Translate

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

উড়ছে মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত ড্রোন

উড়ছে মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত ড্রোন

চিন্তা থেকেই রোবোটিক ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তির জগতের সর্বশেষ সংযোজন মাইন্ড-কন্ট্রোলড কোয়াড রোটর ড্রোন। ব্রেইন ওয়েভ ব্যবহার করে রোবোটিক ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের এই প্রযুক্তিকে বলা হচ্ছে একুশ শতকের সবচেয়ে আলোচিত প্রযুক্তিগুলোর একটি। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

চিন্তা থেকে নিয়ন্ত্রণযোগ্য ড্রোনটি আদতে একটি প্যারট এ.আর ড্রোন ২.০। ইমোটিভ ইপিওসি ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাফ (ইইজি) হেডসেট ব্যবহার করে নিজের চিন্তা থেকেই ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন চীনের ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা।

আনম্যানড এরিয়াল ভেইকল বা মানববিহীন উরুক্কু যানকেই চলতি ভাষায় ড্রোন বলা হয়।

ইমোটিভ ইপিওসি ইলেকট্রএনসেফালোগ্রাফ (ইইজি) হেডসেট সংযোগ দেয়া হয় কম্পিউটারের একটি বিশেষ সফটওয়্যারে। এরপর চালকের কমান্ডগুলো কম্পিউটার থেকে রিলে হয় ড্রোনটিতে। মাথায় ইইজি হেডসেট পরে চালক একটু জোরে সোরে বামে যাবার কথা ভাবলেই আকাশে উড়তে শুরু করবে ড্রোনটি। আবার হালকা ভাবেই ‘লেফট, রাইট, বা পুশ’ চিন্তা করলেই ডানে বামে উড়বে চার রোটরের ড্রোন, এগোবে সামনের দিকে।

আরও মজার ব্যপার হচ্ছে, চালক দাঁতে দাঁত কামড়ে ধরলেই নিচে নেমে আসবে ড্রোনটি, আর চোখের পলক ফেললেই তুলবে ছবি।

ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা বলছেন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অদূর ভবিষ্যতে আকাশে উড়তে পারবেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীরা। নিজের চিন্তা থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ব্যক্তিগত এয়ারক্র্যাফট।

বিলুপ্তির মুখে অমেরুদণ্ডী প্রাণীজগৎ

বিলুপ্তির মুখে অমেরুদণ্ডী প্রাণীজগৎ

পরিবেশ দূষণের কারণে বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে অমেরুদণ্ডী প্রাণীজগতের বড় একটি অংশ। অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের বিলুপ্তির এই আশঙ্কার কথা বেরিয়ে এসেছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন)-এর সাম্প্রতিক গবেষণায়। খবর রয়টার্স-এর।

অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের বলা হয় প্রাণীজগতের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। এদের বড় একটি অংশ বিলুপ্ত হলে ভেঙ্গে পড়তে পারে প্রাণীজগতের ইকোসিস্টেম। আইইউসিএনের গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি পাঁচটি অমেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে একটি রয়েছে বিলুপ্তির মুখে। এই তালিকায় রয়েছে, শামুক, মাকড়সা, জেলিফিস, চিংড়ি, কোরাল ও কেঁচো থেকে শুরু করে পরাগবাহী মৌমাছি পর্যন্ত।

এ ব্যাপারে আইইউসিএনের বেন কলিন বলেন ‘অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের বলা হয় ইকোসিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার। জীবনধারণের জন্য এই প্রাণীগুলোর ওপর নির্ভরশীল মানবজাতি। নানাভাবে মানবজাতিকে সাহায্য করে প্রাণীজগতের অমেরুদণ্ডী প্রাণীরা। পানি বিশুদ্ধ করা, বর্জ্য পদার্থ রিসাইকল করা, গাছগাছালির পরাগায়ন এমনকি মাটি উর্বর রাখতেও বড় ভুমিকা রাখে প্রাণীজগতের বিভিন্ন অমেরুদণ্ডী প্রাণী।’

আইইউসিএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবেশ দূষণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং যত্রতত্র বন উজাড়। কলিন এ ব্যাপারে বলেন, অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের আমরা এতোদিন অবহেলা করে গুরুত্বহীন ভেবে এসেছি। কিন্তু প্রাণীজগতের টিকে থাকার জন্য অমেরুদণ্ডী প্রণীদের রক্ষা করা অতি জরুরি।’

নতুন ডিজায়ার এক্স স্মার্টফোন আনছে এইচটিসি

নতুন ডিজায়ার এক্স স্মার্টফোন আনছে এইচটিসি

গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ৪.০ অপারেটিং সিস্টেম চালিত নতুন স্মার্টফোন ডিজায়ার এক্স বাজারে আনছে মোবাইল ফোন নির্মাতা এইচটিসি। নতুন স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৪ ইঞ্চি স্ক্রিন। আইফা ২০১২-এ প্রথমবারের মতো স্মার্টফোনটি দেখায় তাইওয়ানের এই মোবাইল ফোন নির্মাতা। খবর টেকট্রির।

ফ্ল্যাগশিপ প্রোডাক্ট ‘ওয়ান এক্স’-এর ব্যর্থতার পর এবার মধ্যস্তরের বাজার ধরার জন্য এইচটিসি বানিয়েছে নতুন ডিজায়ার এক্স স্মার্টফোনটি। স্মার্টফোনটি চলবে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ৪.০ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ অপারেটিং সিস্টেমে। আরো রয়েছে এইচটিসির কাস্টম সেন্স ৪.০ ইউজার ইন্টারফেস।

ডিজায়ার এক্স স্মার্টফোনটির উল্লেখযোগ্য ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে ১ গিগাহার্টজের ডুয়াল কোর সিপিইউ, ৭৬৮ মেগাবাইট র‌্যাম, ৪৮০ বাই ৮০০ পিক্সেলের ৪ ইঞ্চি সুপার এলসিডি ডিসপ্লে, ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ৪ জিবি ইন্টারনাল মেমোরি এবং ৩২ জিবি এক্সটারনাল মেমোরি ব্যবহারের সুবিধা। ফোনটিতে আরও থাকবে ওয়াইফাই সুবিধা, ব্লুটুথ ৪.০ মাইক্রোইউএসবি ২.০ এবং ৩.৫ মিলিমিটার অডিও জ্যাক।

নতুন স্মার্টফোনটির বাজারে আসার তারিখ এবং দাম এখনও জানায়নি এইচটিসি। তবে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই ইউরোপ এবং এশিয়ার বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে ডিজায়ার এক্স-এর।

বদলে যাচ্ছে ইন্টারনেট আসক্তদের জিন!

বদলে যাচ্ছে ইন্টারনেট আসক্তদের জিন!

সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ইন্টারনেট আসক্তির মূল কারণগুলোর একটি জিন বিবর্তন। জার্মানির ইউনিভার্সিটি অফ বন-এর ডিপার্টমেন্ট অফ সাইকোলজি অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সের বিজ্ঞানীরা এজন্য দায়ী করেছেন সিএইচআরএনএফোর (ঈঐজঘঅ৪) নামে একটি জিনকে। খবর সিনেটডটকম-এর।

ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় আরো বিস্ময়কর তথ্য আবিষ্কার করেছেন। তাদের গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যেই এই জিন বিবর্তনের হার বেশি।

বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রতিবেদনের মূল লেখক ক্রিশ্চিয়ান মনটাগ এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘ইন্টারনেট আসক্তি আমাদের কল্পনাপ্রসূত নয়। বর্তমান ডেটাগুলো প্রমাণ করে দিয়েছে যে, ইন্টারনেট আসক্তির সঙ্গে জেনেটিক মিউটেশনের সম্পর্ক রয়েছে। ইন্টারনেট আসক্তি নিরাময় আরো সহজ করে তোলা সম্ভব, যদি আমরা জিন বিবর্তনের ব্যাপারটি আরো ভালোভাবে বুঝতে সক্ষম হই।’

গবেষণার জন্য ৮৪৩ জন ব্যক্তির ইন্টারভিউ নেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে ১৩২ জনকে ইন্টারনেট আসক্ত হিসেবে সনাক্ত করেন তারা। ওই ১৩২ ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনযাপনের অধিকাংশ ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল এবং দিনের বড় একটা সময় তাদের মন জুড়ে থাকে ইন্টারনেটের বিভিন্ন বিষয়।

এরপর ওই ১৩২ জনের ডিএনএ সংগ্রহ করে বিজ্ঞানীরা দেখেন, বড় ধরণের পরিবর্তন এসছে ইন্টারনেট আসক্ত ব্যক্তিদের সিএইচআরএনএফোর জিনে।

এবার অ্যাপলের লক্ষ্য গ্যালাক্সি এস-থ্রি

এবার অ্যাপলের লক্ষ্য গ্যালাক্সি এস-থ্রি

স্যামসাংয়ের যে আটটি পণ্য নিষিদ্ধ করার জন্য অ্যাপল উঠে পড়ে লেগেছে, সে তালিকায় যোগ হলো গ্যালাক্সি এস থ্রি স্মার্টফোন ও গ্যালাক্সি নোট। অ্যাপলের তৈরি প্রাথমিক তালিকায় এই দু’টি স্যামসাং পণ্যের নাম ছিলো না। খবর সিনেটডটকম-এর।

অ্যাপলের আভ্যন্তরীন এক সূত্রের বরাতে সিনেট জানিয়েছে, শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে গ্যালাক্সি এস থ্রি এবং গ্যালাক্সি নোট নিষিদ্ধ করার জন্য আবেদন করে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে এ বছরেরই জুন মাসে গ্যালাক্সি এস থ্রি নিষিদ্ধ করার জন্য আবেদন করেছিলো অ্যাপল। তবে সেবার আদালতের ব্যস্ততার কারণে থামতে হয়েছিলো অ্যাপলকে।

শুক্রবার অ্যাপল নতুন করে স্যামসাংয়ের যে পণ্যগুলো নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে, সে তালিকায় রয়েছে, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস থ্রি, গ্যালাক্সি এস থ্রি ভ্যারাইজন, গ্যালাক্সি নোট এবং গ্যালাক্সি নোট ১০.১ ট্যাবলেট কম্পিউটার।

ম্যাগনেটিক শিল্ড রক্ষা করবে স্পেসশিপ

ম্যাগনেটিক শিল্ড রক্ষা করবে স্পেসশিপ

ভবিষ্যতের স্পেসশিপগুলোকে মহাকাশের ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করতে পারে চাঁদের মিনি ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের আদলে তৈরি ম্যাগনেটিক শিল্ড বা চৌম্বক ঢাল। খবর নিউ সায়েন্টিস্ট-এর।

চাঁদের কোনো চৌম্বক ক্ষেত্র নেই পৃথিবীর মতো। যার ফলে সোলার উইন্ড বা সূর্যের চার্জড পাটিকলের ঢেউ থেকে কোনো রক্ষাকবচ নেই চাঁদের। সূর্যের চার্জড পার্টিকলের কারণেই কালো হয়ে গেছে চাঁদের মাটি।

তবে চাঁদের বুকে রয়েছে ছোট ছোট কিছু ম্যাগনেটিক ফিল্ড। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন, সূর্যের ক্ষতিকারক রেডিয়েশন থেকে চাঁদের ছোট ছোট কিছু অংশকে রক্ষা করছে ওই ‘মিনি ম্যাগনেটোস্ফিয়ার’গুলো।

চাঁদের ওই মিনি ম্যাগনেটোস্ফিয়ার থেকে ধারণা নিয়ে ভবিষ্যতের মহাকাশযানগুলোকে ক্ষতিকারক রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করতে ম্যাগনেটিক শিল্ড বা চৌম্বকীয় ঢাল তৈরির প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন বৃটেনের রাদারফোর্ড অ্যাপলটন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা।

রাদারফোর্ড অ্যাপলটন ল্যাবরেটরির প্লাজমা ফিজিসিস্ট রুথ বামফোর্ড এবং তার সহকর্মীরা ল্যাবরেটরিতে তৈরি করেন কৃত্রিম সোলার উইন্ড। ছোট্ট একটি চুম্বকের দিকে তারা ছুঁড়ে দেন প্রোটন এবং ইলেকট্রনের একটি বিম। আর চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে চুম্বকটির কোনো ক্ষতি না করে, ছাতার উপর দিয়ে গড়িয়ে যাওয়া জলের কণার মতোই অনায়াসে চুম্বকটির উপর দিয়ে বয়ে যায় ইলেকট্রন এবং প্রোটনগুলো।

এই পরীক্ষার ফলাফল থেকে বামফোর্ডের নেতৃত্বাধীন বিজ্ঞানীদল ধারণা করছেন, চাঁদের চৌম্বকক্ষেত্রগুলোকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় সোলার উইন্ডের ইলেকট্রনগুলো। আর প্রোটনগুলো ভেতর দিয়েই গড়িয়ে পার হয়ে যায়। এর ফলে ক্ষতিকারক রেডিয়েশন থেকে রক্ষা পাচ্ছে চাঁদের চৌম্বকক্ষেত্রগুলো।

বামফোর্ড জানিয়েছেন, চাঁদের ম্যাগনেটিক ফিল্ডের অনুকরণে মহাকাশযানের জন্য ‘ডিফেক্টর শিল্ড’ তৈরির চেষ্টা করছেন তিনি ও তার সহকর্মীরা, যা সূর্যের ক্ষতিকারক রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করবে নভোযান এবং নভোচারীদের।



সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেস্কটপ ওএস হলো উইন্ডোজ ৭

সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেস্কটপ ওএস হলো উইন্ডোজ ৭

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেম এখন উইন্ডোজ ৭। অগাস্ট মাসে নেট অ্যাপ্লিকেশনের তৈরি মাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী উইন্ডোজ এক্সপিকে হটিয়ে শীর্ষস্থানীয় ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের সিংহাসনটি দখল করে নিয়েছে উইন্ডোজ ৭। খবর ম্যাশএবল-এর।

২০০১ সালে মাইক্রোসফট বাজারে এনেছিলো উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম। এরপর থেকে জনপ্রিয় ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের সিংহাসনটি এক্সপির দখলেই ছিলো। তবে নেট অ্যাপ্লিকেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৪২ দশমিক ৭৬ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে এক্সপিকে টপকে গেছে উইন্ডোজ ৭। দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও খুব বেশি পিছিয়ে নেই উইন্ডোজ এক্সপি; এখনও ৪২ দশমিক ৫২ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে অপারেটিং সিস্টেমটির দখলে।

৬ দশমিক ১৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মাইক্রোসফটের অপর অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ভিসতা। অ্যাপলের ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম ওএসএক্স ১০.৭ এবং ওএসএক্স ১০.৬ রয়েছে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে। নেট অ্যাপ্লিকেশনের ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, প্রায় ৯২ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের বাজারে একচ্ছত্র রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে মাইক্রোসফট।

২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে বাজারে এসছিলো উইন্ডোজ ৭। ঠিক ৩ বছর পর ২০১২ সালের অক্টোবর মাসেই বাজারে আসছে মাইক্রোসফটের সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮। ২৬ অক্টোবর থেকে বিক্রি শুরু হবে উইন্ডোজ ৮-এর। একই সঙ্গে ট্যাবলেট কম্পিউটার এবং ডেস্কটপ পিসিতে চলবে উইন্ডোজ ৮। উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা এবং ৭-এর ব্যবহারকারীরা তাদের অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮-এ আপডেট করতে পারবেন ৩৯.৯৯ ডলারের বিনিময়ে।




অনুভূতি ফিরিয়ে দিলো স্টেম সেল

অনুভূতি ফিরিয়ে দিলো স্টেম সেল

পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর শরীরে অনুভূতি ফিরিয়ে দিলো স্টেম সেল। নিউরাল স্টেম সেল বা স্নায়বিক স্টেম সেলের বদৌলতে ক্ষতিগ্রস্ত মেরুদণ্ডের কারণে পঙ্গত্বের শিকার দুই ব্যক্তি আংশিকভাবে হলেও ফিরে পেয়েছেন শারীরিক অনুভূতি। খবর নিউ সায়েন্টিস্ট-এর।

পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের শরীরে স্টেম সেলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণার কাজটি করছে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘স্টেমসেলস’। পঙ্গু হয়ে যাওয়া তিন ব্যক্তির মেরুদণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে সরাসরি ২ কোটি স্টেম সেল পুশ করেন বিজ্ঞানীরা। নতুন স্টেম সেলগুলোকে প্রত্যাখান করা ঠেকাতে ইমিউনোসাপ্রেসিভ ওষুধও নিতে হয় রোগীদের।

প্রথমে তাদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হলেও স্টেম সেল থেরাপির ৬ মাস পর দেহের নিচের অংশে আংশিক অনুভূতি ফিরে তিন জন রোগীর মধ্যে দুই জনের। স্পর্শ এবং উষ্ণতা অনুভব করেন তারা শরীরের পঙ্গু হয়ে যাওয়া অংশে।

এ ব্যাপারে স্টেমসেলের স্টিফেন হান বলেন, ‘২ জন রোগী এখন স্পর্শ এবং উষ্ণতা অনুভব করতে পারছেন, যা সত্যিই বিস্ময়কর। শরীরের সুস্থ অংশগুলোর মতোই, অনুভূতির অনেকটাই ফিরে এসেছে শরীরের পঙ্গু অংশে।’

ওই ৩ রোগীর স্টেম সেল চিকিৎসা হয় সুইজারল্যান্ডের বালগ্রিস্ট ইউনিভার্সিটি হসপিটালে। রোগীদের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা আরমিন কার্ট বলেন, ‘আমাদের রোগীরা তাদের দেহের পঙ্গু অংশে অনুভূতি ফিরে পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের ডেটাগুলো এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও, পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে স্টেম সেল যে বড় ধরনের অবদান রাখছে, তা নিশ্চিত।’

পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে চলমান স্টেম সেল গবেষণার প্রথম ধাপে স্টেম সেল থেরাপি পান ওই তিন রোগী। মোট ১২ জন পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তির শরীরে স্টেম সেলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা চালানো হবে।


আইটিউনসের ওপর ক্ষেপেছেন ব্রুস উইলিস

আইটিউনসের ওপর ক্ষেপেছেন ব্রুস উইলিস

আইটিউনসের ওপর ক্ষেপেছেন হলিউডি অভিনেতা ব্রুস উইলিস। এমনকি আইটিউনস এবং অ্যাপলের বিরুদ্ধে নাকি আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার কথাও ভাবছেন ডাই হার্ড খ্যাত এই অভিনেতা। খবর দি ডেইলি মেইল-এর।

সূত্র জানিয়েছে, অ্যাপলের আইটিউনস থেকে কেনা গানগুলো নিজের সন্তানদের উইল করে দিতে পারবেন না বলেই নাকি ক্ষেপেছেন উইলিস। আইটিউনস থেকে কোনো গান কিনলে আদতে তার মালিক হয়ে যান না ক্রেতা। বরং অনেকটা গানগুলো শোনার জন্য লাইসেন্স করিয়ে নেয়ার মতো হয় ব্যাপারটি। আইটিউনসের এই পন্থার কারণে, চাইলেও নিজের সম্পদের মতো গানগুলো প্রিয়জনকে উইল করে দেয়া সম্ভব নয়।

এ কারণেই নাকি অ্যাপল এবং আইটিউনসের ওপর ক্ষেপেছেন উইলিস। ডেইলি মেইল জানিয়েছে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার কথাও নাকি ভাবছেন এই হলিউডি অ্যাকশন হিরো।

তবে এই অভিনেতার স্ত্রী এমা হেমিং বলছেন ভিন্ন কথা। এক টুইটার পোস্টে হেমিং লেখেন, ‘এটা সত্য নয়।’

রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১২

দুনিয়ার যতো বাজে নামের ওয়েবসাইট

দুনিয়ার যতো বাজে নামের ওয়েবসাইট

নতুন ওয়েবসাইটের জন্য ভালো একটি অ্যাড্রেস নির্ধারণ খুবই কঠিন কাজ। ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস নির্ধারণের প্রথম সমস্যা হচ্ছে, ভালো অ্যাড্রেসগুলো দখল হয়ে গেছে আগেই। তার ওপর ওয়েবসাইট অ্যাড্রেসে ব্যবহার করা যায় না স্পেস। ফলে অনেকসময়ই শখের ওয়েবসাইটের নাম পাল্টে এমন উদ্ভট হয়ে দাঁড়ায় যে, না হেসে উপায় থাকে না।

এমন উদ্ভট নামের ওয়েবসাইটের একটি তালিকা তৈরি করেছে টেকলগঅন ডটকম। তাদের তৈরি সবচেয়ে বাজে নামের ওয়েবসাইটের তালিকার কয়েকটি হচ্ছে-

হু রিপ্রেসেন্টস (Who Represents) – সেলিব্রিটিদের যোগাযোগের তথ্য দেয় ওয়েবসাইটটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.whorepresents.com। একটু খোয়াল না করলেই মনে হবে সাইটটির নাম হোরপ্রেজেন্টস ডট কম!

থেরাপিস্ট ফাইন্ডার (Therapist Finder) – ফ্যামিলি এবং ম্যারেজ থেরাপিস্টদের ঠিকানা যোগান দেয় ওয়েবসাইটটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.therapistfinder.com। খেয়াল করে দেখুন, নামটি যেনো দি রেপিস্ট ফাইন্ডার ডট কম!

পাওয়ারজেন ইটালিয়া (Powergen Italia) – ইটালির একটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানির ওয়েবসাইট এটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.powergenitalia.com। মনে হয় যেনো পাওয়ার জেনিটালিয়া ডট কম!

মোল স্টেশন নেটিভ প্ল্যান্ট নার্সারি (Mole Station Native Plant Nursery) – অস্ট্রেলিয়ার এক নার্সারির ওয়েবসাইট এটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.molestationnursery.com। নামটি দাঁড়িয়ে গেছে, মোলেস্টেশন নার্সারি ডট কম!

এক্সপার্টস এক্সচেঞ্জ (Experts Exchange) – বইয়ের পোকাদের জন্য এই ওয়েবসাইটটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.expertsexchange.com। যৌনতার সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নেই সাইটটির। অথচ নামটি মনে হয় এক্সপার্ট সেক্স চেঞ্জ ডট কম!

স্পিড অফ আর্ট (Speed Of Art) – আদতে আর্ট ডিজাইন বিষয়ক ওয়েবসাইট এটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.speedofart.com। একটানে পড়ে গেলে মনে হতে পারে স্পিডোফার্ট ডট কম!

লেক টাহোই ট্যুরিজম (Lake Tahoe tourism) – লেক টাহোই এর ট্যুরিজম বিষয়ক ওয়েবসাইট এটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.gotahoe.com। নামটি যেনো গো-টা হো ডট কম!

চিলড্রেনস লাফটার ফাউন্ডেশন (The Children’s Laughter Foundation) – শিশু নির্যাতন ঠেকানোর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য তৈরি ওয়েবসাইটের নাম হিসেবে এরচেয়ে বাজে নাম যে আর হতে পারে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.childrenslaughter.com। ভয়াবহ রূপ নিয়েছে নামটি। হয়ে গেছে চিলড্রেন স্লটার ডট কম!


২০০০ বছরের প্রাচীন যোদ্ধার দেহাবশেষ মিলল ইউরোপে

২০০০ বছরের প্রাচীন যোদ্ধার দেহাবশেষ মিলল ইউরোপে

ডেনমার্কের এক জলাভূমিতে খোঁজ মিলেছে ২০০০ বছরের পুরনো যোদ্ধাদের দেহাবশেষের। জলাটিতে খনন করে দুই হাজার বছরের পুরনো যোদ্ধাদের মাথার খুলি, কেটে দু’ভাগ করা উরুর হাড় ছাড়াও যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত কুড়াল, বর্শা, মুগুর ও ঢাল খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নত্তাত্ত্বিকরা। খবর লাইভ সায়েন্স-এর।

ডেনমার্কের ইস্ট জুটল্যান্ডের একটি জলাভূমিতে মানুষের শরীরের হাজার বছরের পুরনো হাড়ের খোঁজ মিলছিলো গত কয়েক দশক ধরেই। পরে ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ওই এলাকায় খননকাজ চালান প্রত্নত্তাত্ত্বিকরা। এতে জলাভূমির কাঁদার ৬ দশমিক ৬ ফিট নিচে মানব হাড়ের সন্ধান পেয়েছেন তারা।

খননকারীরা আশা করছেন, জলাভূমির কাঁদার নিচ থেকে খুড়ে বের করা দেহাবশেষ এবং যুদ্ধাস্ত্রগুলো থেকে ওই যোদ্ধারা আদাতে কারা ছিলো এবং কোথা থেকে তারা এসেছিলো তা নির্ণয় করা যাবে।

খননকাজ চালানো হচ্ছে প্রায় ৪০ হেক্টর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা জলাভূমিতে। খননকাজের পরিচালক স্ক্যান্ডেনবোর্গ মিউজিয়ামের ফিল্ড ডিরেক্টর এজভিন্ডজ হার্টজ জানিয়েছেন, প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রত্নত্তাত্ত্বিক নিদর্শনের খোঁজ পাচ্ছেন তারা।

ভূতাত্ত্বিকরা মনে করছেন, দুই হাজার বছর আগে ওই জায়গাটিতে একটি লেক ছিলো। লেকটির ছোট্ট একটি বেসিনে জমা করা হয়েছিলো যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারানো যোদ্ধাদের মৃতদেহ।

তথ্য চুরি করতে এবার মানব ব্রেইন হ্যাকিং!

তথ্য চুরি করতে এবার মানব ব্রেইন হ্যাকিং!

হ্যাক করা সম্ভব মানব মস্তিষ্ক! শুধু তাই নয়, যে কোনো ব্যক্তির ব্রেইন হ্যাক করে চুরি করা সম্ভব তার ব্যক্তিগত গোপন সব তথ্য। খবর ই সায়েন্স নিউজ-এর।

মানুষের মস্তিষ্ক হ্যাক করে গোপন তথ্য চুরি করা যে সম্ভব, সম্প্রতি তার প্রমাণ দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড এবং ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীরা। আর এ কাজে বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছেন, স্বল্পমূল্যের ইমোটিভ ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস বা ইমোটিভ বিসিআই।

বিজ্ঞানীদের গবেষণায় সহযোগিতা করেন একাধিক স্বেচ্ছাসেবক। ওই স্বেচ্ছাসেবকদের কয়েকজনকে ইমোটিভ বিসিআই হেডসেট পরিয়ে কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে দেন বিজ্ঞানীরা। এরপর মস্তিষ্কের পি৩০০ সিগন্যাল অনুসরণ করে সংগ্রহ করেন স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত গোপন তথ্য।

ইমোটিভ বিসিআই ব্যবহার করে স্বেচ্ছাসেবকদের মস্তিষ্ক থেকে সংগ্রহ করা ডেটা থেকে খুব সহজেই তাদের ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং কার্ড পিন নম্বর খুঁজে বের করে ফেলেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা আশংকা করছেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর হ্যাকিং চালাতে পারে নানা অশুভ শক্তি।

৬৯০০ কিলোমিটার গতিতে উড়বে ওয়েভরাইডার

৬৯০০ কিলোমিটার গতিতে উড়বে ওয়েভরাইডার

ম্যাক ৬ বা ঘণ্টায় ৬৯০০ কিলোমিটার গতিতে আকাশে উড়বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন হাইপারসনিক জেট ওয়েভরাইডার। এই গতিতে এক ঘণ্টারও কম সময়ে নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডনে পৌঁছানো সম্ভব। বুধবার প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর টেস্ট ফ্লাইটে ম্যাক ৬ গতি অর্জন করার কথা রয়েছে ওয়েভরাইডারের। খবর বিবিসির।

২০১১ সালের জুন মাসের এক টেস্ট ফ্লাইটে ম্যাক ৬ গতিতে উড়ার লক্ষমাত্রা স্পর্শ করতে না পারলেও ম্যাক ৫ গতিতে উড়েছিলো ওয়েভরাইডার। এবার সে অপ্রাপ্তি ঘোঁচানো সম্ভব হবে বলেই আশা হাইপারসনিক জেটটির নির্মাতার।

প্রথমে একটি মিলিটারি বি-৫২ বোম্বার প্লেনের ডানায় চড়ে মাটি থেকে ৫০ হাজার ফিট উচ্চতায় পৌঁছাবে এক্স-৫১ ওয়েভরাইডার। বি-৫২ থেকে ৪ সেকেন্ডের ফ্রি-ফলের পর চালু হয়ে যাবে ওয়েভরাইডারের ইঞ্জিন। এরপর নিজের ইঞ্জিনের ওপর নির্ভর করে ৭০ হাজার ফিট উঁচুতে পৌঁছাবে ওয়েভরাইডার এবং ম্যাক ৬ গতিতে ছুটা শুরু করবে।

মূলত মার্কিন সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের জন্যই ওয়েভরাইডার নিয়ে কাজ করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ওয়েভরাইডারের প্রযুক্তি ভবিষ্যতের মিসাইলে ব্যবহার করার লক্ষ্য রয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী ও নাসার।

তবে ইউরোপিয়ান অ্যারোস্পেস এবং ডিফেন্স জায়ান্ট ইএডিএস বলছে, অদূর ভবিষ্যতেই অভিষেক হবে হাইপারসনিক প্যাসেঞ্জার ফ্লাইটের। ২০১১ সালে দেখানো ইএডিএস-এর কনসেপ্ট অনুযায়ী ম্যাক ৪ গতিতে উড়বে বানিজ্যিক ধারার হাইপারসনিক অ্যারোপ্লেনগুলো।

বৃটিশ সরকারি ওয়েবসাইট আক্রমণ করছে অ্যানোনিমাস

বৃটিশ সরকারি ওয়েবসাইট আক্রমণ করছে অ্যানোনিমাস

বৃটিশ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে হ্যাকিং গ্রুপ অ্যানোনিমাস। উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে লন্ডনের ইকুয়েডোরিয়ান এম্বাসি থেকে গ্রেপ্তার করে সুইডিশ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেবার চেষ্টা করায় বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে হ্যাকিং গ্রুপটি। খবর দি গার্ডিয়ান-এর।

বৃটিশ সরকারি ওয়েবসাইটগুলোর বিরুদ্ধে অ্যানোনিমাস তাদের অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন ফ্রি অ্যাসাঞ্জ’। ইতোমধ্যেই বৃটিশ সরকারের হোম অফিস, জাজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এবং ডিমার্টমেন্ট অফ ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশনের ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবিও করেছে অ্যানোনিমাস।

তবে বৃটিশ হোম অফিসের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, হ্যাক হয়নি হোম অফিসের ওয়েবসাইট। হ্যাকাররা ওয়েবসাইটটি হ্যাক করবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে বলেই জানিয়েছে হোম অফিস কর্তৃপক্ষ।

এদিকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে বৃটিশ এবং ইকুয়েডর সরকারের মধ্যে চলছে টান টান উত্তেজনা। লন্ডনের ইকুয়েডর অ্যাম্বাসিতে আশ্রয় নিয়েছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। কূটনৈতিক রীতি ভেঙ্গে বৃটিশ সরকার ইকুয়েডর এম্বাসি থেকে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করায় হুমকির মুখে পড়েছে বৃটিশ সরকারের সঙ্গে ইকুয়েডরের কূটনৈতিক সম্পর্ক।

ফিনল্যান্ডে মোবাইল ফোন ছোড়ার প্রতিযোগিতা!

ফিনল্যান্ডে মোবাইল ফোন ছোড়ার প্রতিযোগিতা!

সম্প্রতি ফিনল্যান্ডে হলো মোবাইল ফোন ছোড়ার অভিনব এক প্রতিযোগিতা। আর এতে পুরনো একটি নোকিয়া মোবাইল ফোন সবচেয়ে দূরে ছুড়ে দিয়ে পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ফিনিশ কিশোর ইরে কারজালাইনেন। খবর রয়টার্স-এর।

গ্রীস্মে ওয়াইফ ক্যারিয়িং বা স্ত্রীকে কাঁধে নিয়ে দৌড়াবার মতো নানা মজার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন ফিনিশরা। সেরকমই একটি প্রতিযোগিতা ছিলো মোবাইল ফোন থ্রোয়িং কনটেস্ট।

৫০ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জেতেন ইরে কারজালাইনেন। আর এ কাজটি তিনি করেন নিজের পুরনো নোকিয়া মোবাইল ফোনটি ১০১ দশমিক ৪৬ মিটার দূরে ছুড়ে পাঠিয়ে।

প্রতিযোগিতাটিতে ইরা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন ইংল্যান্ড আর ইন্ডিয়ার মতো দূর দূরান্ত থেকে আসা ৫০ জন প্রতিযোগীর সঙ্গে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, লন্ডন অলিম্পিকে বর্শা ছোড়ার প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক জিতেছিলো যে বর্শাটি, তা মোটে ১৭ মিটার দূরত্ব পেরিয়েছিলো। আর ইরার ছোঁড়া পুরনো নোকিয়া মোবাইল ফোনটি পেরোয় ১০১.৪৬ মিটার। অলিম্পিকে যদি মোবাইল ফোন ছোড়ার কোনো ইভেন্ট থাকতো, তবে স্বর্ণপদকটি হয়তো ইরার দখলেই চলো যেতো!

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কোডাক

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কোডাক

ফটোগ্রাফি শিল্পের প্রথমদিককার প্রতিষ্ঠান কোডাক স্টিল ক্যামেরায় ব্যবহৃত ফিল্ম ও ফটোপেপার বিক্রি বন্ধ করে দেবে। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই ডিজিটাল ক্যামেরা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে এবং জানিয়েছে স্টিল ফিল্মের চাহিদা কমে যাওয়ায় তারা এখন ঋণের দায়ে জর্জরিত। খবর বিবিসির।

আর্থিক মন্দাবস্থা কাটাতে ফান্ড গড়ার উদ্দেশ্যে ১১০০ ডিজিটাল ইমেজিং পেটেন্ট বিক্রি করার জন্য আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে কোডাক। গুগল এবং অ্যাপল প্রাথমিকভাবে পেটেন্টগুলো ক্রয়ের উদ্যোগ নিলেও সামসাং, এলজি এবং এইচটিসি কনসোর্টিয়াম তৈরির মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সূত্রে জানা গেছে, কোডাকের বর্তমান আর্থিক মূল্য প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার হলেও কোডাকের নিজস্ব হিসাবে তা ২৬০ কোটি মার্কিন ডলার ছিল।

সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে কোডাক জানিয়েছে, এ বছরের প্রথম ছয় মাসে তাদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৬৬ দশমিক ৫ কোটি মার্কিন ডলার। এ ছাড়াও ক্ষতির মুখে তারা সিনেমার ফিল্ম তৈরির সরঞ্জাম ও ব্যবহৃত কেমিক্যালের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বৃটিশ জার্নাল অফ ফটোগ্রাফি এ খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জার্নালটির নিউজ এডিটর অলিভিয়ার লারেন্ট জানিয়েছেন, প্রফেশনাল ফটোগ্রাফিতে এখনো অনেক ফটোগ্রাফার স্টিল ক্যামেরার সাহায্যে ছবি তোলেন। ভালো স্ক্যানার ব্যবহার করে ফিল্মে তোলা ছবি থেকে অধিকাংশ ডিজিটাল ক্যামেরার তুলনায় হাজারগুণ ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায় বলে দাবি করেছেন তিনি।

ব্রিস্টলে চলছে রোবট অলিম্পিক

ব্রিস্টলে চলছে রোবট অলিম্পিক

লন্ডন অলিম্পিক জ্বর ছাড়তে না ছাড়তেই ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলে শুরু হয়েছে রোবটদের অলিম্পিক গেইমস হিসেবে খ্যাত ‘ফিরা রোবো ওয়ার্ল্ড কাপ’। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ২৬টি দল অংশ নিচ্ছে এই রোবট অলিম্পিকে। এবার প্রথমবারের মতো রোবো ওয়ার্ল্ড কাপের আয়োজক হয়েছে ইংল্যান্ড। খবর টেলিগ্রাফ-এর।

ফিরা ওয়ার্ল্ড কাপে ফুটবল, বাস্কেটবল এবং ওয়েটলিফটিংয়ের মতো নানা ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে রোবটগুলো। এর মধ্যেই রোবট দুনিয়ার বেশ কয়েকটি রেকর্ডও ভেঙ্গে গেছে রোবো ওয়ার্ল্ড কাপে।

রোবো ওয়ার্ল্ড কাপেও আছেন এবারের রেকর্ড করা উসাইন বোল্টের মতো অ্যাথলিট। তবে রোবো ওয়ার্ল্ড কাপের উসাইন বোল্টের জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নয়, সিঙ্গাপুরে। ইভেন্টটির আয়োজক ড. গুইডো হারমান জানিয়েছেন, রোবট স্প্রিন্টে ৪২ সেকেন্ডের রেকর্ডটি ভেঙ্গে দিয়েছে টিম সিঙ্গাপুরের রোবটটি। মাত্র ৩১ সেকেন্ড দৌড়ে রোবটটি তৈরি করেছে নতুন রেকর্ড।

তবে রোবো অলিম্পিকে পুরো ১০০ মিটার দৌড়াতে হয়না রোবটদের। কেবল ৩ মিটার ট্র্যাকে যাওয়া এবং ফেরত আসার মাধ্যমেই শেষ হয়ে যায় রোবট স্প্রিন্ট ইভেন্ট।

ড. হারমান আরো জানিয়েছেন, এবারের রোবো ওয়ার্ল্ড কাপের ওয়েট লিফটিং ইভেন্টেও যে নতুন রেকর্ড হবে তা নিশ্চিত। ওয়েট লিফটিং ইভেন্টের জন্য ব্যবহার করা হয় ডিভিডি ডিস্ক। রোবট দুনিয়ায় একসঙ্গে ৮৯টি ডিভিডি উত্তোলনের রেকর্ড রয়েছে। তবে ড. হারমান জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই ট্রেইনিংয়ের সময় ১০০টিরও বেশি ডিভিডি উত্তোলন করেছে বেশ কয়েকটি রোবট।

রেসকোর্স আর ওয়েট লিফটিং-এ রেকর্ড ভাঙ্গা-গড়া চললেও রোবো ওয়ার্ল্ড কাপের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইভেন্ট হচ্ছে ফুটবল। তবে প্রতিটি ইভেন্টেই প্রতিযোগী রোবটগুলোর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে বলেই জানিয়েছেন আয়োজক ড. হারমান।


এবার মঙ্গলে অ্যাংরি বার্ডস

এবার মঙ্গলে অ্যাংরি বার্ডস

মঙ্গল অভিযানে নামছে অ্যাংরি বার্ডস। অ্যাংরি বার্ডস নির্মাতা রোভিও জানিয়েছে, জনপ্রিয় গেইম ‘অ্যাংরি বার্ডস স্পেস’-এর নতুন আপডেটটি গেইমারদের খেলতে হবে রেড প্ল্যানেট হিসেবে খ্যাত মঙ্গলের বুকে। খবর এবিসি নিউজ-এর।

অ্যাংরি বার্ডস স্পেসের নতুন আপডেটটির ট্রেইলার তৈরিতে রোভিও পেয়েছে নাসার সহযোগিতা। ট্রেইলারটিতে ব্যবহার করা হয়েছে নাসার মার্স রোভার কিউরিওসিটির করা ভিডিওর কিছু অংশ। বিভিন্ন লেভেলেও গেইমাররা পাবেন নাসার স্পেসক্র্যাফট ব্যবহারের সুযোগ।

এ ব্যাপারে নাসার অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ফর কমিউনিকেশন ডেভিড উইভার বলেন, ‘নাসার মার্স মিশন সম্পর্কে জানেন না এমন অনেকের কাছেই ব্যাপারটি সহজবোধ্য করে তুলে ধরছে রোভিও।’

নাসার সঙ্গে রোভিওর সম্পর্ক এবারই প্রথম নয়। মার্চ মাসে অ্যাংরি বার্ডস স্পেস বাজারে আসলে, গেইমটিতে ব্যবহার করা পদার্থবিজ্ঞানের বিষয়গুলো বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নাসার ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার ডন পেটিট।

২৫ বছর পর লোগো বদলালো মাইক্রোসফট

২৫ বছর পর লোগো বদলালো মাইক্রোসফট

দুই দশকেরও বেশি পুরনো লোগোতে পরিবর্তন এনে নতুন সাজে সাজছে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফট। ১৯৭৫ সালের পর এটা মাইক্রোসফটের লোগোর পঞ্চম সংস্করণ। মাইক্রোসফটের অফিসিয়াল ব্লগে তথ্যটি ঘোষণা করেন কোম্পানির ব্র্যান্ড স্ট্যাটিজির জেনারেল ম্যানেজার জেফ হ্যানসেন। খবর টেকট্রির।

উইন্ডোজ ৮, উইন্ডোজ ফোন ৮, অফিস সুইট এবং এক্সবক্স ৩৬০-এর মতো সবগুলো মাইক্রোসফট পণ্যেই ব্যবহার করা হবে নতুন লোগোটি।

ইতোমধ্যেই মাইক্রোসফটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চলে এসেছে নতুন লোগোটি। তবে পৃথিবীব্যাপী মাইক্রোসফট পণ্য বিক্রেতাদের কাছে নতুন লোগোসহ পণ্যগুলো পৌঁছুতে সময় লাগবে আরো কয়েক মাস।

ধারণা করা হচ্ছে, উইন্ডোজ ৮ এবং মাইক্রোসফটের নতুন লোগোসমৃদ্ধ পণ্যগুলো বাজারে আসবে একই সময়ে। মাইক্রোসফটের নতুন লোগোটির মিল রয়েছে উইন্ডোজ ৯৫-এ ব্যবহার করা লোগোটির সঙ্গে।




চলে গেলেন নেইল আর্মস্ট্রং

চলে গেলেন নেইল আর্মস্ট্রং

মারা গেলেন চাঁদে পা দেয়া প্রথম মানব সন্তান নেইল আর্মস্ট্রং। প্রয়াত এই মহাকাশযাত্রীর পরিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচারজনিত সমস্যায় ২৫ অগাস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮২ বছর বয়সি আর্মস্ট্রং। খবর বিবিসির।

‘অ্যাপোলো ১১’ মিশনের কমান্ডার হিসেবে আর্মস্ট্রং চাঁদের বুকে পা রাখেন ১৯৬৯ সালের ২০ জুন। ঐতিহাসিক ওই ঘটনাকে বলা হয় আর্মস্ট্রংয়ের একটি উক্তি দিয়েই, যা তিনি বলেছিলেন চাঁদে পা দিয়ে- ‘ওয়ান স্মল স্টেপ ফর ম্যান, ওয়ান জায়ান্ট লিপ ফর ম্যানকাইন্ড।’ বাংলায়- একজন ব্যক্তির জন্য (এটি) ছোট্ট এক পদক্ষেপ, (কিন্তু) মানবজাতির জন্য বড় একটি অগ্রগতি।’ সে সময় নেইল আর্মস্ট্রং এবং এডউইন অলড্রিন ৩ ঘণ্টা সময় কাটান চাঁদের বুকে।

অ্যাপলো ১১-ই ছিলো আর্মস্ট্রংয়ের শেষ স্পেস মিশন। ১৯৭১ সালে নাসা থেকে অবসর নেন এই কিংবদন্তী মহাকাশচারী। এরপর অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষক হিসেবেই কাটিয়ে দেন নিজের পেশাগত জীবন।

আর্মস্ট্রংয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ওবামা বলেন, ‘আর্মস্ট্রং কেবল তার সময়ের নয় বরং সর্বকালের শ্রেষ্ঠ আমেরিকান নায়কদের একজন।’

হৃৎপিণ্ডে ব্লক থাকার কারণে ৭ অগাস্ট অস্ত্রোপচারের টেবিলে যেতে হয়েছিলো কিংবদন্তী মহাকাশযাত্রীকে। আর্মস্ট্রংয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পরবর্তী  জটিলতার কারণে মারা যান তিনি।

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল