বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১২

উইন্ডোজ ৮-এর জন্য আসছে 'ফায়ারফক্স মেট্রো'

উইন্ডোজ ৮-এর জন্য আসছে 'ফায়ারফক্স মেট্রো'

ফেব্রুয়ারি মাসে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য নতুন ব্রাউজার ফায়ারফক্স মেট্রো বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে মোজিলা। ইতোমধ্যেই নতুন ব্রাউজারের একটি প্রিভিউ ভার্সন এনেছে মোজিলা। নিজেদের ব্লগে নতুন ব্রাউজার সফটওয়্যারের প্রিভিউটি বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে মোজিলা। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

মোজিলা জানিয়েছে, মূলত উইন্ডোজ ৮-এর জন্য ডিজাইন করা হলেও, মেট্রো ইউজার ইন্টারফেস এবং ক্লাসিক ডেস্কটপ ইউজার ইন্টারফেস দু’টিতেই সমান তালে চলবে ফায়াফক্স মেট্রো। উইন্ডোজ ৮-এর আরটিএম ভার্সন ব্যবহারকারীরাও চালাতে পারবেন মোজিলার নতুন ব্রাউজারটি।

অন্যদিকে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসবে ২৫ অক্টোবর। ইতোমধ্যে প্রিভিউ সফটওয়্যারটি দিয়ে ফায়ারফক্স মেট্রো ব্রাউজারের সবগুলো খুঁত খুঁজে বের করে আগেই ঠিক করে নিতে চাইছে মোজিলা।

মোজিলার ব্লগে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ফায়ারফক্স মেট্রোতে থাকবে ‘নতুন মেট্রো স্টাইল ফায়ারফক্স স্টার্ট পেইজ, সাপোর্ট করবে ফায়ারফক্স সিঙ্ক, থাকবে মেট্রো টাচ অ্যান্ড সোয়াইপ জেশ্চার। মোজিলা বলেছে, ‘উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য তৈরি ব্রাউজারটি হবে আরো আধুনিক’।

কম্পিউটার মাউসের মজার ট্রিক

কম্পিউটার মাউসের মজার ট্রিক

দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে কম্পিউটার। ডেস্কটপ হোক বা ল্যাপটপ, পড়াশোনা থেকে শুরু করে কাজের খাতিরে সবক্ষেত্রেই নির্ভরতা কম্পিউটারের ওপর। আর কম্পিউটার ব্যবহারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসগুলোর একটি হচ্ছে ছোট্ট মাউসটি। কম্পিউটারে অতি প্রয়োজনীয় সেই মাউসটির অনেক মজার ট্রিকই ব্যবহারকারীদের অজানা। মাউসের সেই ট্রিকগুলো শুধু মজারই নয় বরং কম্পিউটার ব্যবহারকেও করে দেয় অনেক সহজ। এমনই কয়েকটি ট্রিক শিখিয়েছে ইয়াহু টেকনোলজি।

ক্লিক ট্রিক
মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ডাবল ক্লিক করে একটি শব্দ আর ট্রিপল ক্লিক করে পুরো একটি প্যারাগ্রাফ হাইলাইট করার ব্যাপারটি পাঠকের অজানা থাকার কথা নয়। তবে ওয়ার্ড ডকুমেন্টের পুরো একটা কলামকে হাইলাইট করার উপায় কি? চেপে রাখুন অল্টার আর চাপুন মাউসের লেফট বাটনটি। আর কার্সরটিকে টেনে নিয়ে যান আপনি যে কলামটি হাইলাইট করতে চান তার ওপর। ব্যস, হয়ে যাবে কাজ।

স্ক্রল ট্রিক
    স্ক্রল করুন ডানে বামে: মাইক্রোসফট এক্সেলের বেশিরভাগ ভার্সনে শিফট বাটনটি চেপে রেখে স্ক্রল করলে আপনাকে ডানে বামে নিয়ে যাবে কার্সরটি। বড়ো বড়ো স্প্রেডশিট দেখতে কাজে দেবে এই ট্রিকটি।

    ব্যাক বাটন হিসেবে স্ক্রল হুইল: বেশিরভাগ ওয়েব ব্রাউজারেই এই ট্রিকটি কাজে লাগাতে পারবেন পাঠক। শিফট চেপে স্ক্রল হুইলটি ঘোরালেই ব্যাক বাটন হিসেবে কাজ করবে আপনার স্ক্রল হুইল।

রি-লগইন না করার ট্রিক:
ধরে নিন, কর্মক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটারটি রেখে ঘুরে আসতে চাইছেন কিছুক্ষণের জন্য। তবে বার বার কম্পিউটারে রি-লগ করতে চাননা। মাউসের কার্সরটিকে কম্পিউটার মনিটরের অ্যানালগ ঘড়ির ওপর নিয়ে রাখুন। ঘড়ির সেকেন্ডের কাটা নড়লেই সেটি অনুসরণ করবে কার্সর। কম্পিউটারের সামনে না থাকলেও স্লিপ মোডে চলে যাবে না কম্পিউটারটি।

বিবিসি, সিএনএন সাইটের বিরুদ্ধে অভিযোগ মাইক্রোসফটের!

বিবিসি, সিএনএন সাইটের বিরুদ্ধে অভিযোগ মাইক্রোসফটের!

কপিরাইট আইন লক্সঘনের কথা বলে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন থেকে বিবিসির ওয়েবপেইজগুলো সরিয়ে ফেলার আব্দার জানিয়েছিলো মাইক্রোসফট! শুধু বিবিসি নয়, একই অভিযোগের শিকার সিএনএন, উইকিপিডিয়া এবং মার্কিন সরকার। তবে এজন্য দায়ী মাইক্রোসফটের অটোমেটেড সিস্টেমের ভুল। খবর বিবিসির।

ইন্টারনেটে অবৈধভাবে মাইক্রোসফটের কপিরাইট করা কনটেন্ট শেয়ারিং ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে বিশেষ একটি সফটওয়্যার। অবৈধ কন্টেন্ট খুঁজে পেলেই ওয়েবপেইজটি সরিয়ে দিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুগলের কাছে আবেদন পাঠায় সফটওয়্যারটি। মাইক্রোসফটের ওই সফটওয়্যারের ভুলেই বিবিসি এবং সিএনএন-এর মতো সংবাদসংস্থার পেইজগুলো সার্চ ইঞ্জিন থেকে সরিয়ে ফেলার অনুরোধ চলে গিয়েছিলো গুগলের কাছে।

সফটওয়্যারটি একই রকম ভুল টেকডাউন রিকোয়েস্ট করেছিলো বাজফিড, হাফিংটন পোস্ট এবং টেকক্রাঞ্চের মতো ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে। অবশ্য গুগলের অনুমোদিত ওয়েবসাইটগুলোর তালিকায় বিবিসি থাকায় কোনো প্রভাব পড়েনি সংবাদ সংস্থাটির সাইটে। তবে এতে গুগলের লিস্ট থেকে সরে গেছে এএমসি থিয়েটার এবং রিয়ালক্লিয়ার পলিটিক্স-এর মতো ওয়েবসাইটগুলো।

এ ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ।

'রঙিন মধু' বানাচ্ছে চকলেটপ্রেমী মৌমাছি!

'রঙিন মধু' বানাচ্ছে চকলেটপ্রেমী মৌমাছি!


ফ্রান্সে চাক ভর্তি নীল আর সবুজ রংয়ের মধু বানাচ্ছে চকলেটপ্রেমী মৌমাছি! তবে মধুপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ, বিক্রির জন্য নয় এই রঙিন মধু। ফ্রান্সের আলসাস অঞ্চলে ঘটছে এই চমকপ্রদ ঘটনা। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

ফুলের নির্যাস সংগ্রহ করা বাদ দিয়ে ফ্রান্সের আলসাস অঞ্চলের মৌমাছিগুলো আহরণ করছে স্থানীয় বায়োপ্ল্যান্টের প্রক্রিয়াজাত চিনি আর চকলেট ফ্যাক্টরি এমঅ্যান্ডএম-এর বর্জ্য। আর এতেই তৈরি হচ্ছে রঙিন মধু।


সাধারণ মৌমাছিগুলো ফুল থেকে অপরিশোধিত মধু সংগ্রহ করে পৌঁছে দেয় মৌচাকের দায়িত্বে থাকা মৌমাছিদের কাছে। ওই মৌমাছিগুলোর পাকস্থলীতে প্রক্রিয়াজাত হয় অপরিশোধিত মধু। মৌচাকে ওই মধু জমা করে মৌমাছিগুলো। এরপর পাকস্থলী থেকে বের হওয়া মধুর আর্দ্রতা জলীয় বাস্প হয়ে উড়ে গেলে থেকে যায় বিশুদ্ধ মধু।

এদিকে মৌমাছিরা ফুলের মধু ছেড়ে শিল্পকারখানার প্রক্রিয়াজাতকৃত চিনির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন আলসাসের মধু চাষিরা। বিক্রি করতে পারছেন না তাদের সংগৃহীত মধু। আলসাসের স্থানীয় মধু ব্যবসায়ী আন্দ্রে ফ্রিহে জানান, মৌচাক থেকে সংগ্রহ করা নীল ও সবুজ রংয়ের পদার্থগুলো দেখতে মধুর মতো। স্বাদটাও অনেকটা একই রকম। তবে ওই তরল আর যাই হোক মধু নয়।

অন্যদিকে এই সমস্যা সমাধান করতে ভবিষ্যতে বর্জ্য পদার্থগুলো ঢেকে রাখার এবং ওয়েস্ট কন্টেইনারগুলো যতোটা সম্ভব পরিচ্ছন্ন রাখার কথা দিয়েছে স্থানীয় বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট অ্যাগ্রিভ্যালোর এবং চকলেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমঅ্যান্ডএম।

বেসরকারি মহাকাশযানের যাত্রা শুরু

বেসরকারি মহাকাশযানের যাত্রা শুরু

রোববার বেসরকারিভাবে নির্মিত প্রথম কার্গো মহাকাশযান ‘স্পেসএক্স’ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। স্পেস শাটলগুলো অবসরে যাওয়ার পর মহাকাশ স্টেশনের সাপ্লাই চেইন চালু রাখার উদ্দেশ্যে চুক্তিভিত্তিক এধরনের মহাকাশযানের ওপর নির্ভর করার পরিকল্পনা করেছে নাসা। খবর সিনেট-এর।

ড্রাগন ক্যাপসুল এবং এর ফ্যালকন রকেট স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিতে তৈরি হয়েছে মপমফ নভোযান। ১৬০ কোটি ডলার চুক্তিতে নাসার জন্য এটিই প্রথম অপারেশনাল ফ্লাইট মহাকাশযানটির। ১৫৭ ফিট লম্বা নভোযানটি সেকেন্ডে ৫ মাইল গতিতে পৃথিবীকে আবর্তন করবে।

রাশিয়ান, ইউরোপিয়ান এবং জাপানি কার্গো নিয়মিত স্টেশনটি ভিজিট করে। আগামী  তিন সপ্তাহ মহাকাশ স্টেশনটির কর্মীরা আধ টন সরঞ্জাম সেখানে নামাবে। এছাড়াও এতে থাকবে একটি ফ্রিজার, খোলা যন্ত্রাংশ, নভোচারিদের পোশাক এবং খাবার।

নাসার হেডকোয়ার্টার থেকে স্পেস স্টেশনের প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট জুলি রবিনসন বলেন, ‘স্পেসএক্স ড্রাগন নভোযানটি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি ল্যাবরেটরিতে ব্যবহারের জন্য আইএসএস সাপোর্ট করবে। উভয়ই কার্গো স্পেস স্টেশনে যাবে এবং গবেষণার জন্যে স্যাম্পল নিয়ে ফিরবে। এটি শুধু কনসিসটেন্ট সাপ্লাই চেইন আপ-এর জন্যে যাচ্ছে না। বায়োলজিকাল গবেষণার জন্য এটি ফ্রোজেন স্যাম্পল নিয়ে আসবে।’