বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১২

জীবন বাঁচাবে 'ব্লাড বুস্টার'

জীবন বাঁচাবে 'ব্লাড বুস্টার'

প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের ফলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা রোগীদের জীবন বাঁচাতে পারে এমপিফোরওএক্স (MP4OX) বা ব্লাড বুস্টার। নষ্ট হয়ে যাওয়া ব্লাড ট্রান্সফিউশনের সংগ্রহ করা রক্ত থেকে ওষুধটি বানিয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিকাল প্রতিষ্ঠান স্যানগার্ট। বৃটেনসহ বিশ্বের একাধিক দেশের ৫৬টি সেন্টারে ওষুধটির কার্যক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। খবর বিবিসির।

এমপিফোরওএক্স নিয়ে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের নেতৃত্ব দিচ্ছে দি রয়াল লন্ডন হসপিটাল। শরীরের সবখানে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পৌঁছে দিয়ে লাল রক্তকণিকার মতো কাজ করে ওষুধটি। লাল রক্তকণিকার হিমোগ্লোবিন মলিকিউলগুলো অক্সিজেন বহন করে শরীরের মাংশপেশী এবং কোষগুলোতে পৌঁছে দেয়।

কিন্তু রক্তক্ষরণের ফলে দূর্বল রোগীদের শরীরে লাল রক্তকণিকার সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিভিন্ন অঙ্গ নষ্ট হয়ে হয়ে বিপদের মুখে পড়েন রোগী, যা তার জীবনহানির কারণও হতে পারে। এমপিফোরওএক্সের নির্মাতারা বলছেন, শরীরের সবস্থানে লাল রক্তকণিকার মতো অক্সিজেন পৌঁছে দেবে ওষুধটি। কাজ করবে ব্লাড বুস্টার হিসেবে।

এমপিফোরওএক্স নিয়ে বৃটেনের মেডিকাল ট্রায়ালগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছেন রয়াল লন্ডন হসপিটালের প্রফেসর কারিম ব্রোহি। এ ব্যাপারে ব্রোহি বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা এবং ছুরিকাঘাতে আহত ব্যক্তিদের শরীরে আমরা এই ওষুধটি পরীক্ষা করে দেখেছি। পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী অন্যান্য রোগীদের তুলনায় তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন নতুন ওষুধটি নেয়া রোগীরা।’

প্রাথমিক অবস্থায় ৫০ জন রোগীর শরীরে ওষুধটি প্রয়োগ করার পর ইতিবাচক ফল পাওয়ায়, এখন বিশ্বব্যাপী ৩৬০ জনেরও বেশি রোগীর শরীরে ওষুধটির কার্যক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
পুরোপুরি কার্যক্ষম এবং নিরাপদ প্রমাণিত হলে রক্তক্ষরণের ফলে জীবনাবসানের হুমকিতে থাকা অসংখ্য ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে পারে ব্লাড বুস্টার এমপিফোরওএক্স।

'এলিটপ্যাড ৯০০' ট্যাবলেট আনছে এইচপি

'এলিটপ্যাড ৯০০' ট্যাবলেট আনছে এইচপি

‘এলিটপ্যাড ৯০০’ দিয়ে ট্যাবলেট ডিভাইসের বাজার দখলের লড়াইয়ে যোগ দিচ্ছে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা এইচপি। আইপ্যাড আর গ্যালাক্সি ট্যাবলেট পিসির ভিড়ে এইচপির নতুন ‘এলিটপ্যাড ৯০০’ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে। খবর সিনেট-এর।

‘এলিটপ্যাড ৯০০’ ট্যাবলেটে থাকবে ১০.১ ইঞ্চি আকারের, ১২৮০ বাই ৮০০ পিক্সেলের গরিলা গ্লাস ডিসপ্লে। এইচপি জানিয়েছে, ১ দশমিক ৫ পাউন্ড ওজন হবে ট্যাবলেট পিসিটির। ৯.২ মিলিমিটার পুরু ট্যাবলেটটি চলবে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমে।

ট্যাবলেটটিতে নতুন প্রজন্মের ইনটেল অ্যাটম মোবাইল প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এইচপি। ট্যাবলেটটিতে আরও থাকবে ২ জিবি র‌্যাম এবং ৬৪জিবি হার্ড ড্রাইভ।

২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ট্যাবলেটটি বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছে এইচপি।

এইচটিসির আনরিলিজড ফোনের রহস্য প্রকাশ

এইচটিসির আনরিলিজড ফোনের রহস্য প্রকাশ

মার্কেটে আসার আগেই ফাঁস হয়ে গেছে এইচটিসির ওয়ান এক্স প্লাস ডিভাইসের কিছু অপ্রকাশিত তথ্য। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা আসার আগেই সেটটিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ফিচারের তথ্য প্রকাশ করে দিয়েছে পকেট লিন্ট। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

এইচটিসির ওয়ান সিরিজ ফোনটি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে ব্যবহারকারীদের কাছে। তবে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের মতো বিশ্ববাজারে স্মার্টফোনের বাজার ধরতে পারেনি এইচটিসি।

এইচটিসির আনরিলিজড ডিভাইস ওয়ান এক্স প্লাস-এর ছবি প্রকাশের খবর অনলাইন মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। জানা গেছে, এতে টেগরা থ্রি প্লাস কোয়াড কোর ১.৬ গিগাহার্টস বা ১.৭ গিগাহার্টস গতির প্রসেসর ও ১৮০০ এমএএইচ ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। ডিভাইসটিতে ১ জিবি র‌্যাম, ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং বিটস অডিও রয়েছে। সঙ্গে আছে ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। তাছাড়া এতে অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলি বিন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।

ম্যাপিং নিয়ে জোটবদ্ধ নোকিয়া-ওরাকল

ম্যাপিং নিয়ে জোটবদ্ধ নোকিয়া-ওরাকল

ম্যাপিং সার্ভিস নিয়ে নতুন চুক্তিতে আসছে মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নোকিয়া ও সফটওয়্যার ফার্ম ওরাকল। এর ফলে নোকিয়ার ম্যাপিং সার্ভিস ব্যবহারের সুযোগ পাবেন ওরাকলের ক্রেতারা। খবর রয়টার্স-এর।

২০০৮ সালে বিশ্বের বৃহত্তম ডিজিটাল ম্যাপিং ফার্ম নাভটেক কিনে নিয়েছিলো নোকিয়া। এরপর থেকে ম্যাপিং সার্ভিস দেয়ার জন্য গ্রুপঅন এবং অ্যামাজনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শীর্ষস্থানীয় ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ম্যাপিং সার্ভিস নিয়ে চুক্তিতে আসার চেষ্টা করছিলো নোকিয়া।

স্মার্টফোন বাজারে পিছিয়ে পড়লেও ম্যাপিং সার্ভিস দিয়ে সাফল্যের মুখ দেখেছে নোকিয়া। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সফটওয়্যার ফার্ম ওরাকলের সঙ্গে নতুন চুক্তি আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে নোকিয়াকে।

সাউন্ড ব্যারিয়ার জয় করবেন বমগার্টনার

সাউন্ড ব্যারিয়ার জয় করবেন বমগার্টনার

ফুটন্ত জলের মতোই ফুটতে পারে তার রক্ত, বিস্ফোরিত হতে পারে মস্তিষ্ক। তার পরও ৮ অক্টোবর মহাকাশ থেকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে লাফিয়ে পড়বেন ডেয়ার ডেভিল ফিলিক্স বমগার্টনার। সফল হলে তিনিই হবেন আকাশ থেকে লাফ দেয়া পৃথিবীর প্রথম সুপারসনিক গতির মানুষ। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

মাটি থেকে ২৩ কিলোমিটার উপরের একটি স্পেস ক্যাপসুল থেকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে লাফিয়ে পড়বেন বমগার্টনার। ওই ফ্রি ফলের সময় তার গতি ঘণ্টায় ৬৯০ মাইল ছাড়িয়ে যাবে বলেই ধারণা করছেন বমগার্টনার।

ফ্রি ফলের সময় বমগার্টনারের পরনে থাকবে প্রেশারাইজড স্পেস স্যুট ও একটি হেলমেট। চিকিৎসক, প্রকৌশলী বমগার্টনারের স্পন্সর রেড বুল টিমের সদস্যরা টানা পাঁচ বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছেন বমগার্টনারের ফ্রি ফলটিকে যতোটা সম্ভব নিরাপদ করতে।