মনে
করুন সেই দিনটির কথা, যখন সব জড়তা কাটিয়ে আপনি প্রেম নিবেদন করলেন।
ভালোবাসার মানুষটির লজ্জাবনত মুখ লাল হয়ে উঠল, আর আপনি ঘামতে শুরু করলেন।
আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লে চোখ-মুখ লাল হয়ে যায়। কারণ, বিব্রতকর অবস্থা সামাল
দিতে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায়। তখন মুখ ও শরীরের অন্যান্য অংশের রক্তবাহী ধমনি
প্রসারিত হয়। মুখমণ্ডলে তার ছাপ পড়ে। এ জন্য লাল দেখায়। একে ইংরেজিতে বলে
‘ব্লাশিং’, যাকে সাদা বাংলায় বলা হয় ‘লাজে রাঙা’ হওয়া। বাড়তি রক্তপ্রবাহের
কারণে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ে। এই খবর চামড়ার স্নায়ুর মাধ্যমে
মস্তিষ্কে পৌঁছায়। এর প্রতিক্রিয়ায় যেমন চোখ-মুখ গরম হয়ে ওঠে, তেমনি ঘাম
দিয়ে জ্বর ছাড়ার মতো অবস্থা হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ আবেগ-অনুভূতি
নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল আয়ত্ত করে নেয়। তাই লাজে রাঙার ব্যাপারটা সাধারণত
তরুণ-তরুণীদের বেলায়ই দেখা যায়।
IT IS HOT NEWS. Some information and news unknown to everyone. Which is only possible in F S S T S T L. SO keeps watching and keeps telling others.
My page
- Home
- CORONA VIRUS
- Live Wind Map
- Islamic songs
- Radio 24 Music
- Video
- CHANNEL 69
- Music
- BTEB
- Results bd
- Results .bd
- ইসলাম
- Live News
- NEWS WORLD
- Ramadan
- Event Management
- bangla news
- Spoken English
- BPSC RSULT
- BTEB
- sexy story stories
- Hot Girl Gallary
- Career News
- real life sex stories
- 5 Sex Positions
- interview-warmup
- Dating Sex Stories
- Sex Stories
- Privacy policy
- SEX
Translate
সোমবার, ১৯ মার্চ, ২০১২
1pinless.com ফেসবুক সংস্করণ মীনা কার্টুন আসিফ ইয়ামিন
একদিন মীনা আর মিঠু রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ মীনা দেখল, কিছু ছেলেমেয়ে
একসঙ্গে সুর করে কী যেন বলছে! মীনা আর মিঠু চুপি চুপি ছেলেমেয়েগুলোর পেছনে
গিয়ে উঁকি দিল! মীনা দেখতে পেল, তাদের সামনে ল্যাপটপে ফেসবুকের হোমপেজ
খোলা। সেখান থেকে তারা সফদার আলী নামের এক ব্যক্তির স্ট্যাটাস সুর করে
পড়ছে! সফদার আলী সাহেব লিখেছেন—
আতা গাছে তোতা পাখি
নারকেল গাছে ডাব!
এত ডাকি তবু কথা
কও না কেন Love?
বেশ কয়েকবার তারা সুর করে এই স্ট্যাটাসটা পড়ল। তারপর তাদের মধ্যকার একটি ছেলে বলতে শুরু করল, ‘বন্ধুরা, এবার একটা গল্প শোনাই! অনেক দিন আগে ফেসবুকে কিছু পেজ ছিল। পেজগুলোতে অনেক লাইকার ছিল। লাইকার থাকলে কী হবে, তাদের পোস্টে কোনো লাইক ছিল না। একদিন হলো কি, পেজগুলোর অ্যাডমিনরা সবার হোমপেজে এসে ভিক্ষা করা শুরু করল—‘আমাকে লাইক দাও। আমাকে লাইক দাও। ভালো লাগলে লাইক মাস্ট।’
গল্পকথক ছেলেটা গল্প থামিয়ে তার বন্ধুদের প্রশ্ন করল, ‘বলো তো, অ্যাডমিনরা কী বলে ভিক্ষা করছিল?’
পেছন থেকে মিঠু চেঁচিয়ে উত্তর দিয়ে দিল, ‘আমাকে লাইক দাও। ভালো লাগলে লাইক মাস্ট।’
মিঠুর কথা শুনে সবাই হো হো করে হেসে ফেলল। আর তখনই মীনা দৌড়ে পালাল। মিঠুও উড়াল দিল!
মীনা বাড়িতে এসে দেখল, গ্রামের মাতবর চাচা মীনার বাবাকে বলছেন, ‘কাল রাইতে চোরডা আমার পোলার কাছ থেকে ফ্লেক্সিলোড নিয়া নিছে। ফেসবুকে মাইয়া সাইজা আমার পোলারে পটাইছে। আচ্ছা, আমি এহন যাই। তুমি ফেসবুকে চোখকান খোলা রাখবা। চোরডারে ধরতে হইব!’
এ কথা বলে চাচা চলে গেলেন।
তখনই রাজু ফেসবুকিং শেষ করে ঘর থেকে বের হলো! বাবা রাজুকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘রাজু, ফেসবুকে কী শিখলা, বাবা?’
রাজু উচ্ছ্বসিত হয়ে বলল, ‘অনেক কিছু! আমি এহন ফেসবুকে স্ট্যাটাস লেখতে পারি।’
ছেলের সাফল্যে গর্বিত বাবা বললেন, ‘খুব ভালা কথা। তুমি কিন্তু মন দিয়ে ফেসবুকিং করবা।’
এদিকে মীনা মন খারাপ করে বলল, ‘বাবা, আমিও ফেসবুকে যাইতে চাই।’
রাজুও সমর্থন জানাল, ‘আমার লগে যাইতে পারে। আমি যামু ক্রোম দিয়া, আর মীনা যাইব ফায়ারফক্স দিয়া।’
কিন্তু বাবা শোনালেন নিরাশার বাণী, ‘না, মীনা, তুমি থাকবা তোমার মায়ের লগে।’
মীনার কণ্ঠে আকুতি, ‘কিন্তু, বাবা, আমি ফেসবুকিং শিখতে চাই!’
বাবা বললেন, ‘মাইয়াগো ফেসবুকে যাওনের দরকার নাই।’
মীনার মা বললেন, ‘তুমি শিখবা ঘরবাড়ির কাম।’
মীনা আবারও বলল, ‘কিন্তু, মা, আমারও ফেসবুকে স্ট্যাটাস থাকা উচিত।’
মা বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘ক্যান, মীনা? কী দরকার এসবের? অহন একটু টিভিতে স্টার প্লাস ছাইড়া দাও তো। সিরিয়াল শুরু হইয়া গেল!’
পরদিন সকালে রাজু ফেসবুকিং করতে বসল। হঠাৎ মীনার মাথায় একটা বুদ্ধি এল। মীনা মিঠুকে বলল, ‘আচ্ছা, মিঠু, তুমি গতকাইলের ওই জায়গায় যাও! ওই পোলা-মাইয়ারা ফেসবুক নিয়া কী কী কথা কয়, জাইনা আহো। তহন তুমি আমারে শিখাইতে পারবা! লক্ষ্মী মিঠু, যাও।’
মিঠু উড়তে উড়তে সেই ছেলেমেয়েগুলোর কাছে গেল। ছেলেটি সবাইকে বলছিল, আজ আমরা শিখব কীভাবে ফেসবুকের ফেক আইডি শনাক্ত করা যায়।
১. ফেক আইডিগুলো মেয়েরূপী হয়।
২. এদের প্রোফাইল পিকচারগুলোর একটার সঙ্গে অন্যটার কোনো মিল থাকে না!
৩. এদের ফ্রেন্ডলিস্ট পরিপূর্ণ!
৪. এরা স্ট্যাটাস দেয়—আমার খুবই মন খারাপ। কেউ আমার মন ভালো করতে পারবে?
তখনই গাধারা সেই ফেক আইডির ইনবক্সে তেলের বন্যা বানায় ফেলে!
৫. এদের প্রোফাইলে লেখা থাকে, আই অ্যাম সো সুইট, নাইস, কিউট, সিম্পল, ফ্রেন্ডলি garl। (girl বানানটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুল থাকে!)
৬. ...
৭. ...
৮. ...
মিঠু খুব মনোযোগ দিয়ে শুনল! তারপর মীনার কাছে গিয়ে এগুলো বলল! মীনা পয়েন্টগুলো মুখস্থ করে নিল।
দুপুরবেলায় রাজু হঠাৎ ফেসবুকিং ছেড়ে বাইরে দৌড় দিল। এই সুযোগে ঘরে গিয়ে মীনা তখন পিসির স্ক্রিনে চোখ রাখল। হ্যাঁ, লগইন করাই আছে! প্রথমেই সে রাজুর প্রোফাইলে গেল! রাজুর আইডি নেম দেখে তো মীনা অবাক! স্ক্রিনে বড় বড় অক্ষরে লেখা, ‘রোমিও রাজু!’ রাজু আবার স্ট্যাটাস দিয়েছে, ‘who wanna be my ছাম্মাক ছাল্লো??!!’
চ্যাট হিস্টরি দেখে মীনার চক্ষু চড়কগাছ! অ্যাঞ্জেলিনা জোলি—‘hey handsome, ki koro?’
রোমিও রাজু—‘wow!! thanku!! tomar msg peye khub valo asi! tumi kmon aso?’
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি—‘jano, ami valo nai.. amar mobile e balance nai.’
রোমিও রাজু—‘ami thakte how is this possible on planet earth? tomar mob num daOOO!!’
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি—‘eto sweetly bolla! okay, 017********’
রোমিও রাজু—‘plz wait!’
এরপর আর কিছু নেই। তার মানে, রাজু এই মেয়েকেই ফ্লেক্সিলোড দিতে বাইরে গেছে! মীনার মনে একটা সন্দেহ জাগল। এটা ফেক আইডি না তো? মীনা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির প্রোফাইলে গেল। অনুসন্ধান শুরু করল মীনা! হ্যাঁ, যা ভেবেছিল!
এর প্রোফাইল পিকচারগুলো একটার সঙ্গে অন্যটার মিল নেই! এর ফ্রেন্ডলিস্ট পরিপূর্ণ! এ স্ট্যাটাস দিয়েছে—‘I am so lonely broken angel...’সেখানে আবার রাজুর তৈলাক্ত কমেন্ট! এর প্রোফাইলে লেখা—‘আই অ্যাম সো সুইট, নাইস, কিউট, সিম্পল, ফ্রেন্ডলি garl!’
মীনার আর বুঝতে বাকি রইল না যে এটা ফেক আইডি! মীনা তার উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ই-মেইল ঠিকানা লিখে রাখল এবং তখনই ফেক আইডি প্রতিরোধক পুলিশের কাছে ফোন করল।
‘হ্যালো, পুলিশ আংকেল?’
‘পুলিশ ইন্সপেক্টর ওমুক তমুক বলছি! কী করতে পারি?’
‘আমি একটা ফেক ফেসবুক আইডি ধরেছি। অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ই-মেইল ঠিকানা : flexi_seeker@yahoo.com’
‘সত্যি! আমরা একেই এত দিন ধরে খুঁজছিলাম! বারবার আইডি ডিঅ্যাকটিভেট আর পরিবর্তন করে শয়তানটা পার পেয়ে যাচ্ছিল। এবার আর কেউ কালপ্রিটটাকে আমার হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না। প্রমোশন আমার হবেই!’
........
‘অ্যাঞ্জেলিনা জোলি’ নামধারী দুষ্টু ছেলে দিপুকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সব শুনে মাদবর চাচা বললেন, ‘আরেহহহ! এইডাই তো সেই চোর! “অ্যাঞ্জেলিনা জোলি” নামেই আমার পোলাকে মেসেজ পাঠাইছিল! মীনা, তোমার লাইগা চোরডারে ধরতে পারলাম! তুমি এই চোরডারে চিনলা কেমনে?’
মীনা হেসে বলল, ‘আমি একটু ফেসবুকিং করছিলাম।’
মীনার বাবা বললেন, ‘তুমি কি করছিলা কইলা?’ মীনার হাসি হাসি উত্তর, ‘আমি ফেক আইডি শনাক্তকরণের লাইগা অনুসন্ধান করছিলাম।’
চাচা তখন মীনার বাবাকে বললেন, ‘বাহ! তুমি মিয়া তোমার মাইয়ারে ফেসবুকে দিয়া খুবই বুদ্ধিমানের কাজ করছ।’
মীনার বাবা আমতা আমতা শুরু করলেন, ‘ইয়ে মানে, ইয়ে ইয়ে...।’
বুড়ি মহিলা বললেন, ‘হ, মাইয়াগো ফেসবুকিং করানো খুবই ভালা! আমার মাইয়া রত্নার একটা পেজ আছে! কত্তো লাইক পায়!’
অন্য একজন বলল, ‘আমার মাইয়াডা ফেসবুকিং করছে। হে এহন নোট লিখবার পারে।’
চাচা আবার বললেন, ‘হুম, সব মাইয়াগো ফেসবুকে যাওন উচিত।’
মীনার বাবা তাঁর ভুল বুঝতে পেরে মীনাকে বললেন, ‘মীনা, কাল থেইকা তুমি ফেসবুকে যাইবা।’
মীনা আনন্দে ফেটে পড়ল, ‘হাচা কইছ, বাবা?’
বাবা ভরসা দিয়ে বললেন, ‘হাচা কইছি, মা!’
পরদিন থেকে মীনা মনের সুখে ফেসবুকিং শুরু করল।
আতা গাছে তোতা পাখি
নারকেল গাছে ডাব!
এত ডাকি তবু কথা
কও না কেন Love?
বেশ কয়েকবার তারা সুর করে এই স্ট্যাটাসটা পড়ল। তারপর তাদের মধ্যকার একটি ছেলে বলতে শুরু করল, ‘বন্ধুরা, এবার একটা গল্প শোনাই! অনেক দিন আগে ফেসবুকে কিছু পেজ ছিল। পেজগুলোতে অনেক লাইকার ছিল। লাইকার থাকলে কী হবে, তাদের পোস্টে কোনো লাইক ছিল না। একদিন হলো কি, পেজগুলোর অ্যাডমিনরা সবার হোমপেজে এসে ভিক্ষা করা শুরু করল—‘আমাকে লাইক দাও। আমাকে লাইক দাও। ভালো লাগলে লাইক মাস্ট।’
গল্পকথক ছেলেটা গল্প থামিয়ে তার বন্ধুদের প্রশ্ন করল, ‘বলো তো, অ্যাডমিনরা কী বলে ভিক্ষা করছিল?’
পেছন থেকে মিঠু চেঁচিয়ে উত্তর দিয়ে দিল, ‘আমাকে লাইক দাও। ভালো লাগলে লাইক মাস্ট।’
মিঠুর কথা শুনে সবাই হো হো করে হেসে ফেলল। আর তখনই মীনা দৌড়ে পালাল। মিঠুও উড়াল দিল!
মীনা বাড়িতে এসে দেখল, গ্রামের মাতবর চাচা মীনার বাবাকে বলছেন, ‘কাল রাইতে চোরডা আমার পোলার কাছ থেকে ফ্লেক্সিলোড নিয়া নিছে। ফেসবুকে মাইয়া সাইজা আমার পোলারে পটাইছে। আচ্ছা, আমি এহন যাই। তুমি ফেসবুকে চোখকান খোলা রাখবা। চোরডারে ধরতে হইব!’
এ কথা বলে চাচা চলে গেলেন।
তখনই রাজু ফেসবুকিং শেষ করে ঘর থেকে বের হলো! বাবা রাজুকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘রাজু, ফেসবুকে কী শিখলা, বাবা?’
রাজু উচ্ছ্বসিত হয়ে বলল, ‘অনেক কিছু! আমি এহন ফেসবুকে স্ট্যাটাস লেখতে পারি।’
ছেলের সাফল্যে গর্বিত বাবা বললেন, ‘খুব ভালা কথা। তুমি কিন্তু মন দিয়ে ফেসবুকিং করবা।’
এদিকে মীনা মন খারাপ করে বলল, ‘বাবা, আমিও ফেসবুকে যাইতে চাই।’
রাজুও সমর্থন জানাল, ‘আমার লগে যাইতে পারে। আমি যামু ক্রোম দিয়া, আর মীনা যাইব ফায়ারফক্স দিয়া।’
কিন্তু বাবা শোনালেন নিরাশার বাণী, ‘না, মীনা, তুমি থাকবা তোমার মায়ের লগে।’
মীনার কণ্ঠে আকুতি, ‘কিন্তু, বাবা, আমি ফেসবুকিং শিখতে চাই!’
বাবা বললেন, ‘মাইয়াগো ফেসবুকে যাওনের দরকার নাই।’
মীনার মা বললেন, ‘তুমি শিখবা ঘরবাড়ির কাম।’
মীনা আবারও বলল, ‘কিন্তু, মা, আমারও ফেসবুকে স্ট্যাটাস থাকা উচিত।’
মা বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘ক্যান, মীনা? কী দরকার এসবের? অহন একটু টিভিতে স্টার প্লাস ছাইড়া দাও তো। সিরিয়াল শুরু হইয়া গেল!’
পরদিন সকালে রাজু ফেসবুকিং করতে বসল। হঠাৎ মীনার মাথায় একটা বুদ্ধি এল। মীনা মিঠুকে বলল, ‘আচ্ছা, মিঠু, তুমি গতকাইলের ওই জায়গায় যাও! ওই পোলা-মাইয়ারা ফেসবুক নিয়া কী কী কথা কয়, জাইনা আহো। তহন তুমি আমারে শিখাইতে পারবা! লক্ষ্মী মিঠু, যাও।’
মিঠু উড়তে উড়তে সেই ছেলেমেয়েগুলোর কাছে গেল। ছেলেটি সবাইকে বলছিল, আজ আমরা শিখব কীভাবে ফেসবুকের ফেক আইডি শনাক্ত করা যায়।
১. ফেক আইডিগুলো মেয়েরূপী হয়।
২. এদের প্রোফাইল পিকচারগুলোর একটার সঙ্গে অন্যটার কোনো মিল থাকে না!
৩. এদের ফ্রেন্ডলিস্ট পরিপূর্ণ!
৪. এরা স্ট্যাটাস দেয়—আমার খুবই মন খারাপ। কেউ আমার মন ভালো করতে পারবে?
তখনই গাধারা সেই ফেক আইডির ইনবক্সে তেলের বন্যা বানায় ফেলে!
৫. এদের প্রোফাইলে লেখা থাকে, আই অ্যাম সো সুইট, নাইস, কিউট, সিম্পল, ফ্রেন্ডলি garl। (girl বানানটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুল থাকে!)
৬. ...
৭. ...
৮. ...
মিঠু খুব মনোযোগ দিয়ে শুনল! তারপর মীনার কাছে গিয়ে এগুলো বলল! মীনা পয়েন্টগুলো মুখস্থ করে নিল।
দুপুরবেলায় রাজু হঠাৎ ফেসবুকিং ছেড়ে বাইরে দৌড় দিল। এই সুযোগে ঘরে গিয়ে মীনা তখন পিসির স্ক্রিনে চোখ রাখল। হ্যাঁ, লগইন করাই আছে! প্রথমেই সে রাজুর প্রোফাইলে গেল! রাজুর আইডি নেম দেখে তো মীনা অবাক! স্ক্রিনে বড় বড় অক্ষরে লেখা, ‘রোমিও রাজু!’ রাজু আবার স্ট্যাটাস দিয়েছে, ‘who wanna be my ছাম্মাক ছাল্লো??!!’
চ্যাট হিস্টরি দেখে মীনার চক্ষু চড়কগাছ! অ্যাঞ্জেলিনা জোলি—‘hey handsome, ki koro?’
রোমিও রাজু—‘wow!! thanku!! tomar msg peye khub valo asi! tumi kmon aso?’
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি—‘jano, ami valo nai.. amar mobile e balance nai.’
রোমিও রাজু—‘ami thakte how is this possible on planet earth? tomar mob num daOOO!!’
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি—‘eto sweetly bolla! okay, 017********’
রোমিও রাজু—‘plz wait!’
এরপর আর কিছু নেই। তার মানে, রাজু এই মেয়েকেই ফ্লেক্সিলোড দিতে বাইরে গেছে! মীনার মনে একটা সন্দেহ জাগল। এটা ফেক আইডি না তো? মীনা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির প্রোফাইলে গেল। অনুসন্ধান শুরু করল মীনা! হ্যাঁ, যা ভেবেছিল!
এর প্রোফাইল পিকচারগুলো একটার সঙ্গে অন্যটার মিল নেই! এর ফ্রেন্ডলিস্ট পরিপূর্ণ! এ স্ট্যাটাস দিয়েছে—‘I am so lonely broken angel...’সেখানে আবার রাজুর তৈলাক্ত কমেন্ট! এর প্রোফাইলে লেখা—‘আই অ্যাম সো সুইট, নাইস, কিউট, সিম্পল, ফ্রেন্ডলি garl!’
মীনার আর বুঝতে বাকি রইল না যে এটা ফেক আইডি! মীনা তার উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ই-মেইল ঠিকানা লিখে রাখল এবং তখনই ফেক আইডি প্রতিরোধক পুলিশের কাছে ফোন করল।
‘হ্যালো, পুলিশ আংকেল?’
‘পুলিশ ইন্সপেক্টর ওমুক তমুক বলছি! কী করতে পারি?’
‘আমি একটা ফেক ফেসবুক আইডি ধরেছি। অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ই-মেইল ঠিকানা : flexi_seeker@yahoo.com’
‘সত্যি! আমরা একেই এত দিন ধরে খুঁজছিলাম! বারবার আইডি ডিঅ্যাকটিভেট আর পরিবর্তন করে শয়তানটা পার পেয়ে যাচ্ছিল। এবার আর কেউ কালপ্রিটটাকে আমার হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না। প্রমোশন আমার হবেই!’
........
‘অ্যাঞ্জেলিনা জোলি’ নামধারী দুষ্টু ছেলে দিপুকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সব শুনে মাদবর চাচা বললেন, ‘আরেহহহ! এইডাই তো সেই চোর! “অ্যাঞ্জেলিনা জোলি” নামেই আমার পোলাকে মেসেজ পাঠাইছিল! মীনা, তোমার লাইগা চোরডারে ধরতে পারলাম! তুমি এই চোরডারে চিনলা কেমনে?’
মীনা হেসে বলল, ‘আমি একটু ফেসবুকিং করছিলাম।’
মীনার বাবা বললেন, ‘তুমি কি করছিলা কইলা?’ মীনার হাসি হাসি উত্তর, ‘আমি ফেক আইডি শনাক্তকরণের লাইগা অনুসন্ধান করছিলাম।’
চাচা তখন মীনার বাবাকে বললেন, ‘বাহ! তুমি মিয়া তোমার মাইয়ারে ফেসবুকে দিয়া খুবই বুদ্ধিমানের কাজ করছ।’
মীনার বাবা আমতা আমতা শুরু করলেন, ‘ইয়ে মানে, ইয়ে ইয়ে...।’
বুড়ি মহিলা বললেন, ‘হ, মাইয়াগো ফেসবুকিং করানো খুবই ভালা! আমার মাইয়া রত্নার একটা পেজ আছে! কত্তো লাইক পায়!’
অন্য একজন বলল, ‘আমার মাইয়াডা ফেসবুকিং করছে। হে এহন নোট লিখবার পারে।’
চাচা আবার বললেন, ‘হুম, সব মাইয়াগো ফেসবুকে যাওন উচিত।’
মীনার বাবা তাঁর ভুল বুঝতে পেরে মীনাকে বললেন, ‘মীনা, কাল থেইকা তুমি ফেসবুকে যাইবা।’
মীনা আনন্দে ফেটে পড়ল, ‘হাচা কইছ, বাবা?’
বাবা ভরসা দিয়ে বললেন, ‘হাচা কইছি, মা!’
পরদিন থেকে মীনা মনের সুখে ফেসবুকিং শুরু করল।
1pinless.com মাঝারি ভূমিকম্পও ঢাকায় বিপর্যয় ঘটাতে পারে মেহেদী আহম্মদ আনসারী
রাজধানীর আশপাশের এলাকায় গত চার মাসের মধ্যে দুই দফা মাঝারি মাত্রার
ভূমিকম্প হয়ে গেল। এতে করে মনে হচ্ছে, এ এলাকার ভূ-অভ্যন্তরে ফাটল থাকতে
পারে। তবে এই ফাটল থেকে তীব্র মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা কম। হালকা থেকে
মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি হতে পারে।
অবশ্য মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পও ঢাকায় বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কারণ, রাজধানীর ৪৭ শতাংশ আবাসন এলাকা জলাভূমি ভরাট করে ও নরম মাটির ওপর গড়ে উঠেছে।
ঢাকার আশপাশে এর আগে মাঝারি থেকে বড় মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়নি। এত দিন আমাদের ধারণা ছিল, ঢাকার আশপাশে ভূমিকম্পের কোনো উৎসস্থল নেই। গতকাল ও সাম্প্রতিক ভূমিকম্পগুলোর ধরন ও উৎসস্থল দেখে মনে হচ্ছে, ঢাকার অদূরেও ভূমিকম্পের আরও উৎসস্থল থাকতে পারে। ফলে সে অনুযায়ী আমাদের ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে আরও সাবধানী হতে হবে।
রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুরের অপরিকল্পিত নগরায়ন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। কিন্তু মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প প্রতিরোধের মতো ব্যবস্থা ভবনগুলোতে নেই। অন্যদিকে এই নগরগুলোর প্রায় অর্ধেক ভূমি বেশ নরম। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে জলাভূমি ভরাট করে আবাসন প্রকল্প নির্মাণ। এই এলাকাগুলো ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
সরকার একটি ইমারত নির্মাণ বিধিমালা করেছে। তার বেশ কিছু দিক রাজউকের মাধ্যমে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। কিন্তু ভূমিকম্প প্রতিরোধের বিষয়টি এখনো উপেক্ষিত। আমাদের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ভবনগুলোকে ভূমিকম্প প্রতিরোধক হিসেবে নির্মাণ করতে যে ধরনের ব্যবস্থা থাকা দরকার। বেশির ভাগ ভবনেই তা নেই। ফলে মাঝারি মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রায় দুই কোটি নগরবাসীর কেউই ভূমিকম্পের ঝুঁকির বাইরে নয়। ফলে সামগ্রিকভাবে নগরগুলোতে ভূমিকম্প প্রতিরোধক ভবন নির্মাণ বাধ্যতামূলক করা উচিত। নয়তো যেকোনো সময় মহা বিপর্যয় নেমে আসবে।
যেসব ভবন ইতিমধ্যে ভূমিকম্প প্রতিরোধব্যবস্থা ছাড়াই গড়ে উঠেছে, তাদের জন্য পুনরায় ভূমিকম্প সহনীয় (কেট্রোফিটিং) হিসেবে গড়ে তোলার প্রযুক্তিও রয়েছে। তবে এটি বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। নতুন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ভূমিকম্প প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেওয়ার খরচ খুব বেশি নয়। এ ক্ষেত্রে ভবন নির্মাণকারীর সদিচ্ছা ও সচেতনতাই যথেষ্ট। রাজউকেরও এ ব্যাপারে দায়িত্ব রয়েছে।
রাজউকের উচিত, নিরাপদ নগর নিশ্চিত করতে প্রতিটি ভবন নির্মাণের সময় ও নির্মাণের পরে ভূমিকম্প সহনশীলতার বিষয়টি নিশ্চিত করা। সরকারি এই সংস্থাটি চাইলে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ নজরদারির বিষয়টি দেখভাল করতে পারে।
আমরা আমাদের বিভিন্ন গবেষণায় আরও দেখেছি, ভবন নির্মাতারা নিম্নমানের রড, সিমেন্ট দিয়ে থাকে। এতে সঠিক কাঠামো অনুসরণ করে ভবন ঠিকই নির্মিত হয়। কিন্তু ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েই যায়। অন্যদিকে ভবনের ভিত্তি নির্মাণ সঠিকভাবে হচ্ছে কি না এবং ভিত্তির নিচের মাটি ভূমিকম্প-সহনীয় হয়েছে কি না, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে।
রাজধানীর সাম্প্রতিক ভবন নির্মাণের ধরন পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ভবনের নিচতলায় গাড়ি রাখার স্থান হিসেবে ফাঁকা রাখা হয়েছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক হলেও এ ক্ষেত্রে গলদ দেখা গেছে। ওপরের তলার তুলনায় নিচতলার অংশের ভবনের স্তম্ভ (কলাম) আরও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ নির্মাতা এটি অনুসরণ করেন না। অনেক ক্ষেত্রে বিম ছাড়া (ফ্ল্যাট প্লেট) ভবন নির্মিত হচ্ছে। এ ধরনের ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ।
বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নগরেই ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু কোন নগরে ভূমিকম্পের কারণে কী পরিমাণ ক্ষতি হবে, তা নির্ভর করে প্রস্তুতির ওপর। যেমন ২০১০ সালে চিলিতে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে মাত্র ৫০০ জন মারা যায়। খুব কম ভবনই ভেঙে পড়ে। এটা সম্ভব হয়েছিল চিলি সরকারের ভূমিকম্প প্রতিরোধে নেওয়া পূর্বপ্রস্তুতি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে। অন্যদিকে একই সময়ে সংঘটিত হাইতিতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে দুই লাখ ২০ হাজার মানুষ মারা যায়। সে দেশের রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের ৬০ শতাংশ ভবন ভেঙে পড়ে। এমনকি হাইতির প্রেসিডেন্টের বাসভবনও ভেঙে পড়ে।
মেহেদী আহম্মদ আনসারী: অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বাংলাদেশ ভূমিকম্প সমিতি
অবশ্য মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পও ঢাকায় বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কারণ, রাজধানীর ৪৭ শতাংশ আবাসন এলাকা জলাভূমি ভরাট করে ও নরম মাটির ওপর গড়ে উঠেছে।
ঢাকার আশপাশে এর আগে মাঝারি থেকে বড় মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়নি। এত দিন আমাদের ধারণা ছিল, ঢাকার আশপাশে ভূমিকম্পের কোনো উৎসস্থল নেই। গতকাল ও সাম্প্রতিক ভূমিকম্পগুলোর ধরন ও উৎসস্থল দেখে মনে হচ্ছে, ঢাকার অদূরেও ভূমিকম্পের আরও উৎসস্থল থাকতে পারে। ফলে সে অনুযায়ী আমাদের ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে আরও সাবধানী হতে হবে।
রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুরের অপরিকল্পিত নগরায়ন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। কিন্তু মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প প্রতিরোধের মতো ব্যবস্থা ভবনগুলোতে নেই। অন্যদিকে এই নগরগুলোর প্রায় অর্ধেক ভূমি বেশ নরম। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে জলাভূমি ভরাট করে আবাসন প্রকল্প নির্মাণ। এই এলাকাগুলো ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
সরকার একটি ইমারত নির্মাণ বিধিমালা করেছে। তার বেশ কিছু দিক রাজউকের মাধ্যমে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। কিন্তু ভূমিকম্প প্রতিরোধের বিষয়টি এখনো উপেক্ষিত। আমাদের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ভবনগুলোকে ভূমিকম্প প্রতিরোধক হিসেবে নির্মাণ করতে যে ধরনের ব্যবস্থা থাকা দরকার। বেশির ভাগ ভবনেই তা নেই। ফলে মাঝারি মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রায় দুই কোটি নগরবাসীর কেউই ভূমিকম্পের ঝুঁকির বাইরে নয়। ফলে সামগ্রিকভাবে নগরগুলোতে ভূমিকম্প প্রতিরোধক ভবন নির্মাণ বাধ্যতামূলক করা উচিত। নয়তো যেকোনো সময় মহা বিপর্যয় নেমে আসবে।
যেসব ভবন ইতিমধ্যে ভূমিকম্প প্রতিরোধব্যবস্থা ছাড়াই গড়ে উঠেছে, তাদের জন্য পুনরায় ভূমিকম্প সহনীয় (কেট্রোফিটিং) হিসেবে গড়ে তোলার প্রযুক্তিও রয়েছে। তবে এটি বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। নতুন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ভূমিকম্প প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেওয়ার খরচ খুব বেশি নয়। এ ক্ষেত্রে ভবন নির্মাণকারীর সদিচ্ছা ও সচেতনতাই যথেষ্ট। রাজউকেরও এ ব্যাপারে দায়িত্ব রয়েছে।
রাজউকের উচিত, নিরাপদ নগর নিশ্চিত করতে প্রতিটি ভবন নির্মাণের সময় ও নির্মাণের পরে ভূমিকম্প সহনশীলতার বিষয়টি নিশ্চিত করা। সরকারি এই সংস্থাটি চাইলে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ নজরদারির বিষয়টি দেখভাল করতে পারে।
আমরা আমাদের বিভিন্ন গবেষণায় আরও দেখেছি, ভবন নির্মাতারা নিম্নমানের রড, সিমেন্ট দিয়ে থাকে। এতে সঠিক কাঠামো অনুসরণ করে ভবন ঠিকই নির্মিত হয়। কিন্তু ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েই যায়। অন্যদিকে ভবনের ভিত্তি নির্মাণ সঠিকভাবে হচ্ছে কি না এবং ভিত্তির নিচের মাটি ভূমিকম্প-সহনীয় হয়েছে কি না, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে।
রাজধানীর সাম্প্রতিক ভবন নির্মাণের ধরন পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ভবনের নিচতলায় গাড়ি রাখার স্থান হিসেবে ফাঁকা রাখা হয়েছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক হলেও এ ক্ষেত্রে গলদ দেখা গেছে। ওপরের তলার তুলনায় নিচতলার অংশের ভবনের স্তম্ভ (কলাম) আরও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ নির্মাতা এটি অনুসরণ করেন না। অনেক ক্ষেত্রে বিম ছাড়া (ফ্ল্যাট প্লেট) ভবন নির্মিত হচ্ছে। এ ধরনের ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ।
বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নগরেই ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু কোন নগরে ভূমিকম্পের কারণে কী পরিমাণ ক্ষতি হবে, তা নির্ভর করে প্রস্তুতির ওপর। যেমন ২০১০ সালে চিলিতে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে মাত্র ৫০০ জন মারা যায়। খুব কম ভবনই ভেঙে পড়ে। এটা সম্ভব হয়েছিল চিলি সরকারের ভূমিকম্প প্রতিরোধে নেওয়া পূর্বপ্রস্তুতি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে। অন্যদিকে একই সময়ে সংঘটিত হাইতিতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে দুই লাখ ২০ হাজার মানুষ মারা যায়। সে দেশের রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের ৬০ শতাংশ ভবন ভেঙে পড়ে। এমনকি হাইতির প্রেসিডেন্টের বাসভবনও ভেঙে পড়ে।
মেহেদী আহম্মদ আনসারী: অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বাংলাদেশ ভূমিকম্প সমিতি
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকায়
গতকাল রোববার সকালে সৃষ্ট ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার দোহার উপজেলায়।
সকাল আটটা ৫৬ মিনিট ১০ সেকেন্ডে সৃষ্ট এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার
স্কেলে ৪ দশমিক ৬।
আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ১৬২ বছরের মধ্যে এই প্রথম ঢাকার এত কাছের একটি উৎপত্তিস্থল (এপিসেন্টার) থেকে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের সৃষ্টি হলো। ১৮৫০ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে সংঘটিত ভূমিকম্পের যে তথ্যাদি রয়েছে, তাতে ঢাকার এত কাছে আর কোনো ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল না। গত বছরের ২ নভেম্বর রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল চাঁদপুরের মতলবে।
গতকাল সকালে সৃষ্ট মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প রাজধানীসহ দেশের অনেক এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। অনেক এলাকায় মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেকে আজান দিতে শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও লাইব্রেরি চত্বরে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। সাভার এলাকায় একটি ভবন হেলে পড়ে। রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাসাবো, বারিধারা ও পুরান ঢাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের (ইউএসজিএস) পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভূগর্ভের ১৫ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে গতকালের ভূকম্পনটির উৎপত্তি হয়। ঢাকা থেকে ২৪ কিলোমিটার, টঙ্গী থেকে ৩৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও কুমিল্লা থেকে ১০৬ কিলোমিটার পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে উৎপত্তিস্থল হওয়ায় দেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জেলাতেই কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, দেশের চারটি এলাকার ভূ-অভ্যন্তরে বড় ধরনের ফাটল বা চ্যুতি রয়েছে। এগুলো হচ্ছে: টাঙ্গাইলের মধুপুর, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, সিলেটের শ্রীমঙ্গল এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত। এই ফাটলগুলো থেকে অতীতে বিভিন্ন সময় ৬ থেকে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পও সৃষ্টি হয়েছে। তবে দীর্ঘকাল ধরে ওই ফাটলগুলো নিষ্ক্রিয়। এগুলো থেকে এখন আর বড় ধরনের ভূমিকম্প সৃষ্টির আশঙ্কা নেই বললেই চলে।
আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ১৬২ বছরের মধ্যে এই প্রথম ঢাকার এত কাছের একটি উৎপত্তিস্থল (এপিসেন্টার) থেকে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের সৃষ্টি হলো। ১৮৫০ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে সংঘটিত ভূমিকম্পের যে তথ্যাদি রয়েছে, তাতে ঢাকার এত কাছে আর কোনো ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল না। গত বছরের ২ নভেম্বর রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল চাঁদপুরের মতলবে।
গতকাল সকালে সৃষ্ট মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প রাজধানীসহ দেশের অনেক এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। অনেক এলাকায় মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেকে আজান দিতে শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও লাইব্রেরি চত্বরে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। সাভার এলাকায় একটি ভবন হেলে পড়ে। রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাসাবো, বারিধারা ও পুরান ঢাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের (ইউএসজিএস) পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভূগর্ভের ১৫ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে গতকালের ভূকম্পনটির উৎপত্তি হয়। ঢাকা থেকে ২৪ কিলোমিটার, টঙ্গী থেকে ৩৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও কুমিল্লা থেকে ১০৬ কিলোমিটার পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে উৎপত্তিস্থল হওয়ায় দেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জেলাতেই কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, দেশের চারটি এলাকার ভূ-অভ্যন্তরে বড় ধরনের ফাটল বা চ্যুতি রয়েছে। এগুলো হচ্ছে: টাঙ্গাইলের মধুপুর, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, সিলেটের শ্রীমঙ্গল এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত। এই ফাটলগুলো থেকে অতীতে বিভিন্ন সময় ৬ থেকে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পও সৃষ্টি হয়েছে। তবে দীর্ঘকাল ধরে ওই ফাটলগুলো নিষ্ক্রিয়। এগুলো থেকে এখন আর বড় ধরনের ভূমিকম্প সৃষ্টির আশঙ্কা নেই বললেই চলে।
রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১২
কম্পিউটারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে অ্যানোনিমাস!
সাইবার জগতের অতি পরিচিত অ্যানোনিমাস নামে হ্যাকারদের গ্রুপটি সম্প্রতি
‘অ্যানোনিমাস’ নামে একটি অপারেটিং সিস্টেম ডাউনলোডের জন্য উন্মুক্ত করেছে।
সিস্টেমটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর এ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ওপেন
সোর্সভিত্তিক এ সিস্টেম চালু হলে কম্পিউটারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে বলে
আশঙ্কা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা। বিবিসি এক খবরে এ কথা জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, অ্যানোনিমাস অপারেটিং সিস্টেমে হ্যাকিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওয়েবটুল ও সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে যা হ্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহূত হয়। এ অপারেটিং সিস্টেমটি ২৬ হাজার বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
তবে এই সিস্টেমটি তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছে অ্যানোনিমাসের একটি পক্ষ। টুইটারে এই সিস্টেম সম্পর্কে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এটি ভাইরাসযুক্ত। এদিকে, অপারেটিং সিস্টেম নির্মাতাদের দাবি, শিক্ষামূলক কাজে ও ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা দিতেই এ সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে।
কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোসের বিশ্লেষক গ্রাহাম ক্লুলেই এই অপারেটিং সিস্টেমকে নিরাপদ বললেও তা সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
খবরে বলা হয়, অ্যানোনিমাস অপারেটিং সিস্টেমে হ্যাকিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওয়েবটুল ও সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে যা হ্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহূত হয়। এ অপারেটিং সিস্টেমটি ২৬ হাজার বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
তবে এই সিস্টেমটি তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছে অ্যানোনিমাসের একটি পক্ষ। টুইটারে এই সিস্টেম সম্পর্কে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এটি ভাইরাসযুক্ত। এদিকে, অপারেটিং সিস্টেম নির্মাতাদের দাবি, শিক্ষামূলক কাজে ও ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা দিতেই এ সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে।
কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোসের বিশ্লেষক গ্রাহাম ক্লুলেই এই অপারেটিং সিস্টেমকে নিরাপদ বললেও তা সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
1pinless.com এ মাসেই বাংলাদেশে আসছে নতুন আইপ্যাড অনলাইন ডেস্ক
আন্তর্জাতিক বাজারে আজ শুক্রবার থেকে আইপ্যাড বিক্রি শুরু হয়েছে। বার্তা
সংস্থা রয়টার্স এক খবরে জানিয়েছে, এশিয়ার বাজারে শুরু থেকেই আইপ্যাড
উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। বাজারে সাড়া ফেলায় অ্যাপলের বাজার মূলধনও ৬০০ বিলিয়ন
ছাড়িয়ে গেছে। নতুন আইপ্যাডের জন্য বাংলাদেশেও অনেকেই উত্সাহী। বাংলাদেশে
ম্যাক ও আইপডের রিসেলার থাকলেও আইপ্যাডের জন্য অনুমোদিত রিসেলার নেই। তবে
অ্যাপল পণ্যের কয়েকটি রিসেলার প্রতিষ্ঠান আইপ্যাডের নতুন সংস্করণ আনার কথা
জানিয়েছে। সেই হিসেবে বলা যায় অ্যাপলের ‘নিউ আইপ্যাড’-এর থ্রিজি মডেল এ
মাসের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাবে। এর দাম হতে পারে ৬৫ থেকে ৭৫
হাজার টাকার মধ্যে।
আইপ্যাড ২ সংস্করণটি বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। নতুন সংস্করণ বাজারে আসায় আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বাজারেও। দেশে এই আইপ্যাডের ৩২ গিগাবাইট মডেলের দাম ছিল ৭৩ হাজার টাকা। এখন এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ এর দাম পড়বে ৬৫ হাজার টাকা।
অ্যাপলের নতুন আইপ্যাড যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, জাপান, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শিগগিরই পাওয়া যাবে। সিঙ্গাপুরের বাজারে আসার পরপরই এটি বাংলাদেশের বাজারে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে অ্যাপলের রিসেলার প্রতিষ্ঠান অ্যালোহারের সিইও মোহাম্মদ আবু নাসের।
উল্লেখ্য, চলতি বছর সারা বিশ্বে অ্যাপল সাড়ে ছয় কোটি ইউনিট আইপ্যাড বিক্রি করতে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্যানাকর্ড জেনুইনিটি।
আইপ্যাড ২ সংস্করণটি বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। নতুন সংস্করণ বাজারে আসায় আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বাজারেও। দেশে এই আইপ্যাডের ৩২ গিগাবাইট মডেলের দাম ছিল ৭৩ হাজার টাকা। এখন এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ এর দাম পড়বে ৬৫ হাজার টাকা।
অ্যাপলের নতুন আইপ্যাড যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, জাপান, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শিগগিরই পাওয়া যাবে। সিঙ্গাপুরের বাজারে আসার পরপরই এটি বাংলাদেশের বাজারে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে অ্যাপলের রিসেলার প্রতিষ্ঠান অ্যালোহারের সিইও মোহাম্মদ আবু নাসের।
উল্লেখ্য, চলতি বছর সারা বিশ্বে অ্যাপল সাড়ে ছয় কোটি ইউনিট আইপ্যাড বিক্রি করতে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্যানাকর্ড জেনুইনিটি।
মেয়েদের অবাঞ্ছিত লোম একটি বিব্রতকর সমস্যা তানজিনা হোসেন |
হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, বারডেম হাসপাতাল।
মেয়েটির আপাদমস্তক বোরকায় ঢাকা। কালো হিজাবের মধ্যে সুন্দর টানা টানা চোখ কেবল দেখা যায়। বয়স ১৫ কি ১৬। মুখের কাপড় সরাতে এই কঠিন পর্দার কারণটা বোঝা গেল। মেয়েটির ঠোঁটের ওপর, চিবুক, কপাল ও জুলপির কাছে ঘন লোমের রেখা; উঠতি বয়সের ছেলেদের যেমনটা দেখা যায়। এর জন্য বন্ধুবান্ধব, সহপাঠী, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে নিশ্চয় অনেক হেনস্তা হতে হয়েছে তাকে। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতেই তার এই মুখ ঢেকে চলা; স্বীকার করল মেয়েটি ছলছল চোখে। সঙ্গে রয়েছে আরেক উপদ্রব—অনিয়মিত মাসিক। এক মাস হয় তো দুই মাস হয় না। বাড়িতে মা দুশ্চিন্তায় অস্থির। শেষ পর্যন্ত দূর-সম্পর্কের এক চিকিৎসক-আত্মীয়ার সঙ্গে কথা বলে মা বুঝেছেন যে হরমোনের সমস্যার কারণে মেয়েদের এসব সমস্যা দেখা দেয়। আর এর সুনির্দিষ্ট সহজ চিকিৎসাও আছে।
অবাঞ্ছিত লোম: কী ও কেন
আর সব স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো মানুষের শরীর সূক্ষ্ম লোম বা চুলে ঢাকা। এর মধ্যে বিশেষ বিশেষ স্থানে চুলের বৃদ্ধি ও গড়ন হরমোনের ওপর নির্ভরশীল। কৈশোরে পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেনের প্রভাবে কিশোর ছেলেদের দাড়ি-গোঁফ গজায়; বুক, তলপেট ও ঊরুতে চুল বাড়ে, জুলপি বড় হয়। মেয়েদের শরীরে এন্ড্রোজেন খুবই কম মাত্রায় থাকে বলে এসব স্থানে ছেলেদের মতো চুল গজায় না। তবে মেয়েদের দেহে কখনো পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেনের আধিক্য দেখা দিলে এমনটা হতে পারে। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মেয়ের এমনিতেই কোনো কারণ ছাড়াই শরীরে বেশি চুল থাকে। এ জন্য পরিবারে মা-বোনদের এ রকম ছিল কি না, তা জানা দরকার। ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত লোমের অধিকারী মেয়েরা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত। এরা সাধারণত ওজনাধিক্য বা স্থূলতায় ভোগে, কৈশোরে অবাঞ্ছিত লোম, অনিয়মিত মাসিক ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত হয়, এদের মুখে ব্রণও বেশি হয়। হরমোন পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এদের শরীরে পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি, মেয়েলি হরমোনগুলোতেও কিছু তারতম্য আছে। এই মেয়েদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তে চর্বির আধিক্য হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। পরবর্তী সময় এদের একটি বড় অংশ বন্ধ্যতা সমস্যায় ভোগে।
যদি অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যা খুব দ্রুত সময়ে অনেক মারাত্মক আকারে দেখা দেয়, তবে দেখতে হবে শরীরে এন্ড্রোজেন নিঃসরণকারী কোনো টিউমার বা ক্যানসার হয়েছে কি না। স্টেরয়েড ট্যাবলেট খেলে বা দেহে স্টেরয়েড হরমোনের আধিক্য থাকলেও অবাঞ্ছিত লোম বেশি হয়।
বিব্রত হওয়ার কিছু নেই
সত্যিই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রথমেই দেখতে হবে, অতিরিক্ত পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেন কোথা থেকে নিঃসৃত হচ্ছে; যদি নিশ্চিত হওয়া যায় যে বাইরে থেকে ইনজেকশন বা দেহের অভ্যন্তরে কোনো টিউমার নেই, তবে অন্যান্য প্রমাণের নিরিখে পলিসিস্টিক ওভারি আছে বলে ধরে নেওয়া যায়। মজার ব্যাপার, এই কিশোরীরা ওজন কমাতে সমর্থ হলেই নানা সমস্যা আপনাআপনিই সেরে যায়। যথাযথ খাদ্যনিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন অনেকখানি কমাতে পারলে মাসিক নিয়মিত হয়, লোম কমে আসে এবং ব্রণও কমে যায়। ওজন ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমাতে অনেক সময় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। মাসিক নিয়মিত করার জন্য কখনো জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা অন্যান্য হরমোনজাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে কৈশোরেই এদের ভবিষ্যৎ ডায়াবেটিস ও রক্তে চর্বির ঝুঁকি সম্পর্কে সাবধান হতে হবে, পরীক্ষা করতে হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিতে হবে। এই মেয়েরা পরবর্তী সময়ে গর্ভবতী হলে অবশ্যই গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
দরকার ধৈর্য ও সঠিক জীবনাচরণ
আমাদের শরীরে একটি চুলের আয়ু প্রায় ছয় মাস। তাই চিকিৎসায় ফল পেতে ছয় মাসের বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তাই এই রোগের চিকিৎসায় প্রথমেই দরকার ধৈর্য। অবাঞ্ছিত লোম ওঠানোর অনেক পদ্ধতি আছে, যেমন—থ্রেডিং, ব্লিচিং, শেভ করা, ইলেকট্রলাইসিস বা ডায়াথারমির মাধ্যমে হেয়ার রিমুভ করা। চিকিৎসার পাশাপাশি এসব পদ্ধতিও প্রয়োগ করা যেতে পারে। পাশাপাশি ওজন কমানো, সঠিক জীবনাচরণ মেনে চলা ও একজন হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা তো চলবেই। কিশোরীর এই ব্রিবতকর সমস্যায় তাই অযথা মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা না করে সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করা ও চিকিৎসা নেওয়াটা জরুরি।
মেয়েটির আপাদমস্তক বোরকায় ঢাকা। কালো হিজাবের মধ্যে সুন্দর টানা টানা চোখ কেবল দেখা যায়। বয়স ১৫ কি ১৬। মুখের কাপড় সরাতে এই কঠিন পর্দার কারণটা বোঝা গেল। মেয়েটির ঠোঁটের ওপর, চিবুক, কপাল ও জুলপির কাছে ঘন লোমের রেখা; উঠতি বয়সের ছেলেদের যেমনটা দেখা যায়। এর জন্য বন্ধুবান্ধব, সহপাঠী, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে নিশ্চয় অনেক হেনস্তা হতে হয়েছে তাকে। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতেই তার এই মুখ ঢেকে চলা; স্বীকার করল মেয়েটি ছলছল চোখে। সঙ্গে রয়েছে আরেক উপদ্রব—অনিয়মিত মাসিক। এক মাস হয় তো দুই মাস হয় না। বাড়িতে মা দুশ্চিন্তায় অস্থির। শেষ পর্যন্ত দূর-সম্পর্কের এক চিকিৎসক-আত্মীয়ার সঙ্গে কথা বলে মা বুঝেছেন যে হরমোনের সমস্যার কারণে মেয়েদের এসব সমস্যা দেখা দেয়। আর এর সুনির্দিষ্ট সহজ চিকিৎসাও আছে।
অবাঞ্ছিত লোম: কী ও কেন
আর সব স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো মানুষের শরীর সূক্ষ্ম লোম বা চুলে ঢাকা। এর মধ্যে বিশেষ বিশেষ স্থানে চুলের বৃদ্ধি ও গড়ন হরমোনের ওপর নির্ভরশীল। কৈশোরে পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেনের প্রভাবে কিশোর ছেলেদের দাড়ি-গোঁফ গজায়; বুক, তলপেট ও ঊরুতে চুল বাড়ে, জুলপি বড় হয়। মেয়েদের শরীরে এন্ড্রোজেন খুবই কম মাত্রায় থাকে বলে এসব স্থানে ছেলেদের মতো চুল গজায় না। তবে মেয়েদের দেহে কখনো পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেনের আধিক্য দেখা দিলে এমনটা হতে পারে। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মেয়ের এমনিতেই কোনো কারণ ছাড়াই শরীরে বেশি চুল থাকে। এ জন্য পরিবারে মা-বোনদের এ রকম ছিল কি না, তা জানা দরকার। ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত লোমের অধিকারী মেয়েরা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত। এরা সাধারণত ওজনাধিক্য বা স্থূলতায় ভোগে, কৈশোরে অবাঞ্ছিত লোম, অনিয়মিত মাসিক ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত হয়, এদের মুখে ব্রণও বেশি হয়। হরমোন পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এদের শরীরে পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি, মেয়েলি হরমোনগুলোতেও কিছু তারতম্য আছে। এই মেয়েদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তে চর্বির আধিক্য হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। পরবর্তী সময় এদের একটি বড় অংশ বন্ধ্যতা সমস্যায় ভোগে।
যদি অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যা খুব দ্রুত সময়ে অনেক মারাত্মক আকারে দেখা দেয়, তবে দেখতে হবে শরীরে এন্ড্রোজেন নিঃসরণকারী কোনো টিউমার বা ক্যানসার হয়েছে কি না। স্টেরয়েড ট্যাবলেট খেলে বা দেহে স্টেরয়েড হরমোনের আধিক্য থাকলেও অবাঞ্ছিত লোম বেশি হয়।
বিব্রত হওয়ার কিছু নেই
সত্যিই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রথমেই দেখতে হবে, অতিরিক্ত পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেন কোথা থেকে নিঃসৃত হচ্ছে; যদি নিশ্চিত হওয়া যায় যে বাইরে থেকে ইনজেকশন বা দেহের অভ্যন্তরে কোনো টিউমার নেই, তবে অন্যান্য প্রমাণের নিরিখে পলিসিস্টিক ওভারি আছে বলে ধরে নেওয়া যায়। মজার ব্যাপার, এই কিশোরীরা ওজন কমাতে সমর্থ হলেই নানা সমস্যা আপনাআপনিই সেরে যায়। যথাযথ খাদ্যনিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন অনেকখানি কমাতে পারলে মাসিক নিয়মিত হয়, লোম কমে আসে এবং ব্রণও কমে যায়। ওজন ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমাতে অনেক সময় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। মাসিক নিয়মিত করার জন্য কখনো জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা অন্যান্য হরমোনজাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে কৈশোরেই এদের ভবিষ্যৎ ডায়াবেটিস ও রক্তে চর্বির ঝুঁকি সম্পর্কে সাবধান হতে হবে, পরীক্ষা করতে হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিতে হবে। এই মেয়েরা পরবর্তী সময়ে গর্ভবতী হলে অবশ্যই গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
দরকার ধৈর্য ও সঠিক জীবনাচরণ
আমাদের শরীরে একটি চুলের আয়ু প্রায় ছয় মাস। তাই চিকিৎসায় ফল পেতে ছয় মাসের বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তাই এই রোগের চিকিৎসায় প্রথমেই দরকার ধৈর্য। অবাঞ্ছিত লোম ওঠানোর অনেক পদ্ধতি আছে, যেমন—থ্রেডিং, ব্লিচিং, শেভ করা, ইলেকট্রলাইসিস বা ডায়াথারমির মাধ্যমে হেয়ার রিমুভ করা। চিকিৎসার পাশাপাশি এসব পদ্ধতিও প্রয়োগ করা যেতে পারে। পাশাপাশি ওজন কমানো, সঠিক জীবনাচরণ মেনে চলা ও একজন হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা তো চলবেই। কিশোরীর এই ব্রিবতকর সমস্যায় তাই অযথা মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা না করে সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করা ও চিকিৎসা নেওয়াটা জরুরি।
মনের জানালা
সমস্যা: আমার খালার বয়স ৪১ বছর। মানুষের ছোটখাট জিনিস, যেমন—সাবান, চিনি,
জামাকাপড়, মোবাইল ফোন, এমনকি টাকা-পয়সার প্রতি তাঁর প্রচণ্ড লোভ। কয়েক বছর
আগে তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল এবং এ কারণেই তাঁর এই
প্রবৃত্তিটা বদভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যদিও তিনি বর্তমানে সচ্ছল, তার পরও কারও
কোনো জিনিস দেখলে তিনি লোভ সামলাতে পারেন না। এ জন্য সবাই তাঁকে চোর বলে।
তাঁর স্বামী, ছেলেমেয়ে এমনকি আত্মীয়স্বজন—সবাই তাঁকে এ কাজ থেকে বিরত থাকতে
বলে। কিন্তু তেমন লাভ হয় না। কয়েক মাস পরে আবার চুরি করেন। এ জন্য তাঁকে
অনেক বোঝানো হয়েছে এমনকি শারীরিক নির্যাতনও করা হয়েছে। তাতেও কোনো কাজ
হচ্ছে না। খালা প্রতি মাসে কিছু না কিছু চুরি করেন। তিনি কি চোর, নাকি
মানসিক রোগী, বোঝা যাচ্ছে না। এমনিতে তাঁর কাজকর্ম স্বাভাবিক। এখন কী
ব্যবস্থা নিলে তিনি ভালো হনে? তিনি একজন গৃহিণী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
পরামর্শ
তোমার খালার বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, আর্থিক সচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজেকে সংযত রাখতে পারছেন না। তাঁর এই বদভ্যাসের কারণে তোমাদের পরিবারের লোকেরা যে তাঁকে লজ্জা দিয়েছে এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে তা মোটেও ঠিক হয়নি। প্রত্যেকের ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠার সময় তাঁর শৈশবের অভিজ্ঞতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শৈশবের অভিজ্ঞতা নেতিবাচক হলে আমাদের ব্যক্তিত্বও ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে। তোমার খালা কি পরে স্বীকার করেন যে তিনি জিনিসগুলো নিয়েছেন; নাকি তোমরা তাঁর কাছে জিনিসগুলো পাওয়ার পর নিশ্চিতভাবে ধরে নিচ্ছ যে তিনি সেগুলো চুরি করেছেন? ক্লেপেটাম্যানিয়া (Kleptomania) নামে মানসিক যে অসুস্থতা আছে, তাতে দেখা যায়, অপ্রতিরোধ্য আবেগের বশে মানুষটি যে জিনিস ভালো লাগে সেটি যেকোনো জায়গা থেকে তুলে নিয়ে আসে। অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় জিনিসও নিয়ে এসে পরে ভুলে যায়। কখনো কখনো পরে সেটি নিজের কাছে দেখতে পেয়ে ফেরত দেয়, আবার কখনো লজ্জায় পড়ে না-ও দিতে পারে। তোমার খালার বিষয়টি এ ধরনের কি না তা বোঝা যাচ্ছে না। তিনি জিনিসগুলো নিজে ব্যবহার করার জন্য আনেন কি না তা তুমি জানাওনি। এমনও হতে পারে, তিনি নিজেকে বঞ্চিত মনে করেন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। তোমরা তাঁর সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ না করে তাঁকে সবাই মিলে বলতে পারো যে, এই কাজ তিনি না করলে তাঁকে সবাই অনেক ভালোবাসবে এবং শ্রদ্ধা করবে। সবচেয়ে ভালো হয়, তোমরা যদি তাঁকে কাউন্সেলিং বা সাইকোথেরাপির জন্য নিয়ে যাও। ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টারে (ফোন: ৮৩২১৮২৫ ও ০১৭১৩১৭৭১৭৫) বিনা খরচে নারী ও শিশুদের এই সেবা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ক্রিয়া বা ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালেও তাঁকে নিয়ে যেতে পারো। আশা করি, তোমরা তাঁকে এই চিকির্যাসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। তাঁকে এ কারণে দোষারোপ করতে থাকলে তাঁর এই প্রবণতা আরও বেড়ে যেতে পারে।
সমস্যা: আমি একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমি পরিবারের বড় ছেলে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই মায়ের স্নেহের বদলে পেয়েছি শুধু অমানুষিক কষ্ট আর নির্যাতন। যেকোনো বিষয় নিয়ে মা আমাকে আমার দুই ভাইয়ের চেয়ে ছোট করে দেখেন। মায়ের কথার ব্যতিক্রম হলে আমার ওপর চরম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চলে। বাবা বেকার ও মাদকাসক্ত হওয়ায় সংসারে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। আর সব ঝাল মেটানো হয় আমার ওপর দিয়ে। প্রতিবাদ করতে গেলে জুটে মারধর, বের করে দেওয়া হয় ঘর থেকে। এই রকম অনেক কষ্ট সহ্য করে এসএসসি পরীক্ষায় আমি জিপিএ-৫ লাভ করি। কিন্তু এখন যেন পৃথিবী আমার কাছে হয়ে উঠেছে বিষময়। মাঝেমধ্যে মনে হয় পৃথিবী ছেড়ে চলে যাই চিরদিনের মতো।
আদনান
চট্টগ্রাম কলেজ।
পরামর্শ
আমাকে এ পর্যন্ত অনেক মায়ের কান্নাজড়িত বক্তব্য শুনতে হয়েছে যার বিষয়বস্তু ছিল, স্বামীর আচরণে হতাশ হয়ে তাঁরা কীভাবে তাঁদের নিরীহ ও দুর্বল সন্তানকে অত্যাচার করেছেন। আমার মনে হয় কাজটি যে তিনি খুব সচেতনভাবে করেছেন, তা নয়। এর জন্য পরে তাঁর মনে অপরাধবোধেরও সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তুু তার পরও তিনি বারবার একই কাজ করেছেন। এর ফলে তাঁর সন্তানের মধ্যে যখন আচরণগত সমস্যা দেখা দিয়েছে তখন তিনি বুঝতে পেরেছেন তাঁর রাগের বহিঃপ্রকাশের জন্যই এমনটি ঘটেছে। কিন্তু তত দিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তুমি মায়ের প্রথম সন্তান বলে তোমার ওপরই এর বেশি প্রয়োগ ঘটেছে। তোমার বাবা বেকার ও মাদকাসক্ত হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা তিনটি সন্তান পৃথিবীতে এনে খুব বড় একটা ভুল করেছেন। এটি শিশু-অধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। এ ছাড়া তোমাকে ছোট দুই ভাইয়ের চেয়ে কম মূল্য দেওয়ার কারণে তুমি কষ্ট পাচ্ছ, যদিও আমাদের অভিভাবকেরা এতে ভালো হবে মনে করে ভুল এই পদ্ধতি অনুসরণ করছেন। আমি তোমাকে অনেক প্রশংসা করছি যে, এ ধরনের প্রতিকূল পরিবেশে থেকেও তুমি এসএসসিতে ভালো ফল করেছ। পৃথিবী ছেড়ে তুমি কেন যাওয়ার কথা ভাবছ? আমরা যারা বড়রা তোমাদের ঠিকমতো পথ দেখাতে পারছি না, শাস্তি তো আমাদের হওয়া উচিত। তুমি নিশ্চয়ই এইচএসসিতেও ভালো ফল করবে এবং একসময় তুমি তোমার বাবা-মাকে সুন্দরভাবে বোঝাতে সক্ষম হবে যে তাঁরা কী কী ভুল করেছেন। আশা করি, তুমি ভালো থাকবে। তোমার জীবন সুন্দর ও সাফল্যমণ্ডিত হোক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
পরামর্শ
তোমার খালার বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, আর্থিক সচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজেকে সংযত রাখতে পারছেন না। তাঁর এই বদভ্যাসের কারণে তোমাদের পরিবারের লোকেরা যে তাঁকে লজ্জা দিয়েছে এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে তা মোটেও ঠিক হয়নি। প্রত্যেকের ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠার সময় তাঁর শৈশবের অভিজ্ঞতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শৈশবের অভিজ্ঞতা নেতিবাচক হলে আমাদের ব্যক্তিত্বও ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে। তোমার খালা কি পরে স্বীকার করেন যে তিনি জিনিসগুলো নিয়েছেন; নাকি তোমরা তাঁর কাছে জিনিসগুলো পাওয়ার পর নিশ্চিতভাবে ধরে নিচ্ছ যে তিনি সেগুলো চুরি করেছেন? ক্লেপেটাম্যানিয়া (Kleptomania) নামে মানসিক যে অসুস্থতা আছে, তাতে দেখা যায়, অপ্রতিরোধ্য আবেগের বশে মানুষটি যে জিনিস ভালো লাগে সেটি যেকোনো জায়গা থেকে তুলে নিয়ে আসে। অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় জিনিসও নিয়ে এসে পরে ভুলে যায়। কখনো কখনো পরে সেটি নিজের কাছে দেখতে পেয়ে ফেরত দেয়, আবার কখনো লজ্জায় পড়ে না-ও দিতে পারে। তোমার খালার বিষয়টি এ ধরনের কি না তা বোঝা যাচ্ছে না। তিনি জিনিসগুলো নিজে ব্যবহার করার জন্য আনেন কি না তা তুমি জানাওনি। এমনও হতে পারে, তিনি নিজেকে বঞ্চিত মনে করেন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। তোমরা তাঁর সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ না করে তাঁকে সবাই মিলে বলতে পারো যে, এই কাজ তিনি না করলে তাঁকে সবাই অনেক ভালোবাসবে এবং শ্রদ্ধা করবে। সবচেয়ে ভালো হয়, তোমরা যদি তাঁকে কাউন্সেলিং বা সাইকোথেরাপির জন্য নিয়ে যাও। ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টারে (ফোন: ৮৩২১৮২৫ ও ০১৭১৩১৭৭১৭৫) বিনা খরচে নারী ও শিশুদের এই সেবা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ক্রিয়া বা ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালেও তাঁকে নিয়ে যেতে পারো। আশা করি, তোমরা তাঁকে এই চিকির্যাসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। তাঁকে এ কারণে দোষারোপ করতে থাকলে তাঁর এই প্রবণতা আরও বেড়ে যেতে পারে।
সমস্যা: আমি একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমি পরিবারের বড় ছেলে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই মায়ের স্নেহের বদলে পেয়েছি শুধু অমানুষিক কষ্ট আর নির্যাতন। যেকোনো বিষয় নিয়ে মা আমাকে আমার দুই ভাইয়ের চেয়ে ছোট করে দেখেন। মায়ের কথার ব্যতিক্রম হলে আমার ওপর চরম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চলে। বাবা বেকার ও মাদকাসক্ত হওয়ায় সংসারে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। আর সব ঝাল মেটানো হয় আমার ওপর দিয়ে। প্রতিবাদ করতে গেলে জুটে মারধর, বের করে দেওয়া হয় ঘর থেকে। এই রকম অনেক কষ্ট সহ্য করে এসএসসি পরীক্ষায় আমি জিপিএ-৫ লাভ করি। কিন্তু এখন যেন পৃথিবী আমার কাছে হয়ে উঠেছে বিষময়। মাঝেমধ্যে মনে হয় পৃথিবী ছেড়ে চলে যাই চিরদিনের মতো।
আদনান
চট্টগ্রাম কলেজ।
পরামর্শ
আমাকে এ পর্যন্ত অনেক মায়ের কান্নাজড়িত বক্তব্য শুনতে হয়েছে যার বিষয়বস্তু ছিল, স্বামীর আচরণে হতাশ হয়ে তাঁরা কীভাবে তাঁদের নিরীহ ও দুর্বল সন্তানকে অত্যাচার করেছেন। আমার মনে হয় কাজটি যে তিনি খুব সচেতনভাবে করেছেন, তা নয়। এর জন্য পরে তাঁর মনে অপরাধবোধেরও সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তুু তার পরও তিনি বারবার একই কাজ করেছেন। এর ফলে তাঁর সন্তানের মধ্যে যখন আচরণগত সমস্যা দেখা দিয়েছে তখন তিনি বুঝতে পেরেছেন তাঁর রাগের বহিঃপ্রকাশের জন্যই এমনটি ঘটেছে। কিন্তু তত দিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তুমি মায়ের প্রথম সন্তান বলে তোমার ওপরই এর বেশি প্রয়োগ ঘটেছে। তোমার বাবা বেকার ও মাদকাসক্ত হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা তিনটি সন্তান পৃথিবীতে এনে খুব বড় একটা ভুল করেছেন। এটি শিশু-অধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। এ ছাড়া তোমাকে ছোট দুই ভাইয়ের চেয়ে কম মূল্য দেওয়ার কারণে তুমি কষ্ট পাচ্ছ, যদিও আমাদের অভিভাবকেরা এতে ভালো হবে মনে করে ভুল এই পদ্ধতি অনুসরণ করছেন। আমি তোমাকে অনেক প্রশংসা করছি যে, এ ধরনের প্রতিকূল পরিবেশে থেকেও তুমি এসএসসিতে ভালো ফল করেছ। পৃথিবী ছেড়ে তুমি কেন যাওয়ার কথা ভাবছ? আমরা যারা বড়রা তোমাদের ঠিকমতো পথ দেখাতে পারছি না, শাস্তি তো আমাদের হওয়া উচিত। তুমি নিশ্চয়ই এইচএসসিতেও ভালো ফল করবে এবং একসময় তুমি তোমার বাবা-মাকে সুন্দরভাবে বোঝাতে সক্ষম হবে যে তাঁরা কী কী ভুল করেছেন। আশা করি, তুমি ভালো থাকবে। তোমার জীবন সুন্দর ও সাফল্যমণ্ডিত হোক।
নতুন আইপ্যাড নিয়ে সারা বিশ্বে উন্মাদনা
বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের ট্যাবলেট
কম্পিউটারের সর্বশেষ সংস্করণ ‘নিউ আইপ্যাড’ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু
হয়েছে উন্মাদনা। আইপ্যাডের নতুন সংস্করণ আসবে বলে নানা ধরনের আলোচনা অনেক
দিন ধরেই চলছে বিশ্ব প্রযুক্তি অঙ্গনে। আর একাধিকবার বাজারে আসার তারিখ
পরিবর্তন হওয়ায় আইপ্যাডের নতুন সংস্করণটি পাওয়ার জন্য ক্রেতারাও ছিলেন
মুখিয়ে। এসবের প্রমাণ মিলল অ্যাপলের ভক্তদের লাইনে দাঁড়িয়েছেন নতুন
ট্যাবলেটটি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা দেখে। আগ্রহীদের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের
মধ্যেও এটি পাওয়ার আগ্রহও দেখা গেছে বেশ।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও নয়টি দেশে আইপ্যাড বিক্রি শুরু হওয়ার পর পুরো রাত ধরেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অসংখ্য অ্যাপলপ্রেমী। আগেই অর্ডার দিয়েও হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে আগ্রহী নন অনেকেই। আর তাই ভিড় জমিয়েছেন অ্যাপল স্টোরের সামনে!
প্রথম নিউ আইপ্যাড হাতে পাওয়া ব্যক্তি ছিলেন নিউইয়র্কের এরিক লেড। ব্রাজিল থেকে উড়ে এসে ৩০ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে হাতে পেয়েছেন প্রিয় নিউ আইপ্যাড! জানালেন, ব্রাজিলের মানুষের নতুন এ ট্যাবলেটটি পেতে সময় লাগবে আরও তিন-চার মাস। আর তাই সে অপেক্ষায় না থেকে নিজে চলে এসেছেন নতুন আইপ্যাড কিনতে।
এমন উন্মাদনায় থাকা আগ্রহীদের নতুন আইপ্যাড দেওয়ার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন অ্যাপল কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, জাপান, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, হংকংয়ে বিক্রি শুরু হয়েছে।
চলতি মাসের ২৩ তারিখের মধ্যে আরও ২৪টির বেশি দেশে নিউ আইপ্যাড বিক্রি শুরু হবে বলে জানা গেছে। —এএফপি
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও নয়টি দেশে আইপ্যাড বিক্রি শুরু হওয়ার পর পুরো রাত ধরেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অসংখ্য অ্যাপলপ্রেমী। আগেই অর্ডার দিয়েও হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে আগ্রহী নন অনেকেই। আর তাই ভিড় জমিয়েছেন অ্যাপল স্টোরের সামনে!
প্রথম নিউ আইপ্যাড হাতে পাওয়া ব্যক্তি ছিলেন নিউইয়র্কের এরিক লেড। ব্রাজিল থেকে উড়ে এসে ৩০ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে হাতে পেয়েছেন প্রিয় নিউ আইপ্যাড! জানালেন, ব্রাজিলের মানুষের নতুন এ ট্যাবলেটটি পেতে সময় লাগবে আরও তিন-চার মাস। আর তাই সে অপেক্ষায় না থেকে নিজে চলে এসেছেন নতুন আইপ্যাড কিনতে।
এমন উন্মাদনায় থাকা আগ্রহীদের নতুন আইপ্যাড দেওয়ার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন অ্যাপল কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, জাপান, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, হংকংয়ে বিক্রি শুরু হয়েছে।
চলতি মাসের ২৩ তারিখের মধ্যে আরও ২৪টির বেশি দেশে নিউ আইপ্যাড বিক্রি শুরু হবে বলে জানা গেছে। —এএফপি
শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১২
'অন্যনারীকে মুগ্ধ করতেই নারীর সাজগোজ'
পুরুষসঙ্গীকে খুশী করতে নারীরা আয়নার সামনে বেশি সময় কাটায় বলে প্রচলিত ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষসঙ্গী নয় অন্যনারীর কাছ থেকে বাহবা পাওয়ার উদ্দেশ্যেই নারীরা সাজগোজ করে থাকে।
২ হাজার নারীর ওপর পরিচালিত সিম্পল স্কিন কেয়ারের গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।
এতে দেখা যায়, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই অন্য নারীর কাছ থেকে প্রশংসাসূচক মন্তব্য পাওয়ার জন্য পোশাক নির্বাচন করে। অপরদিকে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জন পোশাক নির্বাচন করে তাদের বান্ধবীদের কথা মাথায় রেখে।
এক চতুর্থাংশেরও বেশি অংশগ্রহণকারী জানিয়েছে, তারা পুরুষ নয় বরং অপরিচিত নারীদের কাছ থেকেই বেশি মন্তব্য পেয়ে থাকে।
সিম্পল স্কিন কেয়ারের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে দ্য ডেইলি মেইল বলেছে, "প্রচলিত একটি ধারণা রয়েছে যে, বিপরীতলিঙ্গের সঙ্গীকে খুশী করতেই নারীরা সব কিছু করে থাকে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে এটা সবসময় ঠিক নয়।"
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী নারীদের ২২ শতাংশ দাবি করেন, পুরুষরা কেমন মন্তব্য করল তা তারা মোটেও পরোয়া করেন না। আর ৪৮ শতাংশ নারী জানান, তারা মূলত অপরিচিত নারীদের কাছ থেকে প্রশংসা পেতেই বেশি পছন্দ করেন।
প্রথম দেখায় প্রেমে বিশ্বাসী পুরুষ, নারী নয়
নারীদের তুলনায় পুরুষরাই বেশি প্রথম দেখায় প্রেমে বিশ্বাসী। এ সংখ্যা প্রতি ৫ জনে একজন। নতুন এক জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
'দ্য হিন্দুস্তান টাইমস' এ প্রকাশিত এ জরিপের ফলে দেখা গেছে, প্রতি পাঁচ জনে একজন পুরুষ বলেছেন, তারা প্রথম দেখায় প্রেমে পড়েছেন।
অর্ধেকেরও বেশি পুরুষ বলেছেন, প্রথম দেখার পরই তারা মেয়েটির প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন। আর তিনদিন ডেটিং এর পর মন হারিয়েছেন এমন পুরুষের সংখ্যা প্রায় তিন-চতুর্থাংশ।
অন্যদিকে, প্রতি দশ জনে মাত্র একজন নারী বলেছেন, তারা প্রথম দেখায় প্রেমে পড়েছেন। বেশির ভাগ নারীই ভালোলাগার মানুষের কাছে 'প্রকৃত চাওয়া' পেয়েছেন কিনা তা
জানতে ষষ্ঠবারের মতো দেখা করা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন মনোবিজ্ঞানী ও 'ব্রিটিশ সাইকোলজিক্যাল
সোসাইটি'র সদস্য অধ্যাপক অ্যালেকজান্ডার গর্ডন। গবেষণার এ ফলে লিঙ্গভেদে যে বৈপরীত্য ধরা পড়েছে তাতে অবাক হয়েছেন তিনি।
গর্ডন বলেন, "পুরুষের চেয়ে নারীরা সামাজিক পরিস্থিতি বেশি বুঝতে
পারে এবং কোনো পুরুষের সঙ্গে প্রথম দেখার পর তাদের মনে নানা প্রশ্ন উদয় হয়।
এর মধ্য দিয়ে তারা বোঝার চেষ্টা করে ওই পুরুষকে ভালোবাসা কতটা নিরাপদ? সে তার সন্তানের জন্য কেমন বাবা হবেন?- এরকম আরো অনেক কিছু।"
"সারা জীবনের জন্য কাউকে পছন্দের ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে
নারীরা অনেক বেশি বিচক্ষণ," বলেন গর্ডন।
জরিপের ফলে আরো দেখা গেছে, ব্রিটেনে পুরুষরা গড়ে জীবনে তিন বারের
বেশি প্রেমে পড়ে। অন্যদিকে, নারীরা গড়ে প্রেমে পড়ে একবারই।
এ গবেষণার জন্য ১৬ থেকে ৮৬ বছর বয়স্ক ১ হাজার ৫০০ নারী ও ১ হাজার ৫০০
পুরুষের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে।
'দ্য হিন্দুস্তান টাইমস' এ প্রকাশিত এ জরিপের ফলে দেখা গেছে, প্রতি পাঁচ জনে একজন পুরুষ বলেছেন, তারা প্রথম দেখায় প্রেমে পড়েছেন।
অর্ধেকেরও বেশি পুরুষ বলেছেন, প্রথম দেখার পরই তারা মেয়েটির প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন। আর তিনদিন ডেটিং এর পর মন হারিয়েছেন এমন পুরুষের সংখ্যা প্রায় তিন-চতুর্থাংশ।
অন্যদিকে, প্রতি দশ জনে মাত্র একজন নারী বলেছেন, তারা প্রথম দেখায় প্রেমে পড়েছেন। বেশির ভাগ নারীই ভালোলাগার মানুষের কাছে 'প্রকৃত চাওয়া' পেয়েছেন কিনা তা
জানতে ষষ্ঠবারের মতো দেখা করা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন মনোবিজ্ঞানী ও 'ব্রিটিশ সাইকোলজিক্যাল
সোসাইটি'র সদস্য অধ্যাপক অ্যালেকজান্ডার গর্ডন। গবেষণার এ ফলে লিঙ্গভেদে যে বৈপরীত্য ধরা পড়েছে তাতে অবাক হয়েছেন তিনি।
গর্ডন বলেন, "পুরুষের চেয়ে নারীরা সামাজিক পরিস্থিতি বেশি বুঝতে
পারে এবং কোনো পুরুষের সঙ্গে প্রথম দেখার পর তাদের মনে নানা প্রশ্ন উদয় হয়।
এর মধ্য দিয়ে তারা বোঝার চেষ্টা করে ওই পুরুষকে ভালোবাসা কতটা নিরাপদ? সে তার সন্তানের জন্য কেমন বাবা হবেন?- এরকম আরো অনেক কিছু।"
"সারা জীবনের জন্য কাউকে পছন্দের ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে
নারীরা অনেক বেশি বিচক্ষণ," বলেন গর্ডন।
জরিপের ফলে আরো দেখা গেছে, ব্রিটেনে পুরুষরা গড়ে জীবনে তিন বারের
বেশি প্রেমে পড়ে। অন্যদিকে, নারীরা গড়ে প্রেমে পড়ে একবারই।
এ গবেষণার জন্য ১৬ থেকে ৮৬ বছর বয়স্ক ১ হাজার ৫০০ নারী ও ১ হাজার ৫০০
পুরুষের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে।
নারীরা সৌন্দর্য আর পুরুষেরা যৌনজীবন হারানোর শঙ্কায় ভোগে
বয়সের সাথে সাথে সৌন্দর্য হারানোর ব্যাপারে উদ্বিগ্ন থাকে নারীরা আর পুরুষের ভয় যৌন জীবন ও সম্পর্ক হারানোয়।
নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে দ্য হিন্দুস্তান টাইমস জানায়।
এ গবেষণার জন্য চল্লিশোর্ধ ১ হাজার ১০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, এক-তৃতীয়াংশ নারীর কাছে বৃদ্ধ বয়সে তাদের কেমন দেখাবে তা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে মাত্র ২১ শতাংশ পুরুষ এ নিয়ে ভাবে।
আর শতকরা ৩২ ভাগ পুরুষ ও ১২ ভাগ নারী বৃদ্ধ বয়সে তাদের যৌন জীবন কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তা করে।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন, সমাজবিজ্ঞানী ড. ক্যাটে ওডথ্রপ। তিনি যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সেন্টার ফর ডেথ অ্যান্ড সোসাইটি'র একজন গবেষক।
নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে দ্য হিন্দুস্তান টাইমস জানায়।
এ গবেষণার জন্য চল্লিশোর্ধ ১ হাজার ১০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, এক-তৃতীয়াংশ নারীর কাছে বৃদ্ধ বয়সে তাদের কেমন দেখাবে তা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে মাত্র ২১ শতাংশ পুরুষ এ নিয়ে ভাবে।
আর শতকরা ৩২ ভাগ পুরুষ ও ১২ ভাগ নারী বৃদ্ধ বয়সে তাদের যৌন জীবন কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তা করে।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন, সমাজবিজ্ঞানী ড. ক্যাটে ওডথ্রপ। তিনি যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সেন্টার ফর ডেথ অ্যান্ড সোসাইটি'র একজন গবেষক।
‘গাড়ি চালালে কুমারীত্ব শেষ’
সৌদি আরবের নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিলে ‘দেশের পবিত্রতা’ নষ্ট হবে
বলে একটি প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি জানানো হয়েছে। বিষয়টিকে নারীর ‘কুমারীত্ব’
বিনাশের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
দেশটির আইন পরিষদ শুরা কাউন্সিলের জন্য একটি রক্ষণশীল সংস্থা এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত কমল সুবিহ এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এর উদ্দেশ্য হলো নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পুনর্বিবেচনার পরিকল্পনা যেন বাদ দেওয়া হয়।
নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিলে পতিতাবৃত্তি, পর্ণোগ্রাফি, সমকামিতা ও তালাক বেড়ে যাবে বলে প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে।
সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর আনুষ্ঠানিক কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে তাদেরকে গাড়ি চালাতে দেখলে আটক করা যেতে পারে- এ ধরনের নিয়ম রয়েছে।
এটি প্রত্যাহারের জন্য সেদেশের নারীরা চেষ্টা চালাচ্ছে।
তাদের অভিযোগ, এর কারণে বাস্তবজীবনে তাদের কিছু জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। যেমন, পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থেকে এবং পুরুষের কাছ থেকে তাদের দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে অথচ প্রতিদিন পুরুষ ড্রাইভারের ওপরই তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে। এটি পরস্পরবিরোধী ও অযৌক্তিক।
বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
এদিকে সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সৌদির বাদশা আব্দুল্লাহ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পর্যালোচনার অনুমতি দিয়েছেন।
নারীদের গাড়িচালনার পক্ষে আন্দোলনকারী এক নারী বিবিসিকে জানান, এ প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ উল্টো।
তিনি বলেন, শুরার প্রধান নারী আন্দোলনকারীদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ওপর এখনও শুনানি অব্যাহত রাখা হয়েছে।
দেশটির আইন পরিষদ শুরা কাউন্সিলের জন্য একটি রক্ষণশীল সংস্থা এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত কমল সুবিহ এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এর উদ্দেশ্য হলো নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পুনর্বিবেচনার পরিকল্পনা যেন বাদ দেওয়া হয়।
নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিলে পতিতাবৃত্তি, পর্ণোগ্রাফি, সমকামিতা ও তালাক বেড়ে যাবে বলে প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে।
সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর আনুষ্ঠানিক কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে তাদেরকে গাড়ি চালাতে দেখলে আটক করা যেতে পারে- এ ধরনের নিয়ম রয়েছে।
এটি প্রত্যাহারের জন্য সেদেশের নারীরা চেষ্টা চালাচ্ছে।
তাদের অভিযোগ, এর কারণে বাস্তবজীবনে তাদের কিছু জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। যেমন, পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থেকে এবং পুরুষের কাছ থেকে তাদের দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে অথচ প্রতিদিন পুরুষ ড্রাইভারের ওপরই তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে। এটি পরস্পরবিরোধী ও অযৌক্তিক।
বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
এদিকে সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সৌদির বাদশা আব্দুল্লাহ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পর্যালোচনার অনুমতি দিয়েছেন।
নারীদের গাড়িচালনার পক্ষে আন্দোলনকারী এক নারী বিবিসিকে জানান, এ প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ উল্টো।
তিনি বলেন, শুরার প্রধান নারী আন্দোলনকারীদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ওপর এখনও শুনানি অব্যাহত রাখা হয়েছে।
মেয়েরা দিনে ৫ ঘণ্টা গালগল্প করে কাটায়
লন্ডন, ০৩ ডিসেম্বর (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- যে কোন পুরুষের পক্ষেই এ
কথা বলা কঠিন যে তার স্ত্রী বা প্রেমিকা কতক্ষণ কথা বলেন। এ প্রশ্নেরই
সুরাহা করেছেন ব্রিটেনের একদল গবেষক। তাদের মতে, মেয়েরা প্রতিদিন গড়ে ৫
ঘন্টা গল্পগুজব করে বা বকবক করে কাটায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েরা বাসায় বা অফিসে যেখানেই থাকুক দিনে তারা প্রায় ২৯৮ মিনিট খোশগল্প করে- যা তাদের কর্মঘন্টার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি।
গবেষণার ফল নিয়ে ‘দ্য ডেইলি মেইল’ এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খোশগল্পে মেয়েরা সাধারণত পরচর্চা, পরনিন্দাই বেশি করে।
একজনের সঙ্গে আরেকজনের ডেটিং এবং অন্যের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে তারা কথা বলে। এছাড়াও মেয়েরা গল্প করে যৌনতা, কেনাকাটা ও টিভি সিরিয়ালগুলো নিয়ে।
ওজন, খাদ্যাভ্যাস ও পোশাক সংক্রান্ত আলোচনায় মেয়েরা দিনে সময় ব্যয় করে ২৪ মিনিট।
জরিপে এক-তৃতীয়াংশ নারী বলেছেন, দিনের একটা সময় দুপুরে তারা কী খাবেন এ নিয়ে কথা বলে সময় কাটান।
অন্যান্য আরো বিষয়ের মধ্যে আছে কসমেটিক সার্জারি, শ্বশুরবাড়ি এবং তারকা জগৎ।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের সুরা কোম্পানি ফার্স্টকেপ ক্যাফে কালেকশন। ব্রিটেনের ‘কুইন অব চ্যাট’ বা ‘কথার রানি’কে খুঁজে বের করতেই তাদের এ প্রয়াস।
কোম্পানির মুখপাত্র স্টিভ বার্টন বলেছেন, “বকবক করায় মেয়েদের জুড়ি নেই। আর কয়েকজন মেয়ে এক জায়গায় হলে তারা কী নিয়ে কথা বলে তা জানতে ছেলেদেরও আগ্রহের অন্ত নেই।”
এ কৌতুহলের অনেকটাই নিবৃত্তি ঘটিয়েছে এ গবেষণা।
এতে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মেয়েই অন্য যে কারো চেয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে। জীবনসঙ্গী, মা ছাড়াও সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে পুরোপুরি ভিন্ন ব্যাপার নিয়ে তারা কথা বলে।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, মেয়েরা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বেশির ভাগ সময় কাজের কথাই বলে । অন্যদিকে, সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে গালগল্প করে সবচেয়ে বেশি।
এছাড়া ৩৬ শতাংশ নারী গোপন কথা চাপা রাখে না। বিশ্বাস করে যারা তাদেরকে গোপন কথা কলে তা তারা প্রায়ই তাদের জীবনসঙ্গীকে বলে দেয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েরা বাসায় বা অফিসে যেখানেই থাকুক দিনে তারা প্রায় ২৯৮ মিনিট খোশগল্প করে- যা তাদের কর্মঘন্টার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি।
গবেষণার ফল নিয়ে ‘দ্য ডেইলি মেইল’ এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খোশগল্পে মেয়েরা সাধারণত পরচর্চা, পরনিন্দাই বেশি করে।
একজনের সঙ্গে আরেকজনের ডেটিং এবং অন্যের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে তারা কথা বলে। এছাড়াও মেয়েরা গল্প করে যৌনতা, কেনাকাটা ও টিভি সিরিয়ালগুলো নিয়ে।
ওজন, খাদ্যাভ্যাস ও পোশাক সংক্রান্ত আলোচনায় মেয়েরা দিনে সময় ব্যয় করে ২৪ মিনিট।
জরিপে এক-তৃতীয়াংশ নারী বলেছেন, দিনের একটা সময় দুপুরে তারা কী খাবেন এ নিয়ে কথা বলে সময় কাটান।
অন্যান্য আরো বিষয়ের মধ্যে আছে কসমেটিক সার্জারি, শ্বশুরবাড়ি এবং তারকা জগৎ।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের সুরা কোম্পানি ফার্স্টকেপ ক্যাফে কালেকশন। ব্রিটেনের ‘কুইন অব চ্যাট’ বা ‘কথার রানি’কে খুঁজে বের করতেই তাদের এ প্রয়াস।
কোম্পানির মুখপাত্র স্টিভ বার্টন বলেছেন, “বকবক করায় মেয়েদের জুড়ি নেই। আর কয়েকজন মেয়ে এক জায়গায় হলে তারা কী নিয়ে কথা বলে তা জানতে ছেলেদেরও আগ্রহের অন্ত নেই।”
এ কৌতুহলের অনেকটাই নিবৃত্তি ঘটিয়েছে এ গবেষণা।
এতে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মেয়েই অন্য যে কারো চেয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে। জীবনসঙ্গী, মা ছাড়াও সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে পুরোপুরি ভিন্ন ব্যাপার নিয়ে তারা কথা বলে।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, মেয়েরা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বেশির ভাগ সময় কাজের কথাই বলে । অন্যদিকে, সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে গালগল্প করে সবচেয়ে বেশি।
এছাড়া ৩৬ শতাংশ নারী গোপন কথা চাপা রাখে না। বিশ্বাস করে যারা তাদেরকে গোপন কথা কলে তা তারা প্রায়ই তাদের জীবনসঙ্গীকে বলে দেয়।
ফার্স্ট ইমপ্রেশন: মাত্র ১১৯ সেকেন্ডেই
লন্ডন, ডিসেম্বর ২৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- কারো সম্পর্কে ‘ফার্স্ট
ইমপ্রেশন’ তৈরি হয় মাত্র ১১৯ সেকেন্ডে। যুক্তরাজ্যের নতুন এক গবেষণায় এ
তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনে ৮ জনের বেশি (৮৪ শতাংশ) ব্রিটিশ ফার্স্ট ইমপ্রেশনের মাধ্যমেই কোন ব্যক্তিকে বিচার করে।
এছাড়া, প্রতি ১০ জনে ১ জন (৯ শতাংশ) ফার্স্ট ইমপ্রেশনে কোন ব্যক্তি সম্পর্কে যা ধারণা তৈরি হয়েছে তা বদলাতে চায় না।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে, ‘এক্সপেরিয়ান ক্রেডিট এক্সপার্ট’ নামক যুক্তরাজ্যের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান । আর গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকা।
এতে আরো দেখা গেছে, সুন্দর হাসি ও পরিচ্ছন্ন চুল ভালো ফার্স্ট ইমপ্রেশন তৈরিতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক।
অন্যদিকে, কারো মুখের দুর্গন্ধ তার সম্পর্কে বাজে ধারণা তৈরি করে।
এক্সপেরিয়ানের ইন্টারএ্যকটিভ কর্মকর্তা পিটার টার্নার বলেছেন, “ডেটিং, চাকরির সাক্ষাৎকার, ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করা অথবা শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের সামনেই মূলত ফার্স্ট ইমপ্রেশনের ব্যাপরটি আসে।”
এতে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনে ৮ জনের বেশি (৮৪ শতাংশ) ব্রিটিশ ফার্স্ট ইমপ্রেশনের মাধ্যমেই কোন ব্যক্তিকে বিচার করে।
এছাড়া, প্রতি ১০ জনে ১ জন (৯ শতাংশ) ফার্স্ট ইমপ্রেশনে কোন ব্যক্তি সম্পর্কে যা ধারণা তৈরি হয়েছে তা বদলাতে চায় না।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে, ‘এক্সপেরিয়ান ক্রেডিট এক্সপার্ট’ নামক যুক্তরাজ্যের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান । আর গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকা।
এতে আরো দেখা গেছে, সুন্দর হাসি ও পরিচ্ছন্ন চুল ভালো ফার্স্ট ইমপ্রেশন তৈরিতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক।
অন্যদিকে, কারো মুখের দুর্গন্ধ তার সম্পর্কে বাজে ধারণা তৈরি করে।
এক্সপেরিয়ানের ইন্টারএ্যকটিভ কর্মকর্তা পিটার টার্নার বলেছেন, “ডেটিং, চাকরির সাক্ষাৎকার, ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করা অথবা শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের সামনেই মূলত ফার্স্ট ইমপ্রেশনের ব্যাপরটি আসে।”
কেউই ‘মি.পারফেক্ট’ নয়
ঢাকা, ২০ ডিসেম্বর (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- কোনো পুরুষই নির্খুঁত নয়।
বিশেষ করে নারীর দৃষ্টিতে ‘মি.পারফেক্ট’ না কেউই। বেশিরভাগ নারীই তার
সঙ্গীকে মাত্র ৬৯ শতাংশ নিখুঁত মনে করে। এমন তথ্যই পাওয়া গেছে নতুন এক
জরিপে।
প্রথমেই একজন নারীকে আকৃষ্ট করে পুরুষের আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব। এরপর তার রসবোধ এবং চেহারায় কোনো নারী আকৃষ্ট হয়।
অন্যদিকে, জীবনসঙ্গীনির বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সহজভাবে মিশতে না পারা, তাদের গাড়ি চালনা নিয়ে উপহাস করা এবং একসঙ্গে বহুমুখী কাজ করতে না পারাকেই নারীরা পুুরুষের সবচেয়ে বড় দোষ হিসেবে দেখে।
কোন বিষয়গুলো নারীর চোখে একজন পুরুষকে নিঁখুত করে তোলে- এ প্রশ্নের জবাবে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।
পুরুষের দোষ-ত্র“টিগুলো কী জানতে চাওয়া হলে জরিপে অংশ নেওয়া নারীরা এমনই জবাব দিয়েছেন।
পুরুষের অন্যান্য দোষ-ত্র“টির মধ্যে উঠে এসেছে টয়লেটের দরজা খোলা রাখা, অতিরিক্ত খেলা দেখা এবং নিজেকে পরিপাটি করে রাখার প্রবণতা কম থাকার মতো বিষয়গুলো।
তাছাড়া, নখ না কাটা, উশকো-খুশকো দাড়ি রাখা এবং অতিরিক্ত মা-পাগল পুরুষকে নারীরা মোটেই ভাল চোখে দেখে না।
২০০০ নারীর ওপর জরিপটি চালিয়েছে যুক্তরাজ্যের রূপচর্চাকারী প্রতিষ্ঠান ‘রেমিংটন’। এর ফল প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে ‘দ্য ডেইলি মেইল’।
রেমিংটনের বিপণন পরিচালক নিক্কি ম্যাকরেনল্ডস বলেছেন, “দেখা যাচ্ছে নারীরা তার জীবনসঙ্গীর মাঝে যে বিষয়গুলো খুঁজে পেতে চায় সেক্ষেত্রে তারা খুবই বাস্তববাদী
প্রথমেই একজন নারীকে আকৃষ্ট করে পুরুষের আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব। এরপর তার রসবোধ এবং চেহারায় কোনো নারী আকৃষ্ট হয়।
অন্যদিকে, জীবনসঙ্গীনির বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সহজভাবে মিশতে না পারা, তাদের গাড়ি চালনা নিয়ে উপহাস করা এবং একসঙ্গে বহুমুখী কাজ করতে না পারাকেই নারীরা পুুরুষের সবচেয়ে বড় দোষ হিসেবে দেখে।
কোন বিষয়গুলো নারীর চোখে একজন পুরুষকে নিঁখুত করে তোলে- এ প্রশ্নের জবাবে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।
পুরুষের দোষ-ত্র“টিগুলো কী জানতে চাওয়া হলে জরিপে অংশ নেওয়া নারীরা এমনই জবাব দিয়েছেন।
পুরুষের অন্যান্য দোষ-ত্র“টির মধ্যে উঠে এসেছে টয়লেটের দরজা খোলা রাখা, অতিরিক্ত খেলা দেখা এবং নিজেকে পরিপাটি করে রাখার প্রবণতা কম থাকার মতো বিষয়গুলো।
তাছাড়া, নখ না কাটা, উশকো-খুশকো দাড়ি রাখা এবং অতিরিক্ত মা-পাগল পুরুষকে নারীরা মোটেই ভাল চোখে দেখে না।
২০০০ নারীর ওপর জরিপটি চালিয়েছে যুক্তরাজ্যের রূপচর্চাকারী প্রতিষ্ঠান ‘রেমিংটন’। এর ফল প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে ‘দ্য ডেইলি মেইল’।
রেমিংটনের বিপণন পরিচালক নিক্কি ম্যাকরেনল্ডস বলেছেন, “দেখা যাচ্ছে নারীরা তার জীবনসঙ্গীর মাঝে যে বিষয়গুলো খুঁজে পেতে চায় সেক্ষেত্রে তারা খুবই বাস্তববাদী
বীনা মালিক গোপনে পাকিস্তানে
ঢাকা, ডিসেম্বর ১৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- নগ্ন ছবি ছাপিয়ে বলিউডে ঝড়
তোলা পাকিস্তানি অভিনেত্রী বীনা মালিক গোপনে স্বদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
রোববার মুম্বাই থেকে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রকাশ করেছিলো টাইমস অফ ইন্ডিয়া। পরে পাকিস্তানে দি নিউজ জানায়, গোপনে নিজের দেশে ফিরেছেন এই অভিনেত্রী।
বাড়ি পাকিস্তানে হলেও বীনা মালিক সা¤প্রতিক সময়ে ভারতে একটি আলোচিত নাম। একটি সাময়িকীতে তার নগ্ন ছবি প্রকাশ হলে তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
বীনা মালিককে পাকিস্তানে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগও এসেছে। আর এর মধ্যেই এই অভিনেত্রীর ‘নিখোঁজ’ সংবাদ জানায় টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
‘মুম্বাই ১৩৫ কিলোমিটার’ নামে বলিউডের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন বীনা, কিছুদিন ধরে এর শুটিংও চলছে। শুক্রবার থেকে বীনা শুটিংয়ে যাচ্ছিলেন না বলে জানান চলচ্চিত্রটির নির্মাতা হেমন্ত মধুকর।
তিনি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, “১৫ দিন ধরে নিয়মিত শুটিংয়ে আসছিলো বীনা। প্রতিদিনই একটি গাড়ি তাকে আনতে যায় এবং দিয়ে আসে। কিন্তু শুক্রবার থেকে সে আর আসছে না।”
বৃহস্পতিবার শুটিং শেষে যাওয়ার সময় বীনাকে বেশ বিমর্ষ লাগছিলো বলে জানান হেমন্ত। তিনি বলেন, “শুক্রবার সকালে সে একটি এসএমএস পাঠায় যে তার শরীর ভালো নেই এবং ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়ে সে খুবই আপসেট।”
“এরপর থেকে যতবারই ফোন করি, তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাচ্ছি,” বলেন হেমন্ত।
বীনার হঠাৎ এই অন্তর্ধান নিয়ে তার ম্যানেজার প্রতীক মেহতা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, “আমি খুব শিগগিরই থানায় অভিযোগ করবো। শুধু অপেক্ষা করছি, আমাদের আইনজীবীর জন্য।”
তবে এরই মধ্যে দ্য নিউজ জানায়, শুক্রবার ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ঢুকেছেন বীনা।
বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, বীনার পাসপোর্ট তার প্রকৃত নামে। আর তিনি সীমান্ত পেরিয়েছেন বোরকা পরে। ফলে জাহিদা নামে বোরকা পরা নারীর আড়ালে যে বীনা ছিলেন, তা কারো নজরে পড়েনি।
পত্রিকাটির খবর, বীনানে সীমান্তে দিয়ে গেছেন তার বন্ধু অস্মিত প্যাটেল। বীনা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে উঠেছেন লাহোরে।
রোববার মুম্বাই থেকে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রকাশ করেছিলো টাইমস অফ ইন্ডিয়া। পরে পাকিস্তানে দি নিউজ জানায়, গোপনে নিজের দেশে ফিরেছেন এই অভিনেত্রী।
বাড়ি পাকিস্তানে হলেও বীনা মালিক সা¤প্রতিক সময়ে ভারতে একটি আলোচিত নাম। একটি সাময়িকীতে তার নগ্ন ছবি প্রকাশ হলে তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
বীনা মালিককে পাকিস্তানে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগও এসেছে। আর এর মধ্যেই এই অভিনেত্রীর ‘নিখোঁজ’ সংবাদ জানায় টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
‘মুম্বাই ১৩৫ কিলোমিটার’ নামে বলিউডের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন বীনা, কিছুদিন ধরে এর শুটিংও চলছে। শুক্রবার থেকে বীনা শুটিংয়ে যাচ্ছিলেন না বলে জানান চলচ্চিত্রটির নির্মাতা হেমন্ত মধুকর।
তিনি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, “১৫ দিন ধরে নিয়মিত শুটিংয়ে আসছিলো বীনা। প্রতিদিনই একটি গাড়ি তাকে আনতে যায় এবং দিয়ে আসে। কিন্তু শুক্রবার থেকে সে আর আসছে না।”
বৃহস্পতিবার শুটিং শেষে যাওয়ার সময় বীনাকে বেশ বিমর্ষ লাগছিলো বলে জানান হেমন্ত। তিনি বলেন, “শুক্রবার সকালে সে একটি এসএমএস পাঠায় যে তার শরীর ভালো নেই এবং ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়ে সে খুবই আপসেট।”
“এরপর থেকে যতবারই ফোন করি, তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাচ্ছি,” বলেন হেমন্ত।
বীনার হঠাৎ এই অন্তর্ধান নিয়ে তার ম্যানেজার প্রতীক মেহতা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, “আমি খুব শিগগিরই থানায় অভিযোগ করবো। শুধু অপেক্ষা করছি, আমাদের আইনজীবীর জন্য।”
তবে এরই মধ্যে দ্য নিউজ জানায়, শুক্রবার ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ঢুকেছেন বীনা।
বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, বীনার পাসপোর্ট তার প্রকৃত নামে। আর তিনি সীমান্ত পেরিয়েছেন বোরকা পরে। ফলে জাহিদা নামে বোরকা পরা নারীর আড়ালে যে বীনা ছিলেন, তা কারো নজরে পড়েনি।
পত্রিকাটির খবর, বীনানে সীমান্তে দিয়ে গেছেন তার বন্ধু অস্মিত প্যাটেল। বীনা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে উঠেছেন লাহোরে।
'নারী ছলনাময়ী'
লন্ডন, জানুয়ারি ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সাধারণত ধারণা করা হয়
মেয়েরা তাদের জীবনসঙ্গীর প্রতি বেশি বিশ্বাসী ও অনুগত। কিন্তু এ ধারণাকে
ভুল প্রমাণ করেছেন ব্রিটেনের একদল গবেষক। তাদের মতে, ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই
বেশি প্রতারণা করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি পাঁচ জনে একজন বা ২০ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা যদি অন্য কোন পুরুষের প্রতি অনুরক্ত হন তবে ‘অবশ্যই’ তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবেন।
অন্যদিকে, এক্ষত্রে মাত্র ৯ শতাংশ পুরুষ তার সঙ্গীনির সঙ্গে প্রতারণা করবে বলে জানিয়েছেন।
৩ হাজার নারী-পুরুষের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের ঘটকালি প্রতিষ্ঠান ‘কফি এন্ড কোম্পানি’। গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য সান’।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়স্ক নারীরাই বেশি প্রতারণা করে। তাদের মধ্যে অনেকেই সন্তানহীনা যারা মাতৃত্বের স্বাদ পেতে অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়।
‘কফি এন্ড কোম্পানি’র প্রধান লরেইন এ্যাডামস বলেছেন, “কখনো কখনো বিবাহিত নারীর মাতৃত্বের বাসনা নৈতিক মূল্যবোধ ছাপিয়ে যায়।”
এছাড়া, গবেষণা অনুযায়ী, ১৫ শতাংশ পুরুষ প্রতারণা করেছে এমন স্ত্রী বা প্রেমিকাকে ক্ষমা করবে। অন্যদিকে, ১২ শতাংশ নারী তার সঙ্গীকে ক্ষমা করবে বলে জানিয়েছেন।
জরিপ অনুযায়ী, প্রায় এক-চতুর্থাংশ বা ২৫ শতাংশ অবিবাহিত নারী কোন বিবাহিত পুরুষের সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়াতে রাজি আছে বা এমন কারো সাথে দীর্ঘকালীন সম্পর্ক রাখতেও আপত্তি নেই।
অন্যদিকে, মাত্র ১২ শতাংশ অবিবাহিত পুরুষ কোন বিবাহিত নারীর সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে বা এমন একজনের সাথে দীর্ঘকালীন সম্পর্ক রাখতে রাজি আছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি পাঁচ জনে একজন বা ২০ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা যদি অন্য কোন পুরুষের প্রতি অনুরক্ত হন তবে ‘অবশ্যই’ তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবেন।
অন্যদিকে, এক্ষত্রে মাত্র ৯ শতাংশ পুরুষ তার সঙ্গীনির সঙ্গে প্রতারণা করবে বলে জানিয়েছেন।
৩ হাজার নারী-পুরুষের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের ঘটকালি প্রতিষ্ঠান ‘কফি এন্ড কোম্পানি’। গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য সান’।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়স্ক নারীরাই বেশি প্রতারণা করে। তাদের মধ্যে অনেকেই সন্তানহীনা যারা মাতৃত্বের স্বাদ পেতে অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়।
‘কফি এন্ড কোম্পানি’র প্রধান লরেইন এ্যাডামস বলেছেন, “কখনো কখনো বিবাহিত নারীর মাতৃত্বের বাসনা নৈতিক মূল্যবোধ ছাপিয়ে যায়।”
এছাড়া, গবেষণা অনুযায়ী, ১৫ শতাংশ পুরুষ প্রতারণা করেছে এমন স্ত্রী বা প্রেমিকাকে ক্ষমা করবে। অন্যদিকে, ১২ শতাংশ নারী তার সঙ্গীকে ক্ষমা করবে বলে জানিয়েছেন।
জরিপ অনুযায়ী, প্রায় এক-চতুর্থাংশ বা ২৫ শতাংশ অবিবাহিত নারী কোন বিবাহিত পুরুষের সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়াতে রাজি আছে বা এমন কারো সাথে দীর্ঘকালীন সম্পর্ক রাখতেও আপত্তি নেই।
অন্যদিকে, মাত্র ১২ শতাংশ অবিবাহিত পুরুষ কোন বিবাহিত নারীর সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে বা এমন একজনের সাথে দীর্ঘকালীন সম্পর্ক রাখতে রাজি আছে।
যৌন নিপীড়কের মাথা কেটে নিলেন রাজকুমারী
ঢাকা, জানুয়ারি ২০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- যৌন নিপীড়ণে অতিষ্ঠ হয়ে
নিপীড়কের শিরোচ্ছেদ করেছেন ভারতের মধ্য প্রদেশের এক নারী, যার নাম
রাজকুমারী।
শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিবাহিত রাজকুমারী যার মাথা কেটেছেন, সেই শ্যামল যাদব একই গ্রাম আমোদার বাসিন্দা। রাজকুমারী এই হত্যাকাণ্ডেরও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
হত্যার পর খণ্ডিত মস্তক নিয়ে সরাসরি মাজোলি থানায় যান রাজকুমারী। ঘটনা শুনে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাজকুমারী থানায় সাংবাদিকদের বলেন, “এই ব্যক্তি আমাকে প্রায়ই যৌন নিপীড়ন করতো। আজ আমি তাকে একটি মাঠে ডেকে নিই এবং কুড়াল দিয়ে তার মাথায় চার বার আঘাত করি। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।”
শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিবাহিত রাজকুমারী যার মাথা কেটেছেন, সেই শ্যামল যাদব একই গ্রাম আমোদার বাসিন্দা। রাজকুমারী এই হত্যাকাণ্ডেরও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
হত্যার পর খণ্ডিত মস্তক নিয়ে সরাসরি মাজোলি থানায় যান রাজকুমারী। ঘটনা শুনে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাজকুমারী থানায় সাংবাদিকদের বলেন, “এই ব্যক্তি আমাকে প্রায়ই যৌন নিপীড়ন করতো। আজ আমি তাকে একটি মাঠে ডেকে নিই এবং কুড়াল দিয়ে তার মাথায় চার বার আঘাত করি। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।”
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
FSS blog
Link in World
I like it
- Bangla Song
- Love
- Move
what is love?
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
Wikipedia
সার্চ ফলাফল