Translate

শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১২

'আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক' তৈরিতে আরেকটি ধাপ

আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক' তৈরিতে আরেকটি ধাপ

ব্যয়বহুল অপটিকাল ফাইবার লিঙ্ক ব্যবহার না করেই কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে টেলিকম নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা বাড়ানোর নতুন এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন গবেষকরা। যুক্তরাজ্যে অবস্থিত তোশিবার ইউরোপিয়ান রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীর তৈরি এই প্রযুক্তি ‘আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক’ তৈরির গবেষণাকে এগিয়ে নিলো আরেকটি ধাপ। খবর রয়টার্স-এর।

কোয়ান্টাম থিওরি ব্যবহার ডেটা আনক্র্যাকেবল কোডে রুপান্তর করে কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি। বিশ্বের প্রযুক্তিগত দিক থেকে অগ্রসর দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থা এবং সেনাবাহিনী এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে বলে ধারণা করা হয়।

তবে এনক্রিপ্টেড কোড ভেঙ্গে ডেটা উদ্ধার করতে ফোটন বা আলোর ক্ষুদ্র কণার মাধ্যমে কোয়ান্টাম কি আদান-প্রদান করতে প্রয়োজন পড়তো সম্পূর্ণ আলাদা একটি অপটিকাল ফাইবার। এর ফলে ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায় এই প্রযুক্তি।

সম্প্রতি একই অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কোয়ান্টাম কি এবং ডেটা আদান প্রদানের প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন তোশিবার বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু শিল্ড।

বিজ্ঞানীদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে, ১ মাইক্রোসেকেন্ডের ১০ কোটি ভাগের একভাগ সময়ের মধ্যে এনক্রিপ্টেড কি বাহি ফোটনটি শনাক্ত করতে সক্ষম ডিটেক্টর তৈরি করা।

তোশিবা বিজ্ঞানীদের তৈরি নতুন প্রযুক্তিতে ৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে একটি অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করে ডেটা পাঠানো এবং গ্রহণ করা যাবে। বিজ্ঞানী দলের সদস্য ঝিলিয়ান ইউয়ার রয়টার্সকে জানান, নতুন প্রযুক্তিটি মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা করে দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা হবে এই প্রযুক্তি।

পৃথিবীর আরো কাছে আসছে গ্র্যাভিটি ম্যাপার

পৃথিবীর আরো কাছে আসছে গ্র্যাভিটি ম্যাপার

ক্রমান্বয়ে পৃথিবীর আরো কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে ইউরোপিয়ান সায়েন্স এজেন্সি (ইএসএ)-এর তৈরি আল্ট্রা-লো-ফ্লাইং গ্র্যাভিটি ম্যাপিং স্যাটেলাইট ‘গোসে’ (Goce)। তীরের মতো দেখতে স্পেসক্রাফটি মিশনের বড় একটা সময় কাটিয়েছে মাটি থেকে ২৫৫ কিলোমিটার উপরের বয়ুমণ্ডলে, যা অন্যান্য স্যাটেলাইটের তুলনায় ৫০০ কিলোমিটার নিচে। খবর বিবিসির।

গোসে গ্র্যাভিটি ম্যাপার স্যাটেলাইটের মূল কাজ হচ্ছে, পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরে পৃথিবীর সব জায়গার মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ম্যাপ তৈরি করা এবং সাগরের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে পরিবেশ পরিবর্তন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা।

স্থান বিভেদে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ক্ষুদ্রতম পার্থক্য ধরতে পারে গোসে স্যাটেলাইটের গ্র্যাডিওমিটার। তবে স্যাটেলাইট থেকে আরো বিস্তারিত তথ্য পাবার লক্ষ্যে গোসেকে ২৫৫ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে নামিয়ে ২৩৫ কিলোমিটারে আনছেন বিজ্ঞানীরা।

অগাস্ট মাস থেকে প্রতিদিন গোসের ওড়ার উচ্চতা ৩০০ মিটার কমিয়ে আনছেন বিজ্ঞানীরা। এ হারে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে স্যাটেলাইটটি ২৩৫ কিলোমিটার উচ্চতায় নেমে আসবে বলে আশা করছেন তারা।

তবে এতো কম উচ্চতায় ওড়ার কারণে নানা ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে স্যাটেলাইটটিকে। ঝড়োবাতাস বা খারাপ আবহাওয়ার কারনে নিজের কক্ষপথ থেকে সরে আসতে পারে স্যাটেলাইটটি। আর কোনো কারণে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্যাটেলাইটটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে, দু’দিনের মধ্যেই যদি নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পাওয়া গেলে তৃতীয় দিনেই পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে স্যাটেলাইটটি।

তবে এখন কক্ষপথে টানা ৫০ সপ্তাহ ওড়ার মতো যথেষ্ট জ্বালানী রয়েছে গোসে স্যাটেলাইটটির। জ্বালানী শেষ হয়ে গেলে বায়ুমণ্ডলে এনে স্যাটেলাইটটি ধ্বংস করে দেবন বিজ্ঞানীরা। তবে তার আগেই হাতে চলে আসবে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নিয়ে অতি প্রয়োজনীয় তথ্য।

ব্রাউজারে চোখ রেখে দেখুন মহাবিশ্ব

ব্রাউজারে চোখ রেখে দেখুন মহাবিশ্ব

গুগল ক্রোম ব্রাউজারে চোখ রেখেই এখন ঘুরে আসা যাবে মহাবিশ্বের অনেকটা। গুগল আর্থের মূল ভাবনা অবলম্বেনে তৈরি গুগল গ্যালাক্সিতে দেখা যাবে মিল্কি ওয়ে আর অগনিত গ্রহ নক্ষত্র। খবর সিনেট-এর।

গুগলের পরীক্ষামূলক ওয়েবপেইজ গুগল গ্যালাক্সি ব্যবহার করে যে কোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্রাউজার থেকেই ঘুরে দেখতে পারবেন অজানা মহাকাশ। আর নক্ষত্রপুঞ্জে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হবার আগেই আপনি উপলব্ধি করবেন আমাদের সৌরজগৎটি আদতে মহাবিশ্বর কাছে কতোটা ক্ষুদ্র।

গুগল জানিয়েছে, মহাকাশ নিয়ে উৎসাহি প্রোগ্রামার আর সফটওয়্যার ডিজাইনাররা মিলে ওয়েবজিএল, সিএএসথ্রিডি এবং ওয়েবঅডিও সফটওয়্যার ব্যবহার করে দাঁড় করিয়েছেন গুগল গ্যালাক্সি।

গুগল গ্যালাক্সিতে সফটওয়্যার ডিজাইনার ব্যবহার করেছেন নাসা, ইএসএ এবং উইকিপিডিয়ার আঁকিয়েদের তৈরি ছবিগুলো। আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজকের কাজটি করেছেন ভিডিও গেইমসের মিউজিক কম্পোজার স্যাম হিউলিক।


গুলি থামাবে সুপার ম্যাটিরিয়াল

গুলি থামাবে সুপার ম্যাটিরিয়াল

প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসা গুলিকে পুরোপুরি থামিয়ে দেবার মতো শক্তিশালী ‘সুপার ম্যাটিরিয়াল’ বানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এই সুপার ম্যাটিরিয়াল যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো দৃঢ় করবে বলে আশা করছেন তারা। খবর ইয়াহুর।

সুপার ম্যাটিরিয়াল নিয়ে গবেষণা করছেন রাইস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী টমাস, জে হং লি এবং একদল এমআইটি শিক্ষার্থী। আইনশৃক্সখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য এবং সৈনিকদের জন্য প্রথাগত বর্মের তুলনায় হালকা এবং আরো কার্যকর বর্ম তৈরির চেষ্টা করছেন তারা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সৈনিকদের পাশাপাশি স্যাটেলাইট এবং প্লেনে মতো দুর্বল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসম্পন্ন যানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে এই সুপার ম্যাটিরিয়াল দিয়ে।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন পলিইউরিথিন নামের জটিল এক পদার্থ নিয়ে। বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় আবিষ্কার করেন, প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসা ৯ মিলিমিটার বুলেটকেও থামিয়ে দিচ্ছে পলিইউরিথিন। শুধু তাই নয়, গুলিটি আঘাত হানার পর বর্মে যে ক্ষতের সৃষ্টি হচ্ছে নিজে থেকেই গলে গিয়ে সেই ক্ষত সাড়িয়ে নিচ্ছে এই আজব পদার্থ।

বিজ্ঞানী টমাস এই পরীক্ষা নিয়ে বলেন, ‘ম্যাটিরিয়ালটিতে কোনো মাইক্রোস্কোপিক ক্ষতি পর্যন্ত হয়নি। এটি ছিড়ে যায় নি, এটি পুরোপুরি সফল।

স্টিফেন হকিংয়ের জন্য ইনটেলের ৬০-কোর প্রসেসর

স্টিফেন হকিংয়ের জন্য ইনটেলের ৬০-কোর প্রসেসর

জিওন সিপিইউতে ব্যবহারের জন্য তৈরি ৬০-কোরের প্রসেসর বিক্রি শুরু করেছে চিপ জায়ান্ট ইনটেল। তবে ৬০ কোরের প্রসেসর ‘ফি’ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন ইনটেলের নির্বাচিত ক্রেতারা। আর ওই নির্বাচিত ক্রেতাদের তালিকার প্রথমেই আছেন প্রফেসর স্টিফেন হকিং। খবর সিনেট-এর।

২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যাবে ইনটেলের ৬০-কোরের ‘ফি’ প্রসেসর। তবে প্রথাগত সিপিইউ-এর সঙ্গে খুব একটা মিল নেই এর, বরং গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট বা জিপিইউ-এর সঙ্গেই মিল বেশি। জিওন সিপিইউ-এর সঙ্গে যুক্ত করেই ব্যবহার করতে হবে ‘ফি’।

প্রাথমিক অবস্থায় ‘ফি’ ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন প্রফেসর স্টিফেন হকিং এবং কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির মতো শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো। ইনটেল জানিয়েছে, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির কসমস ল্যাবের এসজিআই সুপার কম্পিউটারে গবেষণার কাজে ‘ফি’ প্রসেসর ব্যবহার করবেন হকিং।

প্রফেসর হকিং এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এসজিআই ইউভি ২০০০ সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে নতুন আবিষ্কারে মনোযোগ দিতে পারবো আমরা। যা মহাবিশ্বের রহস্য উদঘাটনে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের।’

স্পেশালাইজড কম্পিউটিং টাস্ক-এর ক্ষেত্রে ফি প্রসেসরের সঙ্গে তুলনা করলে কোনোভাবেই ধোপে টিকবে না সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য বানানো ইনটেল প্রসেসরগুলো। প্রফেসর হকিং আর কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি বাদে এখনই ফি প্রসেসর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে টেক্সাস অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং সেন্টারের মতো হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি বাজারে আসার কথা রয়েছে জিয়োন ফি কোপ্রসেসরের। ৬০ কোরের প্রসেসরটির দাম হতে পারে ২৬৪৯ ডলার।

হৃৎপিণ্ডের কোষে চলছে বায়োলজিকাল রোবট

হৃৎপিণ্ডের কোষে চলছে বায়োলজিকাল রোবট

ছোট ইঁদুরের হৃৎপিণ্ডের কোষ থেকে পাওয়া শক্তিতে চলছে বায়োলজিকাল রোবট বা বায়ো-বট। বায়ো-বটগুলো তৈরি করা হয়েছে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে এবং প্রতিস্থাপন করা হয়েছে হৃৎপিণ্ডের জীবন্ত কোষ। আর হৃৎপিণ্ডের কোষগুলোর ক্রমাগত সংকোচন আর প্রসারণেই সামনে এগিয়ে যায় বায়ো-বট। খবর বিবিসির।

ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়িসের বিজ্ঞানীদের বানানো ৭ মিলিমিটারের বায়ো-বটগুলোর গঠনের একটি অংশের সঙ্গে মিল রয়েছে সুইমিং পুলের ডাইভিং বোর্ডের সঙ্গে। ডাইভিং বোর্ডের মতো লম্বা অংশটি আদতে বায়ো-বটগুলোর একমাত্র পা।

থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে হাইড্রোজেল ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেন ডাইভিং বোর্ডের মতো পা-টি। হাইড্রোজেল হচ্ছে এক ধরণের বিশেষ জৈবিক পদার্থ, যা ব্যবহার করা হয় টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজে।

ডাইভিং বোর্ডের মতো পায়ের নিচের অংশে প্রলেপ দেয়া হয় ইদুঁরদের হৃৎপিণ্ড থেকে সংগ্রহ করা জীবন্ত কোষ দিয়ে। হৃৎপিণ্ডের কোষগুলো যখন বারবার সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়, তখন ডাইভিং বোর্ডের মতো অংশটি আবার প্রসারিত হয়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এভাবে ডাইভিং বোর্ডের মতো পা-টি লিভার হিসেবে কাজ করায় সামনে দিকে এগোতে থাকে বায়ো-বট। বায়ো-বটগুলোর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ৪ সেকেন্ডে ১ মিলিমিটার।

বায়ো-বট প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইলনয়িসের বিজ্ঞানী প্রফেসর রাশিদ বশির বলেন, ‘পরিবেশ পুনরুদ্ধারের কাজে সেন্সর হিসেবে কাজ করতে পারবে বায়ো-বটগুলো। আমাদের লক্ষ হচ্ছে রোবটগুলোকে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ চিহ্নিত করতে সক্ষম করে তোলা, যাতে রোবটগুলো নিজে নিজেই ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ চিহ্নিত করে তা নিষ্ক্রিয় করতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং পরিবেশ রক্ষায় কাজে আসতে পারে রোবটগুলো।’

হৃৎকোষ ছাড়াও শরীরের অন্যান্য অংশের জীবন্ত কোষ ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়া বায়ো-বটগুলোর আকার-আকৃতি নিয়ে গবেষণা করে সবচেয়ে কার্যকর আকারটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তারা।

ব্রেইন ওয়েভ থেকে মিউজিক

ব্রেইন ওয়েভ থেকে মিউজিক

চিন্তা করার সময় মস্তিষ্কে যদি আওয়াজ হতো তবে তা কেমন শোনাতো? এ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। মানব মস্তিষ্কের তরঙ্গগুলোকে ভাষান্তর করে তৈরি করেছেন ব্রেইন মিউজিক। খবর লাইভ সায়েন্স-এর।

বেইন ওয়েভ থেকে ব্রেইন মিউজক বানাতে গবেষণার কাজটি করেন, চীনের ইউনিভার্সিটি অফ ইলেকট্রনিক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বিজ্ঞানী জিং হু। জিং হু এবং তার সহকর্মীরা প্রথমে ইলেকট্রোয়েনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) ব্যবহার করে মস্তিষ্কের ইলেকট্রিকাল অ্যাকটিভিটি রেকর্ড করেন। তারপর বিশষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে ওই ইলেকট্রিকাল সিগনালগুলোকে রূপান্তর করেন মিউজিকাল নোটে।

তবে ইইজি থেকে পাওয়া ব্রেইন মিউজিক এতোটাই কর্কশ শোনাতো যে একরকম শোনার অযোগ্যই ছিলো সেটি। এই সমস্যা সমাধানে এমআরআই ব্যবহারের স্বিদ্ধান্ত নেন বিজ্ঞানীরা। এফএমআরআই এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ নির্ণয় করেন তারা। এরপর ইইজি আর এফএমআরআই থেকে পাওয়া ডেটা এক করে বিজ্ঞানীরা দাঁড় করিয়ে ফেলেন ‘শ্রবনযোগ্য’ ব্রেইন মিউজিক।

বিজ্ঞানীরা জানান, ইইজি আর এফএমআরআইয়ের ডেটা থেকে তৈরি ব্রেইন মিউজক শোনার পর ১০ জন পেশাদার সংগীত শিল্পর মন্তব্য, একজন মানুষের কম্পোজ করা সংগীতের সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে ব্রেইন মিউজিকের।

গবেষকরা আশা করছেন, বিজ্ঞান এবং শিল্পের সমন্বয় ঘটানোর মধ্য দিয়ে ব্রেইন মিউজিক ব্যবহার করেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে মস্তিষ্কের তরঙ্গগুলো। এর ফলে মোকাবেলা করা যাবে উদ্বেগ ও বিষন্নতা।

সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১২

গগলসে জিপিএস-ব্লুটুথ

গগলসে জিপিএস-ব্লুটুথ

ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক স্পোর্টস ইকুইপমেন্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওকলির তৈরি নতুন এয়ারওয়েভ স্নো গগলসে থাকবে নিজের অবস্থান নির্ণয় করার জন্য গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) সুবিধা। শুধু তাই নয়, ব্লুটুথ, মিউজিক কন্ট্রোলার আর টেক্সট মেসেজ সুবিধার সবই থাকবে গগলটির হেডস-আপ ডিসপ্লেতে। খবর গিজম্যাগ-এর।

গগলসটির মূল ফিচার হচ্ছে এর ‘হেডস-আপ ডিসপ্লে’। তুষার ঢাকা পর্বতে স্নো বোর্ডিংয়ের সময় চোখের আড়ালেই থাকবে ডিসপ্লেটি। মাঝে থেমে একটি মিনিয়েচার প্রিজম লেন্সে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলেই সামনে চলে আসবে ডিসপ্লেটি এবং জানিয়ে দেবে ব্যবহারকারীর স্ট্যাটাস আপডেট। আর ৩৫ দশমিক ৫ সেন্টিমিটারের ডিসপ্লেটি যখন সামনে চলে আসবে তখন মনে হবে স্ক্রিনটি যেন ১ দশমিক ৫ মিটার দূরে রয়েছে স্নোবোর্ডার বা স্কিয়ারের কাছ থেকে।

গগলসটির জিপিএস ব্যবহার করে ব্যবহারকারী জেনে নিতে পারবেন তার অবস্থানগত তথ্য। এছাড়াও কতো উপর থেকে তুষারে লাফিয়ে পড়েছেন বা কতোটা দূরত্ব পাড়ি দিয়েছেন, এর সব তথ্যের যোগান দেবে গগলসটি।

এছাড়াও তাপমাত্রা, গতি ও উচ্চতার মতো প্রয়োজনীয় তথ্যের যোগান দেবে গগলসটি। আর গগলসটির ব্লুটুথ ব্যবহার করে স্মার্টফোনটি পকেট থেকে বের না করেই দেখা যাবে ইনকামিং কল, পড়া যাবে এসএমএস। আর প্রয়োজনের সময় স্নো গগলসটির লেন্সও পরিবর্তন করা যাবে দ্রুত।

৪২ আলোকবর্ষ দূরে 'সুপার-আর্থ'!

৪২ আলোকবর্ষ দূরে 'সুপার-আর্থ'!

দ্বিতীয় পৃথিবীর খোঁজে চালানো গবেষণায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে ৪২ আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র ‘এইচডি ৪০৩০৭’ ঘিরে ঘুরতে থাকা গ্রহগুলো নক্ষত্রটির এতোই কাছে যে, জীবনধারণের উপযোগী হতে পারে গ্রহগুলো। খবর বিবিসির।

‘এইচডি ৪০৩০৭’ নক্ষত্রটি ঘিরে ঘুরতে থাকা তিনটি গ্রহ আগেই আবিষ্কার করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ওই নক্ষত্রটিকে আবর্তনকারী আরো তিনটি গ্রহ আবিষ্কার করেছেন তারা। আর ওই তিন গ্রহেই থাকতে পারে তরল জল। তবে আমাদের সূর্যের তুলনায় আকারে ছোট ‘এইচডি ৪০৩০৭’ নক্ষত্রটি।

চিলিতে অবস্থিত ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরির লা সিলা ফ্যাসিলিট হার্প ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যবহার করে ‘এইচডি ৪০৩০৭’ এবং এর চাপাশে ঘুরতে থাকা ছয়টি গ্রহ আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা।

‘এইচডি ৪০৩০৭’ নক্ষত্র ঘিরে ঘুরতে থাকা গ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দূরের গ্রহের নাম ‘এইচডি ৪০৩০৭জি’। পৃথিবীর হিসেবে মাত্র ২০০ দিনে নক্ষত্রটিতে অতিক্রম করে গ্রহটি। পৃথিবীর তুলনায় সাতগুণ বেশি ভর ‘এইচডি ৪০৩০৭জি’র।

‘এইচডি ৪০৩০৭’ নক্ষত্রটির গ্রহগুলো আবিষ্কারের ফলে আরো বড়ো হলো ‘সুপার-আর্থ’ খ্যাত এক্সোপ্লানেট গ্রহগুলোর তালিকা। এর আবিষ্কারক বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে মহাকাশে স্থাপিত টেলিস্কোপ ব্যবহার করে গ্রহগুলোর গঠন নিয়ে আরো বিস্তারিত গবেষণা করা

বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১২

প্রথম দেখাতেই ভালো লাগার ব্যাখা দিলেন বিজ্ঞানীরা

প্রথম দেখাতেই ভালো লাগার ব্যাখা দিলেন বিজ্ঞানীরা

প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যাবার পুরো ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করলেন বিজ্ঞানীরা। বিপরীত লিঙ্গের কাউকে প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যাওয়ার পেছনের মূল ‘কালপ্রিট’ মস্তিষ্কেরই একটা অংশ। আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, এজন্য দায়ী, মস্তিষ্কের সামনের দিকে অবস্থিত মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল করটেক্স। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

নতুন মুখ দেখার কয়েক মিলিসেকেন্ডের মধ্যে ওই ব্যক্তিটি ‘মিস্টার বা মি রাইট’ কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল করটেক্সের কয়েকটি অংশ। পছন্দের মানুষটির খোঁজে মস্তিষ্কের এই চমকপ্রদ ভূমিকার ব্যাপারটি আবিষ্কার করেছেন আইরিশ বিজ্ঞানীরা।

গবেষণার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের ৭৮ জন নারী এবং ৭৩ জন পুরুষ শিক্ষার্থীকে নিয়োগ করেন বিজ্ঞানীরা। তাদের নিয়ে বিজ্ঞানীরা আয়োজন করেন এক স্পিড-ডেটিং ইভেন্ট। ওই ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীরা পাঁচ মিনিট করে সময় কাটান বিপরীত লিঙ্গের প্রত্যেক ব্যক্তির সঙ্গে।

আর ইভেন্টটির আগে ৩৯ জন অংশগ্রহনকারীর ব্রেইন স্ক্যান করে ফাংশনাল এমআরআই (এফএমআইরআই) মেশিন দিয়ে মস্তিষ্কের ছবি তোলেন বিজ্ঞানীরা। এফএমআরআই মেশিন দিয়ে ছবি তোলার সময় স্বেচ্ছাসেবকদের বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের ছবি দেখিয়ে কাদের সঙ্গে ডেটে যেতে ইচ্ছুক, তা চিহ্নিত করতে বলেন বিজ্ঞানীরা।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, এফএমআরআইয়ে পরীক্ষায় নেয়া স্বেচ্ছাসেবকরা ছবি দেখে যাদের পছন্দ করেছিলেন, স্পিড ডেটিং ইভেন্টে তাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ ব্যক্তিকে পছন্দ করেন।

পছন্দের মানুষকে চিহ্নিত করার সঙ্গে মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল করটেক্সের একটি বিশেষ অঞ্চল প্যারাসিঙ্গুলেট করটেক্সের সম্পর্ক খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। ছবির মানুষটিকে দেখে পছন্দ হলেও গাণিতিক হারে বেড়ে যাচ্ছিলো প্যারাসিঙ্গুলেট করটেক্সের কার্যক্রম।

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১২

গাড়ি চালানোয় রোবটকে হারিয়ে জিতলো মানুষ

গাড়ি চালানোয় রোবটকে হারিয়ে জিতলো মানুষ

ক্যালিফোর্নিয়ার থান্ডারহিল রেসওয়েতে রোবট আর মানুষের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক রেসে সামান্য ব্যবধানে জিতে গেলো মানুষ । খবর বিবিসির।

প্রতিযোগী রোবট গাড়িটি স্ট্যানফোর্ড  ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর অটোমোটিভ রিসার্চ-এর গবেষকরা তৈরি করেন। শেলি নামের স্বয়ংক্রিয় গাড়িটি রাস্তায় নিজের অবস্থান, টায়ারের অবস্থান, এসব বুঝে ওই রাস্তায় সবচেয়ে ভাল রুটটা খুঁজে নেয়। প্রতিযোগিতায় গাড়িটির প্রতিদ্বন্দ্বী চালক ওই রুটটা খুব ভাল করেই চিনতেন। তবুও চালকবিহীন গাড়িটির সঙ্গে খুব বেশি ব্যবধান তৈরি করতে পারেননি তিনি।

গবেষকরা বলেন, তাদের প্রধান লক্ষ্য গাড়িগুলোকে এভাবেই একজন ভাল ড্রাইভারের মতো দক্ষ করে তোলা, যেন তারা নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে।


পাসওয়ার্ড ছাড়াই ফেইসবুকে লগ ইন!

পাসওয়ার্ড ছাড়াই ফেইসবুকে লগ ইন!

সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটির কারণে পাসওয়ার্ড ছাড়াই লগ ইন করা যাচ্ছিলো বেশকিছু ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে। তবে হ্যাকার নিউজ ওয়েবসাইটে ফেইসবুক সিকিউরিটির ওই ফাঁকের কথা ফাঁস হবার সঙ্গে সঙ্গেই বাগটি ঠিক করে ফেলেছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।

হ্যাকার নিউজ ওয়েবসাইটে একটি সার্চ স্ট্রিং পোস্ট করা হয়েছিলো। গুগলে সার্চ স্ট্রিংটি ব্যবহার করলেই সার্চ রেজাল্টে ১৩ দশমিক ২ লাখ ফেইসবুক অ্যাকাউন্টের লিংক চলে আসে। ওই লিংকগুলোর মধ্যে অনেকগুলোতে ক্লিক করেই সরাসরি অ্যাকাউন্টে ঢোকা যাচ্ছিলো।

ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে স্ট্যাটাস আপডেট এবং নোটিফিকেশন সম্পর্কিত যে মেইলগুলো যেতো, তার অনেগুলোইতেই একটি কুইক অ্যাক্সেস লিংক দেয়া থাকতো, যেখানে ক্লিক করে সরাসরি ফেইসবুকে ঢুকতে পারতেন ব্যবহারকারীরা। বাস্তবে ওই লিংকগুলোই ফাঁস হয়ে গেছে অনলাইনে।

ফেইসবুক সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার ম্যাট জোনস জানান, ‘একমাত্র ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের কাছেই ওই লিংকগুলো পাঠানো হয়। আর লিংকগুলো ব্যবহার করা যায় একবারই। সার্চ ইঞ্জিনে ওই লিংকগুলো পেতে হলে ইমেইলের কনটেন্ট অনলাইনে পোস্ট করতে হবে।’

জোনস সন্দেহ করছেন, মেইল সাইটগুলো নিজেদের আর্কাইভে থাকা মেইল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায়ই ফাঁস হয়ে গেছে লিংকগুলো।

ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, লিংকগুলো কেবল ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকাউন্টেই পাঠানো হয়েছিলো। অন্য কোথাও কখনোই ফাঁস করা হয়নি লিংকগুলো। ওই বিবৃতিতে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ আরো জানান, ‘আমরা সবসময়ই ওই লিংকগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। ফাঁস হওয়া লিংকগুলোও বন্ধ করে দিয়েছি আমরা।’

ক্যালোরি কমাতে পারে হরর মুভি!

ক্যালোরি কমাতে পারে হরর মুভি!

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, হরর ফিল্ম দেখার সময় দর্শকের শরীর থেকে একটা চকলেট বারের সমান ক্যালোরি পুড়ে যায়। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর।

দর্শক যখন ৯০ মিনিটের মতো এমন ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যান, তখন প্রায় ১১৩ ক্যালোরি পুড়ে যায়, যা আধ ঘণ্টা হাঁটলে যে পরিমাণ ক্যালোরি ক্ষয় হবে, তার প্রায় সমান।

ক্যালোরি পোড়ানো এমন ভয়ংকর মুভিগুলোর তালিকার শীর্ষে রয়েছে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ‘দি শাইনিং’ (১৯৮০), যেটা দেখে প্রায় ১৮৪ ক্যালোরি ক্ষয় করা সম্ভব। এর পরের স্থান দখল করেছে ‘জস’, যেটা দর্শকদের ১৬১ ক্যালোরি পোড়াতে সক্ষম এবং তৃতীয় স্থানে আছে ‘দি একসরসিস্ট’, ১৫৮ ক্যালোরি পোড়াতে সক্ষম।

গবেষকরা হরর মুভি দেখার সময় দর্শকদের হার্ট বিট, অক্সিজেন নেয়া এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করার হার, এবং ওই সময় ব্যবহৃত ক্যালোরির পরিমাণ বৃদ্ধি রেকর্ড করেন। তারা বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়, যখন দর্শকরা মুভি দেখতে দেখতে ভয়ে লাফ দিয়ে ওঠেন।

যারা শরীরের ক্যালোরি কমাতে ইচ্ছুক কিন্তু কোন ডায়েট বা এক্সারসাইজ করার সময় পান না, তাদের জন্য ব্যাপারটা বেশ কার্যকর। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, দর্শককে অবশ্যই ভয় পেতে হবে।

এক অ্যাপ্লিকেশন বানিয়েই শীর্ষে কিশোর প্রোগ্রামার

এক অ্যাপ্লিকেশন বানিয়েই শীর্ষে কিশোর প্রোগ্রামার

পাঠকের কাছে সংবাদ সংস্থার খবরগুলোর সারসংক্ষেপ তুলে ধরার স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন বানিয়ে অ্যাপল অ্যাপস্টোরের শীর্ষ ১০ অ্যাপের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন ব্রিটিশ কিশোর নিক ডিআলোইসিও। অ্যাপস্টোরে মুক্তি পাবার দু’ঘণ্টার মধ্যেই শীর্ষ ১০ বিক্রিত অ্যাপের তালিকার ৯ নাম্বারে জায়গা করে নেয় ডিআলোইনিওর তৈরি অ্যাপ ‘সামলি’। খবর বিবিসির।

‘সামলি’ অ্যাপটি বানাতে বেশ কিছুদিন স্কুলে যাওয়াই বন্ধ রেখেছিলেন ১৭ বছর বয়সি আলোইসিও। ইন্টারনেটে প্রকাশিত খবরগুলো সারসংক্ষেপ আকারে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করে সামলি। এতে হাজার শব্দের লেখা না পড়ে সারসংক্ষেপ থেকেই মূল খবরটি জেনে নিতে পারেন পাঠক। আর সারসংক্ষেপ পড়ার পর পুরো লেখাটিও চাইলেই পড়তে পারবেন পাঠক।

ডিআলোইসিও এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা আইফোনের অন্যসব ইন্টারফেস থেকে আলাদা একটি ইন্টারফেস তৈরি করতে অনেক শ্রম দিয়েছি। কঠিন সব অ্যালগরিদমকে আমরা এক করেছি চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের সঙ্গে।’

ইতোমধ্যেই বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০ লাখ ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ পেয়েছে ডিআলোইসিওর সামলি। অ্যাপস্টোর থেকে বিনামূল্যেই ডাউনলোড করা যাচ্ছে সামলি।

বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১২

'মাথাহীন' লেডিবাগের খোঁজ মিললো যুক্তরাষ্ট্রে

'মাথাহীন' লেডিবাগের খোঁজ মিললো যুক্তরাষ্ট্রে

বিরল ‘মাথাহীন’ পোকা লেডিবাগের খোঁজ মিললো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মাথাহীন বললেও লেডিবাগটির একবারেই যে মাথা নেই, তা কিন্তু নয়। আদতে কচ্ছপের মতো শরীরের ভেতরে নিজের মাথাটি লুকিয়ে রাখে বলে ‘মাথাহীন’ লেডিবাগ নামে খ্যাতি পেয়েছে এলিনিয়াস আইভি প্রজাতির লেডিবাগ। খবর রয়টার্স-এর।

লেডিবাগের এই প্রজাতি প্রাণীবিজ্ঞানীদের কাছে একবারেই নতুন। মনটানা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করার সময় এলিনিয়াস আইভি লেডিবাগটি আবিষ্কার করেন ওয়াল্ডলাইফ টেকনিশিয়ান রস উইন্টন। প্রথমে বড় কোনো পিপড়ের দেহাবশেষ পেয়েছেন ভাবলেও আসলে যে পুরো নতুন প্রজাতির একটি লেডিবাগ আবিষ্কার করেছেন, তা বুঝতে খুব বেশি সময় লাগেনি উইন্টনের।

নতুন আবিষ্কৃত লেডিবাগটির প্রজাতিটির কেবল দু’টি নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনটানা থেকে একটি পুরুষ লেডিবাগ এবং আইডাহো থেকে একটি নারী লেডিবাগের নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।

নতুন প্রজাতির লেডিবাগটির নাম দেয়া হয়েছে মনটানা স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষক প্রফেসর মাইকেল আইভির নামানুসারে।

প্রফেসর আইভি এ ব্যাপারে বলেন, ‘এ প্রজাতির লেডিবাগ আমাদের কাছে একেবারেই নতুন। ১ গ্রাম ওজনের বালির সমান আকৃতির এই লেডিবাগটির আবিষ্কার মোটেই কোনো ছোট অর্জন নয়।’ তবে মাথাহীন নামে খ্যাতি পাওয়া লেডিবাগটি কেন গলার ভেতরে নিজের মাথাটি লুকিয়ে রাখে সে ব্যাপারটি এখনও রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে বিজ্ঞানীদের কাছে।

বিপজ্জনক ২৫ পাসওয়ার্ড

বিপজ্জনক ২৫ পাসওয়ার্ড

পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট ফার্ম স্প্ল্যাশডেটা প্রকাশ করেছে ঝুঁকিপুর্ণ ২৫টি পাসওয়ার্ডের তালিকা। এ পাসওয়ার্ডগুলো খুব বেশি ব্যবহৃত হওয়ায় হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনাও বেশি। খবর টাইম ম্যাগাজিন-এর।

স্প্ল্যাশডেটার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড তিনটি হচ্ছে password, ১২৩৪৫৬ এবং ১২৩৪৫৬৭৮. এগুলোকে খুবই ঝুঁকিপুর্ণ পাসওয়ার্ড হিসেবে উল্লেখ করেছে স্প্ল্যাশডেটা। হ্যাকাররা সহজেই এ পাসওয়ার্ড ভেঙে ফেলতে পারে। সম্প্রতি সাইবার আক্রমণের শিকার মেইল, সোশাল নেটওয়ার্ক ও বিভিন্ন সাইটের ইউজারদের সচেতন করে তুলতে এ ধরনের পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।

ঝুঁকিপূর্ণ পাসওয়ার্ডের এ তালিকায় উঠে এসেছে jesus, ninja, mustang, password1 এবং welcome. নতুন পাসওয়ার্ড তৈরি করা কঠিন না হলেও, অনেক ইউজার সহজ শব্দকে পাসওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করে।

অনলাইনে তথ্যের নিরাপত্তায় এধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করেছে পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট ফার্মটি। নতুন পাসওয়ার্ড কেমন হতে পারে, তার সংক্ষিপ্ত দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন স্প্ল্যাশডেটার সিইও মরগান স্লেইন।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে একটি সংক্ষিপ্ত বাক্য ব্যবহার করা যেতে পারে পাসওয়ার্ড হিসেবে। যেমন ফড়ম dog eats bone-এর সঙ্গেunderscores, dashes, hyphens যোগ করা যেতে পারে যেমন dog_eats_bone!

তালিকার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাসওয়ার্ডগুলো হচ্ছে-
১. password
২. 123456
৩. 12345678
৪. abc123
৫. qwerty
৬. monkey
৭. letmein
৮. dragon
৯. 111111
১০. baseball
১১. iloveyou
১২. trustno1
১৩. 1234567
১৪. sunshine
১৫. master
১৬. 123123
১৭. welcome
১৮. shadow
১৯. ashley
২০. football
২১. jesus
২২. michael
২৩. ninja
২৪. mustang
২৫. password1

গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের দৃশ্য আনছে গুগল ট্র্যাকার

গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের দৃশ্য আনছে গুগল ট্র্যাকার

গুগল এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুর্গম গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের ট্র্যাকিং ও হাইকিংয়ের রাস্তার দৃশ্য ইউজারদের জন্য আনছে। এজন্য গুগল ব্যবহার করছে ব্যাকপ্যাকের পেছনে সংযুক্ত বিশেষ ক্যামেরা। এর আগে ‘স্ট্রিট ভিউ’ সেবার জন্য স্পেনের অত্যন্ত সরু গলির তিন চাকার সাইকেল, স্মিথসনিয়ানের জন্য ঠেলাগাড়ি ও কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার তুষার ঘেরা এলাকার জন্য স্নোমোবাইল ব্যবহার করে ক্যামেরায় ধারণ করে গুগল। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

গুগলের প্রোডাক্ট ম্যানেজার রায়ান ফ্যালর বলেন, ‘রাস্তা ব্যবহার করে যেসব জায়গায় পৌঁছানো যায়না, এমন ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও দর্শনীয় স্থানগুলোও আমরা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য আনতে চাই।’

এবছরের শুরুর দিকে গুগল ‘ট্র্যাকার’ ঘোষণা দেয়, গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন এই সেবার প্রথম ধাপ। প্রতিষ্ঠানটি খুব শীঘ্রই এভারেস্ট পর্বত, ভেনিসের সংকীর্ণ গলি ও পুরোনো ধংসাবশেষও যুক্ত করবে।

গুগলের এই খবরটি প্রকাশ পেল এমন সময় যখন অ্যাপল নিজেদের ম্যাপিং সার্ভিস নিয়ে যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়েছে।

২০০৭ সালে আমেরিকার মাত্র পাঁচটি শহরের ‘৩৬০ ডিগ্রি ভিউ’ দিয়ে ‘স্ট্রিট ভিউ’ সেবা চালু করেছিলো গুগল। এখন ৪৩টি দেশের ৩ হাজার শহর আছে এই সেবাতে।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

সোনার উৎস হবে দূষিত পানি

সোনার উৎস হবে দূষিত পানি

অল্প খরচে রিসাইক্লিং প্ল্যান্টের দূষিত পানি থেকে সোনার মতো মূল্যবান ধাতব পদার্থ আহরণের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন ফরাসী প্রতিষ্ঠান ম্যাগপাই পলিমারস-এর গবেষকরা। ফলে রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট থেকেই পাওয়া যাবে বিভিন্ন মূল্যবান ধাতু; যা ব্যবহার করা যাবে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে। খবর আইটেকপ্রেস-এর।

রিসাইক্লিং প্ল্যান্টে অ্যাসিড এবং পানি ব্যবহার করে গলিয়ে ফেলা হয় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পদার্থ। এতে পানিতে মিশে যায় সোনার মতো মূল্যবান অনেক ধাতব পদার্থ। দূষিত পানি থেকে ওই ধাতুগুলো আহরণের কয়েকটি প্রযুক্তি থাকলেও, তার সবগুলোই অনেক ব্যয়বহুল। এজন্য এতোদিন যেন হাতের কাছে খনি থেকেও আহরণ করা যেতো না সোনা।

এ সমস্যা সমাধানে ম্যাগপাই পলিমারসের বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন বিশেষ এক ধরনের রজন পদার্থ। ওই রজন পদার্থের ওপর দিয়ে ধাতুমিশ্রিত পানি প্রবাহিত হলে ধাতুগুলো আটকে যায় রজনের সঙ্গে, আর বেরিয়ে আসে বিশুদ্ধ পানি।

ম্যাগপাই পলিমারসের পরিচালক এটেইন আলমোরিকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পদ্ধতিতে এক লিটার পানিতে মাত্র ১ মাইক্রোগ্রাম ধাতু থাকলেও তা আটকে যাবে রজনে। এভাবে ৫ থেকে ১০ ঘনগজ পানি থেকে পাওয়া যেতে পারে কয়েক আউন্স সোনা। বর্তমান বাজারে এক আউন্স সোনার দাম ১ হাজার ৭০০ ডলার।

এ পদ্ধতি ব্যবহার করে একদিকে যেমন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট থেকে পাওয়া যাবে মূল্যবান ধাতব পদার্থ, তেমনি বিশুদ্ধ করা যাবে দূষিত পানি। রজন পদার্থটি ব্যবহার করে ধাতব খনির পানি শোধন করে পরিবেশগত সমস্যাও দূর করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।


চুরির সাক্ষী হলো চোরের আইফোন

চুরির সাক্ষী হলো চোরের আইফোন!

ঘরের আলো জ্বালিয়ে চুরি করা যে কোনো বুদ্ধিমান চোরের কৌশলের তালিকায় পড়ে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ঘুটঘুটে অন্ধকারে কাজ সারতে কিছুটা হলেও তো আলো প্রয়োজন। সে জন্যেই চুরি করতে ঢুকে ফ্ল্যাশলাইট হিসেবে নিজের আইফোনটি ব্যবহার করছিলেন এমানুয়েল জেরোমি। চুরির সময় সেই আইফোনের ভিডিও রেকর্ডিং বাটনটিতে ভুলে চাপ পড়ে যাওয়ায় এখন শ্রীঘরে যেতে হচ্ছে ২৩ বছর বয়সি এই চোরকে। খবর সিনেটডটকম-এর।

চুরির সন্দেহেই জেরোমিকে গ্রেপ্তার করেছিলো যুক্তরাজ্যের পুলিশ। আর যে কোনো চোরের মতোই নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু তার আইফোনটি ঘাঁটতে যেয়ে পুলিশ পেয়ে যায় চুরির প্রমাণ। চুরির পুরো ঘটনাটি ভিডিও রেকর্ড হয়েছিলো জেরোমের আইফোনে।

তদন্তকারীরা বলছেন, চুরির সময় ফ্ল্যাশলাইট হিসেবে নিজের আইফোন ব্যবহার করতেন জেরোমি। সেসময় নার্ভাস হয়ে পড়ায় হয়তো চাপ পড়ে গিয়েছিলো আইফোনের রেকর্ড বাটনে। আর তাতেই এখন শ্রীঘরে দিন কাটাতে হবে তাকে।

জেরোমি নিজেকে নিরপরাধ দাবি করলেও, সে দাবি কানে তোলেননি বিচারক জন পটার। আইফোন ভিডিওটি দেখে তাকে ৪৪ সপ্তাহের কারাবাসের সাজা দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১২

গোপন তথ্য ফাঁস করে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

গোপন তথ্য ফাঁস করে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দিতে পারে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস। প্রায় সাড়ে ১৩শ’ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসের ওপর গবেষণার পর জানা যায়, আট শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং সোশাল মিডিয়া লগইনের তথ্য গোপন রাখতে ব্যর্থ। খবর বিবিসির।

ইউনিভার্সিটি অফ লেইবনিজ-এর সিকিউরিটি গ্রুপ গবেষক এবং ফিলিপস ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিজ্ঞানীরা গুগলের প্লে স্টোরের বেশকিছু জনপ্রিয় অ্যাপসের ওপর গবেষণা করেন। নকল ওয়াই-ফাই তৈরির মধ্য দিয়ে বেশ কিছু বিষয় গবেষকদের নজরে আসে।

অ্যান্ড্রয়েডের নিরাপত্তা ত্রুটির মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ই-মেইল সার্ভিস এবং সোসাল মিডিয়া সাইটসের গোপন তথ্য বের করা সম্ভব, প্রোগ্রামের সিকিউরিটি সিস্টেম অকেজো করা সম্ভব এবং কম্পিউটার কোড ইনজেক্ট করা সম্ভব।

অ্যান্ড্রয়েডের বেশকিছু অ্যাপ হাজারেরও বেশি মানুষ ব্যবহার করছেন। তবে ৭৫৪ জন ব্যবহারকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বেশিরভাগই এর নিরাপত্তা ত্রুটি সম্পর্কে অজ্ঞাত। একজন গবেষক লেখেন, ‘অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ব্রাউজারের নিরাপত্তা কিভাবে বজায় রাখতে হয়, সে সম্পর্কে কিছুই জানে না।’

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল