বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১২

2012

ছবিটি ওপেন করে সবাই একটু কষ্ট করে লেখাটি পড়ুন... এড়িয়ে যাবেন না দয়া করে...

অত্যন্ত তথ্যবহুল এবং যুক্তি সম্পন্ন একটি পোস্ট। একটু বড় হলেও দয়া করে পুরোটা পড়ুন এবং শেয়ার করুন। কারন এটি প্রতিটি মানবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।- Admin

mobile share link > http://on.fb.me/HOe7yQ

জানি সময় একটু বেশি লাগবে। কিন্তু কথা দিচ্ছি, পোস্টটা পড়লে আপনার-ও খারাপ লাগবে। একটু হলেও নিজেকে সংশোধন করা যাবে। (মুসলমানদের জন্য)
================================
২০১২ এবং ইসলাম তথা ১৪৩৩ আরো কিছু অজানা তথ্য: প্লিজ পড়ুন

ইসলাম যেখানে একঈশ্বর এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সত্যতাতে বিশ্বাস করতে হয় সেখানে বস্তুবাদ কিংবা ত্রিতত্ত্ববাদ (Trinity) কিংবা বহুঈশ্বরবাদ এর কোনো স্থান নেই | নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান |

আমি এখানে আগে মায়ান এবং বর্তমান সম্পর্কে কিছু বলব. তা না হলে ২০১২ নিয়ে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যাবে না |

পৃথিবীতে বরফ যুগের ম্যামোথ থেকে শুরু করে ডাইনোসোর এরা প্রত্যেকেই ধ্বংস হয়েছে . পৃথিবীতে কোনো কিছুই স্থায়ী নয় এমনকি --- আমরাও না .
২০১২ নিয়ে আমরা অনেকেই কমবেশ জানি | অনেকেই জানি সুপার হিট ফীল্ম 2012 এর কথা | কিন্তু এই ফীল্মও ২০১২ এর সতর্ক বাণী স্বরূপই তৈরী করা হয়েছিল যা কিনা পরে মুভী ইন্ড্রাস্ট্রিতে ফীল্ম হিসেবেই প্রকাশ পায় | 2012 এর তৈরির পিছনে মায়ান ক্যালেন্ডার এর ভূমিকা ছিল | মায়ান ক্যালেন্ডারে ২০১২ এর পর আর ২০১৩ আসে নি, তারা আবার ১, ২, ৩ এভাবে গুনে গিয়েছে | তারা ২০১২ এ বিশাল ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে যাতে কিনা সভ্যতার ধ্বংস হবে এবং নতুন সভ্যতার উত্থান হবে | অনেকেই বলেন ২০১২ তে নাকি পৃথিবী ধ্বংস হবে. এটা একটা ভুল ধারনা | ২০১২ তে যদি কিছু হয় তাহলে বড় রকমের বিপর্যয় হতে পারে (আল্লাহ ভালো জানেন) যার ফলে পৃথিবীর ৯০% মানুষই মারা যাবে . মায়ানরা যেটা দেখেছিল তা ছিল একটি গ্রহ | তারা দেখেছিল এই বিশাল গ্রহটি তাদেরকে আচ্ছাদিত করছে. এর তুমুল গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স এর প্রভাবে সুনামি আঘাত হানার ফলে ওদের সভ্যতা ধ্বংস হল | তাই তারা এই গ্রহটির নাম দিয়েছিল নিবিরু(Nibiru) বা ধ্বংসকারী. খুব ছোট অংকের মাধ্যমে তারা গ্রহের আসা যাওয়ার গণনা করতে পারত | ওরা এতটাই উন্নত ছিল যে ওরা জানত পৃথিবীর কক্ষপথ অনেকটা গোলাকার | তারা আরো জানত পৃথিবীর সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে আসতে ৩৬৫ দিন লাগে যা আমরা কয়েক শতক আগেও জানতাম না | ওদের মধ্যে যে কেউ ভবিষ্যত গণনা করতে পারত | স্বল্প সংখ্যক যারা বেচেছিল তারাই তাদের ভবিষ্যত গণনা করে বলেছিল এই নিবিরু আবার ২০১২ তে আসবে যার ফলে ভয়াবহ দুরঅবস্থার দেখা দিবে | অনেকে ধারনা করেন এই আদিম মায়ানরাই হল কুরআন এ বর্নিত নুহ নবীর উম্মত যাদেরকে আল্লাহ মহাপ্লাবন দ্বারা ধ্বংস করেছিলেন | যাই হোক এ নিয়ে বলতে শুরু করলে সারা দিন লেগে যাবে.
এখন আধুনিক সভ্যতার প্লানেট এক্স আবিষ্কার এবং নাসা আমেরিকা ইউরোপ এর ষড়যন্ত্রের কথা বলব. প্ল্যানেট এক্স (নিবিরু) জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ১৯৮৩ এর গোড়ার দিকে সৌর সিস্টেম এর বাহির এর দিকে আবিষ্কার করে | ১৯৮৩ সালে নাসার ইরাস (IRAS-ইনফ্রা অ্যাস্ট্রোনমিকাল উপগ্রহ) সৌরজগত এর শেষ দিকে বৃহষ্পতি এর মত বড় কিছুর উপস্থিতির কথা বলে | যা ১৯৮৩ এর টাইমস পত্রিকায় উল্লেখ করা হয় |
লিংক= http://m.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2F3.bp.blogspot.com%2F-xXP7Jh9SWhs%2FTsvmP3a3CkI%2FAAAAAAAAACU%2FabJw_t6xuFM%2Fs1600%2FClues%2BGet%2Bwarm%2Bin%2Bthe%2Bsearch%2Bof%2Bplanet%2Bx%2B%252528real%2Bphoto%2B1%2Bfrom%2BNY%2Btimes%2B30-01-1983%252529.gif&h=8AQEWVAZg


সর্বপ্রথম ১৯৭২ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জোসেফ ব্র্যাডি আবিষ্কার করেন কোনো অপরিচিত গ্রহ (প্ল্যানেট এক্স) হ্যালির ধুমকেতুর কক্ষপথের মহাকর্ষিক সমস্যার কারণ | জোতির্বিজ্ঞানিদের গাণিতিক হিসাব এটা প্রমান করে যে, এই অপরিচিত গ্রহের ভর পৃথিবীর ৫ গুণ বেশি | এ সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানী যেচারিয়া সিচিন (Zecharia Sitchin) এর একটি বক্তব্য না বললেই নয় ১৯৭৮ সালে তিনি বলেন, “আমাদের সৌরজগতে ৯টি গ্রহ নয় যা সর্বজন কর্তৃক গৃহীত বরং ১০ টি গ্রহ |”

এই বিশাল বস্তর কারণেই যে প্লুটো এর অরবিট পরিবর্তিত হয় এবং প্লুটো তার গ্রহের মর্যাদা হারায় পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা তা কোনো অজানা কারণে আংশিক প্রকাশ করেন | (বর্তমানে প্লুটোকে Kuiper belt এর অংশ বলা হয়) অনেকে একে বাদামী তারা বলেছেন অনেকে বলেছেন ব্যর্থ তারা | অনেকে বলেছেন ধুমকেতু | অনেকে বলেছেন ১০তম গ্রহ অনেকে ১২তম গ্রহ | তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হল এর ভর বৃহষ্পতির চেয়েও বেশী | এর অরবিটও অন্য ধরনের | এর এক অরবিট সম্পন্ন হয় প্রায় তিন হাজার ছয়শ বছর এ | যদি এর আমাদের আরো তিন হাজার ছয়শ বছর আগে নুহ (আঃ) এসে থাকেন তাহলে এর পরের বার পৃথিবী ভ্রমন অতি নিকটেই | আমি আবারো বলছি যে এটি এর আগেও কখনো পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষ করে নি এই বার আসলেও করবে না | এর তুমুল গ্র্যাভিটির কারণেই পৃথিবীর নর্থ পোল আর সাউথ পোল ঘুরে যাবে ফলে সুর্য পশ্চিম দিকে উঠবে যা ইসলাম আমাদের ১৪০০ বছর আগেই বলে দিয়েছে | এর ফলে পৃথিবীর ৯০% মানুষ মারা যাবে বলে ধারণা করা হয় (আল্লাহই ভালো জানেন) | নর্থ পোল সাউথ পোল ইতিমধ্যে সরতে শুরু করেছে | ২০০৪ সালে সূর্যে বেশ কয়েকটি সৌরকলঙ্ক(Dark Spot) সৃষ্টি হয় এর ফলে যে সৌরঝড় (Sun Storm) এবং যে পরিমাণ রেডিয়েশন হয়েছিল তা আমাদের ম্যাগনেটিক পোলগুলো সহ্য করতে পারে নি | আর ঐ দিন পৃথিবীর সুমাত্রাতে ৯.২ রিকটার স্কেলের ভয়াবহ ভূমিকম্পসহ ভয়াবহ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছিল, ঐ দিন ইন্দোনেশিয়াতে সুনামি হয়েছিল | এ থেকে বুঝা যায় সৌরকলঙ্কের সাথে পৃথিবীর ভূমিকম্পের সম্পর্ক রয়েছে | এই রেডিয়েশন আমাদের মাটির অভ্যন্তরের আন্দোলনকে সক্রিয় করে |

আসছে ২০১২ সবচেয়ে বেশি সৌরঝড় এর বছর |

এখন আমি আমেরিকার নাসার এবং ইউরোপ এর ষড়যন্ত্রের কথা বলব |

প্ল্যানেট এক্স আবিষ্কার এর পর নাসা ও ইসা(ESA- European Space Agency) প্রথমে নিবিরু এর সত্যিকারের ছবি প্রকাশ করলেও তারা এখন এ ব্যাপারে নিশ্চুপ |
এখন গুগল স্কাই এ নিবিরু তথা প্ল্যানেট এক্স এর অবস্থান কালো অংশ দিয়ে ঢাকা| যে কেউ দেখলে বুঝবে এখানে কিছু ছিল যা তারা দেখতে দিচ্ছেনা | কেউ কি ভেবে দেখছেন ওরা কী লুকাতে চাচ্ছে ? ওরা এটা ভাবছে যে এটা জানালে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে কিন্তু ওরা না জানিয়ে আরো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে |

এখন আমেরিকা এবং বিভিন্ন এলাকার গোপন বাজেট এর কথা বলি | আমেরিকা তাদের অনেক নিরাপদ জায়গায় আন্ডারগ্রাউন্ড বেস (যার সংখ্যা আনুমানিক ভাবে ১৩২ এর চেয়েও বেশী) বানাচ্ছে | নিরাপদ এই কারণে বললাম কারণ এই সকল এলাকায় ভূমিকম্প বা যেকোনো দূর্যোগ মুক্ত বলে তাদের ধারনা | (কিন্তু এখন এসব এলাকাতেও ভূমিকম্প হতে পারে) যেটি একটি গোপন প্রযেক্ট | এমনকি আমেরিকান মানুষদেরও সেখানে প্রবেশাধিকার নেই | এর নাম হলো ডামবস প্রযেক্ট (D.U.M.Bs.- Deep Underground Military Bases)| এই বেস গুলোতে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুদ রাখা সহ সেখানে বৈজ্ঞানিক ভাবে মাটির নিচে খাবার উত্পাদন করার ব্যবস্থা করেছে | এটি একটি সম্মিলিত প্রযেক্ট | বিভিন্ন উন্নত দেশ এর সাথে গোপন ভাবে যুক্ত | রাশিয়া-আমেরিকা চিরন্তন শত্রু হওয়া সত্ত্বেও ওরাও এটার সদস্য | সাথে আছে ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশ |
ওরাই বলেছে “আমরা আসন্ন মহাদূর্যোগ এ সবাইকে বাঁচাতে পারব না, আমরা শুধু তাদেরকেই বাঁচাব যাদেরকে আমাদের দরকার ” | এমনকি SPT(south pole telescope) এর সব উপাত্ত গোপন রাখা হয়েছে.

এখন আমি পবিত্র আল কুরআন এর গাণিতিক কোড টার্ম ১৪৩৩(২০১২) এর কথা বলব সাথে ইমাম মাহদি আসার কিছু হাদীস বলব |

১৪৩৩ পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোড

পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোডের কথা বলতে হলে আগে আমাদের প্রাইম নাম্বার সম্পর্কে জানতে হবে | সবাই জানেন প্রাইম নাম্বার কি | তাও বলি যে সকল নাম্বার 1 এবং ঐ নাম্বার ছারা আর কোনো নাম্বার দিয়ে ভাগ যায় না তাদেরকে প্রাইম নাম্বার বলে | যেমন : ১,২,৩,৫,৭,১১,১৩,১৭,১৯,২৩... লক্ষ্য করুন এই ডিফারেন্স কিন্তু অনিয়মিত | আবার এক বিশেষ ধরনের প্রাইম নাম্বার আছে যাকে অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার বলা হয় | অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার সেই সকল বিশেষ প্রাইম নাম্বার যেগুলোর সংখ্যামানের যোগফলও প্রাইম নাম্বার হয় |

একটা উদাহরন দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে যেমন : ১১ একটি অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার | (১+১=২ | ২ একটি প্রাইম নাম্বার) | আল্লাহ তা আলা কুরআনেও এই সব নাম্বার ব্যবহার করেছেন | পবিত্র কুরআনের শুরুর সূরা ফাতিহাতে ৭ টি আয়াত, ২৯ টি শব্দ, ১৩৯ টি বর্ণ আছে যার সবগুলিই অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার | এমনকি এগুলোকে বাম দিক থেকে বা ডান দিক থেকে যেকোনো দিক থেকে এদের পাশাপাসি বসালে তাও অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার হয় |
|||৭২৯১৩৯ বা ১৩৯২৯৭ ||| ৭+২+৯+১+৩+৯=31 |||

পবিত্র কুরআনের অসংখ্য স্থানে অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার এর কথা বলা হয়েছে |

এখন আমি ২০১২ তে আসি :

পবিত্র কুরআনের সূরা আর-রহমান এ ৩১ বার বিভিন্ন আয়াতে “ফাবিআয়্যি আলা ইরাব্বিকু মা তুকাজ্জিবান” বলা হয়েছে | যার অর্থ “তোমরা (জ্বীন ও মানব জাতি) তোমার প্রতিপালকের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে”
১৩, ১৬, ১৮, ২১, ২৩, ২৫, ২৮, ৩০, ৩২, ৩৪, ৩৬, ৩৮, ৪০, ৪২,৪৫, ৪৭, ৪৯, ৫১, ৫৩, ৫৫, ৫৭, ৫৯, ৬১, ৬৩, ৬৫, ৬৭, ৬৯, ৭১, ৭৩, ৭৫, ৭৭

এখন এসকল আয়াতসমূহ যোগ করা হলে যা পাওয়া যায় তা হল 1433 |
১৩+ ১৬ + ১৮ + ২১ + ২৩ + ২৫ + ২৮ + ৩০ + ৩২ + ৩৪ + ৩৬ + ৩৮ + ৪০ + ৪২ + ৪৫ + ৪৭ + ৪৯ + ৫১ + ৫৩ + ৫৫ + ৫৭ +৫৯ + ৬১ + ৬৩ +৬৫ + ৬৭ + ৬৯ + ৭১ + ৭৩ + ৭৫ + ৭৭ = ১৪৩৩

এখন লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ১৪৩৩ একটি প্রাইম নাম্বার এমনকি এর যোগফলও প্রাইম নাম্বার (১+৪+৩+৩=১১) |

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সূরা আর রহমানের শব্দ সংখ্যা ৩৫৫ | এর মাধ্যমে একে বারে আগামী বছর চিহ্নিত হচ্ছে কারণ ১৪৩৩ হল লিপ ইয়ার | আর হিজরী লিপ ইয়ার হয় ৩৫৫ দিন এ |
আরো আশ্চর্যের বিষয় হল পবিত্র কুরআনের ১৪৩৩ নাম্বার আয়াত বর্ণ গুনে গুনে এমনকি শব্দ গুনে গুনে দেখলেও প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আযাব এবং শাস্তির কথা লক্ষ্য করা যায় |
১৪৩৩ তম আয়াত হল পবিত্র কুরআনের সূরা ইউনুস এর ৬৯ নং আয়াত |

সূরা ইউনুস (১০-৬৯)“বলে দাও, যারা এরূপ করে তারা অব্যাহতি পায় না।“
আবার বর্ণ গুনে গুনে ১৪৩৩তম হয় সূরা বাকারাঃ(২:৮৬)
“এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করেছে। অতএব এদের শাস্তি লঘু হবে না এবং এরা সাহায্যও পাবে না”।
আবার শব্দ গুনে গুনে ১৪৩৩ তম হয় সূরা বাকারাঃ(২:২৪)

“আর যদি তা না পার-অবশ্য তা তোমরা কখনও পারবে না, তাহলে সে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে অবিশ্বাসীদের জন্য” |
এখন গোলাকার এই পৃথিবীকে ৩৬০˚ দ্রাঘিমাংশ (উল্লম্ব অর্ধবৃত্ত) এবং ১৮০˚ অক্ষাংশে (অনুভূমিক পূর্ণবৃত্ত) ভাগ করা যায় | আবারও সৃষ্টিকর্তা সূরা আর রহমানে ৩১ বার বর্নিত আয়াতের মাধ্যমে এর কথা বলছেন যার পরিসর ০˚ থেকে ৯০˚ এর মধ্যে |

১৩˚ ১৬˚ ১৮˚ ২১˚ ২৩˚ ২৫˚ ২৮˚ ৩০˚ ৩২˚ ৩৪˚ ৩৬˚ ৩৮˚ ৪০˚ ৪২˚ ৪৫˚ ৪৭˚ ৪৯˚ ৫১˚ ৫৩˚ ৫৫˚ ৫৭˚ ৫৯˚ ৬১˚ ৬৩˚ ৬৫˚ ৬৭˚ ৬৯˚ ৭১˚ ৭৩˚ ৭৫˚ ৭৭˚ এখন এই বারবার পুনরাবৃত্তি হওয়া আয়াতসমূহ দুই ধরনের অস্তিত্বশীল বস্তুর (মানুষ ও জ্বিন) কথা বলে তাই এই ল্যাটিটিউড নাম্বারগুলো যদি উত্তরাঞ্চলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় উভয় গোলার্ধের জন্য প্রয়োগ করা হয়, (১৩ নর্থ ১৩ সাউথ এভাবে পৃথিবীর মানচিত্রে বসানো হলে) তাহলে তা পবিত্র ভূমি মক্কা, জেরুজালেম, মদীনা, ছাড়া পৃথিবীর সব ঘনবসতিপূর্ণ প্রায় ৯০০০০ এলাকাকে চিহ্ণিত করে | তবে একটা জিনিস লক্ষ রাখতে হবে তা হল কুরআনুযায়ী পৃথিবীর কেন্দ্র মক্কা যা বিজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত | তাই এক্ষেত্রে আমাদের মক্কাকে কেন্দ্র ধরে হিসাব করতে হবে |

হাদীসে ২০১২ এবং ঈমাম মাহদি সম্পর্কে আসি :

এ বিষয়ে অনেকেই একমত যে ইমাম মাহদির জম্ম হয়ে গিয়েছে | হাদীসে ঈমাম মাহদি আসার আলামত হিসেবে পৃথিবীর চরম বিপর্যয়, দুর্ভোগ এবং মহাদুর্যোগের কথার উল্লেখ আছে |
সব হাদীস না বলে আমি কয়েকটা হাদীস বলব |

“পৃথিবী ততক্ষন পর্যন্ত এর পরিঃশেষ হবে না যতক্ষন পর্যন্ত না আমার পরিবার (বংশ) থেকে একজনের আবির্ভাব হবে এবং সারা পৃথিবীতে ন্যায়ের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে ” |
ইমাম মাহদির আগমনের আরেকটি লক্ষন হলো দুইশিংযুক্ত একটি তারার (আপনি চাইলে একে প্লানেট এক্স বলতে পারেন) আগমন যার লম্বা লেজ থাকবে এবং সারা আকাশকে আলোকিত করবে এর কারণে উপকূলবর্তী স্থানসমূহ ডুবে যাবে |
ঘনঘন ভূমিকম্প হবে |
মহানবী (সঃ) আরো বলেন,
“তোমরা ততক্ষন পর্যন্ত ইমাম মাহদিকে দেখতে পাবে না যতক্ষন পর্যন্ত না ১৫ রমজান শুক্রবার পৃথিবীর পূর্ব, পশ্চিম এবং অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলাতে তিনটি ভয়াবহ ভূমিধ্বস হবে যা কোনো চোখ এ পর্যন্ত দেখে নি” |
তারপর আয়েশা (রঃ) জিজ্ঞেস করলেন “যদিও পৃথিবীতে কিছু ভালো মানুষ থাকবে তাও কি এ ঘটবে?”
মহনবী (সঃ) বললেন, “যখন খারাপের সংখ্যাই বেশি হবে এবং পৃথিবীতে অন্যায় অবিচার বেড়ে যাবে এবং বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে |”
এই ভূমিধ্বস ঐ স্থানের সকলকে গিলে ফেলবে |
http://m.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Fwww.islamicfinder.org%2FdateConversion.php&h=fAQFOZRqY

এই সাইটে গিয়ে ১৫ রমজান ১৪৩৩ লিখে দেখুন তাহলে ইংরেজী সণে যে তারিখ পাওয়া যায় তা হল ৩ আগস্ট ২০১২ শুক্রবার | আল্লাহই ভালো জানেন কি হবে না হবে তবে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত |

ইমাম মাহদি আসার আরো লক্ষন হলো বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ দেখা দিবে এক জায়গায় বিদ্রোহ হতেই অন্য স্থানে বাতাসের গতিতে তা ছড়িয়ে পড়বে | রমজান মাসে ২ টি গ্রহন হবে যদিও এই লক্ষনটি পূর্ণ হয়ে গিয়েছে হিজরী ১৪০২ সণে |ইরাক-ইরান যুদ্ধ ইমাম মাহদি আসার লক্ষন | দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে | সোমালিয়া সহ আরো কয়েকটি দেশে ১.৫ কোটিরও অধিক মানুষ দুর্ভিক্ষ কবলিত |
জেরুজালেম ইহুদিদের দখলে চলে যাবে, মানুষ মিথ্যা কথাকে সুদ গ্রহনকে সকল ধরনের গানবাজনাকে হালাল বলে মনে করবে, অযোগ্য ও অসত্ ব্যক্তিরা রাষ্ট্রপ্রধান হবে , দেশে দেশে বিদ্রোহ দেখা দিবে, সত্য বিলুপ্ত হবে, ধর্মপ্রচার করা কঠিন হয়ে যাবে, ধর্মের কথা বললে মানুষ খারাপ বলে মনে করবে, দিন খুব দ্রুত যাবে বলে মনে হবে এগুলি সবই হলো ইমাম মাহদি আসার লক্ষন | এছাড়া আরো অনেক লক্ষন আছে যা বর্তমান যুগের সাথে মিলে | সিরিয়া, ইয়েমেনে যা হচ্ছে তাও ইমাম মাহদির আগমনের আলামত | হাদিসে বলা হয়েছে দাজ্জাল শাসন করবে ৪০ দিন. ১ম দিন ১ বছরের মত, ২য় দিন ১ মাসের মত আর ৩য় দিন ১ সপ্তাহের মত এবং বাকী ৩৭ দিন আমাদের স্বভাবিক দিনের মত. এখন সুরা হজ্জ এর ৪৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে- “ তোমার প্রতিপালকের ১ দিন তোমার ১ হাজার বছরের সমান |”

১ দিন = ১০০০/১বত্সর = ১০০০ বত্সর
১ দিন = ১০০০/১২মাস = ৮৩.৩৩ বত্সর
১ দিন = ১০০০/৫২সপ্তাহ = ১৯.২৩ বত্সর

এই হিসাব অনুযায়ী দাজ্জাল (AntiChrist) তার গোপন এবং প্রতারণাপূর্ণ সংগঠন শুরু করেছে তার অনুসারী ইহুদীদের মাধ্যমে বৃটেনে প্রায় ৯০০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত. যা হল ১০০০ বছর. এইরুপে দাজ্জাল তার ১ম দিন শেষ করল. দাজ্জাল এভাবে ২য় দিনে এবং ১৯১৭ সালে অ্যামেরিকার কাছে এই সংগঠনের ক্ষমতা হস্তান্তর করল এবং সকল ধরনের কার্যক্রম চালু রাখল . ২০০১ সালের ৯/১১ পর্যন্ত যা ৮৩.৩৩ বছর. এভাবে দাজ্জাল তার ২য় দিন শেষ করল এবং তার ক্ষমতা ঈসরাইলের কাছে হস্তান্তর করল. সেই অনুযায়ী এখন চলছে দাজ্জালের ৩য় দিন যা শেষ হবে (২০০১+১৯)= ২০২০ সালে. এরপর আসবে সত্যিকার দাজ্জাল শারীরিক ভাবে যা আমাদের ৩৭ দিনের মত. আরেক হাদিসে বলা হয়েছে ইমাম মাহদি শাসন করবেন ৭ বত্সর. মহানবী (সঃ) বলেছেন, “বিশাল যুদ্ধ এবং ইস্তাম্বুল জয় এর মধ্যে ৬ বছর পূর্ণ হবে এবং দাজ্জাল এর আগমন ঘটবে সপ্তম বছরে.

অপর হাদিসে বলা হয়েছে ইমাম মাহদি শাসনের ৭ম বছরে দাজ্জালের আগমন হবে. সুতরাং ২০২০-৭=২০১৩. সেই অনুযায়ী ইমাম মাহদির আগমন ২০১৩ এ ঘটতে পারে. আল্লাহই ভালো জানেন. আর ইমাম মাহদির আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে মারাত্নক দুর্যোগ হবে তা ২০১২. আল্লাহই ভালো জানেন.
মহানবী (সঃ) বলেছেন, “সারা পৃথিবী ধোয়া দিয়ে আচ্ছন্ন না হওয়া পর্যন্ত সেই দিন (ইমাম মাহদির আগমনের দিন) আসবে না ”
ডিসকোভারির অ্যাপোকিলিপ্স আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের বেশ কয়েকটি ডকুমেন্ট রয়েছে এ সম্বন্ধে . তাদের মতে লা পামার (La Palma) এই কুমব্রেভিয়েহা অথবা আমেরিকার ইয়েলোস্টোনের অগ্নুত্পাত হলে সারা আমেরিকা নিশ্চিহ্ন হবে এবং এর ফলে সারা পৃথিবী ধোঁয়ায় ঢেকে যাবে. এমনকি মাসখানেক সূর্যও চোখে পড়বে না.
পাঠক চিন্তা করবেন না আরো কয়েকটা কথা বলে ইনশাল্লাহ শেষ করে ফেলব | ইসা (আঃ) তথা যিশু (Jesus) এর পুনঃআগমন এতে আমাদের প্রত্যেকেরই বিশ্বাস করতে হয় |

শুধু আমি একটাই হাদীস বলব সেটা হলো – ইসা (আঃ) (Jesus Christ) দাজ্জালকে (AntiChrist) ২টি তীর দিয়ে মারবেন গেইট অব লুত এ যা ইসরাইল এ অবস্থিত | আমাদের সমাজে এখন পারমানবিক বোমা থেকে শুরু করে কত ধরনের রাইফেল আছে তা সত্ত্বেও এই শক্তিশালি দাজ্জালকে (এন্টিখ্রিস্ট) কেন ২টি তীর দিয়েই মারা হবে ? এ থেকে বুঝা যায় আমাদের এই চরম উন্নত সভ্যতা আর থাকবে না, মানবের এই উন্নত সভ্যতার পতন ঘটবে এবং কুব কম সংখ্যকই টিকে থাকবে (আল্লাহই ভালো জানেন) |

এখনই সময় জীবনকে সুন্দর করে তোলার নতুবা এমন এক সময় আসবে যখন চাইলেও আর পারবেন না |

আমি কয়েকটা জিনিস স্পষ্ট করতে চাই

১. আমি কিন্তু ১০০ ভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি না আগামী বছরই হবে, সর্বশক্তিমান আল্লাহই ভালো জানেন | নিশ্চই তিনি মহাজ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ |

২. আমরা কেউ কখনও এ কখনও এ কথা বলতে পারি না যে কেয়ামত অনেক দুরে কারন তা কুরআন বিরোধী | কেয়ামত সম্পর্কিত জ্ঞান আল্লাহর ছাড়া আর কারো নেই | কেয়ামত অনেক দুরে এই কথা বলা উচিত না কারন আল্লাহই কুরআনে উল্লেখ করেছেন যে, “কেয়ামত সন্নিকটে” (সূরা ক্বামার)
আল্লাহর অযাব সম্পর্কে এভাবেই সূরা মুলকের ১৬ থেকে ১৮ আয়াতে বলা হয়েছে-
তোমরা কি নিশ্চিত যে, আকাশে যিনি আছেন তিনি তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দেবেন না, অতঃপর তা কাঁপতে থাকবে না।
তোমরা কি নিশ্চিন্ত যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন না, অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী।
তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর কত কঠোর হয়েছিল আমার অস্বীকৃতি।

৩. আর আবারও বলছি কেউ এটা কখনই ১০০% বিশ্বাস করবেন না. বিশ্বাস করবেন না যে এটা আগামি বছরই হবে. হ্যা তবে এটা হবেই ২০১২ তে না হলেও এসব ঘটার সময় সন্নিকটে. আর বারবার বলছি পৃথিবী ধ্বংস হবে না বড় দুর্যোগ হতে পারে (আল্লাহই ভালো জানেন) .

৪. আর কখনই বলবেন না কেয়ামত অনেক দুরে কারন মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “আমার জন্ম আর কেয়ামত হাতের মধ্যমা আর তর্জনি এই দুই আঙ্গুলের ব্যবধানের সমান | ” তাই আমাদের আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত নতুবা পরে নিজেই পস্তাবেন |

৫. মহানবী (সঃ) বলেছেন – “ শেষ যুগে আমার কিছু উম্মত মদ, ব্যভিচার, ঘুষ, সুদ, মিথ্যা কথা বলা এগুলিকে হালাল বলে মনে করবে ” | এখনকার যুগে এর প্রত্যেকটি হচ্ছে |
আর আমরা হলাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত মানে আমরা শেষ যুগের মানুষ আমরা এটা কিভাবে ভুলে যাই ???

কেয়ামতের আলামত হল .মানুষ ঘরে বসেই দূরের খবর জানতে পারবে ।উচু ইমারত নির্মান করা হবে । মেয়েরা বেপর্দার সাথে ঘুরে বেড়াবে । সন্তান বাবা মায়ের অবাধ্য হবে । জিনা ব্যাভিচার বেড়ে যাবে । বর্তমানে এগুলো ব্যাপক হারে ঘটে যাচ্ছে । সুতরাং কেয়ামত সন্নিকটে । তাই আসুন আগে থেকেই সতর্ক হই । আল্লাহ ও রাসুলের (সাঃ) আনুগত্য করি ।

৬. আবারও বলছি আমি আপনাকে ভয় দেখাচ্ছি না. এটা জেনে আপনি যদি নিজেকে সংশোধন করেন তাহলেই আমার সাফল্য. আমি এবং আমরা বন্ধু ইমাম মাহদির সাথে ১৪৩৩ তথা ২০১২ এর সম্পর্ক এই নিয়ে রিসার্চ করে নিজেদের পাল্টিয়েছি. এবার আপনার বদলানোর পালা নতুবা পরে অনেক দেরি হয়ে যাবে.

শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১২

শতবর্ষের শীর্ষ ১০ ভূমিকম্প

 
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় ৮ দশমিক ৬ মাত্রার প্রবল ভূমিকম্প অনুভূত হয় বুধবার। এর প্রভাবে বাংলাদেশও কেঁপে ওঠে কয়েক দফায়। ভূমিকম্পের পরপরই বাংলাদেশসহ ভারত মহাসাগর সংলগ্ন দেশগুলোর জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

১৯০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১শ’ ১২ বছরে ঘটা সবচেয়ে ভয়াবহ ১০টি ভূমিকম্পের খবর জানাচ্ছে এনডিটিভি। ভূমিকম্পের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ঘটনাগুলোকে পরপর সাজানো হয়েছে।

১৯৬০ সালের ২২ মে চিলির সান্টিগো ও কনসেপসিওতে আঘাত হানে ৯ দশমিক ৫ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প। এর প্রভাবে তীব্র জোয়ার ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের পাশাপাশি প্রায় ৫ হাজার মানুষ নিহত ও ২০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।

আলাস্কায় ১৯৬৪ সালের ২৮ মার্চ বড় ধরনের এক ভুমিকম্প ও এর ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ১২৫ জন নিহত ও প্রায় ৩১ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের তীব্রতা ধারণ করা হয় ৯ দশমিক ২। এ ভূমিকম্পে আলাস্কার বৃহত্তর অংশ ছাড়াও কেঁপে ওঠে পশ্চিমাঞ্চলীয় ইয়ুকন অঞ্চল ও কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া।

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের আচেহ প্রদেশে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর আঘাত হানে ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প। এর প্রভাবে ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভারত ও আরো নয়টি দেশে ২ লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

১৯৫২ সালের ৪ নভেম্বর রাশিয়ায় ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানায় সুনামি ঘটলেও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ভূমিকম্পে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জেও সুনামি আঘাত হানে।

জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানে ২০১১ সালের ১১ মার্চ। ৯ মাত্রার এ ভূমিকম্পে সৃষ্ট সুনামিতে চেরোনোবিল ঘটনার ২৫ বছর পর বিশ্বে পরমাক্ষু ক্ষেত্রে বড় ধরনের সংকট দেখা দেয়। ওই ভূমিকম্প ও সুনামিতে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

২০১০ সালের ২৭ ফেব্র“য়ারি চিলিতে আঘাত হানা ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প ও এর ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ৫শ’রও বেশি মানুষ নিহত ও প্রায় ৩০বিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

১৯০৬ সালে ইকুয়েডর ও কলাম্বিয়ার উপকূলীয় এলাকাতেও ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। মধ্য আমেরিকার উপকূলীয় এলাকা ছাড়াও সানফ্রান্সিসকো ও পূর্ব জাপানও এ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্প ও এর পরবর্তী সুনামিতে প্রায় ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

২০১২ সালের ১১ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশসহ সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভারতে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

১৯৬৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আলাস্কাতে ৮ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে সুনামির সৃষ্টি হয়।

২০০৫ সালের ২৮ মার্চ সুমাত্রায় ভূমিকম্পের আঘাতে ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। রিখটাল স্কেলে এর মাত্রা ছিলো ৮ দশমিক ৬।

ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্পে ৫ জনের প্রাণহানি

 
ন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় বুধবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং এক শিশু মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।


ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবেলা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরো নুগ্রহ বলেন, “হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে অন্তত দু’জন। ভয়ে হতবিহব্বল হয়ে মারা গেছে আরেকজন। আর শিশুটি আহত হয়েছে একটি গাছ উপড়ে পড়ে।” এ ব্যাপারে সুতোপো বিস্তারিত আর কিছু জানান নি।


হতাহত ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি কি হয়েছে তা এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় জানান তিনি।


বুধবার ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে রাস্তায় নেমে আসে আতঙ্কিত লোকজন। ভূকম্পন অনুভূত হয় সূদূর দক্ষিণ ভারতেও। ভূমিকম্পের ২ ঘণ্টা পর কয়েকটি শক্তিশালী পরাঘাতও হয়। জারি করা হয় সুনামি সতর্কতা।


তবে পরবর্তীতে সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়। ২০০৪ সালের মতো বড় ধরনের কোনো সুনামির খবরও পাওয়া যায়নি।

‘দশ মিনিটেই বিধ্বস্ত’ উত্তর কোরিয়ার রকেট

উত্তর কোরিয়ার বহুল আলোচিত দূরপাল্লার রকেটটি উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিটের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।


উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাঙের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কক্ষপথে আবহাওয়া উপগ্রহ পাঠানোর কথা বলে এই রকেট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা বিধ্বস্ত হওয়ায় ‘বিব্রতকর’ অবস্থায় পড়েছেন দেশটির নতুন নেতারা।


অবশ্য এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের দাবি, শুক্রবার উত্তর কোরিয়া-চীন সীমান্তের উৎক্ষেপণ মঞ্চ থেকে ছাড়ার ১০ মিনিটের মধ্যে ‘উনহা-৩’ রকেটটি ১২০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে পীত সাগরে বিধ্বস্ত হয়।


দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “গোয়েন্দা তথ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, উত্তর কোরিয়ার রকেট উৎক্ষেপণ চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।


উত্তর আমেরিকার এয়ারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড (এনওআরএডি) বলছে, রকেটের নিচের অংশটি পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পশ্চিম দিকের সাগরে। আর উপগ্রহ বহনকারী বাকি অংশ অন্য কোথাও পড়েছে।


বিধ্বস্ত রকেটের জঞ্জাল মাটিতে না পড়ায় কোনো বিপদও ঘটেনি বলে জানিয়েছে এনওআরএডি।


গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিশ্বজনমত উপেক্ষা করে এই রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যায় উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার আপত্তির পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন ও সাবেক মিত্র রাশিয়ার অনুরোধও তারা উপেক্ষা করে।


দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তাই মনে করেন, উপগ্রহ পাঠানোর নাম করে উত্তর কোরিয়া আসলে পরমাণু অস্ত্রবাহী দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণেরই পরীক্ষা চালিয়েছে। এর আগে দুই বার পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি।


অবশ্য উত্তর কোরিয়ার দাবি, পৃথিবীর কক্ষপথে উপগ্রহ পাঠানোর বিষয়টি তাদের সার্বভৌম অধিকার, আর সেই চেষ্টাই তারা করেছে।

চশমায় গুগল!

স্যান ফ্রান্সিসকো, এপ্রিল ০৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)-

  বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর চলচ্চিত্রগুলোতে অনেক সময় চশমা চোখে দিয়েই ভিডিও দেখা বা ভিডিও যোগাযোগের ঘটনা দেখা যায়। এখন বাস্তবেই এমন চশমা নিয়ে আসছে ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগল।

মানুষের উদ্দীপনার সিগনালকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের চশমা তৈরি নিয়ে নিজেদের গবেষণার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেছে গুগল।

বুধবার ‘প্রজেক্ট গ্লাস’ নামের এ গবেষণা সংশ্লিষ্ট ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট গুগল প্লাসে প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে দেখা গেছে, ক্ষুদ্র ডিজাইনের এ চশমায় রয়েছে মাইক্রোফোনসহ আংশিক-সচ্ছ্ব ভিডিও স্ক্রিন। স্ট্যাম্প-সাইজের এই ডিজিটাল ডিসপ্লে চশমার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে এবং এটি বসানো হয়েছে একদিকের লেন্সের উপরের কোণায়। ব্যবহারকারী তার ডান চোখ দিয়েই গুগলের সব সুবিধা কাজে লাগাতে পারবে।



অজানা কোনো গন্তব্যে যেতে এ চশমাতেই গুগল ম্যাপে দেখে নেওয়া যাবে সঠিক রুট, তুলে নেওয়া যাবে ছবি, তা শেয়ার করা যাবে বন্ধুদের সঙ্গে এমনকি করা যাবে ভিডিও কনফারেন্সও। তাছাড়া, এ চশমায় গান-বাজনাসহ অন্যান্য অডিও রেকর্ডিং শোনারও ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও এতে কোনো এয়ারফোন নেই।

গুগল এ ডিজিটাল চশমার ব্যাপারে ভোক্তাদের মন্তব্য আহ্বান করেছে। তবে কবে নাগাদ চশমাটি বাজারে পাওয়া যাবে বা এর দাম কতো হতে পারে তা নিয়ে কিছু জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।

‘গুগল এক্স’ নামের প্রতিষ্ঠানটির গবেষণাভিত্তিক ল্যাব তাদের এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমাদের কয়েকজন মিলে ‘প্রজেক্ট গ্লাস’ শুরু করি এমন একটি প্রযুক্তি তৈরির জন্য যা ব্যবহারকারীকে মূহুর্তের মধ্যেই সারা পৃথিবী অনুসন্ধান করা ও তা অন্যকে জানানোর সুযোগ করে দেবে।”

এতে আরো বলা হয়, এ পর্যায়ে এ গবেষণা সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে, কারণ এ ব্যাপারে সবার মূল্যবান মতামত জানতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

অস্ত্রোপচারে থ্রিডি প্রযুক্তি


 অস্ত্রোপচারের সময় যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ থ্রিডি প্রজেকশন ব্যবহারের দাবি করেছেন ম্যানচেস্টার রয়্যাল হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

জন গ্রিন (৬২) নামের এক ব্যক্তির প্রোস্টেট অপসারণের সময় এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় বলে বিবিসি জানায়।

অস্ত্রোপচারের সময় হাই ডেফিনেশন স্ক্রিনে হ্যান্ড হেল্ড রোবোটিক হাতের থ্রিডি চিত্র দৃশ্যমান হয়।

গত মাসে স্টকপোর্টের স্টেপিং হিল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো একই ধরনের রোবোটিক হ্যান্ড হেল্ড ডিভাইস ব্যবহার করা হলেও পূর্ণাঙ্গ থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে অস্ত্রোপচার যুক্তরাজ্যে এই প্রথম।

পুরো প্রক্রিয়া থ্রিডিতে পর্যবেক্ষণের জন্য চিকিৎসক দল অস্ত্রোপচারের সময় বিশেষ এক ধরনের চশমা ব্যবহার করেন।

চিকিৎসকরা জানান, রোবোটিক ও থ্রিডি প্রযুক্তিকে সমন্বিত করলে অস্ত্রোপচারে আরো বেশি নমনীয়তা আনা যায়।

তবে আরো বৃহত্তর পরিসরে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের আগে স্বল্প সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রেই শুধু এটি প্রয়োগ করা হবে।

ম্যানচেস্টার রয়্যাল হাসপাতালের মুখপাত্র জানান, থ্রিডি প্রযুক্তি একজন চিকিৎসককে সঠিকভাবে কাজ করার বড় ধরনের সুযোগ করে দেয়। এতে করে পেশি ও øায়ুর সমস্যার ঝুঁকি কমে যায়।

তিনি আরো বলেন, এটা একজন চিকিৎসকের ক্লান্তিভাব কমাতে সহায়তা করবে। এর অর্থ হলো, তারা আরো বেশি বেশি অস্ত্রোপচার করতে পারবে যার ফলাফল আরো ভালো হবে।

আর বেশি সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তির ব্যবহার সহজলভ্য হবে বলে আশা করছেন ওই অস্ত্রোপচারের নেতৃত্বদানকারী সার্জন ডান ব্র“ক।

তিনি বলেন, “এ প্রযুক্তির যে সম্ভাবনা রয়েছে সে বিষয়ে ইতোমধ্যেই আমরা উৎসাহিত। প্রকৃতপক্ষে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবাকে লাভবান করতে পারে এমন উন্নততর ফলাফলের জন্য পরিকল্পনা করছি আমরা।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এফএফ/সিআর/১১৫৬ ঘ. 

৬শ’ সন্তানের পিতা!


ঢাকা, এপ্রিল ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- নিজের ফার্টাইলিটি ক্লিনিকে স্পার্ম দান করে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী বার্টল্ড উয়িসনার প্রায় ৬শ’ সন্তানের পিতা হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত শতকের ’৪০-’৬০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে লন্ডনভিত্তিক বার্টন ক্লিনিকে স্পার্ম দান করে প্রায় ১৫শ’ সন্তান ধারণে সহায়তা করেন নারীদের।


দ্য ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।


এ ক্লিনিকে জন্মগ্রহণকারী প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা কনাডার ব্যারি স্টিভেন্স ও লন্ডনের আইনজীবী ডেভিড গোলডনজ বার্টল্ডকে তাদের জৈবিক পিতা হিসেবে আবিষ্কারের পর তাকে ৬শ’ সন্তানের পিতা হিসেবে দাবি করেন।


ব্যারি ও ডেভিড এ ক্লিনিকে জন্মগ্রহণকারী আরো ১৮ ব্যক্তিকে সনাক্ত করেন যাদের ১২ জনেরই (দুই তৃতীয়াংশ) জৈবিক পিতাও একই ব্যক্তি। আর এ ফলাফলের ভিত্তিতে বার্টল্ড ৬শ’ সন্তানের পিতা বলে দাবি করেছেন ব্যারি ও ডেভিড।


দ্য সানডে টাইমস সংবাদপত্রকে ডেভিড বলেন, “সাধারণ একটা হিসেব হলো, বার্টল্ড হয়ত প্রতি বছর ২০ বার স্পার্ম দান করেছেন। যমজ শিশু ও গর্ভপাতের ঘটনাসহ জীবিত শিশুর হিসেব করলে আমার মনে হয়, তিনি ৩শ’-৬শ’ শিশুর পিতা।”


আর তাদের এ দাবি সত্য প্রমাণিত হলে বার্টল্ডই এক্ষেত্রে নতুন রেকর্ডধারী হবেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সম্প্রতি সর্বাধিক ১৫০ শিশুর পিতা হিসেবে আমেরিকার অজ্ঞাত এক স্পার্ম দাতার নাম উঠে এসেছে এ তালিকায়।


হাসপাতালটির প্রাথমিক ডোনারদের মধ্যে অন্যতম বার্টল্ড ১৯৭২ সালে মারা যান।

মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল, ২০১২

সু ব ন্ধু স মী পে ষু

মস্যার কথা জানাতে পারেন।

 সমস্যাটা আমার বোনের। আমার বোনের স্বামী সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং মানুষ হিসেবেও তার অনেক সুনাম আছে। আমার বোন এবং তার স্বামী এত সুখী ছিল যে আমরা ও আমাদের আত্মীয়স্বজন সবাই তাদের উদাহরণ হিসেবে নিতাম।

কয়েক মাস আগে আমার বোন বুঝতে পারে যে তার স্বামী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। প্রথমে সে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারেনি। আমরা দুলাভাইয়ের মুঠোফোনের কললিস্ট দেখে চমকে যাই। একটা নম্বর থেকে কয়েক শ এসএমএস এবং ফোন এসেছে। বোনের স্বামীর মুঠোফোন থেকেও বেশ কিছু ফোন ও এসএমএস গিয়েছে। সেই নম্বরে খোঁজ নিয়ে ঠিকানা বের করে জানতে পারি, সে মেয়ে বিবাহিত, একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করে। তার সাত-আট বছরের একটি মেয়েও আছে।
মেয়েটির স্বামী বিদেশে থাকে এবং স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব খারাপ—এই অজুহাতে সে সবার সমবেদনা পাওয়ার চেষ্টা করে।
আমার বোন ওর একমাত্র মেয়ে নিয়ে আমাদের কাছে চলে এসেছে এবং মানসিকভাবে এমন ভেঙে পড়েছে।সে কোনোভাবেই স্বামীর সংসারে যেতে চাইছে না। যদিও ওর স্বামী খুব অনুতপ্ত এবং লজ্জিত। এখন আমাদের কী করা উচিত? ওই মেয়েটির স্বামীকে কি সব জানানো উচিত, নাকি মেয়েটির অফিসে বিষয়টি জানানো উচিত?
সেতু
বনানী, ঢাকা।
 দুটো সংসার। একটা আপনার বোনের, আরেকটা সংসার বা বলয় সেই মেয়েটির। যার সঙ্গে আপনার বোনের স্বামী জড়িয়ে পড়েছিলেন।
আপনাদের দায়িত্ব আপনার বোনের প্রতি। তার স্বামী যদি অনুতপ্ত হন এবং বিভিন্নভাবে সেটা প্রকাশ পায়, একসময় না একসময় আপনার বোনের মনে বিশ্বাস আসবে। হয়তো আবার সে সংসারে ফিরে যাবে। কেউ-ই চায় না সমাজে বা সংসারে ভারসাম্য নষ্ট হোক। আপনাদের উচিত হবে, আপনার বোন এবং তার স্বামীর সম্পর্ক যাতে আবার জোড়া লাগে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া।
আর অন্য মেয়েটির ব্যাপারে আপনারা কতটুকুই বা করতে পারবেন। ফোন কোম্পানি থেকে বের করতে পারেন সে কত জায়গায় সম্পর্ক তৈরি করেছে। তার পর?
দোষারোপ করে, রিপোর্ট করে এ ধরনের সমস্যা সমাধান করা যায় না বলেই আমার বিশ্বাস।

 আমার বয়স ২২ বছর। ২০০৯ সালে আমার একটা ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়। আমি তখন খুব আবেগপ্রবণ ছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে তার আচরণে বুঝতে পারি, আমার প্রতি তার কোনো শ্রদ্ধা বা সম্মানবোধ নেই। তার আচার-আচরণে আমি খুব কষ্ট পেতাম। আমার এ কষ্টগুলো তার এক বন্ধুর সঙ্গে ভাগ করতাম। একসময় সিদ্ধান্ত নিই, আমি আমার প্রেমিকের কাছ থেকে দূরে সরে যাব। এ সময় তার বন্ধুর সঙ্গে আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়। দূরে সরে আসায় আমার প্রেমিক পাগলের মতো হয়ে যায়। ফলে আমাদের সম্পর্ক আবার জোড়া লাগে। কিন্তু সে আমাকে সন্দেহ ও অবিশ্বাস করতে শুরু করে। আমার প্রেমিকের একটাই কথা, তার বন্ধুকে ত্যাগ করতেই হবে। তার বন্ধুর সঙ্গে তার সম্পর্ক এখন খুব খারাপ। তার বন্ধু আমাকে অনেক সম্মান ও শ্রদ্ধা করে এবং সে আমার অনেক ভালো বন্ধু। তাকে ত্যাগ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি আমার প্রেমিকের ভালোবাসাকেও অনেক শ্রদ্ধা করতে থাকি। এখন আমি কী করব?

তাসিন, নারায়ণগঞ্জ।
 তুমি একটু নিজেকে সত্যি করে প্রশ্ন করো যে তোমার প্রেমিকের বন্ধুর ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছ কি না। যদি বন্ধুর সঙ্গে সে রকমই নির্ভরশীলতার সম্পর্ক হয়, তবে আমি মনে করি, প্রথম পর্যায়ে তোমার প্রেমিকের সঙ্গে তোমার যে সম্পর্কের জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তা থেকে নিস্তার পেতে তুমি এ বন্ধুকে বেছে নিয়েছিলে। যে সম্পর্ক তোমার প্রেমিকের সঙ্গে, সেটা আবার জোড়া লেগেছে একমাত্র এই বন্ধু পাশে আছে বলেই। আমি মনে করি, তোমার এ পর্যায়ে একটা ব্রেকের প্রয়োজন। তুমি দুজনের কাছ থেকেই সরে এসো। এতে তুমি নিজেকে নতুন করে চিনতে পারবে। তোমার মধ্যে যে দ্বন্দ্ব কাজ করছে, সেটার একটা সমাধান হবে।

 আমি আমার পরিবারের সবার ছোট। ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজে স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি। আমার একজন বড় ভাই আছেন। তিনি বিবাহিত। কিছুদিন আগে আমার ভাইয়ের শারীরিক সমস্যা ধরা পড়ে। তখন আমার পরীক্ষা ছিল। উল্লেখ্য, ভাইয়া ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ভাবি আমাকে সব কথা বলেন। তাঁর মাঝে মাতৃত্বের একটা চরম আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়, তখন আমরা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। ভাইয়া সবকিছু জানেন। তাঁর সমস্যার কারণে তিনি আমাদের অনুমতি দিয়েছেন এই শারীরিক সম্পর্কের জন্য। এখন ভাবি সন্তানসম্ভবা। আমার ভাইয়া এবং ভাবি দুজনই অনেক খুশি এই সন্তানের জন্য। কিন্তু আমার কেমন যেন ভয়ংকর অনুভূতি সৃষ্টি হয় এবং পড়ালেখায় ঠিকমতো মন বসে না। আমি এখন কী করলে সমস্যার সমাধান হবে?

নাম ও ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক।

 ঘটনাটি তোমার জন্য খুবই যন্ত্রণাদায়ক। এ রকম ঘটে, আমি শুনেছি, উন্নত দেশে। কোনো দম্পতি হয়তো স্বাভাবিকভাবে সন্তান ধারণ করতে পারছে না। স্বামীর শুক্রাণু এবং স্ত্রীর ডিম্বাণু নিয়ে তা আরেকজন নারীর গর্ভে স্থাপন করা হয়। সাধারণত এই নারীর সঙ্গে এই স্বামী-স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক থাকে না। একটা দূরত্বেই সন্তানসম্ভবা মহিলা সন্তান ধারণ করেন এবং প্রসবের পর শিশুটি সেই দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়। আমি শুনেছি, এত দূরত্ব সত্ত্বেও যে ‘বায়োলজিক্যাল মাদার’ তার মধ্যে একটা আবেগের চাপ তৈরি হয়। তবে তোমার বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। এ জটিল মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে তুমি অবশ্যই কোনো কাউন্সেলার-সাইকোলজিস্ট কিংবা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের সাহায্য নেবে। মনোবিজ্ঞানীর সাহায্য নেওয়াটা জরুরি।

ডিকেন্সের গল্প নিয়ে নির্মিত পুরনো চলচ্চিত্র উদ্ধার


 
ব্রিটিশ সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্সের জন্মের দ্বিশতবার্র্ষিকীর বছরেই খুঁজে পাওয়া গেলো তারই গল্প নিয়ে নির্মিত সবচেয়ে পুরনো চলচ্চিত্রটি।

‘দ্য ডেথ অব পুওর জো’ নামের এ চলচ্চিত্রটি ১৯০১ সালের মার্চ মাসে তৈরি করা হয়। এক মিনিট দৈর্ঘ্যরে এই কাহিনীচিত্রটি নির্মাণ করেন পথিকৃৎ চলচ্চিত্রকার জর্জ অ্যালবার্ট স্মিথ।

গত ফেব্র“য়ারিতে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের (বিএফআই) তত্ত্বাবধায়ক ব্রায়নি ডিক্সন এটি উদ্ধার করেন।

ডিক্সনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, চলচ্চিত্রের কপিটি খুব ভালো অবস্থাতেই আছে।

এক তুষারপাতের রাতে একটি গির্জার দেয়ালের পাশে ‘জো’ নামের একটি মেয়ের মৃত্যুর সময়ের গল্প দেখানো হয়েছে এ চলচ্চিত্রটিতে। স্থানীয় এক প্রহরী তাকে পড়ে থাকতে দেখে এবং সেই প্রহরীর কোলে মাথা রেখেই জোয়ের মৃত্যু হয়।

বিএফআই জানায়, ধারণা করা হচ্ছে ‘জো’য়ের চরিত্রে পরিচালক জর্জ স্মিথের স্ত্রী লরা বেইল ও প্রহরীর চরিত্রে টম গ্রিন অভিনয় করেছিলেন। ইংল্যান্ডের ব্রাইটনে এটি নির্মাণ করা হয় বলে মনে করা হচ্ছে।

১৯৫৪ সালে কপিটি বিএফআইয়ের কাছে হস্তান্তর করেন ব্রাইটনের জনৈক স্মিথ। তবে এর নির্মাণ সময় তালিকাভুক্ত করা ছিলো ১৯০২ সালে।

চীনের প্রথমদিককার চলচ্চিত্র বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এটি খুঁজে পান ডিক্সন।

ডিকেন্সের আরেকটি গল্প ‘জো ইন ব্লিক হাউজ’র পরবর্তী পর্ব বলে ধরে নেওয়া হয় গল্পটিকে।

এর আগে ১৯০১ সালের নভেম্বরে নির্মিত ‘স্ক্রুজ অর মার্লি’জ ঘোস্ট’ চলচ্চিত্রটিকে চার্লস ডিকেন্সের গল্প নিয়ে নির্মিত সবচেয়ে পুরনো চলচ্চিত্র বলে মনে করা হয়।

ডিকেন্সের জন্মের দ্বিশতবার্ষিকী উপলক্ষে ৯ মার্চ ও ২৩ মার্চ লন্ডনের সাউথব্যাংকে ‘ডিকেন্স অন স্ক্রিন’ আয়োজনে এটি প্রদর্শন করা হবে বলে জানান ডিক্সন। এছাড়া পরবর্তীতে এর ডিভিডি বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে বিএফআইয়ের।

মূত্রে ডিম সিদ্ধ!

চীনের পূর্বাঞ্চলে একটি জনপ্রিয় বসন্তকালীন জলখাবার কুমার বালকদের মূত্রে সিদ্ধ করা ডিম।

খাবারটির নাম ‘কুমার বালকদের ডিম’। ১০ বছরের কম বয়সী বালকদের মূত্রেই সাধারণত এ ডিম সিদ্ধ করা হয়।

“এ ডিম খেলে হিটস্ট্রোক হবে না। মূত্রে রান্না করা এ ডিমগুলো সুগন্ধযুক্ত। শরীরের জন্যও ভালো। প্রতি বেলায় খাবারের সময় আমরা এগুলো খাই। দংজিয়াংয়ের সব পরিবারই এ ডিম খেতে পছন্দ করে,” বলেন, দংজিয়াং শহরের ৫১ বছর বয়সী এক ডিম বিক্রেতা।

এই জলখাবার তৈরি করতে লেগে যায় পুরো একটি দিন। বালকদের পেশাবখানা থেকে মূত্র সংগ্রহের মধ্য দিয়ে এ প্রক্রিয়ার শুরু। তারপর পাত্রভর্তি মূত্রের মধ্যে ডিমগুলো সিদ্ধ করা হয়।

এক সময় সিদ্ধ ডিমগুলোর খোসাগুলো ভেঙে যায়, এরপর আরো কয়েক ঘন্টা ডিমগুলোকে ওই মূত্রের মধ্যে রেখেই ঠান্ডা করা হয়।

যারা এ ডিম খেয়েছে তারা জানায়, এগুলো খাওয়ার পর তাদের দেহের উত্তাপ কমেছে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালনও ভালো হয়েছে।

দংজিয়াংয়ের ৫৯ বছর বয়সী বাসিন্দা লু ইয়াংজেনের উক্তি, “আমাদের পূর্বপুরুষরাও এগুলো খেয়েছেন। এই ডিমগুলো খাওয়ার কারণে আমাদের কোমরে, পায়ে ও জোড়ার জায়গাগুলোতে কোনো ব্যথা হবে না। এগুলো খাওয়ার পর কাজ করার জন্য বেশি শক্তি পাওয়া যায়।”

তবে অনেকে খেলেও দংজিয়াংয়ের সবাই এ ডিম খায় না। বিশেষত, সচেতন তরুণ বয়সীদের অনেকেই এসব কথায় বিশ্বাস করে না।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই ‘কুমার বালকদের ডিম’ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এই অদ্ভুত ‘সুখাদ্য’র জীবাণুমুক্ততার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন তাদের কেউ কেউ।