Translate

রবিবার, ২৭ মে, ২০১২

হারিয়ে যাওয়া টাইটানিক, খুঁজে পাওয়া টাইটানিক

বলো তো, পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত জাহাজ কোনটা? কেন, টাইটানিক। যে জাহাজটিকে বলা হচ্ছিল কখনোই ডুববে না, সেই জাহাজটিই কিনা ডুবে গিয়েছিল প্রথমবারের মতো সাগরে ভেসেই। টাইটানিক কবে ডুবে গিয়েছিল, মনে আছে? ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল। মানে, এই বছর ১৫ এপ্রিল টাইটানিক ডুবে যাওয়ারও ১০০ বছর হয়ে যাচ্ছে। তবে এ বছর টাইটানিক প্রেমীদের জন্য একটা সুখবরও আছে- এ বছরই টাইটানিকের ডুবে যাওয়া ধ্বংসাবশেষকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে। মানে, এখন আর চাইলেই কেউ টাইটানিক দেখতে গিয়ে টাইটানিকের ক্ষতি করতে পারবে না। আর টাইটানিকের মালপত্র সরানো তো যাবেই না।
টাইটানিক হারিয়ে যাওয়ার গল্প
টাইটানিকের গল্প তো তোমরা জানোই, কী বিশালই না ছিল এই টাইটানিক। প্রায় তিন-তিনটা ফুটবল মাঠের সমান। শুধু কী তাই? সেই কবেকার এই জাহাজটিতে ছিল একটা বিশাল সুইমিং পুল, যেখানে গরম পানিরও বন্দোবস্ত ছিল। ছিল আরাম-আয়েশ আর বিলাস-এর সব ব্যবস্থাই। সব মিলিয়ে যাকে বলে এক ভাসমান সুরম্য প্রাসাদ। আর তাই দেখ না, টাইটানিক সিনেমায় যখন জাহাজটিকে দেখ, মনেই হয় না ওটা সেই ১৯১২ সালের জাহাজ। বাজারে তো এমন কথাও রটে গেল, স্বয়ং ঈশ্বরও এই জাহাজকে ডোবাতে পারবেন না, এমনই মজবুত এই টাইটানিক!

এমন একটা জাহাজ, আর তাতে রাজ্যের যতো বড়লোকরা চড়বে না, তাই কী হয়? রীতিমতো হুড়োহুড়ি করে বিক্রি হল টাইটানিকের প্রথম যাত্রার টিকিট। প্রথম যাত্রার রুট ছিল ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন শহর থেকে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহর। ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সাউদাম্পটন থেকে রওয়ানা হল তখনকার সবচাইতে বড় আর সবচাইতে বিলাসী জাহাজ। যারা জাহাজটির প্রথম ভ্রমণে যাত্রী হতে পারলো, তাদের তো খুশি আর ধরে না। সারাদিনই যেন জাহাজে পার্টি হচ্ছে, এমন অবস্থা। এমনি করেই পার হয়ে গেল কয়েকটি দিন।

১৪ এপ্রিল, রাত প্রায় ১২টা। আটলান্টিক সাগরের বুকে ভেসে যাচ্ছে টাইটানিক। তখন টাইটানিক আমেরিকার কাছাকাছি চলে এসেছে, গ্র্যান্ড ব্যাংকস অফ নিউফাউন্ডল্যান্ডে। আবহাওয়া খুবই খারাপ; ভীষণ ঠাণ্ডা আর জমাট বাঁধা কুয়াশা। নিউফাউন্ডল্যান্ড পার হয়ে যাওয়া জাহাজগুলো এর মধ্যেই এখানকার ভাসমান বরফ, মানে আইসবার্গ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে টাইটানিককে। কিন্তু টাইটানিকের ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড জন স্মিথ আর অন্যান্য ক্রুরা তো তাদের এসব কথাকে পাত্তাই দেননি। তাদের ভাবখানা এমন- কোথাকার কোন বরফ নাকি টাইটানিককে ডোবাবে! টাইটানিক আগের মতোই ২১ নটিক্যাল মাইলে (২৪ মাইল) চলতে লাগলো। ২১ নটিক্যাল মাইলকে আবার কম ভেবো না; তখন টাইটানিক ছিল অন্যতম দ্রুতগতির জাহাজ, আর তার সর্বোচ্চ গতিই ছিল ২৪ নটিক্যাল মাইল। 
ওদিকে জাহাজের সামনে কোনো বাধা আছে কিনা দেখার জন্য জাহাজের ডেকে একটা উঁচু টাওয়ারের মতো থাকে। সেখানে পালা করে কয়েকজন চোখ রাখে। তখন সেখানে ছিলেন ফ্রেডরিক ফ্লিট। হঠাৎ তিনি দেখলেন, কুয়াশার আড়াল থেকে বের হয়ে এল এক বিশাল আইসবার্গ। আইসবার্গ হল সাগরের বুকে ভাসতে থাকা বিশাল বিশাল সব বরফখণ্ড। এগুলোর সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এগুলোর মাত্রই আট ভাগের এক ভাগ পানির উপরে থাকে। মানে, এর বড়ো অংশটাই দেখা যায় না। আর বরফের রংও তো কুয়াশার মতোই সাদা, তাই ফ্লিটও প্রথমে ওটাকে আলাদা করে চিনতে পারেনি। যখন দেখতে পেল, ততোক্ষণে আইসবার্গটি অনেক কাছে চলে এসেছে।

ফ্লিট তো আইসবার্গ দেখেই খবর দিতে ছুটলো। ফার্স্ট অফিসার উইলিয়াম মারডক শুনেই জাহাজ পিছনের দিকে চালাতে বললেন। আর মুখ ঘুরিয়ে দিতে বললেন অন্যদিকে। যাতে কোনভাবেই বিশাল ওই আইসবার্গটির সঙ্গে টাইটানিকের সংঘর্ষ না হয়। কিন্তু লাভ হলো না। টাইটানিকের স্টারবোর্ডে আইসবার্গ ধাক্কা খেল। আর তাতে টাইটানিকের পানির নিচে থাকা অংশে অনেকগুলো গর্ত হলো। পানি ঢুকতে লাগলো দৈত্যাকার জাহাজের খোলের ভেতর।

কিছুক্ষণের মধ্যেই এটা পরিস্কার হয়ে গেল, লোকজন যে জাহাজকে ভাবছিল কখনোই ডুববে না, সেই জাহাজই ডুবে যাচ্ছে তার প্রথম যাত্রাতেই। এবার যাত্রীদের লাইফবোটে তুলে পার করে দেওয়ার পালা। কিন্তু কেউ তো এ নিয়ে ভাবেই নি। লাইফবোট যা আছে, তা দিয়ে বড়োজোর মোট যাত্রীদের তিন ভাগের এক ভাগকে বাঁচানো যাবে। তখন এক বিশেষ নীতি অনুসরণ করা হলো- শিশু এবং নারীদেরকে প্রথমে লাইফবোটে করে পাঠানো হতে লাগলো।

এমনি করে কোনো রকমে বিশাল টাইটানিকের মোটে ৩২ শতাংশ যাত্রীদের বাঁচানো গেল। মাত্র ঘণ্টা চারেকের মধ্যে ডুবে গেল সুবিশাল টাইটানিক, ১৫ এপ্রিল রাত ২টায়। টাইটানিকের সঙ্গে আটলান্টিকে ডুবে গেল প্রায় ১৫ শ' মানুষ। মানুষের ইতিহাসেই এরকম বড়ো দুর্ঘটনা আর ঘটেছে কিনা সন্দেহ।

টাইটানিক তো ডুবে গেল আটলান্টিকে, কিন্তু আটলান্টিকের বুকে তার কী হলো? কেউ কেউ বললো, টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। কেউ বললো, টুকরো টুকরো হবে কেন, দু’ভাগ হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু যতো গভীরে আছে, সেখান থেকে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। উদ্ধার কেন, চিহ্নিত করাই তো অসম্ভব। এমনি করেই আড়ালে চলে গেল হোয়াইট স্টার লাইন কোম্পানির জাহাজটি।
টাইটানিক খুঁজে পাওয়ার গল্প
কিন্তু টাইটানিককে বেশিদিন চোখের আড়ালে থাকতে দিলেন না রবার্ট বালার্ড। ফরাসি এই বিজ্ঞানীর ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল টাইটানিককে খুঁজে বের করবেন। বড়ো হয়ে তিনি সেই কাজেই নামলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি জাহাজ নিয়ে ঘাঁটি গাড়লেন গ্রেট ব্যাংকস অফ নিউফাউন্ডল্যান্ডে, যেখানে ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক। সঙ্গে নিলেন নানা আধুনিক যন্ত্রপাতি। আর্গো নামের একটি আন্ডারওয়াটার ক্র্যাফট পাঠিয়ে দিলেন সাগরতলে। আর্গো সাগরতলের দৃশ্য ভিডিও করে নিয়ে আসতো।

কিন্তু কিছুতেই পাওয়া গেল না টাইটানিককে। হতাশ হয়ে পড়লেন বালার্ড। এদিকে টানা পরিশ্রমে তার শরীরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। একটু বিশ্রাম দরকার তার। কিন্তু কীসের বিশ্রাম! যেই একটু ঘুমুতে গেলেন, অমনি তার ডাক পড়লো। আর্গোর ভিডিওতে মেটাল অবজেক্ট পাওয়া গেছে, যেগুলো শুধু কোনো জাহাজ থেকেই ভেসে আসা সম্ভব। উত্তেজনায় যা ঘুম ছিল, সব চলে গেল বালার্ডের। একটু খোঁজাখুজির পর জাহাজটিকে পাওয়া গেল। হ্যাঁ, এটাই টাইটানিকের দৈত্যাকৃতির ধ্বংসাবশেষ। 
এবার আর্গোকে দিয়ে নানা দিক দিয়ে টাইটানিকের ছবি তুললেন বালার্ড। দেখলেন টাইটানিকের যাত্রীদের নানা স্মৃতিচিহ্ন- বিছানা, সুটকেস, কাপ- প্লেট, আর অসংখ্য জুতো। যেন সাগরতলের এক জাদুঘরের ভিডিও দেখছেন তিনি।

কিন্তু সময় ফুরিয়ে এল। তাকেও ফিরে যেতে হলো। তখনই ঠিক করলেন, আবার আসবেন টাইটানিকের কাছে। পরের বছরই আবার এলেন বালার্ড। এবার আরো প্রস্তুত হয়ে।

ছোট্ট একটা সাবমেরিনে চড়ে এলেন বালার্ড। সাথে নিয়ে এলেন সাগরতলে ঘোরাঘুরি করতে পারে, এমন একটি রোবটও; নাম তার জেজে। বালার্ড অবশ্য ওকে বলতেন- সুইমিং আইবল। জেজের সাহায্যে তিনি দেখলেন পুরো টাইটানিককে; এর বিশাল সিঁড়িটা এখন কেমন আছে, কেমন আছে ওর জিম, চেয়ার, ঘর, সব।
বালার্ডের টাইটানিক আবিষ্কার তো হলো, কিন্তু তিনি জানতে চাইলেন, কীভাবে ডুবে গেল টাইটানিক। আর তা বোঝার জন্য আবারো তিনি গেলেন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে, ২০০৪ সালের জুন মাসে। এবার গিয়ে কিন্তু তার মনই খারাপ হয়ে গেল।

বালার্ড টাইটানিক আবিষ্কার করার পর থেকেই মানুষ সাবমেরিনে করে সেখানে ঘুরতে যায়। এই সাবমেরিনগুলো টাইটানিকের যে সব জায়গায় ল্যান্ড করে, সেসব জায়গাতে দাগ তো পড়েছেই, অনেক জায়গায় গর্তও হয়ে গেছে। আর মানুষ জাহাজ থেকে প্রায় ৬ হাজার জিনিস নিয়ে গেছে। এমনকি অনেকে নিয়ে গেছে জাহাজের টুকরোও!

তখন থেকেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণের দাবি ওঠে। আর এ বছর তো ইউনেস্কো টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষকে আন্ডারওয়াটার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবেই ঘোষণা করে দিয়েছে।

১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ, আমাদের ভীষণ আনন্দের দিন। সেদিন তো খুব আনন্দ করবে। কিন্তু পরের দিন মনে করে টাইটানিকের সাথে ডুবে যাওয়া ১৫শ’ মানুষের কথাও স্মরণ করো। ঠিক ঠিক করে বললে ১৫১৪ জন।
 

মানব ভ্রুণের তৈরি ক্যাপসুল!

 
ক্ষিণ কোরিয়া, মে ৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- চীনে মানব ভ্রুণ থেকে তৈরি হচ্ছে এক ধরনের ক্যাপসুল। আর সেখান থেকে তা দক্ষিণ কোরিয়ায় চোরাচালান হচ্ছে বলে দাবি করেছে দেশটির শুল্ক বিভাগ।

এই ক্যাপসুলগুলোতে সুপারবাগ রয়েছে এবং তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে সতর্ক করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।

মৃত মানব ভ্রুণের গুঁড়া মাংস দিয়ে ক্যাপসুলগুলো তৈরি এবং চীনের উত্তরপূর্বাঞ্চলে এগুলো তৈরি করা হয় বলেই ধারণা করছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কাস্টমস কর্মকর্তারা।

এ ক্যাপসুল খেলে প্রাণশক্তি বাড়ে- এমন ধারণার ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু চীনা শ্রমিক ও ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী ক্যাপসুলটি খেয়ে থাকে।

দক্ষিণ কোরীয় শুল্ক কর্মকর্তারা গত আগস্টে প্রথম এ ক্যাপসুলের সন্ধান পান।

এরপর থেকে দিন দিনই এগুলোর চোরাচালান বাড়ছে। গত রোববারও বিপুল সংখ্যক ক্যাপসুল আমদানির প্রচেষ্টা ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

দক্ষিণ কোরিয়ার শুল্ক বিভাগ জানায়, খদ্দেরদের অনুরোধে চীনের অন্তত ৪ টি নগরী থেকে ক্যাপসুলগুলো পাঠানো হয়। তবে সেগুলো বিমানবন্দরে তল্লাশির সময়ই ধরা পড়ে।

দক্ষিণ কোরিয়া এ ওষুধের উৎস চীন বলে দাবি করলেও বেইজিং কর্তৃপক্ষ এখনো এর কোনো প্রমাণ পায়নি বলে জানিয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানিয়েছে চীন।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, “ক্যাপসুলগুলোতে সুপার-ব্যাকটেরিয়াসহ মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর অন্যান্য ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করা হয়েছে।”

তাই এগুলোর চোরাচালান রোধে আরো কড়া নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ-কোরিয়ার শুল্ক বিভাগ।

উচ্চ রক্তচাপের নতুন চিকিৎসা দেশেই

 
নূরুল ইসলাম হাসিব
স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদক

ঢাকা, মে ২৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রেনাল ডিনার্ভেশন নামে নতুন এক পদ্ধতি ব্যবহার করে ‘জটিল’ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা চালু হয়েছে দেশে।

শনিবার জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট রক্তচাপের চিকিৎসার এ পদ্ধতি চালু করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা তিনজন রোগীর উপর নতুন এই কৌশলের সফল প্রয়োগ করেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাংলাদেশি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। এদের মধ্যে ১০ থেকে ২০ শতাংশ জীবন-যাপনে পরিবর্তন ও পর্যাপ্ত হারে সর্বোচ্চ পরিমাণ ওষুধগ্রহণ করেও এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। চিকিৎসকরা এ অবস্থাকে জটিল উচ্চ রক্তচাপ আখ্যা দিয়েছেন।

অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় ‘একমাত্র’ আধুনিক পদ্ধতি হিসেবে তিন বছর আগে ইউরোপে নতুন এ পদ্ধতির উদ্ভব ঘটে। এরকম উচ্চ রক্তচাপের কারণে রোগীরা স্ট্রোক, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া, কিডনি অকেজো হওয়া এবং চোখের জটিল রোগের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।

নতুন এ পদ্ধতির প্রশিক্ষক ডা. ধীমান বণিক পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি সরু টিউব বা ক্যাথেটার কুঁচকির ধমনীতে প্রবেশ করানো হয় এবং কিডনির ধমনীগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়।”

“ওই ক্যাথেটার পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটি কিডনির ধমনীতে প্রবেশ করে এবং কিডনির স্নায়ুগুলোকে নিঃসাড় করে দেয়। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিকারী গুরুত্বপূর্ণ সংকেতগুলোর পথে বাধা তৈরি হয় যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রক্তচাপ কমাতে শুরু করে।”

ডা. ধীমান বলেন, “এই পদ্ধতি প্রয়োগে মাত্র ৩০ মিনিট সময় প্রয়োজন হয় এবং এক রাতের জন্য হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়।”

উদ্বোধনী দিনে তারা তিনজন রোগীকে বিনা খরচে এই অপারেশন করিয়েছেন বলে জানান তিনি। দামী ক্যাথেটার ও যন্ত্রপাতির কারণে ভর্তুকি দেওয়ার পরেও এ চিকিৎসা নিতে হলে প্রত্যেক রোগীকে দেড় লাখ টাকা খরচ করতে হবে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এ পদ্ধতির চিকিৎসায় বিশ্বের কোথাও কোনো উল্লেখযোগ্য কোনো জটিলতা দেখা যায়নি।

চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী দ্য লাংচেট ২০১০ সালে এক প্রতিবেদনে দেখিয়েছে, রেনাল ডিনার্ভেশন পদ্ধতি ‘খুব কার্যকর ও অত্যন্ত নিরাপদ’।

ধরা হয়, বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত যাদের অধিকাংশই ধনী দেশের মানুষ। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে শারীরিক পরিশ্রম বৃদ্ধি, ওজন কমানো ও লবণ খাওয়া কমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত

 
ঢাকা, মে ২৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুরে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

তাদের বিক্ষোভের কারণে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ফার্মগেটমুখী সড়ক রোকেয়া সরণীতে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের।

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় শ্রেণিতে অবনমন করা হয়েছে দাবি করে বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই খবরটি ঠিক নয়।

ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সকাল ১১টার দিকে আগারগাঁও মোড়ে অবস্থান নিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়।

দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা তালতলায় তাদের ইনস্টিটিউটের সামনে আসে। দুপুর ১টায় সড়ক ছাড়ে তারা। এরপর গাড়ি চলাচল পুনরায় শুরু হয়।

সারাদেশে পলিটেকনিকে এই অসন্তোষ তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আতোয়ার রহমানকে আহ্বায়ক করে একি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বলেছে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদমর্যাদা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। একটি ভুল তথ্যের ভিত্তিতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন স্থানে ছাত্ররা সড়ক অবরোধ করে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ভোলা প্রতিনিধি জানান, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সকালে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে।

এক পর্যায়ে তারা ভোলা-চরফ্যাশন সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ গিয়ে তাদের ঠেকায়।

বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনায়েত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, সকালে ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একদল ছাত্র বাসটার্মিনালে যানবাহনে ভাংচুর চালায়। তখন ছাত্রদের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ লাঠিপেটা করে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এই ঘটনার পর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে আগামী ২৮ মে পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া বরগুনায়সহ কয়েকটি জেলায় বিক্ষোভ করেছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।

গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, সকালে গাজীপুরে মডেল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (মিস্ট) ছাত্ররা ক্লাস বর্জন ও মিছিল করেছে। এসময় তারা গাজীপুর-শিমুলতলী সড়কে টায়ার জ্বলিয়ে অবরোধ করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ছাত্ররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং পুলিশ মৃদু লাঠিপেটা করে।

এ সময় আহত কয়েকজনকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক সিরাজুল হক মোল্লা বলেন, এ ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানটি থেকে এক সপ্তাহের জন্য গ্রীষ্মকালীন ছুটি দেওয়া হয়েছে। আগামি ২ জুন খুলবে।

জয়দেবপুর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করেছেন।

বরিশাল প্রতিনিধি জানান, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বরিশালের বেসরকারি ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও ভাংচুর করেছে। নগরীর সিএন্ডবি সড়কে ইনস্টিটিউটের সামনে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. ইমরান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা তার ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মিছিল করতে উৎসাহিত করে।

এতে ৪০/৫০ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ ও একটি অটোরিকশা ভাংচুর করে। পরে খবর পেয়ে সবাইকে ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

ভাংচুর করা অটোরিকশা মেরামতের জন্য চালককে তাৎক্ষণিকভাবে দুই হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহিদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে চার শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।

আটকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, বলেন ওসি।

সর্বোচ্চ শৃঙ্গে দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী

দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় উঠেছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। শনিবার সকাল পৌনে ৭টায় তিনি বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহন করেন বলে তার এক সহযোগী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে।

ঠিক এক সপ্তাহ আগেই গত শনিবার বাংলাদেশি প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেছিলেন নিশাত মজুমদার। এরপরই চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে এই গৌরবের অংশীদার হলেন ২৯ বছর বয়সি ওয়াসফিয়া।

২০১০ সালের ২৩ মে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন মুসা ইব্রাহিম। তার পথ ধরে এই গৌরবের ভাগিদার হন এম এ মুহিত ও নিশাত।

সাত মহাদেশের সর্বোচ্চ সাত শৃঙ্গ জয়ে ওয়াসফিয়ার প্রচারসঙ্গী ‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট’ তাদের ফেইসবুক পাতায় দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারীর এভারেস্ট চূড়ায় আরোহনের ঘোষণা দেয়।

তারা বলেছে, কোনো সঙ্গী না নিয়ে একাই এভারেস্ট চূড়ায় ওঠেন ওয়াসফিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন আমেরিকার গাইড ক্রিস ক্লিঙ্কে এবং দুজন শেরপা নিমা গুরমে দর্জি ও কুসাং শেরপা।

গত ১৯ মে নিশাতের এভারেস্ট জয়ে সঙ্গী ছিলেন এর আগে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠা মুহিত। মুহিত ২০১১ সালের ২১ মে প্রথম এভারেস্ট জয় করেন।

‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট’ জানিয়েছে, ওয়াসফিয়া এখন নিচে নামতে শুরু করেছেন এবং সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এক বা দুদিনের মধ্যেই তিনি নেমে আসবেন।

এভারেস্ট জয় করা প্রথম বাংলাদেশি নারী নিশাত পর্বত থেকে নেমে এখন কাঠমান্ডুর পথে রয়েছেন।

সবচেয়ে কম বয়সী বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে ওঠা ওয়াসফিয়া স্যাটেলাইন ফোনের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিটস দল’কে বলেছেন, “আমাদের দেশ স্বাধীন হলেও আমরা নারীরা এখনো স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। এ জয় বাংলাদেশের নারীদের জন্য যারা স্বাধীনতা, শান্তি ও সমতার জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করছে।”

এভারেস্টজয়ী ওয়াসফিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুসা ইব্রাহিম। ‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট’র ফেইসবুক পাতায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দেশের প্রথম এভারেস্টজয়ী লিখেছেন, “বাংলাদেশের নারীরা প্রমাণ করেছেন, তারাও পারেন।”

ওয়াসফিয়া সাত মহাদেশের সাতটি চূড়া জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নেমেছেন। হিমালয়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় ওঠার আগে গত বছর তিনি আফ্রিকার মাউন্ট কিলিমানজারো এবং দক্ষিণ আমেরিকার অ্যাকনকাগুয়ায় আরোহন করেন।

What is Dolancer.com?


Innovation is nothing new at Dolancer. It's been our heartbeat for more than a decade. As the world evolves, so do we. Yet we remain driven by our passion for inventing solutions for freelancers & employers, perfecting those solutions and delighting our customers. We started small in 1998 with a vision of making outsourcing easy to the end user simplifying a common individual dilemma: balancing the experts/non expert checkbook. Through our website, employers can hire freelancers to do work in areas such as software, writing, data entry and design right through to engineering and the sciences, sales and marketing, and accounting & legal services. User also can buy SEO website from dolancer.com and they also can lease it upon some conditions. It is now become the world largest outsourcing and website leasing marketplace for small business and individuals.

বৃহস্পতিবার, ২৪ মে, ২০১২

বিভিন্ন পলিটেকনিকে বিক্ষোভ, ভাঙচুর




ঢাকা, মে ২৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় শ্রেণিতে অবনমনের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটে বিক্ষোভ হয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের।

এর মধ্যে সংঘর্ষের পর বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ২৮ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিস্তারিত জানাচ্ছেন আমাদের জেলা প্রতিনিধিরা।

বরিশাল: বুধবার দুপুর থেকে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা লাঠিসোটা নিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে। এসময় তারা যাত্রীবাহী বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করে। এসময় অন্তত ৫২ জন বাসাযাত্রী আহত হয়। এছাড়া বেশকিছু দোকানপাটেও ভাঙচুর চালায় শিক্ষার্থীরা।

ভাঙচুরের অভিযোগে ২৪ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান কোতোয়ালি থানার ওসি মতিয়ার রহমান।

ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মীর মোশারেফ হোসেন দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীরা নিষেধ উপেক্ষা করে সংঘর্ষ ও ভাঙচুর করেছে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বগুড়া: সকাল থেকে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আগামী ২৮ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিকেলের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার পাশাপাশি ১৪ ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।

সদর থানার ওসি মাহমুদ আলম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রথমে শেরপুর-বগুড়া মহাসড়কে টায়ারে আগুন ধরিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। পরে তারা লাঠিসোটা নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মটরসাইকেলসহ অন্তত ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এছাড়াও অন্তত তিনটি দোকান, চারটি বাড়ি, বগুড়া পুলিশ লাইনের চেকপোস্টের জানালার কাচ ভাঙচুর করে তারা।

বেলা দেড়টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৪৪ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে বলেও জানান ওসি মাহমুদ। এ সময় অন্তত ২০জন পুলিশ সদস্য আহত হন।

তবে শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, পুলিশের হামলায় কমপক্ষে ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজার: কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও র‌্যাবের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লিংক রোডে প্রায় দুই ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় শিক্ষার্থীরা অন্তত ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করেন।

কক্সবাজার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহেদ উদ্দিন জানান, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লিংক রোড অবরোধ করতে গেলে পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়। এ সময় ছাত্ররা ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর এবং একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় আগুন ধরিয়ে দেয়।

সংঘর্ষ শেষে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই মহাসড়কে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

ময়মনসিংহ: বিক্ষুব্ধ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি গোলাম সারোয়ার জানান, এ সময় তারা কয়েকটি ট্রাক ও বাস ভাঙচুর করলে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে।

মাগুরা: শহরের সাজিয়াড়া এলাকায় মাগুরা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষার্থী, বাসযাত্রী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার কথা স্বীকার করেছেন সদর থানার ওসি মুন্সী আসাদুজ্জামান।

সোমবার, ১৪ মে, ২০১২

কুমিল্লায় ‘বাংলা নীল ছবি’

 স্কুল-কলেজের ছাত্রী ও প্রবাসীদের স্ত্রীদের সঙ্গে অবৈধ মেলামেশার দৃশ্য বাজারে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধারণ করা নগ্ন ভিডিওচিত্রের নাম দেয়া হয়েছে ‘বাংলা নীল ছবি’। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ঘনিষ্ঠজনেরাই গোপন এ কার্যকলাপ ফাঁস করে দিয়েছে। সূত্র জানায়, প্রায় ১ ঘণ্টার ওই দু’টি নগ্ন ভিডিওচিত্রের কপি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে মোবাইল ফোন, সিডি, মেমোরি কার্ড ও ই-মেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীর কাছে। পৌঁছে গেছে সাংবাদিক ও স্থানীয় পত্রিকা অফিসে। ভিডিওচিত্রে থাকা ২০/২৪ বছরের তরুণীর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া গেলেও দুই ব্যবসায়ীর পরিচয় জানা গেছে। এদের একজন সদর উপজেলার দক্ষিণ দুর্গাপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর সাতরা এলাকার ব্যবসায়ী হাজী জহিরুল হক স্বপন, অপরজন কুমিল্লা মহানগরীর ধর্মপুর এলাকার মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী কবির চৌধুরী তন্ময়। অনুসন্ধানে জানা যায়, কুমিল্লা মহানগরীর ধর্মপুর এলাকার পশ্চিম চৌমুহনীর মা-মনি টেলিকমের স্বত্বাধিকারী ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের কুমিল্লার জেলা শাখার সভাপতি কবির চৌধুরী তন্ময় বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে ‘বাংলা নীল ছবি’ নাম দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল। অনেক সময় তন্ময় তার কক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে তার পরিচিত মেয়েদের মেলামেশার সুযোগ দিয়ে গোপনে ক্যামেরা ও মোবাইলে ভিডিও করে নিতো। তন্ময় স্কুল কলেজের ছাত্রী ও প্রবাসীদের স্ত্রীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তাদের একটি গোপন কক্ষে নিয়ে মেলামেশা করতো। পরে এগুলো ‘বাংলা নীল ছবি’ নাম দিয়ে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হতো। তার প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পায়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের এক ছাত্রী। তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে দীর্ঘদিন তার সঙ্গে মেলামেশা করতে বাধ্য করা হয়। সমপ্রতি মহানগরীর এক কলেজ ছাত্রীর নগ্ন ভিডিওচিত্র তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মাধ্যমে কুমিল্লায় ছড়িয়ে দেয়া হয়। পরে তা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছেও সরবরাহ করা হয়। স্থানীয়রা জানান, কবির টেলিফোন ব্যবসার অন্তরালে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সঙ্গে মেলামেশার ছবি গোপনে ভিডিও করে। পরে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ এ ভিডিও অন্যত্র বিক্রি করে। অপরদিকে সদর উপজেলার ঝাগরজুলি এলাকার ঢাকা হাইওয়ে হোটেলের পরিচালক হাজী জহিরুল হক স্বপনের অপর একটি ভিডিওচিত্র নিয়ে মহানগরীতে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ভিডিওচিত্রে একটি সুসজ্জিত কক্ষে কুরুচিপূর্ণ যৌনচারে লিপ্ত থাকতে দেখা যায় তাকে। একটি সূত্র জানায়, হাজী স্বপন হোটেল ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা, মাদক ব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত। মেয়েদের সঙ্গে সখ্য গড়ে আপত্তিকর দৃশ্যের ছবি তুলে পরে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকে। তার ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে নগ্ন একটি ভিডিও দৃশ্য এখন সবার হাতে হাতে। এতে দেখা যায়, ওই ব্যবসায়ী এক মহিলার সঙ্গে যৌনচারে লিপ্ত। তার এক ঘনিষ্ঠ লোকের মাধ্যমে মোবাইল ফোন থেকে তা কৌশলে কপি করে কুমিল্লা শহরে ছড়িয়ে দেয়া হয়। তাই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গত বৃহস্পতিবার ওই ব্যবসায়ী জাগুরঝুলি এলাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি ‘ব্ল্যাকমেইলিং’ দাবি করে। তবে স্বপন মেয়েদের সঙ্গে সখ্য তৈরির পর গোপন কক্ষে নিয়ে অবৈধ মেলামেশার দৃশ্য গোপন ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখতো। বিশেষ করে প্রবাসীদের সুন্দরী স্ত্রীরা ছিল তার টার্গেট। পরে হুমকি দিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হতো। অবাধে অনৈতিক কাজে মিলিত হতে বাধ্য করা হতো। এছাড়া স্বপনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গেও মেলামেশা করতে বাধ্য করা হতো। কিন্তু সমপ্রতি স্বপনের সঙ্গে এক মহিলার একটি নগ্ন ভিডিও ফাঁস হয়ে যায় মহানগরীতে। ব্যবসায়ী স্বপনের ঘনিষ্ঠরা জানান, ইয়াবা, মাদক ব্যবসা, নারীসহ সব ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপে সম্পৃক্ত স্বপন অল্প দিনেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ইয়াবা ব্যবসার জন্য তার রয়েছে একটি বিশাল নেটওয়ার্ক। গত ৭ই মে কুমিল্লা র‌্যাব-১১ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নগরীর ধর্মপুর চৌমুহনী এলাকা থেকে ৪৫টি ইয়াবা টেবলেটসহ স্বপনের ভাগ্নে জাহিদুল ইসলাম বাবুলকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়াও কুমিল্লা মহানগরীতে ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে পর্নো ছবি তৈরি ও তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আদায়ে একটি সিন্ডিকেট মাঠে কাজ করছে। ওই সিন্ডিকেট কৌশল হিসেবে সুন্দরী মেয়ের ফাঁদে ফেলে তাদের সুরক্ষিত কক্ষে নিয়ে অনৈতিক কাজ করে। এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। কুমিল্লা মহানগরীর ভিডিও দোকানে বাংলা পর্নো ভিডিও সিডি বিক্রির চাহিদাও বেড়ে গেছে। তাই অনেকেই এসব বাংলা পর্নো সিডি ক্রয় করতে এখন দোকানে ভিড় জমাচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। এ বিষয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. মোখলেছুর রহমান জানান, মহানগরীতে এ ধরনের অনৈতিক কাজের বিষয়টি পুলিশের জানা ছিল না। তাই এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রবিবার, ৬ মে, ২০১২

Nibiru: The Nonexistent Planet

Linked to the close of the Mayan calendar, a variety of rumors have spread regarding ways the world could end in 2012. One popular contender is Nibiru, a supposed planet that some claim will collide with Earth at the end of the year. But despite the buzz, there is no scientific evidence supporting the alleged planet's existence. [VIDEO: 12-21-2012 - Just Another Day]
Nibiru has been linked to NASA by various bloggers, and is also sometimes referred to or confused with Planet X, another supposed world for which there is no evidence.
Because of the Nibiru NASA connection that’s been claimed, the space agency put out a statement to say there is no Nibiru or Planet X coming to destroy Earth in 2012. What follows below is the true science and history of these supposed rogue planets, with reference to a real object, Comet Elenin, that somehow got mixed up in the whole mess.
Planet Nibiru, or Planet X
Artist's conception of the rogue planet Nibiru, or Planet X.
CREDIT: gilderm | sxc.hu
The origins of the Nibiru myth
The story began in 1976, when Zecharia Sitchin wrote "The Twelfth Planet," a book which used Stitchin's own unique translation of Sumerian cuneiform to identify a planet, Nibiru, orbiting the sun every 3,600 years. Several years later, Nancy Lieder, a self-described psychic, announced that the aliens she claimed to channel had warned her this planet would collide with Earth in 2003. After a collision-free year, the date was moved back to 2012, where it was linked to the close of the Mayan long-count period. [VIDEO: End of Days in 2012? NASA Scientist Says No]
When Comet Elenin appeared in 2011, many were concerned that it was the mysterious planet in disguise, despite the fact that planets and comets both appear different under a telescope (a comet has a gas atmosphere [coma] and a tail, while a planet does not).
Skywatcher Michael Mattiazzo got this image of comet Elenin, September 1, 2011, in the southern hemisphere.
Skywatcher Michael Mattiazzo got this image of comet Elenin, September 1, 2011, in the southern hemisphere.
CREDIT: Michael Mattiazzo
But instead of slamming into the Earth, the comet strayed too close to the sun and broke into pieces. The leftover fragments continued on their path to the outer solar system for the next 12,000 years, still bits of comet and not a more cohesive planet.
Evidence for Nibiru?
Proponents of the fictitious planet note that, in 1984, a scientific paper was published in the Astrophysical Journal Letters which discussed several infrared sources with "no counterparts" that turned up in a survey of the sky. Such surveys are common in astronomy, and usually involve follow-ups that individually detail the more interesting sources. In the follow-up of the 1984 survey, most of the sources turned out to be distant galaxies. None were identified as planets. Both papers are available to the public.
A planet with an orbit so eccentric that it took 3,600 years to orbit the sun would create instabilities inside of the 4.5 billion year old solar system. After only a few trips, its gravity would have significantly disrupted the other planets, while feeling a responding push from those planets that would have changed its orbit significantly.
The easiest and most verifiable piece of evidence arguing against the existence of the theoretical planet can be performed by anyone - according to the information available, a planet with a 3,600 orbit that is due to impact Earth in 2012 should be available to the naked eye. Easily-performed calculations show that by April 2012, it would be brighter than the faintest stars viewed from a city, and almost as bright as Mars at its dimmest. This would make it visible to astronomers everywhere.
The most common rebuttal to this is the cry of conspiracy theory. However, there are hundreds of thousands of amateur astronomers around the world, each with their own telescope. On top of that, most of the thousands of professional astronomers are linked, not to the government, but to private universities.
David Morrison, the Senior Scientist of the NASA Astrobiology Institute, pointed out that "NASA and the government get most of their information from these outside astronomers, not the other way around."
Between the amateur and professional astronomers, there are plenty of people who would have noticed a new star in the sky.
Nothing to fear
Doomsday reports across the internet frequently incite fear, but it's interesting to note they are nothing new. People have been decrying the end of the world for hundreds of years, to no avail.
Rumors spread like wildfire on the internet, but the same technology can make it easier than ever to delve into the scientific evidence about such events.

It's Not the End of the World: What the Ancient Maya Tell Us About 2012 by Mark Van Stone


 
The Maya Cosmic Prophecy: From Sensation to Sensibility
Maya Scholars, in Mexico, Guatemala, Belize, Honduras, El Salvador and North America, have been watching with amusement and dismay as self-styled experts proclaim that ancient Maya prophets foretold an earth-shattering happening to occur December 21, 2012. This predicted phenomenon gets described in contradictory but often cataclysmic fashion--as an ecological collapse, a sunspot storm, a rare cosmic conjunction of the earth, sun, and the galactic center, a new and awesome stage of our evolution, and even a sudden reversal of the Earth's magnetic field which will erase all our computer drives. One even predicts the earth's initiation into a Galactic Federation, whose elders have been accelerating our evolution with a "galactic beam" for the last 5000 years. In sum, the world as we know it will suddenly come to a screeching halt.
These predictions are alleged to be prophecies by so-called "Ancient Mayans" whose "astronomically precise" calendar supposedly terminates on that date. According to such accounts, these mysterious Maya geniuses appeared suddenly, built an extraordinary civilization, designed in it clues for us, and then suddenly, inexplicably, vanished, as if they had completed their terrestrial mission. These same experts claim special credibility for the Maya prophecies by asserting that these historic sages, with their possible extraterrestrial origins, had tapped into an astonishing esoteric wisdom.
Could any of this be true?
The credibility of those claims deserves rational attention-which is what I intend to provide. Neither mystic nor prophet, I am a Mayanist. More specifically, I am a professional art historian and an epigrapher (less formally, a glypher), one who can read and write Maya hieroglyphs. For over a decade, I have focused my scholarly research specifically on Maya culture and writing, making some surprising discoveries that can present a more definitive perspective on the prophecies of the ancient Maya seers. As we approach the critical year, it is time to offer a more viable account of the Maya prophecy and expose both the fallacies and ethnocentricism tainting the current sensational accounts.
Here I intend to explain what we actually know about (1) Maya knowledge and attitudes, both ancient and modern, (2) the date 13.0.0.0.0. and (3) their many Creation stories and prophecies. I shall draw from recent decipherment, ethnography, interviews with Maya priests and knowledge-keepers, and especially from their surviving prophetic literature. That literature includes The Books of Chilam Balam, among others, the pre-Columbian Codices, and ancient inscriptions. The evidence is sometimes fragmentary and often puzzling to us moderns, at least at first. But I believe the effort will be worth it.
First, let me affirm that the year 2012 does hold particular significance in Mayan scholarship. Those of us who study the ancient and modern Maya — anthropologists, archaeologists, art historians, linguists, historians, amateurs, collectors — have been anticipating the end of the Maya Great Cycle for some time. We write it 13.0.0.0.0 4 Ajaw 3 K'ank'in. We have known for half a century that this date probably correlates to December 21 (or December 23) in the year 2012 in the Gregorian calendar.

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল