Translate

বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১২

নোবেল ২০১২: হিগস-বোসন পেলো না যে কারণে

নোবেল ২০১২: হিগস-বোসন পেলো না যে কারণে


শুরু হয়েছে নোবেল ২০১২-এর পুরস্কার ঘোষণা। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে নোবেল পুরস্কারটি হিগস-বোসন পার্টিকল গবেষকদের কাছেই যাবে বলে ধারণা করেছিলেন পদার্থবিজ্ঞানীদের অনেকেই। কিন্তু কোয়ান্টাম অপটিক্স নিয়ে গবেষণার জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল ২০১২ জিতে নিয়েছেন ফরাসী বিজ্ঞানী সার্জ হারোস এবং মার্কিন বিজ্ঞানী জন ওয়াইনল্যান্ড। কেন এ বছরের নোবেল জিতলো না হিগস বোসন? নোবেল কমিটির এই সিদ্ধান্ত কি কেবলই দেরিতে পুরস্কার দেবার প্রথা অবলম্বন? লাইভ সায়েন্স অবলম্বনে এবারের মেইনবোর্ড লিখেছেন আবদুল্লাহ জায়েদ।

এ বছরের গ্রীষ্মেই হিগস-বোসন পার্টিকলের খোঁজ পাবার কথা বলেছিলেন বিশ্বের বৃহত্তম পার্টিকল কোলাইডার ‘লার্জ হাড্রন কোলাইডার’ (এলএইচসি)-এর বিজ্ঞানীরা। টানা পাঁচ দশক ধরে খোঁজার পর হিগস পার্টিকল পাবার দাবী করেন বিজ্ঞানীরা। এ বছরের পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কারটি এলএইচসি-র বিজ্ঞানীদল অথবা প্রায় ৫০ বছর আগে হিগস পার্টিকলের তত্ত্ব আবিষ্কার করা বিজ্ঞানী পিটার হিগস পাবেন বলে ধারণা করেছিলেন অনেকেই।


৯ অক্টোবর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়াল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স। আলো ও পদার্থের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে কোয়ান্টাম অপটিক্স গবেষণায় অবদানের জন্য পুরস্কার জেতেন পদার্থবিজ্ঞানী সার্জ হারোস এবং জন ওয়াইনল্যান্ড। পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণার পর অনেকেরই প্রশ্ন, ‘কেন হিগস-বোসন নয়?’

পদার্থবিজ্ঞানের বোদ্ধা এবং আগের বছরগুলোর নোবেল বিজয়ীদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, কেবল প্রথা অবলম্বন করতেই এমন সিদ্ধান্ত নোবেল কমিটির।

২০০৬ সালে নোবেল জিতেছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী প্রফেসর জর্জ স্মুট এবং জন ম্যাথার। ১৯৮৯ সালে মহাকাশে পাঠানো নাসার কোবে টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে, বিগ ব্যাংয়ের অবশিষ্ট কসমিক মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন শনাক্ত করেছিলেন তারা। হিগস-বোসন এবারের নোবেল পুরস্কার জিতলে তা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যেতো বলেই মত স্মুটের।


নোবেল কমিটির রয়েছে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ক্ষেত্রে দেরি করে পুরস্কার দেবার পুরনো ইতিহাস। বিজ্ঞানী পার্লমাটার, ব্রায়ান স্মিথ এবং অ্যাডাম রিস মহাবিশ্বের বিস্তারের গতি ক্রমাগত বৃদ্ধির প্রমাণ দিয়েছিলেন ৯০-এর দশকের শুরুর দিকেই। অথচ তারা নোবেল পুরস্কারটি পান ২০১১ সালে। নোবেল কমিটির জন্য ওই ঘটনা একবারেই নতুন কিছু নয়, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলোর ভিত শক্ত হলে তবেই পুরস্কার দেয়া হবে, এমনটাই মনোভাব তাদের।

৬০-এর দশকে হিগস পার্টিকলের কথা বলেছিলেন বিজ্ঞানীরা। অন্যসব পার্টিকল কেন একজায়গায় জট বেঁধে থাকে, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যেয়ে এই কণাটির কথা বলেছিলেন বিজ্ঞানীরা। এ বছর এলএইচসিতে পরিচালিত দু’টি পরীক্ষা থেকে নিশ্চিত হন নতুন একটি পার্টিকলের অস্তিত্ব। হিগস পার্টিকলের সঙ্গে নতুন কণাটির যথেষ্ট মিলও খুঁজে পান তারা। তবে বিজ্ঞানীরা এখনও তাদের আবিষ্কারটিই হিগস বোসন কিনা, তা নিয়ে এখনও শতভাগ নিশ্চিত নন।


তারপরও অনেকেই মনে করেছিলেন, এবার নোবেল পুরস্কারটি জিতবেন প্রথম হিগস পার্টিকলের কথা বলেছিলেন যিনি, সেই পিটার হিগস এবং তার গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। আবার পুরস্কারটি এলএইচসির বিজ্ঞানীদের হাতেই যাক, এমনটাও চাইছিলেন অনেকেই। অন্যদিকে নোবেল কমিটি প্রথা ভেঙে একক কোনো ব্যক্তিকে পুরস্কৃত না করে হিগস বোসনের জন্য পুরো একটি প্রতিষ্ঠান তথা এলএইচসিকে পুরস্কারটি দিক, এমন আশাও প্রকাশ করেছিলেন কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানী পিটার ওইট।

তবে এটাও হতে পারে যে, হিগস বোসনের ঘোষণা আসতে বেশি দেরি হয়ে গিয়েছিলো। পার হয়ে গিয়েছিলো নোবেল পুরস্কারের ডেডলাইন। ২০০৪ সালের নোবেল জয়ী পদার্থবিজ্ঞানী ফ্র্যাঙ্ক উইলজেক বলেন, ‘ ঘোষণাটি এসেছিলো দেরিতে। সাধারণত ১ ফেব্রুয়ারি বন্ধ হয় নোবেল পুরস্কারের জন্য নমিনেশন। যদিও এর ব্যতিক্রমও হয়। তারপরও একটু দেরি হয়ে গিয়েছিলো হিগস বোসন পার্টিকলের ঘোষণা আসতে।’ তবে আগামী বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জয়ের সম্ভাবনাটি যে হিগস বোসন পার্টিকলেরই সবচেয়ে বেশি, তাও বলেন উইলজেক।

এবারের পদার্থবিজ্ঞানের নোবেলটি হিগস পার্টিকল আবিষ্কারকদের হাতে না যাওয়ায় হয়তো মনোক্ষুন্ন হয়েছেন অনেক বিজ্ঞানী। তবে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর হিগস পার্টিকলের অস্তিত্বের শক্ত প্রমাণ মিললে হয়তো পুরনো প্রথা ভাংতেই হবে নোবেল কমিটিকে।

কোন মন্তব্য নেই:

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল