মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৩

ব্যাটারি নির্মাণে এল যুগান্তকারী সাফল্য


ব্যাটারি নির্মাণে এল যুগান্তকারী সাফল্য

ব্যাটারি নির্মাণে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন এমন এক নতুন প্রযুক্তি, যাতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির বিদ্যুৎ শক্তি ধারণক্ষমতা বাড়বে ৩০ গুণ, চার্জ হবে সাধারণ ব্যাটারির তুলনায় এক হাজার গুণ দ্রুতগতিতে।

ব্যাটারি নির্মাণে যুগান্তকারী এই সাফল্যে নেতৃত্ব দেন ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের প্রফেসর উইলিয়াম কিং। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কিং জানান, ‘অন্যান্য প্রযুক্তির তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে ব্যাটারি নির্মাণ প্রযুক্তি।’

কিন্তু তার আবিষ্কৃত প্রযুক্তিটি দৃশ্যপট পাল্টে দিতে পারবে বলে দাবি করেছেন ওই বিজ্ঞানী।

কিং আরও জানিয়েছেন, নতুন আবিষ্কৃত প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যাটারিগুলো এত শক্তিশালী হবে যে, স্মার্টফোনের ব্যাটারি দিয়েই গাড়ির ইঞ্জিন জাম্পস্টার্ট করা যাবে। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির এই উচ্চক্ষমতা অর্জনে ব্যাটারির মূল উপাদান অ্যানোড এবং ক্যাথোডে অত্যন্ত ক্ষুদ্র সংস্করণ তৈরি করেন বিজ্ঞানীরা। এরপর থ্রি-ডি মাইক্রোস্ট্রাকচারে অ্যানোড ও ক্যাথোডগুলোকে সাজান বিজ্ঞানীরা। ফলাফল, ছোট ব্যাটারিতেই দানবীয় শক্তি। সাধারণ ব্যাটারির তুলনায় ৩০ গুণ শক্তিধারণের ক্ষমতা রয়েছে ব্যাটারিগুলোর, চার্জ হয় সাধারণ ব্যাটারির তুলনায় এক হাজার গুণ দ্রুত।

বিজ্ঞানীদের বর্তমান লক্ষ্য হচ্ছে, এই প্রযুক্তিকে সাধারণ ব্যবহারকারীদের হাতের নাগালে নিয়ে আসা। দু-এক বছরের মধ্যেই এই প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যাটারিগুলো ব্যাপক বাজারজাতকরণ সম্ভব বলে মনে করেন আবিষ্কারক।

কোন মন্তব্য নেই: