Translate

শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১২

নমনীয় স্ক্রিনযুক্ত স্মার্টফোন আনছে স্যামসাং

নমনীয় স্ক্রিনযুক্ত স্মার্টফোন আনছে স্যামসাং

আয়ের দিক দিয়ে পৃথিবীর প্রধান টেকনোলজি কোম্পানি স্যামসাং, তাদের নতুন গ্যালাক্সি স্মার্টফোনের উৎপাদন প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে আনছে। নতুন গ্যালাক্সি এস ফোর স্মার্টফোনে নমনীয় অভঙ্গুর স্ক্রিন যুক্ত করার জন্য জন্য স্যামসাং পুরোদমে কাজ করছে। খবর রয়টার্স-এর।

টেকনোলজি ব্লগ ও বিশ্লেষক সূত্রে জানা গেছে ‘প্রজেক্ট জে’ কোড নামের নতুন গ্যালাক্সি স্মার্টফোনের জন্য জেকে শিন-এর নেতৃত্বে কাজ চলছে। আগামী এপ্রিলেই বাজারে আনার জন্য পুরোদমে কাজ চলছে গ্যালাক্সি এস ফোর-এর।

অভঙ্গুর স্ক্রিন ছাড়াও নতুন স্মার্টফোনটিতে থাকছে বড় ও উন্নতমানের ডিসপ্লে, শক্তিশালী কোয়াড কোর প্রসেসর ও ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এতে প্রতি ইঞ্চিতে ৪৪১ পিক্সেল থাকবে। গ্যালাক্সি এস থ্রি-র ৩০৬ পিক্সেল ও আইফোন ফাইভ-এর ৩২৬ পিক্সেলের তুলনায় এটি ভোক্তাদের নজর কাড়বে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

স্মার্টফোনের জন্য অর্গানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড (ওএলইডি) ডিসপ্লেযুক্ত নমনীয় ও অভঙ্গুর স্ক্রিন উন্নয়নে বহুদিন ধরেই সহায়তা করছে স্যামসাং। এতে মোবাইলের স্ক্রিনগুলো গ্লাসের বদলে প্লাস্টিকে তৈরি হবে, যা স্মার্টফোনের ২০ হাজার কোটি ডলারের বাজার দখলে স্যামসাংকে সাহায্য করবে বলে জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/ওএস/এইচবি

শিশু পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ ৪৮ দেশ

শিশু পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ ৪৮ দেশ

শিশু পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান চালানোর জন্য ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স’ ব্যানারে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস থেকে জোটবদ্ধ হবার ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)-সহ ৪৮টি দেশ। খবর বিবিসির।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য রাষ্ট্র ছাড়াও ওই জোটে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স, জাপান, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, নাইজেরিয়া, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক ও ইউক্রেইন।

এ বিষয়ে ইউরোপিয়ান কমিশনের তথ্য থেকে জানা যায়, কমপক্ষে ১০ লাখ শিশু পর্নোগ্রাফির ছবি ইন্টারনেটে আছে এবং এর সঙ্গে ৫০ হাজার প্রতি বছর যোগ হচ্ছে।

শিশু পর্নোগ্রাফি প্রতিরোধে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন দেশ অভিযান চালিয়ে ডজনখানেক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলেও এখনো এ বিষয়ে অনেক কিছু করতে হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

এ নেটওয়ার্কের কাজের মধ্যে রয়েছে শিশু পর্নোগ্রাফির শিকারদের নির্ধারণ ও রক্ষা করা, এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান ও আইনী পদক্ষেপের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা, শিশুদের অনলাইনের বিপদ সম্পর্কে জানানো ও শিশু পর্নোগ্রাফি অনলাইন থেকে কমানো।

আগামী বছরের জানুয়ারিতে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দি হেগ-এ কার্যক্রম শুরু করছে ‘দি ইউরোপিয়ান সাইবার ক্রাইম সেন্টার’। সেখান থেকেও শুরু হবে শিশু পর্নোগ্রাফিবিরোধী অভিযান।

সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১২

রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১২

প্রথম ছবি তোলা হলো ডিএনএর

প্রথম ছবি তোলা হলো ডিএনএর

জেমস ওয়াটসন ও ফ্রান্সিস ক্রিক ৫৯ বছর আগে ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিয়িক অ্যাসিড (ডিএনএ) বিষয়ে ধারণা দেয়ার পর একজন ইটালিয়ান বিজ্ঞানী প্রথমবারের মতো ছবি তুলতে সমর্থ হলেন ডিএনএর। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

ইটালির ম্যাগনা গ্রাইসিয়া ইউনিভার্সিটি ইন ক্যাটানজারো ইউনিভার্সিটির ফিজিক্স প্রফেসর এনজো ডি ফ্যাব্রিজিও সম্প্রতি ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে ডিএনএর ছবি তুললেন। এর আগ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা ডিএনএ স্ট্রাকচারের ধারণা পেলেও ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। এর আগে ডাবল-কর্কস্ক্রু আকৃতির ডিএনএর ধারণা পাওয়া যায় এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফি পদ্ধতি ব্যবহার করে।

ডি ফ্যাব্রিজিও ও তার সহকর্মীরা সম্পূর্ণ পানিরোধী সিলিকন পিলারের তৈরি ন্যানোস্কোপিক ল্যান্ডস্কেপ তৈরি করেন। তারা সেখানে ডিএনএযুক্ত সলিউশন যোগ করলে পানি দ্রুত বাষ্প হয়ে যায় এবং সেখানে দড়ির মতো আকৃতির ডিএনএ পাওয়া যায়।

আরো সূক্ষ্মযন্ত্রপাতি ও কম এনার্জিযুক্ত ইলেক্ট্রন ব্যবহার করে স্বাধীন ডাবল হেলিক্স-এর ছবি তোলাও সম্ভব হবে বলে আশা করছেন ফ্যাব্রিজিও।

ডিএনএর ভেতরে প্রাণীদেহের বৃদ্ধি ও কার্যকলাপের যাবতীয় বংশগত বৈশিষ্ট্য সংরক্ষিত থাকে।

সিরিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ ঘোষণা অ্যানোনিমাসের

সিরিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ ঘোষণা অ্যানোনিমাসের

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ দেশটির নাগরিকদের ইন্টারনেট সার্ভিস ব্যবহার বন্ধ করার একদিন পর সিরিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ ঘোষণা করলো অ্যানোনিমাস। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

নেটওয়ার্ক ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, অ্যানোনিমাস সিরিয়ার বাইরে রাখা আসাদ সরকারের সব ওয়েব সম্পদের ওপর আক্রমণ চালানোর প্রতিজ্ঞা করেছে। সিরিয়ার সাধারণ নাগরিকদের ডিজিটাল যোগাযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে ইন্টারনেট হ্যাকার গ্রুপটি।

অ্যানোনিমাস জানিয়েছে, সিরিয়ার সরকার যে কার্যক্রম গ্রহণ করছেন তা দায়িত্বজ্ঞানহীন। কারণ দেশটিতে আসা ফাইবার অপটিক সংযোগ নষ্ট হয়নি। এটি দ্রুত চালু করা সম্ভব ছিলো।

হ্যাকারদের প্রথম টার্গেট হচ্ছে চীনের সিরিয়ার অ্যাম্বাসির ওয়েবাসইট নিয়ন্ত্রণে আনা।

রিবুট হলো প্রাচীনতম ডিজিটাল কম্পিউটার

রিবুট হলো প্রাচীনতম ডিজিটাল কম্পিউটার

বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ডিজিটাল সুপারকম্পিউটার ‘হারওয়েল ডিকাটরন’ সংস্কারের পর সাংবাদিকদের সামনে রিবুট করলো ইংল্যান্ডের মিউজিয়াম অফ কম্পিউটিং কর্তৃপক্ষ। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

১৯৫১ সালে ব্রিটিশদের তৈরি সুপারকম্পিউটারটি গত তিন বছর ধরে সংস্কার করলো ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ কম্পিউটিং। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ সুপার কম্পিউটারটি সাংবাদিকদের সামনে রিবুট করেন।

অনেকটা গ্যারেজের দরজার মতো আকারের কম্পিউটারটির ওজন আড়াই টন। দেখতে অনেকটা সায়েন্স ফিকশনের কম্পিউটারের মতো। সাইজটাও বিশাল। গাণিতিক কাজের জন্যে কম্পিউটারটি তৈরি করা হয়েছিলো। ১০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে এটি দু’টি সংখ্যা গুণ করতে পারে।

কম্পিউটারটির রিস্টোরেশন এক্সপার্ট কেভিন মোরিল জানান, এটি যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক গবেষণার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিলো। কম্পিউটারটির গতি কম হলেও এটি হিসাব-নিকাশে নির্ভুল বলে জানিয়েছেন মোরিল।

যদি রোবট দখল করে নেয় পৃথিবী!

যদি রোবট দখল করে নেয় পৃথিবী!

বুদ্ধিমান যন্ত্র কি কখনো টার্মিনেটর মুভির মতো দখল করে নিতে পারে পৃথিবী, নাকি শুধু সায়েন্স ফিকশনেই এটি সম্ভব? বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি এ বিষয়ে গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

ব্রিটেনের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো অত্যন্ত বুদ্ধিমান প্রযুক্তি থেকে মানুষের ওপর আসা সম্ভাব্য হুমকি নিয়ে গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আগামী বছর থেকে ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত সেন্টার ফর দি এক্সিসটেনসিয়াল রিস্ক এধরনের যন্ত্রসৃষ্ট সম্ভাব্য বিপদ নিয়ে গবেষণা করবে।

কেমব্রিজের দর্শন বিষয়ের অধ্যাপক হুউ প্রাইস জানান, ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে একথা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, এই শতাব্দী বা আগামী শতাব্দীতে বুদ্ধিমত্তা বায়োলজির সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠবে। তারপর আমরা আর সবচেয়ে বুদ্ধিমান থাকবো না।’

মানুষের সৃষ্ট মেশিন তাদের নির্ধারিত সীমা লক্সঘন করে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বা মানুষের ক্ষতি করছে, বিষয়টি বহুদিন ধরেই সায়েন্স ফিকশনের অন্যতম একটি বিষয়। ‘২০০১: এ স্পেস ওডিসি’ এ ধরনের একটি উল্লেখযোগ্য মুভি।

প্রাইস আরো জানান, ‘বিষয়টিকে অত্যন্ত হালকা মনে হলেও আমাদের সঠিকভাবে জানা নেই বিষয়টি ঠিক কতোটা বিপজ্জনক।’

পকেট সাইজ ভার্চুয়াল কি-বোর্ড আসছে ডিসেম্বরে

পকেট সাইজ ভার্চুয়াল কি-বোর্ড আসছে ডিসেম্বরে

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাজারে আসছে ব্লুটুথ সংযুক্ত ভার্চুয়াল কিবোর্ড। ল্যাপটপ ও স্মার্টফোনে ব্যবহার উপযোগী এ কি-বোর্ডে লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়েছে। খবর ম্যাশএবল-এর।

মোবাইল ফোনের কি-বোর্ডের মতো ছোট কি-বোর্ডে টাইপিং জটিলতা দূর করতে পকেট সাইজ লেজার কি-বোর্ড আনছে নির্মাতা ব্রুকস্টোন। ৯৯ ডলারে এ কি-বোর্ড যে কোনো সমতল জায়গায় ব্যবহার করা যাবে। ব্লুটুথ বা ইউএসবির মাধ্যমে ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনে এটি ব্যবহার করা যাবে। এতে রিচার্জেবল ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। একবার চার্জ দিলে এর মাধ্যমে ২ ঘণ্টা টাইপ করা যাবে।

শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১২

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যানোনিমাস

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যানোনিমাস

ইসরায়েলি ওয়েবসাইটের ওপর সিরিজ সাইবার আক্রমণ চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক হ্যাকার সংগঠন অ্যানোনিমাস। অ্যানোনিমাসের সাইবার আক্রমণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক ইসরায়েলি ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলোর হোম পেইজে শোভা পাচ্ছে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে লেখা মেসেজ। খবর বিবিসির।

গাজায় ইসরায়েলের হামলার উত্তরে দেশটির বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করেছে হ্যকারদের সংগঠনটি। অ্যানোনিমাস জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজাড টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেবার হুমকি দিলে ‘অপইসরায়েল ক্যাম্পেইন’ অভিযান শুরু করে তারা।

আরোনরিলেশনস ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতি অ্যানোনিমাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা অ্যানোনিমাস এবং আমাদের চোখের সামনে কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করে দিতে পারবে না।’

ওই বিবৃতিতে ইসরায়েল গাজার ওপর আক্রমণ বন্ধ না করলে এবং টেলিকমিউনিশেন ব্যবস্থা বন্ধ করে দিলে ফলাফল ভালো হবে না বলে হুশিয়ার করে দেয় অ্যানোনিমাস। অন্যথায় ইসরায়েল অ্যানোনিমাস সদস্যদের রোষের মুখে পড়বে বলে জানিয়েছে তারা।

ওই বিবৃতিটি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অ্যানোনিমাস ৮৭টি ইসরায়েলি ওয়েবসাইটের নাম প্রকাশ করে। এর মধ্যে অনেকগুলো ওয়েবসাইটের হোম পেইজ পাল্টে সেখানে ফিলিস্তিন এবং হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে লেখা মেসেজ পোস্ট করে অ্যানোনিমাস হ্যাকাররা।

একই সময়ে গাজার টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থা এবং ইন্টারনেট অচল হয়ে পড়লে যোগাযোগের জন্য একাধিক বিকল্প মাধ্যমও বাতলে দিয়েছে অ্যানোনিমাস।

হ্যাকারদের আক্রমণে ইসরায়েলি উপ প্রধানমন্ত্রী

হ্যাকারদের আক্রমণে ইসরায়েলি উপ প্রধানমন্ত্রী

হ্যাক হয়েছে ইসরায়েলি উপ প্রধানমন্ত্রী সিলভান শালোমের ফেইসবুক, টুইটার এবং ইমেইল অ্যাকাউন্ট। ইসরায়েলি উপ প্রধানমন্ত্রীর সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এবং ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার দায় স্বীকার করে নিয়েছে হ্যাকারদের সংগঠন ‘জিকোম্পানি হ্যাকিং ক্রু’ (জেডএইচসি)। গাজায় সামরিক হামলার প্রতিবাদ হিসেবে ইসরায়েলি উপ প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছে হ্যাকারদের সংগঠনটি। খবর বিবিসির।

জেডএইচসি জানিয়েছে, খুব শিগগিরই শালোমের ইমেইল অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক ইমেইলগুলো ইন্টারনেটে ফাঁস করে দেবে তারা।

হ্যাক হবার পর টানা কয়েক ঘণ্টা উপ প্রধানমন্ত্রী শালোমের টুইটার এবং ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে হ্যাকারদের ফিলিস্তিন ও গাজাকে সমর্থন জানিয়ে লেখা একাধিক পোস্ট শোভা পায়। শালোমের ফেইসবুক পেইজে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ শ্লোগান লেখা ছবিও পোস্ট করে তারা। পরে পেইজটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

গাজায় সামরিক হামলা শুরু করার পর একের পর এক সাইবার আক্রমণের শিকার হচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেবার হুমকির পর সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর কাছে অনলাইন বিভীষিকা হয়ে দাঁড়ানো হ্যাকারদের সংগঠন অ্যানোনিমাসের রোষের মুখে পড়ে ইসরায়েল। অ্যানোনিমাস আক্রমণে বন্ধ হয়ে যায় ইসরায়েল সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট। বন্ধ হয়ে যাওয়া ওয়েবসাইটের তালিকায় ছিলো ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটও।

সর্বশেষ দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী সিলভান শালোমের ওপর সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে ইসরায়েল বিরোধী সাইবার যুদ্ধে যোগ দিলো জেডএইচসি।

অ্যান্ড্রয়েডের ডিসেম্বর বিভ্রাট দূর হচ্ছে

অ্যান্ড্রয়েডের ডিসেম্বর বিভ্রাট দূর হচ্ছে

গুগলের স্মাটফোন ও ট্যাবলেট ডিভাইসের জন্য অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের কনটাক্ট বিষয়ে তথ্য রাখার জন্য তৈরি ‘পিপল অ্যাপ’ ত্রুটির জন্য তাতে ডিসেম্বর মাসের তথ্য রাখা যাচ্ছিলো না। শীঘ্রই এ সমস্যা থাকবে না বলে গুগল জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও সিনেট-এর।

অ্যান্ড্রয়েডের এ বাগের ফলে নভেম্বর থেকে সরাসরি ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে চলে যাচ্ছিলো এন্ট্রিগুলো। তবে অন্য ডিভাইসগুলো এ সমস্যার কারণে প্রভাবিত হবে না এবং এ সমস্যা দূর করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগল। অক্টোবরে অ্যান্ড্রয়েডের ৪.২ ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেমটি যাত্রা শুরু করে।

বিবিসি জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কনটাক্ট তথ্য রাখার পিপল অ্যাপস-এ ক্রুটি রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড সংবাদ মাধ্যম অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ ওয়েব সাইটে ডিভাইসটির কিছু ত্রুটির কথা প্রকাশ করা হয়। পকেট লিন্ট বার্তা মাধ্যমের টেকনোলজি এডিটর স্টুয়ার্ট মাইলস জানান, এ সমস্যা দূর করতে গুগল সিস্টেমটি দ্রুত আপডেট করবে।

বেলুনে বাড়ি বেঁধে আটলান্টিক পার

বেলুনে বাড়ি বেঁধে আটলান্টিক পার

ডিজনি মুভি ‘আপ’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে হিলিয়াম বেলুনের সঙ্গে নিজের বাড়িটি বেঁধে নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেবেন ৩৮ বছর বয়সি অ্যাডভেঞ্চার পাগল মার্কিন নাগরিক জোনাথান ট্র্যাপি। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর।

মেক্সিকোর লিওন ইন্টারন্যাশনাল বেলুন ফেস্টিভালে হিলিয়াম বেলুনের সঙ্গে বাঁধা বাড়িটি নিয়ে প্রথমবারের মতো আকাশে ওড়েন ট্র্যাপি। আগামী বছরের গ্রীষ্মে বেলুনে বাঁধা বাড়ি নিয়ে আটলান্টিক সাগরের ওপর দিয়ে আড়াই হাজার মাইল পাড়ি দেবার লক্ষ্য রয়েছে তার।

২০১০ সাল সালে হিলিয়াম বেলুনে চড়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান ট্র্যাপি।

নিজের বেলুন অভিযান নিয়ে ট্র্যাপি বলেন, ‘এর আগে আমি যতোবার আকাশে উড়েছি, তার প্রতিবারই ছিলো এই একটি অভিযানের প্রস্তুতি। পুরো ব্যাপারটার উদ্দেশ্য হচ্ছে এক্সাইটিং জীবন যাপন করা। যাতে একদিন আমরা পেছনে তাকিয়ে বলতে পারি, মানবজাতি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে।

আইনস্টাইনের বুদ্ধিমত্তার রহস্য সমাধানে নতুন সূত্র!

আইনস্টাইনের বুদ্ধিমত্তার রহস্য সমাধানে নতুন সূত্র!

আলবার্ট আইনস্টাইনের বুদ্ধিমত্তার রহস্য সমাধানে অনেকদিন ধরেই লেগে আছেন বিজ্ঞানীরা। নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীর মস্তিষ্কের কিছু সাম্প্রতিক ছবি সেই রহস্য সমাধানে বিজ্ঞানীদের দিচ্ছে নতুন সূত্র। ওই ছবিগুলোতে বেরিয়ে এসেছে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ভাঁজে অদ্ভুত কিছু ভিন্নতা, যা উত্তর দিতে পারে অনেক প্রশ্নের। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

ছবিগুলোতে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারে বাড়তি ভাঁজ আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেন, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের সামনের দিকটায় মস্তিষ্কের ভাঁজগুলো ছিলো অনেক বিস্তারিত এবং সূক্ষ্ম। একজন মানুষের চিন্তা-ভাবনা, পরিকল্পনা এর সবই হয়ে থাকে মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারে।

বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় দেখেন, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের সেরিব্রাল করটেক্সের পুরোটা জুড়েই ছিলো অস্বাভাবিক ভাঁজ। মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক থাকার কথা বিজ্ঞানীরা বলছেন অনেকদিন ধরেই। প্রচলিত তত্ত্বমতে, গ্রে ম্যাটারের ঘনত্ব যতো বেশি হবে, ততোই বেশি হবে একজন মানুষের বুদ্ধিমত্তা।

আইনস্টাইনকে বলা চলে ২০ শতকের সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের একজন। ১৯৫৫ সালে ৭৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি। ময়নাতদন্তের সময় আইনস্টাইনের মস্তিষ্কটি আলাদা করে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন প্যালোলজিস্ট থমাস হার্ভে।

আইনস্টাইনের মস্তিষ্কটি কেটে কয়েকশ’ মাইক্রোস্কোপিক স্লাইডে ভাগ করেন হার্ভে। এছাড়াও বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ১৪টি ছবি তুলে রেখেছিলেন তিনি।

মাইক্রোস্কোপিক স্লাইডগুলো গবেষকদের হাতে তুলে দিলেও, আইনস্টাইনকে নিয়ে বই লেখার জন্য ছবিগুলো নিজের কাছ লুকিয়ে রেখেছিলেন হার্ভে। কিন্তু বইটি লেখা শেষ করার আগেই মারা যান হার্ভে। ২০১০ সালে হার্ভের পরিবার ওই ছবিগুলো দান করেন ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিসিনে।

'আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক' তৈরিতে আরেকটি ধাপ

আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক' তৈরিতে আরেকটি ধাপ

ব্যয়বহুল অপটিকাল ফাইবার লিঙ্ক ব্যবহার না করেই কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে টেলিকম নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা বাড়ানোর নতুন এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন গবেষকরা। যুক্তরাজ্যে অবস্থিত তোশিবার ইউরোপিয়ান রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীর তৈরি এই প্রযুক্তি ‘আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক’ তৈরির গবেষণাকে এগিয়ে নিলো আরেকটি ধাপ। খবর রয়টার্স-এর।

কোয়ান্টাম থিওরি ব্যবহার ডেটা আনক্র্যাকেবল কোডে রুপান্তর করে কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি। বিশ্বের প্রযুক্তিগত দিক থেকে অগ্রসর দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থা এবং সেনাবাহিনী এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে বলে ধারণা করা হয়।

তবে এনক্রিপ্টেড কোড ভেঙ্গে ডেটা উদ্ধার করতে ফোটন বা আলোর ক্ষুদ্র কণার মাধ্যমে কোয়ান্টাম কি আদান-প্রদান করতে প্রয়োজন পড়তো সম্পূর্ণ আলাদা একটি অপটিকাল ফাইবার। এর ফলে ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায় এই প্রযুক্তি।

সম্প্রতি একই অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কোয়ান্টাম কি এবং ডেটা আদান প্রদানের প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন তোশিবার বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু শিল্ড।

বিজ্ঞানীদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে, ১ মাইক্রোসেকেন্ডের ১০ কোটি ভাগের একভাগ সময়ের মধ্যে এনক্রিপ্টেড কি বাহি ফোটনটি শনাক্ত করতে সক্ষম ডিটেক্টর তৈরি করা।

তোশিবা বিজ্ঞানীদের তৈরি নতুন প্রযুক্তিতে ৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে একটি অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করে ডেটা পাঠানো এবং গ্রহণ করা যাবে। বিজ্ঞানী দলের সদস্য ঝিলিয়ান ইউয়ার রয়টার্সকে জানান, নতুন প্রযুক্তিটি মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা করে দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা হবে এই প্রযুক্তি।

পৃথিবীর আরো কাছে আসছে গ্র্যাভিটি ম্যাপার

পৃথিবীর আরো কাছে আসছে গ্র্যাভিটি ম্যাপার

ক্রমান্বয়ে পৃথিবীর আরো কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে ইউরোপিয়ান সায়েন্স এজেন্সি (ইএসএ)-এর তৈরি আল্ট্রা-লো-ফ্লাইং গ্র্যাভিটি ম্যাপিং স্যাটেলাইট ‘গোসে’ (Goce)। তীরের মতো দেখতে স্পেসক্রাফটি মিশনের বড় একটা সময় কাটিয়েছে মাটি থেকে ২৫৫ কিলোমিটার উপরের বয়ুমণ্ডলে, যা অন্যান্য স্যাটেলাইটের তুলনায় ৫০০ কিলোমিটার নিচে। খবর বিবিসির।

গোসে গ্র্যাভিটি ম্যাপার স্যাটেলাইটের মূল কাজ হচ্ছে, পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরে পৃথিবীর সব জায়গার মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ম্যাপ তৈরি করা এবং সাগরের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে পরিবেশ পরিবর্তন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা।

স্থান বিভেদে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ক্ষুদ্রতম পার্থক্য ধরতে পারে গোসে স্যাটেলাইটের গ্র্যাডিওমিটার। তবে স্যাটেলাইট থেকে আরো বিস্তারিত তথ্য পাবার লক্ষ্যে গোসেকে ২৫৫ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে নামিয়ে ২৩৫ কিলোমিটারে আনছেন বিজ্ঞানীরা।

অগাস্ট মাস থেকে প্রতিদিন গোসের ওড়ার উচ্চতা ৩০০ মিটার কমিয়ে আনছেন বিজ্ঞানীরা। এ হারে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে স্যাটেলাইটটি ২৩৫ কিলোমিটার উচ্চতায় নেমে আসবে বলে আশা করছেন তারা।

তবে এতো কম উচ্চতায় ওড়ার কারণে নানা ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে স্যাটেলাইটটিকে। ঝড়োবাতাস বা খারাপ আবহাওয়ার কারনে নিজের কক্ষপথ থেকে সরে আসতে পারে স্যাটেলাইটটি। আর কোনো কারণে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্যাটেলাইটটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে, দু’দিনের মধ্যেই যদি নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পাওয়া গেলে তৃতীয় দিনেই পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে স্যাটেলাইটটি।

তবে এখন কক্ষপথে টানা ৫০ সপ্তাহ ওড়ার মতো যথেষ্ট জ্বালানী রয়েছে গোসে স্যাটেলাইটটির। জ্বালানী শেষ হয়ে গেলে বায়ুমণ্ডলে এনে স্যাটেলাইটটি ধ্বংস করে দেবন বিজ্ঞানীরা। তবে তার আগেই হাতে চলে আসবে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নিয়ে অতি প্রয়োজনীয় তথ্য।

ব্রাউজারে চোখ রেখে দেখুন মহাবিশ্ব

ব্রাউজারে চোখ রেখে দেখুন মহাবিশ্ব

গুগল ক্রোম ব্রাউজারে চোখ রেখেই এখন ঘুরে আসা যাবে মহাবিশ্বের অনেকটা। গুগল আর্থের মূল ভাবনা অবলম্বেনে তৈরি গুগল গ্যালাক্সিতে দেখা যাবে মিল্কি ওয়ে আর অগনিত গ্রহ নক্ষত্র। খবর সিনেট-এর।

গুগলের পরীক্ষামূলক ওয়েবপেইজ গুগল গ্যালাক্সি ব্যবহার করে যে কোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্রাউজার থেকেই ঘুরে দেখতে পারবেন অজানা মহাকাশ। আর নক্ষত্রপুঞ্জে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হবার আগেই আপনি উপলব্ধি করবেন আমাদের সৌরজগৎটি আদতে মহাবিশ্বর কাছে কতোটা ক্ষুদ্র।

গুগল জানিয়েছে, মহাকাশ নিয়ে উৎসাহি প্রোগ্রামার আর সফটওয়্যার ডিজাইনাররা মিলে ওয়েবজিএল, সিএএসথ্রিডি এবং ওয়েবঅডিও সফটওয়্যার ব্যবহার করে দাঁড় করিয়েছেন গুগল গ্যালাক্সি।

গুগল গ্যালাক্সিতে সফটওয়্যার ডিজাইনার ব্যবহার করেছেন নাসা, ইএসএ এবং উইকিপিডিয়ার আঁকিয়েদের তৈরি ছবিগুলো। আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজকের কাজটি করেছেন ভিডিও গেইমসের মিউজিক কম্পোজার স্যাম হিউলিক।


গুলি থামাবে সুপার ম্যাটিরিয়াল

গুলি থামাবে সুপার ম্যাটিরিয়াল

প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসা গুলিকে পুরোপুরি থামিয়ে দেবার মতো শক্তিশালী ‘সুপার ম্যাটিরিয়াল’ বানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এই সুপার ম্যাটিরিয়াল যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো দৃঢ় করবে বলে আশা করছেন তারা। খবর ইয়াহুর।

সুপার ম্যাটিরিয়াল নিয়ে গবেষণা করছেন রাইস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী টমাস, জে হং লি এবং একদল এমআইটি শিক্ষার্থী। আইনশৃক্সখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য এবং সৈনিকদের জন্য প্রথাগত বর্মের তুলনায় হালকা এবং আরো কার্যকর বর্ম তৈরির চেষ্টা করছেন তারা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সৈনিকদের পাশাপাশি স্যাটেলাইট এবং প্লেনে মতো দুর্বল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসম্পন্ন যানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে এই সুপার ম্যাটিরিয়াল দিয়ে।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন পলিইউরিথিন নামের জটিল এক পদার্থ নিয়ে। বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় আবিষ্কার করেন, প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসা ৯ মিলিমিটার বুলেটকেও থামিয়ে দিচ্ছে পলিইউরিথিন। শুধু তাই নয়, গুলিটি আঘাত হানার পর বর্মে যে ক্ষতের সৃষ্টি হচ্ছে নিজে থেকেই গলে গিয়ে সেই ক্ষত সাড়িয়ে নিচ্ছে এই আজব পদার্থ।

বিজ্ঞানী টমাস এই পরীক্ষা নিয়ে বলেন, ‘ম্যাটিরিয়ালটিতে কোনো মাইক্রোস্কোপিক ক্ষতি পর্যন্ত হয়নি। এটি ছিড়ে যায় নি, এটি পুরোপুরি সফল।

স্টিফেন হকিংয়ের জন্য ইনটেলের ৬০-কোর প্রসেসর

স্টিফেন হকিংয়ের জন্য ইনটেলের ৬০-কোর প্রসেসর

জিওন সিপিইউতে ব্যবহারের জন্য তৈরি ৬০-কোরের প্রসেসর বিক্রি শুরু করেছে চিপ জায়ান্ট ইনটেল। তবে ৬০ কোরের প্রসেসর ‘ফি’ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন ইনটেলের নির্বাচিত ক্রেতারা। আর ওই নির্বাচিত ক্রেতাদের তালিকার প্রথমেই আছেন প্রফেসর স্টিফেন হকিং। খবর সিনেট-এর।

২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যাবে ইনটেলের ৬০-কোরের ‘ফি’ প্রসেসর। তবে প্রথাগত সিপিইউ-এর সঙ্গে খুব একটা মিল নেই এর, বরং গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট বা জিপিইউ-এর সঙ্গেই মিল বেশি। জিওন সিপিইউ-এর সঙ্গে যুক্ত করেই ব্যবহার করতে হবে ‘ফি’।

প্রাথমিক অবস্থায় ‘ফি’ ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন প্রফেসর স্টিফেন হকিং এবং কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির মতো শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো। ইনটেল জানিয়েছে, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির কসমস ল্যাবের এসজিআই সুপার কম্পিউটারে গবেষণার কাজে ‘ফি’ প্রসেসর ব্যবহার করবেন হকিং।

প্রফেসর হকিং এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এসজিআই ইউভি ২০০০ সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে নতুন আবিষ্কারে মনোযোগ দিতে পারবো আমরা। যা মহাবিশ্বের রহস্য উদঘাটনে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের।’

স্পেশালাইজড কম্পিউটিং টাস্ক-এর ক্ষেত্রে ফি প্রসেসরের সঙ্গে তুলনা করলে কোনোভাবেই ধোপে টিকবে না সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য বানানো ইনটেল প্রসেসরগুলো। প্রফেসর হকিং আর কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি বাদে এখনই ফি প্রসেসর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে টেক্সাস অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং সেন্টারের মতো হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি বাজারে আসার কথা রয়েছে জিয়োন ফি কোপ্রসেসরের। ৬০ কোরের প্রসেসরটির দাম হতে পারে ২৬৪৯ ডলার।

হৃৎপিণ্ডের কোষে চলছে বায়োলজিকাল রোবট

হৃৎপিণ্ডের কোষে চলছে বায়োলজিকাল রোবট

ছোট ইঁদুরের হৃৎপিণ্ডের কোষ থেকে পাওয়া শক্তিতে চলছে বায়োলজিকাল রোবট বা বায়ো-বট। বায়ো-বটগুলো তৈরি করা হয়েছে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে এবং প্রতিস্থাপন করা হয়েছে হৃৎপিণ্ডের জীবন্ত কোষ। আর হৃৎপিণ্ডের কোষগুলোর ক্রমাগত সংকোচন আর প্রসারণেই সামনে এগিয়ে যায় বায়ো-বট। খবর বিবিসির।

ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়িসের বিজ্ঞানীদের বানানো ৭ মিলিমিটারের বায়ো-বটগুলোর গঠনের একটি অংশের সঙ্গে মিল রয়েছে সুইমিং পুলের ডাইভিং বোর্ডের সঙ্গে। ডাইভিং বোর্ডের মতো লম্বা অংশটি আদতে বায়ো-বটগুলোর একমাত্র পা।

থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে হাইড্রোজেল ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেন ডাইভিং বোর্ডের মতো পা-টি। হাইড্রোজেল হচ্ছে এক ধরণের বিশেষ জৈবিক পদার্থ, যা ব্যবহার করা হয় টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজে।

ডাইভিং বোর্ডের মতো পায়ের নিচের অংশে প্রলেপ দেয়া হয় ইদুঁরদের হৃৎপিণ্ড থেকে সংগ্রহ করা জীবন্ত কোষ দিয়ে। হৃৎপিণ্ডের কোষগুলো যখন বারবার সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়, তখন ডাইভিং বোর্ডের মতো অংশটি আবার প্রসারিত হয়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এভাবে ডাইভিং বোর্ডের মতো পা-টি লিভার হিসেবে কাজ করায় সামনে দিকে এগোতে থাকে বায়ো-বট। বায়ো-বটগুলোর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ৪ সেকেন্ডে ১ মিলিমিটার।

বায়ো-বট প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইলনয়িসের বিজ্ঞানী প্রফেসর রাশিদ বশির বলেন, ‘পরিবেশ পুনরুদ্ধারের কাজে সেন্সর হিসেবে কাজ করতে পারবে বায়ো-বটগুলো। আমাদের লক্ষ হচ্ছে রোবটগুলোকে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ চিহ্নিত করতে সক্ষম করে তোলা, যাতে রোবটগুলো নিজে নিজেই ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ চিহ্নিত করে তা নিষ্ক্রিয় করতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং পরিবেশ রক্ষায় কাজে আসতে পারে রোবটগুলো।’

হৃৎকোষ ছাড়াও শরীরের অন্যান্য অংশের জীবন্ত কোষ ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়া বায়ো-বটগুলোর আকার-আকৃতি নিয়ে গবেষণা করে সবচেয়ে কার্যকর আকারটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তারা।

ব্রেইন ওয়েভ থেকে মিউজিক

ব্রেইন ওয়েভ থেকে মিউজিক

চিন্তা করার সময় মস্তিষ্কে যদি আওয়াজ হতো তবে তা কেমন শোনাতো? এ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। মানব মস্তিষ্কের তরঙ্গগুলোকে ভাষান্তর করে তৈরি করেছেন ব্রেইন মিউজিক। খবর লাইভ সায়েন্স-এর।

বেইন ওয়েভ থেকে ব্রেইন মিউজক বানাতে গবেষণার কাজটি করেন, চীনের ইউনিভার্সিটি অফ ইলেকট্রনিক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বিজ্ঞানী জিং হু। জিং হু এবং তার সহকর্মীরা প্রথমে ইলেকট্রোয়েনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) ব্যবহার করে মস্তিষ্কের ইলেকট্রিকাল অ্যাকটিভিটি রেকর্ড করেন। তারপর বিশষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে ওই ইলেকট্রিকাল সিগনালগুলোকে রূপান্তর করেন মিউজিকাল নোটে।

তবে ইইজি থেকে পাওয়া ব্রেইন মিউজিক এতোটাই কর্কশ শোনাতো যে একরকম শোনার অযোগ্যই ছিলো সেটি। এই সমস্যা সমাধানে এমআরআই ব্যবহারের স্বিদ্ধান্ত নেন বিজ্ঞানীরা। এফএমআরআই এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ নির্ণয় করেন তারা। এরপর ইইজি আর এফএমআরআই থেকে পাওয়া ডেটা এক করে বিজ্ঞানীরা দাঁড় করিয়ে ফেলেন ‘শ্রবনযোগ্য’ ব্রেইন মিউজিক।

বিজ্ঞানীরা জানান, ইইজি আর এফএমআরআইয়ের ডেটা থেকে তৈরি ব্রেইন মিউজক শোনার পর ১০ জন পেশাদার সংগীত শিল্পর মন্তব্য, একজন মানুষের কম্পোজ করা সংগীতের সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে ব্রেইন মিউজিকের।

গবেষকরা আশা করছেন, বিজ্ঞান এবং শিল্পের সমন্বয় ঘটানোর মধ্য দিয়ে ব্রেইন মিউজিক ব্যবহার করেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে মস্তিষ্কের তরঙ্গগুলো। এর ফলে মোকাবেলা করা যাবে উদ্বেগ ও বিষন্নতা।

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল