বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১২

স্টেম সেল থেকে জন্ম হলো দুই প্রজন্ম

স্টেম সেল থেকে জন্ম হলো দুই প্রজন্ম

ত্বক থেকে সংগ্রহ করা স্টেম সেল থেকে পর পর দু’টি প্রজন্মের ইঁদুর জন্ম দিতে পেরেছেন জাপানি বিজ্ঞানীরা। এর আগে ইঁদুরের ত্বক থেকে নেয়া স্টেম সেল ব্যবহার করে ডিম্বানু সৃষ্টি করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। খবর বিবিসির।

গবেষণাগারে তৈরি ডিম্বানুকে পুরুষ ইঁদুরের শুক্রানু প্রয়োগ করে নিষিক্ত করা হয়। পরিপক্ক হবার পর তা জন্ম দেয় সুস্থ-সবল ইঁদুর ছানার। আর বড় হবার পর সাধারণ ইঁদুরের মতোই বংশবৃদ্ধি করে বিজ্ঞানীদের চমকে দেয় স্টেম সেল থেকে জন্ম নেয়া ইঁদুরগুলো।

একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্তান জন্মদানে অক্ষম দম্পতিরা সন্তান পেতে পারেন বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। তবে এই প্রযুক্তি মানব শরীরে ব্যবহারের আগে পেরিয়ে আসতে হবে বৈজ্ঞানিক এবং নৈতিক প্রতিবন্ধকতা।

স্টেম সেল থেকে তৈরি প্রাথমিক পর্যায়ের ইঁদুরের ডিম্বানুগুলোর চারপাশে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেন একটি ডিম্বাশয়। তারপর একটি মেয়ে ইঁদুরের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয় ডিম্বাশয়টি। এরপর পুরুষ ইঁদুরের শুক্রানু প্রয়োগ করা হয় ডিমগুলোতে। এরপর ওই ডিমগুলো আবার প্রতিস্থাপন করা হয় মা ইঁদুরের শরীরে।

কিয়োটো ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ড. কাতসুহিকো হায়াশি বলেন, ‘স্টেম সেল থেকে তৈরি ওই ডিমগুলো পরিণত হয় সুস্থ-সবল ইঁদুর ছানায়।’ মজার ব্যাপার হচ্ছে, সাধারণ ইদুঁরের মতোই বংশবৃদ্ধি করে ওই ইদুঁরগুলো। সে দৃষ্টিকোণ থেকে স্টেম সেলগুলোকে ইঁদুরছানাগুলোর দাদু বললেও ভুল হবে না।

বিজ্ঞানীদের এই গবেষণার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে, সন্তানহীন দম্পতিদের সাহায্য করা। তবে ইঁদুরের শরীরে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে, মানুষের শরীরে যে হুবহু একই প্রযুক্তি হয়তো ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। মানব শরীরের প্রজনন ব্যবস্থার অনেককিছুই এখনও বিজ্ঞানীদের অজানাই রয়ে গেছে। তাই স্টেম সেলের প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানব শিশু জন্মদানে বিজ্ঞানীদের পেরিয়ে আসতে হবে অনেকটা পথ। এছাড়া ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতাও পেরোতে হবে।

পেছালো বমগার্টনারের সুপারসনিক স্কাইডাইভ

পেছালো বমগার্টনারের সুপারসনিক স্কাইডাইভ

খারাপ আবহাওয়ার কারণে পিছিয়ে গেলো অস্ট্রিয়ান ডেয়ারডেভিল ফিলিক্স বমগার্টনারের মহাকাশ থেকে সুপারসনিক স্কাইডাইভিংয়ের নির্ধারিত দিন। সোমবার ভূপৃষ্ঠের ২৩ মাইল উপরের একটি স্পেস ক্যাপসুল থেকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে লাফিয়ে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার কথা ছিলো বমগার্টনারের। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ৮ অক্টোবর থেকে পিছিয়ে স্কাইডাইভিংয়ের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ অক্টোবর। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

৮ অক্টোবর বমগার্টনারের স্কাইডাইভিংয়ের দিন নির্ধারিত হলেও তা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে ঝড়ো বাতাসের কারণে। বমগার্টনারের ‘রেড বুল স্ট্র্যাটোস’ টিমের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি জানান, সোমবার ঝড়ো বাতাসের পাশাপাশি কমে আসবে তাপমাত্রা। বৃষ্টিও হতে পারে বমগার্টনারের লঞ্চ সাইটে। এ কারণে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বমগার্টনারের স্কাইডাইভিংয়ের দিন।

আবহাওয়া ঠিক থাকলে ৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার ইতিহাস গড়বেন বমগার্টনার। প্রথমে একটি হিলিয়াম বেলুন বমগার্টনারের জন্য তৈরি স্পেস ক্যাপসুলটিকে পৌঁছে দেবে মাটি থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ফিট বা ২৩ মাইল উচ্চতায়। এরপর মহাকাশ থেকে লাফিয়ে পড়বেন বমগার্টনার। ধারণা করা হচ্ছে, এসময় শব্দের চেয়েও বেশি হবে বমগার্টনারের পতনের গতি। সফল হলে বমগার্টনার হবেন পৃথিবীর প্রথম ‘সুপারসনিক মানব’।

জি-৬০ ট্যাবলেট প্রসেসর আনছে এএমডি

জি-৬০ ট্যাবলেট প্রসেসর আনছে এএমডি

জি-৬০ (Z-60) ট্যাবলেট প্রসেসর দিয়ে উইন্ডোজ ৮ চালিত ট্যাবলেট ডিভাইসের প্রসেসর তৈরির প্রতিযোগিতায় যোগ দিলো এএমডি। নতুন উইন্ডোজ ৮-এর ট্যাবলেট পিসির বাজারে এএমডির মূল প্রতিদ্ব›দ্বী ইনটেলের ক্লোভার প্রেইল চিপ। খবর সিনেট-এর।

এএমডির নতুন চিপে থাকবে হাই পারফরমেন্স গ্রাফিক্স সিলিকন আর ২৭৫ মেগাহার্টজের গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট। ১ গিগাহার্টজের ডুয়াল কোর প্রসেসরটি মাত্র ১০ মিলিমিটার পুরু ট্যাবলেটেও ব্যবহার করা যাবে।

এক বিবৃতিতে এএমডি জানিয়েছে, ‘এ বছরের মধ্যেই বাজারে আসবে জি-৬০ প্রসেসর ব্যবহার করে তৈরি উইন্ডোজ ৮ ট্যাবলেট পিসি।’
জি-৬০ প্রসেসরে চলবে প্রচলিত উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশনগুলোও। এর মানে হচ্ছে, উইন্ডোজ ৭-এর জন্য তৈরি অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করা যাবে জি-৬০ প্রসেসরে।

তবে ট্যাবলেট পিসির প্রসেসরের বাজারে এএমডির মূল প্রতিদ্ব›দ্বী ইনটেলের ক্লোভার ট্রেইল জেড-২৭৬০ প্রসেসর। ইতোমধ্যেই বাজারে এসেছে ইনটেলের ক্লোভার ট্রেইল চিপ ব্যবহার করে তৈরি একাধিক হাই প্রোফাইল ট্যাবলেট ডিভাইস।

প্রোটেস্ট ক্যান্সারের জেনেটিক চিহ্ন আবিষ্কার

প্রোটেস্ট ক্যান্সারের জেনেটিক চিহ্ন আবিষ্কার

প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে ক্যান্সার বেশি আক্রমণাত্মক হবার আগেই তা চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে এমন দু’টি জেনেটিক সিগনেচার চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। জিনের ওই লক্ষণ দু’টি চিহ্নিত করার জন্য নতুন এক রক্ত পরীক্ষার উদ্ভাবন করেছেন তারা। খবর রয়টার্স-এর।

বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় ল্যানসেট অনকোনোলজি জার্নালে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, তাদের উদ্ভাবিত রক্ত পরীক্ষাটি ব্যবহার করে চিকিৎসকরা আগেভাগেই চিহ্নিত করতে পারবেন মৃত্যুঝুঁকিতে থাকা প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের।

পুরুষদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সারের পরেই সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক প্রোস্টেট ক্যান্সার। প্রতিবছর প্রায় নয় লাখ পুরুষের শরীরে প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ে।

গবেষণার জন্য ব্রিটেনের ইনস্টিটিউট অফ ক্যান্সার রিচার্সের বিজ্ঞানীরা একশ’ রোগীর জিন স্ক্যান করেন। ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে রোগীদের তারা চারটি দলে ভাগ করেন। এরপর বিজ্ঞানীরা দেখেন, একটি দলের রোগীরা অন্যদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যাচ্ছেন।

অন্যদিকে পৃথক একটি গবেষণায় আক্রমণাত্মক প্রোস্টেট ক্যান্সারের সঙ্গে জড়িত ছয়টি জিন আবিষ্কার করেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের উদ্ভাবিত রক্ত পরীক্ষা থেকে রোগীদের জিন মনিটর করে আগেভাগেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে সঙ্কটাপন্ন রোগীদের।

আসছে দেশে অর্থ পাঠানোর নতুন গেটওয়ে

আসছে দেশে অর্থ পাঠানোর নতুন গেটওয়ে


বাংলাদেশীদের জন্য উত্তর আমেরিকা থেকে দেশে অনলাইনে অর্থ পাঠানোর নতুন গেটওয়ের ঘোষণা দিয়েছে কানাডাভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ক্যাসাডা টেকনোলজিস বাংলাদেশ লি. নামের প্রতিষ্ঠানটির এই কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ১১ অক্টোবর। এর ফলে ‘সহজতম’ উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রে বা কানাডায় ঘরে বসেই বাংলাদেশে অর্থ পাঠানো যাবে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান নাদিমুর রহমান।



নাদিমুর বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দেশে টাকা পাঠানোর যে পন্থাগুলো রয়েছে, তার বেশিরভাগই সময়সাপেক্ষ। আর দ্রুততার সঙ্গে অর্থ পাঠানোর যে প্রচলিত পথগুলো রয়েছে, সেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপদ নয়, এমনকি বেআইনি। কাজের ব্যস্ততার মাঝে সময় করে ব্যাংকের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাও অনেকের জন্য একটি বড় সমস্যা। এর বিপরীতে ক্যাসাডা টেকনোলজিস প্রবর্তিত ই ওয়ালেটের মাধ্যমে অনলাইনে মাউসের কয়েকটি ক্লিকে দেশে অর্থ পাঠানো যাবে। তবে এজন্য থাকতে হবে পেইজার অ্যাকাউন্ট। পেইজার ই-ওয়ালেট থেকে সহজেই টাকা ট্রান্সফার করা যাবে বাংলাদেশের যে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।

ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে দেশের যে কোনো ব্যাংকের শাখায় এই অর্থ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন নাদিমুর।

জানা গেছে, দেশে ৫০০ ডলার পর্যন্ত টাকা পাঠাবার জন্য একজন গ্রাহককে চার্জ দিতে হবে ৫ ডলার, আর ৫০০ ডলারের ওপরে গেলে চার্জ দিতে হবে ১০ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ মেনে দেশের বাইরেও অর্থ পাঠানো যাবে বলে জানিয়েছেন নাদিমুর।