প্রতিফলন করতে সক্ষম হবে এমন কৃত্রিম
উপগ্রহ পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছেন এক দল রাশিয়ান গবেষক। প্রকল্পটির জন্য তহবিল
সংগ্রহে নেমেছিলেন তারা। ইতোমধ্যেই সংগ্রহ হয়ে গেছে কাঙ্খিত তহবিল।
মায়াক বা লাইটহাউজ নামের ওই কৃত্রিম
উপগ্রহের প্রকল্পটি মোট ১৭,৫০০ পাউন্ড সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। সংগৃহীত তহবিল কৃত্রিম উপগ্রহটির
গবেষণা ও প্রটোটাইপ তৈরিতে ব্যবহার করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি
নাগাদ সয়ুজ-২ রকেটের সঙ্গে কৃত্রিম
উপগ্রহটি মহাকাশে পাঠানো হবে।
সেখানে এই পিরামিড আকৃতির সৌর
প্রতিফলকটি যতটুকু সম্ভব আলোকরশ্মি ধারণ করবে এবং গবেষকরা দাবি করেছেন, চাঁদের পর এটিই হবে মহাকাশের সবচেয়ে
উজ্জ্বল বস্তু যা রাতে পৃথিবী থেকে দেখা সম্ভব হবে। আর খালি চোখে মনে হবে
ওটিই আকাশের উজ্জ্বলতম ‘তারা’।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য যারা
তহবিল দিয়ে সহযোগিতা করেছে, তাদেরকেও নিরাশ করা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছে
বিলেতি দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট। তহবিলে যারা ৯৭০ পাউন্ড অনুদান দিয়েছেন,
তাদেরকে মায়াক-ব্র্যান্ডের টেলিস্কোপ দেওয়া হবে। আর
যারা ২,৯০০ পাউন্ড অনুদান দিয়েছেন, তারা
পাচ্ছেন আরও আকর্ষণীয় সুযোগ। ওই অনুদানদাতারা কাজাখস্তানে উপস্থিত হয়ে
সরাসরি কৃত্রিম
উপগ্রহটির লঞ্চ দেখার সুযোগ পাবেন।
এ ছাড়াও গবেষকরা তরুণ বয়সীদের
বিজ্ঞান
এবং মহাকাশ বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে ভিন্ন আরেকটি পদক্ষেপ নিয়েছেন। কৃত্রিম
উপগ্রহটি কখন মহাকাশের কোথায় রয়েছে, অ্যাপের সাহায্যে তা বুঝার ব্যবস্থা
করে দেওয়া হবে। এতে করে মহাকাশে থাকলেও অ্যাপের মাধ্যমে তরুণরা জানতে পারবে
ঠিক কোথায় অবস্থান করছে ওই কৃত্রিম উপগ্রহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন