ল্যান্ড মাইন চিহ্নিত করবে ন্যানো ফাইবার ফিল্ম
ল্যান্ড মাইন চিহ্নিত করবে এমন একটি ফ্লুরোসেন্ট ন্যানো ফাইবার ফিল্ম বানাচ্ছেন ইউনিভার্সিটি অফ কানেকটিকাটের বিজ্ঞানীরা। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী পৃথিবীর ৬৪টি দেশে আছে ১০ কোটিরও বেশি ল্যান্ড মাইন, যা শান্তিপূর্ণ সময়েও যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশগুলোর জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি করছে। এই সমস্যা সমাধানে ন্যানো ফাইবার ফিল্ম প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। খবর গিজম্যাগ-এর।ফিল্মটির বিশেষ কিছু রাসায়নিক পদার্থ মাটিরে গভীরে থাকা বিস্ফোরক পদার্থকে চিহ্নিত করতে পারে। প্রথমে পেপার টাওয়েলের মতোই মাটিতে ছড়িয়ে দেয়া হয় ফিল্মটি। আর ফিল্মটি এতোই পাতলা যে, এর ফলে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরিত হয় না। ফিল্মটি ৩০ মিনিট মাটিতে থাকার পর অতি বেগুনী রশ্মির সাহায্যে চালু হয় ফিল্মের রাসায়নিক বিক্রিয়া। এই পন্থা ব্যবহার করে টিএনটি এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মাটিতে লুকানো এইচএসএস ল্যান্ড মাইন খুঁজে বের করতে সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
মাটিতে মাইন স্থাপন করা সোজা কাজ হলেও পরে ওই মাইনগুলো খুঁজে বের করা এবং নিস্ক্রিয় করা খুবই জটিল এবং বিপজ্জনক কাজ। যুদ্ধের পরেও রয়ে যাওয়া ল্যান্ড মাইনে বহু বছর ধরে জান-মালের ক্ষতি হয়। মাইলের পর মাইল ভূমি পতিত হয়ে যায়। জীবনের ঝুঁকির কারণে ওই জমিগুলোতে কৃষিকাজ হয় না।
বর্তমানে ল্যান্ড মাইন খুঁজে বের করতে ব্যবহার করা হয় কুকুর অথবা রোবট। কুকুর ব্যবহার করলে ঝুঁকিতে থাকে একটি জীবন্ত প্রাণীটি। অন্যদিকে রোবট অনেক ব্যয়বহুল এবং অনেক সময়ই মাইনফিল্ডে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয় রোবট ব্যবহার করলে। কুকুর বা রোবটের বদলে আরো সহজ এবং কার্যক্ষম পন্থার খোঁজে ন্যানো ফাইবার ফিল্ম ব্যবহার করে মাইন খুঁজে বের করার ওই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন