মঙ্গলে অবতরণ করছে 'কিউরিওসিটি'
মঙ্গল গ্রহকে বলা হয় আমাদের সোলার সিস্টেমের ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’। মঙ্গলে গবেষণার কাজে যে নভোযানগুলো পাঠানো হয় তার অর্ধেকেরও বেশি মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করেই ধ্বংস হয়ে যায়। এর মূল কারণ হচ্ছে, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল। পৃথিবী বা চাঁদের তুলনায় অনেক বিপজ্জনক মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় তা অনেকাংশে কমিয়ে দেয় নভোযানটির গতি। কিন্তু মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তুলনায় এতোই পাতলা যে, মহাকাশযানের গতি কমাতে পারে না। মার্স রোভার মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে প্রতি ঘণ্টায় ১৩ হাজার ২০০ মাইল গতিতে।
মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ঘর্ষণসৃষ্ট তাপ থেকে রক্ষা পেতে কিউরিওসিটির রয়েছে ১৪.৮ ফিল্ড ডায়ামিটারের একটি হিট শিল্ড। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পর কিউরিওসিটি মুখোমুখি হবে ৩,৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার। ওই ভয়াবহ তাপ থেকে নভোযানটি রক্ষা করতে নাসার বিজ্ঞানীরা হিট শিল্ডটি তৈরি করেছেন ফেলোনিক ইমপ্রেগনেটেড কার্বন অ্যাবলাটর দিয়ে।
নাসার তৈরি অন্য মার্স রোভারগুলোর তুলনায় কিউরিওসিটি অনেকখানি ভিন্ন। কিউরিওসিটির মাধ্যমে অনেক পুরনো অর্জনকে টপকে গেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ৮৯৯ কেজি ওজনের কিউরিওসিটি আসলে স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল বা এসইউভির আদলে তৈরি একটি রোবট। আর দানবীয় ওই রোবটি চলবে পারমাণবিক শক্তিতে।
মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর কিউরিওসিটি ল্যাণ্ড করবে প্যারাসুটের সাহায্যে। প্যারাসুট খোলার ২৪ সেকেন্ড পর নভোযানটি থেকে খুলে আলাদা হবে হিট শিল্ডটি। এরপর রকেট পাওয়ার্ড স্কাই ক্রেনের সাহায্য নিয়ে মঙ্গলের বুকে অবতরণ করবে কিউরিওসিটি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন