সোমবার, ৬ আগস্ট, ২০১২

প্রাচীন অলিম্পিয়ানদের মধ্যেও ছিলো স্টেরয়েড আসক্তি!

প্রাচীন অলিম্পিয়ানদের মধ্যেও ছিলো স্টেরয়েড আসক্তি!

জয়ের নেশায় উন্মত্ত হয়ে অ্যাথলেটদের ড্রাগ নেয়া নতুন কিছু নয়। ড্রাগ নিয়ে ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে অলিম্পিক পদক হারিয়েছেন অনেক অ্যাথলেটই। কিন্তু জয়ের জন্য অ্যাথলেটদের স্টেরয়েড নেয়া একবিংশ শতাব্দীর কোনো ঘটনা নয়। প্রাচীনকাল থেকেই স্টেরয়েড নিচ্ছেন অলিম্পিয়ানরা। খবর রয়টার্সের।

স্টেরয়েডের ক্ষেত্রে বর্তমান আর প্রাচীন সময়ের পার্থক্য হচ্ছে, বর্তমান সময়ের স্টেরয়েডের তালিকায় রয়েছে শক্তিবর্ধক ট্যাবলেট আর হরমোন ইনজেকশন, অন্যদিকে প্রাচীন স্টেরয়েডের তালিকায় রয়েছে কাঁচা ডিম, অ্যালকোহল, প্রাণীর কাঁচা অণ্ডকোষসহ নানা ওষুধ।

অলিম্পিয়ানদের স্টেরয়েড আসক্তি নিয়ে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন ইউনিভার্সিটির অলিম্পিক হিস্টোরিয়ান মার্টিন পলি বলেন, ‘সবসময়ই অলিম্পিকের অংশ ছিলো ডোপিং। কিন্তু বর্তমান সময়ের মতো জটিলতার সৃষ্টি করতো না প্রাচীনকালের স্টেরয়েডগুলো।

১৯ শতকের শুরুর দিকেই নিজের পারফরমেন্স আরও ভালো করতে অ্যাথলেটদের কোকো পাতা, কোকেইন আর অ্যালকোহল নেয়া ছিলো খুবই সাধারণ বিষয়। ১৯০৪ সালে অলিম্পিক ম্যারাথন জিতেছিলেন টমাস হিকস। আর কোচের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের পারফরমেন্স ভালো করতে নিয়মিত কাঁচা ডিম, স্ট্রাইকনাইন আর ব্র্যান্ডি খেতেন হিকস।

১৮৯৬ সালে শুরু হয় আধুনিক অলিম্পিক। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির স্পোর্টস মেডিসিন হিস্টোরিয়ান ভেনেসা হেগি আধুনিক অলিম্পিকে স্টেরয়েডের ব্যবহার নিয়ে বলেন, ‘সেই সময়ে পারফরমেন্স ভালো করতে ওষুধ, টনিক আর স্টিমুল্যান্টের ব্যবহার ছিলো খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার।’

কোন মন্তব্য নেই: