রবিবার, ১ জুলাই, ২০১২

মোবাইল পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হচ্ছে শিশুরা

মোবাইল পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হচ্ছে শিশুরা

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি ব্যবহারে শিশুদের আচরণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বৃটিশ ডেপুটি চিল্ড্রেন্স কমিশনার। খবর গার্ডিয়ান-এর।

বৃটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটিকে ডেপুটি চিলড্রেন কমিশনার সুই বেরেলোইটজ বলেছেন, ‘সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের পাশাপাশি অশ্লীল বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিশুদের আগ্রহ বাড়ছে। এটি শিশুদের নৈরাজ্য বা নৈতিকতার অবক্ষয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’

‘অনেক বাবা মা মনে করেন, তার ছেলে-মেয়ে কিভাবে সময় কাটায় তা তারা জানেন। যদিও মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কে অনেক বাবা-মা কোন খবরই রাখেন না’, জানান বেরেলোইটজ।

বেরেলোইটজ বলেন, ‘অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু, তরুণ ও টিনএজরা সোশাল নেটওয়ার্কিং, বিবিএম মেসেঞ্জিং এবং পর্নোগ্রাফিতে যে হারে আসক্ত হচ্ছে তা খুবই উদ্বেগের বিষয়।’

এতে বলা হয়, মোবাইল ফোনেই আছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ। আর তাই শিশুরাও জড়িয়ে পড়ছে সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে। দেখা গেছে, বেশ কতোগুলো সাইটের মাধ্যমে শিশুরা মোবাইল পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হচ্ছে।




বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/আজিম/ওএস/এইচবি

১৬ হাজার প্রসেসর দিয়ে কৃত্রিম মস্তিস্ক বানালো গুগল

১৬ হাজার প্রসেসর দিয়ে কৃত্রিম মস্তিস্ক বানালো গুগল

১৬ হাজার প্রসেসর ব্যবহার করে গুগল এক্স এর ‘ব্লু স্কাই মিডিয়া’ ল্যাবে আর্টিফিশিয়াল ব্রেইন তৈরি করলেন জেফ ডিন-এর নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী। ইউটিউবের ১ কোটি ভিডিও থেকে এলোমেলোভাবে সংগ্রহ বিভিন্ন ফটো আর্টিফিশিয়াল ব্রেইনটিতে লোড করেন সেটাকে নিজে নিজেই শিখতে শুরু করার জন্য। খবর টেকট্রির।

মজার ব্যপার হচ্ছে বিজ্ঞানীদের তৈরি মেশিনটির বেশি মনযোগ বিড়ালের প্রতি। এ ব্যাপারে ডিন বলেন, ‘আমরা মেশিনটির প্রশিক্ষণের সময় কখনোই বিড়াল চিনিয়ে দেইনি। মেশিনটি নিজেই বিড়ালকে চিনে নিয়েছে।

বিজ্ঞানীদের দলটি তাদের রিপোর্টে বলেন, ‘আমাদের এই পরীক্ষামূলক প্রজেক্টের ফলাফলে আমরা ধারণা করছি, মেশিনটির ডেটাবেজের ছবিগুলোতে কোনোকিছুকে চিহ্নিত করে দেয়া না থাকলেও এটি নিজে থেকে তা চিহ্নিত করতে পারবে। নেটওয়ার্কটিকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে যে, এটি প্রায় শতকরা প্রায় ১৫ দশমিক ৮ ভাগ নির্ভূলভাবে ২০ হাজার বস্তু আলাদাভাবে চিনতে পারে।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

রঙের মতো স্প্রে করা যাবে ব্যাটারিবিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি/জুন ৩০/১২

রঙের মতো স্প্রে করা যাবে ব্যাটারি

নতুন এক স্প্রে-অন পেইন্ট বানালেন বিজ্ঞানীরা, যা অন্যান্য রিচার্জেবল ব্যাটারির মতোই ইলেকট্রিসিটি স্টোর করতে ও প্রয়োজনমতো সরবরাহও করতে পারবে। এই স্প্রে-অন ব্যাটারিটি বানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাইস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। খবর রয়টার্সের।

বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় এমন একটি অভিনব পন্থা আবিষ্কার করেছেন, যার মাধ্যমে সাধারণ ব্যাটারির উপাদানগুলোকে ভেঙ্গে তরলে রূপান্তর করা যায় এবং স্প্রে-অন পেইন্ট-এর মতোই ব্যবহার করে রং করা যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ব্যাটারির উপাদানগুলোকে ভেঙ্গে তরলে রূপান্তর করলেও কার্যক্ষমতা হারায় না এই স্প্রে-অন ব্যাটারিটি। রিচার্জেবল ব্যাটারির মতোই চার্জ করা এবং প্রয়োজনমতো ব্যবহার করা যায় এটি।

রিচার্জেবল এই ব্যাটারিটি তৈরি হয় স্প্রে-পেইন্ট করা লেয়ার থেকে এবং এর প্রতিটি লেয়ার একটি সাধারণ ব্যাটারির কারেন্ট কালেক্টর, ক্যাথড, অ্যানোড এবং মাঝের পলিমার সেপারেটর হিসেবে কাজ করে। এই স্প্রে-অন পেইন্ট প্লাস ব্যাটারিটি সিরামিক, গ্লাস এবং স্টেইনলেস স্টিলের ওপর সফলভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।


শরীরের তাপেই চলবে গ্যাজেট

শরীরের তাপেই চলবে গ্যাজেট

এই সপ্তাহে নিউ ইয়র্কের গ্যাজেট প্রদর্শনীতে পার্পেচুয়ার মার্কেটিং-এর প্রধান জেরি ওয়েন্ট উপস্থিত হয়েছিলেন হাতে একটি কালো ব্যান্ড এবং পুরনো হাতঘড়ি নিয়ে। তারা সেখানে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা দিয়ে গ্যাজেটে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের উপায় দেখিয়েছেন। খবর ফক্স নিউজ-এর।

এ প্রযুক্তিটি অবশ্য নতুন নয়। দুই শতক আগেই পদার্থবিদ টমাস জোহান সিবেক মানুষের শরীরের তাপ ব্যবহার করে শক্তি সরবরাহের এ উপায়টি আবিষ্কার করেছিলেন।

মানুষের শরীরের তাপমাত্রা সাধারণত ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়। পার্পেচুয়া একটি ব্যান্ড বানিয়েছে, যা শরীরের তাপ থেকে শক্তি উৎপাদন করতে পারবে। এ শক্তি দিয়ে অল্প শক্তির যন্ত্র চালানো সম্ভব। স্মার্টফোন বাদে ব্লুটুথ ডিভাইস বা এ ধরনের আরো যন্ত্র এভাবে চালানো সম্ভব বলেই জানিয়েছে পার্পেচুয়া। এ ব্যান্ড শরীরের তাপমাত্রা থেকে ৩-৪ ভোল্ট পর্যন্ত শক্তি উৎপন্ন করতে পারে। যেখানে ব্লুটুথ ডিভাইস চালাতে লাগে ২ ভোল্ট।

এছাড়াও এ ডিভাইসের মাধ্যমে ঘড়ি এবং মেডিক্যাল ডিভাইস যেমন হার্ট মনিটরও চালানো সম্ভব।

ইউএফওতে বিশ্বাসী এক-তৃতীয়াংশ মার্কিনী

ইউএফওতে বিশ্বাসী এক-তৃতীয়াংশ মার্কিনী

৩৬ শতাংশ বা এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি আমেরিকান বিশ্বাস করেন, আন আইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট (ইউএফও) বা ভিনগ্রহ থেকে আসা এলিয়েন স্পেসক্র্যাফটের অস্তিত্বে। সম্প্রতি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের ‘চেসিং ইউএফও’ অনুষ্ঠানটির জন্য চালানো এক জরিপে এ তথ্য জানতে পারেন গবেষকরা। আর নিজের চোখে ইউএফও দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে দাবি করেন শতকরা ১০ ভাগ মার্কিন নাগরিক। খবর এবিসি নিউজের।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ওই জরিপে গবেষকরা জানতে পারেন, দুই-তৃতীয়াংশ আমেরিকান ইউএফও-ও অস্তিত্বে বিশ্বাস না করলেও তাদের অর্ধেকই নিজের মতামত নিয়ে ছিলেন অনিশ্চিত। আর ৮০ ভাগেরও বেশি মার্কিন নাগরিক মনে করেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই ইউএফও-র অস্তিত্বের প্রমাণ লুকিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

তবে বৈজ্ঞানিক গবেষণার চেয়ে জরিপটি নিয়ে গবেষক দলের মজা করার উদ্দেশ্যটাই বেশি ছিলো বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড ড্যান্সার। তিনি বলেন, ‘জরিপটি করার সময় আমরা গুরুগম্ভীর বিষয়গুলোর চেয়ে মজা করার চেষ্টাই করেছি বেশি। পপ সংস্কৃতি এলিয়েন আর ইউএফও নিয়ে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের ওপর কতোটা প্রভাব ফেলেছে সেটাই খুঁজে বের করতে চেয়েছি আমরা।’

ন্যাট-জিও গবেষক দলের এই জরিপের মজার প্রশ্নগুলোর একটি ছিলো পৃথিবীতে এলিয়েনরা আক্রমণ করলে তাদেও ঠেকাতে কে বেশি সফল হবেন- প্রেসিডেন্ট ওবামা নাকি ওবামার রিপাবলিকান প্রতিদ্ব›দ্বী মিট রমনি। এ প্রশ্নের উত্তরে ৬৫ শতাংশ ভোট পেয়ে রমনিকে হারিয়েছেন ওবামা।

মজার ব্যপার হচ্ছে, এলিয়েন আক্রমণ থেকে বাঁচতে কোন সুপার হিরোর সাহায্য চাইবেন, এ প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন নাগরিকদের প্রথম পছন্দ ‘দি ইনক্রেডিবল হাল্ক’। মহাকাশের দানবদের হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে ব্যাটম্যান আর স্পাইডান ম্যানের চেয়ে ‘দি ইনক্রেডিবল হাল্ক’-ই বেশি সফল হবেন বলে মতামত দিয়েছে আমেরিকানরা।