সোমবার, ৬ আগস্ট, ২০১২

মঙ্গলে অবতরণ করছে 'কিউরিওসিটি'

মঙ্গলে অবতরণ করছে 'কিউরিওসিটি'

মহাকাশযাত্রার ইতিহাসের সবচেয়ে নাটকীয় ঘটনাটি ঘটতে পারে রেববার। ওইদিন মঙ্গলে অবতরণের কথা রয়েছে নাসার পারমানবিক শক্তিচালিত মার্স রোভার ‘কিউরিওসিটি’র। কিউরিওসিটি মঙ্গলে সফলভাবে অবতরণ করলে তা হবে মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসের সবচেয়ে জটিল আর দুঃসাহসিক ঘটনাগুলোর একটি। খবর গিজম্যাগ-এর।

মঙ্গল গ্রহকে বলা হয় আমাদের সোলার সিস্টেমের ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’। মঙ্গলে গবেষণার কাজে যে নভোযানগুলো পাঠানো হয় তার অর্ধেকেরও বেশি মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করেই ধ্বংস হয়ে যায়। এর মূল কারণ হচ্ছে, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল। পৃথিবী বা চাঁদের তুলনায় অনেক বিপজ্জনক মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় তা অনেকাংশে কমিয়ে দেয় নভোযানটির গতি। কিন্তু মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তুলনায় এতোই পাতলা যে, মহাকাশযানের গতি কমাতে পারে না। মার্স রোভার মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে প্রতি ঘণ্টায় ১৩ হাজার ২০০ মাইল গতিতে।

মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ঘর্ষণসৃষ্ট তাপ থেকে রক্ষা পেতে কিউরিওসিটির রয়েছে ১৪.৮ ফিল্ড ডায়ামিটারের একটি হিট শিল্ড। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পর কিউরিওসিটি মুখোমুখি হবে ৩,৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার। ওই ভয়াবহ তাপ থেকে নভোযানটি রক্ষা করতে নাসার বিজ্ঞানীরা হিট শিল্ডটি তৈরি করেছেন ফেলোনিক ইমপ্রেগনেটেড কার্বন অ্যাবলাটর দিয়ে।

নাসার তৈরি অন্য মার্স রোভারগুলোর তুলনায় কিউরিওসিটি অনেকখানি ভিন্ন। কিউরিওসিটির মাধ্যমে অনেক পুরনো অর্জনকে টপকে গেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ৮৯৯ কেজি ওজনের কিউরিওসিটি আসলে স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল বা এসইউভির আদলে তৈরি একটি রোবট। আর দানবীয় ওই রোবটি চলবে পারমাণবিক শক্তিতে।

মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর কিউরিওসিটি ল্যাণ্ড করবে প্যারাসুটের সাহায্যে। প্যারাসুট খোলার ২৪ সেকেন্ড পর নভোযানটি থেকে খুলে আলাদা হবে হিট শিল্ডটি। এরপর রকেট পাওয়ার্ড স্কাই ক্রেনের সাহায্য নিয়ে মঙ্গলের বুকে অবতরণ করবে কিউরিওসিটি।


বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১২

আইগিলস কেসিং আইফোন কে বানাবে আন্ডারওয়াটার ক্যামেরা

আইগিলস কেসিং আইফোন কে বানাবে আন্ডারওয়াটার ক্যামেরা

গভীর পানিতে আইফোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে আইগিলস এই-৩৫ কেসিং। পানির ১৩০ ফিট গভীর পর্যন্ত পুরোপুরি পানি নিরোধক থাকবে এই স্মার্টফোন কেসিংটি। শুধু তাই নয় ওয়াটারপ্রুফ কেসিংটির বদৌলতে পুরোদস্তুর ডাইভিং কম্পিউটার হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে আইফোন। খবর গিজম্যাগের।

আইগিলস এসই-৩৫ তৈরি করা হয়েছে পলিকার্বোনেট দিয়ে, যা বুলেটপ্রুফ কাঁচ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। কেসিংটির সঙ্গেই থাকবে নতুন একটি অ্যাপ্লিকেশন, যা পানির গভীরে নেভিগেশন টুল এবং ডাইভ লগের কাজ করবে। আরো আছে পানির গভীরতা এবং তাপমাত্রা মাপার জন্য বিশেষ সেন্সর এবং ৬টি বিশেষ বাটন, যা দিয়ে আইফোনের প্রায় সব কাজই করা যাবে পানির নিচে।

আইফোন থ্রিজিএস, ফোর এবং ফোরএস-এই তিনটি মডেলে ব্যবহার করা যাবে আইগিলস এসই-৩৫। কেসিংটির বদৌলতে গভীর পানিতেও আইফোনের সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও এটি ব্যবহার করে ছবি ও ভিডিও করা যাবে।

তবে, পানির নিচে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা বা মেসেজিংয়ের সুবিধাগুলো পাবেননা ব্যবহারকারীরা।



এডিডাস বানালো স্মার্ট প্লেয়ার ট্র্যাকিং সিস্টেমএডিডাস বানালো স্মার্ট প্লেয়ার ট্র্যাকিং সিস্টেম

এডিডাস বানালো স্মার্ট প্লেয়ার ট্র্যাকিং সিস্টেম

২৫ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় শুরু হচ্ছে ‘মেজর লিগ সকার অল-স্টার গেইম ২০১২’। এ গেইম দিয়েই ফুটবল মাঠে অভিষেক হবে অ্যাডিডাসের নতুন প্লেয়ার ট্র্যাকিং প্রযুক্তির। খবর আইটেকপ্রেস-এর।

এডিডাস তাদের নতুন এই প্লেয়ার ট্র্যাকিং সিস্টেমের নাম দিয়েছে ‘মাইকোচ এলিট সিস্টেম’। ডিভাইসটি ব্যবহার করে মাঠে খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স, ফিটনেস এবং খেলার পর তাদের শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করার সুযোগ পাবেন কোচ এবং ফিজিওথেরাপিস্টরা।

ডিভাইসটিতে রয়েছে একটি প্লেয়ার সেল, যা খেলোয়াড়দের ইউনিফর্মের কাঁধের একটি পকেটে থাকবে। এত আরো রয়েছে আরএফ রেডিও, থ্রিডি এক্সিলেরোমিটার, জিপিএস ইউনিট, জাইরোস্কোপ এবং একটি ম্যাগনেটোমিটার। মাঠে খেলোয়াড়দের হার্ট রেট, গতি, শক্তি, এ সবই মনিটর করবে মাইকোচ এলিট সিস্টেম। সব ডেটা পঠানো হবে মাঠের সাইডলাইনে থাকা একটি কম্পিউটারে। সেখান থেকে ডেটাগুলো চলে যাবে কোচের আইফোনে।

এ ব্যাপারে অ্যাডিডাসের সিইও হারবার্ট হাইনার বলেন, ‘মেজর লিগ সকার অল-স্টার গেইমের মাধ্যমে খেলার মাঠে আমাদের নতুন প্রযুক্তির অভিষেক ঘটাতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা সবসময়ই খেলাধুলার জগতে এরকম নতুন প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে চাই।’

আইবিএম অফিসে আইফোনের সিরি নিষিদ্ধ

আইবিএম অফিসে আইফোনের সিরি নিষিদ্ধ

গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাবার ভয়ে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস বা আইবিএম-এর অফিসে আইফোন ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। আইবিএম-এর অফিসে আইফোন নিয়ে ঢুকা গেলেও অফিসের মধ্যে এর ‘সিরি’ ফিচারটি ব্যবহার করা যাবে না। খবর সিএনএন-এর।

আইফেনের ফিচার ‘সিরি’র ওপর এ নিষেধাজ্ঞার কারণ হলো, আইফোনের ভয়েজ অ্যাকটিভেটেড ডিজিটাল ফিচার সিরি, শব্দ থেকে তথ্যে রূপান্তর করে উত্তর ক্যারোলিনার মেইডেনে অ্যাপলের মূল তথ্যকেন্দ্রে পাচার করে দিতে পারে। অর্থাৎ সিরি ব্যবহারকারীর সব মেইল এবং সব সার্চের তথ্য সম্ভবত জমা হয় অ্যাপলের তথ্যকেন্দ্রে-এমনটাই আশঙ্কা আইবিএম-এর। আর তাই তাদের অফিসে সিরি ব্যবহৃত হলে এর ভেতরের তথ্যও অ্যাপলের তথ্যকেন্দ্রে চলে যাবার ভয় থাকে।

আইবিএম-এর প্রধান তথ্য কর্মকর্তা জেনেট হোরান বলেছেন, ‘আমাদের কোম্পানির সন্দেহ হলো, সিরিতে যেসব তথ্য অনুসন্ধান করা হয়, তা অবশ্যই কোথাও না কোথাও সংরক্ষণ করা হয়।’

সিরির ডেভেলপারদের মতে সিরি তৈরির ক্ষেত্রে তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা ছিলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর প্রধান ডেভেলপার এডওয়ার্ড ওয়ার্নবেক বলেন, ‘শুধু আপনি কোথায় আছেন, বা আপনার অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংরক্ষণ কখনোই গোপনীয়তা ফাঁস করতে পারে না।’

তবে কয়েকমাস আগেই তথ্য ফাঁস হবার ভয়েই আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়নও সিরি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

ফেইসবুকে খোঁজ মিললো হারানো সন্তানের!

ফেইসবুকে খোঁজ মিললো হারানো সন্তানের!

অনেকটা সিনেমার গল্পের মতো শোনালেও, সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেইসবুকের মাধ্যমে ২১ বছর পর নিজের সন্তানকে খুঁজে পেলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডন গিবসন। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

৮০-র দশকে বৃটেনে ক্রিসির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিলো মার্কিন এয়ারম্যান ডন গিবসনের। ১৯৮৯ সালে বিয়ে করেন এই প্রেমিক জুটি; আর বছর খানেক পরেই জন্ম হয় তাদের একমাত্র সন্তান ক্রেইগের। এর কিছুদিনের মধ্যেই মার্কিন বিমান বাহিনীতে কাজের খাতিরে নিজের দেশে ফিরতে হয় গিবসনকে। কিন্তু আগের দুই সন্তান এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের ছেড়ে যুক্তরাজ্যেই থেকে যান ক্রিসি। এরপর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গিবসন-ক্রিসি জুটির।

কিন্তু নিজের সন্তানকে কখনোই ভুলতে পারেনি গিবসন। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সাহায্য, প্রাইভেট ডিটেক্টিভ থেকে শুরু করে অনলাইন ট্র্যাকিং কোম্পানি- সবধরনের উপায়েই ক্রেইগের খোঁজ করেছেন গিবসন। কিন্তু খোঁজ পাননি তার সন্তানের। অন্যদিকে ১২ বছর বয়স থেকে বিভিন্ন সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করে ক্রেইগও খুঁজছিলো বাবাকে।

শেষ পর্যন্ত মাসখানেক আগে ফেইসবুকেই ক্রেইগের সন্ধান পান ডন গিবসন। ফেইসবুকে গিবসন প্রথমে খুঁজে পান ক্রেইগের সৎ ভাইকে এবং তার মাধ্যমেই খুঁজে পান ক্রেইগকে। ১৬ জুন বাবা দিবসের আগেরদিন স্কাইপ ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো কথা বলেন গিবসন এবং ক্রেইগ। আর এ বছরের অক্টোবর মাসেই বৃটেনে ফিরবেন গিবসন। ২০ বছর পর প্রথমবারের মতো সামনাসামনি দেখার সুযোগ পাবেন নিজের সন্তানকে।

ডন গিবসন এক সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তিকে ধন্যবাদ। নাহলে আমি কখনোই আমার সন্তানকে খুঁজে পেতাম না।’