মস্যার কথা জানাতে পারেন।
সমস্যাটা আমার বোনের। আমার বোনের স্বামী সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং মানুষ হিসেবেও তার অনেক সুনাম আছে। আমার বোন এবং তার স্বামী এত সুখী ছিল যে আমরা ও আমাদের আত্মীয়স্বজন সবাই তাদের উদাহরণ হিসেবে নিতাম।
কয়েক মাস আগে আমার বোন বুঝতে পারে যে তার স্বামী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। প্রথমে সে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারেনি। আমরা দুলাভাইয়ের মুঠোফোনের কললিস্ট দেখে চমকে যাই। একটা নম্বর থেকে কয়েক শ এসএমএস এবং ফোন এসেছে। বোনের স্বামীর মুঠোফোন থেকেও বেশ কিছু ফোন ও এসএমএস গিয়েছে। সেই নম্বরে খোঁজ নিয়ে ঠিকানা বের করে জানতে পারি, সে মেয়ে বিবাহিত, একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করে। তার সাত-আট বছরের একটি মেয়েও আছে।
মেয়েটির স্বামী বিদেশে থাকে এবং স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব খারাপ—এই অজুহাতে সে সবার সমবেদনা পাওয়ার চেষ্টা করে।
আমার বোন ওর একমাত্র মেয়ে নিয়ে আমাদের কাছে চলে এসেছে এবং মানসিকভাবে এমন ভেঙে পড়েছে।সে কোনোভাবেই স্বামীর সংসারে যেতে চাইছে না। যদিও ওর স্বামী খুব অনুতপ্ত এবং লজ্জিত। এখন আমাদের কী করা উচিত? ওই মেয়েটির স্বামীকে কি সব জানানো উচিত, নাকি মেয়েটির অফিসে বিষয়টি জানানো উচিত?
সেতু
বনানী, ঢাকা।
দুটো সংসার। একটা আপনার বোনের, আরেকটা সংসার বা বলয় সেই মেয়েটির। যার সঙ্গে আপনার বোনের স্বামী জড়িয়ে পড়েছিলেন।
আপনাদের দায়িত্ব আপনার বোনের প্রতি। তার স্বামী যদি অনুতপ্ত হন এবং বিভিন্নভাবে সেটা প্রকাশ পায়, একসময় না একসময় আপনার বোনের মনে বিশ্বাস আসবে। হয়তো আবার সে সংসারে ফিরে যাবে। কেউ-ই চায় না সমাজে বা সংসারে ভারসাম্য নষ্ট হোক। আপনাদের উচিত হবে, আপনার বোন এবং তার স্বামীর সম্পর্ক যাতে আবার জোড়া লাগে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া।
আর অন্য মেয়েটির ব্যাপারে আপনারা কতটুকুই বা করতে পারবেন। ফোন কোম্পানি থেকে বের করতে পারেন সে কত জায়গায় সম্পর্ক তৈরি করেছে। তার পর?
দোষারোপ করে, রিপোর্ট করে এ ধরনের সমস্যা সমাধান করা যায় না বলেই আমার বিশ্বাস।
আমার বয়স ২২ বছর। ২০০৯ সালে আমার একটা ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়। আমি তখন খুব আবেগপ্রবণ ছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে তার আচরণে বুঝতে পারি, আমার প্রতি তার কোনো শ্রদ্ধা বা সম্মানবোধ নেই। তার আচার-আচরণে আমি খুব কষ্ট পেতাম। আমার এ কষ্টগুলো তার এক বন্ধুর সঙ্গে ভাগ করতাম। একসময় সিদ্ধান্ত নিই, আমি আমার প্রেমিকের কাছ থেকে দূরে সরে যাব। এ সময় তার বন্ধুর সঙ্গে আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়। দূরে সরে আসায় আমার প্রেমিক পাগলের মতো হয়ে যায়। ফলে আমাদের সম্পর্ক আবার জোড়া লাগে। কিন্তু সে আমাকে সন্দেহ ও অবিশ্বাস করতে শুরু করে। আমার প্রেমিকের একটাই কথা, তার বন্ধুকে ত্যাগ করতেই হবে। তার বন্ধুর সঙ্গে তার সম্পর্ক এখন খুব খারাপ। তার বন্ধু আমাকে অনেক সম্মান ও শ্রদ্ধা করে এবং সে আমার অনেক ভালো বন্ধু। তাকে ত্যাগ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি আমার প্রেমিকের ভালোবাসাকেও অনেক শ্রদ্ধা করতে থাকি। এখন আমি কী করব?
তাসিন, নারায়ণগঞ্জ।
তুমি একটু নিজেকে সত্যি করে প্রশ্ন করো যে তোমার প্রেমিকের বন্ধুর ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছ কি না। যদি বন্ধুর সঙ্গে সে রকমই নির্ভরশীলতার সম্পর্ক হয়, তবে আমি মনে করি, প্রথম পর্যায়ে তোমার প্রেমিকের সঙ্গে তোমার যে সম্পর্কের জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তা থেকে নিস্তার পেতে তুমি এ বন্ধুকে বেছে নিয়েছিলে। যে সম্পর্ক তোমার প্রেমিকের সঙ্গে, সেটা আবার জোড়া লেগেছে একমাত্র এই বন্ধু পাশে আছে বলেই। আমি মনে করি, তোমার এ পর্যায়ে একটা ব্রেকের প্রয়োজন। তুমি দুজনের কাছ থেকেই সরে এসো। এতে তুমি নিজেকে নতুন করে চিনতে পারবে। তোমার মধ্যে যে দ্বন্দ্ব কাজ করছে, সেটার একটা সমাধান হবে।
আমি আমার পরিবারের সবার ছোট। ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজে স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি। আমার একজন বড় ভাই আছেন। তিনি বিবাহিত। কিছুদিন আগে আমার ভাইয়ের শারীরিক সমস্যা ধরা পড়ে। তখন আমার পরীক্ষা ছিল। উল্লেখ্য, ভাইয়া ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ভাবি আমাকে সব কথা বলেন। তাঁর মাঝে মাতৃত্বের একটা চরম আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়, তখন আমরা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। ভাইয়া সবকিছু জানেন। তাঁর সমস্যার কারণে তিনি আমাদের অনুমতি দিয়েছেন এই শারীরিক সম্পর্কের জন্য। এখন ভাবি সন্তানসম্ভবা। আমার ভাইয়া এবং ভাবি দুজনই অনেক খুশি এই সন্তানের জন্য। কিন্তু আমার কেমন যেন ভয়ংকর অনুভূতি সৃষ্টি হয় এবং পড়ালেখায় ঠিকমতো মন বসে না। আমি এখন কী করলে সমস্যার সমাধান হবে?
নাম ও ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক।
ঘটনাটি তোমার জন্য খুবই যন্ত্রণাদায়ক। এ রকম ঘটে, আমি শুনেছি, উন্নত দেশে। কোনো দম্পতি হয়তো স্বাভাবিকভাবে সন্তান ধারণ করতে পারছে না। স্বামীর শুক্রাণু এবং স্ত্রীর ডিম্বাণু নিয়ে তা আরেকজন নারীর গর্ভে স্থাপন করা হয়। সাধারণত এই নারীর সঙ্গে এই স্বামী-স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক থাকে না। একটা দূরত্বেই সন্তানসম্ভবা মহিলা সন্তান ধারণ করেন এবং প্রসবের পর শিশুটি সেই দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়। আমি শুনেছি, এত দূরত্ব সত্ত্বেও যে ‘বায়োলজিক্যাল মাদার’ তার মধ্যে একটা আবেগের চাপ তৈরি হয়। তবে তোমার বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। এ জটিল মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে তুমি অবশ্যই কোনো কাউন্সেলার-সাইকোলজিস্ট কিংবা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের সাহায্য নেবে। মনোবিজ্ঞানীর সাহায্য নেওয়াটা জরুরি।
সমস্যাটা আমার বোনের। আমার বোনের স্বামী সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং মানুষ হিসেবেও তার অনেক সুনাম আছে। আমার বোন এবং তার স্বামী এত সুখী ছিল যে আমরা ও আমাদের আত্মীয়স্বজন সবাই তাদের উদাহরণ হিসেবে নিতাম।
কয়েক মাস আগে আমার বোন বুঝতে পারে যে তার স্বামী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। প্রথমে সে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারেনি। আমরা দুলাভাইয়ের মুঠোফোনের কললিস্ট দেখে চমকে যাই। একটা নম্বর থেকে কয়েক শ এসএমএস এবং ফোন এসেছে। বোনের স্বামীর মুঠোফোন থেকেও বেশ কিছু ফোন ও এসএমএস গিয়েছে। সেই নম্বরে খোঁজ নিয়ে ঠিকানা বের করে জানতে পারি, সে মেয়ে বিবাহিত, একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করে। তার সাত-আট বছরের একটি মেয়েও আছে।
মেয়েটির স্বামী বিদেশে থাকে এবং স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব খারাপ—এই অজুহাতে সে সবার সমবেদনা পাওয়ার চেষ্টা করে।
আমার বোন ওর একমাত্র মেয়ে নিয়ে আমাদের কাছে চলে এসেছে এবং মানসিকভাবে এমন ভেঙে পড়েছে।সে কোনোভাবেই স্বামীর সংসারে যেতে চাইছে না। যদিও ওর স্বামী খুব অনুতপ্ত এবং লজ্জিত। এখন আমাদের কী করা উচিত? ওই মেয়েটির স্বামীকে কি সব জানানো উচিত, নাকি মেয়েটির অফিসে বিষয়টি জানানো উচিত?
সেতু
বনানী, ঢাকা।
দুটো সংসার। একটা আপনার বোনের, আরেকটা সংসার বা বলয় সেই মেয়েটির। যার সঙ্গে আপনার বোনের স্বামী জড়িয়ে পড়েছিলেন।
আপনাদের দায়িত্ব আপনার বোনের প্রতি। তার স্বামী যদি অনুতপ্ত হন এবং বিভিন্নভাবে সেটা প্রকাশ পায়, একসময় না একসময় আপনার বোনের মনে বিশ্বাস আসবে। হয়তো আবার সে সংসারে ফিরে যাবে। কেউ-ই চায় না সমাজে বা সংসারে ভারসাম্য নষ্ট হোক। আপনাদের উচিত হবে, আপনার বোন এবং তার স্বামীর সম্পর্ক যাতে আবার জোড়া লাগে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া।
আর অন্য মেয়েটির ব্যাপারে আপনারা কতটুকুই বা করতে পারবেন। ফোন কোম্পানি থেকে বের করতে পারেন সে কত জায়গায় সম্পর্ক তৈরি করেছে। তার পর?
দোষারোপ করে, রিপোর্ট করে এ ধরনের সমস্যা সমাধান করা যায় না বলেই আমার বিশ্বাস।
আমার বয়স ২২ বছর। ২০০৯ সালে আমার একটা ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়। আমি তখন খুব আবেগপ্রবণ ছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে তার আচরণে বুঝতে পারি, আমার প্রতি তার কোনো শ্রদ্ধা বা সম্মানবোধ নেই। তার আচার-আচরণে আমি খুব কষ্ট পেতাম। আমার এ কষ্টগুলো তার এক বন্ধুর সঙ্গে ভাগ করতাম। একসময় সিদ্ধান্ত নিই, আমি আমার প্রেমিকের কাছ থেকে দূরে সরে যাব। এ সময় তার বন্ধুর সঙ্গে আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়। দূরে সরে আসায় আমার প্রেমিক পাগলের মতো হয়ে যায়। ফলে আমাদের সম্পর্ক আবার জোড়া লাগে। কিন্তু সে আমাকে সন্দেহ ও অবিশ্বাস করতে শুরু করে। আমার প্রেমিকের একটাই কথা, তার বন্ধুকে ত্যাগ করতেই হবে। তার বন্ধুর সঙ্গে তার সম্পর্ক এখন খুব খারাপ। তার বন্ধু আমাকে অনেক সম্মান ও শ্রদ্ধা করে এবং সে আমার অনেক ভালো বন্ধু। তাকে ত্যাগ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি আমার প্রেমিকের ভালোবাসাকেও অনেক শ্রদ্ধা করতে থাকি। এখন আমি কী করব?
তাসিন, নারায়ণগঞ্জ।
তুমি একটু নিজেকে সত্যি করে প্রশ্ন করো যে তোমার প্রেমিকের বন্ধুর ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছ কি না। যদি বন্ধুর সঙ্গে সে রকমই নির্ভরশীলতার সম্পর্ক হয়, তবে আমি মনে করি, প্রথম পর্যায়ে তোমার প্রেমিকের সঙ্গে তোমার যে সম্পর্কের জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তা থেকে নিস্তার পেতে তুমি এ বন্ধুকে বেছে নিয়েছিলে। যে সম্পর্ক তোমার প্রেমিকের সঙ্গে, সেটা আবার জোড়া লেগেছে একমাত্র এই বন্ধু পাশে আছে বলেই। আমি মনে করি, তোমার এ পর্যায়ে একটা ব্রেকের প্রয়োজন। তুমি দুজনের কাছ থেকেই সরে এসো। এতে তুমি নিজেকে নতুন করে চিনতে পারবে। তোমার মধ্যে যে দ্বন্দ্ব কাজ করছে, সেটার একটা সমাধান হবে।
আমি আমার পরিবারের সবার ছোট। ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজে স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি। আমার একজন বড় ভাই আছেন। তিনি বিবাহিত। কিছুদিন আগে আমার ভাইয়ের শারীরিক সমস্যা ধরা পড়ে। তখন আমার পরীক্ষা ছিল। উল্লেখ্য, ভাইয়া ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ভাবি আমাকে সব কথা বলেন। তাঁর মাঝে মাতৃত্বের একটা চরম আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়, তখন আমরা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। ভাইয়া সবকিছু জানেন। তাঁর সমস্যার কারণে তিনি আমাদের অনুমতি দিয়েছেন এই শারীরিক সম্পর্কের জন্য। এখন ভাবি সন্তানসম্ভবা। আমার ভাইয়া এবং ভাবি দুজনই অনেক খুশি এই সন্তানের জন্য। কিন্তু আমার কেমন যেন ভয়ংকর অনুভূতি সৃষ্টি হয় এবং পড়ালেখায় ঠিকমতো মন বসে না। আমি এখন কী করলে সমস্যার সমাধান হবে?
নাম ও ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক।
ঘটনাটি তোমার জন্য খুবই যন্ত্রণাদায়ক। এ রকম ঘটে, আমি শুনেছি, উন্নত দেশে। কোনো দম্পতি হয়তো স্বাভাবিকভাবে সন্তান ধারণ করতে পারছে না। স্বামীর শুক্রাণু এবং স্ত্রীর ডিম্বাণু নিয়ে তা আরেকজন নারীর গর্ভে স্থাপন করা হয়। সাধারণত এই নারীর সঙ্গে এই স্বামী-স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক থাকে না। একটা দূরত্বেই সন্তানসম্ভবা মহিলা সন্তান ধারণ করেন এবং প্রসবের পর শিশুটি সেই দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়। আমি শুনেছি, এত দূরত্ব সত্ত্বেও যে ‘বায়োলজিক্যাল মাদার’ তার মধ্যে একটা আবেগের চাপ তৈরি হয়। তবে তোমার বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। এ জটিল মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে তুমি অবশ্যই কোনো কাউন্সেলার-সাইকোলজিস্ট কিংবা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের সাহায্য নেবে। মনোবিজ্ঞানীর সাহায্য নেওয়াটা জরুরি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন