Translate

শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩

ভয়েজার ১ থেকে তোলা পৃথিবীর একটি ছবি Pale Blue Dot

Pale Blue Dot

ভয়েজার ১ থেকে তোলা পৃথিবীর একটি ছবি, যেটা ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৯০ সালে তোলা হয়। পৃথিবী থেকে ৬ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে। যা পরবর্তীতে Pale Blue Dot নামে পরিচিতি পায় ।

১৯৯০ সাল, ১৪ই ফেব্রুয়ারি। ততদিনে কার্ল সেগান একজন জীবন্ত কিংবদন্তী। ভয়েজার-১ যখন আমাদের সৌরজগত ছেড়ে আরো বাইরে চলে যাচ্ছিলো, তখন সেগান নাসাকে অনুরোধ করলেন, যাতে যাওয়ার আগে পৃথিবীর একটা ছবি তোলা হয় ঐ দূরত্ব থেকে। বিশাল সেই দূরত্ব থেকে ভয়েজার-১ এর তোলা পৃথিবীর ঐ ছবি দেখে Carl Sagan এটার নাম দিয়েছিলেন Pale Blue Dot (আবছা নীল বিন্দু)। আর সাথে তার বিখ্যাত সেই উক্তি Pale Blue Dot Speech:

এই সুবিশাল দূরত্ব থেকে পৃথিবীকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে হওয়ার কথা না। কিন্তু আমাদের জন্য ব্যাপারটা একটু আলাদা।

বিন্দুটার দিকে আরেকবার দৃষ্টিপাত করুন। এটা এখানে। এটাই পৃথিবী। আমাদের বাসস্থান। আমরা এটাই। এখানেই ওরা সবাই যাদের আমরা ভালবেসেছি, যাদের আমরা চিনি, যাদের কথা আমরা শুনেছি, তাদের সবাই এখানেই তাদের জীবন কাটিয়েছে। আমাদের সারা জীবনের যত আনন্দ এবং কষ্ট, হাজার হাজার ধর্ম, আদর্শ আর অর্থনৈতিক মতবাদ, যত শিকারী আর লুন্ঠনকারী, যত সাহসী এবং কাপুরুষ, সভ্যতার নির্মাতা আর ধ্বংসকারী, যত রাজা এবং প্রজা, প্রেমে বিভোর সকল তরুণ-তরুণী, সকল বাবা-মা, স্বপ্নে বিভোর শিশু, আবিষ্কারক এবং অনুসন্ধানকারী, সকল নীতিবান শিক্ষক এবং দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, যত "সুপারস্টার" যত "উচ্চপদস্থ নেতা", মানব ইতিহাসের সকল সাধু এবং পাপী সবাই তাদের জীবন কাটিয়েছে - সূর্যের আলোয় ভেসে থাকা ধুলোর এই ছোট্ট কণাটিতে।

অসীম এই মহাবিশ্বে খুব ছোট্ট একটা মঞ্চ আমাদের এই পৃথিবী। ভাবুন তো, সেই সীমাহীন হিংস্রতার কথা ছোট্ট এই বিন্দুর আরো ছোট্ট এক প্রান্তের মানুষ যা ঘটিয়েছ অন্য প্রান্ত জয় করবে বলে,কি দ্বন্দ্ব তাদের নিজেদের মাঝে, কতই না অধীর একে অন্যকে হত্যা করার জন্য, কি প্রকট তাদের জিঘাংসা। ভাবুন তো, সেনাপতি আর দিগ্বিজয়ী বীরের দল কত রক্তই না ঝরিয়েছে ক্ষুদ্র এই বিন্দুর ক্ষুদ্র একটা অংশ জয় করে ক্ষণিকের জন্য মহান হবার আশায়।

আমাদের নাক উঁচুভাব, আমাদের কাল্পনিক অহমিকা মহাবিশ্বের মধ্যে আমরাই সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছি, সেই বিভ্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয় এই ঝাপসা এই নীল আলোর দিকে তাকালে।

আমাদের এই গ্রহ মহাজাগতিক অন্ধকারের মধ্যে নিতান্তই ক্ষুদ্র একটা বিন্দু। আমাদের অজ্ঞানতায়, এই বিশালতায় এমন কোন ইঙ্গিত নেই যে, কেউ আসবে আমাদেরকে নিজেদের হাত থেকে রক্ষা করতে।

আমাদের জানামতে, পৃথিবীই একমাত্র বাসযোগ্য গ্রহ। অন্য কোথাও, অন্তত নিকট ভবিষ্যতে, আমাদের প্রজাতি আস্তানা গাড়তে পারবে না। ভ্রমণ? সম্ভব। বসতি, এখনো নয়।ভালো লাগুক আর নাই লাগুক, এই মুহূর্তে পৃথিবীই আমাদের একমাত্র আশ্রয়।

বলা হয়ে থাকে, জ্যোতির্বিজ্ঞান আমাদের বিনয়ী করে তোলে, চরিত্র গঠনে সাহায্য করে। মানুষের অহংকারকে ধুলিসাৎ করার জন্য দূর থেকে তোলা ছোট্ট পৃথিবীর এই ছবিটার চেয়ে ভালো উদাহরণ আর হয় না। আমার মতে, এটা মনে করিয়ে দেয় কতটা জরুরি পরস্পরের প্রতি আরেকটু সহানুভূতিশীল হওয়া, এই ছোট্ট নীল বিন্দুটাকে সংরক্ষণ করা, উপভোগ করা, আমাদের একমাত্র বাড়ি তো এটাই, তাই না?

কোন মন্তব্য নেই:

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল