স্টেম সেল থেকে জন্ম হলো দুই প্রজন্ম
ত্বক থেকে সংগ্রহ করা স্টেম সেল থেকে পর পর দু’টি প্রজন্মের ইঁদুর জন্ম দিতে পেরেছেন জাপানি বিজ্ঞানীরা। এর আগে ইঁদুরের ত্বক থেকে নেয়া স্টেম সেল ব্যবহার করে ডিম্বানু সৃষ্টি করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। খবর বিবিসির।গবেষণাগারে তৈরি ডিম্বানুকে পুরুষ ইঁদুরের শুক্রানু প্রয়োগ করে নিষিক্ত করা হয়। পরিপক্ক হবার পর তা জন্ম দেয় সুস্থ-সবল ইঁদুর ছানার। আর বড় হবার পর সাধারণ ইঁদুরের মতোই বংশবৃদ্ধি করে বিজ্ঞানীদের চমকে দেয় স্টেম সেল থেকে জন্ম নেয়া ইঁদুরগুলো।
একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্তান জন্মদানে অক্ষম দম্পতিরা সন্তান পেতে পারেন বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। তবে এই প্রযুক্তি মানব শরীরে ব্যবহারের আগে পেরিয়ে আসতে হবে বৈজ্ঞানিক এবং নৈতিক প্রতিবন্ধকতা।
স্টেম সেল থেকে তৈরি প্রাথমিক পর্যায়ের ইঁদুরের ডিম্বানুগুলোর চারপাশে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেন একটি ডিম্বাশয়। তারপর একটি মেয়ে ইঁদুরের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয় ডিম্বাশয়টি। এরপর পুরুষ ইঁদুরের শুক্রানু প্রয়োগ করা হয় ডিমগুলোতে। এরপর ওই ডিমগুলো আবার প্রতিস্থাপন করা হয় মা ইঁদুরের শরীরে।
কিয়োটো ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ড. কাতসুহিকো হায়াশি বলেন, ‘স্টেম সেল থেকে তৈরি ওই ডিমগুলো পরিণত হয় সুস্থ-সবল ইঁদুর ছানায়।’ মজার ব্যাপার হচ্ছে, সাধারণ ইদুঁরের মতোই বংশবৃদ্ধি করে ওই ইদুঁরগুলো। সে দৃষ্টিকোণ থেকে স্টেম সেলগুলোকে ইঁদুরছানাগুলোর দাদু বললেও ভুল হবে না।
বিজ্ঞানীদের এই গবেষণার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে, সন্তানহীন দম্পতিদের সাহায্য করা। তবে ইঁদুরের শরীরে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে, মানুষের শরীরে যে হুবহু একই প্রযুক্তি হয়তো ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। মানব শরীরের প্রজনন ব্যবস্থার অনেককিছুই এখনও বিজ্ঞানীদের অজানাই রয়ে গেছে। তাই স্টেম সেলের প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানব শিশু জন্মদানে বিজ্ঞানীদের পেরিয়ে আসতে হবে অনেকটা পথ। এছাড়া ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতাও পেরোতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন