শনিবার, ২১ জুলাই, ২০১২

স্যামসাং ডিসপ্লে প্রযুক্তি চুরিতে অভিযুক্ত এলজি

স্যামসাং ডিসপ্লে প্রযুক্তি চুরিতে অভিযুক্ত এলজি

প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাংয়ের অ্যাডভান্সড টিভি ডিসপ্লে প্রযুক্তি চুরির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন এলজি ও স্যামসাংয়ের কর্মীসহ ১১ ব্যক্তি। দক্ষিণ কোরিয়ার আদালতে স্যামসাংয়ের ওএলইডি ডিসপ্লে প্রযুক্তি চুরির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও এ ঘটনায় নিজেদের কর্মী জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে এলজি। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

২০১০ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে স্যামসাংয়ের তৈরি ওএলইডি ডিসপ্লে প্রযুক্তি চুরির দায়ে এলজি ডিসপ্লে কোম্পানির ৬ কর্মীসহ ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। ওই ১১ জনের মধ্যে ৬ জন এলজির কর্মী আর ৩ জন স্যামসাংয়ের কর্মী।

এ ব্যাপারে স্যামসাংয়ের দাবি, গোপনে তাদের কর্মীদের হাত করে তাদের ডিসপ্লে প্রযুক্তি চুরি করেছে এলজি। তবে এই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের বা কোম্পানিটির কোনো কর্মীর জড়িত থাকার কথা বরারবরের মতোই অস্বীকার করেছে এলজি।

পৃথিবীর বৃহত্তম ডিসপ্লে সাপ্লাইয়ার দু’টি কোম্পানি হচ্ছে স্যামসাং এবং এলজি। বর্তমানে ওএলইডি প্রযুক্তির ডিসপ্লে নিয়ে কোম্পানি দু’টির মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। অন্যান্য যে কোনো ডিসপ্লের তুলনায় পাতলা, হালকা এবং নমনীয় ওএলইডি প্রযুক্তির ডিসপ্লে।

লুমিয়া ৯০০ স্মার্টফোনের দাম কমলো

লুমিয়া ৯০০ স্মার্টফোনের দাম কমলো

অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের কাছে মার্কেট শেয়ার হারানোর ভয়ে নকিয়া তাদের স্মার্টফোন লুমিয়া ৯০০ বাজারে ছাড়ার ৩ মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দাম অর্ধেকে নামিয়ে আনলো। খবর ইয়াহু নিউজ–এর।

নকিয়ার মুখপাত্র কিথ নোয়াক রবিবার জানান, যুক্তরাষ্ট্রে লুমিয়া ৯০০ উইন্ডোজ ফোনের দাম দুই বছরের চুক্তি সহ ৯৯ ডলার থেকে কমিয়ে ৪৯ ডলার করা হয়েছে।

লুমিয়া ৯০০ উইন্ডোজ ফোনে রয়েছে ৪.৩ ইঞ্চি ডিসপ্লে স্ক্রিন, ১.৪ গিগাহার্জ প্রসেসর এবং ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এতে উইন্ডোজ মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।

শুরু থেকেই ফোনটির বিক্রির হার ছিলো কম। এই ফোনটি বাজারে আসার পরপরই মাইক্রোসফট ঘোষণা দেয়, তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮ এই ফোনে চলবে না। ফলে, বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্লগ মন্তব্য করেছে, বিক্রির হার বাড়ানোর জন্য দাম কমানো ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না নকিয়ার।

এক সময়ের প্রবল প্রতাপশালী মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক নকিয়া স্মার্টফোন তৈরি শুরু করে অনেক দেরিতে। যার কারণে স্মার্টফোনের বাজারে তারা এখনও অনেক পিছিয়ে। অন্যদিকে কম দামী মোবাইল ফোনের মার্কেটও তারা হারাচ্ছে দিন দিন অন্য মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর কাছে।

আইফোন ফাইভে ইন-সেল প্রযুক্তি!

আইফোন ফাইভে ইন-সেল প্রযুক্তি!

আইফোনের পরবর্তী মডেলের স্ক্রিনটি আরো পাতলা করতে অ্যাপল ব্যবহার করবে ইন-সেল প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইফোন ফাইভের স্ক্রিন তৈরিতে একাধিক কোম্পানি কাজ করছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

একাধিক গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জানিয়েছে, বর্তমানে আইফোন ফাইভের স্ক্রিন তৈরিতে কাজ করছে তিনটি কোম্পানি- শার্প, এলজি এবং জাপান ডিসপ্লে। আর আইফোন ফাইভ নিয়ে গুজবগুলোর একটি হচ্ছে আইফোন ফোর-এর ৪ ইঞ্চি স্ক্রিনের তুলনায় বড় হবে আইফোন ফাইভের স্ক্রিন।

ইন-সেল টেকনোলজিতে এলসিডি স্ক্রিনের মধ্যেই টাচ স্ক্রিনের সেন্সর বসানো থাকবে, ফলে নতুন আইফোনের স্ক্রিনটি হবে আরো পাতলা।

তবে আইফোন ফাইভ নিয়ে এরকম গুজব নতুন নয়। নতুন আইফোনের স্ক্রিন আরো বড় হবে কিনা বা আরো পাতলা হবে কিনা, এ ব্যাপারগুলো বরাবরের মতো এখনও গোপন রেখেছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।

স্কাইপ থাকছে অফিস ২০১৩ স্যুটে

স্কাইপ থাকছে অফিস ২০১৩ স্যুটে

মাইক্রোসফট অফিসের নতুন ভার্সনে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট এবং আউটলুক ছাড়াও নতুন অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে যোগ হচ্ছে স্কাইপ, ইয়ামার এবং ক্লাউড কানেক্টিভিটি। মূলত ট্যাবলেট পিসির টাচ স্ক্রিনে ব্যবহারের উপযোগী করে তৈরি হলেও ল্যাপটপ ও ডেস্কটপসহ সবধরনের কম্পিউটারে ব্যবহার করা যাবে অফিস-এর এ ভার্সনটি। খবর এবিসি নিউজ-এর।

১৬ জুলাই স্যান ফ্রান্সিসকোতে এক কনফারেন্সে অফিস ২০১৩-এর প্রিভিউ দেখায় মাইক্রোসফট। এ ব্যাপারে মাইক্রোসফট সিইও স্টিভ বলমার বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত মাইক্রোসফট অফিসের সবচেয়ে উচ্চাকাক্সক্ষী ভার্সন হতে যাচ্ছে এটি।’

সব ধরণের কম্পিউটারে ব্যবহার করার উপযোগী হলেও মূলত ট্যাবলেট কম্পিউটারে ব্যবহারের ব্যাপারটি মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে মাইক্রোসফট অফিস ২০১৩। নতুন ফিচারগুলোর কয়েকটি নিয়ে বিস্তারিত জানান বলমার। এর মধ্যে রয়েছে মাইক্রোসফট আউটলুক ব্যবহার করে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং-এর সুবিধা এবং পাওয়ার পয়েন্টের প্রেজেন্টার প্রিভিউ। যার মাধ্যমে প্রেজেন্টেশনের সময় প্রেজেন্টার তার নোটগুলো দেখে নিতে পারবেন বড় পর্দায় না দেখিয়েই।

নতুন অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে হিসেবে অফিসে যোগ হচ্ছে স্কাইপ এবং ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ সোশাল নেটওয়ার্ক ইয়ামার। তবে নতুন ফিচারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ক্লাউড কানেক্টিভিটি। ফলে মাইক্রোসফটের অনলাইন স্টোরেজ স্পেস স্কাইড্রাইভ ব্যবহার করে যে কোনো সময় যে কোনো জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো নামিয়ে নিতে পারবেন ব্যবহারকারী। এআরএম প্রসেসরের জন্য বিশেষভাবে তৈরি উইন্ডোজ আরটিতেও চলবে মাইক্রোসফট অফিস ২০১৩।

স্যান ফ্রান্সিকোতে অফিস ২০১৩-এর প্রিভিউ দেখালেও কবে বাজারে আসবে তা এখনও জানায়নি মাইক্রোসফট। এ বছরের অক্টোবর মাসেই উইন্ডোজ ৮-এর সঙ্গে একই সময়ে বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে মাইক্রোসফট অফিসের নতুন এ ভার্সনটি।


মেয়েদের জন্য মেয়েদের বানানো স্মার্টঘড়ি

মেয়েদের জন্য মেয়েদের বানানো স্মার্টঘড়ি

বিশেষভাবে মেয়েদের জন্য তৈরি ঘড়ি তৈরি করেছেন শেরিল কেলোন্ড এবং সিলভিয়া মারিনো নামে দুই নারী। তাদের মতে, বর্তমান বাজারে মেয়েদের জন্য যেসব গ্যাজেট রয়েছে সেগুলোর চেয়ে সুবিধাজনক এবং ব্যবহারযোগ্য গ্যাজেট এটি। খবর এবিসি নিউজ-এর।

বাজারে সহজলভ্য জিপিএস ডিভাইসের সাহায্যে যেকোনো জায়গা বা স্থান নির্ধারণ বেশ সময়সাপেক্ষ। এ ছাড়াও মেয়েদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফিচার প্যানিক বাটনও এসব ডিভাইসে থাকে না। প্যানিক বাটনের সাহায্যে একা চলাফেরার সময় কোনো সমস্যা হলে সাহায্যের জন্য কোনো বন্ধু বা ভালোবাসার মানুষের কাছে সংকেত পাঠানো যায়।

কেলোন্ড বলেন, ‘ঘড়িটির সঙ্গে যুক্ত প্যানিক বাটনটি এটিকে অন্যান্য গ্যাজেট থেকে আলাদা করেছে। আমরা অনেক মেয়ের সঙ্গে তাদের সারাদিনের রুটিন নিয়ে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, কাজে যাবার আগে বাইরে দৌঁড়াতে পছন্দ করলেও অন্ধকারে বাইরে বের হবার ক্ষেত্রে স্বামী বা মা চিন্তিত থাকেন।’

মেয়েদের এসব সমস্যা সমাধানে বানানো ঘড়িটি আকারে শুধু ছোটোই নয়, এটি বানানো হয়েছে মেয়েদের প্রিয় গোলাপি রঙে এবং এর নিয়োপ্রেন ব্যান্ডটি হাতে অস্বস্তি আনে না। এ ঘড়িটির মাধ্যমে অন্যান্য ফিটনেস গ্যাজেটের মতো হার্টবিট, ক্যালরি খরচের পরিমাণ এবং কতোটুকু দূরত্ব অতিক্রম করা হয়েছে, তা মাপা যাবে।

কেলোন্ড আরো জানান, ছেলেদের জন্যও একই ধরনের ঘড়ি শীঘ্রই বাজারে আসবে।


লেগো দিয়ে তৈরি হলো রোলস-রয়েস ইঞ্জিন

লেগো দিয়ে তৈরি হলো রোলস-রয়েস ইঞ্জিন

বাচ্চাদের খেলার লেগো দিয়ে তৈরি হলো বোয়িং ৭৮৭-এ ব্যবহৃত রোলস-রয়েস ট্রেন্ট-১০০০ জেট ইঞ্জিনের হুবহু নকল বা রেপ্লিকা। রোলস-রয়েস ইঞ্জিনটির আদলে রেপ্লিকাটি বানিয়েছেন পেশাদারী লেগো নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্রাইট ব্রিকস। খবর বিবিসির।

তরুণদের ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় উৎসাহী করার জন্য রেপ্লিকা ইঞ্জিনটি বানিয়েছেন তারা। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে, রোলস-রয়েস ইঞ্জিনটির রেপ্লিকা বানাবার বুদ্ধিটি তারা পেয়েছিলেন ৫ বছর বয়সি এক শিশুর কাছ থেকে।

এ ব্যাপারে রোলস-রয়েসের ব্র্যান্ড ম্যানেজার সারাহ মার্টিন বলেন, ‘বাবার সহযোগিতা নিয়ে লেগো দিয়েই ছোট্ট একটি রোলস রয়েস ইঞ্জিনের রেপ্লিকা বানয়েছিলো শিশুটি। আর রেপ্লিকাটি পাঠিয়ে দিয়েছিলো আমাদের কাছে। সেখান থেকেই আইডিয়াটি পাই আমরা।’

রোলস-রয়েস ট্রেন্ট ১০০০ জেট ইঞ্জিনটি ব্যবহার করা হয় বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার অ্যারোপ্লেনে। লেগো দিয়ে বানানো রেপ্লিকা ইঞ্জিনটি লম্বায় প্রায় সাড়ে ছয় ফিট। ১৬০টি ভিন্ন ইঞ্জিন কম্পোনেন্ট তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৫৫টি লেগো ব্রিক।

ব্রাইট ব্রিকসের চারজন লেগো বিল্ডার ৮ সপ্তাহে শেষ করেছেন রেপ্লিকাটি তৈরির কাজ। আর হুবহু আসলটির মতোই দেখতে হয়েছে ইঞ্জিনটি।




বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

শব্দ দিয়েই নেভানো যাবে আগুন!

শব্দ দিয়েই নেভানো যাবে আগুন!

শব্দ ব্যবহার করে আগুন নেভানোর অভিনব প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রোজেক্ট এজেন্সি (ডারপা)-র বিজ্ঞানীরা। দ্রুত আগুন নেভানোর নতুন কোনো উপায়ের খোঁজে ২০০৮ সালে ইনস্ট্যান্ট ফায়ার সাপ্রেশন প্রোগ্রাম-এর আওতায় গবেষণা শুরু করেছিলেন ডারপার বিজ্ঞানীরা। তারই সূত্র ধরে শব্দ ব্যবহার করে আগুন নেভানোর নতুন প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করেছেন তারা। খবর বিবিসির।

প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করতে যেয়ে ডারপা বিজ্ঞানীরা পুরো ব্যপারটিকে বিবেচনা করেন রসায়নবিদ্যার বদলে পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে। গবেষণায় স্পিকারের নির্দিষ্ট কিছু ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে আগুন নেভাতে সফল হন তারা।

ডারপার নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞানীরা জানান, ‘স্পিকারের শব্দতরঙ্গ বাতাসের গতি বাড়িয়ে দেয়। ফলে পাতলা হয়ে যায় আগুনের চারপাশের বাতাসের ঘনত্ব। এতে প্রয়োজনীয় বাতাসের অভাবে নিভে যায় আগুন।’

প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে ল্যাবরেটরিতে আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও, মাঠ পর্যায়ে এই প্রযুক্তি কতোটা সফল হবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে প্রযুক্তিটি নিয়ে আরো গবেষণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ব্যবহার উপযোগী একটি পন্থা খুঁজে পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন তারা।

৫৩ কোটিরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী চীনের

৫৩ কোটিরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী চীনের

চীনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৩ কোটি ৮০ লাখ।  আর এ সংখ্যা বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। ওয়্যারলেস ওয়েব সার্ফিয়ের ফলে বর্তমানে চীনে বিশ্বের সর্বাধিক মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে বলে দেশটির ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার (আইএনআইসি) জানায়। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

আইএনআইসি জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে শতকরা ১১ ভাগ। বর্তমানে চীনের প্রায় ৪০ ভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ওয়্যারলেস ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা থাকায় মোবাইলেও ইন্টারনেট ব্যবহার গোটা বিশ্বের মতো চীনেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, চীনের কমিউনিস্ট সরকার দেশটিতে শিক্ষা ও বাণিজ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করায় শিক্ষা ও শিল্প-বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়েছে।

আইএনআইসি জানিয়েছে, বর্হিঃবাণিজ্যে চীন ইতোমধ্যে নিজেদের অবস্থান গড়তে সক্ষম হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে। ব্যবসায়ীক যোগাযোগে ইন্টারনেট নির্ভরশীলতা বাড়ায় দেশটির অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।


২৬ অক্টোবর আসছে উইন্ডোজ ৮

২৬ অক্টোবর আসছে উইন্ডোজ ৮

অক্টোবরের ২৬ তারিখে বাজারে আসছে মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮। সব ধরনের কম্পিউটারের উপযোগী হলেও মূলত টাচ স্ত্রিন এবং ট্যাবলেট কম্পিউটারের ব্যবহারের জন্যই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের নতুন ভার্সনটি বানিয়েছে মাইক্রোসফট। খবর ইয়াহু নিউজের।

উইন্ডোজ ৮ অক্টোবর মাসে বাজারে আসবে তা বেশ আগে থেকেই বলছিলো মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ। বুধবার স্যান ফ্রান্সিসকোতে অ্যানুয়াল সেলস মিটিং এবং ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে উইন্ডোজ ৮ বাজারে আসার তারিখটি নিশ্চিত করে জানিয়ে দেয় মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ।

উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট থেকে সফটওয়্যার আপডেট হিসেবে ডাউনলোড করতে পারবেন অপারেটিং সিস্টেমটির নতুন ভার্সন। একই দিনে বিক্রি শুরু হবে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমে চালিত পিসি এবং ল্যাপটপ।

উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা এবং ৭-কে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমে আপগ্রেড করতে খরচ হবে ৪০ ডলার। তবে যারা এ বছরের ২ জুন তারিখের পরে উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটার কিনেছেন, উইন্ডোজ ৮-এর জন্য তাদের খরচ করতে হবে ১৫ ডলার।



অ্যাপল ওয়েবসাইটে ঝুলবে স্যামসাং প্রচারণা!

অ্যাপল ওয়েবসাইটে ঝুলবে স্যামসাং প্রচারণা!

স্যামসাংয়ের পক্ষে প্রচারণা চালাবে অ্যাপল! অ্যাপল বনাম স্যামসাংয়ের পেটেন্ট লড়াই নতুন দিকে মোড় নেয়ায় এমন ঘটনাই এবার ঘটতে পারে। আইপ্যাডের ডিজাইন নকল করে স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি ট্যাবলেট ডিভাইস বানিয়েছে দাবি করে বৃটেনের আদালতে মামলা করেছিলো অ্যাপল। কিন্তু আদালতে সে দাবি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় স্যামসাং আইপ্যাডের ডিজাইন নকল করেনি-এমন প্রচারণা চালানোর নির্দেশই অ্যাপলকে দিয়েছে আদালত। খবর বিবিসির।

মামলার রায় অনুযায়ী ‘স্যামসাং আইপ্যাডের ডিজাইন নকল করেনি’-এমন একটি নোটিশ আগামী ছয় মাস থাকতে হবে অ্যাপলের নিজস্ব ওয়েবসাইটে। শুধু তাই নয়, খবরের কাগজ ও ম্যাগাজিনের মতো অন্যান্য প্রচারমাধ্যমেও এ সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য অ্যাপলকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অ্যাপলের মামলায় স্যামসাংয়ের সুনাম যে ক্ষতির মুখে পড়েছে সেটি পুরণ করতেই বৃটিশ আদালত ওই আদেশ দিয়েছে।

তবে এ বিষয়ে এখনও মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য এ রায়ের পর ডিজাইন নকল করার দাবি অ্যাপল যেন আর করতে না পারে, সেজন্য নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানায় স্যামসাং। স্যামসাংয়ের এ দাবি নাকচ করে আদালত জানায়, আদালত ‘ভুল’ রায় দিয়েছে এমন মতামত অ্যাপল কর্তৃপক্ষের থাকতেই পারে।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/

শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১২

বছরে ৩২০ টন স্বর্ণ যাচ্ছে ইলেক্ট্রনিক পণ্যে!

বছরে ৩২০ টন স্বর্ণ যাচ্ছে ইলেক্ট্রনিক পণ্যে!

প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে ৩২০ টন সোনা, যার বাজার মূল্য ১ হাজার কোটি বৃটিশ পাউন্ডেরও বেশি। আর এই সোনার সামান্যই আবার আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে। বিস্ময়কর এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ঘানার আক্রায় ই-ওয়েস্ট একাডেমির মিটিংয়ে। খবর অরেঞ্জ নিউজের।

ই-ওয়েস্ট একাডেমির মিটিংয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতি বছর ইলেকট্রনিক গ্যাজেট তৈরিতে যে পরিমাণ সোনা ব্যবহার করা হচ্ছে, তার শতকরা ৮৫ শতাংশই হারিয়ে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক বর্জ্য পদার্থের সঙ্গে। এর মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংশ পুনরায় আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে। টেকনোলজি কোম্পানিগুলো সোনার পাশাপাশি প্রতিবছর ব্যবহার করছে ৭ হাজার ৫০০ টন রুপা।

বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, বর্তমানে পৃথিবীর মাটির নিচের খনিগুলোতে যে পরিমাণ মূল্যবান আকরিক ধাতু রয়েছে, তার চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ গুণ বেশি ধাতু রয়েছে ইলেকট্রিক গ্যাজেট ওয়েস্টে। গত বছরে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৩২০ টন সোনা যা পুরো পৃথিবীর সোনার যোগানের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।

এ ব্যাপারে গ্লোবাল ই-সাসটেইনেবিলিটি ইনিসিয়েটিভ-এর চেয়ারম্যান লুইস নেভস বলেন, ‘ভোক্তারা স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট কম্পিউটারের মতো হাইটেক ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের সুবিধা বহাল রাখতে চাইলে ইলেকট্রনিক বর্জ্য পদার্থ রিসাইকেল করে মূল্যবান ধাতুগুলো সংগ্রহ করার একটি পদ্ধতি দাঁড় করানো জরুরি হয়ে পড়েছে।’

অক্টোবরে আসছে উইন্ডোজ ৮

অক্টোবরে আসছে উইন্ডোজ ৮

মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮-এর ঘোষণা বেশ কিছুদিন আগে দেয়া হলেও, কবে নাগাদ উইন্ডোজ ৮ চালিত ডিভাইসগুলো বাজারে পাওয়া যাবে, তা নিয়ে এতোদিন নিরব ছিলো মাইক্রোসফট। সম্প্রতি এক ঘোষণায়, অক্টোবর মাসের শেষের দিকে উইন্ডোজ ৮ পিসি বাজারে ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ। খবর এবিসিনিউজ-এর।

মাইক্রোসফটের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড পার্টনার কনফারেন্সে অক্টোবর মাসে উইন্ডোজ ৮ ডিভাইস বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও টামি রেলার। তিনি জানান, অগাস্টের প্রথম সপ্তাহেই কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো হাতে পাবেন উইন্ডোজ ৮ সফটওয়্যার। আর অক্টোবর মাসের শেষ দিকে বাজারে পাওয়া যাবে উইন্ডোজ ৮ ডিভাইসগুলো।

লেনোভো, আসুস এবং এসারের মতো মাইক্রোসফটের পার্টনার কোম্পানিগুলো এ বছরেই একাধিক উইন্ডোজ ৮ পিসি বাজারে আনবে।

তবে নিজেদের ট্যাবলেট পিসি ‘সার্ফেস’ কবে বাজারে আসবে, তা এখনও জানায়নি মাইক্রোসফট।


পৃথিবীর তুলনায় মহাকাশে বেশি বাঁচে কেঁচো!

পৃথিবীর তুলনায় মহাকাশে বেশি বাঁচে কেঁচো!

পৃথিবীর তুলনায় মহাকাশেই বেশি সময় বাঁচে কেঁচো। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন চমকপ্রদক তথ্যই আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে কেঁচোর দীর্ঘায়ু হবার মূল কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেছেন প্রাণীটির দেহের ৫টি জিনের পরিবর্তনকে। খবর বিবিসির।

বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণাটি চালিয়েছেন বিশেষ এক প্রজাতির কেঁচোর ওপর। বিজ্ঞানীরা ওই প্রজাতির কেঁচোগুলোকে ১১ দিনের মহাকাশযাত্রায় পাঠান এবং পৃথিবীতে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড ঠান্ডায় জমিয়ে ফেলেন।

এরপর বিজ্ঞানীরা কেঁচোগুলো নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে, এদের ৫টির শরীরে পলিগ্লুটামিন এগ্রিগেটর কমে গেছে, যা প্রাণীর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে।

এ ব্যাপারে ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহ্যামের বিজ্ঞানী ড. নাথানিয়েল জিউকজাইক বলেন, ‘ওই ৫টি জিন ব্যবহার করেই কেঁচোগুলো পরিবেশের পরিবর্তন বুঝতে পারে এবং তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। আমরা এতোদিন জানতাম, মহাকাশে শরীরের মাংশপেশী ছোট হয়ে আসে; কিন্তু নতুন তথ্যগুলো এর বিপরীত ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বিদ্যুৎ জমা করবে টি-শার্ট

বিদ্যুৎ জমা করবে টি-শার্ট

সাধারণ একটি টি-শার্টে বিদ্যুৎশক্তি জমা করে রাখার অভিনব এক উপায় আবিষ্কার করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলিনার বিজ্ঞানীরা। নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের মতো ডিভাইসগুলো চার্জ করা যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। খবর বিবিসির।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, খুব শীঘ্রই বাজারে আসবে গুটিয়ে রাখার উপযোগী স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ। এই গ্যাজেটগুলোর বৈদ্যুতিক চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন পড়বে নমনীয় এনার্জি স্টোরেজ বা ব্যাটারির। আর এ সমস্যা সমাধান করতেই টি-শার্টে বিদ্যুৎশক্তি জমা করার প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী প্রফেসর জিয়াওডং লি এবং লিহং বাও।

বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত এ প্রক্রিয়ায় সাধারণ একটি টি-শার্টকে ফ্লুওরাইড সল্যুশন-এ ভিজানো হয়। তারপর টি-শার্টটি অক্সিজেন শূন্য পরিবেশে উচ্চ তাপমাত্রায় শুকানো হয়। এর ফলে টি-শার্টটির তন্তুগুলো সেলুলোজ থেকে অ্যাকটিভেটেড কার্বন-এ পরিণত হলেও আগের মতোই নমনীয় থেকে যায়। এরপর টি-শার্টটির কয়েকটি সুতো ইলেকট্রোড হিসেবে ব্যবহার করে এটিকে ক্যাপাসিটরে পরিণত করেন বিজ্ঞানীরা। এরপর টি-শার্টটির সুতোগুলোয় ম্যাংগানিজ অক্সাইডের প্রলেপ দেন বিজ্ঞানীরা। এর ফলে টি-শার্টটি একটি স্থিতিশীল সুপারক্যাপাসিটরে পরিণত হয় বলে জানান প্রফেসর লি।

প্রফেসর লি বলেন, ‘হাইব্রিড সুপারক্যাপাসিটরটি এর কার্যক্ষমতাও প্রমাণ করেছে। হাজারেরও বেশিবার ইলেকট্রিসিটি চার্জ এবং ডিসচার্জ করা হলেও এটির কার্যক্ষমতা মাত্র ৫ শতাংশ কমেছে। আর এই সুপারক্যাপাসিটরগুলোকে একত্রিত করে মোবাইল ফোনের মতো পোর্টেবল ইলেকট্রিক ডিভাইস চার্জ করা সম্ভব হবে।’



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস

প্লুটোর পঞ্চম চাঁদের সন্ধান পেলো হাবল

প্লুটোর পঞ্চম চাঁদের সন্ধান পেলো হাবল

বামন গ্রহ প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ ‘পি-ফাইভ’-এর সন্ধান পেলো নাসার হাবল টেলিস্কোপ। ছোট্ট একটি গ্রহের চারপাশে ৫টি উপগ্রহের এমন জটিল সন্নিবেশ বেশ অবাক করেছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। খবর বিবিসির।

প্লুটোর উপগ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ‘চারোন’ আবিষ্কার হয় ১৯৭৮ সালে। এরপর ২০০৬ সালে চারোনের তুলনায় ছোট আরো দুটি উপগ্রহ খুঁজে পায় নাসার হাবল টেলিস্কোপ। এ দু’টির নাম দেয়া হয় নিক্স এবং হাইড্রা। ২০১১ সালে প্লুটোর চতুর্থ উপগ্রহ পি-ফোরও হাবল টেলিস্কোপেরই আবিষ্কার।

প্লুটো এতোটাই ছোট এবং দূরে যে, হাবল টেলিস্কোপ ব্যবহার করেও বামন গ্রহটির পরিষ্কার ছবি তোলা খুবই কঠিন। পি-ফাইভ উপগ্রহটি হাবল টেলিস্কোপের তোলা ছবিতে ধরা পড়লেও এটির আকার আকৃতি নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি নাসার বিজ্ঞানীরা। তবে তারা বলছেন, পি-ফাইভের গঠন অন্যান্য উপগ্রহ থেকে ভিন্ন এবং এটির আকার হতে পারে ১০ কিলোমিটার থেকে ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে।

আর প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ পি-ফাইভ-এর সন্ধান মেলে জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যে হাবল টেলিস্কোপের ওয়াইড ফিল্ড ক্যামেরায় তোলা ছবিতে। নাসার স্পেসক্র্যাফট ‘নিউ হরাইজন’ এখন রয়েছে প্লুটোর পথে। ২০১৫ সালে প্লুটোর পাশ দিয়ে উড়ে যাবে মহাকাশযানটি। নিউ হরাইজন প্লুটোর কাছে পৌঁছালে এর মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো বামন গ্রহটি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করার সুযোগ পাবেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।