যেখানে অনেক মানুষের জমায়েত হয়। মানুষ রোগ মুক্তির জন্য মন্দির গির্জা এবং নানা উপাসনালয়ে ছুটে যায়, সেই উপাসনালয়গুলোও বন্ধ। তাহলে তো এই-ই দাঁড়াচ্ছে, ঈশ্বর ভগবান কেউ রোগ সারায় না, রোগ সারায় বিজ্ঞানী! মানুষকে বাঁচায় কোনও অলৌকিক শক্তি নয়, মানুষের ভরসা মানুষ। ধার্মিকরাও এখন আর তাদের ঈশ্বরের দয়ার অপেক্ষায় বসে নেই, তারা অপেক্ষা করছে কবে ভ্যাক্সিন বের করবে বিজ্ঞানীরা।      

করোনায় মৃত ব্যক্তির গোসল-জানাজা-দাফনে অংশগ্রহণকারীদের যা করতে হবে

করোনায় মৃত ব্যক্তির গোসল-জানাজা-দাফনে অংশগ্রহণকারীদের যা করতে হবে


করোনায় মৃত ব্যক্তির গোসল-জানাজা-দাফনে অংশগ্রহণকারীদের যা করতে হবে
প্রতীকী ছবি

বিশ্বব্যাপী মহামারী রূপ নিয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে বিশ্বের ১৭২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৭ মানুষ। এতে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৭৯১ জনের। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে ভুগছে বিশ্ববাসী।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও বাংলাদেশেও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি একজন বৃদ্ধ, বয়স ৭০ বছরেরও বেশি।
এদিকে, করোনাভাইরাসে মৃতদের গোসল, জানাজা ও দাফনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যববস্থাপনা বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ।
গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অন্যান্য দুর্যোগের তুলনায় করোনা আলাদা হওয়ায় সেই অনুসারে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গোসল-জানাজা-দাফনে যারা অংশগ্রহণ করবে তাদের নিরাপত্তামূলক পোশাক পরে অংশ নেওয়া উচিৎ। কারণ মৃত ব্যক্তি কিন্তু অলরেডি করোনা ভাইরাসের হটস্পট। যারাই যাবেন, নিরাপত্তামূলক পোশাক পরতে হবে এবং আসার সময় সেই পোশাক নষ্ট করে দিয়ে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে। নয়তো ওই ড্রেসগুলোর ভেতর ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা আছে।

হোম কোয়ারেন্টাইনের সিদ্ধান্ত কি আত্মঘাতি হয়ে যাবে না

''হোম কোয়ারেন্টাইনের সিদ্ধান্ত কি আত্মঘাতি হয়ে যাবে না?''

পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ

  • Currently 0/5
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5

হোম কোয়ারেন্টাইনের সিদ্বান্ত কি সঠিক ছিল?
সুনামগঞ্জের বাস্তবতায় আমার কাছে সঠিক মনে হচ্ছে না।
সুনামগঞ্জে ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, ওমানসহ অনেক দেশ থেকে ৪০ জন প্রবাসী এসেছেন। তাদেরকে নিজের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলে বাড়িতে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন এবং সাংবাদিকরা লিখেছেন তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন না। মেলামেশা করছেন। বাইরে যাচ্ছেন। ছাতকে একজনকে গতকাল জরিমানা করা হয়েছে।
জনগণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ শহরে চারজন যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে। বিদেশ ফেরত যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলেন না, ঘুরে বেড়ালেন, তাদের কারও শরীরে যদি করোনাভাইরাস থেকে থাকে তাহলে অবস্থা কি দাঁড়াবে?
হোম কোয়ারেন্টাইনের সিদ্বান্ত কি আত্মঘাতি হয়ে যাবে না?
কাজেই হোমকোয়ারেন্টাইনে নয়। তাদেরকে স্থান নির্ধারণ করে সে স্থানে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন রাখা হোক।

সমাধিক্ষেত্রে জায়গা নেই, লাশ পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে শহরের বাইরে

সমাধিক্ষেত্রে জায়গা নেই, লাশ পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে শহরের বাইরে


সমাধিক্ষেত্রে জায়গা নেই, লাশ পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে শহরের বাইরে

ইতালির শহর বারগেমোতে মহামারী করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। শহরটিতে এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে যে সমাধিক্ষেত্রে আর জায়গা অবশিষ্ট নেই। তাই বাধ্য হয়ে শহর কর্তৃপক্ষ মরদেহগুলো শহরের বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছে। বারগেমো শহরের বাইরে যেসব শহরের সমাধিক্ষেত্রে এখনো জায়গা খালি আছে সেখানে ওই মরদেহগুলো সমাধিস্থ করা হবে। মরদেহ পরিবহনে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়ি।
বারগেমো শহরের মেয়র জিওর্জিও গোরি বলেছেন, করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশিত সংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি হতে পারে। কারণ অনেকে টেস্ট করার আগেই মারা গেছে।
বারগেমো শহরের সমাধিক্ষেত্র ২৪ ঘণ্টাই মরদেহ সমাধিস্থ করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সূত্র: স্কাই নিউজ

মার্কিন সাংবাদিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা চীনের

মার্কিন সাংবাদিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা চীনের

মার্কিন সাংবাদিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা চীনের

মিডিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উত্তেজনার মধ্যে এবার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। গত মঙ্গলবার শি জিনপিং সরকার জানিয়েছে, নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং ওয়াশিংটন পোস্টে কর্মরত মার্কিন সাংবাদিকদের চীন থেকে বের করে দেওয়া হবে।
এর পাশাপাশি ভয়েস অব অ্যামেরিকা, টাইম ম্যাগাজিনের কাছে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চেয়েছে চীন সরকার। 
চীন সরকার মার্কিন সাংবাদিকদের নির্দেশনা দিয়েছে, যাদের কাগজপত্রের মেয়াদ এ বছর শেষ হয়ে যাচ্ছে, চার কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করবেন। সেই সঙ্গে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সাংবাদিক হিসেবে নিজেদের পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, চীনের মূল ভূখণ্ডে মার্কিন সাংবাদিকদের কাজ করতে দেওয়া যাবে না। এমনকি হংকং এবং ম্যাকাওতে একই নিয়ম কার্যকর হবে। 
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, মার্কিন গণমাধ্যমগুলো চীনের গণমাধ্যমকে টার্গেট করে আক্রমণ করে। এটা একেবারে স্নায়ুযুদ্ধ। এরই অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন সে দেশের সরকার চালিত প্রতিষ্ঠান থেকে ৬০ জন চীনের নাগরিককে তাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারির দিকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীন সরকার যখন হন্যে হয়ে কাজ করছিল, তখন মার্কিন গণমাধ্যমগুলো আক্রমণাত্মক লেখনি প্রকাশ করেছে। তার আগের বছরও চীন সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তালিকায় থাকা গণমাধ্যমগুলো।

লন্ডনে মসজিদ-স্কুল বন্ধ করে সেনা মোতায়েন

লন্ডনে মসজিদ-স্কুল বন্ধ করে সেনা মোতায়েন


লন্ডনে মসজিদ-স্কুল বন্ধ করে সেনা মোতায়েন

করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে শুক্রবার থেকে ব্রিটেনের বড় বড় মসজিদ, গীর্জা, সব স্কুল পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী মে ও জুন মাসে অনুষ্ঠিতব্য স্কুলের নির্ধারিত পরীক্ষাগুলোও স্থগিত বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি। 
এই ঘোষণার সময়ই এই দুর্যোগ মোকাবেলায় লন্ডনের রাস্তায় নামানো হয়েছে কয়েক হাজার সেনাসদস্য। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২০ হাজার সেনাসদস্যকে।
এছাড়া লন্ডনের ৪০টি পাতালরেল স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাতে আন্ডারগ্রাউন্ড বন্ধ থাকবে। সুপারস্টোরগুলোও ২৪ ঘণ্টার পরিবর্তে রাত ১০টা পর্যন্ত চালু রাখা হয়েছে।
পাবলিক বাস-ট্রেন চালু থাকলেও তা সীমিত হয়ে আসবে। শুধুমাত্র ডাক্তার নার্স বা সেবা প্রদানকারীদের জন্য এই গণপরিবহন চালু থাকবে।   
খুব জরুরি না হলে নগরবাসীকে গণপরিবহন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন লন্ডনের মেয়র। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা বন্ধ করতে উপদেশ দেয়া হয়েছে। 
ইতোমধ্যে বিশিষ্ট ওলামেয়া কেরামগণ সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ থাকবে। বাড়ি ভাড়া ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের জন্য ঘোষণা করেছেন প্রণোদনা। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে লন্ডনও লক ডাউনের দিকে যাচ্ছে বলেই ধারণা করছেন সবাই।
 
উল্লেখ্য মঙ্গলবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৭১। গত ২৪ ঘন্টায় তা বেড়ে ১০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৯৯ জনই ইংল্যান্ডের। আর পরীক্ষার পর ২,৬২৬ জনের মধ্যে করোনার লক্ষণ তথা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এদিকে, বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৮ হাজার। তবে করোনার সূতিকাগার চীনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমশ কমছে।

করোনাকে পরাজিত করেছেন ৮৫ হাজার মানুষ, সচেতনতা ও চিকিৎসায় মিলবে সাড়া

করোনাকে পরাজিত করেছেন ৮৫ হাজার মানুষ, সচেতনতা ও চিকিৎসায় মিলবে সাড়া

করোনাকে পরাজিত করেছেন ৮৫ হাজার মানুষ, সচেতনতা ও চিকিৎসায় মিলবে সাড়া

কভিড-১৯ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘মহামারির চেয়েও ভয়ঙ্কর’ বলে ব্যাখ্যা করেছে। এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। তবে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৮৫ হাজার ৭৪৫ ব্যক্তি। 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন বয়সের মোট ৪৫ জনের উপর পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে এর টিকা। প্রায় ছ’সপ্তাহ ধরে চলবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ। মার্কিন প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘MRNA 1273’ নামের এই টিকার প্রয়োগ শুরু করেছেন আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’ (NIH)-এর অধীন ‘দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস’ (NIAID)-র বিজ্ঞানীরা এবং তার সহযোগী বায়োটেকনোলজি সংস্থা মডার্না আইএনসি। 
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডঃ আসিফ ইকবাল (রেসপিরেটোরি ক্রিটিক্যাল কেয়ার) জানান, এই ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধার পরও প্রায় এক সপ্তাহ কোনও লক্ষণই প্রকাশ পায় না। ৪-১০ দিন কোনও রকম উপসর্গই লক্ষ্য করা যায় না। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিন সাতেক পর থেকে হঠাৎ করেই জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথা শুরু হয়। তাই এ ক্ষেত্রে তার পরামর্শ, প্রত্যেকেরই ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণগুলির অপেক্ষা না করে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিৎ।
ডঃ ইকবাল জানান, করোনাভাইরাসের আকৃতি অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় বড়। বাতাসের মাধ্যমেও এই ভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। আমাদের হাঁচি-কাশি থেকে নির্গত ড্রপলেটসে থাকা ভাইরাস-কণা বাতাসে ৩০ মিনিটের বেশি সক্রিয় থাকতে পারে না। আপাতত নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধপত্র, যে কোনও কারণে জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথায় ভুগছেন এমন রোগীকে ‘আইসোলেশন’-এ রেখে বিশেষ পর্বেক্ষণে রাখা হচ্ছে। 

করোনা প্রতিরোধে আলোচনায় 'সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জ

করোনা প্রতিরোধে আলোচনায় 'সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জ

করোনা প্রতিরোধে আলোচনায় 'সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জ'

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া জরুরি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত নিয়মাবলিতে এই বিষয়টিগুলির উল্লেখ রয়েছে। ১৩ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চায়। নেটদুনিয়ায় এখন ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে #SafeHands Challenge।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক নিজেও অংশ নিয়েছেন এ সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জে। সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেছেন তারকারাও। নেটদুনিয়ায় একে-অপরের দিকে সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে ১১ ধাপে সঠিক পদ্ধতিতে হাত ধুয়ে কিংবা অ্যালকোহল-যুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে সেই ভিডিও পোস্ট করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একজন চ্যালেঞ্জ শেষ করে অন্যকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। এরইমধ্যেই এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন ক্রিকেট কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকার, বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোনসহ আরও অনেকে। 

আজ ভালো কিছু খবর দিয়ে দিনটি শুরু করি

''আজ ভালো কিছু খবর দিয়ে দিনটি শুরু করি''

খুজিস্তা নূর-ই নাহরীন

''আজ ভালো কিছু খবর দিয়ে দিনটি শুরু করি''

১) চীনের উহানে আর নতুন কোন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী নেই। অর্থাৎ তাঁরা করোনাকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
২) করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় জাপানে তৈরি একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ওষুধ পুরোপুরি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেছে চীন। জাপানের ফাভিপিরাভির (favipiravir) নামের ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সম্প্রতি ওষুধটি উহান ও শেনঝেন অঞ্চলের অন্তত ৩৪০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়।
৩) কিউবার আবিষ্কার 'ইন্টারফেরন আলফা টু-বি’ ওষুধটিও করোনার ক্ষেত্রে কার্যকর বলা হচ্ছে।
৪ ) অ্যামেরিকান ডাক্তার এবং ভারতের ডাক্তার দেবী শেঠির মতে যাদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেশি অপেক্ষাকৃত তরুণ তাদের এমনিতেই সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৭ দিনের মধ্যে ।
৫) ভারতে দিল্লীর একজন ডাক্তার বলেছেন, দুটি ভিন্ন ধর্মী ওষুধের মাধ্যমে এই রোগকে প্রতিহিত করা সম্ভব।
৬ ) জার্মানি, কানাডা, অ্যামেরিকা হ উন্নত দেশগুলোতে রাত-দিন নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এই ওষুধ আবিষ্কারের। অনেকের ঘোষণাটুকু দেওয়ার অপেক্ষা।
৭) চীন থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দল বাংলাদেশে আসার প্রস্তুতি নিয়েছে।
৮) উন্নত দেশগুলো ইতিমধ্যেই যারা এই রোগ নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তাঁরাও যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতা করবেন আশা করা যায়।
৯) এই রোগ যেহেতু রেস্পিরেটরি ডিসট্রেস বা শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা ঘটায় এই জন্য আজমা, হৃদরোগ কিডনিসহ জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং বয়োবৃদ্ধদের জন্য মারাত্মক হুমকি।
১০) জ্বর, সর্দি, কাশি গলা ব্যথা মানেই কিন্তু করোনা নয়, এগুলো এমনিতেই আমাদের দেশে সিজনাল রোগ। কিন্তু সঙ্গে শ্বাস কষ্ট, ডায়রিয়া কিংবা বমি হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, করোনা টেস্ট করাতে হবে।
১১) সব দেশে সবাই বলছে যেহেতু রোগ প্রতিরোধক কোন ওষুধ বের হয়নি এই জন্য পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাসসহ শরীরচর্চার মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখুন। সিগারেট এবং মাদক যা ফুসফুস এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা থেকে এই ক্রান্তিকালে বিরত থাকুন।
বিদেশ ফেরত রোগীদের মাধ্যমে যারা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন আমাদের দেশে তাঁদের এই রোগ ছড়াতে আরও এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। সেই পর্যন্ত সময় আছে পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নার্স, ডাক্তারদের পোশাকসহ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, ভেন্টিলেটর, নেবুলাইজার সমস্ত যন্ত্রপাতি আমদানি করা কিংবা সংগ্রহে রাখা।
ইকমো (ECMO)। পুরো কথায় -- "Extracorporeal Membrane Oxygenation" মানুষের শরীরে যখন হার্ট অথবা ফুসফুস কাজ করতে পারে না, তখন ইকমো অথবা ইসিএমও নামের এই মেশিনটির ব্যবহার অবশ্যম্ভাবী। করোনাভাইরাস আক্রান্ত বিশ্বের সবদেশেই এই মেশিন ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে একমাত্র স্কয়ার হাসপাতালেই ECMO নামক মেশিনটা আছে। আর কোনো হাসপাতালে নেই। খুবই ব্যয়বহুল এই মেশিন অন্যান্য হাসপাতালগুলোর জন্য কেন কেনা হয়নি তা প্রশ্নের উদ্রেক করে।
অবশ্যই করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা হাসপাতালের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে অন্য রোগে ভর্তি হওয়া রোগীরা করোনায় আক্রান্ত না হতে পারে।
ইতালি, স্পেন, আমেরিকা, সৌদি আরব ফেরত রোগীরা মফঃস্বলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেয়ে আত্মীয়-স্বজনের সাথে আনন্দ ফুর্তিতে মেতে রোগ ছড়াচ্ছে তাদের আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি। কেবল ঢাকা শহর নয় অন্যান্য ছোট শহরগুলোতে করোনার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা রাখা জরুরি।
সর্ব ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা তিনি আমাদের দোয়া কবুল করুন, আমাদের দেশসহ পৃথিবীর সকল দেশের রোগাক্রান্ত মানুষের প্রতি দয়াশীল হন, আমাদের ক্ষমা করুন।

করোনাভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধছে যেভাবে

করোনাভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধছে যেভাবে

করোনাভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধছে যেভাবে

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট, জ্বর, মাথা ব্যথা, হাঁচি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়— এ কথা আমরা এখন মোটামুটি সকলেই জানি। কিন্তু কীভাবে শরীরে বাসা বাঁধছে এই ভাইরাস? কোন পথে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ? আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
কেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে শ্বাসকষ্ট হয়?
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় একদল গবেষকের দাবি, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কোষগুলো ফুলে ওঠে। ভাইরাস অণুগুলো ফেটে চারপাশের অন্যান্য কোষগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। সংক্রমণ দ্রুত ব্রঙ্কিওল টিউবে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় শুরু হয় গলাব্যথা আর শুকনো কাশি। সংক্রমণ আরও বাড়লে ভাইরাসের অণুগুলো ক্রমশ ছড়িয়ে ফুসফুসের মিউকাস মেমব্রেনে। ফুসফুসের দুই পা‌শের পেরিফেরিয়াল অংশ থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে শ্বাসানালীর উপরে ট্রাকিয়ার দিকে। সংক্রমণ ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়লে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণের কাজটাও সঠিকভাবে হয় না। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ক্রমশ দুর্বল ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
আক্রান্তদের পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এই ভাইরাসের সংক্রমণে ফুসফুসে দুই পা‌শের পেরিফেরিয়াল অংশে হালকা, পালতা আস্তরণ দেখা যায়। সংক্রমণ যত বাড়ে, ওই আস্তরণ ততই ঘন হয়। 
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, এই ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধার পরও প্রায় এক সপ্তাহ কোনো লক্ষণই প্রকাশ পায় না। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিন সাতেক পর থেকে হঠাৎ করেই জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথা শুরু হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রত্যেকেরই ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণগুলোর অপেক্ষা না করে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিৎ।