রবিবার, ৫ মে, ২০১৩

'বোকাফোন' টপকে শীর্ষে স্মার্ট


'বোকাফোন' টপকে শীর্ষে স্মার্ট

‘বোকাফোন’ শব্দটা শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই। প্রযুক্তির অগ্রগতির এই যুগে স্মার্টফোন ছাড়া বাকি সব মোবাইল ফোনকেই এক কাতারে ফেলে এবিসি নিউজ নাম দিয়েছে ‘ডাম্বফোন’, সরাসরি বাংলা করলে যা দাঁড়ায় ‘বোকাফোন’। আর এই বোকাফোনকে টপকে বিশ্বব্যাপী বিক্রির দিক দিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন।

এবিসি নিউজ জানিয়েছে, ২০১৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে স্মার্টফোন নির্মাতারা বিশ্বব্যাপী ২১ কোটি ৬২ লাখ স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে। ২০১২ সালের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৫ কোটি ১৭ লাখ। পরিসংখ্যানের হিসেবে, ২০১২ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ২০১৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রি বেড়েছে ৪১.৬ শতাংশ।

স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা বাড়ার এই ব্যাপারটির ব্যাখ্যা দিয়ে আইডিসির বিশ্লেষক বলেন, “মোবাইল ফোন দিয়ে শুধু কল করা আর এসএমএস পাঠানোর দিন শেষ। ক্রেতারা এখন পকেটে একটা কম্পিউটার রাখতে চান।”

গুগলের 'এক্স ফোন'


গুগলের 'এক্স ফোন'

মটোরোলা মোবিলিটির ব্যানারে এবার নিজস্ব ডিজাইনে স্মার্টফোন বানাচ্ছে ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগল। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট বিজিআর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী গুগলের বানানো স্মার্টফোনটি প্রাথমিক অবস্থায় চিহ্নিত করা হচ্ছে ‘এক্স ফোন’ নামে। বৃহস্পতিবার প্রযুক্তিবিষয়ক বিভিন্ন সাইটে ছড়িয়ে পড়ে গুগলের ‘এক্স ফোন’-এর ছবি। এ মাসের শেষের দিকেই গুগল স্মার্টফোনটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে বলেও জানিয়েছে বিজিআর।

১২৪০ কোটি ডলারে মটোরোলা মোবিলিটি কিনে নেবার পরও মোবাইল ফোন বাজারে ওএস ছাড়া গুগলের বড় কোন সাফল্য নেই বললেই চলে। তাই গুগল সরাসরি নিজস্ব ডিজাইনে মোবাইল ফোন বানাচ্ছে, এমন গুজব শোনা যাচ্ছিলো বেশ কিছুদিন ধরেই। 

বৃহস্পতিবার অনলাইসে ফাঁস হয়ে যায় গুগলের ‘এক্স ফোন’-এর ছবি। এদিকে স্মার্টফোনটির মূল ফিচারগুলো আবিষ্কারের দাবি করেছে নাইনটুফাইভগুগল। সাইটটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্মার্টফোনটি চলবে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ জেলি বিন অপারেটিং সিস্টেমে। 

অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ৪.৭ ইঞ্চির এইচডি ডিসপ্লে, ৩২ জিবি ইন্টারনাল মেমোরি এবং ২ জিবি র‌্যাম। একসঙ্গে ২৫টি রংয়ের কেসিংয়ে বাজারে পাওয়া যাবে স্মার্টফোনটি, এমনটাও দাবি করেছে নাইনটুফাইভগুগল।

গ্রাফিক্স চিপ 'আইরিশ' আনছে ইনটেল


গ্রাফিক্স চিপ 'আইরিশ' আনছে ইনটেল

বাজারে আসন্ন ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতো পণ্যে ‘আইরিশ’ নামে গ্রাফিক্স চিপ যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে চিপ জায়ান্ট ইনটেল। প্রযুক্তি সংবাদবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই চিপ থাকার ফলে ব্যবহারকারীদের আর আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না।

‘আইরিশ’ চিপ চতুর্থ প্রজন্মের ইনটেল কোর ‘হ্যাশওয়েল’ প্রসেসরে সংযোজিত হবে। এছাড়া ইউ এবং মোবাইল এইচ সিরিজের আলট্রাবুক এবং হাই-পারফরমেন্স ল্যাপটপগুলোর জন্য তৈরি তৃতীয় প্রজন্মের ইনটেল কোর ‘আইভি ব্রিজ’-এ আইরিশ চিপ ব্যবহারে থ্রিডি গ্রাফিক্সের পারফরমেন্স দ্বিগুণ হবে।

মোবাইল এইচ এবং আর-সিরিজের আইরিশ গ্রাফিক্সে দ্রুতগতির ই ডিআরএএম মেমোরি থাকবে। ছবি এবং ভিডিও দ্রুত এডিট করার জন্য থাকবে কুইক সিংক ভিডিও টেকনোলজি এবং এমজেপিইজি এক্সেলারেশন। এছাড়া, ওপেনসিএল এবং ডিরেক্টএক্স ১১.১ ডিসপ্লে ছাড়াও আলট্রা এইচডি ডিসপ্লের রেজুলিউশনও সাপোর্ট করবে আইরিশ।

এবার কাগজেই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি চিপ


এবার কাগজেই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি চিপ

উন্নত প্রযুক্তির একধরনের কাগজ তৈরি করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা, যাকে মেশিনের সাহায্যে শনাক্ত করা যাবে। সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, এই কাগজগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন চিপ।

ব্যাংকনোট, আইনি দলিল বা প্রতিষ্ঠানের লেবেলসহ নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে এই কাগজ ব্যবহার করা যাবে। এ কাগজে তৈরি ব্যাংকনোট বা দলিলটি আসল না নকল, তা মেশিনের মাধ্যমে সহজেই শনাক্ত করা যাবে।

আরএফআইডি মেশিনে মূল কাগজ শনাক্ত করতে লেজার ব্যবহার করা হয়, যা কাগজের ইলেকট্রনিক চিপগুলোকে শনাক্ত করে। বাজারে বর্তমানে এ ধরনের কাগজ থাকলেও, তা অনেক পুরু। ফলে তা সাধারণ প্রিন্টারে প্রিন্ট করার উপযোগী নয়। নতুন প্রযুক্তিতে প্লাজমা ইচার ব্যবহার করে চিপগুলোকে আরও পাতলা করা হয়েছে।

অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে এই প্রযুক্তি সাশ্রয়ী বলে জানান প্রকল্পটির প্রধান অধ্যাপক ‌ভ্যাল মারিনোভ।

সংঘর্ষ হতে পারে মহাকাশেও!


সংঘর্ষ হতে পারে মহাকাশেও!

পৃথিবীর কাছের মহাকাশে বিভিন্ন সময়ে পাঠানো ভাসমান ধ্বংসাবশেষ ও জঞ্জালগুলোর সঙ্গে প্রদক্ষিণরত কৃত্রিম উপগ্রহের সংঘর্ষ হতে পারে যে কোনো সময়। সম্প্রতি ষষ্ঠ ইউরোপিয়ান ডেব্রিস সম্মেলনে মহাকাশবিজ্ঞানীরা বিষয়টি জানান। এক প্রতিবেদনে সম্মেলনটির  বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মহাকাশ গবেষকরা জানিয়েছেন, ১০ সেন্টিমিটার আকৃতির প্রায় ৩০ হাজার ধ্বংসাবশেষ প্রতিনিয়ত পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। এসবের বেশিরভাগই হল পুরনো কৃত্রিম উপগ্রহ এবং রকেটের বিচ্ছিন্ন অংশবিশেষ। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে আগে পাঠানো বিভিন্ন মহাকাশযানের অংশবিশেষ।

উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এসব মহাকাশ আবর্জনার অনেকগুলোর মধ্যে এখনও রয়েছে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ও জ্বালানি। ফলে এদের সংঘর্ষের ফলাফল হবে খুবই বিপজ্জনক। আর তাই এসব মহাকাশের বর্জ্য সরাতে গবেষকরা একমত হয়েছেন। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে, পৃথিবীর কাছাকাছি মহাকাশে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

তবে এগুলো সরানোর ক্ষেত্রেও রয়েছে জটিলতা। অধিকাংশ ধ্বংসাবশেষই হল ছোট আকারের, যা রেডারে ধরা পড়ে না। এছাড়াও কক্ষপথে বিভিন্ন সক্রিয় কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে। অনাকাক্সিক্ষত সংঘর্ষের ফলে যে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তার প্রভাব পড়বে সমগ্র বিশ্বে।

পারমাণবিক সিনেমা!


পারমাণবিক সিনেমা!

বিশ্বের ক্ষুদ্রতম সিনেমা নির্মাণের দাবিদার এখন সুপারকম্পিউটার নির্মাতা আইবিএম! আইবিএমের তৈরি ‘এ বয় অ্যান্ড হিজ অ্যাটম’ সিনেমার নামটি যেমন, ঠিক তেমনি এর গল্প গড়ে উঠেছে অ্যাটমদের নিয়ে। পরমাণুদের দিয়েই অভিনয়ের কাজটাও ঠিকই করিয়ে নিয়েছেন আইবিএম বিজ্ঞানীরা। আর বড়পর্দায় এই সিনেমা দেখার কোনো সুযোগ কিন্তু নেই; সিনেমাটি দেখতে হবে মাইক্রোস্কোপ দিয়েই। আইবিএম বিজ্ঞানীদের এই অভিনব কাজের খবর জানিয়েছে প্রযুক্তি সংবাদবিষয়ক সাইট ম্যাশএবল।

দীর্ঘদিন ধরে অ্যাটমিক ডেটা স্টোরেজ নিয়ে গবেষণা থেকে পাওয়া বিদ্যা কাজে লাগিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছেন আইবিএমের বিজ্ঞানীরা। এক পরমাণু বন্ধুর পেছনে ছুটতে ছুটতে, নেচে বেড়িয়ে অ্যাটমিক ডেটা স্টোরেজের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা শিখে নেয় সিনেমার মূল চরিত্রটি। সিনেমার মূল চরিত্রের কাঠামোটিও বানানো হয়েছে পরমাণু সাজিয়েই।

১ ন্যানোমিটারের সমতল কপারের উপর অতি সূক্ষ এক সুঁই দিয়ে পরমাণুগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে বিজ্ঞানীরা বানিয়েছেন ২৫০টি ফ্রেম। মজার ব্যাপার হচ্ছে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম সিনেমাটি বানাতে বিজ্ঞানীরা যে মাইক্রোস্কোপটি ব্যবহার করেছেন তার ওজন দুইটন।

যে কোনোকিছুকে ১০ কোটি গুণ বড় করে দেখায় ওই দুই টনি ‘স্ক্যানিং-টানেলিং মাইক্রোস্কোপটি। আর মাইক্রোস্কোপটি চালাতে হয় মাইনাস ৪৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায়।

অ্যাটমিক ডেটা স্টোরেজ নিয়ে অনেকদিন ধরেই গবেষণা করছেন আইবিএম বিজ্ঞানীরা। ছোট্ট একটি পরমাণুতে ডেটা সংরক্ষণের পদ্ধতিটাই তারা ব্যাখ্যা করেছেন ‘এ বয় অ্যান্ড হিজ অ্যাটম’ সিনেমাটিতে। বিশ্বের ক্ষুদ্রতম এই সিনেমা দেখার সুযোগ হয়তো হবে না সাধারণ দর্শকের, তবে এতে আক্ষেপ নেই আইবিএমের বিজ্ঞানীদের। এর মধ্যেই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডের কাছ থেকে ‘বিশ্বের ক্ষুদ্রতম স্টপ মোশন ফিল্মের স্বীকৃতিটাও পেয়ে গেছে ‘এ বয় অ্যান্ড হিজ অ্যাটম’।

এসারের ছোট ট্যাবলেটে উইন্ডোজ ৮


এসারের ছোট ট্যাবলেটে উইন্ডোজ ৮

প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘এসার’ এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ছোট স্ক্রিনের উইন্ডোজ ৮ ট্যাবলেট বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকনিউজডেইলি।

এসারের কর্মকর্তা এম্মানুয়েল ফ্রমোন্ট সিনেটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এ যন্ত্রগুলো ১০ ইঞ্চির চেয়ে ছোট পর্দাবিশিষ্ট এবং ফিচারসমৃদ্ধ হবে।” 

প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কর্মকর্তারা জানান, ৪০০ ডলারের কম হবে এসারের এ ট্যাবলেটের দাম। তবে পণ্যটিতে কেমন ফিচার থাকবে, তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কমদামের প্রযুক্তিপণ্য তৈরির মাধ্যমে ও নতুন ঘোষিত উইন্ডোজ ৮ ট্যাবলেট বাজারে আনার মাধ্যমে বিক্রি বাড়ানোর চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক নাগাদ পিসির চাহিদা বাড়বে, এমনটাই আশা করছে এসার।

অ্যান্ড্রয়েড ফোন সুরক্ষার ১০ উপায়


অ্যান্ড্রয়েড ফোন সুরক্ষার ১০ উপায়

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের বেশকিছু নতুন সুবিধা এনেছে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। তবে এর বেশকিছু নিরাপত্তা সমস্যার কথাও বলা হয়ে থাকে। আর স্মার্টফোনের নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনায় সবসময়ই বলা হয়, ব্যবহারকারী চাইলেই সুরক্ষিত রাখতে পারবেন নিজের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখার দশ উপায় নিয়েই এবারের মেইনবোর্ড।

মোবাইল ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) বেশকিছু নতুন সুবিধা এনেছে। কিন্তু এই অপারেটিং সিস্টেমটির নিরাপত্তা সমস্যাও কম নয়। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকনিউজডেইলি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ব্যবহারকারী চাইলেই সুরক্ষিত রাখতে পারবেন নিজের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি। হাতের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি সুরক্ষিত রাখার দশ উপায় নিয়েই এবারের মেইনবোর্ড।

অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার

আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি ক্ষমতা প্রায় একটি কম্পিউটারের সমান। কিন্তু এতেও রয়েছে বিভিন্ন দুর্বলতা। কম্পিউটারের মতো সহজেই স্মার্টফোনটি ভাইরাসের শিকার হতে পারে। এ জন্য অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটিতে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করা প্রয়োজন। ফলে অধিকাংশ ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাবে স্মার্টফোনটি।

ডাউনলোড করুন নিরাপদ অ্যাপ্লিকেশন 
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য রয়েছে অসংখ্য সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন। ব্যবহারকারী নিজের অজান্তেই অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিকর অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করেন। এ কারণে বিভিন্ন স্মার্টফোন নিরাপত্তা সংস্থা কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার আগে এর নির্মাতা ও প্রদানকারী সাইট সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।

মুছে ফেলুন অপরিচিত এসএমএস
অনেক স্মার্টফোন টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস-এর মাধ্যমে ভাইরাস আক্রান্ত হয়। এমনও হতে পারে, আপনার স্মার্টফোনটিতে অপরিচিত নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে যে, আপনার ফোনটি ভাইরাসে আক্রান্ত। এ রকম মেসেজ খুললেই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে আপনার স্মার্টফোনটি। তাই সচেতন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর উচিত সন্দেহজনক টেক্সট মেসেজ এলেই তা মুছে ফেলা।

সাবধান থাকুন 
অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার সময় নিশ্চিত হয়ে নিন অ্যাপ্লিকেশনটির নির্মাতা সম্পর্কে। আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি ‘পাইরেটেড’ কপি কি না তাও জেনে নিন। কারণ, এ রকম অ্যাপে থাকে স্মার্টফোনের জন্য ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার। আর তাই সবসময় ব্যবহার করুন নিরাপদ অ্যাপ্লিকেশন।

আপডেটেড রাখুন ওএস
কিছুদিন পরপরই বের হচ্ছে আপডেটেড ওএস, যার মাধ্যমেও নিশ্চিত করতে পারেন আপনার স্মার্টফোনটির নিরাপত্তা। আপডেটেড ওএস সবসময় চেষ্টা করে স্মার্টফোনটিকে আরও সুরক্ষিত রাখার ও বিভিন্ন নতুন সেবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার। সুতরাং ব্যবহারকারীদের উচিত অপারেটিং সিস্টেমের নতুন ভার্সন বের হলেই স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করে নেওয়া।

সাবধানে ব্যবহার করুন ‘ক্লাউড স্টোরেজ’
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ক্লাউড স্টোরেজ সুবিধাটি ব্যবহার করে সহজেই সংরক্ষণ করা যায় প্রয়োজনীয় তথ্য। তবে সেবাটি আরও সতর্কভাবে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। ক্লাউড স্টোরেজ সেবাটির সঙ্গে একাধিক ফিচার ব্যবহার না করে পর্যাপ্ত ফাইল শেয়ার করার পরামর্শ দেন তারা।

ডেটা ব্যাকআপ রাখুন 
যে কোনো সময় নষ্ট, চুরি অথবা হারিয়ে যেতে পারে আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি। সে ক্ষেত্রে আশঙ্কা রয়েছে আপনার মূল্যবান ও ব্যক্তিগত তথ্য হারিয়ে যাবার এবং অন্য কারও হাতে চলে যাওয়ার। এ ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য ব্যবহার করুন ব্যাকআপ। ফলে ফিরে পাবেন আপনার দরকারি তথ্যগুলো। আর যদি আপনার ফোনটি হারিয়ে যায় অথবা চুরি হয়, তাহলে ‘রিমোট-ওয়াইপ ফিচার’ ব্যবহার করে মুছে ফেলা যাবে ব্যক্তিগত তথ্য। এতে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে। সুতরাং ব্যবহার করুন ফিচারটি এবং নিরাপদ রাখুন আপনার ফোন।

আর্থিক লেনদেনে সাবধান
স্মার্টফোন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মাধ্যমে লেনদেন না করার পরামর্শই দিয়েছেন। এতে করে ক্রেডিট কার্ডভিত্তিক ডেটা বেহাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তারা জানিয়েছেন, ফোনের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সহজ হলেও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।

এনক্রিপ্ট করুন ডেটা
এনক্রিপশন বলতে বুঝায় ডেটাকে গোপন কোডে পরিণত করা। এনক্রিপশন ব্যবহার করে মেশিন চালানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এনক্রিপশন ব্যবহার করে ডেটার নিরাপত্তা বাড়ানো সম্ভব হয়। এনক্রিপটেড ডেটাতে প্রবেশ করতে পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন পড়ে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সুবিধাটির জন্য সেটিংস থেকে সিকিউরিটি অপশন সিলেক্ট করে এনক্রিপ্ট চালু করতে পারবেন ব্যবহারকারী।

চালু করুন পাসকোড 
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহার করুন পাসকোড অথবা প্যাটার্ন লক। আপনার পাসকোড যদি সংখ্যামূলক হয়, তবে কোডটিকে চার ডিজিটের বেশি রাখুন। আকারে বড় এবং জটিল পাসকোড ব্যবহার করা বেশি নিরাপদ। পাসকোড বা প্যাটার্ন লকের মাধ্যমে নিরাপদ রাখুন আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি।

বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৩

এল 'যান্ত্রিক হাত' অ্যাপ


এল 'যান্ত্রিক হাত' অ্যাপ

প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ডেভেলপার টাচ বায়োনিকস’ এনেছে যান্ত্রিক হাতের এক অভিনব অ্যাপ্লিকেশন। বিজ্ঞানবিষয়ক সাইট নিউসায়েন্টিস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, কৃত্রিম হাত ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ এ অ্যাপ্লিকেশনটি।

সাইটটির সূত্রে আরও জানা যায়, যান্ত্রিক এ হাত ব্যবহারকারীর পেশির সংকেতে নিয়ন্ত্রিত হবে। তবে সে জন্য প্রয়োজন হবে স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশনের। নতুন নির্মিত যান্ত্রিক এ হাতটি কাজ করতে পারবে ২৪টি ভিন্ন ক্ষেত্রে। এছাড়াও অতি সংবেদনশীল এ যন্ত্র ব্যবহারকারীর কাজকে করে তুলতে পারবে আরও উন্নত এবং দক্ষতাসম্পন্ন।

অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারকারীর কাজের প্রক্রিয়া করে তুলবে আরও স্বস্তিকর। অ্যাপটির সাহায্যে মাউস দিয়ে বিভিন্ন ডকুমেন্ট নিয়ন্ত্রণ, টাইপিং ইত্যাদি জটিল প্রক্রিয়া হয়ে যাবে অনেকটাই সহজ। নতুন ব্যবহারকারীর জন্য অ্যাপ্লিকেশনটিতে থাকছে প্রশিক্ষণ সুবিধা। এর ফলে সহজেই ব্যবহারের নিয়মগুলো শিখে নিতে পারবেন ব্যবহারকারী।

স্বামী-স্ত্রীর পছন্দে অমিল


স্বামী-স্ত্রীর পছন্দে অমিল

1 / 2
একসঙ্গে থাকতে গেলে অনেক পছন্দের বিষয় বিসর্জন দিতে হয়। তেমনি অন্যের পছন্দের বিষয়ের উপর দিতে হয় গুরুত্ব। বাবা-মা, ভাই-বোনের সঙ্গে অনেক সময় জেদ করে নিজের পছন্দটা চাপিয়ে দিতে পারলেও স্বামী বা স্ত্রী’র ক্ষেত্রে পছন্দ-অপছন্দের বিষয়ে দিতে হবে সম্মান। এসব নিয়েই পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহতাব খানম।

 183
 6
 13      Print Friendly and PDF
একটি ঘটনা দিয়ে শুরু করা যাক। সুপ্তি আর অর্ণবের সংসারে সারাক্ষণই ঝগড়া লেগে থাকে। ছোটখাটো বিষয় হলেও ঝগড়ার মূল কারণ তাদের পছন্দের অমিল। একসঙ্গে টিভি দেখতে বসে দুজনই ঠিক করলেন আজকের রাতের খাবারটা তারা বাইরে করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাইরে খাওয়াতো হলই না, উল্টো তাদের মধ্যে কথা বন্ধ হয়ে গেল। কারণ অর্ণব চায়নিজ খাবার খেতে চান আর সুপ্তি চান বাঙালি খাবার।
শুধু খাওয়া নিয়েই নয়, পোশাক, বই, গান, বেড়াতে যাওয়ার জায়গা সব ব্যাপারেই তাদের পছন্দ সম্পূর্ণ আলাদা। ইদানীং একসঙ্গে তারা কিছু করতে গেলেই নিজের পছন্দ অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেখান থেকে শুরু হয় মনোমলিন্য। পরিবারের অন্য সদস্যদের আশঙ্কা, পছন্দের এই অমিল তাদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।কীভাবে এ সমস্যা থেকে নিজেদের বের করে আনা যায়, সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না দুজনেই।
অনেক স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে পছন্দের অমিল বিষয়টা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্ত্রী বা স্বামী হিসেবে একজন আশা করতেই পারেন যে, দুজনেই কিছু ভাল সময় কাটাবেন। পছন্দের ফারাকের কারণে যখন সে আশা পূর্ণ হয় না, তখনই স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হয়। একে অন্যকে একটু বোঝার চেষ্টা করলে এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
* স্বামী বা স্ত্রী যখন তার পছন্দের সংগীত, বই বা সিনেমা নিয়ে সময় কাটাবেন, তখন তাকে সঙ্গ দিন। সেক্ষেত্রে তার পছন্দের সংগীত, বই বা সিনেমা আপনার পছন্দের কি না সে ব্যাপারটি অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্ব দিন।
* কিছু জিনিস আপনার একান্ত পছন্দের। তবে আপনার স্বামী বা স্ত্রী সেটা এড়িয়ে যেতে চান। এমন কিছু জিনিস আছে যা আপনার সঙ্গীর পছন্দের, আপনার অপছন্দ। আবার এমন কিছু নিশ্চয়ই আছে যা আপনাদের দুজনেরই পছন্দ, অথচ আপনারা সেটার খোঁজও রাখেন না। এমন নতুন কিছু খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন দুজনেই।
* দুজনের পছন্দ আলাদা হলে তা প্রতিদিনের কাজে কিছু সমস্যা তৈরি করতে পারে। তারমানে আপনারা পরস্পরের সঙ্গে থাকতে পারবেন না, এমন আশঙ্কার কোনোই কারণ নেই।প্রতিদিন টুকটাক ঝামেলা থেকেই আপনাদের মধ্যে যাতে বড় কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখুন।
মনে রাখুন
* আপনাদের সম্পর্ক সুন্দর করে তোলার জন্য নিজের পছন্দের বিষয়গুলো চাপিয়ে বা দমিয়ে রাখবেন না।বরং আপনার ভাললাগার জিনিসগুলো উপভোগ করুন।পাশাপাশি সঙ্গীর সঙ্গে তার ভাললাগাগুলোও সম্মান দিন।
* কী কারণে আপনাদের দুজনের পছন্দ একরকম হল না, তা নিয়ে ঝগড়া করে সুন্দর সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয়না।
* নিজের স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে আপনার পছন্দ মিলতেই পারে।তাই বলে তার সঙ্গে আপনার স্বামীর বা স্ত্রীর তুলনা করবেন না।এতে আপনাদের সম্পর্কে বড় ধরনের সমস্যার সূত্রপাত হতে পারে।
ছবি: রিফাত
মডেল: অ্যানিন ও তারেক

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৩

ডিডিওএস আক্রমণের শিকার রেডিট


ডিডিওএস আক্রমণের শিকার রেডিট

ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অফ সার্ভিস (ডিডিওএস) আক্রমণের শিকার হচ্ছে ‘সোশ্যাল নিউজ’ এবং বিনোদন বিষয়ক ওয়েবসাইট রেডিট। প্রযুক্তি সংবাদবিষয়ক সাইট ম্যাশএবল জানিয়েছে, সাইবার আক্রমণের খবর নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে রেডিট কর্তৃপক্ষ।

বস্টন ম্যারাথনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজনদের ধরতে অভিযান চলছে, শুক্রবার রেডিটে এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাইটটির ওপর শুরু হয় ডিডিওএস আক্রমণ।

সাইবার আক্রমণের জন্য দায়ী ব্যক্তিকে ইতোমধ্যেই চিহ্নিত করার দাবি করলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি রেডিট কর্তৃপক্ষ। এদিকে ওই ঘটনাকে তার দেখা সবচেয়ে বড় সাইবার আক্রমণ বলে ম্যাশএবলকে জানিয়েছে রেডিটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক গোপন সূত্র।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, রেডিটের সাইটটি চালু থাকলেও ডিডিওএস আক্রমণের কারণে এখনো বন্ধ আছে সাইটটির বেশকিছু সেবা।

মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত কম্পিউটার বানাচ্ছে স্যামসাং


মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত কম্পিউটার বানাচ্ছে স্যামসাং

সরাসরি মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত বা ‘ব্রেইন কন্ট্রোলড’ ট্যাবলেট কম্পিউটার বানাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট স্যামসাং। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ম্যাশএবল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত ট্যাবলেট বানাতে ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের ইঞ্জিনিয়ারিং প্রফেসর রোজবেহ জাফারির সঙ্গে জুটি বেঁধেছে প্রতিষ্ঠানটি।

মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত ট্যাবলেট নিয়ে গবেষণা অনেকটা এগিয়ে গেলেও এখনও পণ্যটিকে বাজারজাতকরণের উপযোগী করতে পারেনি স্যামসাং। অন্যদিকে টেকনোলজি রিভিউ জানিয়েছে, মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত ট্যাবলেটটিতে থাকবে একটি বিশেষ টুপি। টুপিটিতে থাকবে ইইজি মনিটরিং ইলেকট্রোড যা মস্তিষ্কের সংকেত পর্যবেক্ষণ করবে। এই প্রযুক্তিতে ট্যাবলেট স্ক্রিনের আইকনের দিকে তাকিয়ে থেকেই অ্যাপটি চালু করতে সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ইইজি ইলেকট্রোডগুলোকে আরও সহজে ব্যবহারযোগ্য করার জন্য কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন প্রফেসর জাফারি। স্যামসাং ও প্রফেসর জাফারি ব্রেইন কন্ট্রোলড ট্যাবলেট বানাতে সফল হলে প্রযুক্তির ইতিহাসে সূচনা হতে পারে নতুন এক যুগের। এই ডিভাইসটি সবচেয়ে বেশি কাজে আসতে পারে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদের। স্যামসাংয়ের ব্রেইন কন্ট্রোলড ট্যাবলেটের বদৌলতে প্রযুক্তিজগতের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ পাবেন তারা।


বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

ব্যাটারি নির্মাণে এল যুগান্তকারী সাফল্য


ব্যাটারি নির্মাণে এল যুগান্তকারী সাফল্য

ব্যাটারি নির্মাণে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন এমন এক নতুন প্রযুক্তি, যাতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির বিদ্যুৎ শক্তি ধারণক্ষমতা বাড়বে ৩০ গুণ, চার্জ হবে সাধারণ ব্যাটারির তুলনায় এক হাজার গুণ দ্রুতগতিতে।

ব্যাটারি নির্মাণে যুগান্তকারী এই সাফল্যে নেতৃত্ব দেন ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের প্রফেসর উইলিয়াম কিং। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কিং জানান, ‘অন্যান্য প্রযুক্তির তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে ব্যাটারি নির্মাণ প্রযুক্তি।’

কিন্তু তার আবিষ্কৃত প্রযুক্তিটি দৃশ্যপট পাল্টে দিতে পারবে বলে দাবি করেছেন ওই বিজ্ঞানী।

কিং আরও জানিয়েছেন, নতুন আবিষ্কৃত প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যাটারিগুলো এত শক্তিশালী হবে যে, স্মার্টফোনের ব্যাটারি দিয়েই গাড়ির ইঞ্জিন জাম্পস্টার্ট করা যাবে। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির এই উচ্চক্ষমতা অর্জনে ব্যাটারির মূল উপাদান অ্যানোড এবং ক্যাথোডে অত্যন্ত ক্ষুদ্র সংস্করণ তৈরি করেন বিজ্ঞানীরা। এরপর থ্রি-ডি মাইক্রোস্ট্রাকচারে অ্যানোড ও ক্যাথোডগুলোকে সাজান বিজ্ঞানীরা। ফলাফল, ছোট ব্যাটারিতেই দানবীয় শক্তি। সাধারণ ব্যাটারির তুলনায় ৩০ গুণ শক্তিধারণের ক্ষমতা রয়েছে ব্যাটারিগুলোর, চার্জ হয় সাধারণ ব্যাটারির তুলনায় এক হাজার গুণ দ্রুত।

বিজ্ঞানীদের বর্তমান লক্ষ্য হচ্ছে, এই প্রযুক্তিকে সাধারণ ব্যবহারকারীদের হাতের নাগালে নিয়ে আসা। দু-এক বছরের মধ্যেই এই প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যাটারিগুলো ব্যাপক বাজারজাতকরণ সম্ভব বলে মনে করেন আবিষ্কারক।

দ্রততম ইলেকট্রিক স্পোর্টস কার 'এসপি: ০১'


দ্রততম ইলেকট্রিক স্পোর্টস কার 'এসপি: ০১'

চীনের ‘সাংহাই অটো শো’তে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রতগতির ইলেকট্রিক স্পোর্টস কার এসপি:০১ দেখিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ডেট্রয়েট ইলেকট্রিক। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট গিজম্যাগ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ চালিত গাড়িটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৪৯ কিলোমিটার। মাত্র ৩.৭ সেকেন্ডেই শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটারে পৌঁছে যায় এসপি:০১-এর গতি।

বলা হয়েছে, এই গাড়িটি বিদ্যুতে চলার কারণে গতি বাড়ানোর সময় বারবার গিয়ার পাল্টানোর ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে না চালককে। ডেট্রয়েট ইলেকট্রিক জানিয়েছে, গাড়িটির ৩৭ কিলোওয়াটের ব্যাটারি এক চার্জেই পাড়ি দেয়া যাবেই ১৯০ মাইল।

ডেট্রয়েট ইলেকট্রিকের টানা পাঁচ বছরের গবেষণা আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল এসপি:০১। এ মাসেই বিক্রি শুরু হয়েছে গাড়িটির। শুরুর প্রথম ঘণ্টাতেই ৩৫টি এসপি:০১ গাড়ি বিক্রি হয়ে যায়, যার প্রতিটির দাম দুই লাখ মার্কিন ডলার।


বিডনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দৌরাত্ম্য বাড়ছে হ্যাকারদের


রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দৌরাত্ম্য বাড়ছে হ্যাকারদের

বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শিল্পক্ষেত্র এবং প্রতিষ্ঠানের উপর বাড়ছে সাইবার আক্রমণ। আর ওইসব সাইবার আক্রমণের পেছনে মূল হোতাদের সমর্থন দিচ্ছে বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো। মার্কিন ব্রডব্যান্ড এবং টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান ভেরাইজনের বার্ষিক প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বিবিসি।

ভেরাইজনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১২ সালে বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে সাইবার আক্রমণের ঘটনা যথেষ্ট বেড়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে বড় সাইবার হুমকিগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শিল্পক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি।

লন্ডনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলন ‘ইনফোসেক’-এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে ভেরাইজন। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর উপর সাইবার আক্রমণ করে অর্থ চুরির ঘটনা ঘটছে সবচেয়ে বেশি। কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অনুপ্রবেশ করে হ্যাকারদের চুরি করা গোপন তথ্য চিহ্নিত করতেও প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় লাগছে।

ভেরাইজনের ওই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই হ্যাকারদের মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থ চুরি। কিন্তু ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে গোপন এবং স্পর্শকাতর তথ্য চুরি করাই ছিল সাইবার অপরাধীদের মূল লক্ষ্য।

এ ব্যাপারে ভেরাইজনের প্রতিবেদনটির মূল লেখক ওয়েড বেকার বলেন, “সাইবার আক্রমণের পরিসংখ্যানে সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সাইবার আক্রমণের ঘটনার নাটকীয় বৃদ্ধি।”

২০১২ সালে গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে হ্যাকিংয়ের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে বলেও যোগ করেন বেকার।

২০১২ সালে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাইবার আক্রমণের ঘটনার উপর ভিত্তি করে পরিসংখ্যান প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ভেরাইজন। 

২০১৩ সালের সাইবার আক্রমণের ঘটনাগুলোও যোগ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। ভ্যারাইজনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালেই রাষ্ট্রীয় সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির সংখ্যা ৬২১টি।