সোনার উৎস হবে দূষিত পানি
রিসাইক্লিং প্ল্যান্টে অ্যাসিড এবং পানি ব্যবহার করে গলিয়ে ফেলা হয় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পদার্থ। এতে পানিতে মিশে যায় সোনার মতো মূল্যবান অনেক ধাতব পদার্থ। দূষিত পানি থেকে ওই ধাতুগুলো আহরণের কয়েকটি প্রযুক্তি থাকলেও, তার সবগুলোই অনেক ব্যয়বহুল। এজন্য এতোদিন যেন হাতের কাছে খনি থেকেও আহরণ করা যেতো না সোনা।
এ সমস্যা সমাধানে ম্যাগপাই পলিমারসের বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন বিশেষ এক ধরনের রজন পদার্থ। ওই রজন পদার্থের ওপর দিয়ে ধাতুমিশ্রিত পানি প্রবাহিত হলে ধাতুগুলো আটকে যায় রজনের সঙ্গে, আর বেরিয়ে আসে বিশুদ্ধ পানি।
ম্যাগপাই পলিমারসের পরিচালক এটেইন আলমোরিকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পদ্ধতিতে এক লিটার পানিতে মাত্র ১ মাইক্রোগ্রাম ধাতু থাকলেও তা আটকে যাবে রজনে। এভাবে ৫ থেকে ১০ ঘনগজ পানি থেকে পাওয়া যেতে পারে কয়েক আউন্স সোনা। বর্তমান বাজারে এক আউন্স সোনার দাম ১ হাজার ৭০০ ডলার।
এ পদ্ধতি ব্যবহার করে একদিকে যেমন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট থেকে পাওয়া যাবে মূল্যবান ধাতব পদার্থ, তেমনি বিশুদ্ধ করা যাবে দূষিত পানি। রজন পদার্থটি ব্যবহার করে ধাতব খনির পানি শোধন করে পরিবেশগত সমস্যাও দূর করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন