ফুলে উঠছে অবৈধ ড্রাগের অভিনব গোপন সাইট
মার্কিন সিনেটরের বন্ধ করার চেষ্টার পরও টিকে আছে কালোবাজারি ড্রাগ সাইট ‘সিল্ক রোড’। শুধু তাই নয়, ব্যবসার দিকে দিয়ে দিয়ে রীতিমতো ফুলে ফেঁপে উঠেছে সাইটটি। অবৈধ নেশাদ্রব্য বিক্রি করা সাইটটির বাৎসরিক আয় এখন ২ কোটি ২০ লাখ ডলার। খবর ফোর্বস-এর।অবৈধ ড্রাগ সাইটটির দৌরাত্বের কথা গবেষণাপত্রের মাধ্যমে এ মাসেই পাদপ্রদীপের আলোতে আনেন কম্পিউটার সিকিউরিটি প্রফেসর নিকোলাস ক্রিস্টিন। সিল্ক রোডের আন্ডারগ্রাউন্ড অনলাইন মার্কেট প্লেস হ্যাক করতে সমর্থ হন ক্রিস্টিন। সিল্ক রোডের ক্রয় বিক্রয় নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে ক্রিস্টিন এমন একটি প্রোগ্রাম লেখেন যা কালোবাজারি সাইটটিতে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে। টানা ছয় মাস ধরে সাইটটির গোপন তথ্য সংগ্রহ করেন ক্রিস্টিন।
সিল্ক রোডের উপস্থিতি কেবল টর নেটওয়ার্কে। আর ড্রাগসের ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ডলারের বদলে ব্যবহার করে বিটকয়েন। মূলত এই দু’টি কারণেই এখনও আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে সাইটটির ক্রেতা এবং বিক্রেতারা।
ক্রিস্টিন আবিষ্কার করেন, ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে সিল্ক রোডের ক্রেতার সংখ্যা। কালোবাজারি সাইটটির মাসিক আয় এখন প্রায় ১৯ লাখ ডলার। ক্রিস্টিনকে যে জিনিসগুলো সবচেয়ে বেশি অবাক করে তার মধ্যে একটি হচ্ছে সাইটটির সার্ভিস নিয়ে ক্রেতাদের ইতিবাচক মনোভাব। শতকরা ৯৭.৮ ভাগ ক্রেতা সাইটটির সার্ভিস নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
আরো অবাক ব্যাপার হচ্ছে, কোনরকম মার্কেটিং বা বিজ্ঞাপন প্রচার না করেও টিকে আছে কালোবাজারি ড্রাগ সাইটটি। গুগলে সার্চ করলেও সাইটটি খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। টর নেটওয়ার্কের আইপি অ্যাড্রেস লুকিয়ে ফেলার সুবিধা পুরোপুরি ব্যবহার করা হয়েছে সাইটটি লুকিয়ে রাখতে। অন্যদিকে লেনদেনে বিটকয়েনের ব্যবহার ক্রেতা বিক্রেতার পরিচয় গোপন রাখে সফলভাবে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন