শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩

মেয়েরা বুকে ওড়না না দিয়ে গলায় দেয় কেন?

মেয়েদের ওড়না সরিয়ে বুক প্রদর্শন অনেকটা ছেলেদের মাসল দেখানোর মতো। চওড়া কাধ ছেলেদের ব্যক্তিত্ব+সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তুলে। তেমনি নিজের কাছেও ভালো লাগে। এবং যা আড়াল করা সম্ভব নয়।

মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই । তবে সাথে যোগ হয়েছে বুক। যা কাধ সমতুল্য এবং আরো কিছু বেশি।

মেয়েদের বুক অনেকাংশেই শিশ্ন বা যোনীর মতো আড়াল করার বিষয় নয়। বা সম্ভব নয়। মেয়েটি যতই হিজাব পড়ুক আর পর্দা করুক। তার কাধের প্রস্থ সে আড়াল করতে পারে না। ফলে ইহা ব্যক্তিত্ব+সৌন্দর্য্য। তেমনি বুকও।

যদিও বুক ছেলেদের উত্তেজিত করতে পারে। এক অর্থে ইহা সরাসরি গোপনাঙ্গ নহে। ইহা গোপন অঙ্গের মতো আড়াল করাও যায় না। আর মেয়েরা ওড়না পড়ে পরিপূর্ণভাবে একে আড়াল করে না বা করতেও চায় না। ব্যপারটাই আংশিক। নারীর বুক ও কাধ পুরুষের শিশ্নের মতো নয় যে প্যান্টের নীচে আন্ডারপ্যান্ট পড়ে একে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে।

আরেকটি বিষয় ছেলে মেয়ে উভয়ের বুক/কাধ বাহ্যিক ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলে যা যৌনাঙ্গ করে না। যার ফলে কেউ যদি বুককে গোপনাঙ্গের মতো আড়াল করতে চায় তবে ইহা ব্যর্থ চেষ্টা ও ধর্মীয় পাগলামি ছাড়া কিছুই না। কারন ফিজিক্স/পদার্থ বিজ্ঞান।

তাই মেয়েরা বুক আংশিক ঢাকতে পছন্দ করে। যখন কোন পুরুষের কামুক দৃষ্টি পড়ে তখন ওড়না টেনে এডজাস্ট করে। ছেলেরা আন্ডারওয়ার পড়ে যাতে পেনিসের উত্থান কোনভাবেই দৃশ্যমান না হয়। সে অর্থে বুক এতোটা গোপন অঙ্গ নয়। যদিও ধর্ম একে পুরোপুরি গোপন অঙ্গের তালিকায় ফেলেছে যা ভ্রান্ত।

মেয়েরা বুককে শিশ্ন বা যোনীর মতো লজ্জাজনক ভাবলে কখনোই স্বপ্রণোদিত হয়ে বুক প্রদর্শন করতো না।

কিন্তু মেয়েরা যেকোন মূল্যে কিছুটা হলেও বুক প্রদর্শন করে। ছেলেরা কখনো রাস্তাঘাটে শিশ্ন প্রদর্শন করে না। বিশ্বাস না হলে টিকটক ভিডিও দেখেন। শপিং কমপ্লেক্স বা মার্কেটে যান। দেখবেন মুসলিম দেশ ও ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মেয়েরা স্বপ্রণোদিত হয়ে বুক প্রদর্শন করে চলছে। কেন তারা এমনটি করছে তারা নিজেরাও জানে না। এটাই বিবর্তন। এর কারন একমাত্র বিবর্তন( evolution)। দয়া করে বুককে শিশ্ন বা যোনীর মতো ভাবা ছেড়ে দিন।

ক)হালকা ক্লিভেজ প্রদর্শন। যদিও কম।

খ) ওড়না ঠিক মতো না পড়া কিংবা একদম না পড়া।

গ) ব্রা পড়ে বুককে রাউন্ড ও ফুল ব্রেস্ট দেখানোর চেষ্টা।

ঘ) টাইট জামা এমনভাবে পড়া। যাতে বুক সুডৌল দেখায়।

ঙ) ছোট বুককে আড়াল করতে বড় প্যাচানো ওড়না পড়া।

ইসলামি কালচার আগমনের পূর্বে আর কোন কালচারকে দেখিনি বুককে কখনো পুরোপুরি শিশ্নের/যোনীর মতো গোপনাঙ্গের পর্যায়ে ফেলতে।

ইন্দোনেশিয়া উপজাতি কালচার:

হিন্দু কালচার: ব্লাউজ পড়ে শাড়ি পড়ে। কিন্তু নাভি ঢাকে না।

বৌদ্ধ কালচার: ওড়নার প্রচলন নেই। মায়ানমার, থাইল্যান্ড কোথাও ওড়না ব্যবহৃত হয় না।

ইন্দোনেশিয়ার বালিসহ অধিকাংশ উপজাতি কালচার ও আদিবাসীদের অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করে বুঝা যায় মেয়েদের ওড়না পড়াতো দূরের কথা বুক ঢাকার সংস্কৃতি বেশি দিন আগের নয়।

কোন মন্তব্য নেই: