সম্প্রতি
এক প্রতিবেদনে এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ান ইলেক্ট্রনিক্স জায়ান্ট স্যামসাং-এর
মালিকানাধীন
'ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি)
' সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান
‘স্মার্টথিংস
’। একদল ভবিষ্যতচর্চাবিদ বা ‘ফিউচারোলজিস্ট’ আর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি
মনে করে
, আগামী এক
শতকের মধ্যে মানুষ
‘আর্থ-স্ক্র্যাপার
’-এ বসবাস করতে পারবে
, ২৫ তলার সমান মাটির নিচ পর্যন্ত যেতে সক্ষম হবে এটি।
না
, এখানেই শেষ নয়
, আছে আরও কিছু খবর। স্মার্টথিংস-এর
স্থাপত্যবিদ আর নগরবিদরা মনে করেন
, পানির নিচে মানুষের বসবাসের জন্য ঘর তৈরি করা যেতে পারে
, যার নাম হবে
‘বাবল সিটি
’। তারা আরও বিশ্বাস করেন পরিবহনের
ক্ষেত্রে নিজস্ব ড্রোনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। এমনকি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের
এসব ড্রোন ছুটির দিনে পুরো বাড়িটিকেই পৃথিবীর মধ্যে যেকোন জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে।
স্মার্টথিংস
এর ওই প্রতিবেদনের সহ-সম্পাদক ও মহাকাশবিজ্ঞানী ড. ম্যাগি অ্যাডেরিন-পোকক বলেন
, “এক শতক আগের আমাদের জীবন
, আর বর্তমান অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন
, যেটি চেনার উপায় নেই। ইন্টারনেট আমাদের যোগাযোগ
, শিক্ষা এবং জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণের
উপায়ে বিপ্লব এনেছে।”১০ বছর আগেও
স্মার্টথিংস এর মতো প্রযুক্তিগুলো বিশ্বাসযোগ্য ছিলনা। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট তার
থেকে অনেক আলাদা। আমরা এখন স্মার্টফোনের একটি অ্যাপের মাধ্যমে আমদের জীবনযাত্রা দেখাশোনা
, নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষিত করতে পারি।
প্রতিবেদনে
আরও উল্লেখ করা হয়
, শুধু ঘরের আসবাবপত্রই নয় পুরো বাড়ির রেপ্লিকা হতে পারে ৩ডি প্রিন্টেড। কর্মক্ষেত্রে
হলোগ্রামের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মিটিংও করা যেতে পারে। ইতোমধ্যেই পাওয়া যায় ৩ডি প্রিন্টেড
খাবার। খুব শিগগির পছন্দের রাঁধুনির তৈরি খাবার ১ মিনিটের মধ্যে ডাউনলোড করে খাওয়া
যাবে
, এমন ধারণার
কথাও জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন