বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১২

বিবিসি, সিএনএন সাইটের বিরুদ্ধে অভিযোগ মাইক্রোসফটের!

বিবিসি, সিএনএন সাইটের বিরুদ্ধে অভিযোগ মাইক্রোসফটের!

কপিরাইট আইন লক্সঘনের কথা বলে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন থেকে বিবিসির ওয়েবপেইজগুলো সরিয়ে ফেলার আব্দার জানিয়েছিলো মাইক্রোসফট! শুধু বিবিসি নয়, একই অভিযোগের শিকার সিএনএন, উইকিপিডিয়া এবং মার্কিন সরকার। তবে এজন্য দায়ী মাইক্রোসফটের অটোমেটেড সিস্টেমের ভুল। খবর বিবিসির।

ইন্টারনেটে অবৈধভাবে মাইক্রোসফটের কপিরাইট করা কনটেন্ট শেয়ারিং ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে বিশেষ একটি সফটওয়্যার। অবৈধ কন্টেন্ট খুঁজে পেলেই ওয়েবপেইজটি সরিয়ে দিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুগলের কাছে আবেদন পাঠায় সফটওয়্যারটি। মাইক্রোসফটের ওই সফটওয়্যারের ভুলেই বিবিসি এবং সিএনএন-এর মতো সংবাদসংস্থার পেইজগুলো সার্চ ইঞ্জিন থেকে সরিয়ে ফেলার অনুরোধ চলে গিয়েছিলো গুগলের কাছে।

সফটওয়্যারটি একই রকম ভুল টেকডাউন রিকোয়েস্ট করেছিলো বাজফিড, হাফিংটন পোস্ট এবং টেকক্রাঞ্চের মতো ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে। অবশ্য গুগলের অনুমোদিত ওয়েবসাইটগুলোর তালিকায় বিবিসি থাকায় কোনো প্রভাব পড়েনি সংবাদ সংস্থাটির সাইটে। তবে এতে গুগলের লিস্ট থেকে সরে গেছে এএমসি থিয়েটার এবং রিয়ালক্লিয়ার পলিটিক্স-এর মতো ওয়েবসাইটগুলো।

এ ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ।

'রঙিন মধু' বানাচ্ছে চকলেটপ্রেমী মৌমাছি!

'রঙিন মধু' বানাচ্ছে চকলেটপ্রেমী মৌমাছি!


ফ্রান্সে চাক ভর্তি নীল আর সবুজ রংয়ের মধু বানাচ্ছে চকলেটপ্রেমী মৌমাছি! তবে মধুপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ, বিক্রির জন্য নয় এই রঙিন মধু। ফ্রান্সের আলসাস অঞ্চলে ঘটছে এই চমকপ্রদ ঘটনা। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

ফুলের নির্যাস সংগ্রহ করা বাদ দিয়ে ফ্রান্সের আলসাস অঞ্চলের মৌমাছিগুলো আহরণ করছে স্থানীয় বায়োপ্ল্যান্টের প্রক্রিয়াজাত চিনি আর চকলেট ফ্যাক্টরি এমঅ্যান্ডএম-এর বর্জ্য। আর এতেই তৈরি হচ্ছে রঙিন মধু।


সাধারণ মৌমাছিগুলো ফুল থেকে অপরিশোধিত মধু সংগ্রহ করে পৌঁছে দেয় মৌচাকের দায়িত্বে থাকা মৌমাছিদের কাছে। ওই মৌমাছিগুলোর পাকস্থলীতে প্রক্রিয়াজাত হয় অপরিশোধিত মধু। মৌচাকে ওই মধু জমা করে মৌমাছিগুলো। এরপর পাকস্থলী থেকে বের হওয়া মধুর আর্দ্রতা জলীয় বাস্প হয়ে উড়ে গেলে থেকে যায় বিশুদ্ধ মধু।

এদিকে মৌমাছিরা ফুলের মধু ছেড়ে শিল্পকারখানার প্রক্রিয়াজাতকৃত চিনির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন আলসাসের মধু চাষিরা। বিক্রি করতে পারছেন না তাদের সংগৃহীত মধু। আলসাসের স্থানীয় মধু ব্যবসায়ী আন্দ্রে ফ্রিহে জানান, মৌচাক থেকে সংগ্রহ করা নীল ও সবুজ রংয়ের পদার্থগুলো দেখতে মধুর মতো। স্বাদটাও অনেকটা একই রকম। তবে ওই তরল আর যাই হোক মধু নয়।

অন্যদিকে এই সমস্যা সমাধান করতে ভবিষ্যতে বর্জ্য পদার্থগুলো ঢেকে রাখার এবং ওয়েস্ট কন্টেইনারগুলো যতোটা সম্ভব পরিচ্ছন্ন রাখার কথা দিয়েছে স্থানীয় বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট অ্যাগ্রিভ্যালোর এবং চকলেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমঅ্যান্ডএম।

বেসরকারি মহাকাশযানের যাত্রা শুরু

বেসরকারি মহাকাশযানের যাত্রা শুরু

রোববার বেসরকারিভাবে নির্মিত প্রথম কার্গো মহাকাশযান ‘স্পেসএক্স’ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। স্পেস শাটলগুলো অবসরে যাওয়ার পর মহাকাশ স্টেশনের সাপ্লাই চেইন চালু রাখার উদ্দেশ্যে চুক্তিভিত্তিক এধরনের মহাকাশযানের ওপর নির্ভর করার পরিকল্পনা করেছে নাসা। খবর সিনেট-এর।

ড্রাগন ক্যাপসুল এবং এর ফ্যালকন রকেট স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিতে তৈরি হয়েছে মপমফ নভোযান। ১৬০ কোটি ডলার চুক্তিতে নাসার জন্য এটিই প্রথম অপারেশনাল ফ্লাইট মহাকাশযানটির। ১৫৭ ফিট লম্বা নভোযানটি সেকেন্ডে ৫ মাইল গতিতে পৃথিবীকে আবর্তন করবে।

রাশিয়ান, ইউরোপিয়ান এবং জাপানি কার্গো নিয়মিত স্টেশনটি ভিজিট করে। আগামী  তিন সপ্তাহ মহাকাশ স্টেশনটির কর্মীরা আধ টন সরঞ্জাম সেখানে নামাবে। এছাড়াও এতে থাকবে একটি ফ্রিজার, খোলা যন্ত্রাংশ, নভোচারিদের পোশাক এবং খাবার।

নাসার হেডকোয়ার্টার থেকে স্পেস স্টেশনের প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট জুলি রবিনসন বলেন, ‘স্পেসএক্স ড্রাগন নভোযানটি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি ল্যাবরেটরিতে ব্যবহারের জন্য আইএসএস সাপোর্ট করবে। উভয়ই কার্গো স্পেস স্টেশনে যাবে এবং গবেষণার জন্যে স্যাম্পল নিয়ে ফিরবে। এটি শুধু কনসিসটেন্ট সাপ্লাই চেইন আপ-এর জন্যে যাচ্ছে না। বায়োলজিকাল গবেষণার জন্য এটি ফ্রোজেন স্যাম্পল নিয়ে আসবে।’

স্টেম সেল থেকে জন্ম হলো দুই প্রজন্ম

স্টেম সেল থেকে জন্ম হলো দুই প্রজন্ম

ত্বক থেকে সংগ্রহ করা স্টেম সেল থেকে পর পর দু’টি প্রজন্মের ইঁদুর জন্ম দিতে পেরেছেন জাপানি বিজ্ঞানীরা। এর আগে ইঁদুরের ত্বক থেকে নেয়া স্টেম সেল ব্যবহার করে ডিম্বানু সৃষ্টি করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। খবর বিবিসির।

গবেষণাগারে তৈরি ডিম্বানুকে পুরুষ ইঁদুরের শুক্রানু প্রয়োগ করে নিষিক্ত করা হয়। পরিপক্ক হবার পর তা জন্ম দেয় সুস্থ-সবল ইঁদুর ছানার। আর বড় হবার পর সাধারণ ইঁদুরের মতোই বংশবৃদ্ধি করে বিজ্ঞানীদের চমকে দেয় স্টেম সেল থেকে জন্ম নেয়া ইঁদুরগুলো।

একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্তান জন্মদানে অক্ষম দম্পতিরা সন্তান পেতে পারেন বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। তবে এই প্রযুক্তি মানব শরীরে ব্যবহারের আগে পেরিয়ে আসতে হবে বৈজ্ঞানিক এবং নৈতিক প্রতিবন্ধকতা।

স্টেম সেল থেকে তৈরি প্রাথমিক পর্যায়ের ইঁদুরের ডিম্বানুগুলোর চারপাশে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেন একটি ডিম্বাশয়। তারপর একটি মেয়ে ইঁদুরের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয় ডিম্বাশয়টি। এরপর পুরুষ ইঁদুরের শুক্রানু প্রয়োগ করা হয় ডিমগুলোতে। এরপর ওই ডিমগুলো আবার প্রতিস্থাপন করা হয় মা ইঁদুরের শরীরে।

কিয়োটো ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ড. কাতসুহিকো হায়াশি বলেন, ‘স্টেম সেল থেকে তৈরি ওই ডিমগুলো পরিণত হয় সুস্থ-সবল ইঁদুর ছানায়।’ মজার ব্যাপার হচ্ছে, সাধারণ ইদুঁরের মতোই বংশবৃদ্ধি করে ওই ইদুঁরগুলো। সে দৃষ্টিকোণ থেকে স্টেম সেলগুলোকে ইঁদুরছানাগুলোর দাদু বললেও ভুল হবে না।

বিজ্ঞানীদের এই গবেষণার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে, সন্তানহীন দম্পতিদের সাহায্য করা। তবে ইঁদুরের শরীরে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে, মানুষের শরীরে যে হুবহু একই প্রযুক্তি হয়তো ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। মানব শরীরের প্রজনন ব্যবস্থার অনেককিছুই এখনও বিজ্ঞানীদের অজানাই রয়ে গেছে। তাই স্টেম সেলের প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানব শিশু জন্মদানে বিজ্ঞানীদের পেরিয়ে আসতে হবে অনেকটা পথ। এছাড়া ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতাও পেরোতে হবে।

পেছালো বমগার্টনারের সুপারসনিক স্কাইডাইভ

পেছালো বমগার্টনারের সুপারসনিক স্কাইডাইভ

খারাপ আবহাওয়ার কারণে পিছিয়ে গেলো অস্ট্রিয়ান ডেয়ারডেভিল ফিলিক্স বমগার্টনারের মহাকাশ থেকে সুপারসনিক স্কাইডাইভিংয়ের নির্ধারিত দিন। সোমবার ভূপৃষ্ঠের ২৩ মাইল উপরের একটি স্পেস ক্যাপসুল থেকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে লাফিয়ে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার কথা ছিলো বমগার্টনারের। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ৮ অক্টোবর থেকে পিছিয়ে স্কাইডাইভিংয়ের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ অক্টোবর। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

৮ অক্টোবর বমগার্টনারের স্কাইডাইভিংয়ের দিন নির্ধারিত হলেও তা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে ঝড়ো বাতাসের কারণে। বমগার্টনারের ‘রেড বুল স্ট্র্যাটোস’ টিমের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি জানান, সোমবার ঝড়ো বাতাসের পাশাপাশি কমে আসবে তাপমাত্রা। বৃষ্টিও হতে পারে বমগার্টনারের লঞ্চ সাইটে। এ কারণে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বমগার্টনারের স্কাইডাইভিংয়ের দিন।

আবহাওয়া ঠিক থাকলে ৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার ইতিহাস গড়বেন বমগার্টনার। প্রথমে একটি হিলিয়াম বেলুন বমগার্টনারের জন্য তৈরি স্পেস ক্যাপসুলটিকে পৌঁছে দেবে মাটি থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ফিট বা ২৩ মাইল উচ্চতায়। এরপর মহাকাশ থেকে লাফিয়ে পড়বেন বমগার্টনার। ধারণা করা হচ্ছে, এসময় শব্দের চেয়েও বেশি হবে বমগার্টনারের পতনের গতি। সফল হলে বমগার্টনার হবেন পৃথিবীর প্রথম ‘সুপারসনিক মানব’।